ROM এর প্রকারভেদ ব্যাখ্যা কর।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ROM এর প্রকারভেদ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:

রিড-ওনলি মেমরি (ROM):

(i) শুধুমাত্র পঠনযোগ্য মেমরি বলতে উৎপাদনের সময় প্রাক-রেকর্ড করা ডেটা সহ একটি কম্পিউটারে বিশেষ মেমরিকে বোঝায় যা পরিবর্তন করা যায় না।

সংরক্ষিত প্রোগ্রামগুলি যেগুলি কম্পিউটার শুরু করে এবং ডায়াগনস্টিকগুলি সম্পাদন করে সেগুলি রমগুলিতে উপলব্ধ।

(ii) রম কম্পিউটার বুট করে এমন প্রোগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করে। একবার রম চিপে ডেটা লেখা হয়ে গেলে, এটি পরিবর্তন বা সরানো যাবে না এবং শুধুমাত্র পড়া যাবে।

(iii) কম্পিউটার বন্ধ থাকা অবস্থায়ও ROM এর বিষয়বস্তু ধরে রাখে। সুতরাং, রমকে একটি অ-উদ্বায়ী মেমরি বলা হয়।

প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরি (PROM):

(i) প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরিও একটি অ-উদ্বায়ী মেমরি যার উপর শুধুমাত্র একবার ডেটা লেখা যায়। একবার একটি প্রোগ্রাম একটি PROM এ লেখা হয়ে গেলে, এটি চিরতরে সেখানে থাকে।

(ii) প্রধান মেমরির বিপরীতে, কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও PROM তাদের বিষয়বস্তু ধরে রাখে।

(iii) PROM একটি ফাঁকা মেমরি হিসাবে তৈরি করা হয়, যেখানে একটি রম উত্পাদন প্রক্রিয়ার সময়ই প্রোগ্রাম করা হয়। PROM প্রোগ্রামার বা একটি PROM বার্নার একটি PROM চিপে ডেটা লিখতে ব্যবহৃত হয়। একটি PROM প্রোগ্রাম করার প্রক্রিয়াটিকে PROM বার্ন করা বলে।

ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরি (EPROM)

(i) ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরি হল একটি বিশেষ ধরনের মেমরি যা একটি PROM হিসাবে কাজ করে। অতিবেগুনী রশ্মি ব্যবহার করে বিষয়বস্তু মুছে ফেলা যেতে পারে।

(ii) একটি EPROM একটি PROM থেকে আলাদা। PROM শুধুমাত্র একবার লেখা যাবে এবং মুছে ফেলা যাবে না।

(iii) ব্যক্তিগত কম্পিউটারে EPROM গুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ তারা প্রস্তুতকারককে PROM-এর বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে আপডেট সংস্করণের সাথে প্রতিস্থাপন করতে বা কম্পিউটার বিতরণের আগে বিষয়বস্তু মুছে ফেলতে সক্ষম করে।

বৈদ্যুতিকভাবে ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরি (EEPROM)

(i) বৈদ্যুতিকভাবে ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রিড-অনলি মেমরিকে বৈদ্যুতিক চার্জে উন্মুক্ত করে মুছে ফেলা যেতে পারে।

(ii) অন্যান্য ধরনের PROM এর মত, EEPROM এর বিষয়বস্তু ধরে রাখে এমনকি পাওয়ার বন্ধ থাকলেও। অন্য সব ধরনের রমের সাথে তুলনা করে, EEPROM কর্মক্ষমতা ধীর

পাঠ্যক্রম কাকে বলে, পাঠ্যক্রম বলতে কি বোঝায়

পাঠক্রম শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ “শিক্ষার্থীকে শিক্ষার লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার পথ বা মাধ্যম”।

পাঠক্রম বলতে বোঝায়- শিক্ষার্থীদের সমস্ত রকমের অভিজ্ঞতা যা দ্বারা শ্রেণীকক্ষে, কর্মশালায়, খেলার মাঠে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে লাভ করে। এই অর্থে বিদ্যালয়ের সমগ্র জীবনই পাঠক্রম যা শিক্ষার্থী জীবনে সমস্ত ক্ষেত্রেই স্পর্শ করে এবং সুসংহত ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে।

পাঠক্রমের বৈশিষ্ট্য বা আধুনিক পাঠক্রমের বৈশিষ্ট্য | Characteristics of Curriculum

শিক্ষা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে পরিবর্তিত হচ্ছে শিক্ষার গুরুপ্তপূর্ণ উপাদান পাঠক্রম। পাঠক্রম সংক্রান্ত আধুনিক ধারণা বিশ্লেষণ করলে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

(১) লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ভর : পাঠক্রমের মূল কাঠমো শিক্ষার মূল লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই পাঠক্রমে বিষয়বস্তু, পরিবেশ ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় সাধন করা হয়।

(২) শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশে সহায়ক : শিক্ষার লক্ষ্য শিক্ষার্থীর বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গেসঙ্গে দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, বৃত্তিমূলক বিকাশ; এককথায় সর্বাঙ্গীন বিকাশ। তাই শিক্ষার্থীর সমস্ত দিকের বিকাশের উপযোগী বিভিন্ন অভিজ্ঞতাই আধুনিক পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত।

(৩) পরিবর্তনশীলতা : পাঠক্রম একটি প্রবহমান ও গতিশীল প্রক্রিয়া। আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন,

আর্থসামাজিক অবস্থা ও পরিবেশ, জনসংখ্যার বৃদ্ধি, উন্নয়নের পরিবর্তনশীল গতি ও প্রেক্ষাপটে শিক্ষার লক্ষ্যের নিরন্তর বিবর্তন ঘটছে। তাই পরিবর্তনশীল জগতে ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনের সহায়ক বিষয়বস্তু ও অভিজ্ঞতা নিরন্তর সংযোজিত হচ্ছে।

(৪) তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক : পাঠক্রমের মাধ্যমেই শিক্ষা নামক জীবন প্রক্রিয়াকে সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত পথে পরিচালিত করা হয়। এর একটি তাত্ত্বিক দিক আছে, তেমনি ব্যবহারিক উপযোগিতাও লক্ষ্য করার মতো।

(৫) বিষয়গুলি পরিপুরক : পাঠক্রমের বিষয়বস্তুগুলি একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও পরিপূরক।

(৬) শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ও বাইরে বিস্তৃত : শিক্ষার্থীর জ্ঞানমূলক বিকাশের উপযোগী বিষয়বস্তুগুলির আলোচনা শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সম্ভব হলেও, দৈহিক ও মানসিক বিকাশের উপযোগী জ্ঞান শ্রেণিকক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন, আধুনিক বিকাশমুখী পাঠক্রমের দুটি অংশ—

(১) শ্রেণিকক্ষের পঠন-পাঠনের কাজ, (২) শ্রেণিকক্ষ বহির্ভূত কাজ।

(৭) আদর্শগত ও বাস্তবসম্মত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত : পাঠক্রমের ভিত্তি হল তার আদর্শগত ও বাস্তবগত দিক। কারণ কেবল আদর্শের দিকে লক্ষ রেখে পাঠক্রম সংগঠিত করলে শিক্ষার্থীকে হয়তো সামাজিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা যাবে, কিন্তু বাস্তব জ্ঞানের অভাবে সে জীবনসংগ্রামে পিছিয়ে পড়বে। তাই আদর্শ ও বাস্তব দুটি দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

(৮) তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক দিকসম্পন্ন: আধুনিক পাঠক্রমে দুটি দিক দেখা যায়—তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক। শিক্ষার্থীকে সুপরিকল্পিত পথে পরিচালনার জন্য পাঠক্রমের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় দিকই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

(৯) চাহিদা ও সামর্থ্যভিত্তিক : পাঠক্রম প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, চাহিদা ও সামর্থ্যের ওপর যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তেমনই চাহিদা ও সামর্থ্যের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিভিন্নতা রয়েছে, তার প্রতিও লক্ষ রাখা হয়ে থাকে।

ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আধুনিক পাঠক্রম হল অভিজ্ঞতানির্ভর, পরিবর্তনশীল জীবনকেন্দ্রিক, কর্মভিত্তিক, চাহিদাভিত্তিক ও উদ্দেশ্যমুখী।

পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির মধ্যে পার্থক্য

পাঠ্যক্রমপাঠ্যসূচি
শিক্ষাক্রম একটি ব্যাপক ধারণা।অন্যদিকে, পাঠ্যসূচি শিক্ষাক্রমের একটি অংশমাত্র।
শিক্ষাক্রম হল একটি শিক্ষাস্তরের সকল শিক্ষণীয় বিষয়ের (জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা, মূল্যবোধ ইত্যাদি) ও কর্মকান্ডের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। অন্যদিকে, পাঠ্যসূচি হল একটি পাঠ্যবিষয়ে কী কী বিষয়বস্তু শেখানো হবে তার তালিকা।
শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য শিক্ষার্থীর সামগ্রিক জীবনের বিকাশ সাধন। অন্যদিকে, পাঠ্যসূচি শিক্ষার্থীর একটি বিশেষ দিকের বিকাশ সাধন।
শিক্ষাক্রম একটি স্তরের জন্য প্রণীত হতে পারে।অন্যদিকে, পাঠ্যসূচি একটি স্তরের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে প্রণয়ন করতে হয়।
সামগ্রিক বিচারে শিক্ষাক্রম একটি বৃক্ষপাঠ্যসূচি ঐ বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা।
পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির মধ্যে পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

পাঠ্যক্রমের সংজ্ঞা

পাঠক্রম বলতে শিক্ষার্থীদের সমস্ত রকমের অভিজ্ঞতাকে বােঝায় যা তারা শ্রেণিকক্ষে, কর্মশালায়, খেলার মাঠে এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যােগাযােগের মাধ্যমে লাভ করে। এই অর্থে সমগ্র বিদ্যালয়জীবনই পাঠক্রম যা শিক্ষার্থীর জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রকেই স্পর্শ করে এবং তার সুসংহত ব্যক্তিত্ব গড়ে তােলে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।