রজনী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

রজনী উপন্যাসের নামকরণ, রজনী উপন্যাসের বিষয়বস্তু

উত্তরঃ রজনী (১৮৮৫) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-৯৪) একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস। বিষয়বস্তু, গঠনপ্রণালি, চরিত্রায়ণ ইত্যাদি নানা দিক থেকে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসগুলোর মধ্যে শুধু নয়, সমগ্র বাংলা উপন্যাসে রজনীর স্থান অনন্য।

বিবাহিত স্ত্রী ও প্রেমিকার প্রতি আকর্ষণের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছেন বিষবৃক্ষ ও কৃষ্ণকান্তের উইল। কিন্তু এ-দুটি উপন্যাসের মাঝে লেখা রজনীর গঠনশৈলী ও বিষয়বস্তু ভিন্ন। রজনী-শচীন্দ্রনাথ এবং লবঙ্গলতাঅমরনাথের প্রণয় কাহিনী গড়ে তুলেছে রজনীর গল্পের কাঠামো। এর একদিকে রয়েছে পরিবার অনুমোদিত প্রেম, অন্যদিকে আপাত অস্বীকৃতির নেপথ্যে নারীর অন্তরে প্রবহমান গভীর প্রেম। রজনী ও লবঙ্গলতা চরিত্রের মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র প্রেমের এই দুই রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ১৮৭৩-৭৮ সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র যে-সব উপন্যাস লিখছিলেন, তার কাহিনীতে স্থান পাচ্ছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গড়ে ওঠা বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা। বিশেষ করে নতুন কালের নারীর মনের বিচিত্র রূপটি বঙ্কিমচন্দ্র তার বিভিন্ন উপন্যাসে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। রজনীর প্রধান ঘটনা শচীন্দ্রনাথের প্রতি অন্ধ সুন্দরী রজনীর প্রেম শচীন্দ্রনাথের স্পর্শে যার উন্মেষ ঘটে।

পরে বিয়ে হয় দু-জনের। এ উপন্যাসে আরও একটি প্রেমের ঘটনা স্থান পেয়েছে—লবঙ্গলতা ও অমরনাথের। লবঙ্গলতা বৃদ্ধ রামসদয় মিত্রের সুন্দরী দ্বিতীয় স্ত্রী। রামসদয়ের প্রথম পক্ষের পুত্র শচীন্দ্রনাথ। রামসদয়ের সঙ্গে বিয়ের আগে অমরনাথ ছিল কিশোরী লবঙ্গলতার রূপমুগ্ধ। লবঙ্গলতার সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। হয়তো অমরনাথ সম্পর্কে লবঙ্গলতার হৃদয়ে সঞ্চারিত হয় অনুরাগের । কিন্তু অমরনাথ একরাতে লবঙ্গলতার ঘরে প্রবেশ করলে লোহার তপ্ত শলাকা দিয়ে তার পিঠে ‘চোর’ লিখে দেয়া হয়। অমরনাথের পরিবর্তে লবঙ্গলতার বিয়ে হয় রামসদয়ের সঙ্গে। রজনীর মাধ্যমে অনেকদিন পর আবার দেখা হয় দু-জনের। কিন্তু ইতিমধ্যে কিশোরী থেকে তরুণীতে উত্তীর্ণ লবঙ্গলতা অনেকটাই বদলে গেছে। তার চরিত্রে পূর্বের ঝাঁজ নেই, প্রাখৰ্য্য নেই। প্রকাশ্যে সে অমরনাথের প্রেমকে অগ্রাহ্য করলেও অন্তর্লোকে ঠিকই তাকে স্থান দিয়েছে।

‘রজনী’ ১২৮১-৮২ বঙ্গাব্দের ‘বঙ্গদর্শনে’ প্রথম প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় এর দু-বছর পর ১২৮৪ (১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে) সনে। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় রজনীর প্রকাশিত হয়েছিল আরও দুটি সংস্করণ। উপন্যাসটির বিজ্ঞাপনে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন, লিটনের Last Days of Pompeii উপন্যাসের অন্ধ ফুলওয়ালী নিদিয়াকে অবলম্বন করে তিনি রজনী চরিত্রটি নির্মাণ করেছেন। আর চরিত্রের জবানিতে কাহিনী বর্ণনার রীতি | তিনি গ্রহণ করেছেন উইলকি কলিন্সের Woman in White নামক গ্রন্থ থেকে।
নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, চরিত্রচিত্রণ ও গঠনশৈলীর দিক থেকে বাংলা উপন্যাসে রজনীর অভিনবত্ব অনস্বীকার্য। এবং বাংলা সাহিত্যের একটি সফল উপন্যাস।

রজনী উপন্যাসের রজনী চরিত্র আলোচনা কর

প্রধান নাম ভূমিকায় রজনীই মুখ্য বিষয়। তারপরও কিছু কিছু চরিত্রে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন ‘সাহিত্য সম্রাট’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তন্মধ্যে লবঙ্গলতা, অমরনাথ অন্যতম। এছাড়াও, রামসদয় মিত্র, শচীন্দ্রনাথ, গোপাল বসু, চাঁপা, হীরালাল, রাজচন্দ্র দাস প্রমূখ উল্লেখযোগ্য চরিত্র।

রজনী উপন্যাসের রজনীর চরিত্র বিশ্লেষণ করো

উত্তরঃ জন্ম ও পেশা কোলকাতা শহরে রজনী নামের এক হতদরিদ্র ও জন্মান্ধ অবিবাহিতা কায়স্থের কন্যা প্রতিদিন রামসদয় মিত্রের বাড়ীতে ফুল বিক্রী করতো।

শচীন্দ্রের প্রতি অনুরাগঃ রামসদয়ের ২য় পক্ষের স্ত্রী লবঙ্গলতা তাকে খুবই স্নেহ করতেন। কোন একদিন রামসদয়ের ১ম পক্ষের পুত্র শচীন্দ্রনাথ রজনী’র চক্ষু পরীক্ষা করে। শচীন্দ্রের হাতের স্পর্শে ও কথা শুনে মুগ্ধ হয় রজনী। লবঙ্গ নিজ কর্মচারীর পুত্র গোপাল বসু’র সাথে রজনীর সম্বন্ধ স্থির করেন ও বিয়ের যাবতীয় ব্যয়বহন করতে রাজী হন। গোপালের স্ত্রী চাঁপা এতে বাঁধা দেয়। এছাড়াও, শচীন্দ্রের প্রতি অনুরাগবশতঃ রজনীও বিয়েতে অসম্মত হয়।

পলায়নঃ গোপন পরামর্শ করে চাঁপা’র ভাই হীরালালের সাথে রজনী পালিয়ে যায়। নৌকায় হীরালাল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে রজনী রাজী না হলে একটি জনহীন চরে হীরালাল তাকে নামিয়ে দেয় ও নৌকা নিয়ে চলে ‍যায়। অসহায় অবস্থায় অন্ধ যুবতী রজনী জীবনের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়। এক ইতর নৌকারোহী তাকে উদ্ধার করে ও কিছুদূরে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের চেষ্টা চালায়। এমনি চরম মুহুর্তে অমরনাথ নামের এক যুবক এসে রজনীকে রক্ষা করে।

রজনী উপন্যাসের লবঙ্গলতা চরিত্র

উত্তরঃ লবঙ্গলতার প্রভাবঃ বিষয়-সম্পত্তি হাতছাড়া হবে ভেবে রমসদয় লবঙ্গলতার সাথে পরামর্শ করে রজনীর সাথে শচীন্দ্রের বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শচীন্দ্র তার প্রতি আকৃষ্ট না থাকায় লবঙ্গ এক সন্ন্যাসীর সাহায্য নেন। এতে শচীন্দ্র রজনীর প্রতি অনুরক্ত, আসক্ত হলেও জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত হয় এবং সবসময় রজনীকে দেখতে চাইলেন। লবঙ্গ দেখলেন রজনীকে কাছে না পেলে শচীন্দ্র মারা যাবে। শচীন্দ্র লবঙ্গের নিজ সন্তান না হলেও তাকে নিজের সন্তান তুল্য স্নেহ করতেন। তিনি রজনীর সাথে বিয়ের জন্য উঠে-পড়ে লাগলেন। কিন্তু রজনী সংস্কারবশতঃ অমরনাথকে ভিন্ন অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। এর বিনিময়ে সে নিজের সম্পত্তি ছেড়ে দিতে চাইল।

রজনী উপন্যাসের অমরনাথ চরিত্র আলোচনা কর

উত্তরঃ অমরনাথের আগমনঃ অমরনাথ কাশীতে জনৈক ব্যক্তির কাছে এক অন্ধ রমণীর জীবন-বৃত্তান্ত এবং সম্পত্তি গ্রাস করে অন্যে ভোগ করছে শুনে ঐ রমণীকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে আগমন করেন। রজনীকে উদ্ধার করে জানতে পারেন সে-ই ঐ রমণী। পরে অনুসন্ধান করে আরো জানতে পারেন, রামসদয় মিত্রই রজনীর সম্পত্তি ভোগ করছেন। রামসদয়ের পিতা বাঞ্ছারাম একদিন কোন কারণে ছেলের উপর ভীষণ ক্রুদ্ধ হন ফলে মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার সমস্ত সম্পত্তি রজনীকে দান করে যান। অমরনাথ রজনীকে নিয়ে তার মেসো রাজচন্দ্র দাসের কাছে নিয়ে যান। বিষয়-সম্পত্তি উদ্ধারের পর অমরনাথ রজনীকে বিয়ে করবেন এবং রজনীও তাতে সম্মত হলেন। শচীন্দ্রনাথও সমস্ত জেনে বিষয়-সম্পত্তি ছেড়ে দিতে রাজী হলেন।

অমরনাথের সন্ন্যাসব্রতঃ অমরনাথও রজনীকেই চান, বিষয়-সম্পত্তি নয়। লবঙ্গলতা অমরনাথকে ডেকে ভয় দেখান। এতে বিফল হলে তিনি সকাতরে অনুরোধ করেন রজনী’র জীবন থেকে চলে যেতে। মহাপ্রাণ অমরনাথ তার সমস্ত বিষয়-সম্পত্তি রজনী ও শচীন্দ্রকে দিয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে দেশান্তরী হলেন।

এবং রজনী’র অন্ধত্ব দূর ও বিয়েঃ এরপর রজনীর সাথে শচীন্দ্রের বিয়ের হলো। পরে সন্ন্যাসীর ঔষধের প্রভ‍াবে অন্ধ রজনী আপন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল ও স্বামী সহযোগে সুখে-শান্তিতে সংসার ধর্ম পালন করতে লাগল।

রজনী উপন্যাসের ছোট প্রশ্ন উত্তর

রজনী উপন্যাসটির লেখক কে?

উত্তর : রজনী উপন্যাসটির লেখক শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

বঙ্কিমচন্দ্রের রজনী উপন্যাসটি কত সালে কোথায় প্রকাশিত হয়েছিলো?

উত্তর : ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হয়েছিলো, বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।

সাহিত্যে আত্মকথনরীতির প্রচলন প্রথম কোন গ্রন্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর : উইকি কলিন্স কৃত ‘Women in White ‘ নামক গ্রন্থ প্রণয়নে ইহা প্রথম ব্যবহৃত হয়।

রজনী কে ছিলেন?

উত্তর : রজনী ছিলেন শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রজনী’ উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন জন্মান্ধ রমনী।

রজনীর পিতার নাম কী?

উত্তর : জন্মান্ধরজনীর পিতার নাম হরেকৃষ্ণ দাস।

কলকাতায় রজনীরা কোথায় থাকতেন?

উত্তর : মুজাপুরে একখানি সামান্য খাপরেলের ঘরে বাস করতেন।

অমরনাথের নিবাস বা বাড়ি কোথায় ছিল?

উত্তর : অমরনাথের আদি নিবাস শান্তিপুর।

লবঙ্গলতার বাপের বাড়ি কোথায় ছিল?

উত্তর : লবঙ্গলতার বাপের বাড়ি ছিল কালিকাপুর গ্রামে।

অমরনাথ রজনীর জন্মবৃত্তান্ত কার কাছে শুনতে পান?

উত্তর : কাশীধামে গোবিন্দচন্দ্র নামে এক সচ্চরিত্র সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির কাছে।

রজনী উপন্যাসের রজনী চরিত্রটি কোন বিদেশি গল্পের অবলম্বনে রচিত?

উত্তর : ১৮৩৪ সালে লর্ড লিটন ‘The Last Days of Pompeii’ নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন। যেখানে অন্যান্য অনেক চরিত্রের মধ্যে একটি চরিত্র ছিল অন্ধ ফুলওয়ালী নিদিয়ার চরিত্র। বঙ্কিমচন্দ্র রজনীর চরিত্রাঙ্কনে এই নিদিয়ার চরিত্র দ্বারা অনেকাংশে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

‘আমি মালাই গাঁথিতাম’ কে মালা গাঁথতো?

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্রে লেখা ‘রজনী’ উপন্যাসের নাম চরিত্র রজনীর মালা গাঁথার কথা বলা হয়েছে।

‘কাঁদিস না— তুই আমার বর’ আলোচ্য অংশটি কোন উপন্যাসের অংশ? এখানে বর বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : আলোচ্য অংশটি বঙ্কিমচন্দ্রের রজনী উপন্যাসের অংশ। এখানে প্রতিবেশী কালীচরণ বসুর চারি বৎসরের শিশুপুত্র বামাচরণকে রজনী তার বর বলে উল্লেখ করেছে।

‘আমার এই দুই বিবাহ’ – কার দুই বিবাহ? সে কাদেরকে বিবাহ করেছে?

উত্তর : এই বিবাহ রজনীর। সে একবার মনে মনে মনুমেন্টকে বিবাহ করেছে এবং আরেকবার শিশু বামাচরণের আবদার মেটাতে তাকে বর হিসাবে স্বীকার করেছে।

“বড়বাড়ীতে ফুল যোগান বড় দায় – আলোচ্য উক্তিটির বক্তা কে? বড়বাড়ী বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : উক্তিটির বক্তা রজনী। বড়বাড়ী বলতে বড়লোক রামসদয় মিত্রের বাড়ীর কথা বলা হয়েছে।

লবঙ্গলতাকে আদর করে তার স্বামী কি বলে ডাকতো?

উত্তর : “ললিত-লবঙ্গলতা-পরিশীলন-কোমল-মলয়-সমীরে” বলে ডাকতো।

“তোমার হাতে কিসের লাঠি?” – উক্তিটি কার? কার হাতে কিসের লাঠি ছিল?

উত্তর : উক্তিটি রজনীর। হীরালালের হাতে তালের লাঠি ছিল।

“আমার বিবাহ দিও না – আমি আইবুড়ো থাকিব।” বলা হয়েছে? সে কি সত্যিই আইবুড়ো ছিল? – কার বিবাহের কথা

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্রের রজনী উপন্যাসের রজনীর বিবাহের কথা বলা হয়েছে। সে আইবুড়ো ছিল না। তার সাথে শচীন্দ্রর বিবাহ হয়েছিল।

“খুন হইয়াছে, খুন হইয়াছে” বলিয়া মাঝিরা নৌকা খুলিয়া দিল। —গল্পের বা উপন্যাসের অংশ? কে খুন হইয়াছে?

উত্তর : আলোচ্য উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রজনী উপন্যাসের অংশ। এখানে রজনীর ছুড়ে দেওয়া লাঠির আঘাতে হীরালাল আহত হয়েছিল, খুন হয়নি।

“এ জীবন রাখিয়া কি হইবে? মরিব।” -কে মরিতে চায়? সে কি সত্যিই মারা গিয়েছিল?

উত্তর : রজনী মরিতে চায়। সে গঙ্গায় ডুবে মরার জন্য জলে ডুবে বেহুঁশ হয়ে গেলে গহনার লোভে নৌকার লোকজন তাকে ধরে নৌকায় তুলে বাঁচিয়ে রাখে।

রজনীর ছোটবেলায় তাকে কে গহনা দিয়েছিল?

উত্তর : রজনীর ছোটবেলায় তার অন্নপ্রাশনে কাকা মনোহর দাস রজনীকে সোনার গহনা উপহার দিয়েছিল।

“স্বপ্ন দেখিলাম বটে। কলকল গঙ্গপ্রবাহ মধ্যে সৈকতভূমি; তাহার প্রান্তভাগে অর্ধজলমগ্না কে ?সে কি স্বপ্ন দেখল? সে স্বপ্নে কি দেখল?

উত্তর : শচীন্দ্র সন্ন্যাসীর দেওয়া তুকতাকের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়ে কানা ফুলওয়ালী রজনীকে স্বপ্নে দেখল।

“রজনী! কায়েতের কুলে তুমিই ধন্য!” – কে একথা বলল? সে কেন একথা বলল?

উত্তর : রজনী উপন্যাসে লবঙ্গলতা রজনীকে একথা বলল। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি রজনী লেখাপড়া করে লবঙ্গলতার পরিবার অর্থাৎ রামসদয় মিত্রকে দিয়ে দিতে চাইছে, সে কারণেই লবঙ্গলতা একথা বলল।

“তুমি কুপাত্র। আমি সুপাত্র জোটাইয়া দিব।” দিল? আর সুপাত্রটি কে? কে কুপাত্র বলে গালি

উত্তর : লবঙ্গলতা অমরনাথকে কুপাত্র বলে গালি দিল। এখানে সুপাত্র বলতে রামসদয় মিত্রের পুত্র শচীন্দ্রর কথা বলা হয়েছে।

“ছোট বাবু টাকা দিয়া হরনাথ বসুকে রাজি করিয়াছেন” — ছোট বাবু কে? হরনাথ বসুকে কি বিষয়ে রাজি করেছেন?

উত্তর : ছোটবাবু বলতে রামসদয় মিত্রের পুত্র শচীন্দ্রর কথা বলা হয়েছে। সে হরনাথ বসুকে টাকা দিয়ে তার ছেলে গোপালকে অন্ধ রজনীকে বিবাহ করার জন্য রাজি করিয়েছেন।

“মনে মনে তাহাকে শতবার পোড়ারমুখী বলিয়া গালি দিলাম কে গালি দিল?

উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র রচিত রজনী উপন্যাসের রজনী লবঙ্গলতাকে পোড়ারমুখী বলে মনে মনে গালাগাল দিল।

আঃ মলো। বের বলিতেছি। নহিলে খো মারিয়া বিদায় করিব।’ -কে কাকে বিদায় করবে?

উত্তর : লবঙ্গলতা রজনীর বিয়ের আপত্তি দেখে তাকে খো মেরে বিদায় করার কথা বললেন।

‘এত বড় পন্ডিত জামাই হাতছাড়া হয় ভাবিয়া শেষে একটু দুঃখিত হলেন।’ – পণ্ডিত জামাইটি কে?

উত্তর : পন্ডিত জামাইটি হলো গোপালের স্ত্রী চাঁপার ভাই হীরালাল। মুর্খ হীরালাল লেখাপড়া জানে না। কোনরকমে বহুকষ্টে সই করতে পারে। কিন্তু তার বক্তৃতা শুনলে মনে হয় যে সে একজন বিরাট বড় পন্ডিত।

ইহজন্মে অন্ধ ফুলওয়ালীর আর কেহ স্বামী হইবে না।” – উক্তিটি কার? তার স্বামী কে হয়েছিলো?

উত্তর : উক্তিটি রজনী উপন্যাসের নায়িকা রজনীর। কাহিনীর শেষে তার স্বামী হয়েছিলো শচীন্দ্র।

রজনী উপন্যাসের রজনী কেন গৃহত্যাগ করেছিল

উত্তরঃ গোপন পরামর্শ করে চাঁপা’র ভাই হীরালালের সাথে রজনী পালিয়ে যায়। 

রজনী উপন্যাসের কয়টি খন্ড

রজনী সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস। ১৮৭৫ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়। বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭৭ সালে। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাসের মতে, “রজনী বাংলা ভাষায় প্রথম মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণমূলক উপন্যাস।” বঙ্কিমচন্দ্রের জীবদ্দশায় এই উপন্যাসের তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। তৃতীয় সংস্করণটি (শেষ সংস্করণ, যেটি উপন্যাসের অধুনা-প্রচলিত পাঠ) প্রকাশিত হয় ১৮৮৭ সালে। ১৮৯৬ সালে রজনী উপন্যাসের গুজরাটি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। ১৯২৮ সালে উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

রজনী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

রজনী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ, রজনী উপন্যাসের Pdf

বাংলা ভাষায় বাংলা সাহিত্য পরিচয় ক্লাস ৮ম (আট)

বাংলা ভাষায় বাংলা সাহিত্য পরিচয় ক্লাস ৮ম (আট)

রজনী উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

রজনীর ছোটবেলায় তাকে কে গহনা দিয়েছিল?
উত্তর : রজনীর ছোটবেলায় তার অন্নপ্রাশনে কাকা মনোহর দাস রজনীকে সোনার গহনা উপহার দিয়েছিল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

1 Comment

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রজনী উপন্যাসে রজনী প্রেমে অশঙ্কিনী সম্পর্কে লেখো।
    দয়া করে যদি এটার উত্তর জানান তাহলে আমি খুবই উপকৃত হবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।