মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 8

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ভিটামিন, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 8

কোন ভিটামিন রান্নার সময় নষ্ট হয়

ভিটামিন C হল সেই ভিটামিন যা রান্নার সময় তাপে নষ্ট হয়ে যায়। যখন আমরা ভিটামিন C ধারণ করে এমন কিছু সিদ্ধ করি, তখন এটি রান্নার অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এর উপাদান কমিয়ে দেয়।

কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে

ভিটামিন ‘বি২’ আছে যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখে। ‘জিঙ্ক’ আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকাল সকাল নাস্তার সঙ্গে ডিম সেদ্ধ খেতে পারেন। এটা আপনার ওজন বাড়াতে ভালো সাহায্য করবে।

ওজন বাড়ানোর ডায়েটে সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার এবং হালকা নাস্তা হিসেবে কোন খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে তা তুলে ধরা হলো।

সকালের নাস্তাদুধ, কলা, ডিম, খেজুর
দুপুরের খাবারডাল, টক দই, মুরগির মাংস
রাতের খাবারডাল, টক দই, মুরগির মাংস
হালকা নাস্তাবাদাম, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বীজ
যা খাবেন নাসাগু, কাস্টারড-পুডিং

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

ভিটামিন ডি কম থাকলে ঘুম হয় না (Vitamin D), ঘুম না আসার অন্যতম কারণ হল শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকা। ভিটামিন ডি শরীরকে রেস্ট নিতে সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে শরীরে অনেক গুরুতর অসুখ হয়। এক্ষেত্রে ঘুমও হয় না অনেকের। এই পরিস্থিতিতে ঠিকমতো ঘুমাতে গেলে ভিটামিন ডি খান। এবার ভিটামিন ডি বেশি পাওয়া যায় মাছ, ডিম, দুধে।

কোন ভিটামিন কি কাজ করে

ভিটামিন ‘সি’

  • ভিটামিন ‘সি’ রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। এতে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়ে।
  • এটি রক্তনালির দেয়ালগুলোকে চাপমুক্ত রাখে।
  • ফুসফুস ও শ্বাসনালির প্রদাহ কমায়।
  • এটি বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জির তীব্রতা কমায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • ঠাণ্ডা লাগার কারণে আমাদের মুখের ভেতর ও গলায় শুষ্কতা দেখা দেয়, যা রোধ করতে ভিটামিন ‘সি’ সহায়তা করে।
  • যেকোনো ক্ষত জলদি সারায়।
  • অস্থি, ত্বক, দাঁত, শিরা কোষের মধ্যকার পদার্থকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।
  • আয়রন শোষণে ভিটামিন ‘সি’ সহায়তা করে।
  • অ্যামাইনো এসিড মেটাবলিজমে সহায়তা করে।
  • দেহ থেকে অবসন্নতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • কোষে কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সহায়তা করে।
  • ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ও রক্তাল্পতা রোধেও ভিটামিন ‘সি’ ভালো কাজ করে।

ভিটামিন ‘ডি’

  • ক্ষুদ্রান্ত্রে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণের কাজ করে।
  • ফুসফুসের প্রদাহে যে ক্ষতি হয় তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • দেহে ভিটামিন ‘ডি’ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে, তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে। এতে ঘন ঘন অসুস্থবোধ করা, হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশি হতে পারে।
  • এ ভিটামিন মাংসপেশি সচল রাখে।

ভিটামিন ‘এ’

  • রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ‘এ’র ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
  • দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ঘটায়।
  • দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে। রাতকানা প্রতিরোধ করে।
  • রক্তের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখে।
  • হৃপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি ও অন্য অঙ্গগুলোকে ঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
  • ত্বক সুস্থ রাখে।
  • সংক্রমণ প্রতিহত করে।
  • সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
  • দেহকোষের গঠনে সহায়তা করে।

ভিটামিন ‘বি-১২’

  • এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন ‘সি’র কার্যকারিতাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘বি’।
  • ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্টকাঠিন্য, অবসাদবোধ, দুর্বলতা এবং মুখে ও গলার ঘা প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘বি-১২’।

ভিটামিন ‘বি-৯’

  • এটা পানিতে দ্রবণীয়। একে ফলিক এসিডও বলা হয়। এটি বিপাকের মৌলিক ক্রিয়াকে সহযোগিতা করে।
  • বিষণ্নতা, হৃদেরাগ এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা এই ভিটামিন।
  • স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখে।

ভিটামিন ‘ই’

  • ভিটামিন ‘ই’র অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহ-ত্বক সতেজ রাখে।
  • চুলপড়া রোধ করে।
  • বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখে একধরনের সমস্যা হয়। যার ফলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি অন্ধত্বের অন্যতম কারণ। ভিটামিন ‘ই’ এটি প্রতিরোধ করে।
  • স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষা করে স্নায়ুবিক নানা রোগ প্রতিহত করে।
  • হরমোনের সমতা রক্ষা করে, মাতৃগর্ভে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ই’ কাজ করে।

ভিটামিন ‘কে’

  • রক্তক্ষরণের সময় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
  • মানবদেহে অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন হিসেবে যকৃতে জমা রাখতে সহায়তা করে।
  • ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা দেয়।
  • ভিটামিন ‘ডি-৩’ শোষণে ভিটামিন ‘কে’র ভূমিকা রয়েছে।

কোন ভিটামিন ত্বক ফর্সা করে

ভিটামিন সি-এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস থাকে। যা আপনার মুখের জেল্লা ধরে রাখতে খুবই কাজে দেয়। শুধুমাত্র তাই নয়, কোলাজেনের বৃদ্ধি ঘটায়। এতে ত্বক থাকে টানটান ও সতেজ। জেল্লাদার মসৃণ ত্বকও আপনি যেমন পাবেন, পাশাপাশি আপনার ত্বকের তরতাজা ভাবও বজায় থাকবে। লেবু জাতীয় খাবারে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাবেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়, কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় pdf

ভিটামিনঅভাবজনিত রোগ
ভিটামিন এরাতকানা
ভিটামিন বি১বেরিবেরি
ভিটামিন বি২মুখে ঘা
ভিটামিন বি৩পেলেগ্রা
ভিটামিন বি৬নিউরোপ্যাথি
ভিটামিন বি১২রক্ত শূণ্যতা
ভিটামিন সিস্কার্ভি
ভিটামিন ডিরিকেট ও অস্টিওমেলাসিয়া
ভিটামিন ইহিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া
ভিটামিন কেরক্ত জমাট বাঁধায় বিলম্ব।
ভিটামিন d3শিশুদের মধ্যে রিকেট এবং
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের অবস্থার কারণ
কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় pdf

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়

ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ‘সি’ একমাত্র পারে দাঁত-হাড় মজবুত রাখতে। হাড়ের ক্ষয় কমাতে। 

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়

ভিটামিন ডি ও সি অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় । 

কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ঘা হয়

ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হলে মুখের মধ্যে ঘা, মুখে ফোলাভাব, জিহ্বায় লালভাব এসব থেকেই যায়। সবথেকে বেশি দেখা যায় গ্লসাইটিস। অর্থাৎ জিহ্বার উপরের অংশে সাদা রঙের ছোট ছোট ফুসকুড়ির মত হয়। ভিটামিনের অভাব হলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হয় না।

কোন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়, রাতকানা রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে

রেটিনল বা ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। ভিটামিন এ মাছের তেল, কলিজা ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবারে পাওয়া যায়। ডায়রিয়া, হাম, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগের কারণে শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে রিকেট রোগ হয়, রিকেট রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়

ভিটামিন ডি৩ ঘাটতির ফলে প্রায়ই রিকেটস্ হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

ভিটামিন বি১২ ঘাটতি শরীর দুর্বল হয়।
শরীরে এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে দুর্বলতা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, খিদে না পাওয়া, হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া, স্মৃতি দুর্বল হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিন মেলে ডিম, দুধ, চিজ, মাছ, চিকেনে ইত্য়াদি খাবারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

শরীরে ভিটামিন বি৭-এর অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়।

ঠোঁট ফাটা বা শুকিয়ে যাওয়াও ভিটামিনের বি৭ অভাবের লক্ষণ। এছাড়া রক্তাল্পতার কারণেও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যার জন্য রেড মিট, সি-ফুড, বিনস ও সবজি খান বেশি করে।

কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হতে পারে, কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা রোগ হতে পারে class 6

ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।

কোন ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়

ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।

কোনটি ভিটামিন ই জাতীয় খাবার নয়

  • ওটস (ওটমিল, কাঁচা)
  • বার্লি (চাপা শস্য, কাঁচা)
  • বার্লি (বিভক্ত শস্য, কাঁচা)
  • বার্লি, নুডলস (শুকনো ফর্ম, কাঁচা)
  • বার্লি, নুডলস (শুকনো ফর্ম, সিদ্ধ)
  • গম, গোটা শস্য (গার্হস্থ্য, মাঝারি, কাঁচা)
  • গম, গোটা শস্য (আমদানি করা, নরম, কাঁচা)

চুল গজাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

একটা বাটিতে ২ চামচ দই নিন তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিন এবং একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে সেটা ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। মিনিট পনের-কুড়ি লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে এটা দুবার করে মুখে লাগান। এই প্যাক আপনার মুখের ত্বককে পুষ্টি জোগাবে, কালো দাগ ছোপ দূর করবে এবং ঔজ্জ্বল্য ফিরবে।

নার্ভের ভিটামিন কি

নার্ভের পুষ্টির অন্যতম উপাদান হল ভিটামিন বি। নিয়মিত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যার সমাধান হয়। যাঁদের স্নায়ু দুর্বল, বা যাঁরা স্নায়ুর সমস্যায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরা নিয়মিত ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা কমে।

পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

পা ফাটার অন্যতম কারণ ভিটামিনের অভাব। বিশেষত ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই ভিটামিনগুলির অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া অন্যতম।

পাকা আমে কোন ভিটামিন থাকে

পাকা আমে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, পেকটিন ও আঁশ। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে কাজ করে। ফ্রেশ আমে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের তরলের জন্য খুবই জরুরি একটি পুষ্টি উপাদান, যা উচ্চ রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ভিটামিন c ৰ অভাৱত কি ৰোগ হয়

ভিটামিন চিয়ে হাড়ৰ বিকাশ, ৰক্ত নলীৰ স্বাস্থ্য আৰু ক্ষত নিৰাময়ত সহায় কৰে। শৰীৰত কোলাজেনৰ সঠিক উৎপাদনৰ বাবেও ই অত্যাৱশ্যকীয়। এইকাৰণে ভিটামিন চিৰ অভাৱৰ ফলত বিভিন্ন ৰোগ হ’ব পাৰে। ভিটামিন চি-ৰ অভাৱৰ ফলত হোৱা আটাইতকৈ সচৰাচৰ হোৱা ৰোগটো হ’ল স্কার্ভি।

ভিটামিন ই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০, ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ই আমাদের শরীরের কোষকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। এটি তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক হুমকি এবং ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন-ই ক্যান্সার, ভুলে যাওয়ার রোগ, হার্ট সম্পর্কিত রোগ এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে।ভিটামিন ই আমাদের চোখের জন্য খুব দরকারী।

ভিটামিন ই এর সুবিধার কারণে আমরা ছত্রাকের মতো বিষাক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।ভিটামিন ই এছাড়াও প্রোস্টাগ্লান্ডিনস উত্পাদন কাজ করে। প্রোস্টাগাল্যান্ডিন, নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন, পেশী সংকোচনের পাশাপাশি পেশী মেরামত কাজ সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং লিভারের পিতল এবং পাচক সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা, ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়, ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয়

যে ভিটামিন ই এর পরিমাণ আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে, সেই ভিটামিন ই এর অত্যধিক পরিমাণ আমাদের দেহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেও পারে। প্রয়োজনের থেকে বেশি এটি খাওয়া হলে, এটি শরীরের মধ্যে জমা হতে শুরু হয়। কারণ এটি চর্বিযুক্ত দ্রবণীয়।এটি কে মূত্রনালীর মাধ্যমে শরীর থেকে অপসারণ করা যাবে না। এটি ধীরে ধীরে শরীরে একটি বৃহৎ স্তরের সংশ্লেষ পায় এবং খাদ্যদ্রব্যর মাধ্যমে এই ভিটামিন সাধারণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

কিন্তু যখন আপনি এটিকে একটি খাদ্যতালিকা গত সম্পূরক মাধ্যমে গ্রহণ করেন, তখন এটি অনেক সমস্যা তৈরী করতে পারে। অত্যধিক ভিটামিন ই থেকে উৎপন্ন অসুবিধাগুলি রক্ত জমাট এবং ক্লান্তির চিহ্নগুলি দেখায়। ভিটামিন ই অভাবের কারণে আপনি অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, কঙ্কাল মায়োপ্যাথি, অ্যাটাক্সিয়া, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, রেটিনোপ্যাথি, ইমিউন প্রতিক্রিয়া এবং নার্ভ ক্ষতির অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যা ভিটামিন ই এর অভাবকে নির্দেশ করে। তাই যখনই আপনি ভিটামিন ই খেতে চান, এটি শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করুন। তাহলে আপনি কোন ধরনের কষ্টের সম্মুখীন হবেন না।

ভিটামিন ডি, ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম

ভিটামিন ডি এর রাসায়নিক নাম ক্যালসিফেরল।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয়, ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়, ভিটামিন ডি এর অভাবে বাচ্চাদের কি রোগ হয়

শরীরের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন:

  • হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি কমে গিয়েছে কি না।
  • হাড়, পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা, অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।
  • শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম হলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, ভালোভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আপনি অলস এবং ক্লান্তবোধ করেন তবে এটি ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণেই হতে পারে।
  • স্থূলকায় ব্যক্তিদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে কারণ মেদবহুল কোষগুলো শরীরে ভিটামিন ডি নিঃসরণে বাধা দেয়। আবার হঠাৎ ওজন কমতে থাকা শরীরের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়ার পরও ওজন কমা ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে।
  • শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ভিটামিন ডি-এর অভাবে, ঘা শুকাতেও অনেকটাই সময় লেগে যায়।
  • অকারণে ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি এবং শুয়ে বসে থাকার ইচ্ছে হতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবে।

মানুষের ত্বক সূর্যালোক থেকে কোন ভিটামিন সংগ্রহ করতে পারে, সূর্যালোকের ভিটামিন কোন ভিটামিন কে বলা হয়

ভিটামিন ডি, মানুষের ত্বক সূর্যালোক থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে পারে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার

ডিম, দুধ, পনির, মাছ, সোয়াবিন, সবুজ সবজির মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি , ভিটামিন ডি ৩ এর উপকারিতা

  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে দূরে রাখতে সহায়তা করে ভিটামিন ডি।
  • ক্যালসিয়াম এর সহায়তায় ভিটামিন ডি পেশী সংক্রান্ত সমস্যার অবসান ঘটায়। অনেকসময় আমাদের শরীরে পেশিতে টান লাগে,সেই বিষয় এড়িয়ে যাবেন না, মনে রাখবেন এগুলোই কিন্তু রিকেট এর মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  • শরীরের জন্য খারাপ কোলেস্টেরোল কমাতে সাহায্যে করে। এছাড়া হার্ট এর সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
  • দীর্ঘদিনের মাথা ব্যথা এবং ওজন বিশেষত মহিলাদের ওজন হ্রাস করতে ভিটামিন ডি যথেষ্ট উপকারী।

ভিটামিন ডি ৩ এর কাজ কি

ভিটামিন ডি৩ হাড় এবং কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যদি এই ভিটামিনের মাত্রা হ্রাস পায় তবে এটি শিশুদের মধ্যে রিকেট এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের অবস্থার কারণ হতে পারে।

ভিটামিন ডি 3 যুক্ত খাবার

সবচেয়ে ভালো উৎস হল চর্বিযুক্ত মাছের মাংস এবং মাছের লিভার তেল। ডিমের কুসুম, পনির এবং গরুর মাংসের লিভারে অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়।

মোটা হওয়ার ভিটামিন ঔষধের নাম, মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল, মোটা হওয়ার ভিটামিন ট্যাবলেট

ওজন বৃদ্ধি করতে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন যেমন- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ডাল, ডিম, বাদাম, ছোলা, সয়াবিন, পনির, চিকেন, মাছ ইত্যাদি। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে মোটা হওয়ার উপায়। আপনি যদি শুধু খাবার খেয়ে এবং ব্যায়াম করে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখতে না পান, তবে আপনি বিভিন্ন ঔষধ, হারবাল ওষুধ, ভিটামিন ওষুধ, সেবনের মাধ্যমে মোটা হতে পারেন।

সিনকারা সিরাপ

সিনকারা একটি হারবাল মাল্টিভিটামিন সিরাপ। এটি একটি হারবাল শক্তিবর্ধক এবং সকল কোষ-কলায় পৌঁছানোর ক্ষমতাসম্পন্ন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সিরাপ।

উপাদান: প্রতি ৫ মিলি সিরাপে আছে (জলীয় নির্যাস আকারে)-

  • গাজর = ২০০ মিগ্রা,
  • আমলকী = ১০০ মিগ্রা,
  • আগর = ৫০ মিগ্রা,
  • বড় এলাচ = ৫০ মিগ্রা,
  • ধনিয়া = ৫০ মিগ্রা,
  • নাগরমুথা = ৫০ মিগ্রা,
  • ছোট এলাচ = ৫০ মিগ্রা,
  • লবঙ্গ = ৫০ মিগ্রা,
  • জটামাংসী = ৫০ মিগ্রা,
  • একাঙ্গি = ৫০ মিগ্রা,
  • দারচিনি = ৫০ মিগ্রা,
  • গোলাপ = ৫০ মিগ্রা,
  • শ্বেত চন্দন = ৫০ মিগ্রা,
  • তুলসী = ৫০ মিগ্রা এবং
  • শৈলজ = ৫০ মিগ্রা।

উপকারিতা: আপনার যদি সাধারন দূর্বলতা, রোগ কালীন দুর্বলতা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, পাকস্থলী ও লিভারের দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, ভিটামিন এ ও সি এর ঘাটতি, মেধা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও অপুষ্টি, মাতৃদুগ্ধ নিঃসরন হ্রাস হয়ে থাকে। তাহলে এধরণের সমস্যা দূর করতে সিনকারা সিরাপ অতি উত্তম ভূমিকা পালন করে। 

অপকারিতা: ঔষধি গাছ গাছরা গুণসমৃদ্ধ সিরাপটি প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে ছোট্ট শিশু সকলেই খেতে পারে।  নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। 

সবুজ চায়ে কোন ভিটামিন থাকে, সবুজ চায়ে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়, সবুজ চায়ে ভিটামিন k পাওয়া যায়

সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন।

অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল

অ্য়ালোভেরার পাতা থেকেও জেল বের করে নিতে পারেন। এর সঙ্গে মেশাতে হবে ভিটামিন ই। কীভাবে? ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে ওর একসট্র্যাক্ট বের করে নিন। সেটি অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। ভালো করে মুখে,ঘাড়ে ও গলায় লাগিয়ে নিন। তারপর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করতই হবে।

এরপর ধীরে ধীরে মুখ মুছে নিন ভেজা রুমাল দিয়ে। তারপর মুখ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। ভিটামিন ই জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। তা আপনার ত্বকের ডার্ক স্পট ওঠাতে সাহায্য় করে। মুখে ফিরিয়ে দেয় জেল্লা। যা আপনার ত্বককে ভালো রাখে।

ভিটামিন বেশি পাওয়া যায় কোন খাদ্যে

শর্করাপ্রোটিনস্নেহপদার্থভিটামিনখনিজ মৌল 
ভাত,রুটি,আলু,গাজর,বিট ইত্যাদি মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,ডালডিমের কুসুম, তেল, ঘি, বাদাম, নারকেল সবুজ শাকসবজি, লেবু, আঙ্গুর, কমলা লেবু, আমলকী, অঙ্কুরিত ছোলা দুধ, মাংস,টাটকা শাক-সবজি, ডাল, কলা, খই, আয়োডিন যুক্ত খাবার লবণপ্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার জল
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা Part 8

Q1. কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়
ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ‘সি’ একমাত্র পারে দাঁত-হাড় মজবুত রাখতে। হাড়ের ক্ষয় কমাতে। 

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।