“কলিঙে সােঙরে সকল লােক যে জৈমিনি||—জৈমিনি কে? কলিগবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi, কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি | Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“কলিঙে সােঙরে সকল লােক যে জৈমিনি ||—জৈমিনি কে? কলিগবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?

উত্তর: কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাক্‌সিদ্ধ ঋষি। এনার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়ে যায় এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ এঁর নামকীর্তন করে।

কলিঙাদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালাে মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুশলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে ভীত কলিঙ্গাবাসী এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি ছোট প্রশ্ন উত্তর, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার ছোট প্রশ্ন উত্তর, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর, কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি উত্তর, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার ছোটো প্রশ্ন উত্তর

‘সোঙ্গরে’ শব্দের অর্থ হল?

উত্তর: স্মরণ করে

“গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে”- ‘বুলে’ শব্দটির অর্থ হল?

উত্তর: ঘুরে বেরায়

কবিতায় যে মাসে তাল পড়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ভাদ্র।

বীর হমুমান কার আদেশ পান?

উত্তর: দেবী চন্ডীর।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার উৎস ?

উত্তর: চন্ডীমঙ্গল।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার কবি হলেন?

উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।

ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছিল ?

উত্তর: কলিঙ্গদেশে।

চারিদিক অন্ধকারে দেখতে না পাওয়ার কারণ হল?

উত্তর: সূর্য মেঘে ঢাকা পড়েছিল।

‘চিকুর’ বলতে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: বিদ্যুৎ।

‘রড়’ কথার অর্থ হল?

উত্তর: দৌড় বা ছুট।

শ্রীকবিকঙ্কণ কোন গান গেয়েছেন?

উত্তর: শ্রীকবিকঙ্কণ অম্বিকা মঙ্গল গান গেয়েছেন।

‘প্রজা দিল রড়’-‘রড়’ শব্দের অর্থ কি?

উত্তর: দৌড়ানো বা ছুটে যাওয়া।

কোথায় অন্ধকার হয়ে এলো?

উত্তর: কলিঙ্গের আকাশ অন্ধকার হয়ে এলো।

‘কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কার লেখা?

উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর লেখা।

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,

অম্বিকামাল গান শ্রীকবিকঙ্কণ ।।-‘অম্বিকামাল’ এবং তাঁর কবি ‘শ্রীকবিকঙ্কণ’-এর সংক্ষিপ্ত পৱিচয় দাও, কলিঙ্গাদেশে ঝড়-বৃষ্টি অংশে বর্ণিত প্রাকৃতিক দৃশ্যের পৱিচয় দাও।

উত্তর : কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর লেখা গ্রন্থটি ‘চণ্ডীমঙ্গল নামে পরিচিত। ‘চণ্ডী’ই হলেন অম্বিকা। সেজন্য কবি কাব্যের মধ্যে একাধিক জায়গায় ‘চণ্ডীমঙ্গল’-কে ‘অম্বিকামঙ্গল’ নামে অভিহিত করেছেন।

‘কবিকঙ্কণ’ উপাধিবিশেষ। আবার কারাে-কারাে মতে পদবি-পরিচায়ক। যাই হােক, নামের বদলে উপাধি অনেক সময় নাম হয়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কবি তাঁর কাব্যে ‘মুকুন্দরাম নামের পরিবর্তে ‘শ্ৰীকবিকঙ্কণ’ উপাধিকে নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

কলিঙ্গদেশের আকাশে মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মেঘচ্ছায়ায় চারদিকে এমন অন্ধকার নেমেছে যে, কেউ নিজের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না। ঈশান কোণ থেকে উড়ে আসা মেঘে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ঘনঘন, মেঘ ডাকছে ‘দুর দুর করে। চার প্রকার মেঘের সম্মিলিত বৃষ্টি মুশলধারে নেমেছে। মনে হচ্ছে প্রলয় বুঝি আসন্ন। হুড়হুড় দুড়দুড় করে ঝড় এসে যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ধুলায় ধূসরিত সবুজ গাছপালা, লতা-তৃণ, মাঠের সবুজ ফসল। আট দিকহস্তির জল বর্ষণে বৃষ্টি নেমেছে যেন ‘করি-কর সমান বরিষে জলধারা। সেই সঙ্গে সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গতড়কা বাজ। বৃষ্টিতে পৃথিবী জলময়। মেঘের ঘনঘন গর্জনে কারও কথা কেউ শুনতে পাচ্ছে না। দিবাভাগে নেমেছে সন্ধ্যার অন্ধকার। গর্ত ছেড়ে সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণ চলেছে। ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতাে ঘরের চাল ভেদ করে শিল পড়ছে মেঝেতে। জলের বুকে উঠেছে পাহাড়প্রমাণ বড়াে বড়াে ঢেউ। ঢেউগুলি উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল। এই হলাে ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’-র মহাদুর্যোগের প্রাকৃতিক দৃশ্য।

ঝড়-বৃষ্টির প্রলয়ে বিধ্বস্ত কলিঙ্গোৱ ছবিটি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কীভাবে চিত্রিত করেছেন লেখাে, কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি প্রাকৃতিক বিপর্যয়

উত্তর : ঝড়-বৃষ্টির চিত্রিত ছবি ; কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কালকেতু আখ্যানে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টির প্রলয়ংকর রূপের অসামান্য ছবি এঁকেছেন। কলিঙ্গের আকাশে চার মেঘের মিলিত শক্তির ফলে শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। ঝড় এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল হুড়হুড় দুড়দুড় শব্দে। ঝড়ের প্রচণ্ড আঘাতে বুঝি ঘর ভেঙে পড়ে এমনই আশঙ্কা গৃহবাসীদের সন্ত্রস্ত করে। ফলে তারা ঘর ছেড়ে ছুটে পালায়। ঝড়ের উখিত ধুলােয় সবুজ ঘাস, গাছ ও মাঠের শস্য ঢাকা পড়ে।

ঝড়ের আঘাতে শস্য উলটে পড়ে। এ ক্ষতিও কম নয়। ঝড় চলতে চলতেই চার মেঘের তুমুল বর্ষণ শুরু হয়। আট দিগহস্তী যেন চার মেঘের জল বর্ষণ করতে থাকে। এ বর্ষণ এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম ধারায় চলে। পাল্লা দিয়ে চলে ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকানাে। থেমে থেমে বাজ পড়ে কড় কড় করে। মুশলধারে বর্ষণে স্থলভাগ চলে যায় জলের তলে। সর্বত্র জলময়। জলের তলে পথ হারিয়ে যায়। মাঠের শস্য ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। এমনকি সাপের গর্ত জলের তলায় চলে যায়। তারা গৃহহারা হয়ে জলে ভাসতে থাকে। মেঘগর্জনে কণ্ঠস্বর ডুবে যায়। একে অপরের কথা শুনতে পায় না। মেঘের পর্দার আড়ালে সূর্য অদৃশ্য থাকে। দিন, সন্ধ্যা ও রাত্রি নিজ নিজ সীমারেখার মাঝে চিহ্নিত থাকে না।

মনে হয় তারা তাদের পৃথক অস্তিত্ব হারিয়ে ‘এক দেহে লীন’। শিলাবৃষ্টিও চলতে থাকে। বড়াে বড়াে শিল। চেহারায় ভাদ্র মাসের পাকা তালের মতাে। ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে। চারিদিকের জলে ওঠে পর্বতপ্রমাণ বিশাল বিশাল ঢেউ। ঢেউ ঘরগুলির মাথায় চড়ে চালায় দলন-মলন। কাজেই কলিঙ্গদেশের সর্বত্র ধ্বংস আর ধ্বংস। অপূর্ব দক্ষতায় মুকুন্দরাম ধ্বংসের নিখুঁত ও বাস্তব ছবি তুলে ধরেছেন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.



ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি

প্রশ্ন ১) ‘কলিঙ্গাদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ রচনাংশেৱ আগের ও পৱেৱ অংশের নাম কী?

উত্তর : কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ রচনাংশের আগের অংশের নাম ‘মেঘগণের প্রতি ইন্দ্রের আদেশ’ ও পরের অংশের নাম ‘নদনদীগণের কলিঙ্গদেশে যাত্রা।

প্রশ্ন ২) ‘নিৱবধি সাত দিন বৃষ্টি নিৱন্তর। ‘নিৱবধি’ ও ‘নিৱন্তর’ শব্দেৱ দুটি করে সমার্থক শব্দ লেখাে।

উত্তর : ‘নিরবধি’ ও ‘নিরন্তর’ শব্দের দুটি করে সমার্থক শব্দ হলাে : নিরবধি—সীমাহীন, অনন্ত। নিরন্তর—অবিরাম, বিরামহীন।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।