পদার্থ কাকে বলে, কঠিন পদার্থ কাকে বলে, তরল পদার্থ কাকে বলে, মৌলিক পদার্থ কাকে বলে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

পদার্থ কাকে বলে

যা নির্দিষ্ট স্থান দখল করে এবং যার একটি নির্দিষ্ট ভর আছে, তাকেই পদার্থ বলে। এখানে, ভর হচ্ছে একটি পদার্থের পরিমাণ। এই পরিমাণের উপর ভিত্তি করে পদার্থ তার নিজের স্থান দখল করে। একটি পদার্থের আকার ও আয়তন থাকতে পারে আবার নাও থাকতে। আমাদের আশেপাশে যা আছে সবকিছুই হচ্ছে পদার্থের উদাহারন। কলম, খাতা, পেন্সিল, কাঠ, কম্পিউটার, মাউজ, কাপ, মগ ইত্যাদি হচ্ছে পদার্থ।

আমাদের আশেপাশে আমরা যা দেখতে পাই বা অনুবভব করতে পারি তাই হচ্ছে পদার্থ। আপনার সামনে একটি টেবিল আছে, টেবিলে গ্লাস আছে এবং গ্লাসে পানি আছে। এখানে টেবিল, গ্লাস, পানি প্রত্যেকেই এক একটি পদার্থ। আমরা নিজে নিজেই একটি পদার্থের অন্যতম উদাহারন। আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস চলার মাধ্যমে আমরা বেঁচে আছি। আমরা সবাই জানি, শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহন করি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরন করি। অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু অনুভব করতে পারি। এই অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড প্রত্যেকেই এক ধরনের পদার্থ।

পদার্থের উদাহরণ: পাথর, জল, বায়ু, লোহা, কাঠ প্রভৃতি হলো পদার্থ। কারণ, এদের আমরা ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে পারি। সব পদার্থ কিছুটা জায়গা জুড়ে থাকে। এদের ভর আছে। আবার বস্তুর ছায়া ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য, কিন্তু ছায়ার কোন ভর নেই, তাই এটি পদার্থ নয়।

পদার্থ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

পদার্থ গঠনভেদে দুই প্রকার,

১। মৌলিক পদার্থ : যেসব পদার্থকে সম্পূর্ণ রূপে বিভাজন বা পৃথক করলে শুধুমাত্র ঐ পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, তাদেরকেই মৌলিক পদার্থ বলে। অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ইত্যাদি মৌল হচ্ছে মৌলিক পদার্থ।

২। যৌগিক পদার্থ : যেসব পদার্থকে বিভাজন বা পৃথক করলে, ঐ পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায়, তাদেরকেই যৌগিক পদার্থ বলে। পানি, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি যৌগ হচ্ছে যৌগিক পদার্থের উদাহারন।

আবার অবস্থানভেদে পদার্থ চার প্রকার,

১। কঠিন পদার্থ : যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে এবং অনু পরমাণু গুলো খুব ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকে, তাকে কঠিন পদার্থ বলে। পদার্থের কঠিন অবস্থায় আন্তঃআনবিক ও আন্তঃপারমানবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি থাকে। এই অবস্থায় অনু পরমাণুর মধ্যে কম্পনশীলতা ও সংকোচন অনেক পরিমাণে থাকে। ইট, পাথর, কাঠ ইত্যাদি হচ্ছে কঠিন পদার্থের উদাহারন।

২। তরল পদার্থ : যে পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই এবং ঐ পদার্থের অনু পরমাণু গুলো একে অপরের সাথে অল্প দূরত্ব বজায় রাখে, তাকে তরল পদার্থ বলে। পদার্থের তরল অবস্থায় আন্তঃআনবিক ও আন্তঃপারমানবিক শক্তি কঠিন অবস্থার চেয়ে তুলনামূলক কম থাকে। এই অবস্থায় অনু পরমাণুর মধ্যে কম্পনশীলতা ও সংকোচন কম থাকে। পানি, তেল, দুধ ইত্যাদি হচ্ছে তরল পদার্থের উদাহারন।

৩। বায়বীয় পদার্থ : যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই এবং ঐ পদার্থে অনু পরমাণু সমূহ একে অপরের সাথে অনেক দূরত্ব বজায় রাখে, তাকে বায়বীয় পদার্থ বলে। পদার্থের কঠিন অবস্থায় আন্তঃআনবিক ও আন্তঃপারমানবিক শক্তি খুবই নগণ্য। এই অবস্থায় অনু পরমাণুর মধ্যে কম্পনশীলতা ও সংকোচন প্রায়ই নেই বললে চলে। বাতাস, পানির বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি হচ্ছে বায়বীয় পদার্থের উদাহারন।

৪। প্লাজমা : পদার্থের যে গ্যাসীয় অবস্থায় সমান সংখ্যক ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন বহন করে আয়নিত হয়, তাকে প্লাজমা বলে। পদার্থের প্লাজমা অবস্থায় ধনাত্মক চার্জ বা আয়ন কণা বা অনু-পরমাণু বহন করে এবং ঋণাত্মক আয়ন বা চার্জ ইলেকট্রন বহন করে। বজ্রপাত, নিয়ন গ্যাস দিয়ে তৈরি রাসায়নিক যৌগ, নিউক্লিয়ার বোমায় উৎপন্ন আগুন ইত্যাদি হচ্ছে পদার্থের প্লাজমা অবস্থার উদাহারন।

মৌলিক পদার্থ কাকে বলে

মৌলিক পদার্থ: যে পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থ ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট অন্য কোন নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক পদার্থ বা মৌল বলে।

মৌলিক পদার্থের উদাহরণ: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন, গন্ধক, তামা, দস্তা, পারদ, সোনা, রুপা প্রভৃতি মৌলিক পদার্থের উদাহরণ।

মৌলিক পদার্থ কত প্রকার ও কি কি

ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের ভিত্তিতে মৌলিক পদার্থ চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. ধাতু
  2. অধাতু
  3. ধাতুকল্প
  4. নিষ্ক্রিয় মৌল।

মৌলিক পদার্থের মোট সংখ্যা কয়টি

পৃথিবীতে প্রাকৃতিক মৌলের সংখ্যা 92 টি। এদের স্বাভাবিক মৌল বলা হয়। এছাড়া বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে আরো 13 টি মৌল প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছেন। এদের কৃত্রিম মৌল বলে। অর্থাৎ, বর্তমানে পৃথিবীতে মৌলিক পদার্থের মোট সংখ্যা 105 টি।

যৌগিক পদার্থ কাকে বলে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে উদাহরণ

যৌগিক পদার্থ: দুই বা তার বেশি সংখ্যক মৌলিক পদার্থ নির্দিষ্ট ওজনের অনুপাতে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে ভিন্ন ধর্মী পদার্থ গঠন করে। অথবা, যে পদার্থের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করলে দুই বা তার বেশি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।

যৌগিক পদার্থের উদাহরণ: জল, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, খাদ্য লবন, এসিড, ক্ষার প্রকৃতি হল যৌগিক পদার্থের উদাহরণ।

যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য

  • যৌগিক পদার্থের উপাদান মৌল গুলি সর্বদা নির্দিষ্ট ওজনের অনুপাত এর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌগ উৎপন্ন করে। নির্দিষ্ট যৌগের ক্ষেত্রে মৌল গুলির ওজন অনুপাত সর্বদায় একই থাকে।
  • যৌগিক পদার্থের ধর্ম তার উপাদান মৌল গুলির ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।
  • যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলিকে সহজ ভৌত পদ্ধতিতে পৃথক করা যায় না।
  • যৌগিক পদার্থের প্রতিটি অংশের গঠন ও ধর্ম একই থাকে। অর্থাৎ, যৌগিক পদার্থ সমসত্ব হয়।
  • যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপের উদ্ভব বা শোষণ অবশ্যই ঘটবে।
  • প্রমাণ চাপে বিশুদ্ধ যৌগিক পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক নির্দিষ্ট। যেমন, প্রমাণ চাপে বরফের গলনাঙ্ক ও 0°C এবং জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C।

মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য

মৌলিক পদার্থযৌগিক পদার্থ
মৌলিক পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে মূল পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না।যৌগিক পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়।
মৌলিক পদার্থের অণুতে একই ধর্ম বিশিষ্ট পরমাণু থাকে।যৌগিক পদার্থের অণুতে একাধিক মৌলের পরমাণু থাকে।
কোন কোন মৌল একাধিক রূপে থাকতে পারে। যেমন: হীরে, গ্রাফাইট, কাঠকয়লা প্রভৃতি একই মৌল কার্বন।যৌগিক পদার্থের এই ধর্ম (বহুরূপতা) দেখা যায় না।
মৌলিক পদার্থের সংখ্যা বর্তমানে 105টি।যৌগিক পদার্থের সংখ্যা অসংখ্য।
মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য

আরো পড়তে: অভিস্রবণ কাকে বলে, ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর মধ্যে পার্থক্য

মিশ্র পদার্থ কাকে বলে

মিশ্র পদার্থ: একাধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে যে কোনও ওজন অনুপাতে মেশালে যদি উৎপন্ন পদার্থের মধ্যে মিশ্রিত পদার্থ গুলির ধর্ম অপরিবর্তিত থাকে, তবে সেই পদার্থকে মিশ্র পদার্থ বলে।

মিশ্র পদার্থের উদাহরণ:

  • বায়ু – অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও কয়েকটি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মিশ্রণ।
  • ধোঁয়া – বায়ু ও সূক্ষ্ম কার্বন কণার মিশ্রণ।
  • সোডা ওয়াটার – জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মিশ্রণ।
  • সমুদ্রের জল – জল ও লবণের মিশ্রণ।
  • চিনির জল – জল ও চিনির মিশ্রণ।
  • পিতল – তামা ও দস্তার মিশ্রণ।
  • ব্রোঞ্জ – তামা ও টিনের মিশ্রণ।
  • বারুদ – কাঠকয়লা, গন্ধক ও পটাশিয়াম নাইট্রেট এর মিশ্রণ।

মিশ্র পদার্থের বৈশিষ্ট্য

  • মিশ্র পদার্থের উপাদানের কণাগুলি পাশাপাশি অবস্থান করে।
  • উপাদানগুলিকে যে কোন অনুপাতে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করা যায়।
  • মিশ্রণে উপাদানগুলির ধর্মের কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ, মিশ্রণে উপাদান গুলির নিজ নিজ ধর্ম বজায় থাকে।
  • মিশ্রণের উপাদানগুলিকে সহজ পদ্ধতিতে পৃথক করা যায়।
  • মিশ্র পদার্থ সমসত্ব হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।

মিশ্র পদার্থ ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য

মিশ্র পদার্থযৌগিক পদার্থ
দুই বা তার বেশি মৌল বা যৌগকে যে কোন ওজন অনুপাতে মেশালে মিশ্র পদার্থ উৎপন্ন হয়।দুই বা তার বেশি মৌল একটি নির্দিষ্ট ওজন অনুপাতে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে যৌগিক পদার্থ গঠন করে।
মিশ্র পদার্থে ওর উপাদানগুলোর ধর্মের পরিবর্তন হলেও রাসায়নিক ধর্মের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলোর রাসায়নিক ধর্মের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটে এবং নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থ গঠিত হয়।
মিশ্র পদার্থ ও সমসত্ত্ব হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।যৌগিক পদার্থ অবশ্যই সমসত্ব হবে।
মিশ্র পদার্থের উপাদানগুলো পাশাপাশি অবস্থান করে মাত্র। কিন্তু নতুন ধর্ম বিশিষ্ট কোন পদার্থ উৎপন্ন হয় না।যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলো যুক্ত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন করে।
মিশ্র পদার্থ গঠনের সময় তাপমাত্রার তারতম্য হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।যৌগিক পদার্থ গঠনের সময় তাপমাত্রার তারতম্য অবশ্যই হবে।
মিশ্র পদার্থের উপাদানগুলোকে সহজ উপায়ে পৃথক করা যায়।যৌগিক পদার্থের উপাদানগুলোকে রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় পৃথক করা যায় না।
যৌগিক পদার্থের নিজস্ব কোন ধর্ম নেই। ওর উপাদানগুলোর ধর্মের সমষ্টি হল মিশ্রণটির ধর্ম।যৌগিক পদার্থের নিজস্ব ধর্ম আছে এবং তা উপাদানগুলির ধর্ম থেকে আলাদা।
মিশ্র পদার্থের নিজস্ব স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক নেই।যৌগিক পদার্থের নিজস্ব স্ফুটনাঙ্ক বা গলনাঙ্ক আছে।
মিশ্র পদার্থ ও যৌগিক পদার্থের পার্থক্য

কঠিন পদার্থ কাকে বলে

যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এর আকার ও আয়তনের পরিবর্তন হয় না তাকে কঠিন পদার্থ বলে। যেমন – লোহা, ইট, পাথর, কাঠ ইত্যাদি।

কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য

  • নির্দিষ্ট আকার আছে।
  • ওজন আছে।
  • জায়গা দখল করে।
  • বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
  • একে তাপ দিলে প্রসারিত হয়।
  • কোন কোন কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। যেমন – ন্যাপথলিন।

তরল পদার্থ কাকে বলে, তরল পদার্থ কাকে বলে উদাহরণ দাও

যেসকল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই এবং যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রেই আকার ধারণ করে, তাকে তরল পদার্থ বলে। যেমন – পানি, তেল, দুধ ইত্যাদি।

তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য

  • তরলের আয়তন আছে কিন্তু আকার নেই।
  • ওজন আছে।
  • জায়গা দখল করে।
  • যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রেই আকার ধারণ করে।
  • নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।

গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে, বায়বীয় পদার্থ কাকে বলে

গ্যাসীয় বা বায়বীয়: গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন ও নির্দিষ্ট আকার নেই। গ্যাসীয় পদার্থের অণুসমূহের আন্তঃআণবিক দূরত্ব পদার্থের তিন অবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তাই আন্তঃআণবিক আকর্ষণ শক্তি সবচেয়ে কম। ফলে তারা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্তভাবে চলাচল করে। উদাহরণ: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি।

যে পদার্থের নির্দিষ্ট ভর আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট কোন আকার ও আয়তন নেই, তাকে বায়বীয় পদার্থ বলে । যে সকল পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআনবিক আকর্ষণ বল থাকে না এবং অণুগুলো ছুটাছুটি করতে থাকে তাকে বায়বীয় পদার্থ বলে।

বায়বীয় বা গ্যাসীয় পদার্থ পদার্থের বৈশিষ্ট্য

নিচে এর বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো—

  • নির্দিষ্ট কোনো আকার বা আয়তন নেই।
  • বায়বীয় পদার্থের ওজন আছে।
  • এ পদার্থ জায়গা দখল করে।
  • ঠাণ্ডা করলে তরল পদার্থে পরিণত হয়।
  • ছোট পাত্রে এর আয়তন কম, বড় পাত্রে আয়তন বেশি।

উদ্বায়ী পদার্থ কাকে বলে

যে সকল পদার্থকে তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং শীতলীকরণের ফলে পুনরায় গ্যাসীয় হতে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তাদেরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে।

যে সকল পদার্থকে তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং শীতলীকরণের ফলে পুনরায় গ্যাসীয় হতে কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তাদেরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে। যেমন : ন্যাপথালিন, আয়োডিন ইত্যাদি।

জৈব পদার্থ কাকে বলে

জৈব পদার্থ হলো যা রাসায়নিকভাবে কার্বন এবং এর মৌলিক পরমাণুর চারপাশে গঠিত। এটি মাটির প্রথম স্তর গঠন করে এবং ক্ষয়কারী জীব এবং অবশিষ্টাংশের সমন্বয়ে গঠিত যা গাছগুলিকে বাঁচতে সক্ষম হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

সহজ ভাষায় বললে, কার্বন এবং তার শ্রেনীর অন্যসকল জাতক যৌগগুলোই হলো জৈব পদার্থ। এদেরকে মাটির নিচে পাওয়া যায়।

যে সমস্ত পদার্থ জীব কোষ থেকে তৈরি হয় তাকে জৈব পদার্থ বলে সাধারণত এদের উপাদানে কার্বন হাইড্রোজেন নাইট্রোজেন অক্সিজেন ফসফরাস সালফার প্রভৃতি মৌলিক পদার্থ থাকে তবে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব প্রথম যে জৈব পদার্থ তৈরি করা হয়েছিল তা ছিল ইউরিয়া।

অজৈব পদার্থ কাকে বলে

পর্যায় সারণির যেকোনো মৌল নিয়েগঠিত পদার্থকে অজৈব পদার্থ বলে।

সব উপাদান এবং অজৈব যৌগের উৎপাদন, বৈশিষ্ট্য, প্রতিক্রিয়া, ব্যবহার, ইত্যাদি অধ্যয়ন করতে রসায়ন বিভাগের একটি বিভাগ। অজৈব রসায়ন এক জোড়া উপায়, উদ্দেশ্য, ইত্যাদি উপর নির্ভর করে। এটি অজৈব সিনথেটিক রসায়ন, অজৈব পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন, অজৈব স্ট্রাকচারাল রসায়ন, অজৈব বিশ্লেষকীয় রসায়নের মতো।

  • চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে ধাতু বলে। যৌগিক পদার্থে এরা সাধারণত তড়িৎ ধনাত্মক আয়ন হিসেবে উপস্থিত থাকে। যেমন – কপার, অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার প্রভৃতি। ধাতুসমূহ উত্তম বিজারক। কারণ তারা ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিজে জারিত হয় এবং অন্যের বিজারণ ঘটায়।
  • যে সব মৌল কখনো ধাতু বা কখনো অধাতুর ন্যায় আচরণ করে তাদের উপধাতু বলে। যেমন বোরন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম, আর্সেনিক ইত্যাদি। উপধাতুগুলো অর্ধপরিবাহী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • যে সব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের অধাতু বলে,যেমন নাইট্রোজেন, কার্বন, ক্লোরিন ইত্যাদি।

তেজস্ক্রিয় পদার্থ কাকে বলে

যে সকল মৌলের নিউট্রন ও প্রোটন এর অনুপাত 1.5 এর বেশি সেই সকল মৌলের নিউক্লিয়াস অস্থির হয়,সেই সকল মৌলের নিউক্লিয়াস থেকে এক প্রকার অদৃশ্য রশ্মি নির্গত হয়, যা গ্যাসকে আয়নিত করতে পারে ,তড়িত ও চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং পাতলা ধাতব পাত কে ভেদ করতে পারে, এই অদৃশ্য রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বলে।

যেসকল মৌলের নিউক্লয়াস থেকে এ ধরনের রশ্মি নির্গত হয় তাদের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে।

যেমন ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম, থোরিয়াম ইত্যাদি।

তেজস্ক্রিয় মৌল সমূহের যৌগ গুলিও তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তেমন RaCl₂একটি তেজস্ক্রিয় যৌগ।

জারক পদার্থ কাকে বলে

যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে।

Zn + CuSO4 –> ZnSO4 + Cu

এখানে জিংক এবং কপার সালফেটের বিক্রিয়ায় কপার সালফেট জারক হিসেবে কাজ করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় জারক ইলেক্ট্রন গ্রহন করে।

কয়েকটি জারক পদার্থ

কঠিনতরলগ্যাসীয়
ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড [MnO2]নাইট্রিক অ্যাসিড [HNO3]অক্সিজেন [O2]
পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট [KMnO4]গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড [H2SO4]ওজোন [O3]
পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট [K2Cr2O7]হাইড্রোজেন পারক্সাইড [H2O2]ফ্লুওরিন [F]  
রেড লেড [Pb3O4]  তরল ব্রোমিন [Br2]ক্লোরিন [Cl2]
কয়েকটি জারক পদার্থ

চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে

চৌম্বক পদার্থ: যে সকল পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদের সহজে চুম্বকে পরিণত করা যায় তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে।

চৌম্বক পদার্থের উদাহরণ: যেমন, লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।

যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে প্রভাবিত হয়, তাদেরকে চৌম্বক পদার্থ বলে। যথা: কাচা লোহা, ইস্পাত, নিকেল ইত্যাদি চৌম্বক পদার্থ। চৌম্বক পদার্থ তিন প্রকার। এগুলো হলো–

  1. প্যারা-ম্যাগনেটিক পদার্থ : যে সব চৌম্বক পদার্থ চুম্বকের প্রভাবে খুব কম পরিমাণ আকর্ষিত হয় তাকে প্যারা-ম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমনঃ অ্যালুমিনিয়াম, প্লাটিনাম ইত্যাদি প্যারা-ম্যাগনেটিক পদার্থের উদাহরণ।
  2. ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থ : যে সব চৌম্বক পদার্থ চুম্বকের প্রভাবে বিকর্ষিত হয়, তাকে ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমনঃ দস্তা, পারদ, পানি, স্বর্ণ, সীসা, টিন ইত্যাদি ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থের উদাহরণ।
  3. ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থ : যে সব চৌম্বক পদার্থ চুম্বকের প্রভাবে খুব বেশি আকর্ষিত হয়, তাকে ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থ বলে। যেমনঃ লোহা, ইস্পাত, কোবাল্ট ইত্যাদি ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থের উদাহরণ।

অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে উদাহরণ দাও

অচৌম্বক পদার্থ: যে সকল পদার্থের চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং যাদের চুম্বকের পরিণত করা যায় না তাদের অচৌম্বক পদার্থ বলে।

অচৌম্বক পদার্থের উদাহরণ: যেমন, কাঁচ, কাগজ, কাঠ, তামা, পিতল, দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।

বিশুদ্ধ পদার্থ কাকে বলে

একটি মাত্র পদার্থ দ্বারা গঠিত পদার্থকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।

কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের সঙ্গে অপর কোনো পদার্থ মিশে না-থাকলে, তাকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে। উদাহরণ : বিশুদ্ধ জল, বিশুদ্ধ নুন, বিশুদ্ধ লোহা ইত্যাদি।

পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে

যেসকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনে কোনো বাধার সৃষ্টি করে না তাকে পরিবাহী পদার্থ বলে।

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তড়িৎপ্রবাহ চলাচল করতে পারে তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন– তামা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।

অর্ধ পরিবাহী পদার্থ কাকে বলে

যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সে সকল পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। পরিবাহী যে সব পদার্থের মধ্যে দিয়ে সহজেই তড়িৎ প্রবাহ চলে তাদেরকে পরিবাহী বলে।

যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সে সকল পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন– জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি

খনিজ পদার্থ কাকে বলে

ভূ-পৃষ্ঠে নানা প্রকার রাসায়নিক মৌলিক উপাদান একত্রে মিলিত হয়ে যে যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে, এগুলোকে খনিজ পদার্থ বলে ।

এক বা একাধিক উপাদানে গঠিত হয়ে বা সামান্য পরিবর্তিত অবস্থায় যেসব রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাত যৌগিক পদার্থ শিলাস্তরে সঞ্চিত থাকে তাকে খনিজ বলে।

খনিজ সম্পদের উদাহরণ :-

সোনা, তামা, রূপা, করলা, জি তৈল, লোহা, ভাষা, দণ্ড, চুনাপাশ্বের, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাংগানিজ প্রভৃতি খনিজ সম্পদের উদাহরণ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | পদার্থ

Q1. পদার্থ কি

Ans – যে সকল বস্তুর ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে ,বল প্রয়োগে বাঁধা প্রদান করে,তাদেরকে পদার্থ বলে । যেমন: বাতাস, মানুষ,তেল ইত্যাদি

Q2. অপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে

Ans – যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চলাচল করতে পারে না তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক পদার্থ বলে। যেমন– প্লাস্টিক, রাবার, কাঠ, কাচ ইত্যাদি।

Q3. সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে

Ans – যেসব পদার্থের মধ্যে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের চারটি বৈশিষ্টের যেমন বিশুদ্ধতা, বাতাসে অপরিবর্তিত থাকা, রাসায়নিক নিক্তির ক্ষয় না করা অথবা ঘনমাত্রার পরিবর্তন না ঘটানো ইত্যাদির কোনো একটির অভাব ঘটে, তখন এদেরকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে।

Q4. অর্ধপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে

Ans – যে সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহণ ক্ষমতা অন্তরকের চেয়ে বেশি কিন্তু পরিবাহক হতে কম এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে যেসব পদার্থের পরিবহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা রোধ কমে যায় তাদেরকে অর্ধপরিবাহী পদার্থ বলে।
যেমন– জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি। সুবিধামতো অপদ্রব্য মিশিয়ে অর্ধপরিবাহী পদার্থের তড়িৎ পরিবাহকত্ব বৃদ্ধি করা যায়।

Q5. বিস্ফোরক পদার্থ কাকে বলে

Ans – বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক পদার্থ হচ্ছে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম, এমন এক ধরনের পদার্থ। এর মধ্যে উচ্চমাত্রার শক্তি সঞ্চিত থাকে, যা বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। হঠাৎ করে খুবই অল্প সময়ের মাঝে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ শক্তি প্রকাশ পায়। যা আলো, তাপ, শব্দ, এবং চাপ শক্তি আকারে প্রকাশ পায়।

Q6. স্নেহ পদার্থ কাকে বলে

Ans – স্নেহ পদার্থ (ইংরেজি: Fat) বলতে সেই সমস্ত যৌগের শ্রেণীকে বোঝায় যারা সাধারণত জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয় কিন্তু পানিতে অদ্রবণীয়। রাসায়নিক গঠন বিবেচনা করলে, স্নেহ পদার্থ হল গ্লিসারল ও ফ্যাটি অ্যাসিডসমূহের ট্রাই-এস্টার।

Q7. দাহ্য পদার্থ কাকে বলে

Ans – যেসব পদার্থ আগুনের বা তাপের সংস্পর্শে এলে সহজে সেসব পদার্থ আগুন লেগে যায় সেগুলো হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। যেমন, কেরোসিন, টি এন টি।

Q8. প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ কাকে বলে

Ans – যেসব রাসায়নিক পদার্থ বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায়, যারা পানিগ্রাহী বা পানিত্যাগী নয় কিংবা বায়ুর উপাদান বা কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না এবং যাদের সরাসরি রাসায়নিক নিক্তিতে ওজন করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা হলে দ্রবণের ঘনমাত্রা দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত থাকে সেসব পদার্থকে প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলে। যেমন : সােডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3) পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) ইত্যাদি।

প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থের বৈশিষ্ট্য:-

– প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থগুলোকে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়;
– এগুলো বায়ুতে থাকা CO2, O2 ও জলীয় বাষ্প দ্বারা আক্রান্ত হয় না;
– রাসায়নিক নিক্তিতে সঠিকভাবে ভর মেপে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়;
– পানিত্যাগী, পানিগ্রাহী ও পানিগ্রাসী নয়।

Q9. উষ্ণতামিতি পদার্থ কাকে বলে

Ans – যে সকল পদার্থের উষ্ণতামিতি ধর্ম ব্যবহার করে থার্মোমিটার তৈরি করা হয় তাদেরকে তাপমিতিক বা উষ্ণতামিতিক পদার্থ বলে।
উষ্ণতামিতিক পদার্থের ব্যবহার: বিভিন্ন পরিসরের উষ্ণতা নির্ণয়ের জন্য সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন উষ্ণতামিতিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত উষ্ণতামিতিক পদার্থের বা তার ধর্মের ওপর ভিত্তি করে থার্মোমিটারের নামকরণ করা হয়। যেমন- পারদ থার্মোমিটার, রোধ থার্মোমিটার, গ্যাস থার্মোমিটার প্রভৃতি।

Q10. স্থিতিস্থাপক পদার্থ কাকে বলে

Ans – স্থিতিস্থাপকতা পদার্থ তথা বস্তুর একটি ভৌত ধর্ম। বল প্রয়োগের কারণে বিকৃত হয়ে যাওয়া কোন বস্তুর বল সরিয়ে নেয়ার পর আদি অবস্থায় ফিরে যেতে পারার সক্ষমতা তথা ধর্মকে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় স্থিতিস্থাপকতা (ইংরেজি ভাষায়: Elasticity) বলা হয়। যে সকল বস্তুর এই গুণ আছে তাদের স্থিতিস্থাপক বস্তু (ইংরেজি ভাষায়: Elastic) বলে।

Q11. রেচন পদার্থ কাকে বলে?

Ans – দেহে খাদ্য হজম হয়ে উৎপন্ন করে খাদ্যসার বা ক্ষুদ্র শোষণীয় খাদ্য কণা। যেমন প্রোটিন বা আমিষ খাদ্য হজম হয়ে উৎপন্ন করে অ্যামিনো এসিড।এক্ষেত্রে অ্যামিনো এসিড খাদ্যসার। এই খাদ্যসার কোষে শক্তি উৎপাদন ও প্রোটোপ্লাজম এর ক্ষয় পূরণে ব্যয় হয় একে বিপাক বলে। প্রোটিন বিপাকের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেন জাতীয় বর্জ্য পদার্থকে রেচন পদার্থ বলে। উদাহরণ- ইউরিয়া,ইউরিক এসিড

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।