ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন, টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন

1505 সালে, পিটার হেনলেন নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেন। এবং তিনি এই ঘড়িটির নামকরণ করেন পোম্যান্ডার ওয়াচ। তিনি জার্মানির নিউবার্গ শহরে কাজ করতেন।

বর্তমান সময়েও এই ঘড়িটি এখনো এই একই ভাবে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে এই ঘড়িটির মূল্য 50 থেকে 80 Million Dollars।

সর্বপ্রথম ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন

সর্বপ্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেন মিশরীয়রা। তারা প্রথম একটি কাঠি মাটিতে পুঁতে, সূর্যঘড়ি তৈরি করেন।

তারা প্রথমে একটি কাঠি মাটিতে পুঁতে রাখতেন এবং তার চার পাশে বিভিন্ন শব্দ লিখতেন। যার মাধ্যমে কঠির ছায়া এবং লেখা দেখা তারা সময়ের অনুমান করতে পারতেন।

ঘড়ি আবিষ্কারের ইতিহাস

আদিকালে সময় দেখার জন্য মানুষের কাছে ঘড়ি ছিল না। থাকলেও আমাদের ঘড়ির মতো নয়। তাদের ছিল সকাল-বিকাল, সূর্য বা রাতের চন্দ্র তারা সময় নির্ণয়ের পন্থা। ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পূর্বে। প্রথম ঘড়ি আবিষ্কার করেছে তখনকার মিশরীরা। মিশরীরা যে ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল তা ছিল সূর্যঘড়ি।

সময়কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময়কে ধরে রাখার প্রচেষ্টা ছিল মানুষের যুগযুগ ধরে। কখনো তারা দিন রাতকে ভাগ করেছিল খণ্ড খণ্ড ভাগে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, রাত, কখনো সূর্য দেখে, কখনো চন্দ্র দেখে, কখনো শুধু অনুমানের ওপরনির্ভর করে। কিন্তু কিভাবে কে কখন ঘড়ি আবিষ্কার করেছিল তা কিন্তু কোথাওলেখা নেই ইতিহাসে পাতায় কিন্তু এ কথা সকলেরই জানা এর পিছনে আছে তিন হাজারবছরের ইতিহাস। ওই সময়ে মিসরীয়রা আবিষ্কার করল জমি মাপজোক করার পদ্ধতি আর মাপজোক সম্পর্কে তাদের মধ্যে ধারণা গেল সময়কেও তারা পরিমাপ করতে চাইল।

আসল ‘সূর্যঘড়ি’ বা ‘ছায়াঘড়ি’। ‘সূর্যঘড়ি’ বানাতে তখন মানুষ একটা লাঠিপুঁতে রাখল খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়।চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানা প্রহর বোঝায়। লাঠির ওপরসূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়ত মাটিতে সেখান থেকে সংকেত নির্দেশিত চক্রে আর সেখান থেকে সময় নির্ধারণ হতো। এমন একটি ঘড়ি আজো কিন্তু বার্লিন মিউজিয়ামে রক্ষিত।

দিনের বেলা না হয় সূর্যের আলো দেখে সময় পাওয়া গেল কিন্তু রাতের বেলা কিভাবে সময় পাওয়া যাবে ভাবিয়ে তুলল মানুষকে। চোখ গেল রাতের আকাশে। তারা রাতের আকাশে এমন এক নক্ষত্রের সন্ধান করতে লাগল যা সব সময় এক দিক থেকেঅন্যদিকে যাবে। অবশেষে পাওয়া গেল। দেখতে খুব উজ্জ্বল আর একটু লম্বা।এটা আকাশের উত্তর দিকে ওঠে আর ধীরে ধীরে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে যায়, শুধু তাই না তারা মেরুকে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরতে থাকে যা দিয়ে অনায়াসে সময় নির্ধারণ করা যায়। এর নাম ‘ক্যাসিওপিয়া’। দেখতে অবিকল ইংরেজি ড অক্ষরের মতো।

এই ‘তারাঘড়ি’ প্রথম আবিষ্কার করে জার্মানরা। তারা ঘড়ির পর আসে ‘পানিঘড়ি’। খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিসরীয়রা প্রথম পানি ঘড়ি আবিষ্কারকরেন। কিভাবে কাজ করত ‘পানিঘড়ি’? একটি ফানেলের মধ্যে পানি ভরা হলো, সেই ফানেলের নিচে লাগানো হলো এক সরু পাইপ। ফানেলের পানি এক সরু পাইপ বেয়ে যেয়ে পড়ত একটি জারে।

সেই জারের মধ্যে একটা হাল্কা কর্ক রেখে দিত তারা। পাত্রের অপর প্রান্তে লাগিয়ে দেয়া হতো দাঁতযুক্ত একটা সময় নির্দেশক কাঁটা। ফানেলথেকে ধীরে ধীরে পানি চলে আসত জারে, জারে যত পানি পড়ত কর্ক ততই ভেসে উঠত।সেই সঙ্গে সময় নির্দেশক কাটা ঘুরতে আরম্ভ করত। যা বলে দিত সময়। গ্রিকরা একে বলত ‘ক্লিপসেড্রা’। এরপর এল ‘বালুঘড়ি’।

প্রায় বারোশ’ বছর আগে এর প্রচলনশুরু হয়। বালুঘড়ি ছিল কিছুটা পানিঘড়ির মতো। তবে এ ঘড়ির জন্য প্রয়োজন হয়একটা ফানেল যার মাঝখানটা চ্যাপ্টা। এবার ফানেলের ওপর দিয়ে কিছুটা বালিফানেলের মধ্যে ঢেলে দিল, সেই বালি ফানেলের মাঝখানে যেয়ে বাধা পেল। অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালি ফানেলের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে নিচে পড়া শুরুহলো। ফানেলের নিচের অংশে আকা থাকত স্কেল।

বালুর জমা হওয়ার পরিমাণ নির্ণয়করত নির্দিষ্ট সময়। রাতের বেলা মানুষ ঘড়ির বিকল্প হিসেবে মানুষ আবিষ্কারকরে ফেলল ‘মোমঘড়ি’। চীন দেশেই প্রথম আবিষ্কার হয় ‘মোমঘড়ি’। সূর্য ঘড়িরপদ্ধতিতে এই ঘড়ি তারা ব্যবহার করত। অন্ধকার ঘরে তারা একটা মোমবাতি জ্বালাত।

সেই আলোর কাছাকাছি তারা রেখে দিত কোন মানদণ্ড। মোমের আলো গিয়ে পড়ত সেইমানদণ্ডে। মানদণ্ডের সামনের অংশ আলোকিত হতো আর পিছনের অংশে পড়ত তার ছায়া।মোম যত ছোট হতো ছায়া তত দীর্ঘ হতো। এই ছায়া পরিমাপ করে মানুষ সময় পরিমাপকরত। যন্ত্রঘড়ি কে আবিষ্কার করেন আজো তা অজানা, তবে অনেকে মনে করেন আর্কিমিডিসের হাতে প্রথম যন্ত্রঘড়ি জীবন পায়।

যেটুকু তথ্য এই মুহূর্তে আমারহাতে আছে তাতে জানি ‘গ্রেটটম’ নামে ১২৮৮ সালে একটি ঘড়ি তৈরি হয়েছিললন্ডনে। ফ্রান্সের রাজা চার্লস ডির জন্য ১৩৬০ সালে একটি ঘড়ি তৈরি হয়েছিল যা আজো সচল। আমেরিকায় প্রথম ফিউজ স্পন্সর তৈরি করেন হাতঘড়ি। বর্তমানে পারমাণবিক ঘড়ি আছে যে ঘড়ি সেকেন্ডের দশ কোটি ভাগের এক ভাগ ও সময় হের ফেরকরে না। এ রকম দুটি ঘড়ি আছে ইউএসএনবিএস ল্যাবরেটরিতে। পাটেক ফিলিপকে ধরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হাত ঘড়ি প্রস্তুত কোম্পানি হিসেবে।

মোবাইল কে আবিষ্কার করেন

মার্টিন কুপার (Martin Kupar) নামে একজন আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার ৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সালে প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেন। এবং সেটি যে কোম্পানির মোবাইল ছিল সেই কোম্পানির নাম হলো মোটরওয়ালা।

প্রথম মোবাইলটির মোট ওজন ছিল দুই কেজি। এবং এই মোবাইলটির সাহায্যে ৩০ মিনিট কথা বলার জন্য ১০ ঘন্টা চার্জ দিতে হতো। এবং এই মোবাইলটি আবিষ্কার হওয়ার ১০ বছর পর ১৯৮৩ সালে, মোটরওয়ালা মোবাইল কোম্পানি সাধারণ মানুষের জন্য মোবাইল তৈরি করা শুরু করে।

Motorola DynaTAC 8000X এই মডেলটি প্রথম সর্বসাধারণের জন্য বাজারজাত করা হয়। এবং ওই সময়ে একটি মোবাইলের মূল্য ছিল ২,৯৫,৬৬৯ টাকা। মোবাইলটি একবার চার্জ করলে ৩০ মিনিট কথা বলা যেত এবং ৩০ জনের কন্টাক্ট নাম্বার স্টোর করার জায়গা ছিল।

টেলিফোন কে আবিষ্কার করেন

1875 সালের 2 জুন, স্কটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, টেলিফোন আবিষ্কার করেন।

এবং টেলিফোন আবিষ্কারের কিছু মাস পর March মাসে, তিনি টেলিফোন আবিষ্কারকের পেটেন্ট পান। এরপর থেকেই তাকে টেলিফোনের আবিষ্কারক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এর সাথে আরও চার জন ব্যাক্তির নাম পাবেন। তারা হলেন:-

  • Antonio Meucci
  • Amos Dolbear
  • John Peirce এবং
  • Charles A. Cheever

টেলিফোন আবিষ্কারের পেছনে এই পাঁচ বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। কিন্তু সবথেকে বেশি অবদান আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের থাকার কারণে, এনাকেই টেলিফোনের আবিষ্কারক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস

আলেকজান্ডার এর মা এবং স্ত্রী দুজনেই বধির হওয়ার কারণে তার ধ্বনিবিদ্যা সম্পর্কে ভাল জ্ঞান ছিল।

এবং তিনি জানতেন যে টেলিগ্রাফ তারের মাধ্যমে শব্দ সংকেত পাঠানো যেতে পারে। এই জন্য তিনি তার এক সহকর্মী “টমাস ওয়াটসন” কে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

এবং যাতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তারের মাধ্যমে শব্দ পাঠানো যায় তার চেষ্টা করতে থাকেন।

এবং এইভাবে চলতে চলতে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করবার পর, একদিন এক সমস্যার কারণে টমাস ওয়াটসন কে ডাকার সময় তিনি বুঝতে পারেন, তার মুখের শব্দগুলি প্রতিফলিত হয়ে, তার কাছে রাখা যন্ত্রপাতির মধ্যে থেকে আসছে।

এবং তারপর থেকেই তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করার সূত্রটি ধরে নেন। আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবার পর তিনি টেলিফোন আবিষ্কার করতে পারেন।

কলকাতায় টেলিফোন কবে চালু হয়

১৮৭৬ সালে গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করেন। বেলসাহেবের সেই বেল খুব দ্রুতই বিশ্বময় জনপ্রিয় হয়ে যায়। কলকাতায় বা ভারতে তখন টেলিগ্রাফের রমরমা। তবু, ১৮৭৯-তে লন্ডনে টেলিফোনের সাফল্য দেখে অনেক ইংরেজ ব্যবসায়ীও সেই ব্যবস্থাকে কলকাতায় নিয়ে আসতে চাইলেন।

ইন্ডিয়ান টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেড, বা দ্য অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কোম্পানি লিমিটেড- আর্জি জানালেন সরকারের কাছে। পাছে টেলিগ্রাফের ব্যবসা মার খায়, তাই সেসময় দূরভাষের ছাড়পত্র মেলেনি। কিন্তু ১৮৮১ সালেই অবস্থা বদলায়। ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক টেলিফোন ব্যবসায়ী সংস্থা ‘দি ওরিয়েন্টাল টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেড’ ব্রিটিশ সরকারের ছাড়পত্র আদায় করে।

১৮৮১ সালের ১৫ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে ভারতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বানানোর ছাড়পত্র দেয় সরকার। ওরিয়েন্টাল কোম্পানি কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজে প্রথম তা স্থাপন করে। কলকাতার ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল দক্ষিণে উলুবেড়িয়া থেকে উত্তরে নৈহাটি পর্যন্ত টেলিফোন লাইন পাততে পারবে কোম্পানি। তবে এই টেলিফোনীয় যোগাযোগের সমস্ত স্বত্ব কিন্তু তখনো সরকারের। সেজন্যই কাউন্সিল হাউজ স্ট্রিটের ৭ নম্বর বাড়ির চারতলায় প্রথম সেন্ট্রাল এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয়।

ভারতবর্ষে টেলিফোনের প্রথম যুগের গ্রাহক ছিল মাত্র পঞ্চাশ জন। সেই তালিকায় বাঙালি ছিল একজনই- শিবকৃষ্ণ দাঁ এন্ড কোং- এর তৎকালীন মালিকপক্ষ। আর ১৮৮২ সালে সেই গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪ জনে। ব্যক্তিগতভাবে যে বাঙালি প্রথম টেলিফোন ব্যবহার করেন, তিনি বাবু সাগরলাল দত্ত। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। কলুটোলার কাছে ১৪ নম্বর গোপালচন্দ্র লেনে ছিল তাঁর বসবাস। কলকাতায় প্রথম টেলিফোন গাইড বেরিয়েছিল ১৮৮২ সালে। তখন অবশ্য তার পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ১। ক্রমশ সেই গাইড স্ফীতোদর হতে থাকে। পরবর্তীকালে সেই বিপুল বিশাল গাইডের চেহারা আমরা দেখেছি। ১৯২৪ সালের গাইডে মিলবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফোন নম্বর। স্যার রবীন্দ্রনাথ টেগোর- বড়োবাজার ১৯৪৫। আর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নম্বর ছিল দক্ষিণ -৬১৮। শান্তিনিকেতনে টেলিফোন শুরু হওয়ার দিনে তো রীতিমতো আড়ম্বর লেগে গিয়েছিল। কবিতা শুনিয়ে টেলিফোন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ নিজে। 

টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

ব্রিটিশবিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন এবং সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন। এর পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। টেলিভিশন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হয় ১৯৪০ সালে।

গ্রিক শব্দ ‘টেলি’ অর্থ দূরত্ব , আর ল্যাটিন শব্দ ‘ভিশন’ অর্থ দেখা। ১৮৬২ সালে তারের মাধ্যমে প্রথম স্থির ছবি পাঠানো সম্ভব হয়। এরপর ১৮৭৩ সালে বিজ্ঞানী মে ও স্মিথ ইলেকট্রনিক সিগনালের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।

ব্রিটিশবিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন এবং সাদা কালো ছবি দূরে বৈদ্যুতিক সম্প্রচারে পাঠাতে সক্ষম হন। এর পর রুশ বংশোদ্ভুত প্রকৌশলী আইজাক শোয়েনবারগের কৃতিত্বে ১৯৩৬ সালে প্রথম টিভি সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি।

টেলিভিশন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু হয় ১৯৪০ সালে। অতপর ১৯৪৫ সালে যন্ত্রটি পূর্ণতা লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সূচিত হয়। গত শতাব্দীর ৫০ এর দশকে টেলিভিশন গনমাধ্যমের ভূমিকায় উঠে আসে।

স্টেথোস্কোপ কে আবিষ্কার করেন

স্টেথোস্কোপ হলো মানুষ অথবা প্রাণী দেহের হৃৎস্পন্দন কিংবা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ শব্দ শোনার জন্য একটি ডাক্তারি যন্ত্র। এটি প্রধানত হৃৎস্পন্দন এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস এর শব্দ শুনতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি অন্ত্র, ধমনী এবং শিরাতে রক্ত বয়ে চলার শব্দ শোনার জন্যেও ব্যবহার করা হয়।

১৮৫১ সালে, আইরিশ চিকিৎসক আর্থার লেয়ার্ড একটি বাইনোরাল স্টেথোস্কোপ আবিষ্কার করেছিলেন কারণ তার কাছে আসা এক মেয়ে রোগীর বুকে কান পেতে শব্দ শুনতে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন, তাই কাগজের টিউব বানিয়ে প্রথম শুনেন এবং ১৮৫২ সালে জর্জ ফিলিপ ক্যামম্যান বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য স্টেথোস্কোপ যন্ত্রের (যা উভয় কানে ব্যবহার করেছিলেন) নকশা তৈরি করেছিলেন।

স্টেথোস্কোপ আবিষ্কারের ইতিহাস

১৮১৬ সালে ফরাসি ডাক্তার রেনে থিওফাইল হায়াসিন্থে লেনেক এক রোগীর হৃৎস্পন্দন পরীক্ষা করতে গিয়ে অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। রোগী অত্যাধিক স্থূল হওয়ায় রেনে হাত দিয়ে নাড়ি পরীক্ষা করতে পারছিলেন না। আবার রোগী একজন তরুণী বলে রেনে তার বুকে কান পেতেও পরীক্ষাটি করতে পারছিলেন না। ফলে সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি একটা পদ্ধতির আশ্রয় নেন। উল্লেখ্য সেই সময় রোগীর বুকে কান দিয়ে ডাক্তাররা পরীক্ষা করতেন।

সেই সময় তার মনে আসলো বাচ্চাদের একটা খেলার কথা। কাঠের টুকরার এক পাশে কান রেখে অন্য পাশে টোকা দিলে সেই শব্দ স্পষ্টভাবে শোনা যায়। সাথে সাথে তিনি এক দিস্তা কাগজ রোল করে সিলিন্ডারের মতো বানান এবং সেটার এক পাশ রোগীর বুকে রেখে অপর পাশে নিজের কান লাগান। বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন, এতে করে হৃৎস্পন্দন যতটা স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, বুকের ওপর সরাসরি কান পেতেও ততটা স্পষ্ট কখনো শোনা যায়নি! কারণ বায়ু মাধ্যমের চেয়ে কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ বেশি। আর এই যে বুকের ওপর সরাসরি কান না পেতে বা হাত দিয়ে স্পর্শ না করে, মাঝখানে একটা মিডিয়া ব্যবহার করে হৃৎস্পন্দন শোনার প্রক্রিয়া, একে বলা হয় Mediate auscultation।

এরপর তিনি সোজা ওয়ার্ডে চলে গেলেন এবং একে একে সব রোগীকে তার বানানো এই চোঙা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে লাগলেন।

রেনের তৈরি প্রথম স্টেথোস্কোপটি ছিল ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা আর ২.৫ সেন্টিমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট কাঠের ফাঁপা সিলিন্ডার। পরে তিনি তিনটা আলাদা টুকরায় ভাগ করেন এই যন্ত্রকে। এই যন্ত্রের নাম রেনে স্টেথোস্কোপ রেখেছিলেন কারণ Stethos মানে বুক এবং skopos মানে অনুসন্ধান। তবে এই যন্ত্রটিকে তৎকালীন চিকিৎসক সমাজ খুশি মনে গ্রহণ করেনি।

বাষ্পীয় ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন

জেমস ওয়াট ১৭৬৯ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।

বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের মেশিন তৈরি শুরু হয় এবং শিল্প-কলকারখানা গুলি অনেক উন্নত লাভ করে এবং এরপর থেকেই শুরু হয় শিল্প বিপ্লব।

গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের নির্মাতারূপে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই বাষ্পীয় শক্তিচালিত ইঞ্জিন নিয়ে তার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্র সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়, ওয়াট বাষ্প ইঞ্জিনের প্রযুক্তিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন. তিনি উপলব্ধি করেন যে সমকালীন ইঞ্জিন ডিজাইন বারবার শীতল এবং সিলিন্ডার উত্তপ্ত দ্বারা শক্তির একটি বিরাট অংশ নষ্ট করছে। ওয়াট একটি নকশা বর্ধিতকরণ চালু করেন যা শক্তির এই অপচয় এড়ানো, আমূল ক্ষমতা, দক্ষতা, এবং বাষ্প ইঞ্জিনের খরচ কার্যকারিতা উন্নত করে. অবশেষে তিনি তার ইঞ্জিন অভিযোজিত ঘূর্ণনশীল গতি উত্পাদন, ব্যাপকভাবে পাম্পিং জল এর ব্যবহার প্রসারিত করেন।

রেল ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন

রেল ইঞ্জিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর অবদান রয়েছে। তবে, রেল ইঞ্জিনের আধুনিক রূপের আবিষ্কারক হিসেবে বিবেচিত হন জর্জ স্টিফেনসন (George Stephenson)। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ প্রকৌশলী। তিনি ১৮১৪ সালে “রকেট” নামক একটি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন তৈরি করেন। এই ইঞ্জিনটি ছিল প্রথমবারের মতো যা একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক রেলপথে ব্যবহৃত হয়।

স্টিফেনসনের আগে, বাষ্পচালিত ইঞ্জিনগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো। তবে, তারা ছিল খুবই অপ্রযুক্ত এবং অবিশ্বস্ত। স্টিফেনসন এই সমস্যাগুলি সমাধানে কাজ করেন এবং তিনি একটি কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য বাষ্পচালিত ইঞ্জিন তৈরি করেন।

স্টিফেনসনের আবিষ্কারের ফলে রেলপথের বিকাশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। রেলপথগুলি মানুষের চলাচল, পণ্য পরিবহন এবং শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্টিফেনসনের পাশাপাশি, জেমস ওয়াট (James Watt) এবং রিচার্ড ট্রেভিথিক (Richard Trevithick)-এর অবদানও রেল ইঞ্জিনের বিকাশে উল্লেখযোগ্য। ওয়াট ছিলেন একজন স্কটিশ প্রকৌশলী যিনি বাষ্প ইঞ্জিনের উন্নতির জন্য কাজ করেন। ট্রেভিথিক ছিলেন একজন ওয়েলশ প্রকৌশলী যিনি প্রথমবারের মতো বাষ্পচালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালান।

দূরবীন কে আবিষ্কার করেন

টেলিস্কোপ তৈরির জন্য ডাচ জ্যোতির্বিদ এবং গণিতবিদ হ্যান্স লিপারশেকে কৃতিত্ব দেন। তিনি প্রায়শই ১৬০৮ সালে একটি প্রতিসরাঙ্ক টেলিস্কোপের জন্য একটি পেটেন্ট আবেদন জমা দেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম কৃতিত্ব লাভ করেন। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে জ্যাকব মেটিয়াস এবং জাকারিয়াস জ্যানসেন সহ অন্যান্য লোকেরা প্রায় একই সময়ে তুলনামূলক ডিভাইস তৈরি করেছিলেন। যাইহোক, লিপারশেয়ের কৃতিত্বগুলি সুপরিচিত, এবং তাকে প্রায়শই টেলিস্কোপ তৈরির কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি দুরবিন তৈরি করেন। তিনি এই যন্ত্র তৈরির ধারণা লাভ করেছিলেন এক চশমা নির্মাতার কাছ থেকে। ঐ চশমা নির্মাতা একদিন লক্ষ্য করেন, তার দোকানে বসানো স্থির লেন্স পদ্ধতির মধ্য দিয়ে দেখলে দূরের বাতাসের দিক নির্ধারক যন্ত্রটি বিবর্ধিত দেখা যায়। গ্যালিলি তার দুরবিনের মাধ্যমে বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

১৬১১ সালে ইয়োহানেস কেপলার একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ করেন যা অনেকটা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মতো ছিল। তখন পর্যন্ত প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের যুগ চলছিল। ১৭৩৩ সালে জেমস গ্রেগরি একটি অ্যাক্রোমেটিক ডাবলেট অবজেক্টিভ তৈরি করেন যার মাধ্যমে প্রতিসরণ দুরবিনের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়।

আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | আবিষ্কার

Q1. ঘড়ির সবচেয়ে বড় কাটা কি নির্দেশ করে

Ans – ভালো করে ঘড়ি দেখলে দেখতে পাবেন, প্রায় সব ঘড়িতেই তিনটে করে কাটা থাকে। সবথেকে বড় কাটাটা সেকেন্ডের, এরপর মাঝের কাটাটা হয় মিনিটের এবং সবথেকে ছোট কাটাটি হয় ঘণ্টার। তবে সব ঘড়িতে আবার সেকেন্ডের কাটা দেখা যায় না। যার ফলে দুট কাটার মধ্যে বড় কাটাটি হয় মিনিটের এবং ছোট কাটাটি হয় ঘন্টার।

Q2. রঙিন টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

Ans – পি সি গোল্ডমার্ক ১৯৫০ সালে রঙিন টেলিভিশন আবিষ্কার করেন।

Q5. বাষ্পীয় ইঞ্জিন কত সালে আবিষ্কার হয়

Ans – জেমস ওয়াট ১৭৬৯ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।

Q6. সর্বপ্রথম ফোনের মধ্যে কথোপকথন কাদের মধ্যে হয়

Ans – মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক মার্টিন কুলার ৩ এপ্রিল, ১৯৭৩ সালে তার একজন ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু জোয়েল ইঙ্গল কে ফোন করে, কথোপকথন করেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।