মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

শরীর শিক্ষা কাকে বলে

শিক্ষা অর্জনের জন্য কোনো সময় নির্ধারিত নেই। মানব জীবনে শিক্ষার ক্ষেত্র বিশাল এবং ব্যাপক। সুতরাং বলা যায় শিক্ষা জীবনব্যাপী একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষা শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষা অর্জিত হয় বাড়িতে, পরিবারে সমাজে, বহিরাঙ্গন তথা খেলার মাঠে এবং সর্বত্র।

প্রাচীনকালে শারীরিক শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র দৈহিক বা শারীরিক উন্নতিকেই বোঝানো হতো। এ ধারণা সঠিক ছিল না। দৈহিক বা শারীরিক উন্নতিকে শারীরিক শিক্ষা নয়, শরীরচর্চা বলে।

মন ছাড়া শরীর এককভাবে কোনো কাজ করতে পারে না। অতএব, যে শিক্ষা দেহ ও মনের যুগপৎ পরিবর্তন সাধন করে সে শিক্ষাকেই শারীরিক শিক্ষা বলে।

শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক হচ্ছে খেলাধুলা। শারীরিক শিক্ষা সাধারণ শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। বস্তুত, মানুষ শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য অর্জন, সুন্দর মন ও পরিমিত আবেগ লাভ এবং সামাজিক কর্তব্য সচেতন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে।

শারীরিক শিক্ষার সংজ্ঞা

  • সি.এ বুচার (C.A. Bucher) বলেছেন- ‘শারীরিক শিক্ষা হলো শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ, শারীরিক শিক্ষা সুনির্বাচিত শারীরিক কাজকর্মের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক, আবেগিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা।
  • ডি.কে. ম্যাথস (D.K. Mathews ) বলেছেন- ‘শারীরিক কার্যকলাপের দ্বারা অর্জিত শিক্ষাই শারীরিক শিক্ষা। বেসিক ও সিডেল (Resick and Seidel) বলেছেন- শারীরিক শিক্ষা হলো মানব গতিকার্যের বিজ্ঞান ও কলা।
  • জে.বি ন্যাশ (J. B. Nash) এর ভাষায়- ‘শারীরিক শিক্ষা গোটা শিক্ষার এমন এক দিক যা মাংসপেশির সঠিক সঞ্চালন ও এর প্রতিক্রিয়ার ফল হিসেবে ব্যক্তির দেহের ও স্বভাবের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করে।”

শরীর শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি লেখ

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতামত থেকে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। বিভিন্ন চিন্তাবিদদের মতামত বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা

  • ১. শারীরিক সুস্থতা অর্জন।
  • ২. মানসিক বিকাশ সাধন।
  • ৩. চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন।
  • ৪. সামাজিক গুণাবলি অর্জন।

শারীরিক সুস্থতা অর্জন :-

  • সুস্বাস্থ্য গঠনে আগ্রহী করে তোলা।
  • স্নায়ু ও মাংসপেশির সমন্বয় সাধনমূলক কর্মকান্ড দ্বারা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
  • দেহ ও মনের সুষম উন্নতি সাধন করা।
  • কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মাধ্যমে কাঙ্খিত ফল লাভ করা।
  • নিয়মকানুন মেনে ভালো করে খেলতে পারা।
  • শারীরিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা।
  • দক্ষতার সাথে অঙ্গ সঞ্চালন ও নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল রপ্ত করা।

মানসিক বিকাশ সাধন :-

  • পর্যবেক্ষণ ও বিচার ক্ষমতার উন্মেষ ঘটানো।
  • কল্পনা ও সৃজন শক্তির বিকাশ সাধন।
  • নীতি ও নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
  • সেবা ও আত্মত্যাগে উদ্ধুদ্ধ হওয়া।
  • বিভিন্ন দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করা।
  • সহিষ্ণুতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।

চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন :-

  • শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত করা।
  • আনুগত্যবোধ ও নৈতিকতা বৃদ্ধি পাওয়া।
  • খেলোয়াড়ি ও বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব গড়ে ওঠা।
  • জাতিয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রতি মমত্ববোধ জাগানো।
  • খেলাধুলার মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
  • আত্মসংযমী হওয়া ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা অর্জন করা।
  • প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব গড়ে ওঠা।

সামাজিক গুণাবলি অর্জন :-

  • খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্রাম ও আনন্দ উপভোগে উৎসাহিত করা।
  • নেতৃত্বদানের যোগ্যতা অর্জন করা।
  • সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও সেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা।
  • বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করা।
  • বিনোদনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবসর সময় কাটানোর উপায় জানা।

শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, শরীর শিক্ষার সুযোগ গুলি কি কি, শারীরিক শিক্ষার সুযোগ গুলি লেখ, শরীর শিক্ষার আধুনিক ধারণা সম্বন্ধে লেখ

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক বিকাশের উপর সমভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে।  শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করা হলো:

শারীরিক সুস্থতা রক্ষা ও দেহের সুষম বৃদ্ধি

আমাদের দেহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, পাকস্থলী, যকৃত কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত, অগ্নাশয়

ইত্যাদি নিয়ে গঠিত। এছাড়াও রয়েছে হাড়, মাংসপেশি, শিরা ও ধমনী। মাংসপেশির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর নড়াচড়া ও গতি প্রদান করা। গতি হলো প্রাণের ভিত্তি। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দৈহিক তন্ত্রসমূহের সুস্থতা বৃদ্ধি ও কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। পেশিসমূহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

ফলে শিক্ষার্থীরা অধিকতর শক্তি, দম ও উৎসাহের সাথে প্রাত্যহিক সমস্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক বৃদ্ধির জন্য সুষম আহার, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন, বিশ্রাম ও নিদ্রা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করা যায়। শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমেই কেবলমাত্র তা সম্ভব হয়।

মানসিক উন্নতি

স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না। মন ভালো না থাকলে কোন কাজে আগ্রহ জন্মায় না। মানবদেহের সার্বিক উন্নতির জন্য শরীর ও মন উভয়ই যেমন ভালো থাকা দরকার, তেমনি উভয়ের সুষম উন্নতিও প্রয়োজন।

শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক জড়তা, অশান্তি, একাকীত্ব ও পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর হয়ে যায়; পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার মানসিকতা, আত্মসচেতনতা, আত্মনির্ভরতা এবং আত্মপোলব্ধি বাড়িয়ে তোলে।

আবেগ-অনুভূতির উন্নতি

শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক তথা খেলাধুলার ক্ষেত্রে জয় বা কৃতকার্যতা সকলের মনে তৃপ্তি, উদাম ও বিপুল আনন্দ এনে দেয়। কোনো কোনো সময় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। আবার পরাজয় বা ব্যর্থতা এনে দেয় হতাশা। কারণ, একজন শিক্ষার্থী জানে খেলাধুলায় জয় ও পরাজয় আছে। বিজয়ে অতি উল্লসিত হয়ে খেলোয়াড়রা দিশেহারা হয়ে যায় না। এমনিভাবে শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখে। পরবর্তীতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তার এই আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস কাজে লাগাতে পারে।

সামাজিক উন্নতি

শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার মাধমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সামাজিক গুণাবলি অর্জন করে থাকে। দলবদ্ধ হয়ে খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি পালনের সময় স্বীয় দলকে বিজয়ী করার জন্য সহযোগিতা, সমন্বয়, সহমর্মিতা, দলীয় একাত্মতা ও সদ্ভাব রক্ষা করে চলতে শেখে।

খেলাধুলার মাধ্যমে নেতৃত্বদানের ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। কারণ, খেলাধুলার সময় দলীয় নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীকালে সমাজ জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অন্যদের সাথে চলাফেরা, ওঠাবসা, আচার আচরণে এবং সামাজিক কোনো কর্মকান্ডে এই গুণগুলো প্রতিফলিত হয়। এছাড়াও শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মাঝে দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনাবোধ, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়।

নৈতিক উন্নতি

শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে শৃংঙ্খলা এবং বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থী মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে না। ন্যায় ও অন্যায় বিচার করে সে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়। শিক্ষক ও বড়দের কথা মেনে চলে। নিয়ম মেনে খেলতে গিয়ে বিপক্ষ দলের সাথে খারাপ আচরণ করার সুযোগ থাকে না। এ অভ্যাসের কারণে অপরাধ প্রবণতা থেকে সরে গিয়ে শিক্ষার্থী উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়।

অঙ্গ সঞ্চালন ও খেলাধুলার কলাকৌশল অর্জন :

শারীরিক শিক্ষার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানো এবং খেলাধুলার বিভিন্ন কলাকৌশল শেখানো হয়। খেলাধূলার পূর্বে ওয়ার্ম-আপ করা খুবই জরুরী। শরীরকে ব্যায়ামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত করার নাম ওয়ার্ম-আপ। এর ফলে অঙ্গ সঞ্চালনের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। খেলাধুলার কৌশল শেখার মাধ্যমে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটে

খেলার সময়কালীন সহযোগী ও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অবস্থানের দ্রুত পরিবর্তন হয়। প্রতিযোগিতায় কাঙ্খিত ফল লাভের জন্য প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত এই অভ্যাসের ফলে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকাশ লাভ করে।

অবসর ও চিত্তবিনোদন

শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকারের ব্যায়াম ও খেলাধুলা করে অফুরন্ত আনন্দ লাভ করে। ফলে তারা প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে অবসর সময়গুলোকে আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে।

খেলাধুলাবিহীন তরুণ সমাজ অবসর সময়ে বিভিন্নভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। একমাত্র আনন্দময় খেলাধুলাই পারে এ অবস্থা থেকে তরুণ সমাজ তথা জাতিকে মুক্ত করতে।

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ হলো অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ কারণে। এই ক্যাফেইন যদি আপনি শরীরে অতিরিক্ত সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এর ফলে শীরর কাঁপতে  শুরু করে। এটি দেখা দিতে পারে যদি শরীরে বাহিরে বেশি চা সেবন করেন বা অন্য কিছু সেবন করেন শরীরে খারাপ হবে এমন।  তাছাড়া এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার মধ্যে ক্যাফেইন থেকে থাকে। why is my body shaking for no reason এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত পেয়ে গেছেন। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে দেখতে হবে এর মধ্যে ক্যাফেইন আছে কি না।

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ মধ্যে আরেকটি শরীরের যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন না থাকা। দূর্বল শরীরের কারণে শরীর কাঁপতে শুরু করে। তাই নিয়মিত খাবার সেবন করে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। পরিমাণ মত ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং বেশি বেশি উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন সবজি খেতে হবে তাহলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারবে। আর সাভাবিক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য মাছ মাংস এর পাশাপাশি অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে বেশি বেশি করে।

শরীর ঝিমঝিম করার কারণ ও প্রতিকার, শরীর দুর্বল হলে করণীয়

  • শরীর ঝিমঝিম যে কারণে হয়: পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি অনেক কারণেই হতে পারে। এর অন্যতম কারণ হলো- ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, কিডনি রোগ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি।
  • শরীর ঝিমঝিম লক্ষণ : হাত-পা ঝিন ঝিন করা, হাত-পা অবশ হয়ে আসা, হাত-পায়ের অনুভূতি কমে যাওয়া, ব্যথা করা, হাত-পায়ের শক্তি কমে যাওয়া।
  • পরীক্ষা-নিরীক্ষা : পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি রোগ নির্ণয়ে রোগীর ইতিহাস শুনতে হবে এবং ভালো করে রোগীকে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নার্ভ কন্ডাকশন পরীক্ষা করা যেতে পারে।
  • শরীর ঝিমঝিম হলে চিকিৎসা: প্রথমেই লক্ষ্য করতে হবে রোগী এমন কোনো ওষুধ সেবন করছে কিনা, যে কারণে রোগীর পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হচ্ছে। যদি এই ধরনের কোনো ওষুধ রোগী সেবন করে থাকে, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং সম্ভব হলে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।
    • থাইয়য়েড হরমোন কম হলে তা ওষুধের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং মাঝে মধ্যে পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো লাগবে। ভিটামিনের অভাবে নিউরোপ্যাথি হলে তা পুষ্টিকর খাওয়া অথবা ওষুধের মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে। প্রিগাবালিন ও এমিট্রিপটাইলিন জাতীয় ওষুধ হাত-পা ঝিন ঝিন কমিয়ে দেয়।
    • পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির রোগীর এ ওষুধগুলো সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য খেতে হয়। ‘গুলেন-বারি সিন্ড্রোম’ নামে এক ধরনের পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি আছে, যেখানে রোগীর হঠাৎ করে চার-হাত-পা অবশ হয়ে যায়। এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাতে হবে।
    • হাত-পা ঝিন ঝিন করার অনুভূতি অস্বস্তিকর হলেও সঠিক কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসা প্রদান করা গেলে তা নিরাময়যোগ্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

শরীরের দুর্বলতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান:

  • ভিটামিন-সি: শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন-সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণে বেশি করে টকজাতীয় ফল যেমন— লেবু, কমলা, আঙুর খেতে হবে। এ ছাড়া কিউই, পালংশাক, লেটুসপাতা ও মরিচ বেশি খেতে পারেন। এগুলোও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার।
  • প্রোটিন: প্রোটিন যুক্ত খাবার শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অনেক কার্যকর। ডিম হচ্ছে— প্রোটিইনের একটি ভালো উৎস। এটি খেলে তা দেহের কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং এতে লুটেইন ও জিক্সানথিন (ক্যারোটিনয়েড) থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডাল ও মটরজাতীয় খাবারেও প্রোটিন থাকে।
  • আয়রন: দেহে আয়রন বা লৌহের পরিমাণ বজায় রাখতে সবুজ শাকসবজি, মটর, ডাল, টফু, শুকনো ফল ও ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এগুলো আয়রনের ভালো উৎস।
  • সেলেনিয়াম: সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এগুলো ক্লান্তিভাব, নিদ্রাহীনতা ও দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করে। এ ধরনের খাবারগুলো দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগ থেকে সুস্থ রাখতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সেলেনিয়াম যুক্ত করতে মটর, বাদাম ও ডিম খেতে পারেন।
  • প্রোবায়োটিক্স প্রাকৃতিকভাবেই শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে প্রোবায়োটিক্স সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এর জন্য দই খেতে পারেন। এতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এ ছাড়া নরম পনির, শুকনো ইস্ট, পাতাবহুল সবজি, ছানা এবং সবুজ সবজিতে প্রোবায়োটিক থাকে।
  • মধু: মধু শরীর ও মনের দুর্বলতা কাটাতে ও চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি খুব ভালো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, লৌহ, সিলিকন, ফসফরাস ও ভিটামিন। বিশেষ করে এটি ভিটামিন-বির খুব ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • আদা: এতে অনেক ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। সকালে পানির সঙ্গে আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • কোকোয়া বা চকলেট: কোকোয়া পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার ব্যাক্টেরিয়া রোধ করে। এতে ভিটামিন-এ, বি-৬ এবং ভিটামিন-সি থাকায় এগুলো সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী। এ ছাড়া এতে ভিটামিন-ডি, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ও সেলেনিয়াম থাকে।
  • কলা: কলা হচ্ছে ডোপামিন ও সেরোটোনিন সমৃদ্ধ ফল। এটি স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে ও চাপ কমাতে কার্যকরী।
  • চিয়া বীজ: শরীরের শক্তি জোগাতে চিয়া বীজ অনেক উপকারী। এতে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ খাকে। এটি ভেজার পর আকারে প্রায় ১০ গুণ বড় হতে পারে। তাই এটি খেলে তা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।

শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়, শরীর সুস্থ রাখার উপায়

শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষকেই ফিট বলা যায়। সেজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম ও মনের খোরাকের দিকেই নজর দিতে হয়। নিজেকে ফিট রাখতে যা করবেন জেনে নিন।

  • ১। নানান রকম ফল-সবজি খেতে হবে – প্রতি সপ্তাহে সব ধরন মিলিয়ে যদি কম করে ৩০ রকমের সবজি ও ফল খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
  • ২। উপযুক্ত পরিমাণ জল খাওয়া – সারা দিন উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন দরকার, তেমনই দরকার পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করাও। কারণ পানীয় জল শুধু যে তেষ্টা মেটায় তাই নয়, শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে, শরীরের অন্তরীণ জলের চাহিদা পূরণ করে সঙ্গে আরও একাধিক কাজ করে গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে জল। ফলে জল পরিমাণ মতো জল খাওয়াটা খুবই দরকার।
  • ৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম – প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন রাতে কম পক্ষে আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। কারণ তা না হলে ঘুমের ঘাটতি দেখা যায়। শরীরকে দুর্বল করে। তাই পরিমাণ মতো ঘুমলে শরীর সার্বিক ভাবে বিশ্রাম পায়, নতুন উদ্যম গড়ে ওঠে, ক্লান্তি বোধ দূর হয়।
  • ৪। নিজের মনের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া – খাবার, জল, ঘুমের পর যে বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয় তা হল, নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেকেই আছেন পারিপার্শ্বিকের চাপে নিজের মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে। ভালো লাগা, খারাপ লাগাকে দাবিয়ে রেখে ভেতরে ভেতরে গুমরে থাকে। তবে একটি জরুরি কথা কী মনের মধ্যে নিজের সাধ, ইচ্ছে ইত্যাদিকে চেপে রেখে আর যাই হোক শারীরিক আর মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায় না। তাই নিজেকে, নিজের ইচ্ছেকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
  • ৫। ব্যায়াম করা – শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই নিয়ম করে হাঁটা বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। যদি সম্ভব হয় জিমও করা যেতে পারে। এ ছাড়া নিয়ম করে মর্নিংওয়াক বা ইভিনিং ওয়াক তো আছেই। এই কাজগুলি শরীরকে সচল করে। এতে করে বাড়তি মেদ জমে শরীরকে অসুস্থ হওয়ার থেকে রক্ষা করা যায়। তাই কম করে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট এই কাজ করতে পারলে খুবই ভালো।  
  • । মন খুলে বেশি করে হাসা – হাসি একটি খুব ভালো ব্যায়াম বা ওষুধ বলা যেতে পারে শরীর ও মনের সুস্বাস্থ্যের জন্য। লোক মুখে ফেরে মন খুলে জোড়ে জোড়ে হাসলে হৃদয় ভালো থাকে।
  • ৭। অতিরিক্ত রোদ নয় – তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জুড়ি নেই৷ ফাস্ট ফুড, স্ট্রেস, অতিরিক্ত টেনশন, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ত্বক নষ্ট করে৷ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত৷ শরীর ও মন ভালো এবং ফিট রাখার জন্য শরীরের ভেতরের মতো শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকা প্রয়োজন।
  • হেঁটে পায়ের যত্ন – আমাদের শরীরের সমস্ত ভার বহন করে আমাদের পা দুটো। তাই পায়ের স্বাস্থ্য খুব জরুরি। পায়ের মাংসপেশি শক্ত করতে ও ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটির কোনো বিকল্প নেই। হাঁটা যে-কোনো মানুষকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে।
  •  অভ্যাস – রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর শোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। দিনে শোওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়ার আগে স্নান করে নিন। বেশি উঁচু তলায় উঠার দরকার না হলে, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যাবহার করুন। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ুন।
  • ১০. মেডিটেশন:  পৃথিবীজুড়ে স্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, সুস্থতার জন্যে নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা চালিয়ে যেতে। তারা বলেছেন, শতকরা ৭৫ ভাগ রোগের ক্ষেত্রে কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই। এজমা, আইবিএস, এলার্জি, মাইগ্রেন, ব্যথা-বেদনাসহ এ ধরনের রোগগুলোকে চিকিত্‍সকরা মনোদৈহিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মনের দুঃখ-কষ্ট, রাগ-ক্ষোভ, দুশ্চিন্তা- হতাশা দূর হয়ে গেলেই স্বাভাবিকভাবে ভালো হয়ে যায় এ রোগগুলো। আর নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় মেডিটেশন।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

শরীর সমার্থক শব্দ

শরীর সমার্থক শব্দ কলেবর; গা; দেহ; অঙ্গ

শরীরের উপরের অংশ অর্থ

মস্তক(মাথা, Head) ও গ্রীবা (গলা, Neck)- “থোরাসিক ইনলেট” (অর্থাৎ বক্ষের প্রবেশপথ)-এর উপরের সবকিছু। বক্ষের প্রবেশপথ দুপাশে প্রথম পিঞ্জরাস্থি (পাঁজর), পিছনে প্রথম বক্ষ কশেরুকা ও সামনে স্টার্নাম দিয়ে ঘেরা।
উর্ধ্ববাহু (উর্ধাঙ্গ, Upper limb)- এতে আছে হাত, কব্জি, কলাচী, কনুই, বাহু এবং স্কন্ধ (কাঁধ)।
বক্ষ (বুক, Thorax)- থোরাসিক ইনলেট হতে মধ্যচ্ছদা (থোরাসিক ডায়াফ্রাম) পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
উদর (পেট, (Abdomen)- মধ্যচ্ছদা (থোরাসিক ডায়াফ্রাম) হতে শ্রোণীচক্রের উপরের কানা (পেলভিক ব্রিম বা পেলভিক ইনলেট পর্যন্ত সবকিছূ।
পৃষ্ঠ(পিঠ, Back)- মেরুদণ্ড ও তার অংশসমূহ, কশেরুকা (vertebrae) এবং আন্তঃকশেরুকীয় চাক্তি (inter vertebral disks) ও মেরুদণ্ডের দুপাশের পেশী (paraspinal muscles) ও তাদের আনুষঙ্গিক অংশ সমূহ।

শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ কোনটি

মানুষের দেহে কঠিনতম অংশ হল এনামেল এনামেল মানুষের দাঁতে অবস্থিত ৷

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।