বিষয় জীবন বিজ্ঞান

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

বিষয় জীবন বিজ্ঞান | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক জীবন বিজ্ঞান দশম শ্রেণী

সরীসৃপের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উত্তরঃ সরীসৃপের বৈশিষ্ট্যঃ

  • (ক) শুষ্ক আঁশযুক্ত, অভেদ্য ত্বক।
  • (b) ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বসন।
  • (ঙ) ঠান্ডা রক্তযুক্ত
  • (d) অভ্যন্তরীণ নিষিক্তকরণ।
  • (ঙ) হৃৎপিণ্ড তিন প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
  • (f) দুই জোড়া পেন্টাডাক্টিল অঙ্গ রয়েছে।

জীবের শ্রেণীবিভাগের ভিত্তি কি?

উত্তরঃ শ্রেণীবিভাগের ভিত্তি হলঃ

  • (a) নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি।
  • (b) জীবগুলি এককোষী বা বহুকোষী।
  • (গ) সংগঠনের স্তর।
  • (d) পুষ্টির অটোট্রফিক মোড বা পুষ্টির হেটেরোট্রফিক মোড।
  • (ঙ) জীবের মধ্যে যেগুলি সালোকসংশ্লেষণ করে (উদ্ভিদ), তাদের স্তর বা শরীরের সংগঠন।
  • (f) প্রাণীদের মধ্যে, কীভাবে ব্যক্তিদেহ তার বিভিন্ন অংশের বিকাশ ও সংগঠিত করে।

মাছের গমনে মায়ােটম পেশির ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।

উত্তর: গমনে মায়ােটোম পেশির ভূমিকা:- মাছের নমনীয় মেরুদণ্ডের দু-পাশে লেজের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অক্ষ বরাবর অসংখ্য ‘y’আকৃতির মায়ােটোম পেশি বিস্তৃত থাকে। এই মায়ােটোম পেশিগুলির সংকোচন মাছের দেহের অগ্রপ্রান্ত থেকে পশ্চাদপ্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার ফলে মেরুদণ্ড দু-পাশে পর্যায়ক্রমে আন্দোলিত হয় এবং মাছ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পেশি যেদিকে সংকুচিত হয় মেরুদণ্ড সেদিকে বেঁকে যায়। ওই সময় বিপরীত দিকের পেশি প্রসারিত থাকে। মায়ােমে পেশিগুলির পর্যায়ক্রমে সংকোচন ও প্রসারণের জন্য মেরুদণ্ডটিও পর্যায়ক্রমে দু-পাশে আন্দোলিত হতে থাকে, ফলে মাছ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

সাইন্যাপসের কাজ ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: সাইন্যাপস-এর মাধ্যমে এক নিউরােন থেকে অপর নিউরােনে স্নায়ুস্পন্দন প্রবাহিত হয়। স্নায়ু- উদ্দীপনা কোশদেহ থেকে অ্যাক্সনের মাধ্যমে প্রাকৃসন্নিধি শফীতিতে পৌছােলে অ্যাসিটাইল কোলিনপূর্ণ থলি উদ্দীপিত হয় এবং বিদীর্ণ হয়। ফলে অ্যাসিটাইল কোলিন মুক্ত হয়ে প্রাকসন্নিধি পর্দা ভেদ করে সন্নিধি প্রণালীতে আসে। সেখান থেকে উদ্দীপনা নিউরােট্রান্সমিটারের মাধ্যমে পরবর্তী নিউরােনে পৌছােয়। সাইন্যাপসের বিশেষ গঠনের জন্য এই অংশে স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রবাহের অভিমুখ সর্বদাই একমুখী হয়। এই কারণে সাইন্যাপসকে বলা হয় শারীরবৃত্তীয় ভালভ।

“কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিমার্জন ঘটে” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: কাছের বস্তু দেখার ক্ষেত্রে সিলিয়ারি পেশির সংকোচন চোখের লেন্সের বক্রতা বৃদ্ধি পায়, লেন্স পুরু হয় এবং লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।

মায়ােপিয়ার কারণ ও প্রয়ােজনীয় সংশােধনী ব্যবস্থা আলােচনা করাে।

উত্তর: যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে, তাকে মায়ােপিয়া বা নিকটদৃষ্টি বলে। চক্ষুগােলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ধিত হওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে, ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না।

ত্রূটি সংশােধন, অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে ত্রূটি দূর হয়।

“নানা কারণে জীবের গমন ঘটে” – কারণগুলি আলােচনা করাে।

উত্তর: কয়েকটি উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রাণীরা গমন করে:-

  • (i)খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে।
  • (ii)আত্মরক্ষার তাগিদে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করে।
  • (iii) উপযুক্ত বাসস্থান এর জন্য স্থানান্তরে গমন করে।
  • (iv) প্রজনন পক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ও স্থানান্তরে গমন করে।

হরমােন ও স্নায়ুতন্ত্রের দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।

হরমােন স্নায়ু তন্ত্র
1.হরমােন জীবদেহে রাসয়নিক সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে1.স্নায়ু তন্ত্র প্রাণীদেহে ভৌত সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে
2.হরমােন কাজ মন্থর কিন্তু সুদূর প্রসারী2. স্নায়ুতন্ত্রের কাজ দ্রুত কিন্তু তাৎক্ষণিক
3.হরমােন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়3.ক্রিয়ার পর স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত পরিবর্তন হয় না
4.হরমােন প্রধানত উৎসল থেকে দূরে ক্রিয়া4.স্নায়ুতন্ত্র কখনাে স্থানচ্যুত হয় না
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মানবদেহে টেস্টোস্টেরন হরমােনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।

উত্তরঃ  মানব দেহে টেস্টোস্টেরন হমানের ভূমিকা: 

  • (ক) পুরুষের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন: টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গের এবং আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। 
  • (খ) মৌল বিপাকীয় হার: টেস্টোস্টেরন দেহে মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রােটিন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে।

জিব্বেরেলিন হরমোনের উৎস উল্লেখ করো।

উত্তরঃ  জিব্বরেলিন হরমোন সাধারণত উদ্ভিদের অঙ্কুরিত বীজ পরিনত ও পরিপক্ক বীজে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় এছাড়াও অঙ্কুরিত চারাগাছ, মুকুল, বীজপত্রের কোশ, পাতার বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে এই হরমোন পাওয়া যায়।

উদাহরণের সাহায্যে হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আলোচনা করো। “ইনসুলিন আর গ্লুকাগনের ক্রিয়া পরস্পরের বিপরীতধর্মী” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যখন কোনো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ পদার্থ অপর কোনো অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিকে হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে, তখন তাকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ বলা হয় ।

এই ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ দুই প্রকার যথা :

  • (ক) পজিটিভ বা ধনাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ : উদাহরণ – রক্তে ইস্ট্রোজেন এর মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে LH -এর ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় ।
  • (খ) নেগেটিভ বা ঋণাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ : উদাহরণ – রক্তে ইস্ট্রোজেন এর মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে FSH -এর ক্ষরণ হ্রাস পায়।

ইনসুলিন আর গ্লুকাগনের ক্রিয়া পরস্পর বিপরীতধর্মী কারণ : ইনসুলিন রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে। অপরপক্ষে গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। এই কারনে ইনসুলিন আর গ্লুকাগনকে বিপরীতধর্মী হরমোন বলা হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

লক্ষ্য চূড়ান্ত অনুশীলন সেট M.P.2023 [ ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, গণিত ]

লক্ষ্য চূড়ান্ত অনুশীলন সেট M.P.2023 [ ভৌত বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, গণিত ]








আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।