আমার পরিচয় কবিতা, আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

আমার পরিচয় কবিতা

কবি – সৈয়দ শামসুল হক

আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ?

আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে
আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।

এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে
এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে।
এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে
এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।

আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে
আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে।
আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে
আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।

এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে
এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।
এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে
এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।

আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে
আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।
এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে
শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে ?

তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।

পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-
কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।
শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস।

এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।

আমার পরিচয় কবিতার মূলভাব, আমার পরিচয় কবিতার সারমর্ম

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি সৈয়দ শামসুল হক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও আত্মমর্যাদাবোেধসম্পন্ন জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পটভূমি তুলে ধরেছেন। কবিতায় কবি আত্মপরিচয় নির্দেশ করতে গিয়ে বাঙালির বহু পুরনাে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাস আমাদের সামনে এনেছেন। এতে তাঁর আত্মমর্যাদাবােধ জাগ্রত হয়েছে। হঠাৎ করে পাওয়া বা রাতারাতি গড়ে ওঠা কোনাে বিষয় কবির এই আত্মপরিচয়ের পেছনে কাজ করেনি।

তার আত্মপরিচয় এদেশের ঋদ্ধ, সমৃদ্ধ সংগ্রামী ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ঘেরা একটি সমৃদ্ধ পরিচয়। তাঁর আত্মপরিচয়ের সঙ্গে চর্যাপদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্য যাত্রা, পালযুগের চিত্রকলা, বৌদ্ধবিহারের জ্ঞানচর্চা, মুসলিম ধর্ম ও সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ, জমিদারি প্রথা, মৈমনসিংহ গীতিকার জীবন, কৈবর্ত বিদ্রোহ থেকে শুরু করে তিতুমীর, হাজী শরিয়তুল্লাহ, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম প্রমুখের বিপ্লব-বিদ্রোহ একাকার হয়ে আছে।

রবীন্দ্রনাথের বিশাল সৃষ্টি, নজরুলের সমস্ত বিদ্রোহী চেতনা ও সাম্যবাদের মুক্তির চেষ্টার সঙ্গেও একাত্ম হয়ে আছে কবির আত্মপরিচয়। তিনি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যােগ্য নেতৃত্বে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের সঙ্গে আত্মপরিচয়টি জুড়ে দিয়েছেন। আমার পরিচয়’ কবিতায় মূলত ঐতিহ্যমণ্ডিত বাংলাদেশের অনবদ্য রূপটি প্রকাশ পেয়েছে।

আমার পরিচয় কবিতার ব্যাখ্যা

» আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি, আমি বাংলার আলপথ দিয়ে হাজার বছর চলি।

ব্যাখ্যাঃ কবি বাংলায় জন্মেছেন। বাংলায় কথা বলে তিনি ভাব বিনিময় করেন। তিনি বাংলার আলপথ দিয়ে হাজার বছরের পথ পার হয়ে এসেছেন।

» আমি তাে এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।

ব্যাখ্যাঃ প্রাচীনকাল থেকে বড় বড় বাণিজ্যতরিতে করে ব্যবসায়বাণিজ্য করতেন সওদাগরেরা। এখানে মালকাব্যে বর্ণিত চাঁদ সওদাগরের সপ্তডিঙা মধুকরের কথা স্মরণ করা হয়েছে।

» আমি তাে এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে।

ব্যাখ্যাঃ বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য বােঝাতে কৈবর্ত বিদ্রোহের কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন কৈবর্ত সম্প্রদায়ের বীর দিব্য বা দিব্বোক । আনুমানিক ১০৭০-১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে মহীপালের বিরুদ্ধে এ বিদ্রোহ করেন অনন্তসামন্ত চক্রের মিলিত শক্তি। ইতিহাসে এটি কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে খ্যাত।

» আমি তাে এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।

ব্যাখ্যাঃ কবি এদেশের শিল্পসমৃদ্ধ ঐতিহ্য বােঝাতে পালযুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গােপালের রাজ্য শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে পালযুগের সূচনা হয়। পালদের রাজত্ব চারশত বছর টিকে ছিল। এ সময় শিল্প-সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়।

» এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সােনা মসজিদ থেকে। এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।

ব্যাখ্যাঃ কবি বাংলার মুসলিম ঐতিহ্যের সুমহান নিদর্শনের পরিচয় দিতে গিয়ে সােনামসজিদের কথা বলেছেন। অসাধারণ শিল্প সৌন্দর্যমণ্ডিত এই স্থাপত্যকর্ম হােসেন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.) নির্মিত হয়। এটি চাপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্রভূমে অবস্থিত ছােট সােনামসজিদ। একই সঙ্গে কবি আউল-বাউল, মাটির দেউলের কথাও বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে স্মরণ করেছেন।

» আমি তাে এসেছি সার্বভৌম বারাে ভূঁইয়ার থেকে। আমি তাে এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে।

ব্যাখ্যাঃ বাংলার স্বাধীনতা ঘােষণাকারী বারাে ভূঁইয়াদের কথা কবি বিশেষ ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলায় পাঠান করানী বংশের রাজত্ব দুর্বল হয়ে পড়লে স্বাধীন জমিদারদের উত্থান ঘটে। ১৫৭৫ সালে মােগল সম্রাট বাংলা জয় করার পর এই জমিদাররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহ করেন। এঁরাই ইতিহাসে বারাে ভূঁইয়া নামে পরিচিত। লােককাহিনির প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে কবি ‘কমলার দীঘি’ ও মহুয়ার পালা’র কথা উল্লেখ করেছেন। এ দুটিই মৈমনসিংহ গীতিকার বিখ্যাত পালা।

» আমি তাে এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরিয়ত থেকে।

ব্যাখ্যাঃ অত্যাচারী ইংরেজদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রামকারী বাঙালি বীর হিসেবে তিতুমীরের কথা স্মরণ করেছেন কবি। চব্বিশ পরগনার হায়দরপুর গ্রামে ১৭৮২ সালে মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে শহিদ হন। হাজী শরীয়তউল্লাহ বিদেশি শাসন-শােষণ, জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি (১৭৮১-১৮৪০ খ্রি.) মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার সামাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মকে আশ্রয় করে সব কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সােচ্চার হন।

» আমি তাে এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।

ব্যাখ্যাঃ নােবল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি’ ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা’ বাংলা সাহিত্যের অবিস্মরণীয় কীর্তি। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের গান ও কবিতা ছিল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

» এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্য সেনের থেকে।

ব্যাখ্যাঃ ব্রিটিশবিরােধী আন্দোলনের সশস্ত্র যোদ্ধা মাস্টার দা সূর্য সেন আর ক্ষুদিরামকে কবি বাঙালি ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮ খ্রি.) মেদিনীপুর জেলার মৌবনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ফাসিতে ঝুলিয়ে এই মহান বিপ্লবীকে হত্যা করা হয়। মাস্টার দা সূর্য সেন (১৮৯৩-১৯৩৪ খ্রি.) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নােয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইংরেজদের অস্ত্রাগার লুট করে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং চট্টগ্রামের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। তাকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়।

» এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।

ব্যাখ্যাঃ বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিপুল শিল্পকর্মের পটভূমিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে  কবি স্মরণ করেছে। জয়নুল আবেদিন (১৯১৪- ১৯৭৬ খ্রি.) কিশােরগঞ্জের কেন্দুয়া থানায় জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রশিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক অবনঠাকুর (১৮৭১-১৯৫১ খ্রি.) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

» এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে।

ব্যাখ্যাঃ ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে কবি বাঙালির ঐতিহ্য হিসেবে স্মরণ করেছেন। কারণ বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী চেতনার পথ ধরেই সূচিত হয় স্বাধীনতা আন্দোলন।

» এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে। আমি যে.এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।

ব্যাখ্যাঃ বাংলা ও বাঙালির অবিসংবাদী নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিস্ময়কর প্রতিভাদীপ্ত নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ অতিক্রম করেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাঙালির ঐক্য ও সংহতির প্রতীক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের অবিস্মরণীয় ভাষণ বাঙালির প্রেরণার উৎস।  

আমার পরিচয় কবিতার MCQ, আমার পরিচয় কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কৈবর্তের কোন গ্রামের কথা বলা হয়েছে?

ক. সওদাগরের গ্রাম খ. বিদ্রোহী গ্রাম গ. চিত্রকলার গ্রাম ঘ. বারো ভূঁইয়ার গ্রাম

সঠিক উত্তর: খ. বিদ্রোহী গ্রাম

কবি কার বিদ্রোহী গ্রাম থেকে এসেছেন?

ক. সওদাগরের খ. বারো ভূঁইয়ার গ. পাল যুগের ঘ. কৈবর্তের।

সঠিক উত্তর: ঘ. কৈবর্তের।

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় আউল-বাউলদের দেউল কী দিয়ে তৈরি?

ক. চিত্রকলা খ. শণ গ. মাটি ঘ. পাঠকাঠি

সঠিক উত্তর: গ. মাটি

বাঙালির আগমনস্থল জোড়াবাংলার কোথায়?

ক. মন্দির-বেদিতে খ. পাহাড়পুর গ. ডিঙার বহরে ঘ. পলি মাটিতে

সঠিক উত্তর: খ. পাহাড়পুর

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় বাঙালি বারো ভূঁইয়াদের কোন ক্ষমতার অধিকারী বলা হয়েছে?

ক. স্বাধীন খ. পরাধীন গ. বাউল ঘ. সার্বভৌম

সঠিক উত্তর: ঘ. সার্বভৌম

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় সার্বভৌম কারা?

ক. উনসত্তরের খ. ছয় দফার গ. রাষ্ট্র ভাষার ঘ. দেশ বিভাগের

সঠিক উত্তর: গ. রাষ্ট্র ভাষার

‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’—এটি হলো বাঙালির—

ক. চেতনা খ. প্রাণের কথা গ. আদিকথা ঘ. বীজমন্ত্র

সঠিক উত্তর: ঘ. বীজমন্ত্র

কবি পেছনে কী ফেলে এসেছেন?

ক. বীজমন্ত্র খ. পলিমাটি গ. চরণচিহ্ন ঘ. বিভেদের রেখা

সঠিক উত্তর: গ. চরণচিহ্ন

সৈয়দ শামসুল হক সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে কিসের ছবি আঁকতে চেয়েছেন?

ক. সাম্যের খ. প্রেমের গ. বীজমন্ত্রের ঘ. শান্তির

সঠিক উত্তর: ক. সাম্যের

কবি হাজার চরণচিহ্ন কোথায় ফেলে এসেছেন?

ক. সামনে খ. রাজপথে গ. বীজমন্ত্রে ঘ. পেছনে

সঠিক উত্তর: ঘ. পেছনে

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় কে বাংলায় কথা বলেন?

ক. ক্ষুদিরাম খ. কবি গ. তিতুমীর ঘ. অবন ঠাকুর

সঠিক উত্তর: খ. কবি

কবি বাংলার কোন পথ দিয়ে চলেন?

ক. রাজপথ খ. জলপথ গ. আলপথ ঘ. স্থলপথ

সঠিক উত্তর: গ. আলপথ

কবি কোমল পলিমাটিতে কীভাবে চলেন?

ক. ধীরে ধীরে খ. আলপথ দিয়ে গ. লাল রাজপথে ঘ. বরেন্দ্রভূমে

সঠিক উত্তর: ক. ধীরে ধীরে

আমার পরিচয় কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

বাংলাদেশের শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ কে?

উত্তর : বাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ হলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কী?

উত্তর : বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’।

চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন?

উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।

‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ কার বিরুদ্ধে হয়েছিল?

উত্তর : কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়েছিল মহীপালের বিরুদ্ধে।

পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কী ধরনের গ্রন্থ?

উত্তর : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত বিখ্যাত কাব্যনাটক।

মহুয়ার পালা কী?

উত্তর : ‘মহুয়ার পালা’ মৈমনসিংহ গীতিকার অন্যতম একটি পালা।

কবি কোন যুগের চিত্রকলা থেকে আসার কথা বলেছেন?

উত্তর : কবি পালযুগের চিত্রকলা থেকে আসার কথা বলেছেন।

‘বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ’ সৈয়দ শামসুল হকের কোন ধরনের রচনা?

উত্তর : বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ’ সৈয়দ শামসুল হকের একটি উপন্যাস।

দেউল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : ‘দেউল’ শব্দের অর্থ ‘দেবালয়।

‘মহুয়ার পালা’ কী?

উত্তর : ‘মহুয়ার পালা’ হলাে মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা।

‘আমার পরিচয়’ কবিতায় উদ্ধৃত কমলার দীঘি কী?

উত্তর : মৈমনসিংহ গীতিকার একটি পালা।

আমার পরিচয়’ কবিতায় কোন যুগের চিত্রকলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : আমার পরিচয়’ কবিতায় পালযুগের চিত্রকলার কথা বলা হয়েছে।

সৈয়দ শামসুল হক কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

আমার পরিচয়কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?

উত্তর : আমার পরিচয় কবিতা ‘কিশাের কবিতা সমগ্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি কে উদ্ধার করেন?

উত্তর : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করেন।

চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্য কোন ধরনের কাহিনি?

উত্তর : চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্য হলাে লােককাহিনি।

কত খ্রিস্টাব্দে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়?

উত্তর : আনুমানিক ১০৭০-১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়।

পালযুগের সূচনা কত খ্রিষ্টাব্দে?

উত্তর : পালযুগের সূচনা ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে।

পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার কত সালে আবিষ্কৃত হয়? 

উত্তর : পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার ১৮৭৯ সালে আবিষ্কৃত হয়।

সােনামসজিদ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : সােনামসজিদ রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জে অবস্থিত।

বড় সােনামসজিদ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : বড় সােনামসজিদ ভারতের গৌড়ে অবস্থিত।

তিতুমীর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : তিতুমীর ১৭৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা কে?

উত্তর : হাজী শরীয়তউল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা।

কত সালে ক্ষুদিরামকে ফাঁসি দেওয়া হয়?

উত্তর : ১৯০৮ সালে ক্ষুদিরামকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

সূর্য সেনকে কী বলে ডাকা হয়?

উত্তর : সূর্য সেনকে মাস্টার দা’ বলে ডাকা হয়।

কত সালে সূর্য সেনের ফাঁসি হয়?

উত্তর : ১৯৩৪ সালে সূর্য সেনের ফাঁসি হয়।

আমার পরিচয় কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

“এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর : “এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে বলতে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামী চেতনার পথ ধরে কবির আত্মপরিচয়ের পথ তৈরি করাকে বােঝানাে হয়েছে।

‘আমার পরিচয় কবিতায় বাঙালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমি চিত্রিত হয়েছে। কবি আত্মপরিচয় নির্দেশ করতে গিয়ে বাঙালির বহু পুরনাে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সুদীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাসকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁর আত্মপরিচয়ের সঙ্গে চর্যাপদের, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, চাঁদ সওদাগরের আত্মমর্যাদাবোেধ, পালযুগের চিত্রকলা, বৌদ্ধবিহারে জ্ঞানচর্চা, জমিদারিপ্রথা, মৈমনসিংহ গীতিকার জীবন, কৈবর্ত বিদ্রোহ থেকে শুরু করে তিতুমীর, হাজী শরীয়তউল্লাহ, সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম প্রমুখের বিদ্রোহ-বিপ্লবের পথনির্দেশ করেছেন।

‘এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে’- কথাটি দ্বারা কী বােঝােনাে হয়েছে? 

উত্তর : ‘এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে’- কথাটি দ্বারা ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসকে বােঝানাে হয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী জোর করে এদেশের মানুষের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়ে বাংলা ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি সন্তানরা তা করতে দেননি। তারা প্রতিবাদ করেছেন, আন্দোলন করেছেন। ফলে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এদেশের মানুষের বুকের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আর সেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাঙালি তাদের ভাষার মর্যাদার লড়াইয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে’ বলতে কবি ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করে তুলেছেন।

একসাথে আছি একসাথে বাচি বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর : একসাথে আছি, একসাথে বাচি’ বলতে কবি নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে টিকে থাকাকে বুঝিয়েছেন।

বাঙালি সংগ্রামী জাতি। বহু সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতার দেখা পেয়েছে। এই অর্জনের পেছনে ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোেধ ও একাত্মতা। একতাবদ্ধ হওয়ার কারণেই শত সংগ্রাম, দুর্যোগের পরও বাঙালির অস্তিত্ব টিকে আছে। বাঙালির এই অটুট বন্ধনের কথা বলতে গিয়েই কবি প্রশ্নোত্ত কথাটি বলেছেন।

‘আমি তাে এসেছি সার্বভৌম বারাে ভূঁইয়ার থেকে’ – ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : “আমি তাে এসেছি সার্বভৌম বারাে ভূঁইয়ার থেকে।”চরণটি দ্বারা কবি বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের স্বাধীনচেতা মনােভাবের বিষয়টিকে বুঝিয়েছেন।

“আমার পরিচয়’ কবিতায় কবি আত্মপরিচয় নির্দেশ করতে গিয়ে বাঙালির বহু পুরনাে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাসকে তুলে ধরেছেন। বাংলায় পাঠান করানী বংশের রাজত্ব দুর্বল হয়ে পড়লে খুলনা, বরিশাল, সােনারগাঁও, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞলে স্বাধীন জমিদারদের উত্থান ঘটে। ১৫৭৫ সালে মােগল সম্রাট আকবর বাংলা জয় করার পর ঈশা খাঁর নেতৃত্বে বাংলার জমিদাররা তথা চাদ রায়, কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, লক্ষ্মণ মাণিক্য প্রমুখ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মােগল শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ইতিহাসে এরা বারাে ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত।

‘আমার পরিচয় কবিতায় কবি সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকার দৃঢ় মনােভাব প্রকাশ করেছেন কেন?

উত্তর : শশাষণ-বঞ্চনাহীন অসাম্প্রদায়িক স্বদেশের প্রত্যাশায় কবি আমার পরিচয় কবিতায় সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

যে দেশে এক শ্রেণি অপর শ্রেণির মানুষ দ্বারা শােষিত, লাঞ্ছিতবঞ্চিত হয় সে দেশ কখনাে সাফল্যের ঘরে পৌছাতে পারে না। আর সাম্প্রদায়িক মনােভাব সমাজের অধঃপতনের মূল কারণ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় মানুষে মানুষে সাম্য প্রতিষ্ঠা। এ কারণে কবি আলােচ্য কবিতায় সাম্যের ছবি আঁকার মনােভাব প্রকাশ করেছেন।

“আমি জন্মেছি বাংলায়”- এখানে ‘আমি’ দ্বারা কী নির্দেশ করা হয়েছে?

উত্তর : “আমি জন্মেছি বাংলায়”- এখানে ‘আমি’ দ্বারা বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করাকে নির্দেশ করা হয়েছে।

আমি জন্মেছি বাংলায় বলতে সাধারণ অর্থে বাংলায় জন্মগ্রহণ করাকে বােঝায়। কবি ‘আমি’ দ্বারা নিজেকে বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে নির্দেশ করেছেন। কবি সমগ্র বাঙালির প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে আলােচ্য লাইনে উপস্থাপন করেছেন। বস্তুত বাঙালি বা বাংলা ঐতিহ্যগত দিক থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও গৌরবমণ্ডিত।

“আমি বাংলায় কথা বলি”- এ লাইনে কবি বাংলা ডাষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন কেন?

উত্তর : “আমি বাংলায় কথা বলি”- এ লাইনে কবি বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

বিশ্বের প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ভাষা আছে। বাঙালির নিজস্ব ভাষা হলাে বাংলা। পৃথিবীর অন্যসব ভাষা থেকে এ ভাষা অনেক বেশি তাৎপর্যময়। বাঙালি ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে, যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছে এবং ভাষার অধিকার আদায় করেছে। ফলে বাংলা ভাষার সঙ্গে বাঙালির মধুর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাষায় বাঙালি তার জাতিসত্তাকে অনুভব করে। বাংলা ভাষা বাঙালির মনে স্থায়ী আসন লাভ করেছে। এজন্যই কবি প্রশ্নোক্ত লাইনে বাংলা ভাষাকে এত গুরুত্ব দিয়েছেন।

“আমি তাে এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে এখানে গীতাঞ্জলি আর অগ্নিবীণা’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর : “আমি তাে এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে”এখানে ‘গীতাঞ্জলি আর অগ্নিবীণা’ বলতে বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধি ও সংগ্রামী চেতনাকে বােঝানাে হয়েছে।

প্রাচীনকাল থেকেই বাংলায় সাহিত্যচর্চা অব্যাহত। সাধারণভাবে চর্যাপদ থেকে এর পথচলা শুরু। সাহিত্যের অঙ্গনে যে স্বর্ণযুগ সৃষ্টি হয় সে স্বর্ণযুগের সারথি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। গীতাঞ্জলি’ কাব্য লিখে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষে প্রথম নােবেল অর্জন করেন। আর ‘অগ্নিবীণা’র মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যে রাজনৈতিক বিদ্রোহের সূচনা করেন। প্রশ্নোক্ত লাইনে ‘গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণা’ বলতে বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল সময়কে বােঝানাে হয়েছে।

‘জয় বাংলাকে বজ্রকণ্ঠ’ বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : জয় বাংলাকে বজ্রকণ্ঠ’ বলার কারণ হলাে এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্য দিয়েই এদেশের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা লাভের আকাক্ষা বিশাল শক্তিতে পরিণত হয়েছিল।

‘জয় বাংলা’ শব্দদ্বয় বাংলার জয় কামনা করে। এই শব্দদ্বয় বাংলার মানুষের প্রাণে অসামান্য সাড়া জাগিয়েছিল। তাদের স্বাধীনতার চেতনাকে সমুদ্র সমান করেছিল আর বুকে অসীম সাহস এনে দিয়েছিল। এই স্লোগানের টানেই মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। বাংলার মানুষ এ শব্দদ্বয় শুনেছিল এমন এক কণ্ঠ থেকে, যে কণ্ঠ সবসময় বজ্রকণ্ঠ হিসেবে খ্যাত। এই বজ্রকণ্ঠের অধিকারী হলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।        

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | আমার পরিচয় কবিতা pdf

Q1. আমার পরিচয় কবিতায় উল্লেখিত নদীর সংখ্যা কত

Ans – আমার পরিচয় কবিতায় উল্লেখিত নদীর সংখ্যা কত ১৩০০ ।

Q2. আমার পরিচয় কবিতায় কিসের সাথে ধর্মীয় চেতনা যুক্ত

Ans – আমার পরিচয় কবিতায় বাঙালি ধর্মীয় চেতনা যুক্ত।

Q3. আমার পরিচয় কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের

Ans – কিশোর কবিতা সমগ্রহ কিশোর কবিতা সমগ্রহ কাব্যগ্রন্থের।

Q4. আমার পরিচয় কবিতায় বাঙালির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে

Ans – আমার পরিচয়’ কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল পরিচয় ও ইতিহাস।

Q5. আমার পরিচয় কবিতায় উল্লেখিত গুনীজনদের তালিকা

Ans – তিতুমীর, হাজী শরিয়তুল্লাহ, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম প্রমুখের বিপ্লব-বিদ্রোহ, রবীন্দ্রনাথের বিশাল সৃষ্টি, নজরুলের সমস্ত বিদ্রোহী চেতনা ও সাম্যবাদের মুক্তির চেষ্টার সঙ্গেও তিনি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যােগ্য নেতৃত্বে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের সঙ্গে আত্মপরিচয়টি জুড়ে দিয়েছেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।