“ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল”।সয়ে যাওয়া শব্দের অর্থ উল্লেখ করে উধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখাে।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Bengali Story Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল”। সয়ে যাওয়া শব্দের অর্থ উল্লেখ করে উধৃতাংশটির তাৎপর্য লেখাে।

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস’ গল্প থেকে উদ্ধৃতাংশে ‘সয়ে যাওয়া বলতে সহ্য হয়ে যাওয়া বা মানিয়ে নেওয়া বােঝানাে হয়েছে।

বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগি বিপুল সম্পত্তি হারিয়ে সর্বহারা হয়ে প্রতিবেশী মহম্মদ শার বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিল | এর বিনিময়ে ইলিয়াসকে গ্রীষ্মকালে মহম্মদ শার তরমুজ খেতে কাজ করতে হত এবং শীতকালে গােরু-ঘােড়াদের খাওয়াতে হত। তার স্ত্রী শাম-শোবির কাজ ছিল ঘােটকীর দুধ দোয়া এবং কুমিস তৈরি করা |

প্রথমদিকে ভাড়াটে মজুরের মতাে কাজ করে খেতে কষ্ট হলেও মনের জোরে ধীরে ধীরে তাদের সব সয়ে গেল

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 9 বাংলা উত্তর, ভাবসম্প্রসারণ

সবার উপরে মানুষ সত্য ভাবসম্প্রসারণ

উত্তর: মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কিছু বিশেষ গুণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের রয়েছে বুদ্ধিমত্তামযা অন্য কোনাে প্রাণীর মধ্যে নেই। মানুষ তার মেধা এবং বুদ্ধির বিকাশ সাধনের মধ্য দিয়ে জলে, স্থলে ও অন্তরিক্ষে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ অভিনব আবিষ্কার ও পারস্পরিক সহযােগিতা নিশ্চিত করে আধুনিক সভ্যতার চরম শিখরে আরােহণ করতে পেরেছে। তাই মানুষ অনন্য গৌরবের অধিকারী।

মানুষের আছে ন্যায়-অন্যায় ও ভালােমন্দ বােঝার ক্ষমতা। যা অন্য কোনাে প্রাণীর মধ্যে নেই। অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখার কৌতূহল মানুষকে সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায়। মানুষ সবসময় সত্যের সন্ধানী। জ্ঞানের সন্ধানে মানুষ ছুটে চলেছে। মানুষই একমাত্র সত্যের বাণী অপরের কানে পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষ না থাকলে কোনাে সত্যই প্রতিষ্ঠিত হতাে না। আদিম যুগে একতাবদ্ধ হয়ে মানুষ যে কোনাে প্রকৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে, আজও একে অপরের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত। একজনের কাজে আরেকজন সাহায্য করতে ছুটে আসে।

তাছাড়া মানুষ প্রকৃতির অন্যান্য জীবের সেবা করে ও তাদেরকে ভালােবাসে। প্রেম, দয়া, প্রভৃতি সদগুণ কেবল মানুষের মধ্যেই বিরাজমান। জীবন চলার পথে এগুলাে মানুষই জীবনের ও সমাজের স্বার্থ রক্ষা ও উন্নতিকল্পে ব্যবহার করে। তবে পৃথিবীতে মানুষ বিভিন্ন নীতি, আদর্শ আর সমাজের কিছু বিধিনিষেধের বেড়াজালে আবদ্ধ। এসব বেড়াজাল ছিন্ন করে সবাই বেড়িয়ে আসতে পারে না। ফলে অনেক মানুষের পক্ষেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। আবার সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বর্ণপ্রথা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে মানুষকে অনেক কিছু করা থেকে বিরত রাখছে। ফলে একশ্রেণি নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।

আর আর্তমানবতা উপেক্ষিত হচ্ছে। তবুও মানুষই এ পৃথিবীতে শান্তি বজায় রেখে চলছে। মনুষ্যত্বের বিকাশ মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করছে। এজন্য পৃথিবীতে একমাত্র মানুষই সম্মানের যােগ্য ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানুষে মানুষে সহমর্মিতা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে। মানুষের প্রতি মানুষের অপরিসীম, দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তা পালনের মধ্য দিয়েই মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে।

ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : ক্ষুধার অনুভূতি তীব্র ও প্রচণ্ড। দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাত মানুষের দৃষ্টি ও হৃদয় থেকে রূপ-সৌন্দর্য ও প্রেমের নান্দনিক বোধগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। তাই ক্ষুধার নিবৃত্তি অত্যাবশ্যক।

ক্ষুধার্ত ব্যক্তির কাছে পৃথিবীর সবকিছু তুচ্ছ। সৌন্দর্য, ভালােবাসা, অনুভূতি কোনাে কিছুর মূল্যই নেই তার কাছে। খাদ্য ছাড়া কোনাে মানুষ বা প্রাণী বাঁচতে পারে না। প্রত্যেক মানুষের মৌলিক প্রয়ােজন হলাে তার খাদ্য। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য দিনরাত কাজ করে। যদি কেউ তার ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে-কোনাে নিচু কাজ করতে সে বাধ্য হয়।

যে ব্যক্তি ক্ষুধার্ত তার কাছে নীতি নৈতিকতা অর্থহীন। মানুষ ক্ষুর্ধাত থাকলে তার কাছে প্রেম, প্রীতি, ভালােবাসা কিছুই ভালাে লাগে না। যে মানুষ ক্ষুধাতুর তার মনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনাে অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে না। পেটে ক্ষুধা থাকলে বাইরের জগতের সৌন্দর্য তার কাছে অর্থহীন ও উপহাসব্যঞ্জক মনে হয়। যার অভাব নেই, অন্নচিন্তা নেই, ঐশ্বর্য আর সচ্ছলতায় যার জীবন নির্বিঘ্ন, তার কাছে আকাশের চাঁদ, ফুল, পাখি, নদী নানা কল্পিতরূপে ফুটে ওঠে। সুখী মানুষের কাছে পৃথিবী তাই কাব্যময়।

অন্যদিকে রূঢ় বাস্তবের আঘাতে যাদের জীবন বিপন্ন, দুমুঠো অন্নসংস্থানের জন্য যাদের জীবন বিপর্যস্ত, তাদের কাছে পৃথিবী অত্যন্ত কর্কশ ও কঠিন। তাই আকাশের চাঁদ দেখে তাদের মনে পড়ে না প্রিয়ার মুখচ্ছবি, অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই জঠরের জ্বালায় তখন তাদের মনে পড়ে চাঁদের মতাে গােল একখানা রুটি। কেননা রুটি ক্ষুধা নিবৃত্তি করে। তাই তার রুটির ভাবনায় পদ্য রচনার মতাে স্পৃহা থাকে না। ক্ষুধা লাগলে মানুষ আত্মমর্যাদা ভুলে যায়। নির্দ্বিধায় একজনের কাছ থেকে ছিনতাই করে কিছু আহারের ব্যবস্থা করে। তাই বলা যায়, “Hunger is the best sauce.”

ক্ষুধার্ত ব্যক্তি যেদিকেই তাকাবে, তার কেবল খাদ্যের কথাই মনে পড়বে। তার কাছে সবকিছুই মূল্যহীন-কেবল খাদ্য ব্যতীত।

তাই কবি যাতার্থ কারণেই বলেছেন –

” ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় 

পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”

স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণ: যে মানুষ পরার্থে ত্যাগ করতে পারে না, আচ্ছন্ন থাকে নিজের সংকীর্ণ ভােগবাসনায়, জীবনের মহানন্দ তার কাছে অধরা থেকে যায়। বিশ্ব মানবের মাঝে নিজেকে মিশিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে মনুষ্যজীবনের চরম সার্থকতা, পরম প্রাপ্তি ও বেঁচে থাকার আনন্দ।

পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অতিমাত্রায় স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক। তারা সর্বদা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কী করে জীবনে অঢেল টাকা-পয়সা উপার্জন করা যাবে, জীবনে সকল চাহিদা পূরণ করা যাবে, কেমন করে নিজের সন্তান-সন্ততির জীবনে প্রতিষ্ঠা ও উন্নতি হবে- এরূপ নানা স্বার্থচিন্তায় সদা মগ্ন থাকে। কিন্তু এ বাঁচা সত্যিকার বাঁচা নয়— কেবল জীবনধারণ করে বেঁচে থাকা মাত্র। কারণ পৃথিবীতে মানবজাতির আগমনই ঘটে একে-অপরের জন্যে।

পরার্থে জীবন দান করার মধ্যে রয়েছে মানবজীবনের চরম সার্থকতা। নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকার জন্যে আগমন ঘটেনি। কিন্তু দেখা যায়, অনেক মানুষ। বৃহৎ জগৎ থেকে মুখ ফিরিয়ে ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধার সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে। এ জীবন মানবের সার্থক জীবন নয়। আমাদের চারদিকে রয়েছে বৃহৎ জগৎ-সংসার। সেখানে অসংখ্য মানুষ কর্মে ও চিন্তায় অবদান রাখছে। তারা কখনাে সফলতা লাভ করে, ব্যর্থও হয়, কখনাে আনন্দ-বেদনার দোলায় দোলে, কখনাে দেশ ও জাতির সঙ্কট ও সমস্যায় বিচলিত হয়ে সমাধানের পথ খোঁজে।

এ ধরনের বিচিত্র ঘটনা জীবনে অহরহ ঘটে চলেছে। তাই ক্ষুদ্র আমিত্বের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে বৃহৎ জগৎ-সংসারের নিরন্ন, নিরক্ষর, স্বাস্থ্যহীন কোটি কোটি মানুষের কল্যাণের কথা সকলেরই ভাবা উচিত। তবেই যেমন জীবনে স্বাদ উপভােগ করা যাবে, তেমনি দেশ ও জাতির উন্নতি, অগ্রগতি ও কল্যাণ সাধিত হবে । পৃথিবীতে অনেক মহামানব, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি মানুষের হৃদয়াসনে স্থান পেয়েছেন পরার্থে নিজ স্বার্থ উৎসর্গ করার জন্যে, আপন সত্তাকে জগতে মানবসত্তার সঙ্গে একসূত্রে গাঁথার কারণে।

তারা মানবকল্যাণের জন্যে, সমাজের মঙ্গলের জন্যে দুঃখকে বরণ করে সভ্যতার ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন। এরাই প্রকৃত মানবজীবনের অধিকারী। জগতে তাঁদের মৃত্যু নেই, বিনাশ নেই।

কেবল ব্যক্তিগত পার্থিব ভােগ, বাসনার মধ্যে মানবিক মূল্যবােধের কোনাে পরিচয় মেলে না। ক্ষুদ্র ভােগসুখ বা স্বার্থমগ্নতার মধ্যে পরিভােগর উল্লাস আছে, কিন্তু প্রকৃত সুখ নেই। প্রকৃত সুখ তখনই লাভ করা যায় যখন নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে। মানুষ বৃহৎ জগৎ সংসারের জন্যে নিজেকে নিবেদিত করে ।

তাই কবি যাতার্থ কারণেই বলেছেন –

স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনাে শেখেনি বাঁচিতে ভাবসম্প্রসারণ

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | Bengali Story Question Answer

Q1. মানুষের উপকার করলে কি পাওয়া যায়

মানুষ সব সময় ব্যাতিক্রম পছন্দ করে। আপনার ভাল কিছু দেখলে মনে মনে জলবে,হিংসা করবে, একজন কথা আর একজন কে বলবে, একজন ভাল আসে দেখে ভাববে ও কি করে যে এত ভাল থাকে কেমন করে।

ভাল থাকার প্রথম ধাপ নিজের মধ্যে ইগু রাখা যাবে না। যেটা ভাল সেই টা কে ভাল ভাবে দেখতে হবে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।