মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান ক্লাস 6

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান ক্লাস 6

অঙ্গ কাকে বলে

এক বা একাধিক পরিমান টিস্যু দিয়ে তৈরী একটা নির্দিষ্ট কাজ সম্পূর্ন সক্ষম প্রাণিদেহের অংশবিশেষকে অঙ্গ (Organ) বলে ।দেহের অঙ্গসমূহ নিয়ে জীববিজ্ঞানের  যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Morphology) বলে । মানবদেহে দু ধরনের অঙ্গ আছে । চোখ, মাথা,কান,হাত,পা- এগুলো বাহ্যিক অঙ্গ । প্লীহা,ফুসফুস, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়, পাকস্থলি, ইলিয়াম, যকৃত, মলাশয়,ডিওডেনাম,বৃক্ক-এগুলো হচ্ছে মানবদেহের অভ্যান্তরীণ অঙ্গ।

সমসংস্থ অঙ্গ কাকে বলে

যেসব অঙ্গের গঠন একই প্রকার কিন্তু কাজ আলাদা তাদের সমসংস্থ অঙ্গ বলে । যেমন- ব্যাঙের অগ্রপদ, পাখির ডানা, তিমির ফ্লিপার, ঘোড়ার অগ্রপদ ,মানুষের হাত ইত্যাদি।

তন্ত্র কাকে বলে

পরিপাক,শ্বসন,রেচন,প্রজনন ইত্যাদি শরীরবৃত্তীয় কাজ করার জন্য প্রাণী দেহে কতগুলো অঙ্গের সমন্বয়ে বিভিন্ন তন্ত্র গঠিত হয় । নিম্নে কিছু তন্ত্রের নাম তুলে ধরা হলো ।

  • পরিপাকতন্ত্র (Digestive system)
  • শ্বসনতন্ত্র (Respiratory system)
  • স্নায়ুতন্ত্র (Nervous system)
  • রেচনতন্ত্র (Excretory system)
  • জননতন্ত্র (Reproductive system)
  • ত্বকতন্ত্র (Integumentary system)
  • অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র (Endocrine system)

অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য

 অঙ্গতন্ত্র
নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে সক্ষম এক বা একাধিক টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত প্রাণীদেহের বিশেষ অংশকে অঙ্গ বলে।কতগুলো অঙ্গের সমন্বিত গঠন যা বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম তাকে তন্ত্র বলে।
অঙ্গ বিশ্লেষন করলে বিভিন্ন ধরনের টিস্যু পাওয়া যায়।তন্ত্র বিশ্লেষন করলে বিভিন্ন প্রকার অঙ্গ পাওয়া যায়।
অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য

বাস্তুতন্ত্র কাকে বলে, বাস্তুতন্ত্র কাকে বলে উদাহরণ দাও

কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসকারী গোষ্ঠী গুলির মধ্যে একে অপরের সঙ্গে এবং এই নির্দিষ্ট অঞ্চলের পরিবেশের পারিপার্শ্বিক উপাদান গুলি সঙ্গে আন্ত: ক্রিয়ার যে বসতি করে ওঠে তাকেই বাস্তুতন্ত্র ইকোসিস্টেম বলে ।

প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের উদাহরণ হল অরণ্য, পাহাড়, নদী, তৃণভূমি ইত্যাদি।

মানব-নির্মিত বা কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র – যখন মানুষ তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ইতিমধ্যে বিদ্যমান বাস্তুতন্ত্রকে পরিবর্তন করে বা তাদের নিজস্ব একটি বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে যা প্রাকৃতিক পরিস্থিতিকে অনুকরণ করে, তখন তাদের কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র বলা হয়।

বাস্তুতন্ত্রের উপাদান

বাস্তুতন্ত্রে দু ধরনের উপাদান রয়েছে যথা – অবায়টিক বা জড় উপাদান এবং বায়টিক বা জীবজ উপাদান ।

জড় উপাদান : পরিবেশের জীবন্ত উপাদান ছাড়া অন্যান্য বাদ বাকি যে জড়বস্তু রয়েছে তাদেরকে জড় উপাদান বলে। জড় উপাদান মূলত তিন প্রকার যথা-

  • 1. ভৌত উপাদান : আলো, বায়ু, উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, সৌরশক্তি, মৃত্তিকা, বায়ুর চাপ, আদ্রতা প্রভৃতি।
  • 2. অজৈব উপাদান : বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, ফসফরাস প্রভৃতি।
  • 3.জৈব উপাদান : কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট প্রকৃতি হল জৈব উপাদানের অন্তর্গত।

জীবজ উপাদান : পরিবেশের নির্দিষ্ট কোন একটি বাস্তুতন্ত্রের সকল জীবই পরিবেশের জীবন উপাদান এই জীবজ উপাদান দুই প্রকারের যথা-

  • 1. স্বভোজি বা উৎপাদক : বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত যেসব জীব ক্লোরোফিলের সাহায্যে সূর্যালোকের উপস্থিতির মাধ্যমে বিভিন্ন অজৈব উপাদানের সহযোগে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপাদিত করে তাদের স্বভোজী বলে । যেমন- বিভিন্ন ধরনের সবুজ উদ্ভিদ ।
  • 2. পরভোজী : বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত যেসব জীব খাদ্য  উৎপাদনে অক্ষম এবং যাদের অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাদের পরভোজী বলা হয় । একে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

ম‍্যাক্রো কনজিউমার বা বৃহৎ খাদক :

  • প্রাথমিক সারির খাদক : যেসব খাদক খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণরূপে সবুজ উদ্ভিদ বা উৎপাদকের উপর নির্ভরশীল তাদের প্রাথমিক শ্রেণীর খাদক বলে । যেমন- ঘাসফড়িং, হরিণ, ইঁদুর, শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি প্রভৃতি।
  • দ্বিতীয় সারির খাদক বা গৌণ খাদক : প্রথম শ্রেণীর খাদকদের যেসব প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের গৌণ খাদক বলে। যেমন- মাকড়সা, টিকটিকি, কুকুর, বিড়াল, শেয়াল প্রভৃতি।
  • তৃতীয় শ্রেণীর খাদক বা প্রগৌণখাদক : দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদকদের যেসব প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের  প্রগৌণ খাদক বলা হয় । যেমন- বাঘ, সিংহ, কুমির, তিমি ।

মাইক্রো কনজিউমার বা অনুখাদক :

  • বাস্তুতন্ত্রের যেসব অণুবীক্ষণিক মৃতজীবি  জীব মৃত পচন দেহের একাংশ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং বাকি অংশ অজৈব পদার্থ রূপে প্রাকৃতিক ফিরিয়ে দেয় তাদের অনুখাদক বলে ।

স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে

নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে উন্নত প্রাণীদেহে প্রয়োজন মতো উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হয়, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে । 

যে তন্ত্র উদ্দীপনা গ্রহণ পরিবহন এবং উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার মাধ্যমে জীব দেহে চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অতন্ত্রগুলির শারীরবৃত্তীয় কাজের দ্রুত সংযোগ , নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সাধনের সাহায্যে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন পরিবেশের পরিবর্তনের মধ্যে সমতা রক্ষায় জীব দেহের ব্যবহারিক প্রকৃতির বিকাশ ঘটায় তাকে স্নায়ুতন্ত্র বা Nervous system বলে।

প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে

মূলত মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ু ও গ্যাঙ্গলিয়ার সমন্বয়ে প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত। এর মূল কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যোগসূত্র স্থাপন করা, যা মূলত মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের সাথে শরীরের বাকি অংশের যোগাযোগ স্থাপনকে নির্দেশ করে।

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত রকম স্নায়ুসমূহ নিয়ে এই স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়েছে । এই স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক থেকে নির্গত 12 জোড়া ক্রেনিয়াল নার্ভ বা করোটিক স্নায়ু এবং সুষুম্নাকান্ড থেকে নির্গত 31 জোড়া স্পাইনাল নার্ভ বা সুষুম্না স্নায়ু নিয়ে গঠিত ।

স্নায়ুতন্ত্রের একক কি

স্নায়ুতন্ত্রের মৌলিক একক হল নিউরন ।

স্নায়ুতন্ত্রের কাজ, স্নায়ুতন্ত্রের কাজ কি

  • [১] সমন্বয়সাধন:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় ঘটায় ।
  • [২] উদ্দীপনায় সাড়া দান:- বিভিন্ন উদ্দীপনায় প্রয়োজনমতো সাড়া দিয়ে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীকে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে স্নায়ুতন্ত্র সাহায্য করে । 
  • [৩] পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন পেশির সংকোচন ও গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ।
  • [৪]  মানসিক ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন:- মানসিক অনুভূতি, বুদ্ধি, বিচার, চিন্তা ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালনা করা স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম প্রধান কাজ ।

হরমোন কাকে বলে, হরমোন কি

হরমোন হচ্ছে এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয় এবং রক্তের মাধ্যমে দূরবর্তী নির্দিষ্ট স্থানে বাহিত হয় এবং কাজ শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। হরমোন হল একটি আভ্যন্তরীন উদ্দীপক।হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়।

উদাহরণস্বরূপ, বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য অল্প একটু হরমোনই যথেষ্ট।

হরমোনের বৈশিষ্ট্য | Characteristics of Hormones

  • [1] প্রকৃতি:- হরমোন একরকম প্রোটিনধর্মী বা স্টেরয়েড বা অ্যামাইনো ধর্মী জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা নিঃসৃত স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে ক্রিয়া করে (ব্যতিক্রম : স্থানীয় হরমোন ) ।
  • 2] পরিণতি:- হরমোন জৈব অনুঘটকের মতো ক্রিয়া করে, কিন্তু ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দ্রুত সে স্থান থেকে বের হয়ে যায় ।
  • [3] সঞ্চয়:- নিঃসৃত স্থান ছাড়া দেহের অন্য কোথাও হরমোন সঞ্চিত হয় না ।
  • [4] পরিমাণ;- হরমোন খুব স্বল্প মাত্রায় ক্রিয়া করে, কিন্তু এই ক্রিয়ার স্থায়িত্বকাল বহুদিন পর্যন্ত থাকে । প্রয়োজনের তুলনায় হরমোন কমবেশি ক্ষরিত হলে জীবদেহে অস্বাভাবিকত্ব দেখা যায় ।
  • [5] সমন্বয়কারী:- হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী অর্থাৎ কেমিক্যাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করে ।
  • [6] বার্তাবহ:- হরমোন কোষে কোষে রাসায়নিক বার্তা প্রেরণ —এই জন্য হরমোনকে রাসায়নিক দূত বা রাসায়নিক বার্তাবহ বা রাসায়নিক মেসেঞ্জার [Chemical messenger] বলে ।
  • [7] ফিডব্যাক [feed back]:- কোনো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণক্রিয়া পরোক্ষভাবে অন্য গ্রন্থির মাধ্যমে নিজেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে —এই পদ্ধতিকে ফিড-ব্যাক বলা হয় ।
  • [8] দ্বৈতনিয়ন্ত্রক [Dual controller] :- প্রাণীদেহে কোনো কোনো কার্যক্ষেত্রে কোনও একটি হরমোন কোনও কাজে সহায়তা করে, আবার কোনও একটি হরমোন ওই কাজে বাধা দেয় । এইভাবে হরমোন প্রাণীদেহে দ্বৈত-নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে ।

হরমোন কি কাজ করে

  • জীবদেহের কোশে কোশে সমন্নয় সাধন করে
  • জীবদেহের কোশ বিভাজন এবং বৃদ্ধি তে সহায়তা করে।
  • জীবদেহের বিপকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে

কোন হরমোনের কি কাজ

  • গ্রোথ হরমোন : দেহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর অভাবে মানুষ বেঁটে হয়।
  • প্রোল্যাকটিন হরমোন : স্তন বর্ধনে এবং দুগ্ধ নিঃসরণে সহায়তা করে।
  • থাইরক্সিন হরমোন : দেহের বিপাকে সহায়তা করে।
  • অ্যাড্রেনালিন হরমোন : জরুরি বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
  • ইনসুলিন : রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় এবং শর্করা বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এর অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়।
  • গ্লুকানন : রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়।
  • টেস্টোস্টেরন : পুরুষের আনুষঙ্গিক যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সহায়তা করে এবং শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ইস্ট্রোজেন ও প্রজোস্টেরন : স্ত্রীলোকের আনুষঙ্গিক যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সহায়তা করে এবং অমরা গঠনে সহায়তা করে।
  • রিলাক্সিন : গর্ভাবস্থায় শ্রেণীবন্ধনী শিথিল করে।

হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের পার্থক্য, হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যপদ্ধতি দুটি পার্থক্য

হরমোন যে জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

স্নায়ুতন্ত্রহরমোন
স্নায়ুতন্ত্রগুলি প্রধানত স্নায়ু মধ্যে সংকেত বহন করে।অন্যদিকে, হরমোন অন্তঃস্রাব সিস্টেমের মধ্যে একটি রাসায়নিক সংকেত হিসাবে কাজ।
স্নায়ু সংকেতগুলি স্নায়ুর সাথে প্রেরণ করে, এবংকেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।অন্যদিকে, হরমোনগুলি রক্ত প্রবাহের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করা হয় এবং এন্ডোক্রিন গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
স্নায়ুতন্ত্রের দ্রুত সংক্রমণ হয়।স্বাভাবিকভাবে, হরমোনগুলি প্রভাবের ধীর গতির থাকে।
স্নায়ু সংকেত সাধারণত স্বল্পকালীন হয়।হরমোনীয় প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়।
স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে, খুব কম ধরনের রাসায়নিক সমন্বয়কারীকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটারস জড়িত, যা লক্ষ্যমাত্রা টিস্যুতে কেবল গোপন থাকে।অন্যদিকে, হরমোনের ট্রান্সমিটিশন বিভিন্ন ধরনের হরমোনকে জড়িত করে, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি বিভিন্ন, নির্দিষ্ট টিস্যুকে প্রভাবিত করে।
হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের পার্থক্য
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান ক্লাস 6

Q1. ডাবের জলে কোন হরমোন থাকে

Ans – ডাবের জলে সাইটোকাইনিন হরমোন পাওয়া যায়।

Q2. থাইরয়েড হরমোনের কাজ কি?, থাইরক্সিন হরমোনের কাজ

Ans – থাইরয়েড হরমোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপাকীয় হরমোন; যা আমাদের গলার ঠিক সামনে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। আমাদের বিপাক, ওজন নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক ও মস্তিষ্কের বিকাশ, শ্বাসকার্য, দেহের তাপমাত্রা, হৃৎস্পন্দন ও শরীরের অন্যান্য মুখ্য কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এই হরমোন।

Q3. টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি

Ans – পুরুষ মানুষের মধ্যে, টেস্টোস্টেরন টেস্টস এবং প্রোস্টেটের মতো পুরুষ প্রজনন টিস্যুগুলির বিকাশের পাশাপাশি গৌণ পেশী এবং হাড়ের ভর বৃদ্ধি, এবং দেহের চুলের বৃদ্ধির মতো গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নীত করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।

Q4. অ্যাড্রিনালিন হরমোনের কাজ

Ans – বিশ্রাম কালে এই হরমোন ক্ষরিত হলেও , দুঃখ, ভয়, মানসিক চাপ প্রভৃতি সংকটকালীন অবস্থা এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে এবং এইসব আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করে। তাই অ্যাড্রিনালিন কে আপাতকালীন বা সংকটকালীন হরমোন ও বলা হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।