মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 7

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ভিটামিন, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 7

ভিটামিন কাকে বলে, ভিটামিনের সংজ্ঞা

যে বিশেষ জৈব পরিপোষক সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে তাকে Vitamins বলে।

ভিটামিন কে আমাদের কি কাজে লাগে, ভিটামিনের (Vitamin) কাজ ও গুরুত্ব

প্রকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ভিটামিনের কার্যকারিতা আলাদা আলাদা। ভিটামিন এর প্রধান কাজ হল প্রাণী দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ভিটামিন এ (Vitamin A) রাতকানা এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, ভিটামিন বি বেরিবেরি ও রক্তহীনতা প্রতিরোধ করে, ভিটামিন ডি রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করে, ভিটামিন কে হেমারেজ বা রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে এবং ভিটামিন সি ও পি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।

ভিটামিন কে, ভিটামিন কে আবিষ্কার করেন

1881 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী Lunin প্রথম লক্ষ্য করেন যে, উপযুক্ত পরিমাণ শর্করা প্রোটিন ফ্যাট জল ও খনিজ লবণ ইত্যাদি গ্রহণ করেও জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি সম্ভব হয় না এবং কিছুদিনের মধ্যেই অপুষ্টিজনিত রোগে জীবের মৃত্যু হয়।

সুতরাং, জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য বিশেষ এক ধরনের খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয়। বিজ্ঞানী Hopkins ওই বিশেষ এক ধরনের খাদ্য উপাদান কে অত্যাবশ্যকীয় সহায়ক খাদ্য উপাদান নামে অভিহিত করেন। 1911 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী Casimir Funk ওই খাদ্য উপাদান কে ভিটামিন (Vitamin) নামে অভিহিত।

ভিটামিন এ, ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম কি

রাসায়নিক নাম : রেটিনোল (Retinol)।

ভিটামিন এ এর উপকারিতা, ভিটামিন এ এর কাজ, ভিটামিন এ এর ভূমিকা

  • এই ভিটামিন প্রাণীদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • রেটিনার রড কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
  • গ্রন্থি এবং আবরণী কলার কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
  • রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • স্নায়ু কলার পুষ্টি কার্যকরিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • অস্থি কোষের স্বাভাবিক ক্রিয়া এবং পুরো অস্থির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ

  • ভিটামিন এ (Vitamin A) এর অভাবে রাতকানা এবং অন্ধত্ব বা জেরোফথ্যালমিয়া রোগ হয়।
  • ফ্রিনোডার্মা বা টোড-স্কিন অর্থাৎ তোমাকে ব্যাংকের চামড়ার মত খসখসে হয়ে যায় এবং ফেটে যায়।
  • পরিপাকনালী, শ্বাসনালীর আবরণী কলা, স্নায়ু ইত্যাদির ক্ষয় হয়।
  • মেরুদন্ড এবং করোটির অস্থি বৃদ্ধি হয়।
  • ক্যারাটোম্যালেশিয়া অর্থাৎ কর্নিয়া বিনষ্ট হয়।
  • রেনাল স্টোন অর্থাৎ বৃক্কে পাথর সৃষ্টি হয়।

ভিটামিন এ জাতীয় খাবার

গাজর, টমেটো ইত্যাদি ফল পালংশাক, বাঁধাকপি, উদ্ভিজ্জ তেলে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তাছাড়া কড, হাঙ্গর ও হ্যালিবাট মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। দুধ, ডিমের কুসুম, মাখন মাছ ইত্যাদিতেও এই ভিটামিন থাকে।

ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নয়, কোন ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নয়, কোনটি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নয়, কোন ভিটামিন a জাতীয় খাবার নয়, কোনটি ভিটামিন a জাতীয় খাবার নয়,
কোনটি ভিটামিন a জাতীয় খাবার নয় class 5

স্ট্রবেরি এমন খাবার যাতে ভিটামিন এ নেই।

কোন ভিটামিন ভিটামিন এ ধ্বংস থেকে রক্ষা করে, ভিটামিন এ কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে কোন ভিটামিন, ভিটামিন a কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে কোন ভিটামিন

ভিটামিন ই ভিটামিন এ ধ্বংস থেকে রক্ষা করে।

ভিটামিন ই মূলত একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে ভিটামিন এ এবং সি সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে কারণ এর অ্যান্টি-অক্সিডেশন বৈশিষ্ট্য রয়েছে.. এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে লোহিত রক্তকণিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিডগুলিকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই নিয়মিত গ্রহণ করলে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হয়।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল ‘ইভিয়ন’ ক্যাপসুল নামেও পরিচিত। ত্বকের যত্নে্র ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। ত্বকের বেশ কিছু সমস্যার চটজলদি সমাধান পাওয়া যায় ভিটামিন ই-এর ব্যবহারে। তবে শুধু ত্বকের পরিচর্যাতেই ভিটামিন ই কাজে লাগে, এমন নয়। দেহের সামগ্রিক সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভিটামিন ই ব্যবহার করা যেতে পারে।

নখের যত্নে

প্রাত্যহিক জীবনের যাবতীয় কাজ করার ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হল দু’টি হাত। বিশেষ করে যাঁরা রান্না বা কাপড় কাচার মতো কাজ রোজ করে থাকেন, তাঁদের নখের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। একটুতেই যত্ন করে বড় করা নখ ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় নখের মধ্যে হলুদ দাগছোপও পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নখ ভাল রাখতে দরকার ভিটামিন ই ক্যাপসুল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখ এবং নখের চারপাশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল করে মালিশ করে নিলে নখ থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।

নাইটক্রিম হিসাবে

রাতে শুতে যাওয়ার আগে অনেকেই নাইটক্রিম বা কোনও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। এই ক্রিমের মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে দিলে সিরামের কাজ করবে। ত্বক আর্দ্র থাকবে।

চুলের যত্নে

এক ঢাল লম্বা চুলের স্বপ্ন সত্যি করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল। চুলে নিয়মিত যে তেল ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে সপ্তাহে দু’দিন মাথায় মাখতে পারেন। ২-৩ ঘণ্টা রেখে তার পর মাথায় শ্যাম্পু করে নিন। চুল বৃদ্ধি পাবে দ্রুত।

বলিরেখা প্রতিরোধে

অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশ কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে মালিশ করলে ত্বক টানটান হয়।

মানবদেহে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি এর ভূমিকা উল্লেখ করো, মানবদেহে ভিটামিন a ও ভিটামিন d এর ভূমিকা উল্লেখ করো

ভিটামিন A ভূমিকা

  • রেটিনার রড কোশ গঠনে সাহায্য করে।
  • ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে।
  • রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ভিটামিন D ভূমিকা

  • অস্থি ও দন্ত গঠনে সহায়তা করে।
  • অস্থি ও রক্তে Ca-র সাম্যতা বজায় রাখে
  • অন্ত্রে Ca ও P শোষণে সহায়তা করে

ভাজক কলার বৈশিষ্ট্য

  • ভাজক কলার কোশগুলি আকারে সাধারণত ছোটো এবং দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে প্রায় সমান হয়।
  • কোশগুলি গোলাকার, ডিন্বাকার অথবা বহুভুজাকার হয়।
  • প্রতিটি কোশ ঘন, দানাদার সাইটোপ্লাজমে পূর্ণ থাকে।
  • কোশগুলি সর্বদাই বিভাজনে সক্ষম।

অ্যানিমিয়া কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

ভিটামিন B12 এর অভাবের কারণে ক্ষতিকারক অ্যানিমিয়া হয়। ভিটামিন B12 এর রাসায়নিক নাম সায়ানোকোবালামিন। এটি লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় কারণ আমরা জানি যে লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে যার মধ্যে আয়রন থাকে এবং সেই কারণে ঘাটতিও অ্যানিমিয়াতে পরিণত হয়।

ভিটামিন a to z এর উপকারিতা

সাধারণত চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখার ফলেই এই ভিটামিন দিয়ে থাকে। তবে আমরা কি জানি এই ভিটামিন কোন কোন উপাদানে তৈরি হয়েছে তবে যদি না জেনে থাকি তাহলে অবশ্যই নিচের অংশের মাধ্যমে আমরা সেগুলো জানার চেষ্টা করব। এখন আমরা জানবো কোন কোন উপসর্গের ফলে ডাক্তারেরা এই ভিটামিন দিয়ে থাকে।

যে সকল রোগীদের ডায়াবেটিস জনিত স্নায়ু রোগ আছে তাদের অবশ্যই এই ভিটামিন দেওয়া হয়ে থাকে এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য এই ভিটামিন দেওয়া হয়ে থাকে। রক্তস্বল্পতা থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও চোখের সমস্যার কারণে A to Z নামক এই ভিটামিন দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা এবং উচ্চ কলেজস্টল রয়েছে এমন ধরনের ব্যক্তির জন্য A to Z নামক এই ভিটামিন দেওয়া হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি যাদের নিয়মিত বুক ব্যথা করে তাদের ক্ষেত্রেও ডাক্তাররা এই ওষুধ পরিমিত পর্যায়ে খেতে বলেন এর পাশাপাশি যাদের মাথার চুল পড়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য এই মাল্টিভিটামিন ঔষধ ডাক্তারেরা রে কমেন্ট করতে পারে।

ভিটামিন বি, ভিটামিন বি এর রাসায়নিক নাম কি

রাসায়নিক নাম : বি1 -থিয়ামিন, বি 2 – রাইবোফ্লাভিন, বি3 – প্যান্টোথেনিক এসিড, বি4 – কোলিন, বি5 – নিয়াসিন, বি 6 – পাইরিডক্সিন, বি12 – সায়ানোকোবালামিন।

ভিটামিন বি এর অভাবে কি রোগ হয়, ভিটামিন বি এর অভাবে কি হয়

  • (1) বেরিবেরি সাধারণত বি-1 এর অভাবে হয়। এই রোগে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে শোথ এবং পক্ষাঘাত হয়।
  • (2) পর্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা সাধারণত ফলিক এসিড এবং বি-12 এর অভাবে হয়।
  • (3) পেলেগ্রা (এই রোগে চামড়া ও অন্ননালীর বিভিন্ন অংশ ফোলে, জিহ্বায় প্রদাহ হয় এবং দেহের নানা অংশের চামড়া খসখসে ও কালচে হয়) নিয়াসিন এর অভাবে হয়।
  • (4) স্টোমাটাইটিস বা মুখে ঘা এবং গ্লসাইটিস বা জিহ্বায় ঘা বি-2 এর অভাবে হয়।
  • (5) ক্ষুধামান্দ্য, অজীর্ণতা, চুল ওঠা, হাত-পা জ্বালা ইত্যাদি রোগ হয়।

ভিটামিন বি জাতীয় খাবার

খাবার : ঢেঁকিছাঁটা চাল, লাল আটা, ইস্ট, বাদাম, ভাতের ফ্যান, পালংশাক, বাঁধাকপি, টমেটো, অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ ডাল ইত্যাদিতে এই ভিটামিন থাকে। তাছাড়া দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাদ্যে ভিটামিন বি বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি ১২

ভিটামিন বি১২ শরীরের জন্য অপরিহার্য পুষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম। শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে রক্তাল্পতা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।

ভিটামিন বি১২ শরীরের জন্য অপরিহার্য পুষ্টিগুলির মধ্যে অন্যতম। শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে রক্তাল্পতা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।

  • মাছ: প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মাছ রেখে আপনি ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। বিশেষত সামুদ্রিক খাবার ভিটামিন বি১২-এর সমৃদ্ধ উৎস। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অনুসারে, ১৫০ গ্রাম সামুদ্রিক খাবারে ৫৫৪ শতাংশ ভিটামিন বি১২-এর চাহিদা পূরণ হতে পারে।
  • মাংস: যদিও অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট শরীরের পক্ষে ভাল নয়। কিন্তু এই খাবারে আপনার শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে। এছাড়াও আপনি মুরগির মাংসও খেতে পারেন। এতে প্রোটিনের ঘাটতিও পূরণ হয়ে যাবে।
  • ডিম: পুষ্টিবিদদের মতে, একটা ডিমে প্রায় ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-১২ রয়েছে। এটি আপনার শরীরের প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন বি-১২ এর চাহিদা পূরণ করে।
  • দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য ভিটামিন বি১২-এর দুর্দান্ত উৎস। গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে আপনি ওটস মিল্ক কিংবা সোয়া মিল্ক খেতে পারেন। ইউএসডিএ অনুসারে, এক কাপ সোয়া মিল্ক দৈনন্দিন চাহিদার ৪৫ শতাংশ ভিটামিন বি-১২ পূরণ করে।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স

প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায় এমন একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন বি-১২।

ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। রক্তশূন্যতায় রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে, অল্প শ্রমেই ক্লান্ত ও হাঁপিয়ে ওঠে, বুক ধড়ফড় করে। পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগতে পারেন, হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।

কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ শরীর ঝিনঝিন করা, অবশ লাগা কিংবা বৈদ্যুতিক শকের মতো অনুভূতিও হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে। এ ছাড়া দৃষ্টি ঘোলাটে লাগতে পারে, একটি জিনিস দুটি দেখা, চুল সাদাটে হওয়া বা পড়ে যাওয়া, নখের স্বাভাবিক রং হারানো এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির কারণে স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে। ফলে হাঁটতে-চলতে এবং ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।

ভিটামিন সি, ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম কি

রাসায়নিক নাম : অ্যাসকরবিক এসিড।

ভিটামিন সি এর উপকারিতা

ভিটামিন সি (Vitamin C) আমরা কেন গ্রহণ করব এর কিছু উপকার রয়েছে সেগুলি আমরা পয়েন্টের মাধ্যমে আলোচনা করব যেমন –

  • (1) লোহিত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা গঠনে সহায়তা করে।
  • (2) দাঁতের মাড়িতে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
  • (3) দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
  • (4) কলা কোষে হাইড্রোজেন বিযুক্ত করে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সহায়তা করে।

ভিটামিন সি আমরা কোন কোন খাবার থেকে পাই, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

কমলালেবু আম পেয়ারা আঙ্গুর অঙ্কুরিত ছোলা কাঁচা লঙ্কা ফুলকপি পালং শাক টমেটো ইত্যাদিতে এই Vitamin C প্রচুর পরিমাণে থাকে।

উল্লেখ্য প্রায় সব ধরনের টকজাতীয় ফলে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। এই ভিটামিন প্রাণিজ খাদ্য খুবই কম থাকে, তবে মাতৃ দেহের স্তনদুগ্ধ থাকে। কিন্তু পাস্তুরাইজড দুধে এবং ফুটন্ত দুধে একেবারেই থাকে না।

ভিটামিন সি অভাবজনিত রোগ

আমাদের শরীরে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে আমাদের কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা যায় সেগুলি আমরা জানব।

  • (1) স্কার্ভি রোগ বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।
  • (2) রক্তহীনতা অর্থাৎ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত না থাকা।
  • (3) অস্থি ও দন্ত ক্ষয় হয়।
  • (4) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সহজেই ঠান্ডা লাগে।
  • (5) রক্তের লোহিত কণিকা এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায়।
  • (6) ক্ষতস্থান সহজে শুকায় না।

ত্বকে রোদ লাগলে ভিটামিন সি তৈরি হয়

না, ত্বকে রোদ লাগলে ভিটামিন সি তৈরি হয় না ।

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ। আমাদের ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে ভিটামিন ডি তৈরি করে। ত্বক ভালো রাখতে যেমন চাই ভালো খাবারদাবার ও শরীর চর্চা, পাশাপাশি ত্বক ও মন ভালো রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর। গবেষণা বলছে, সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীর প্রায় ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ডি-৩ পায়। এ জন্য ভিটামিন ডি সানশাইন ভিটামিন নামেও পরিচিত।

ভিটামিন সি ক্যাপসুল

যেহেতু আপনার শরীর ভিটামিন সি তৈরি করে না, তাই আপনাকে এটি আপনার খাদ্য থেকে পেতে হবে। ভিটামিন সি সাইট্রাস ফল, বেরি, আলু, টমেটো, গোলমরিচ, বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ব্রকলি এবং পালং শাকে পাওয়া যায়। ভিটামিন সি একটি মৌখিক সম্পূরক হিসাবেও পাওয়া যায়, সাধারণত ক্যাপসুল এবং চিবানো ট্যাবলেটের আকারে।

বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি পান। ভিটামিন সি এর ঘাটতি এমন লোকেদের মধ্যে বেশি হয় যারা:

  • ধূমপান বা সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসে
  • নির্দিষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অবস্থা বা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার আছে
  • একটি সীমিত খাদ্য যা নিয়মিত ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত না
  • মারাত্মক ভিটামিন সি-এর অভাব স্কার্ভি নামক রোগের কারণ হতে পারে, যার ফলে রক্তশূন্যতা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, ক্ষত এবং দুর্বল ক্ষত নিরাময় হয়।

ভিটামিনের রাসায়নিক নাম

বিভিন্ন ভিটামিনের (Vitamin) রাসায়নিক নাম

ভিটামিন (Vitamin)রাসায়নিক নাম
Vitamin Aরেটিনল
Vitamin B1থিয়ামিন
Vitamin B2রাইবোফ্লাভিন
Vitamin B3প্যান্টথ্যানিক অ্যাসিড
Vitamin B4কোলিন
Vitamin B5নিয়াসিন
Vitamin B6পাইরিডক্সিন
Vitamin B12সায়ানাকোবালামিন
Vitamin Cঅ্যাসকরবিক অ্যাসিড
Vitamin Dক্যালসিফেরল
Vitamin Eটোকোফেরল
Vitamin Kফাইলোকুইনন বা ন্যপথোকুইনন
ভিটামিনের রাসায়নিক নাম
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 7

ভিটামিন কাকে বলে, ভিটামিনের সংজ্ঞা
যে বিশেষ জৈব পরিপোষক সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে তাকে Vitamins বলে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।