Site icon prosnouttor

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 3

শরীর শিক্ষা কাকে বলে

শিক্ষা অর্জনের জন্য কোনো সময় নির্ধারিত নেই। মানব জীবনে শিক্ষার ক্ষেত্র বিশাল এবং ব্যাপক। সুতরাং বলা যায় শিক্ষা জীবনব্যাপী একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষা শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষা অর্জিত হয় বাড়িতে, পরিবারে সমাজে, বহিরাঙ্গন তথা খেলার মাঠে এবং সর্বত্র।

প্রাচীনকালে শারীরিক শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র দৈহিক বা শারীরিক উন্নতিকেই বোঝানো হতো। এ ধারণা সঠিক ছিল না। দৈহিক বা শারীরিক উন্নতিকে শারীরিক শিক্ষা নয়, শরীরচর্চা বলে।

মন ছাড়া শরীর এককভাবে কোনো কাজ করতে পারে না। অতএব, যে শিক্ষা দেহ ও মনের যুগপৎ পরিবর্তন সাধন করে সে শিক্ষাকেই শারীরিক শিক্ষা বলে।

শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক হচ্ছে খেলাধুলা। শারীরিক শিক্ষা সাধারণ শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। বস্তুত, মানুষ শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য অর্জন, সুন্দর মন ও পরিমিত আবেগ লাভ এবং সামাজিক কর্তব্য সচেতন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে।

শারীরিক শিক্ষার সংজ্ঞা

শরীর শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলি লেখ

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতামত থেকে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। বিভিন্ন চিন্তাবিদদের মতামত বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা

শারীরিক সুস্থতা অর্জন :-

মানসিক বিকাশ সাধন :-

চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন :-

সামাজিক গুণাবলি অর্জন :-

শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, শরীর শিক্ষার সুযোগ গুলি কি কি, শারীরিক শিক্ষার সুযোগ গুলি লেখ, শরীর শিক্ষার আধুনিক ধারণা সম্বন্ধে লেখ

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক বিকাশের উপর সমভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছে।  শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করা হলো:

শারীরিক সুস্থতা রক্ষা ও দেহের সুষম বৃদ্ধি

আমাদের দেহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন- হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, পাকস্থলী, যকৃত কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত, অগ্নাশয়

ইত্যাদি নিয়ে গঠিত। এছাড়াও রয়েছে হাড়, মাংসপেশি, শিরা ও ধমনী। মাংসপেশির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর নড়াচড়া ও গতি প্রদান করা। গতি হলো প্রাণের ভিত্তি। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দৈহিক তন্ত্রসমূহের সুস্থতা বৃদ্ধি ও কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। পেশিসমূহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

ফলে শিক্ষার্থীরা অধিকতর শক্তি, দম ও উৎসাহের সাথে প্রাত্যহিক সমস্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঠিক বৃদ্ধির জন্য সুষম আহার, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন, বিশ্রাম ও নিদ্রা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করা যায়। শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমেই কেবলমাত্র তা সম্ভব হয়।

মানসিক উন্নতি

স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না। মন ভালো না থাকলে কোন কাজে আগ্রহ জন্মায় না। মানবদেহের সার্বিক উন্নতির জন্য শরীর ও মন উভয়ই যেমন ভালো থাকা দরকার, তেমনি উভয়ের সুষম উন্নতিও প্রয়োজন।

শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক জড়তা, অশান্তি, একাকীত্ব ও পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর হয়ে যায়; পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলার মানসিকতা, আত্মসচেতনতা, আত্মনির্ভরতা এবং আত্মপোলব্ধি বাড়িয়ে তোলে।

আবেগ-অনুভূতির উন্নতি

শারীরিক শিক্ষার ব্যবহারিক দিক তথা খেলাধুলার ক্ষেত্রে জয় বা কৃতকার্যতা সকলের মনে তৃপ্তি, উদাম ও বিপুল আনন্দ এনে দেয়। কোনো কোনো সময় আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। আবার পরাজয় বা ব্যর্থতা এনে দেয় হতাশা। কারণ, একজন শিক্ষার্থী জানে খেলাধুলায় জয় ও পরাজয় আছে। বিজয়ে অতি উল্লসিত হয়ে খেলোয়াড়রা দিশেহারা হয়ে যায় না। এমনিভাবে শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখে। পরবর্তীতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তার এই আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস কাজে লাগাতে পারে।

সামাজিক উন্নতি

শারীরিক শিক্ষা তথা খেলাধুলার মাধমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ সামাজিক গুণাবলি অর্জন করে থাকে। দলবদ্ধ হয়ে খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি পালনের সময় স্বীয় দলকে বিজয়ী করার জন্য সহযোগিতা, সমন্বয়, সহমর্মিতা, দলীয় একাত্মতা ও সদ্ভাব রক্ষা করে চলতে শেখে।

খেলাধুলার মাধ্যমে নেতৃত্বদানের ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। কারণ, খেলাধুলার সময় দলীয় নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীকালে সমাজ জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অন্যদের সাথে চলাফেরা, ওঠাবসা, আচার আচরণে এবং সামাজিক কোনো কর্মকান্ডে এই গুণগুলো প্রতিফলিত হয়। এছাড়াও শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মাঝে দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনাবোধ, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়।

নৈতিক উন্নতি

শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বহুবিধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে শৃংঙ্খলা এবং বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলতে শেখে। ফলে শিক্ষার্থী মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে না। ন্যায় ও অন্যায় বিচার করে সে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়। শিক্ষক ও বড়দের কথা মেনে চলে। নিয়ম মেনে খেলতে গিয়ে বিপক্ষ দলের সাথে খারাপ আচরণ করার সুযোগ থাকে না। এ অভ্যাসের কারণে অপরাধ প্রবণতা থেকে সরে গিয়ে শিক্ষার্থী উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়।

অঙ্গ সঞ্চালন ও খেলাধুলার কলাকৌশল অর্জন :

শারীরিক শিক্ষার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বসা, দাঁড়ানো, হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানো এবং খেলাধুলার বিভিন্ন কলাকৌশল শেখানো হয়। খেলাধূলার পূর্বে ওয়ার্ম-আপ করা খুবই জরুরী। শরীরকে ব্যায়ামের মাধ্যমে নির্দিষ্ট খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত করার নাম ওয়ার্ম-আপ। এর ফলে অঙ্গ সঞ্চালনের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। খেলাধুলার কৌশল শেখার মাধ্যমে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করা সম্ভব হয়।

সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটে

খেলার সময়কালীন সহযোগী ও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের অবস্থানের দ্রুত পরিবর্তন হয়। প্রতিযোগিতায় কাঙ্খিত ফল লাভের জন্য প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত এই অভ্যাসের ফলে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকাশ লাভ করে।

অবসর ও চিত্তবিনোদন

শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকারের ব্যায়াম ও খেলাধুলা করে অফুরন্ত আনন্দ লাভ করে। ফলে তারা প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে অবসর সময়গুলোকে আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে।

খেলাধুলাবিহীন তরুণ সমাজ অবসর সময়ে বিভিন্নভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। একমাত্র আনন্দময় খেলাধুলাই পারে এ অবস্থা থেকে তরুণ সমাজ তথা জাতিকে মুক্ত করতে।

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ হলো অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ কারণে। এই ক্যাফেইন যদি আপনি শরীরে অতিরিক্ত সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এর ফলে শীরর কাঁপতে  শুরু করে। এটি দেখা দিতে পারে যদি শরীরে বাহিরে বেশি চা সেবন করেন বা অন্য কিছু সেবন করেন শরীরে খারাপ হবে এমন।  তাছাড়া এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার মধ্যে ক্যাফেইন থেকে থাকে। why is my body shaking for no reason এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত পেয়ে গেছেন। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে দেখতে হবে এর মধ্যে ক্যাফেইন আছে কি না।

শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ মধ্যে আরেকটি শরীরের যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন না থাকা। দূর্বল শরীরের কারণে শরীর কাঁপতে শুরু করে। তাই নিয়মিত খাবার সেবন করে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। পরিমাণ মত ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং বেশি বেশি উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন সবজি খেতে হবে তাহলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারবে। আর সাভাবিক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য মাছ মাংস এর পাশাপাশি অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে বেশি বেশি করে।

শরীর ঝিমঝিম করার কারণ ও প্রতিকার, শরীর দুর্বল হলে করণীয়

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

শরীরের দুর্বলতা কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান:

শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়, শরীর সুস্থ রাখার উপায়

শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষকেই ফিট বলা যায়। সেজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম ও মনের খোরাকের দিকেই নজর দিতে হয়। নিজেকে ফিট রাখতে যা করবেন জেনে নিন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

শরীর সমার্থক শব্দ

শরীর সমার্থক শব্দ কলেবর; গা; দেহ; অঙ্গ

শরীরের উপরের অংশ অর্থ

মস্তক(মাথা, Head) ও গ্রীবা (গলা, Neck)- “থোরাসিক ইনলেট” (অর্থাৎ বক্ষের প্রবেশপথ)-এর উপরের সবকিছু। বক্ষের প্রবেশপথ দুপাশে প্রথম পিঞ্জরাস্থি (পাঁজর), পিছনে প্রথম বক্ষ কশেরুকা ও সামনে স্টার্নাম দিয়ে ঘেরা।
উর্ধ্ববাহু (উর্ধাঙ্গ, Upper limb)- এতে আছে হাত, কব্জি, কলাচী, কনুই, বাহু এবং স্কন্ধ (কাঁধ)।
বক্ষ (বুক, Thorax)- থোরাসিক ইনলেট হতে মধ্যচ্ছদা (থোরাসিক ডায়াফ্রাম) পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
উদর (পেট, (Abdomen)- মধ্যচ্ছদা (থোরাসিক ডায়াফ্রাম) হতে শ্রোণীচক্রের উপরের কানা (পেলভিক ব্রিম বা পেলভিক ইনলেট পর্যন্ত সবকিছূ।
পৃষ্ঠ(পিঠ, Back)- মেরুদণ্ড ও তার অংশসমূহ, কশেরুকা (vertebrae) এবং আন্তঃকশেরুকীয় চাক্তি (inter vertebral disks) ও মেরুদণ্ডের দুপাশের পেশী (paraspinal muscles) ও তাদের আনুষঙ্গিক অংশ সমূহ।

শরীরের সবচেয়ে কঠিন অংশ কোনটি

মানুষের দেহে কঠিনতম অংশ হল এনামেল এনামেল মানুষের দাঁতে অবস্থিত ৷

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে
Exit mobile version