শ্বসন কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

শ্বসন কাকে বলে Class 9

যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহের কোষে অবস্থিত জটিল যৌগিক খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়ে সরল দ্রব্যে পরিণত হয় এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন (respiration) বলে। বা

যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দ্বারা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপুস্থিতিতে খাদ্যের দৈহিক জারণের ফলে খাদ্য স্থিতিশক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও মুক্ত হয় তাকে শ্বসন বলে।

শ্বসন যে কোনো জীবের শারীরিক পরিচালনায় অন্যতম অংশ, মানুষসহ বিভিন্ন জীবের দেহকোষে সবসময় নানারকম জৈবিক ক্রিয়া ও প্রক্রিয়া  চলছে। এই জৈবিক ক্রিয়া ও প্রক্রিয়া গুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য কোষের শক্তির প্রয়োজন।প্রত্যেকটি জীব তার এই ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য গ্রহণ করে আর সেই খাদ্য থেকে শক্তি অর্জন করে।

শ্বসনের সময় খাদ্যদ্রব্য জারিত হয়। শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া। জৈব খাদ্যদ্রব্যের জারণ অক্সিজেনের উপস্থিতি অথবা অনুপস্থিতে হতে পারে। তবে উদ্ভিদে প্রধানত শ্বসন প্রক্রিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতিতে হয়।

শ্বসনের বৈশিষ্ট্য

  • শ্বসন একটি অপচিতিমূলক বিপাক ক্রিয়া।
  • এর ফলে জীবের শুস্ক ওজন হ্রাস পায়। 
  • শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া। 

শ্বসন প্রক্রিয়া

শ্বসনের সময় কোষের মধ্যে থাকা খাদ্য জড়িত হয়ে খাদ্যস্থ স্থিতি শক্তি গতি শক্তি তে মুক্ত হয়.অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্লুকোজ অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে জড়িত হয়ে হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড, জল এবং শক্তি উৎপন্ন হয়।

  • গ্লাইকোলাইসিস : এই প্রক্রিয়ায় সমস্ত প্রক্রিয়া কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে থাকে। গ্লাইকোলাইসোস এমন একটি প্রক্রিয়া যা অক্সিজেন এর উপস্থিতি এবং অনুস্পস্থিতে ঘটে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় উৎসেচকের প্রভাবে গ্লুকোজ আংশিকভাবে জারিত হয়ে 2 অনু পাইরুভিক অ্যাসিড এবং 2 অনু ATP উৎপন্ন হয়। 
  • ক্রেবস চক্র : এই প্রক্রিয়ার পাইরুভিক অ্যাসিড সম্পূর্ণভাবে জড়িত হয়ে কার্বন ডাই  অক্সাইড জল ও শক্তি উৎপন্ন করে। এই পর্যায়ে কোষ অঙ্গাণু মাইটোকন্ড্রিয়ার অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ঘটে। ইংরেজ রসায়নবিদ হ্যান্স ক্রেবস প্রথম এই জারণ ক্রিয়াটি লক্ষ্য করেন তাই প্রক্রিয়াকে ক্রেবস চক্র বলা হয়। এই ক্রেবস চক্রে প্রথম উৎপাদিত জৈব বস্তুটি হলো সাইট্রিক অ্যাসিড। তাই একে সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র বলা হয়। ক্রেবসচক্রে প্রথম উৎপাদিত জৈব যৌগটি হল সাইট্রিক অ্যাসিড যার মধ্যে 3টি কার্বক্সিল এর গ্রুপ থাকে। তাই ক্রেবসচক্রকে ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্রও বলা হয়। 

শ্বসন কত প্রকার

অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে শ্বসন প্রক্রিয়াকে দুভাগে ভাগ করা হয় যথা :

(ক) সবাত শ্বসন বা বায়বীয় শ্বসন (aerobic respiration) ও

খ) অবাত শ্বসন, অবায়বীয় শ্বসন (anaerobic respiration)।

সবাত শ্বসন কাকে বলে, সবাত ও অবাত শ্বসন কাকে বলে

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলা হয়।

শ্বসন বলতে সাধারণত সবাত শ্বসনকেই বোঝায়। উচ্চশ্রেণির সকল জীবে এ ধরনের শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। সবাত শ্বসনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বায়ু থেকে আসে এবং ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে, পরে কোষের পানিতে দ্রবীভূত হয়। দ্রবীভূত এ অক্সিজেন শ্বসনিক বস্তুকে সম্পূর্ণ জারিত করে এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করে।

  • যে শ্বসন পদ্ধতি বায়ুজীবী জীবকোষে শ্বসন বস্তু মুক্ত অক্সিজেন উপস্থিত সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিণত হয় এবং শ্বসন বস্তু সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে।
  • সবাত শ্বসন এর স্থান : এককোষী প্রাণী অ্যামিবা থেকে শুরু করে উন্নত শ্রেণীর বহুকোষী উদ্ভিদ এবং প্রাণীদেহে প্রতিটি সজিব কোষে এই ধরণের শ্বসন সংঘটিত হয়। 
  • এই ধরণের শ্বসন কোষস্থ খাদ্য প্রধানত গ্লুকোজ কোষের সাইটোপ্লাজমে অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে কতগুলি উৎসেচকের সহায়তায় আংশিক ভাবে জারিত হয়ে পাইরুভিক অ্যাসিড এ পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে EMP পথ বলা হয়। 
  • 1 গ্রাম অনু গ্লুকোজ থেকে 686 কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।

সবাত শ্বসন প্রক্রিয়া

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বায়ুজীবি জীবের কোষস্থ শ্বসনবস্তু (গ্লুকোজ) সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তুস্থিত শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয় তাকে সবাত শ্বসন (Aerobic Respiration) বলে।

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু (শর্করা, প্রোটিন, লিপিড, বিভিন্ন ধরনের জৈব এসিড) সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে CO2, H2O ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলে। সবাত শ্বসনই হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া।

  • শ্বসন বলতে প্রধানত সবাত শ্বসন কেই বোঝায়। এইরকম শ্বসনে কোশাস্থ খাদ্য, প্রধানত গ্লুকোজ, কোষের সাইটোপ্লাজমে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে কতগুলো উৎসেচক এর সহায়তায় আংশিকভাবে জারিত হয়ে পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে গ্লাইকোলাইসিস বলে। এটি শ্বসনের প্রথম পর্যায়।
  • শ্বসনের দ্বিতীয় পর্যায়ে পাইরুভিক অ্যাসিড সাইটোপ্লাজমে জারিত হয় অ্যাসিটাইল কো-এনজাইম -A উৎপন্ন করে এবং কোষ অঙ্গাণু মাইটোকনডিয়া প্রবেশ করে। মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে সবাত জারণ ঘটে অর্থাৎ পাইরুভিক অ্যাসিড অক্সিজেনের উপস্থিতিতে আরো কয়েক রকম উৎসেচকের সহায়তায় সম্পন্নভাবে জারিত হয়ে 686 Kcal শক্তি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং জল উৎপন্ন করে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন উৎসেচক এর সহায়তায় ধাপে ধাপে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। শ্বসনের এই পর্যায়েটিকে ক্রেবস চক্র বলে।

অবাত শ্বসন কাকে বলে

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের দরকার হয় না তথা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে সংঘটিত শ্বসনকে বলা হয় অবাত শ্বসন।

এ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য সম্পূর্ণরূপে না ভেঙ্গে আংশিকভাবে ভাঙ্গে এবং কতকগুলো মধ্যবর্তী যৌগ যেমন ইথাইল, অ্যালকোহল উৎপন্ন করে। খাদ্যদ্রব্য অসম্পূর্ণভাবে জারিত হবার কারণে অবাত শ্বসনে সবাত শ্বসন অপেক্ষা কম শক্তি নির্গত হয়।

উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদে অবাত শ্বসন ঘটে না। অবাত শ্বসন ঘটে নিম্নশ্রেণির কিছু উদ্ভিদে, যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি। তবে উচ্চশ্রেণির কিছু উদ্ভিদের মূলের চারদিকে মাটি বন্যায় প্লাবিত হলে ক্ষণস্থায়ী অবস্থায় অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে পারে।

  • যে শ্বসন পদ্ধতিতে অবায়ুজীবী জীব কোষে মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন বস্তু অক্সিজেনযুক্ত যৌগের অক্সিজেন কর্তৃক জারিত  হয়ে কার্বন ডাই  অক্সাইড ও জলে পরিণত হয়  এবং শ্বসন বস্তু মধ্যস্তশক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে তাকে অবাত শ্বসন বলে। 
  • অবাত শ্বসন এর স্থান : অবাত শ্বসন ডিনাইটিফাইং ব্যাকটেরিয়া, সালফার ব্যাকটেরিয়া, মিথেন ব্যাকটেরিয়া তে দেখা যায়। 
  • অবাত শ্বসন 1 গ্রাম অনু গ্লুকোজ থেকে 50 কিলোক্যালোরি তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এটি কোষের সাইটোপ্লাজম এর ঘটে।

আরো শ্বসন সংক্রান্ত প্রশ্নউত্তর পড়ার জন্য, ক্লিক করুন

অবাত শ্বসনের গুরুত্ব

যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় অবায়ুজীবি জীবের কোষস্থ খাদ্য মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কিন্তু অক্সিজেনযুক্ত যৌগের (অজৈব অক্সাইড) সাহায্যে আংশিকভাবে জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য যৌগ উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তুস্থিত শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটায় তাকে অবাত শ্বসন (Anaerobic Respiration) বলে ।

অর্থাৎ যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় কোনো শ্বসনিক বস্তু অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই কোষের ভিতরের এনজাইম দিয়ে আংশিকরূপে জারিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার জৈব যৌগ, যেমন: ইথাইল অ‍্যালকোহল, ল‍্যাকটিক এসিড ইত্যাদি, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং সামান্য পরিমাণ শক্তি তৈরি করে, তাকে অবাত শ্বসন বলে। কেবলমাত্র কিছু অণুজীবে যেমন ব‍্যাকটেরিয়া, ইস্ট ইত্যাদিতে অবাত শ্বসন হয়।

C6H12O6 —এনজাইম–> 2C2H5OH + 2CO2 + শক্তি ( 56 k Cal / Mole )

  • অবাত শ্বসন ডিনাইট্রিফাইন ব্যাকটেরিয়া, মিথেন ব্যাকটেরিয়া, সালফার ব্যাকটেরিয়াতে দেখা যায়।
  • এইরকম শ্বসনে প্রান্তীয় হাইড্রোজেন গ্রাহক অক্সাইড, যেমন: নাইট্রেট, কার্বনেট, সালফেট ইত্যাদি। এই শ্বসনে প্রান্তীয় ও শ্বসন পথ সংক্ষিপ্ত বলে এই রকমের শ্বসনে কম পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়।

শ্বসনের গুরুত্ব, শ্বসনের গুরুত্ব কি, শ্বসনের তাৎপর্য

সর্বপ্রকার জীবের জীবনকালে শ্বসনের গুরুত্ব খুব বেশি। উদ্ভিদ বা প্রাণীর প্রতিটি সজীব কোষে দিন রাত্রির প্রতিটি মুহুর্তে শ্বসন প্রক্রিয়া চলে। শ্বসন প্রক্রিয়া বন্ধ হলে সাধারণত: জীবিত কোষের মৃত্যু ঘটে। উদ্ভিদ জীবনে শ্বসনের গুরুত্ব নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল : –

  • উদ্ভিদের প্রতিটি জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন। আর এ শক্তি আসে শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। উদ্ভিদদেহে উপস্থিত যৌগিক খাদ্য সরল পদার্থে রূপান্তরিত হবার ফলে, শ্বসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়। সালোকসংশ্লেষণের সময় সৌর শক্তি (solar energy) রাসায়নিক শক্তি (chemical energy) রূপে জটিল খাদ্যে জমা হয় । শ্বসনের সময় বিভিন্ন প্রকার জটিল খাদ্য ভেঙ্গে সরল খাদ্য বা পদার্থে রূপান্তরিত হবার সময় সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি যা জটিল খাদ্যসমূহে প্রচ্ছন্ন শক্তি (potential energy) রূপে জমা থাকে তা ব্যবহার উপযোগী গতি শক্তি (kinetic energy) হিসাবে পরিবর্তিত হয়। সূতরাং শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ জীবনের সকল জৈবিক প্রক্রিয়া পরিচালিত করার মধ্যেই রয়েছে উদ্ভিদ তথা জীবের জীবনে শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রকৃত গুরুত্ব।
  • শ্বসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত CO2, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় এবং খাদ্যবস্ত্র উৎপন্ন হয়। এসব খাদ্যবস্তুসমূহ উদ্ভিদ জীবনের প্রয়োজনে আসে এবং উদ্ভিদ জীবনকে রক্ষা করে, তেমনই সমস্ত প্রাণিকূল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে।
  • উদ্ভিদের কোষ বিভাজনের জন্য শক্তির প্রয়োজন। এ প্রয়োজনীয় শক্তি শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি জোগান দেয়।
  • শ্বসন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার জৈব অ্যাসিড তৈরি হয়। এ জৈব অ্যাসিডসমূহ পরবর্তীতে অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার জৈব দ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
  • শ্বসনে উদ্ভূত শক্তি উদ্ভিদের পানি ও খনিজ দ্রবীভূত লবণ শোষণে ব্যবহৃত হয় ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বর্ধনে ব্যবহৃত হয়।

সবাত ও অবাত শ্বসনের পার্থক্য, সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে পার্থক্য

জল ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তুস্থিত শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয় তাকে সবাত শ্বসন বলে। সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

সবাত শ্বসনঅবাত শ্বসন
সবাত শ্বসনে মুক্ত অক্সিজেনের (O2) উপস্থিতিতে ঘটে। অবাত শ্বসনে মুক্ত অক্সিজেনের অনপস্থিতিতে ঘটে।
সবাত শ্বসন বস্তু সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়।অবাত শ্বসন বস্তু আংশিক জারিত হয় ।
 সবাত শ্বসন বায়ুজীবি জীবে ঘটে । অবাদ শ্বসন অবায়ুজীবি জীবে ঘটে ।
সবাত শ্বসন প্রান্তীয় হাইড্রোজেন গ্রাহক হল আণবিক অক্সিজেন । অবাত শ্বসন প্রান্তীয় হাইড্রোজেন গ্রাহক অক্সিজেনযুক্ত যৌগের অক্সিজেন।
সবাত শ্বসনের উপজাত বস্তু CO2 ও H2O । উপজাত বস্তু CO2, H2O এবং অন্যান্য বস্তু।
সবাত শ্বসন সম্পূর্ণ শক্তি অর্থাৎ 686 Kcal শক্তি উৎপন্ন হয় ।অবাত শ্বসন আংশিক শক্তি অর্থাৎ 50 Kcal শক্তি উৎপন্ন হয়।
সবাত শ্বসন প্রধানত তিনটি পর্যায়ে হয় -গ্লাইকোলাইসিস, ক্রেবস চক্র এবং প্রান্তীয় শ্বসন । অবাত শ্বসন দুটি পর্যায়ে সম্পর্ণ হয় – গ্লাইকোলাইসিস এবং পাইরুভিক অ্যাসিডের অসম্পূর্ণ জারণ ।
সবাত শ্বসন সাইটোপ্লাসম ও মাইট্রোকন্ড্রিয়ার মধ্যে ঘটে । অবাত শ্বসন মাইট্রোকন্ড্রিয়ার বাইরে অর্থাৎ সাইটোপ্লাসমে ঘটে।
সবাত ও অবাত শ্বসনের পার্থক্য

আলোক শ্বসন কাকে বলে

আলোর উপস্থিতিতে যে শ্বসন কার্য সম্পন্ন হয়, তাকে আলোক শ্বসন বলে।

প্রান্তীয় শ্বসন কাকে বলে

শ্বসনের যে-পর্যায়ে বিজারিত হাইড্রোজেন গ্রাহক আণবিক অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়, তাকে প্রান্তীয় শ্বসন বলে।

শ্বসন অঙ্গ কয়টি ও কি কি

শ্বসনের সাথে জড়িত অঙ্গসমূহ (নাসারন্ধ্র, গলবিল, ল্যারিংস, ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল, অ্যালভিওলাই, ফুসফুস) -কে শ্বসনিক অঙ্গ বলে ।

নাসারন্ধ্র ও নাসাপথ

শ্বসনতন্ত্রের প্রথম অংশের নাম নাসিকা বা নাক। এটা মুখগহ্বরের উপরে অবস্থিত একটি ত্রিকোণাকার গহ্বর। নাক বা নাসিকার সাহায্যে কোনো বস্তুর সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ বুঝা যায়। এক বিশেষ ধরনের স্নায়ু এই অঙ্গকে উদ্দীপিত করে, ফলে আমরা গন্ধ পাই। নাসিকা এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে যে সেটি প্রশ্বাসের সময় বাতাসকে ফুসফুসের গ্রহণের উপযোগী করে দেয়।

নাসাপথ সামনে নাসিকাছিদ্র এবং পিছনে গলবিল পর্যন্ত বিস্তৃত। একটি পাতলা প্রাচীর দিয়ে এটি দুই ভাগে বিভক্ত। এর সামনের অংশ লোমাবৃত এবং পিছনের অংশ শ্লেষ্মা প্রস্তুতকারী একটি পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বায়ুতে বিদ্যমান ধূলিকণা, রোগজীবাণু এবং আবর্জনা থাকলে তা এই লোম এবং পর্দাতে আটকে যায়। এতে বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করার পূর্বে কিছু পরিমাণে নির্মল হয়ে যায়। এছাড়া শ্বসনের জন্য গ্রহণ করা বায়ু নাসাপথ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা উষ্ণ এবং আর্দ্র হয়। এর ফলে হঠাৎ ঠাণ্ডা বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে সাধারণত কোনো প্রকার ক্ষতি করতে পারে না।

গলবিল

মুখ হাঁ করলে মুখ গহবরের পিছনে যে অংশটি দেখা যায় সেটি গলবিল। নাসা পাতের পিছনের অংশ থেকে ষড়যন্ত্রের উপরিভাগ পর্যন্ত এটি বিস্তৃত। এর পিছনের অংশের বিপরীতলে একটি ছোট জিহ্বার মত অংশ থেকে এটাই আল জিব্বা । খাদ্য এবং পানীয় গলাধরকরণের সময় এটা নাসা পদের পশ্চাৎপদ বন্ধ করে দেয়। ফলে কোনো প্রকার খাদ্য নাসিকা পথে বাইরে আসতে পারে না। খাদ্য গ্রহণের সময় প্রচুর পরিমাণে পিচ্ছিল পদার্থ নিঃসরণ করাও এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সম্ভবত উন্নততর ষড়যন্ত্রের বিবর্তনের সাথে আলাজিব্বার উদ্ভবের একটা সম্পর্ক আছে যেটি কেবলই মানুষের সবচেয়ে বেশি বিকশিত।

স্বরযন্ত্র

এটা গলবিদের নিচে এবং শ্বাসনালির উপরে অবস্থিত ।স্বরযন্ত্রের দুই ধারে দুটি পেশী থাকে এগুলোকে ভোকাল কর্ড বলে। স্বরযন্ত্রের উপরে একটা জিব্বা আকৃতির ঢাকনা রয়েছে। একে উপ জিব্বা বলে। শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার সময় এটি খোলা থাকে এবং এই পথে বাতাস ফুসফুসে যাতায়াত করতে পারে। খাবার সময় ওই ঢাকনাটা স্বরযন্ত্রের মুখ ঢেকেতে ফলে আহার্য দ্রব্যাদি সরাসরি খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে শ্বাস-প্রশ্বাসে এর কোন ভূমিকা নেই।

শ্বাসনালি

এটি খাদ্যনালীর সামনে অবস্থিত একটি ফাপানল। এই নালিটির স্বরযন্ত্রের নিচের অংশ থেকে শুরু করে কিছুদূর গিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি বায়ু নলের সৃষ্টি করে এগুলো শ্বাসনালি। এর প্রাচীর কতগুলো অসম্পূর্ণ বলায়াকার তরুণাস্থি ও পেশী দিয়ে গঠিত। এর অন্তর্গত্র ঝিল্লি দিয়ে আবৃত। এ ঝিল্লিতে সুক্ষ লোমযুক্ত কোষ থাকে। এর ভিতর দিয়ে বায়ু আসা-যাওয়া করে শ্বাসনালীর ভেতর দিয়ে কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তুকণা প্রবেশ করলে সুখ্য লোম যুক্ত সেগুলোকে শ্লেষ্মা এর সাথে বাইরে বের করে দে।

ব্রংকাস

ব্রঙ্কাস স্বরযন্ত্রের নিম্নাংশ শুরু হয়ে ফুসফুসের নিকটবর্তী স্থানে গিয়ে ডান এবং বাম দিকে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়। এ শাখা গুলো যথাক্রমে বাম ও ডান ফুসফুসের প্রবেশ করে। এগুলো ব্রঙ্কাই একবচনে ব্রংকাস নামে পরিচিত। ফুসফুসে প্রবেশ করার পর ব্রংকায় দুটি অসংখ্য শাখা প্রশাখার বিভক্ত হয়। এগুলোকে অনুক্রমশাখা বলে এদের গঠনশৈলী শ্বাসনালীর অনুরুপ।

ফুসফুস

ফুসফুস শ্বসনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ। বক্ষ গহবরের ভিতর হৃদপিণ্ডে দুই পাশে দুটি ফুসফুস অবস্থিত। এটি স্পঞ্জ এর মত নরম এবং হালকা লাল রংয়ের। ডান ফুসফুস তিন খন্ডে এবং বাম ফুসফুস দুই খন্ডে বিভক্ত। ফুসফুস দুই ভাজ বিশিষ্ট প্লুরা নামক পর্দা দিয়ে আবৃত। ২ ভাঁজের মধ্যে এক প্রকার রস নির্গত হয়।ফলের শ্বাসকিয়া চলার সময় ফুসফুসের সাথে বক্ষবাত্রের কোন সংঘর্ষ হয় না। ফুসফুসে অসংখ্য বায়ুথলি এবং সুক্ষ সুক্ষ শ্বাসনালী ও রক্তনালী থাকে।

বায়ুথলি গুলোকে বলে আলভিউলাস। বায়ুথলি গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুক্রম শাখা প্রান্তে মৌচাকের মতো অবস্থিত। নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে। বায়ুথলি পাতলা আবরণী দিয়ে আবৃত এবং প্রতিটি বায়ুথলির কৈশিক নালিকা দিয়ে পরিবেশিত। বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের মত ফুলে ওঠে এবং পরে আপনা আপনি সংকুচিত হয়। বায়ুথলি ও কৌশিক নালিকার গাত্র এত পাতলা যে এর ভিতর দিয়ে গ্যাসীয় আদান-প্রদান ঘটে।

শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য

যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে তাপ শক্তি উৎপন্ন করে, তাকে দহন বলে। শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

শ্বসনদহন
জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দ্বারা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপুস্থিতিতে খাদ্যের দৈহিক জারণ ঘটে এবং খাদ্য স্থিতিশক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও মুক্ত হয় তাকে শ্বসন বলে।কোনো মৌলকে বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে তার উপাদান মৌলের অক্সাইডে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দহন বলে।
শ্বসন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। দহন অজৈব ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
শ্বসন কেবল সজীব কোষে ঘটে।দহন মৃত বা জড় দাহ্যবস্তুতে ঘটে ।
শ্বসনের সময় খাদ্যবস্তু ধাপে ধাপে জারিত হয়ে শক্তি নির্গত হয় বলে এটি একটি নিয়ন্ত্রিত দহন প্রক্রিয়া।দহনের সময় অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতি দ্রুত তাপ নির্গত হয় বলে এটি অনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎসেচকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। দহন প্রক্রিয়ায় উৎসেচকের কোনো ভূমিকা নেই।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন ছাড়াও সম্ভব। দহন প্রক্রিয়া অক্সিজেন ছাড়া সম্ভব নয়।
শ্বসন প্রক্রিয়ায় আলো উৎপন্ন হয় না কিন্তু তাপ উৎপন্ন হয়। দহন প্রক্রিয়ায় আলো তাপ উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের উৎপন্ন শক্তি ATP অনুতে সঞ্চিত হয়।  দহন বিক্রিয়াই উৎপন্ন শক্তি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।
শ্বসনে শক্তির মুক্তি ধীরে ধীরে ঘটে।দহনে শক্তির মুক্তির দ্রুত ঘটে।
শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য

সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের পার্থক্য

সালোকসংশ্লেষণশ্বসন
শ্বসনে রাসায়নিক স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় আলোক শক্তি রাসায়নিক স্থিতিশক্তিতে পরিণত হয়।
শ্বসনে শক্তি নির্গত হয়সালোকসংশ্লেষণে শক্তি সঞ্চিত হয়।
শ্বসন সকল সজীব কোষে ঘটে থাকেসালোকসংশ্লেষণ কেবলমাত্র ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত কোষেই ঘটে।
শ্বসন ক্রিয়া দিন-রাত ২৪ ঘন্টা চলতে থাকেসালোকসংশ্লেষণ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কেবলমাত্র দিনের বেলা চলে।
শ্বসনে শক্তি, পানি ও CO2 উৎপন্ন হয়। সালোকসংশ্লেষণে সাধারণত শর্করা ও O2 উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের প্রধান কাঁচামাল শর্করা সালোকসংশ্লেষণের প্রধান কাঁচামাল পানি ও CO2।
সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের পার্থক্য

উদ্ভিদের শ্বসন প্রক্রিয়া

উদ্ভিদ শ্বসন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ জৈব অণুতে সঞ্চিত শক্তি, যেমন শর্করা, ATP আকারে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করে। এই প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদ কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায় ঘটে, যা সেলুলার শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য দায়ী অর্গানেল।

উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়া তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে:

  • গ্লাইকোলাইসিস: এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রথম পর্যায়, যেখানে গ্লুকোজ পাইরুভেটের দুটি অণুতে ভেঙে যায়। এই প্রক্রিয়াটি অল্প পরিমাণে এটিপি তৈরি করে এবং NADH তৈরি করে, যা একটি উচ্চ-শক্তি ইলেকট্রন ক্যারিয়ার।
  • সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র: ক্রেবস চক্রও বলা হয়, এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের দ্বিতীয় পর্যায়। গ্লাইকোলাইসিস থেকে পাইরুভেটের দুটি অণু এসিটাইল-কোএতে রূপান্তরিত হয় এবং তারপর সাইট্রিক অ্যাসিড চক্রে প্রবেশ করে, যেখানে তারা আরও ভেঙে যায় এবং আরও ATP উৎপন্ন করে।
  • ইলেক্ট্রন পরিবহন শৃঙ্খল: শ্বাস-প্রশ্বাসের চূড়ান্ত পর্যায়, এখানেই NADH থেকে ইলেকট্রনগুলি অক্সিজেনে স্থানান্তরিত হয়, যা চূড়ান্ত ইলেকট্রন গ্রহণকারী। এই প্রক্রিয়াটি বেশিরভাগ ATP তৈরি করে এবং জলও তৈরি করে।

সামগ্রিকভাবে, উদ্ভিদের শ্বসন প্রক্রিয়া হল উদ্ভিদের জন্য একটি উপায় যা সঞ্চিত জৈব অণু থেকে শক্তিকে একটি ফর্মে রূপান্তরিত করে যা উদ্ভিদকে জীবিত ও ক্রমবর্ধমান রাখে এমন বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে শক্তি দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | শ্বসন

Q1. শ্বসনের ফলে কি নির্গত হয়

Ans – শ্বসনের ফলে শক্তি নির্গত হয়।

Q2. মানব শ্বসন অঙ্গ কয়টি

Ans – মানব শ্বসন অঙ্গ ৭টি।

Q3. শ্বসন কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত

Ans – শ্বসন কেন্দ্র পনস অবস্থিত।

Q4. শ্বসন প্রক্রিয়ায় কি উৎপন্ন হয়

Ans – শ্বসনের প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয়।

Q5. শ্বসনের জন্য উত্তম তাপমাত্রা কত

Ans – শ্বসনের জন্য উত্তম তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সে. থেকে ৪৫ ডিগ্রি সে.।

Q6. শ্বসনে মোট কত অনু এটিপি উৎপন্ন হয়

Ans – শ্বসনে মোট ৩৮ অনু এটিপি উৎপন্ন হয়।

Q7. উদ্ভিদের শ্বসন অঙ্গের নাম কি

Ans – উদ্ভিদের শ্বাস অঙ্গের নাম হল পত্ররন্ধ্র।

Q8. শ্বসন হার কি

Ans – প্রতি মিনিটে যতবার শ্বাসক্রিয়া (একবার প্রশ্বাস ও একবার নিশ্বাস) সংঘটিত হয় তাকে শ্বসন হার বলে। 

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।