Class 8 Science Chapter 1 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 1

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Science Class 8, Plant, উদ্ভিদ |Class 8 Science Chapter 1

প্রশ্নপত্র

উদ্ভিদ কাকে বলে

উদ্ভিদ শব্দটি দুটি শব্দ যোগে সৃষ্টি হয়েছে- উৎ এবং ভিদ। উৎ অর্থ উপরে ওঠা এবং ভিদ অর্থ ভেদ করা। নামটা যেমন, উদ্ভিদের সংজ্ঞাও তেমনি।

উদ্ভিদের সংজ্ঞা: যা মাটি ভেদ করে উপরে উঠে, অথচ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে না তাদেরকে উদ্ভিদ বলা হয়।

যেসব জীবের দেহ মূল, কান্ড, পাতায় বিভক্ত এবং যারা অধিকাংশই সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়ে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য নিজের জন্য নিজেই তৈরী করতে পারে এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে না তাদেরকে উদ্ভিদ বলে। যেমন : কাঠাল গাছ, আম গাছ, লিচু গাছ ইত্যাদি।

পৃথিবীতে প্রায় ৩৫০,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে বলে ধারণা করা যায়। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ২৮৭,৬৬৫ টি প্রজাতিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে এটা প্রথম করেন স্যার জগদীস চন্দ্র বসু।

উদ্ভিদ কোষ, উদ্ভিদ কোষ কাকে বলে

উদ্ভিদ দেহ যে কোষ দ্বারা গঠিত তাকে উদ্ভিদ কোষ বলে। এটি উদ্ভিদদেহের গঠন ও কার্যের একক। উদ্ভিদের জড় কোষপ্রাচীর থাকে। কোষে থাকে বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু, যেমন- কোষঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, সাইটোপ্লাজম, ক্লোরোপ্লাস্ট, নিউক্লিয়াস, গলজিবডি, রাইবোজোম, লাইসোজোম, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, মাইটোকনড্রিয়া, কোষ গহ্বর।

উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য :

নিচে উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-

  • কোষপ্রাচীর থাকে।
  • এ কোষে প্লাস্টিড থাকে।
  • এ কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।
  • লাইসোজোমের উপস্থিতি বিরল।
  • পরিণত উদ্ভিদ কোষে বড় কোষগহ্বর থাকে।
  • এ কোষে মাইক্রোভিলাই থাকে না।

উদ্ভিদ কোষ ছবি, উদ্ভিদ কোষের চিত্র, উদ্ভিদ কোষ চিত্র

উদ্ভিদ কোষ চিত্র

উদ্ভিদ জগতের শ্রেণিবিন্যাস

উদ্ভিদজগতকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্ভিদবিদ বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিন্যাস করেছেন। এ সমস্ত শ্রেণিবিন্যাসকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  • কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি
  • প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি এবং
  • জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।

কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি

কোন একটি বা বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে উদ্ভিদজগতের যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয় তাকে কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি বলা হয়।

থিয়োফ্রাস্টাস এবং পিনিয়াসের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির উদাহরণ।

প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি

বিভিন্ন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ গোষ্ঠীর মধ্যে সামগ্রিক অঙ্গসংস্থানিক সাদৃশ্যের উপর নির্ভর করে যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয় তাকে প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি বলা হয়।

জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি

বিভিন্ন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ গোষ্ঠীকে তাদের উৎপত্তিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বিবর্তন ধারা অনুযায়ী আদি হতে আধুনিক ক্রমধারায় সাজিয়ে যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয় তাকে জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি বলা হয়।

এসলার প্রান্টল, হাচিনসন, বেসি, এনকুইস্ট, তাতাইয়ান প্রমুখ বিজ্ঞানীর দেয়া শ্রেণিবিন্যাস জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির উদাহরণ।

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য

উদ্ভিদ কোষ                          প্রাণী কোষ 
(1) কোষপ্রাচীর উপস্থিত।(1) কোষপ্রাচীর অনুপস্থিত।
(2) কোষপ্রাচীর দ্বারা আবৃত।(2) প্লাজমা পর্দা দ্বারা আবৃত।
(3) প্লাস্টিড উপস্থিত।(3) প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
(4) বড় কোষগহ্বর থাকে। (4) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষগহ্বর থাকে।
(5) নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে না।(5) প্রায় সময় নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে। 
(6) সেন্ট্রিওল থাকে না।(6) সেন্ট্রিওল থাকে।
(7) লাইসোজোম খুবই কম থাকে।(7) লাইসোজোম সবসময় উপস্থিত থাকে।
(8) আকারে সাধারণত বৃহত্তর হয়।(8) আকারে তুলনামূলক ছোট হয়।
(9) নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের এক কোণায় থাকে।     (9) নিউক্লিয়াস সাধারণত কেন্দ্রে থাকে।
(10) গ্লাইঅক্সিজোম উপস্থিত থাকতে পারে।(10) গ্লাইঅক্সিজোম অনুপস্থিত থাকে।
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য

উদ্ভিদ দেহে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ভূমিকা উল্লেখ কর, উদ্ভিদ দেহে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ভূমিকা উল্লেখ করো, উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিড এর ভূমিকা উল্লেখ করো, উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ভূমিকা উল্লেখ করো, উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিডের ভূমিকা

উদ্ভিদ কোষের সবচেয়ে বড় অঙ্গানু যা উদ্ভিদের জন্য খাদ্য প্রস্তুত, সঞ্চয় ও পরাগায়নে সাহায্য করে, তাকে প্লাস্টিড বলে।

প্লাস্টিড উদ্ভিদ কোষের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গাণু। কেননা উদ্ভিদ কোষ ব্যাতীত প্রাণী কোষে প্লাস্টিড পাওয়া যায় না। এজন্য প্লাস্টিডকে উদ্ভিদ কোষের স্বতন্ত্র অঙ্গানু বলা হয়।

প্লাস্টিডের প্রধান কাজ খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদ দেহকে বর্ণময় ও আকর্ষণীয় করা৷ বিভিন্ন ধরনের কীট প্রতঙ্গ কে আকৃষ্ট করে অর্থাৎ পরাগায়ণে সাহায্য করাই হলো প্লাস্টিডের কাজ।

ক্লোরোপ্লাস্ট

উদ্ভিদের সবুজ বর্ণের অংশগুলোতে (পাতা, কচি কাণ্ড ইত্যাদিতে) এ প্লাস্টিড পাওয়া যায়। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরিতে সাহায্য করাই এর প্রধান কাজ।

ক্রোমোপ্লাস্ট

ক্যারোটিন, জ্যান্থফিল ইত্যাদি রঞ্জক পদার্থের উপস্হিতির কারণে এ প্লাস্টিড বিভিন্ন রঙের হয়। গাজর, ফুল ও উদ্ভিদের অন্যান্য রঙিন অংশে এটি পাওয়া যায়। কীটপতঙ্গ ও অন্যান্য জীবজন্তুকে আকর্ষণ করে পরাগায়নে সহায়তা করা এর কাজ।

লিউকোপ্লাস্ট

এটি বর্ণহীন প্লাস্টিড। সাধারণত উদ্ভিদের যেসব স্হানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না (যেমন, মূল) সেখানে এটি পাওয়া যায়। এর প্রধান কাজ খাদ্য সঞ্চয় করা। তবে সূর্যের আলো পেলে এটি ক্লোরোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হতে পারে।

উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে

উদ্ভিদ বিদ্যার জনক থিওফ্রাস্টাস। 

উদ্ভিদ হরমোন, উদ্ভিদ হরমোনের বৈশিষ্ট্য

উদ্ভিদ হরমোন বা ফাইটোহরমোন হল উদ্ভিদ দেহে অবস্থিত শারীরবৃত্তীয় রাসায়নিক যৌগ, যা উদ্ভিদদেহের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চারিত হয় ও উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এগুলো উদ্ভিদদেহে অত্যন্ত কম মাত্রায় উপস্থিত থাকে।

  • উৎস : প্রধানত মূল ও কান্ডের অগ্রভাগের ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন হয়।
  • পরিবহনের ধরন : ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষ থেকে কোষ আনতরে বাহিত হয়
  • কাজ : কোষে কোষে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করা হরমোনের উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও কোশবিভাজন নিয়ন্ত্রণ করা।
  • ফুলের পরিস্ফুটন, উৎপত্তি পরিণতি ও যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সহায়তা করা ।

উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোনের পার্থক্য

বিষয়উদ্ভিদ হরমোনপ্রাণী হরমোন
ক্ষরণস্থানবর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলাঅন্তংক্ষরা গ্রন্থি
পরিবহনকলারসের মাধ্যমে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পরিবাহিত হয়রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে বাহিত হয়় 
ব্যবহার প্রয়োগ ব্যাপকপ্রয়োগ কম

উদ্ভিদের পর্ব মধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, উদ্ভিদের পর্ব মধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায়, উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় যে হরমোন সেটি নির্বাচন করো

উত্তর: উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় যে হরমোন সেটি হল জিব্বেরেলিন হরমোন।

উদ্ভিদের পাতার প্রধান কাজ কী কী

পাতার প্রধান কাজ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভিদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা. ক্লোরোফিল, পদার্থ যা উদ্ভিদকে তাদের বৈশিষ্ট্যযুক্ত সবুজ রঙ দেয়, আলোক শক্তি শোষণ করে। পাতার অভ্যন্তরীণ গঠন পাতার এপিডার্মিস দ্বারা সুরক্ষিত, যা স্টেম এপিডার্মিসের সাথে অবিচ্ছিন্ন থাকে।

  • খাদ্য তৈরি করা
  • পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালানো।
  • বাস্পমোচনে সাহায্য করা।
  • খাদ্য এবং জলের আধার হিসেবেও কাজ করতে পারে।

পাতার প্রতিটি অংশের কাজ কী

কাঠামোর নামগঠনকাজ
পিথভ্যাকুওল এবং প্লাস্টিড সহ প্যারেনকাইমাস্টোরেজ, সমর্থন
প্লাজমোডেসমাটাসাইটোপ্লাজম সংযোগকারী চালনী টিউবের মধ্যে খোলারস পরিবহন
স্পঞ্জি কোষগোলাকার, বিস্তৃত ব্যবধানে, স্টোমাটার কাছেগ্যাস বিনিময়ের অনুমতি দিন
সুবেরিনমোমের অণুওয়াটারপ্রুফিং

উদ্ভিদের প্রকরণ চলন কি, উদ্ভিদের প্রকরণ চলন কি উদাহরণ দাও

উত্তর: রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন দেখা যায় তাকে প্রকরণ চলন বলে। বনচাঁড়াল এর পাতার পার্শ্বীয় পত্রক দুটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পর্যায়ক্রমে উপর নিচে ওঠা-নামা করে। এটি এক প্রকারের রসস্ফীতি জনিত চলন যা কেবলমাত্র দিনের বেলাতেই ঘটে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়তে

ক্লাস 9 জীবন বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান নোট রেফারেন্স বই WBBSE




পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য



FAQ | উদ্ভিদ

Q1. পর্ণমোচী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – এক ধরনের উদ্ভিদ যেখানে শীতের শুরুতে বা শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ গাছের পাতা ঝরে যায়। প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় (transpiration) উদ্ভিদদেহ থেকে পানি হারাবার মাত্রা কমানোই এ বৈশিষ্ট্যের কারণ।
শাল, সিমুল, সেগুন, জারুল, মহুয়া, পলাশ, শিরিস, বট, অশ্বত্থ, কুসুম, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি পর্ণমোচী বৃক্ষের উদাহরণ ।

Q2. গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যেসব উদ্ভিদের কাণ্ড শক্ত কিন্তু বিক্ষের মতো দীর্ঘ ও মোটা নয়, এরা মাঝারি আকারের হয় এবং এদের কাণ্ড থেকে বহু শাখা-প্রশাখার সৃষ্টি হয়, এ উদ্ভিদগুলো দেখতে অনেকটা ঝোপের মতো দেখায়, এসকল উদ্ভিদকেই গুল্ম উদ্ভিদ বলে।

Q3. গুপ্তবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যেসব উদ্ভিদের ফুল, ফল ও বীজ হয় এবং বীজগুলো ফলের মধ্যে আবৃত বা গুপ্ত থাকে তাদেরকে আবৃতবীজী বা গুপ্তবীজী উদ্ভিদ বলে। যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।

Q4. আবৃতবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যেসব উদ্ভিদের ফুল, ফল ও বীজ উৎপন্ন হয় এবং ফলের বীজ নির্দিষ্ট আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে তাদের আবৃতবীজী উদ্ভিদ বা অ্যানজিওস্পার্ম বলে।

Q5. একবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যে সকল উদ্ভিদের বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে তাদেরকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন – নারিকেল । পাতায় সরল শিরাবিন্যাস বিদ্যমান। গাছের বাকল অপরিবর্তিত থাকে।

Q6. সমাঙ্গদেহী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যাদের দেহ মূল,কান্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না তাদের সমাঙ্গদেহী বলা হয়। শৈবাল জলজ সুকেন্দ্রিক এককোষী বা বহুকোষী জীব, যারা সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। শৈবালে কখনও সত্যিকার মূল, কান্ড ও পাতা সৃষ্টি হয়না I এরা সমাঙ্গদেহী বা থ্যালয়েড I

Q7. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যে সকল উদ্ভিদের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাদেরকে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন – আম। পাতায় যৌগিক জালিকা শিরাবিন্যাস বিদ্যমান। গাছের বাকলে পরিবর্তন দেখা যায়।

Q8. সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যে সকল উদ্ভিদের ফুল হয় সেগুলোকে সপুষ্পক উদ্ভিদ (Flowering plant) বলে। গোলাপ, জবা, আম, শাপলা সপুষ্পক উদ্ভিদের উদাহরণ। সপুষ্পক উদ্ভিদের দেহ সুস্পষ্টভাবে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত। দেহে অত্যন্ত উন্নত ধরনের পরিবহন কলা উপস্থিত থাকে।

Q9. ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – ভেষজ উদ্ভিদ (Herb) হলো এমন গাছ যা সাধারণত খাদ্য, স্বাদবৃদ্ধি, ঔষধ অথবা সুগন্ধের জন্য ব্যবহৃত হয়।
রান্না করতে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে মশলা উৎপাদন করা হয়। সাধারণত গাছের সতেজ অথবা শুকনো পাতা আর ফুলের অংশ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। গাছের বীজ, ফল, বাকল এবং শিকড় থেকে মশলা তৈরি হয়।

Q10. নগ্নবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে

Ans – যেসব উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে না, ফলে ডিম্বকগুলো নগ্ন থাকে তাদেরকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলে। যেমন- ডাব, নারিকেল, সাইকাস, পাইনাস ইত্যাদি।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।