মডেল অ্যাক্টিভিটি | গাছের পাতা উপকারিতা

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

পাতা | মডেল অ্যাক্টিভিটি | গাছের পাতা উপকারিতা

প্রশ্নপত্র

পুদিনা পাতার উপকারিতা, পুদিনা পাতার উপকারিতা ও ব্যবহার

পুদিনা পাতায় পাওয়া যায় ‘পলিফেনল’ যা একে ঔষধি গুণ দেয়। হাঁপানি, পেটের গোলমাল সারাতে তাই পুদিনা পাতা বিশেষ উপকারী।”অপরদিকে এর ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি সবকিছুরই মাত্রা কম। ভিটামিন এ, সি আর বি – কমপ্লেক্স মেলে পুদিনা পাতা থেকে, যা ত্বকের যত্নে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত জরুরি উপাদান। এছাড়াও এই পাতায় মেলে লৌহ, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ উপাদানগুলো রক্তে ‘হিমোগ্লোবিন’য়ের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অটুট রাখে।

পুদিনা পাতা হজমে সহায়ক

‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, ‘মেন্থল’ আর ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’য়ের প্রাচুর্য থাকে পুদিনা পাতায়। এই উপাদানগুলো হজমের জন্য প্রয়োজনীয় ‘এনজাইম’ তৈরি করে। পুদিনা পাতার ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’য়ের আছে শক্তিশালী জীবাণুনাশক ক্ষমতা। পাশাপাশি তা পাকস্থলিকে শীতল করে, অম্লীয় খাবার সামাল দিতে সাহায্য করে। ফলে পেটের গোলমাল কমে।

পুদিনা পাতা হাঁপানি কমায়

হাঁপানি কমায়: নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বুকে কফ জমতে পারেনা। এখানে মুখ্য ভূমিকা থাকে ‘মেন্থল’য়ের, যা ফুসফুসে আটকে যাওয়া ‘মিউকাস’ ছাড়ায়। এছাড়াও নাকের ফুলে ওঠা ‘মেমব্রেন’কে সারিয়ে তোলে ‘মেন্থল’। ফলে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট দূর হয়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়, নতুবা শ্বাসনালীতে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

পুদিনা পাতা মাথা ব্যথা সারায়

মাথা ব্যথা সারায়: পুদিনা পাতায় থাকা ‘মেন্থল’ পেশিকে শিথিল করার মাধ্যমে ব্যথা কমায়। এই পাতার নির্যাস থেকে তৈরি অসংখ্য মলম মাথা ব্যথা সারাতে ব্যবহার হয়। মলম ব্যবহার করতে না চাইতে সরাসরি পুদিনা পাতার রস কপালে মাখলেও মাথা ব্যথা ক‌মে।

পুদিনা পাতা মানসিক স্বস্তি

মানসিক স্বস্তি: সুগন্ধিভিত্তিক চিকিৎসায় পুদিনা পাতা প্রথম সারির উপাদান। এর কড়া সুগন্ধ মানসিক চাপ, হতাশা দূর করে শরীরকে চনমনে করে তোলে। রক্তে ‘কর্টিসল’ হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক‌রে জৈবিক মানসিক চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতাকে সক্রিয় করার মাধ্যমে এই কাজটি হয়। আবার পুদিনা পাতার ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’য়ে ঘ্রাণ তাৎক্ষণিক রক্তে ‘সেরোটনিন’ হরমোন নিঃসরণ করে। এই হরমোনও মানসিক অস্থিরতা ও হতাশা কমায়।

পুদিনা পাতা ত্বকের যত্নে

ত্বকের যত্নে: প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়ানাশক গুণ থাকার কারণে ত্বকের ব্রণের সমস্যা সারাতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। এই পাতার উচ্চমাত্রায় ‘স্যালিসাইলিক অ্যাসিড’ থাকে যা ব্রণ দূর করে। ত্বক পরিষ্কার করতেও এটি বেশ কার্যকর। মৃত কোষ দূর করতে এবং কড়া পড়া অংশ স্বাভাবিক করতেও পুদিনা পাতা ভা‌লো কাজ দেয়।

ব্রণের ওষুধ পুদিনা

খুব দ্রুত ব্রণ দূর করতে পুদিনাপাতা দারুণ কাজ করে। ১০ থেকে ১২টি পুদিনাপাতা ছেঁচে এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি ব্রণ, ব্রণ আক্রান্ত স্থান বা ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার এটা ব্যবহার করা যাবে।

পুদিনা পাতা দাঁত ও মাঢ়ির সুরক্ষায়

দাঁত ও মাঢ়ির সুরক্ষায়: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার কাজে পুদিনা পাতা আদর্শ উপাদান। এর নির্যাস সমৃদ্ধ ‘মাউথওয়াশ’ মুখের ভেতরের জীবাণু ধ্বংস করে, সুস্থ রাখে দাঁত ও মাঢ়ি।

পুদিনা পাতা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়াতে পুদিনা পাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত খেলে বাড়ে উপস্থিত বুদ্ধি, সতর্কতা, স্মৃতিশক্তি।

পুদিনা পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণ

ওজন সামাল দিতে: পুদিনা পাতা থেকে তৈরি ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ হজম ক্ষমতাকে এবং বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে সহায়তা করে। পক্ষান্তরে তা খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণে সহায়ক হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।

পুদিনা পাতা মৌসুমি রোগের চিকিৎসায়

মৌসুমি রোগের চিকিৎসায়: ঠাণ্ডা, সর্দিজ্বর, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে পুদিনা পাতা অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকর। প্রায় সকল ‘ভেপর রাব’, ‘ইনহেলার’য়েই থাকে এর নির্যাস। পাশাপাশি কাশি কমাতে এবং গলার অস্বস্তি সারাতেও পুদিনা পাতা কার্যকর।

চুলের জন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা

পুদিনার শিকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকর, এমনকি পাতাও। পুদিনাপাতা বা শিকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার করলে এক মাসের মধ্যেই চুল উকুনমুক্ত হবে।

পেয়ারা পাতার উপকারিতা

পেয়ারার পাতায় অনেক রকম বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ থাকে যা আমাদের শরীরের কার্বোহাউড্রেট শোষণ রোধে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেই পেয়ারা পাতার বিষ্ময়কর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

  • পেয়ারার পাতা রক্তে ভালো কোলেস্টলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর খারাপ কোলেস্টলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন। উপকার মিলবে।
  • পেয়ারা পাতার চায়ের মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি কমাতে কাজ করে থাকে।
  • কফ ও ব্রঙ্কাইটিস কমাতেও পেয়ারা পাতার চা খুব কার্যকরী।
  • পেয়ারা পাতার চা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি চর্বি কমাতে কাজ করে এবং পেট ভরা ভরা রাখে। ফলে ওজন কমে যায়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত পেয়ারার চা পান করা ভালো। এটি রক্তে কোলেস্টলের মাত্রা কমাতে কাজ করে।
  • পেয়ারা পাতা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এ পাতা রক্তকে অতিরিক্ত ঘন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং রক্ত চলাচল সচল রাখে।
  • পেয়ারা পাতা জলে ফুটান। এর পর ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে জল চুলে মাসাজ করুন। এতে চুল পড়া কমবে।
  • চুল পড়া রোধ করে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতার রস চুলে ব্যবহার করলে চুল মসৃন ও ঝকঝকে হবে। কেননা পেয়ারা পাতা ভিটামিন বি ও মিনারেলে ভরপুর। আর ভিটামিন বি চুলকে পুষ্টি সমৃদ্ধ করে।
  • পেয়ারা পাতা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করে। এ পাতায় অনেক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধক শক্তি আছে। যা অন্ত্রকে ক্ষারীয় করে জীবাণু বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। এ পাতা অতিরিক্ত মিউকাস ক্ষরণ রোধ করে। তাই ডাইরিয়া বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে এটি খুবই উপকারি।
  • পেয়ারা পাতা ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে। এ পাতায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট লাইকোফেন থাকে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। স্তন ক্যান্সার, জরায়ু মুখের ক্যান্সারে এ পাতা খুবই কার্যকর।
  • পেয়ারা পাতা সর্দি-কাশি নিরাময় করে থাকে। এ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও আয়রন। যা বেশি মিউকাস ক্ষরনে বাধা দিয়ে থাকে। এটি জীবানুর বংশ বৃদ্ধি রোধ করতেও সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাচা পেয়ারা অনেক বেশি উপকারি।
  • পেয়ারা পাতা অ্যালার্জির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রোধক হিসেবে কাজ করে। এ পাতা দেহে হিস্টামিন তৈরি প্রক্রিয়া নিরাময় করে থাকে। পোকা মাকড়ের কামড়ে ফুলে গেলেও পেয়ারা পাতার ব্যবহার খুবই উপকারি।
  • পেয়ারা পাতা ব্রন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এ পাতায় থাকা ভিটামিন সি ব্রন কমাতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। এ পাতার সঠিক ব্যবহার মুখের কালো দাগও দূর করে থাকে।

বাসক পাতার উপকারিতা, বাসক পাতার উপকারিতা কি, বাসক পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

সর্দি কাশির সমস্যায় সেই আদ্যিকাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে বাসক পাতার রস। এখনও আর্য়ুবেদেও ব্যবহার করা হয় এই পাতার। বাসক পাতা স্বাদে তেতো। বাসক পাতার একাধিক ওষুধি গুণও রয়েছে। বাসক পাতা হল এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার শুধুমাত্র পাতাই নয়, মূল, ফুল, এবং আরও নানা অংশ ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। বহুদিন ধরে যদি কফ, সর্দির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সারাতেও কাজে লাগে বাসক পাতা। বাসক পাতায় ভ্যাসিসিন নামের একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এমনকী যাঁদের ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকে তারাও যদি নিয়ম করে বাসক পাতা খান তাহলে উপকার পাবেন।

আসুন জেনে নেই পেয়ারা পাতার বিষ্ময়কর কিছু বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

  • কাঁচা পাতা ব্যবহারেই রোগ নিরাময়ের উপাদান আছে এমনটা নয় , পাতা হাওয়ায় শুকিয়ে রেখেও ব্যবহার করা যায়।
  • অম্লপিত্ত রোগে ৭/৮ গ্ৰাম বাসকের ছাল ৪ কাপজলে সেদ্ধ করে ১ কাপের মতো হয়ে গেলে ছেঁকে সারাদিনে ২/৩ বারে খেয়ে দেখুন দারুণ উপকারী।
  • কৃমি হলেও বাসকের ছালের ক্বাথ খাওয়ালে কৃমি মরে যায়।
  • রক্তপিত্তের সমস্যা হলে এই একই পদ্ধতিতে বাসকের ছাল ও পাতা সেদ্ধ করে সেই ক্বাথে সাথে চিনি বা মিছরি মিশিয়ে খাওয়ালেও সমস্যা কমে।
  • এই পদ্ধতিতে ক্বাথ তৈরী করে সিরাপের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো গেলে নতুন বা পুরনো শ্বাসরোগ উপশম করে।
  • হাঁপানীর টানে বাসকের শুষ্ক পাতার চুরুট বা বিড়ি বানিয়ে ধোঁয়া টানলে বেশ উপকার পাবেন।
  • গায়ের দুর্গন্ধে বাসক পাতার রস লাগালে ওটা আর থাকেনা।
  • গায়ের রং ফর্সা কে না চায়, বাসক পাতার রসে ১ চামচের কম পরিমাণে শঙ্খভস্ম মিশিয়ে স্নানের ২-৩ ঘন্টা আগে গায়ে মেখে নিলে এবং লাগাতার ব্যবহার করলে গায়ের রঙের খোলতাই রূপটা নিজেই দেখতে পাবেন।
  • খোস পাঁচড়ায় গোমূত্রের সঙ্গে বাসকপাতা বেটে লাগালে নিশ্চিত রোগ উপশম‌।
  • অর্শের যন্ত্রণায় বাসকপাতা থেঁতো অল্প গরম করে পু্ঁটুলি বেঁধে মলদ্বারে সেঁক দিলে যন্ত্রণা ও ফোলা দুইই কমে যায়।
  • বসন্ত রোগ থেকে বাঁচতে বাসক পাতার সেদ্ধ জল পানীয় জলে মিশিয়ে সারাদিন পান করতে হবে , এতে রোগটি আর হবেনা।

বাসক পাতার অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জেনে নেওয়া ভালো –

  • প্রয়োজনের তুলনায় যদি বাসক পাতার ব্যবহার বেশি করা হয় সেক্ষেত্রে বমি, বমিভাম, পেটের সমস্যা ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের বাসক পাতা খেতে বারণ করা হয়। বাসক পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর শারীরিক সমস্যার কারণ (বাসক পাতার অপকারিতা) হতে পারে।
  • বাসক পাতা মধুমেহ রোগের উপশমে সাহায্য করে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাসক পাতা (Bashok Pata) খেয়ে ফেললে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে অস্বত্বি দেখা দিতে পারে।

সজনে পাতার উপকারিতা, সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

সজনে গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। গবেষকরা সজনে পাতাকে বলে থাকেন, নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং সজনে গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি। এই পাতার নানা গুণাগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। লেবু থেকে সাত গুন বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে এতে। যা আমাদের দেহের ভিটামিন-সির চাহিদা পূরণে সক্ষম।

আসুন জেনে নেই পেয়ারা পাতার বিষ্ময়কর কিছু বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

  • সজনে পাতায় ডিম থেকে প্রায় দুই গুন বেশি প্রোটিন রয়েছে এবং দুধের চেয়ে চার গুন বেশি ক্যালসিয়াম আছে। যা মানবদেহের জন্য খুব উপকারী। অন্ধত্ব দূর করতেও সজনে ডাটা ব্যাপক কার্যকারী, কারণ এতে আছে গাজর থেকেও চার গুন বেশি ভিটামিন-এ। তাই যারা অন্ধত্ব সমস্যায় ভুগে তারা সজনে পাতা খেলে উপকার পাবেন।
  • সজনে পাতা এনিমিয়াকে দূর করে। শাকের তুলনায় পঁচিশ গুন বেশি আয়রন রয়েছে এতে। কলা থেকে তিন গুন বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা দারুণ উপযোগী।
  • এছাড়া আমাদের শরীরে এন্টি জিংক হিসেবে কাজ করে এ পাতা। পাশাপাশি হার্ট ভালো রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
  • কোলেস্টেরলের লেভেল কমিয়ে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ডায়ারিয়া, কলেরা, আমাশয়, কোলাইটিস এবং জন্ডিসের সময় ব্যাপক কার্যকরী সজনে পাতা। কাঁচা পাতার রস আরও বেশি উপকারী শরীরের জন্য। এছাড়াও শত বছর ধরে প্রায় তিনশরও বেশি রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
  • এছাড়াও সজনে বীজের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিস। এটা পানি বিশুদ্ধকরনে অত্যন্ত কার্যকারী। সজনে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। গর্ভধারণের পরবর্তীতে সব মায়েদের জন্য সজনে পাতা খুব উপকারী। 
  • সজনে পাতা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন ভাজা, রান্না, বড়া, ভর্তা ও শুকিয়ে গুড়ো করে। নিয়মিত সজনে পাতা বা মরিঙ্গা খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের দেহকে করতে পারি সুস্থ, সবল ও সতেজ। কারণ এটি মানবদেহের জন্য দারুণ উপকারী।
  • প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পরলে তাতে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব।
  • সজনে পাতা ১/২ মগ জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন কুলকুচো করতে হবে। এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হয়।
  • সজনে পাতার শাক খেলে জ্বর ও যন্ত্রণাদায়ক সর্দি আরোগ্য হয়।

ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা

  • এটি রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • সজনে পাতায় কোয়ার্সেটিন নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে পাওয়া আরও একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হ’ল ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সজনেতে পাওয়া ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের উন্নতি করে এবং ইনসুলিনকে প্রভাবিত করতে সহায়তা করে।

সজনে পাতার গুড়ো বা মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার বা গ্রহণ করার সেরকম কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সজনে পাতার গুড়ো না খাওয়াই ভালো। আসুন জেনে নিই সজনে পাতার অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কি কি –

  • সজনে পাতার গুড়তে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস ভিটামিনস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই খুব বেশি পরিমাণ সজনে পাতার গুঁড়ো বা মরিঙ্গা পাউডার গ্রহণ করলে আমাদের খিদে কম হতে পারে এবং পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
  • সজনে পাতাতে কিছু প্লান্ট কেমিক্যাল থাকে যার জন্য সজনে পাতা একদম ছোট বাচ্চা এবং গর্ভবতী মায়েদের না খাওয়া উচিত।
  • আমরা সজনে পাতা এবং সজনে ডাটা খেতে পারি, কিন্তু সজনে গাছের পাতা সংলগ্ন ডাল একদমই খাওয়া উচিত না। তার কারণ ওই ডালে কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ক্ষতি করতে পারে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বই pdf

সহজ পরিবার আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা (বাংলা)

আয়ুর্বেদ খুব প্রাচীন। আয়ুর্বেদ ওষুধের সঠিক প্রয়োগের সাথে, অনেক কঠিন রাগগুলি সহজেই নিরাময় করা হয়। এই পাঠ্যে, বিভিন্ন রাগগুলিতে উদ্ভিদের গুণাবলী, বর্ণিত ব্যবহারের নিয়মগুলি এটির সাথে রয়েছে, চিত্রটি। ফলস্বরূপ, পাঠ্যের গাছগুলি সনাক্ত করা খুব কঠিন হবে না। এটি কোন গাছগুলি, কোন ভেষজগুলি কোন ক্রোধে ব্যবহৃত হবে তাও বর্ণনা করে। আশা করি, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকরা অবশ্যই এই বইটি থেকে উপকৃত হবেন

FAQ | নিম পাতা

Q1. নিম পাতার বৈশিষ্ট্য

Ans – এখানে নিম গাছের মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে-
1. এগুলি গভীর শিকড়, লম্বা গাছ যা বিভিন্ন মাটিতে সহজেই জন্মাতে পারে।
2. নিম গাছের ঔষধি ও ছত্রাকনাশক গুণ রয়েছে।
3. এটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছগুলির মধ্যে একটি যা উচ্চতা 100 ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
4. নিম গাছের ফুল সাদা এবং উভলিঙ্গ প্রকৃতির।
5. নিম গাছ খরা প্রতিরোধী।

Q2. নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতার উপকারিতা

Ans – ১) নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী।
২) নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (ফাঙ্গাস) বিরোধী। তাই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী! ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
৩) ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মেখে দেখুন। খেয়াল রাখতে হবে, মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হবে। তবে হলুদ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘণ্টা রোদ এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪) দাঁতের জন্য নিমের ডাল খুবই উপকারী। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম বেশ কার্যকরী।
৫) কেটে-ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে।
৬) নিম পাতা রোদে শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারলে পরবর্তীকালে তা ফেস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭) মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগাতে পারলে এই চুলকানির সমস্যা কমে যায়। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে।
৮) শুধুমাত্র চুলের নয় ত্বকের যে কোনও চুলকানির সমস্যায় নিমপাতা বেটে লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৯) গায়ের দুর্গন্ধ বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
১০) নিয়মিত সামান্য পরিমাণে নিমপাতা খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ নানা লিভারের সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ-সতেজ ও রোগমুক্ত রাখতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী।

Q3. নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

Ans – খালি পেটে বেশিদিন এটি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কারোর যদি এটি খাওয়ার পর বমি বমি ভাব, ডায়েরিয়া, মাথাব্যথার মতো সমস্যা হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ এটি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
নিম মাঝে মাঝে বন্ধ্যাত্বতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।