বাক্য কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

বাক্য কাকে বলে

  • কতকগুলি পদ পরপর বসে যখন মনের ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।
  • একটি সম্পূর্ণ মনোভাব যে সমস্ত পদ দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাদের সমষ্টিকে বাক্য বলে।
  • যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে।
  • এক বা একাধিক পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তখন তাকে বাক্য বলে।

বাক্যের উদাহরণ –

  • সন্ধ্যা হলে পাখিরা বাসায় ফেরে।
  • ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
  • জলে মাছ সাঁতার কাটে।

বাক্যের শ্রেণিবিভাগ, বাক্য কয় প্রকার ও কি কি

সার্থক বাক্যকে আমরা দুটি দিক থেকে ভাগ করতে পারি। যেমন:

ক. গঠন অনুসারে বাক্য। এবং

খ. অর্থ অনুসারে বাক্য।

ক. গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেনীবিভাগ :-

গঠনগত দিক থেকে বিচার করলে আমরা তিন প্রকার বাক্য পাই।

১. সরল বাক্য
২. মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং
৩. যৌগিক বাক্য

খ. অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ :-

অর্থ অনুসারে বাংলা বাক্যকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:

১. বিবৃতিমূলক বা বর্ণনামূলক বাক্য,
২. প্রশ্নসূচক বাক্য,
৩. আদেশসূচক বাক্য,
৪. ইচ্ছাসূচক বাক্য,
৫. বিস্ময়সূচক বাক্য।

কিন্তু অর্থ অনুযায়ী বাক্যকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় সাতটি প্রকারে বিভক্ত করেছেন। যথা-

১. নির্দেশসূচক বাক্য,
২. প্রশ্নবাচক বাক্য,
৩. ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য,
৪. আজ্ঞাসূচক বাক্য,
৫. কার্যকারণাত্মক বাক্য,
৬. সংশয়সূচক বা সন্দেহদ্যোতক বাক্য ও
৭. আবেগসূচক বাক্য।

গঠনগত দিক থেকে বাক্যের প্রকারভেদ

সরল বাক্য কাকে বলে

যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র বিধেয় থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।

যেমন- রহিম প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যায়।

এই বাক্যটিতে উদ্দেশ্য হলো ‘রহিম’ ও ‘প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যায়’ এটি বিধেয়।

মিশ্র বা জটিল বাক্য কাকে বলে, জটিল বাক্য কাকে বলে, জটিল বাক্য কাকে বলে উদাহরণ, মিশ্র বাক্য কাকে বলে

কোনো কোনো বাক্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অর্থাৎ কর্তা ও সমাপিকা ক্রিয়া ছাড়া এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ড বাক্য থাকতে পারে। এই অপ্রধান খন্ডাংশ মূল বাক্যেরই অংশ। এ ধরনের বাক্যকে মিশ্র বাক্য বলে।

জটিল বাক্য উদাহরণ

যেমন – ‘সে যদি আসে, তবে আমি খাব।’

যিনি পরের উপকার করেন, তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে।

এই বাক্যটিতে অপ্রধান খণ্ডবাক্য হলো ‘সে যদি আসে’ আর প্রধান খণ্ড বাক্য হলো ‘তবে আমি খাব’।

মিশ্র বা জটিল বাক্যের প্রকারভেদ

জটিল বাক্য প্রধানত তিন প্রকার। যথা-

১. আশ্রয়-আশ্রিত জটিল বাক্য
৩. সাপেক্ষ-পদযুক্ত জটিল বাক্য ও
৩. প্রতি-নির্দেশক সর্বনামযুক্ত জটিল বাক্য।

আশ্রয়-আশ্রিত জটিল বাক্য

যে জটিল বাক্যের আশ্রিত খণ্ডবাক্যটি প্রধান খণ্ডবাক্যের আশ্রয়ে থাকে এবং প্রধান খণ্ডবাক্যের সম্পূরক রূপে কাজ করে তাকে আশ্রয়-আশ্রিত জটিল বাক্য বলে।

যেমন- নিপা যে আসবে, তা বলা যায় না।

সাপেক্ষ-পদযুক্ত জটিল বাক্য

যে জটিল বাক্যের আশ্রিত খণ্ডবাক্য প্রধান খণ্ডবাক্যের বিধেয় ক্রিয়া সংগঠনের উপর নির্ভর করে, তাকে সাপেক্ষ-পদযুক্ত জটিল বাক্য বলে।

যেমন- ‘কাল যদি ঝড় হয়, তবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।’

এ ধরনের জটিল বাক্যের প্রধান খণ্ড বাক্যে সাধারণত সাপেক্ষ অব্যয় ‘যদি’ এবং আশ্রিত খণ্ডবাক্যে ‘তাহলে / তবে / না হয়’ ইত্যাদি দ্বারা যুক্ত থাকে।

প্রতি নির্দেশক সর্বনামযুক্ত জটিল বাক্য

যখন তখন, যা তা, যাহা তাহা, যার-তার, যেখানে-সেখানে, যথা-তথা ইত্যাদি প্রতিনির্দেশক সর্বনাম ব্যবহার করে জটিল বাক্য গঠন করলে। তাকে প্রতিনির্দেশক সর্বনাম যুক্ত জটিল বাক্য বলে।

যেমন- ‘যখন রোদ উঠল, তখন আমরা বাড়ি পৌঁছে গেছি।

খণ্ডবাক্য কাকে বলে

একাধিক বাক্য মিলে একটি জটিল বাক্য তৈরি হলে বাক্যের অন্তর্গত প্রতিটি বাক্য যদি স্বাধীন বাক্য না হয়ে অন্য কোনো বাক্যের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তবে তাকে খণ্ডবাক্য বলে।

যেমন- ‘যদি তুমি আস, তাহলে আমি যাব’, এখানে ‘তুমি আস’ এবং ‘আমি যাব’ বাক্যাংশ দুটি খণ্ডবাক্য।

খণ্ডবাক্যকে দুই ভাগে ভাগ করা যাযয়। যেমন-

১. প্রধান খণ্ডবাক্য এবং
২. অধীন বা আশ্রিত খণ্ডবাক্য।

প্রধান খণ্ডবাক্য

বাক্যে ব্যবহৃত যে খণ্ডবাক্য অর্থ প্রকাশের জন্য বাক্যের অন্য অংশের ওপর নির্ভরশীল নয়, তাকে প্রধান খণ্ডবাক্য বলে।

যেমন- ‘আমি জানি যে সে কাজটি করেছে।’

এখানে ‘সে কাজটি করেছে’ বাক্যটি প্রধান খগুবাক্য। বাক্যটি এককভাবে উপস্থাপন করা হলেও এর পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায়।

অধীন বা আশ্রিত খণ্ডবাক্য :

বাক্যে ব্যবহৃত যে খণ্ডবাক্য তার পূর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশের জন্য প্রধান খণ্ডবাক্যের ওপর নির্ভরশীল হয়, তাকে অধীন বা আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে।

যেমন- ‘আমি অবাক হলাম তোমার কাণ্ডজ্ঞান দেখে।

এখানে ‘তোমার কাণ্ডজ্ঞান দেখে’ আশ্রিত খণ্ডবাক্য। বাক্যটি নিজেই নিজের পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে না। অর্থ প্রকাশের জন্য প্রধান খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভর করতে হয়।

যৌগিক বাক্য কাকে বলে, যৌগিক বাক্য কাকে বলে, যৌগিক বাক্য কাকে বলে উদাহরণ

দুই বা তার বেশি সরল বা জটিল বাক্য সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি দীর্ঘবাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

যৌগিক বাক্যের মধ্যে অন্তর্গত নিরপেক্ষ বাক্য গুলো – অথবা, এবং, কিংবা, ও, বরং, কিন্তু, তথাপি, যথা ইত্যাদি অব্যয়যোগে সংযুক্ত থাকে।

সরল বাক্যের সাথে সরল বাক্য বা জটিল বাক্যের সঙ্গে জটিল বাক্য বা সরল বাক্যের সঙ্গে জটিল বাক্য বা জটিল বাক্যের সাথে সরল বাক্য সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে যৌগিক বাক্য গঠিত হয়।

যেমন- ‘তুমি বুদ্ধিমান কিন্তু তোমার সাথে যে এসেছিল সে বোকা।

অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ

বিবৃতিমূলক বাক্য

যে বাক্যে কোনো বক্তব্যকে সাধারণ ভাবে বিবৃত বা বর্ণনা করা হয়, তাকে বিবৃতিমূলক বা বর্ণনামূলক বাক্য বলে।

যেমন- ওসমান ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে।

বিবৃতিমূলক বাক্য দুই প্রকারের। যথা –

১. অস্তিবাচক বাক্য এবং
২. নেতিবাচক বাক্য।

অস্তিবাচক বাক্য

যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব হ্যাঁ-বোধক অর্থ প্রকাশ করে, তাকে অস্তিবাচক বাক্য বা হ্যাঁ-বাচক বাক্য বলে।

যেমন- ভাল জিনিসের কদর বেশি।

নেতিবাচক বাক্য

যে বাক্যে কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্যের অস্তিত্ব যদি না – বোধক অর্থে প্রকাশিত হয়, তখন তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে।

যেমন – ‘ফরিদা আজ স্কুলে যাবে না।

প্রশ্নবোধক বাক্য

যে বাক্যে কোনো ঘটনা, কাহিনি বা বক্তব্য বর্ণনায় প্রশ্নসূচক অর্থ প্রকাশ পায়, তখন তাকে প্রশ্নবোধক বাক্য বলে।

যেমন: ‘আপনি কোথা থেকে এসেছেন?’

অনুজ্ঞাবাচক বাক্য

যে বাক্য দ্বারা বর্তমান ও ভবিষ্যতের কোনো অনুরোধ, অনুমতি, আদেশ, নিষেধ উপদেশ, ইত্যাদি বিষয়ে বোঝায়, সেই সব বাক্যকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে।

যেমন – দয়া করে বইটি দিন।

ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য

যে বাক্যে বক্তার ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক অর্থ প্রকাশ পায়, তাকে ইচ্ছা বা প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে।

যেমন- ‘তুমি সাধনায় সফল হও।’

আবেগসূচক বাক্য

যে বাক্যে বক্তার মনের আনন্দ, বেদনা, শোক-বিষাদ ইত্যাদি আবেগ প্রকাশ পায়, তাকে আবেগসূচক বাক্য বলে।

যেমন – হুররে! আমরা খেলায় জিতেছি।

অর্থ অনুযায়ী বাক্যের প্রকারভেদ

সংশয়সূচক বাক্য

যে ধরনের নির্দেশক বাক্যে বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে সংশয়, সন্দেহ, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে সংশয়সূচক বাকা বলে।

যেমন- ‘মনে হয়, রহমান পাস করবে না।’

কার্যকারণাত্মক বাক্য

যে সব বাক্যে কোনো নিয়ম, স্বাকৃতি, শর্ত বা সংকেত প্রকাশ পায়, তাকে কার্যকরাণাত্মক বাক্য বলে।

যেমন- যদি আমি আসতে না পারি, তাহলে তুমি চলে যেও।

জটিল বাক্য চেনার উপায়

  • অব্যয় থাকলেই যৌগিক বাক্য। (অব্যয়: ও, এবং, আর, কিন্তু, নতুবা, তথাপি, তাই, সুতরাং, অথচ, কিংবা, বরং ইত্যাদি)
  • সাপেক্ষ সর্বনাম থাকলেই জটিল বা মিশ্র বাক্য। (সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যেমন-তেমন, যখন-তখন, যদিও-তবুও ইত্যাদি)
  • একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকলে সরল বাক্য। (সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ প্রকাশ করতে পারে।)
  • একাধিক সমাপিকা ক্রিয়া থাকলে: ক্রিয়াগুলো পরস্পর নির্ভরশীল হলে জটিল বাক্য; নির্ভরশীল না হলে যৌগিক বাক্য।
  • যে-কোনো বাক্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ওপরের প্রশ্নগুলো করতে হবে। তাহলেই আমরা সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবো।

নির্দেশক বাক্য কাকে বলে

যে বাক্য কোনো বক্তব্য সাধারণভাবে নির্দেশিত হয় বা অস্বীকার করা হয়, তাকেই নির্দেশক বাক্য বলে।

নির্দেশক বাক্যের উদাহরণ

  • আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি।
  • সকাল বেলা সূর্য ওঠে।

বাক্য পরিবর্তন উদাহরণ

সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্য রূপান্তর

১. সরল : সংবাদটি শুনে সে বিস্মিত হল।

জটিল : যখন সে সংবাদটি শুনল তখন সে বিস্মিত হল।

২. সরল : বলেই সে বাড়িমুখো রওনা দিল।

জটিল : যেমনি বলল অমনি সে বাড়িমুখো রওনা দিল।

৩. সরল : বিজ্ঞানীরা ভূত বিশ্বাস করেন না।

জটিল : যারা বিজ্ঞানী তাঁরা ভূত বিশ্বাস করেন না।

৪. সরল : দিলে নিয়ো।

জটিল : যদি দেয় তবে নিয়ো।

৫. সরল : কর্ম অনুসারে ফল।

জটিল : যেমন কর্ম তেমন ফল।

জটিল বাক্য থেকে সরল বাক্য রূপান্তর

১. জটিল : যিনি কাল এসেছিলেন তিনি একজন ডাক্তার।

সরল : কাল একজন ডাক্তার এসেছিলেন।

২. জটিল : যখন রাত হবে তখন আলো জ্বলবে।

সরল : রাত হলে এল জ্বলবে।

৩. জটিল : যদিও সে অসুস্থ তবুও স্কুলে গেল।

সরল : অসুস্থতা অবস্থায় সে স্কুলে গেল।

৪. জটিল : যে পড়াশোনা করে সেই জ্ঞানী।

সরল : পড়াশোনা করা ব্যক্তি জ্ঞানী।

৫. জটিল : যে দেখেছে সেই আশ্চর্য হয়েছে।

সরল : দর্শক মাত্রই আশ্চর্য হয়েছে।

সরল বাক্য থেকে যৌগিক বাক্য রূপান্তর

১. সরল : ভোরে উঠে ভ্রমন করবে।

যৌগিক : ভোরে উঠবে এবং ভ্রমন করবে।

২. সরল : বয়সে ছোট হলেও তার বুদ্ধি প্রখর।

যৌগিক : বয়সে ছোট কিন্তু তার বুদ্ধি প্রখর।

৩. সরল : টিভি দেখলেও বেশিক্ষণ দেখবে না।

যৌগিক : টিভি দেখবে কিন্তু বেশিক্ষণ নই।

৪. সরল : বাড়ি গিয়েই ভাত খাব।

যৌগিক : বাড়ি যাব এবং ভাত খাব।

৫. সরল : জোরে না বললে কেউ শুনতে পাবে না।

যৌগিক : জোরে বলো নাহলে কেউ শুনতে পাবে না।

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্য রূপান্তর

১. যৌগিক : সন্ধ্যা হবে এবং ফিরব।

সরল : সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরব।

২. যৌগিক : স্টেশন এলাম আর ট্রেনটা ছেড়ে দিল।

সরল : স্টেশনে এলেই ট্রেনটা ছেড়ে দিল।

৩. যৌগিক : সূর্য ওঠে এবং কুয়াশা দূর হয়।

সরল : সূর্য উঠলে কুয়াশা দূর হয়।

৪. যৌগিক : যেতে পারি কিন্তু কেন যাব।

সরল : যেতে পারলেও কেন যাব।

৫. যৌগিক : মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে তাই রাস্তায় জল জমবে।

সরল : মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে বলে রাস্তায় জল জমবে।

জটিল বাক্য থেকে যৌগিক বাক্য রূপান্তর

১. জটিল : যদিও বর্ষাকাল তবুও মেঘের দেখা নেই।

যৌগিক : বর্ষাকাল কিন্তু মেঘের দেখ্সা নেই।

২. জটিল : যখন দেবে তখন নেবে।

যৌগিক : দেবে এবং নেবে।

৩. জটিল : যেই বৃষ্টি এল সেই ব্যাঙের ডাক শুরু হল।

যৌগিক : বৃষ্টি এল এবং ব্যাঙের ডাক শুরু হল।

৪. জটিল : যদিও এটা জঙ্গল তবুও মানুষ বাস করে।

যৌগিক : এটা জঙ্গল কিন্তু মানুষ বাস করে।

৫. জটিল : যেহেতু সে পড়াশোনা করে সেহেতু সকলে তাকে ভালোবাসা।

যৌগিক : সে পড়াশোনা করে, তাই সকলে তাকে ভালোবাসে।

যৌগিক থেকে জটিল বাক্য রূপান্তর

১. যৌগিক : রোদ উঠেছে, তাই খেলতে যাব।

জটিল : যেহেতু রোদ উঠেছে সেহেতু খেলতে যাব।

২. যৌগিক : কাদা কিন্তু রাস্তাটি চওড়া।

জটিল : যদিও কাদা তবুও রাস্তাটি চওড়া।

৩. যৌগিক : এখন রাত, তাই বাইরে যেও না।

জটিল : যেহেতু এখন রাত সেহেতু বাইরে যেও না।

৪. যৌগিক : লোকটি সরল অথচ জ্ঞানী।

জটিল : যদিও লোকটি সরল তথাপি সে জ্ঞানী।

৫. যৌগিক : বুঝবে তারপর লিখবে।

জটিল : যখন বুঝবে তখন লিখবে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | বাক্য, বাক্য রচনা

Q1. স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য

উত্তর: 1) মহাত্মা গান্ধী, যিনি ভারতের স্বাধীনতায় একটি নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন, 1947 সালের 15 আগস্ট স্বাধীনতার উদযাপনে অংশগ্রহণ করেননি। সেদিন মহাত্মা গান্ধী পশ্চিমবঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের জন্য উপবাস বা অনশন করছিলেন।

2) মহর্ষি অরবিন্দ ঘোষ 15 আগস্ট 1872 সালে জন্মগ্রহণ করেন। যিনি ভারতকে ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করার লড়াইয়ে যুক্ত ছিলেন।

3) 15 আগস্ট পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। এটি হয়েছিল 17 আগস্ট, র‌্যাডক্লিফ লাইনের ঘোষণার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণ করেছিল। 

4) 14 আগস্ট মধ্যরাতে জওহরলাল নেহেরু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন ‘Tryst with Destiny’।  এই ভাষণটি সারা বিশ্ব শুনেছিল কিন্তু মহাত্মা গান্ধী তা শোনেননি কারণ তিনি সেদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েছিলেন।

5) শেখর চক্রবর্তী তার স্মৃতিকথার পতাকা এবং ডাকটিকিটগুলিতে লিখেছেন যে 1947 সালের 15 আগস্ট ভাইসরয়্যাল হাউসে (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি ভবন) যখন নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করছিল, তখন হাউসের কেন্দ্রীয় গম্বুজে স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়েছিল যা সকাল 10:30 মিনিটে প্রথমবারের মতো উত্তোলন করা হয়। তিনি বলেছিলেন যে এর আগে 14-15 আগস্ট রাতে, কাউন্সিল হাউসের উপরে স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল, যা আজ সংসদ ভবন হিসাবে পরিচিত।

Q2. সম্মতি দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: সাধারণ অর্থে সম্মতি শব্দটি কোন একজনের প্রস্তাব বা মতের সাথে একমত পোষণ করাকে বোঝানো হয়।

Q3. অবদান দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: রেডিও আবিষ্কারে বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্রের অবদান রয়েছে।

Q4. পৃথিবী দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: পৃথিবী আকৃতিতে গোলাকার। সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের মধ্যে আমাদের বাসস্থান যে গ্রহে তার নাম হলো পৃথিবী।

Q5. তুলনা দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: সারা জগতে মায়ের স্নেহের কোনো তুলনা মেলে না।

Q6. রৌদ্র দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসের রৌদ্রে গোটা মাঠখানা ফুটিফাটা হয়ে গেছে‌।

Q7. মেঘ দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: আকাশে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, মনে হয় বৃষ্টি হবে।

Q8. অসাধারণ দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: মাধ্যমিক পরীক্ষায় তোমার অসাধারণ সাফল্যে গোটা এলাকার মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।

Q9. আকাশ দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: আজ আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি হবে।

Q10. কম্পন দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: ভূমিকম্প হলে কম্পন অনুভব হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।