ইলিয়াসের অতিথিবৃত্বেলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলো।”—যার দুঃখের কথা বলা হয়েছে সে দুঃখ নিবারণের জন্য কী করল?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Bengali Story Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান
Table of Contents

ইলিয়াসের অতিথিবৃত্বেলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলো।”—যার দুঃখের কথা বলা হয়েছে সে দুঃখ নিবারণের জন্য কী করল?

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস’ গল্পে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শার খুব দুঃখ হল।

ইলিয়াস যেভাবে অতিথিদের আদর যত্ন করত, সেকথা মনে করে মহম্মদ শা বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে তার বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দিল। সে ইলিয়াসকে তার সাধ্য অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে তার তরমুজের খেতে কাজ করতে এবং শীতকালে গোরু-ঘােড়াগুলি দেখাশােনা করতে, আর তার স্ত্রীকে

দুধ দোয়া এবং কুমিস তৈরির কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এর বিনিময়ে তাদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। এরপরেও অতিরিক্ত কিছু লাগলে মহম্মদ শা তা-ও দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

Model Activity Task Class 9 Bengali Part 1 2 3 | ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণ করাে – ধর্মের নামে মােহ এসে যারে ধরে / অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে, ধর্মের নামে মোহ এসে ভাবসম্প্রসারণ, ভাবসম্প্রসারণ ধর্মের নামে মোহ এসে যারে ধরে

উত্তর: মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে । যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে । মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না । কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে ।

প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে । মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া । যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে ।

জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয় । তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয় । আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না ।

ত্বমসি গতির্মম খলু সংসারে ভাবসম্প্রসারণ, “হরি পাদপদ্ম তরঙ্গিনি গঙ্গে / ত্বমসি গতির্মম খলু সংসারে।, দশাবতারস্তোত্রম্ হতে ভাবসম্প্রসারণ -পদনখনীরজনিতজনপাবন

উত্তর: ভগবান শ্রী হরির চরণপদ্ম থেকে নিঃসৃত জলরাশি জগতকে পবিত্র করেছে। কোনো এক সময় দেবর্ষি নারদ রাগ রাগিনী যুক্ত সঙ্গীত শুরু করেন। দেবর্ষি নারদের ত্রুটিপূর্ণ ঐসকল রাগ রাগিনী বিকলাঙ্গ নর-নারী ধারণ করে কষ্ট ভোগ করতে থাকেন। নারদের সঙ্গীতের ফলে তাদের ওইরূপ দশা হয়। মুক্তির উপায় হিসেবে ঠিক হয় যদি কোন গায়ক উপযুক্ত তাল ও মাত্রা সহযোগে সংগীত পরিবেশন করেন। তাহলে তাদের দুর্দশা দূর হবে তখন সমস্ত দেবগন মহাদেবকে সংগীত পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করেন। মহাদেব তার গানের উপযুক্ততা দাবি করেন। তখন ব্রহ্মা ও ভগবান বিষ্ণু উপস্থিত হলে মহাদেব সঙ্গীত শুরু করেন সেই সংগীত শুনে ভগবান শ্রীহরি দ্রবীভূত হতে থাকেন। তার অঙ্গ থেকে নিঃসৃত জলরাশি চরণ নখাগ্র স্পর্শ করে প্রবাহিত হতে থাকে। এই জলরাশি গঙ্গা নামে পরিচিত হয়ে তিন ভুবনকে অর্থাৎ স্বর্গ মর্ত পাতালে প্রবাহিত হতে থাকে।

ভগবান শ্রীবিষ্ণুর চরমপদ্ম থেকে উৎপন্ন বলে গঙ্গা অতি পবিত্র। তাই ভক্ত কবি জয়দেব এর মত দার্শনিক কবি শংকরাচার্য বলেছেন-

“হরি পাদপদ্ম তরঙ্গিনি গঙ্গে
ত্বমসি গতির্মম খলু সংসারে।

গঙ্গাস্তোত্রম্

দশাবতারস্তোত্রম্ হতে ভাবসম্প্রসারণ -শৃণু সুখদং শুভদং ভবসারম্

উত্তর: বৈষ্ণব কবি জয়দেব দশাবতারস্তোত্রম্ এর সমাপ্তি শ্লোকে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে কবি ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতার উল্লেখ করে তাদের জয়গান করেছেন। সবশেষে বিশ্বমানব কে এই স্তোত্রগুলি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ এর উপদেশ দিয়েছেন।

ভগবান শ্রী বিষ্ণু এই জগতের নিয়ন্ত্রক। তিনি এই জগতে সৃষ্টি- স্থিতি প্রলয়কর্তা। তার নাম কীর্তন এ পাপ দূর হয়।অশুভ নাশ হয়। তিনি অক্ষর,অব‍্যয়,সনাতন পুরুষ।গীতায় অর্জুন বলেছেন -ত্বমস‍্য বিশ্বস‍্য পরম নিধানম্’।

ভগবানের জয়গানে জগত আনন্দিত হয়। মানুষ মুক্তির সন্ধান পায়। সুতরাং নানা অবতারে অবতীর্ণ ভগবান শ্রীবিষ্ণুর উদ্দেশ্যে কবি যে স্তুতি নিবেদন করেছেন, তা মানুষের কাছে সুখকর,মঙ্গল কর। তিনি এই জগতে প্রভু। তাঁর শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া মানুষের গতি নেই। তাই ভক্ত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়-

” হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম,হরে রাম, রাম রাম হরে হরে।”

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | Bengali Story Question Answer

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : অন্যায়কারী এবং অন্যায় সহ্যকারী উভয়েই সম অপরাধে অপরাধী। সময়ের ব্যবধানে তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

সম্প্রসারিত ভাব : ভালাে-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, মানুষের আচরণগত বিপরীতধর্মী দুটি দিক। কেউ কেউ ব্যক্তি বা সমাজ জীবনের বৃহত্তর কল্যাণ ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভালাে ও ন্যায় কাজ করে, আবার কেউ কেউ বিপরীতমুখী হয়। বস্তুত আমাদের সমাজে অন্যায়প্রবণ মানুষ সংখ্যায় কম হলেও তারা বৃহত্তর সুশীল সমাজকে জিম্মি করে রাখে। তারা অন্যকে অহেতুক উৎপীড়ন করে, অন্যের অধিকারে অন্যায় হস্তক্ষেপ করে, উচ্ছঙ্খল আচরণে সামাজিক শৃঙ্খলা নস্যাৎ করে। এরা সমাজের চোখে অন্যায়কারী এবং আইনের চোখে অপরাধী। এদের অপরাধ অবশ্যই দন্ডনীয়।

কিন্তু মানুষ বিবেকবান হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকারী হলেও অনেক সময় নানা কারণে দিনের পর দিন অন্যায় সহ্য করে যায়। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সৎসাহস তাদের থাকে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের এ প্রতিবাদহীন নির্লিপ্ততা প্রকারান্তরে অন্যায়কারীকে আরও বেপরােয়া করে তােলে। দিন দিন বাড়ে তার শক্তি-সাহস। সাধারণ মানুষ মেরুদণ্ডহীনের মতাে মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়। জগতের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ বিধাতার প্রতিনিধিরূপে ন্যায়-অন্যায় মূল্যায়নের মাধ্যমে অন্যায় কাজ ও অন্যায়। চিন্তা থেকে বিরত থাকবে।

ক্ষমাশীলতা মানুষের একটি মহৎ গুণ। কিন্তু ক্ষমারও একটা বিশেষ সীমা থাকা প্রয়ােজন। অন্যায়কারীকে ক্ষমা করার মাঝে কোনাে মহত্ত্ব নেই। নেই কোনাে কৃতিত্ব। যারা এদের ক্রমাগত ক্ষমা করে প্রশ্রয় দেয় তাদের অপ্রাধও কম নয়। কেননা অন্যায়কারীর মতােই অন্যায়কে প্রশ্রয়দানকারী সমান অপরাধে অপরাধী।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।