ক্লাস 5 বাংলা পাঠ্য বই | Class 5 Bengali text book

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

আপনি যদি ক্লাস 5 পিডিএফের জন্য WBBSE বই বা ক্লাস 5 পিডিএফের জন্য WBBSE ই-টেক্সট বই খুঁজছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। আমাদের বেশিরভাগ পাঠক তাদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন আমাদের WBBSE পাঠ্য বইয়ের জন্য অনুরোধ করে।

এখানে আপনি ক্লাস 5 পিডিএফের জন্য সমস্ত WBBSE বই বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ক্লাস 5-এর জন্য WBBSE ই-পাঠ্যপুস্তক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৫ বাংলা উত্তর

‘একদিন একটা বুনাে হাঁস দল ছেড়ে নীচে নেমে পড়ল।’—তারপর কী ঘটল?

উত্তর: লীলা মজুমদারের লেখা বুনোহাঁস গল্পে বুনো হাঁসটি ঝোপের উপর অসুস্থ হয়ে নেমে পড়ায় তার সঙ্গীটিও নেমে তার চারপাশে উড়তে লাগলো। বরফ পড়া শুরু হতেই জোয়ানরা আহত হাঁসটিকে নিয়ে তাবুতে ফিরে এল ও তার শুশ্রূষা করতে শুরু করল। অপর হাঁসটিও তার পিছনে তাবুতে ঢুকল। এরপর থেকে হাঁস দুটি তাবুতেই মুরগী রাখার খাঁচায় থাকার জায়গা পেল।

‘জোয়ানদের একটা আনন্দেরই কাজ হয়ে দাঁড়াল।’—তাদের আনন্দের কাজটি কী?

উত্তর: লীলা মজুমদারের লেখা বুনােহাঁস গল্পে একটি ডানা জখম হওয়া বুনাে হাঁস ও তার সঙ্গীকে জোয়ানরা তাদের তাবুতে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের টিনের কৌটোর মাছ, তরকারী , ফলের কুচি ইত্যাদি খেতে দিত। মুরগী রাখার খাচায় তারা আশ্রয় পেয়েছিল। তাদের দেখভাল করার কাজটি ছিল জোয়ানদের কাছে আনন্দের।

একটি আহত হসের প্রতি তার দলের আরেকটি হাঁসের অনুভূতি ‘বুনাে হাঁস’ গল্পে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর: আহত হাঁসকে ডানা ভেঙ্গে নিচে পড়ে যেতে দেখে তার সঙ্গী হাঁসটিও দল ছেড়ে তার সঙ্গে নেমে পড়ে। এমনকি জোয়ানরা আহত হাঁসটির কাছে গেলে সে তার বন্ধুকে বাঁচানাের জন্য তাদের দিকে তেড়ে আসে। আহত হাঁসটি যখন একটু একটু করে সেরে উঠল তখন সে চাইলে উড়ে যেতে পারত। কিন্তু সে যাই নি ।এভাবেই আহত হাঁসের প্রতি তার বন্ধু হাঁস পরম বন্ধুর মতাে আচারণ করেছিল।

‘এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।— শীত কেটে যাওয়ায় প্রকৃতিতে কী কী পরিবর্তন দেখা গেল?

উত্তর: লীলা মজুমদারের লেখা বুনােহাঁস গল্পে শীত কাটার পর নীচের পাহাড়ের বরফ গলে গেল।বরফ সরে যাওয়ায় সবুজ ঝােপঝাড় বেরিয়ে পড়লাে। ন্যাড়া গাছে আবার পাতা ও ফুলের কুঁড়ি গজিয়ে উঠল। আর যে সব পাখিরা শীতের সময় দক্ষিণে গেছিল তারা আবার উত্তর দিকে ফিরতে লাগলাে।

গল্পবুড়াের ঝােলায় কী কী ধরনের গল্প রয়েছে তা কবিতা থেকে প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতিসহ আলােচনা করাে।

উত্তর: শীতের ভােবে গল্পবুড়াে কাঁধে একটা ঝােলা নিয়ে পথ দিয়ে যেতে যেতে ডাক পেড়ে গল্প বলে ছােটদের ঘুম থেকে উঠাতে চাই। গল্প বুড়াের ঝােলায় পক্ষীরাজ, রাজপুত্তুর, যক্ষিরাজ যেমন আছে তেমন ঝলমলে সােনার কাঠি ময়নামতি নদী ,তেপান্তরের মাঠ কেশবতী নন্দিনী, ইত্যাদি নিয়ে রূপকথার গল্প গল্পবুড়াের ঝােলায় বন্দি আছে।

‘কেউ করে না মানা।” – কার কোন কাজে কেউ নিষেধ করে না?

উত্তর – উদ্ধৃতাংশটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে মেঘেদের আকাশজুড়ে খেলে বেড়ানোর কাজকে কেউ নিষেধ করে না।

‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।’ — কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল?

উত্তর – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা বোকা কুমিরের কথা’ গল্পের কুমির ধান চাষের সময় একথা বলেছিল। কারন সে ভেবেছিল আলুর মতো ধান ও বুঝি মাটির নীচেই ফলে।

‘করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে?

উত্তর – ফণীমনসা তিনবার বনের পরীর কাছে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছে। প্রথমবার ডাকতেরা তার সোনার পাতা নিয়ে যায়, দ্বিতীয়বার ঝড়ে তার কাঁচের পাতা ভেঙ্গে যায়, তৃতীয়বার ছাগলে এসে তার নরম কচি পালং শাকের মতো সবুজ পাতা খেয়ে ফেলে, তখন বনের পরীকে ফনীমনসা একথা বলেছে।

‘গল্পবুড়ো’ কবিতায় রূপকথার কোন কোন প্রসঙ্গ উল্লিখিত হয়েছে।

উত্তর – সুনির্মল বসুর লেখা ‘গল্পবুড়ো’ কবিতায় কবি রূপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সেগুলি হলো – দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও কড়ির পাহাড়, সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।

এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।’—জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে ‘বুনোহাঁস’ গল্পে ফুটে উঠেছে

উত্তর – লীলা মজুমদারের লেখা ‘বুনোহাঁস’ গদ্যাংশে, শীতের শুরুতে একঝাঁক বুনোহাঁসকে উত্তর থেকে দক্ষিণের গরমের দেশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায় । তাদের মধ্যে একটি হাঁসের ডানা জখম হওয়ায় সেটি লাডাকে জওয়ানদের ঘাঁটির কাছে নেমে আসে। তাকে দেখে আর একটা হাঁসও নীচে নেমে আসে| জখম হাঁসটিকে জওয়ানরা তুলে এনে তাদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রাখে। সারা শীতকাল হাস দুটি জওয়ানদের সাথে কাটাল এবং টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি জোয়ানরা খেতে দিত। ধীরে ধীরে জখম হাঁসটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং উড়তে পারে। এইভাবে হাঁসদুটোকে দেখতে দেখতে জোয়ানদের শীত কালটি কেটে যায়।

‘নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/ শুনুন বড়োবাবু।’—থানায় বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?

উত্তর – হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুকে বলেছিল তারা চার ভাই একসঙ্গে একটি ঘরের মধ্যে বাস করে । কিন্তু সেই ঘরের মধ্যেই বড়দা সাতটা বিড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল পোষে। সেসবের গন্ধে তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা । দাদাদের এই এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে হাবু থানাতে গিয়ে বড়বাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল

এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।’— উদ্ধৃতিটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও

উত্তর – এতোয়া দশ বছরের একটি ছোট্ট দুরন্ত আদিবাসী ছেলে। সে গরু, মোষ চরায়। বাবুদের গরু, মোষ চরাতে চরাতে সে টোকো আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু, পুকুরের পাড় থেকে শাক প্রভৃতি সংগ্রহ করে। আবার কখনো সুবর্ণরেখার সরু চরে বাঁশে বোনা জাল পেতে মাছ ধরে। এই হল এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয়।

‘বিমলার অভিমান’ কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করো।

উত্তর – নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা ‘বিমলার অভিমান’ কবিতাটিতে বিমলার অভিমানের কারণ হল সারা দিন বাড়ির নানা কাজ, নানা প্রয়োজনে বিমলার ডাক পড়লেও খাওয়ার সময় তাকে কেউ ডাকে না, যেন সবাই তার কথা ভুলে যায়! এমনকি খাবারও দাদা ও ভাইয়ের থেকে তাকে অল্প দেওয়া হয় । তাই বিমলার অভিমান হয়েছে।

‘ছাদটা ছিল আমার কোতাবে পড়া মরুভূমি’- ‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?

উত্তর – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ ছেলেবেলা’ রচনাংশে আমরা দেখতে পাই ছোট্ট রবি ঠাকুরের জীবনে তাদের বাড়ির ছাদটি ছিল এক বিশেষ আনন্দের জায়গা। লেখক ছাদ থেকে নিচের প্রকৃতি, মানুষদের কাজকর্ম লক্ষ্য করতেন। এসব এবং ছাদের চারিদিকের ধূ-ধূ শূন্যতা, হু – হু গরম – বাতাসের ধুলো উড়ানো- এসব স্মরনের কারণেই রচনা অংশটি তে ছাদের প্রসঙ্গে এসেছে ।

তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান’— কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন গানটি মনে পড়ে?

উত্তর: মেঘলা বৃষ্টির দিনে কথক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
“বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদে এল বান!
এই ছেলেবেলার গানটি মনে পড়ে ।

‘ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো”। বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল?

উত্তর: ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ভগবানের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তাদের সমস্যাগুলি জানিয়ে সমাধান পাওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য। যাত্রাপথে তার সঙ্গে মিলিত হয়েছিল মৌমাছি, মোরগ ও একটি বাঘ । নানা ঘটনাক্রম ও লড়াইয়ের অবশেষে ভগবানের সহায়তায় তারা খরা ও অনাবৃষ্টির হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল ।

ভেবে পাই নে নিজে – কবি কী ভেবে পান না? –

উত্তর -কবি অশোকবিজয় রাহা ‘মায়াতরু’ কবিতায় এক মায়াবী গাছের কথা বলেছেন।সন্ধ্যের অন্ধকারে গাছটি ডালপালা নাড়িয়ে ভুতের মত নাচ করত। আবার যখন চাঁদ উঠত তখন চাঁদের আলোয় ঝাকড়া গাছটিকে দেখে মনে হত ভাল্লুক। বৃষ্টিতে ভেজার পর গাছের পাতায় জমে থাকা জলের উপর আলো পড়লে মনে হত সে বুঝি লক্ষ হীরের মাছের মুকুট পড়েছে। ভোরবেলার আবছায়াতে সেই গাছটিতে নানা আজব কাণ্ড ঘটত। এইসব অদ্ভুত কান্ডের রহস্যের কথাই কবি ভেবে উঠতে পারেন না।

‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে সুত্রধারের ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তর – ফনীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে সূত্রধারের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সূত্রধার শব্দটির অর্থ হলো- নাটকের প্রস্তাবক প্রধান নট । কাহিনীটি ফনীমনসা গাছ ও বনের পরিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও সমস্ত নাটকটিতে সূত্রধরের জন্যই দৃশ্যের বিবরণ, ঘটনার পরিবর্তনগুলি আমরা দেখতে পাই । তাই বলাই যায় -নাটকটিতে সূত্রধার এর ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ক্লাস 5 বাংলা পাঠ্য বই | Class 5 Bengali text book

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।