ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ষষ্ঠ শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Model Activity Task Class 6

মনোবিজ্ঞান কি, মনোবিজ্ঞান কাকে বলে

মনোবিজ্ঞান এমন একটি শৃঙ্খলা যা মানুষ এবং প্রাণীদের মানসিক প্রক্রিয়াগুলি তদন্ত করে। শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে: সাইকো- (মানসিক কার্যকলাপ বা আত্মা) এবং -লজি (অধ্যয়ন)। এই শৃঙ্খলা পূর্বোক্ত প্রক্রিয়াগুলির তিনটি মাত্রা বিশ্লেষণ করে: জ্ঞানীয়, অনুভূতিমূলক এবং আচরণগত।

আধুনিক মনোবিজ্ঞান জীবিত প্রাণীর আচরণ এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তথ্য সংকলন, তাদের একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠিত করা এবং তাদের বোঝার জন্য তত্ত্বগুলিকে বিশদভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্বে রয়েছে। এই অধ্যয়নগুলি তাদের আচরণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব করে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যত কর্মের পূর্বাভাস দেয়।

যারা মনোবিজ্ঞানের অধ্যয়ন বিকাশ করে তাদের মনোবিজ্ঞানী বলা হয়। এর মানে, যারা জীবের আচরণকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করেন। সিগমুন্ড ফ্রয়েড, কার্ল জং এবং জিন পিয়াগেটকে কিছু অগ্রগামী মনোবিজ্ঞানী বলে মনে করা হয়।

মনোবিজ্ঞানের অধ্যয়ন পদ্ধতি দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত: একটি যে এই শৃঙ্খলাটিকে একটি মৌলিক বিজ্ঞান (এছাড়াও পরীক্ষামূলকও বলা হয়) হিসাবে বোঝে এবং একটি বৈজ্ঞানিক-পরিমাণগত পদ্ধতি ব্যবহার করে (পরীক্ষার পরিবেশের কাঠামোর মধ্যে পরিমাপ করা যেতে পারে এমন ভেরিয়েবলের সাথে বিপরীত অনুমানগুলি। ), এবং আরেকটি যে গুণগত পদ্ধতির মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনাকে বোঝার চেষ্টা করে যা বর্ণনাকে সমৃদ্ধ করে এবং প্রক্রিয়াগুলি বুঝতে সাহায্য করে।

শিক্ষা বিজ্ঞান কাকে বলে

শিক্ষা বিজ্ঞান হল, শিক্ষার একটি প্রক্রিয়া যা শিক্ষার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আরো বিশেষ ভাবে বলতে গেলে, শিক্ষা বিজ্ঞান হল শিক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নতি করার অধ্যয়ন। শিক্ষা বিজ্ঞান এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিভিন্ন শিক্ষণ পদ্ধতির পরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয়। তাছাড়া এখানে কিভাবে ছাত্রদের উপর এই পদ্ধতিগুলি প্রভাব পড়ে তাও গবেষণা করা হয়। সেইসাথে শিক্ষণ পদ্ধতি উন্নত করার প্রচেষ্টা অর্ন্তভুক্ত থাকে।

সক্রেটিস আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞানের জনক ।

ক্ষমতা কাকে বলে শিক্ষা বিজ্ঞান

সাধারণভাবে কাজ করার সামর্থ্যকে ক্ষমতা বলা হয়। এই ক্ষমতার অস্তিত্ব কেবলমাত্র কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রেই উপলদ্ধি করা যায়।

ক্ষমতা সম্পর্কে উইলিয়ম স্টার্ন বলেছেন, ক্ষমতা বা সামর্থ্য হল জীবনের নতুন সমস্যা বা পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযােজন করার উপায়।

ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য

  • (1) কর্মসম্পাদন: বিভিন্ন ধরনের কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অস্তিত্ব দেখা যায়। ক্ষমতার বহুমুখী প্রয়ােগ ঘটিয়ে কর্মসম্পাদন করা যায়।
  • (2) স্বতন্ত্র: ক্ষমতা প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। তাই এটি স্বতন্ত্র ও নির্দিষ্ট।
  • (3) অভিযােজনে সক্ষমতা: ক্ষমতার জন্য মানুষ যে-কোনাে পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে।
  • (4) দ্রুত কর্মসম্পাদন: ক্ষমতা মানুষের মধ্যে দক্ষতা নিয়ে আসে, যে কারণে কোনাে কাজে ব্যক্তি সক্ষম হলে ওই কাজ দ্রুত সম্পাদন করতে পারে।
  • (5) প্রয়ােগ: জ্ঞান, বােধ ও ইচ্ছার ক্ষেত্রে ক্ষমতার প্রয়ােগ দেখা যায়।
  • (6) সম্বন্ধ স্থাপন: কোনাে দুটি বস্তুর মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করতে ক্ষমতা কাজ করে।
  • (7) শিখন: ক্ষমতার দ্বারা ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য দক্ষতা নিয়ে আসে। এই দক্ষতার কারণে কোনাে বিষয় সম্পর্কে শিখন সহজ হয়।
  • (8) স্বাভাবিক বণ্টন: ক্ষমতার বণ্টন বিভিন্ন মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বন্টিত থাকে। এ ছাড়াও থাকে বিশেষ কিছু ক্ষমতা যা সকলের জন্য সমানভাবে থাকে না।

অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা কাকে বলে, অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান কত

কোন বস্তুর এক মোল পরিমাণে যত সংখ্যক অণু থাকে, সেই সংখ্যাকে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা বলে।

কোন বস্তুর এক মোল পরিমাণে যত সংখ্যক অণু থাকে, সেই সংখ্যাকে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা বলে।
একে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান হচ্ছে 6.023×10236.023×1023।

অ্যাভোগাড্রো সূত্র, অ্যাভোগাড্রো সূত্রটি বিবৃত করো, অ্যাভোগাড্রো সূত্রটি লেখ

১৮১১ খ্রিস্টাব্দে ইটালির বিজ্ঞানী অ্যাভােগাড্রো গ্যাসের আয়তন ও অণুর সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক বিষয়ক একটি সূত্রের অবতারনা করেন। তাঁর নামানুসারে এটাকে বলা হয় অ্যাভােগাড্রোর সূত্র। তাত্ত্বিক ব্যাখ্যার ভিত্তিতে প্রস্তাবিত বলে এটাকে হাইপথেসিস বলা হত। কিন্তু বহুকাল ধরে ব্যবহারের সফলতা থাকায় এই হাইপথেসিসকে অ্যাভােগাড্রোর সূত্র (Avogadro’s law) বলা হয়।

“একই তাপমাত্রা ও চাপে সমান আয়তনের সকল গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু বিদ্যমান থাকে।”

এ সূত্র হতে বলা যায় V ∞ n (স্থির চাপ ও তাপমাত্রায়)
এখানে n হলাে গ্যাসের মােল সংখ্যা এবং V হলাে n মােল বিশিষ্ট গ্যাসের আয়তন।
এ সূত্র হতে আরাে জানা যায় যে আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে সকল গ্যাসের মােলার আয়তন হলাে ২২.৪ লিটার এবং এই পরিমাণ গ্যাসে ৬.০২৩ × ১০২৩ টি অণু থাকে।
মৌলিক পদার্থ হলে তার এক মােলে ৬.০২৩ × ১০২৩ টি পরমাণু থাকবে।
কোন পদার্থের ১ মােল পরিমাণে যত সংখ্যক কণা (অণু বা পরমাণু) বিদ্যমান থাকে, তাকে অ্যাভােগাড্রো সংখ্যা বলে। একে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। উপরের আলােচনা থেকে আমরা বুঝতে পারে N = ৬.০২৩ × ১০২৩

আণবিক গুরুত্ব কাকে বলে, আণবিক ভর কাকে বলে?

 কোন পদার্থের একটি অনুর ভর, কার্বন-12 আইসোটোপের একটি পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের যত গুণ ভারী সে সংখ্যাকে ঐ পদার্থের আণবিক ভর বলা হয়।

একে আপেক্ষিক আণবিক ভরও বলে। 

আণবিক ভর = (কোন পদার্থের একটি অনুর ভর) ÷ (কার্বন-12 আইসোটোপের একটি পরমাণুর ভরের 1/12 অংশ)।

বাষ্পীভবন কাকে বলে

যে প্রক্রিয়ায় তাপ দিয়ে তরল পদার্থকে বাষ্পে পরিণত করা হয় সেই প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। যেমন– চায়ের কাপে গরম চা রাখলে ঐ গরম চা থেকে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়।

তরলের বাষ্পীভবন দুটি পদ্ধতিতে হয়- বাষ্পায়ন (evaportion) এবং স্ফুটন (boiling)।

যে কোন উষ্ণতায় তরলের শুধুমাত্র উপরতল থেকে ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পায়ন বলে।

বাষ্পায়ন কাকে বলে

বাষ্পায়নের সংজ্ঞা: যে কোন উষ্ণতায় তরলের উপরতল থেকে ধীরে ধীরে তরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পায়ন বলে।

বাষ্পায়ন হার কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে

বাষ্পায়নের হার বিভিন্ন তরলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়, আবার কোন তরলের বাষ্পায়নের হার সব সময় এক হয় না। বাষ্পায়ন হার কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে তা নিম্নরূপ—

  • ১) তরলের উপরতলের ক্ষেত্রফল: তরলের শুধু উপরতল থেকেই সব সময় বাষ্পায়ন হয়। কাজেই তরলের উপরতলের ক্ষেত্রফল যত বেশি হবে, বাষ্পায়নের হারও‌ তত বেড়ে যাবে। তাই দেখা যায় গরম চা খাওয়ার সময় গরম চা চওড়া ডিশে ঢেলে ঠান্ডা করে খাওয়া হয়।
  • ২) তরল পদার্থের প্রকৃতি: যেসব তরলের স্ফুটনাঙ্ক ঘরের উষ্ণতার কাছাকাছি, সেইসব তরলকে খোলা পাত্রে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এইরকম তরলকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে। ইথার, অ্যাসিটোন, অ্যালকোহল প্রভৃতি উদ্বায়ী পদার্থ। যে পদার্থগুলির স্ফুটনাঙ্ক খুব বেশি সেগুলিকে অনূদ্বায়ী পদার্থ বলে। যে তরল যত বেশি উদ্বায়ী সেই পদার্থের বাষ্পায়নের হার তত বেশী। একই পরিমান জল ও ইথার দুটি সমপ্রস্তচ্ছেদযুক্ত পাত্রে রাখলে দেখা যাবে জলের অনেক আগেই ইথার উবে গেছে।
  • ৩) তরলের উপর চাপ: তরল পদার্থের উপর বায়ুমন্ডলের চাপ যত বেশি হবে বাষ্পায়ন তত কম হবে। বাষ্পায়নের হার বাড়াতে হলে তরলের উপর বায়ুর চাপ কমাতে হবে। বায়ুশূন্য স্থানে অর্থাৎ চাপশূন্য স্থানে বাষ্পায়ন দ্রুত হয়।
  • ৪) বায়ুর শুষ্কতা: তরল পদার্থের উপরতলের বাতাস যদি ঐ তরলের বাষ্প দ্বারা পূর্ণ থাকে, তবে বাষ্পায়ন খুব কম হবে।
  • ৫) বায়ু চলাচল: তরলের উপর বায়ুপ্রবাহ হতে থাকলে বাষ্পায়ন দ্রুত হয়। তরলের উপরতলের যে বাতাস জলীয় বাষ্প দ্বারা পূর্ণ হয়, প্রবাহ হলে সেই বাতাস সরে গিয়ে নতুন বাতাস আসে, ফলে নতুন বাতাস আর‌ও বাষ্প গ্রহণ করতে পারে। এইজন্য ঘেমে গেলে, পাখার হাওয়া’ করলে ঘাম তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
  • ৬) তরলের উষ্ণতা: তরল এবং বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে বাষ্পায়ন দ্রুত হয়। তাই দেখা যায় পুকুর, ডোবা প্রভৃতি জল গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড তাপে শুকিয়ে যায়।

জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ কত

যে তাপ বস্তুর উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটায় তাকে বোধগম্য তাপ বলে। কিন্তু পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য পদার্থটি যে তাপ গ্রহণ বা বর্জন করে সেই তাপের বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে না। সেই তাপকে লীন তাপ বলে।

সংজ্ঞা : উষ্ণতা অপরিবর্তিত রেখে একক ভরের কোনো পদার্থের অবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটাতে যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ অথবা নিষ্কাশন করতে হয়, সেই তাপকে ওই পদার্থের লীন তাপ বলে।

 C. G. S. এবং S. I. পদ্ধতিতে লীন তাপের একক যথাক্রমে ক্যালোরি/গ্রাম এবং জুল/কিগ্রা। C. G. S এবং S. I. পদ্ধতিতে বরফ গলনের লীন তাপ যথাক্রমে 80 ক্যা./গ্রা. এবং 3-31×10* জুল/কিগ্রা। 

জলীয় বাষ্প কাকে বলে

জলীয় বাষ্প হলো পানির বায়বীয় রূপ। প্রমাণ চাপে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জল বাষ্পে পরিণত হয়। আবার একইভাবে জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন সাধিত হলে তা পূর্বাবস্থায় অর্থাৎ তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।

বাষ্প ঘনত্ব কাকে বলে

একই তাপমাত্রা ও চাপে কোন গ্যাসের যে কোন আয়তনের ভর এবং সমআয়তনের হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের অনুপাতকে ঐ গ্যাসের

গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব বলা হয়।

কোন গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব = (গ্যাসটির যেকোনো আয়তনের ভর) ÷ (একই তাপমাত্রা ও চাপে সমআয়তনের হাইড্রোজেন গ্যাসের ভর)। 

বাষ্পীয় ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন

স্কটিশ প্রকৌশলী, উদ্ভাবক জেমস ওয়াট অমর হয়ে আছেন বাষ্পীয় ইঞ্জিন উদ্ভাবনের কারণে। জেমস ওয়াট ১৭৬৯ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।

মহান এই উদ্ভাবকের কৃতীর প্রতি সম্মান রেখে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক শক্তির মৌলিক একক রাখা হয়েছে ‘ওয়াট’।

প্রতিধ্বনি কাকে বলে

সংজ্ঞা : যখন কোনো শব্দ মূল শব্দ থেকে আলাদা হয়ে মূল শব্দের পুনরাবৃত্তি করে, তখন ঐ প্রতিফলিত শব্দকে প্রতিধ্বনি বলে ।

শব্দতরঙ্গ কোথাও বাধা পেয়ে উৎসে ফিরে এলে তাকে প্রতিধ্বনি বলে। তবে তা তখনই হবে যখন মূল শব্দ ও প্রতিফলিত শব্দের মধ্যে সময়ের ব্যবধান অন্তত ০.১ সেকেন্ড হবে অর্থাৎ এ সময়ের পর যদি প্রতিফলিত শব্দ শোনা যায়।

প্লাস্টিড কাকে বলে

উদ্ভিদ কোষে অবস্থিত দুটি পর্দা পরিবেষ্টিত এবং বিশেষ বিপাকীয় কাজে লিপ্ত ( রঞ্জক যুক্ত বা রঞ্জক বিহীন) অঙ্গাণুকে প্লাস্টিড বলে।

  • প্লাস্টিডের আবিষ্কার ও নামকরণ: বিজ্ঞানী স্কিম্পার উদ্ভিদ কোষে সবুজ কণিকার নামকরণ করেন ক্লোরোপ্লাস্ট। মেয়ার এদের অটোপ্লাস্ট নাম দেন এবং অন্য বর্ণের প্লাস্টিডগুলোকে ট্রফোপ্লাস্ট নাম দেন। বিজ্ঞানী মেয়েন উদ্ভিদ কোষে এদের অবস্থান এবং প্রকৃতি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানান।
  • প্লাস্টিডের প্রাপ্তিস্থান বা উৎপত্তি: ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, নীলাভ সবুজ শৈবাল প্রভৃতি উদ্ভিদ ছাড়া অন্য সব ধরনের উদ্ভিদের কোষে প্লাস্টিড থাকে। বিভিন্ন উদ্ভিদে এদের আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং ভিন্ন ভিন্ন কোষে এরা ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যায় থাকে। শৈবাল কোষে সাধারণত একটি এবং অন্যান্য উদ্ভিদ কোষে একাধিক প্লাস্টিড থাকে। প্লাস্টিড জালিকাকার, সর্পিলাকার, রাশিযুক্ত, চাকতির মত, লাটিমের মত প্রভৃতি আকৃতির হয়।
  • বর্ণের তারতম্য অনুসারে প্লাস্টিডের শ্রেণীবিভাগ মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা লিউকোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট এবং ক্লোরোপ্লাস্ট।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে

কোনো তরঙ্গের পরপর দুটি, একই দশা সম্পন্ন কণার মধ্যকার দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (Wave length) বলা হয়। অর্থাৎ, পরপর দুটি তরঙ্গচূড়া বা পর পর দুটি তরঙ্গখাঁজের মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য। অর্থাৎ, পরপর দুটি তরঙ্গচূড়া বা পর পর দুটি তরঙ্গখাঁজের মধ্যবর্তী দূরত্ব হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য।

তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে λ (ল্যাম্বডা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

রসবি তরঙ্গ কি

ট্রপোস্ফিয়ারে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ মিটার উপরে ৫০০০ – ৬০০০ কিলোমিটার তরংগদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একপ্রকার বায়ুপ্রবাহ সর্পিলাকারে উচ্চগতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয় । এটি রসবি তরঙ্গ (Rossby Winds) নামে পরিচিত ।

১৯৩০ এর দশকের শেষভাগে বিশিষ্ট আবহাওয়া বিজ্ঞানী C.G. Rossby সর্বপ্রথম এইপ্রকার বায়ুপ্রবাহের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং গাণিতিক উপায়ে এর ব্যাখ্যা দেন বলে তাঁর নামানুসারে এইপ্রকার বায়ুপ্রবাহের নামকরণ রসবি তরঙ্গ (Rossby Winds) করা হয়েছে ।

ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ মিটার উচ্চতার উপরে উভয় গোলার্ধে রসবি তরঙ্গ প্রবাহিত হয় ।

রসবি তরঙ্গ – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –

  • ১) উভয় গোলার্ধেই ৩ – ৬ টি করে রসবি তরঙ্গ প্রবাহিত হয় ।
  • ২) এটি জিওস্ট্রফিক বায়ুপ্রবাহের বর্ধিত অংশ, যা ভূপৃষ্ঠের সাথে সমান্তরালে প্রবাহিত না হয়ে সর্পিলাকারে বা আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয় ।

ভূমিকম্প তরঙ্গ কাকে বলে

ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে সৃষ্ট কোন কম্পন যখন তরঙ্গের আকারে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে ভূমিকম্প তরঙ্গ বলে। তরঙ্গের বিস্তৃতি, দৈর্ঘ্য ও প্রকৃতি অনুসারে ভূমিকম্প তরঙ্গকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

  • দেহ তরঙ্গ
    • প্রাথমিক তরঙ্গ বা অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
    • অনুপস্থ তরঙ্গ বা তির্যক তরঙ্গ বা গৌণ তরঙ্গ
  • পৃষ্ঠ তরঙ্গ বা পার্শ্ব তরঙ্গ
    • লাভ তরঙ্গ
    • রালে তরঙ্গ

বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়

বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার স্তরে আয়নের আধিক্যের ফলে বেতার তরঙ্গগুলাে এ স্তরে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে।

লেন্স কাকে বলে

লেন্স: দুটি গোলীয় তল অথবা একটি গোলীয় ও একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স (Lens) বলে।

লেন্সের প্রকারভেদ: গঠনের ওপর ভিত্তি করে দুই প্রকারের লেন্স লক্ষ্য করা যায়। যথা:

  • অবতল লেন্স বা অপসারী লেন্স।
  • উত্তল লেন্স বা অভিসারী লেন্স।

লেন্সের আলোক কেন্দ্র কাকে বলে

লেন্সের প্রধান অক্ষের উপরস্থ যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি গেলে রশ্মিটির কোন চ্যুতি ঘটে না, সে বিন্দুকে লেন্সের আলোক কেন্দ্র বলে।

আলোক কেন্দ্র লেন্সের অভ্যন্তরে এমন একটি নির্দিষ্ট বিন্দু যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি গেলে রশ্মিটির কোনো চ্যুতি হয় না অর্থাৎ লেন্সে কোন রশ্মি আপতিত হলে প্রতিসরণের পর আলোক কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গেলে দ্বিতীয় তলে নির্গত রশ্মি আপতিত রশ্নির সমান্তরালভাবে নির্গত হয়।

পর্যাবৃত্ত ঘটনা কাকে বলে

একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে ঘটনা পুনরায় ঘটে তাকে পর্যাবৃত্ত ঘটনা বলে। যেমন প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয়।

পর্যাবৃত্ত ঘটনার উদাহরণ

আমাদের হৃৎপিন্ডের স্পন্দন পর্যাবৃত্ত গতির খুবই চমকপ্রদ উদাহরণ কারণ সেটি নির্দিষ্ট সময় পর পর একইভাবে একই দিকে স্পন্দিত বা গতিশীল হয়। ঘড়ির কাটা, বৈদ্যুতিক পাখা, সাইকেলের চাকা ইত্যাদির গতিও পর্যাবৃত্ত গতির উদাহরণ। কম্পন/স্পন্দন গতিও এক ধরনের পর্যাবৃত্ত গতি। পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন কণা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে। সকল স্পন্দন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি। আবার সকল ঘূর্ণন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি।

কম্পাঙ্ক কাকে বলে

প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে। তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কম্পনশীল বস্তু থেকে। তাই কম্পনশীল বস্তুর কম্পাঙ্ক তরঙ্গের কম্পাঙ্কের সমান।

কম্পাঙ্কের একক হার্জ (Hz)। স্পন্দনশীল কোনো বস্তুকণা এক সেকেন্ডে একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করলে তার কম্পাঙ্ককে 1 Hz বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

কম্পাঙ্ক ও পর্যায়কালের সম্পর্ক হলো f = 1/T

রশ্মি কাকে বলে

যদি কোন রেখাংশের একটি প্রান্তবিন্দুর অবস্থান ঠিক রেখে অপর প্রান্তবিন্দুটি ইচ্ছেমত বাড়ানো যায়,তবে তাকে রশ্মি (Ray) বলে।

রশ্মি হলো রেখার একটি অংশ যা একটি প্রান্তবিন্দু থেকে শুরু হয়ে একদিকে অসীম পর্যন্ত চলতে থাকে। অন্যভাবে বলা যায়, রশ্মি হলো একটি বিন্দুর একদম সোজা চলার সঞ্চারপথ যা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে উৎপন্ন হয়ে অসীম পর্যন্ত চলতে থাকে।

ক্যাথোড রশ্মি কাকে বলে

ক্ষরণ নলের মধ্যে 0.01 মিলিমিটার চাপে বাতাস রেখে দুই তড়িৎদ্বারের মধ্যে 10 হাজার ভোল্ট বা তার বেশি বিভব প্রভেদ সৃষ্টি করলে ক্যাথোড থেকে অ্যানোডের দিকে একরকম রশ্মি নির্গত হয়, এবং ক্ষরণ নলের কাচের দেওয়ালে আপতিত হয়ে প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞানী গোল্ডস্টাইন এর নাম দেন ক্যাথোড রশ্মি। তড়িৎক্ষেত্র এবং চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা এই রশ্মির বিক্ষেপ লক্ষ্য করে বিজ্ঞানীর জে জে টমসন প্রমাণ করেন যে, এই অদৃশ্য রশ্মি ইলেকট্রন কনার প্রবাহ মাত্র।

উচ্চ বিভব সম্পন্ন ক্যাথোডের প্রবল বিকর্ষণে বাতাসের মধ্যে থাকা মৌলের পরমাণু থেকে ইলেকট্রনগুলি কক্ষচ্যুত হয়ে অ্যানোডের দিকে ছুটে যায়। এই জন্য এই রশ্মির নাম ক্যাথোড রশ্মি দেওয়া হয়।

একটি ক্যাথোড রশ্মি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনও উপাদানের বৈদ্যুতিন বৈশিষ্ট্য যেমন ইলেকট্রন প্রবাহের বিভিন্ন প্রকার, তাপমাত্রা, উপস্থিতি ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।

ক্যাথোড রশ্মি কে আবিষ্কার করেন

ক্যানাল রশ্মি আবিষ্কার করেন ইউজেন গোল্ডস্টেইন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

Q1. টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

Ans – ব্রিটিশবিজ্ঞানী জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করেন

Q2. ভিটামিন কে আবিষ্কার করেন

Ans – ভিটামিন আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ক্যাশিমির ফ্রাঙ্ক ১৯১২ সালে।

Q3. দূরবীন কে আবিষ্কার করেন

Ans – প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন হ্যান্স লিপারশে, ১৬০৮ সালে। ১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি দুরবিন তৈরি করেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।