“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।”—উধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi | Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।”—উধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে ঘন কালাে মেঘে আকাশ ঢেকে যায় | প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলােয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি-ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন,পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের খুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘে জল দিচ্ছে | আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যা, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার ভূমিকা, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়

উত্তর: কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা প্রবল। ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। কলিঙ্গদেশে আকাশের উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পাচ্ছে না | মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তােলে |

কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত | মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

দেবীচণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়| সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। প্রজারা ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। সবুজ শস্যের খেত ধুলােয় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় চারপাশ। জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। মেঘের গর্জনে কেউ কারাের কথা শুনতে পায় না। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।

ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধুলােয় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি-ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন,পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম এবং সুপ্রতীক যেন তাদের খুঁড়ের সাহায্যে চারমেঘে জল দিচ্ছে | আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্য, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার সারাংশ, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার সারমর্ম, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি বিষয়বস্তু, কলিঙ্গ দেশের ঝড় বৃষ্টি সারাংশ, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বিষয়বস্তু, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার সারাংশ, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা মানে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রেক্ষাপট

দেবরাজ ইন্দ্র চার মেঘকে আদেশ করলেন কলিঙ্গদেশে গিয়ে ঝড়-বৃষ্টির মাধ্যমে তারা যেন ভয়ংকর প্রলয় কাণ্ড ঘটায়। হলােও তাই। আকাশ ঘন মেঘে আচ্ছন্ন। অন্ধকারে কেউ নিজের শরীরও দেখতে পাচ্ছে । ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। ঈশানে মেঘ উড়ছে। উত্তরদিকে মেঘ ডাকছে। কলিঙ্গদেশের আকাশে মেঘ উড়ে এসে উচ্চনাদে গর্জন শুরু করেছে। আসন্ন প্রলয়ের প্রমাদ গণে কলিঙ্গ প্রজারা বিষাদমগ্ন।

আকাশজুড়ে দেবরাজ আদিষ্ট চারি মেঘের সম্মেলন ও বর্ষণ। হুড়হুড় দুড়দুড় শব্দে ঝড় বইছে। কলিঙ্গদেশের মানুষ বিপদ বুঝে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। সবুজ ঘাস, গাছ ও মাঠের শস্য ধুলােয় ঢাকা পড়ছে। ঝড়ে উলটে-পড়া শস্য দেখে প্রজারা মর্মাহত হয়ে চমকে উঠছে। চারি মেঘের বাহক হয়ে আট দিগহস্তী জল বর্ষণ করছে। ব্যাং-এর মতন থেকে থেকে তােক করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাজ পড়ছে। মেঘগর্জনে কারও কথা কেউ শুনতে পাচ্ছে না। বৃষ্টির বিরাম নেই। সাতদিন একনাগাড়ে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের ও বজ্রপাতের আওয়াজ হুড়হুড় দুড়দুড় ঝনঝন। বৃষ্টির সঙ্গে শিলও পড়ছে ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতাে বিশালাকার। ঘরের চাল ভেদ করে ঘরের মেঝেতে পড়ছে শিল।

ওই ভয়ংকর দুর্যোগে দিন, রাত্রি, সন্ধ্যা সব যেন একাকার, আলাদা করে বােঝা যাচ্ছে । কলিঙ্গের সকল বাসিন্দা বজ্রবারক জৈমিনি মুনির নাম স্মরণ করছে। অবিরাম বর্ষণে জল ও স্থল বলে আলাদা কোনাে অস্তিত্বই নেই। সব একাকার। গর্ত জলের তলে চলে যাওয়ায় আশ্রয়হীন সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে। মাঠে চাষের কাজ বন্ধ। ঘরে জল ঢুকেছে। তা ছাড়া মা চণ্ডীর আদেশ পেয়ে হনুমান মঠ-অট্টালিকা ভেঙে খানখান করছে। চারিদিকে বিশাল পর্বতপ্রমাণ উঁচু ঢেউ উঠেছে। তাতে ডুবে যাওয়া ঘরগুলি দলিত-মথিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মহাপ্লাবনের বিপর্যয় নিয়ে ধেয়ে আসছে মা চণ্ডীর আদেশে নদনদী। শ্রীকবিকঙ্কণ গাইছেন অম্বিকামঙ্গল গান।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি pdf

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়

প্রশ্ন ) কৱি-কৱ সমান বাৱষে জলধারা। তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর : ‘করি-কর’ হলাে হাতির গুঁড়। সমান’ অর্থাৎ, মতাে বা তুল্য। চারি মেঘের মিলিত ব্যর্ণধারা প্রবলতম। ওই প্রবলতম বর্ষণধারা হাতির শুড় তুল্য। একটি সুন্দর উপমা। দিগহস্তীরা জল বর্ষণ করছে। কবির স্বাভাবিকভাবে মনে হয়েছে, বর্ষিত জলধারা তাদের খুঁড়ের তুল্য প্রবলতম চেহারার।

প্রশ্ন ) কী পরিস্থিতিতে কলিঙ্গের সকল লােক ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করছে ? স্মরণ কৱাৱ কারণ কী? 

উত্তর : দেবরাজ ইন্দ্রের নির্দেশে চার প্রকার মেঘ কলিঙ্গ দেশের আকাশে জড়াে হয়ে মহাদুর্যোগ শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ভয়ানক ঝড় আর মুশলধারে বৃষ্টি। তাদের সঙ্গী হয়েছে। বজ্রের কানফাটানাে গর্জন আর ঘনঘন বজ্রপাত।
বজ্রহুংকারের বর্ণনায় কবি বলেছেন, ‘হুড় হুড় দুড় দুড় শুনি ঝন ঝন কিংবা ‘সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গ-তড়কা বাজ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে ভীত কলিঙ্গবাসী স্মরণ করছে ঋষি জৈমিনিকে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।