ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Model Activity Task Class 9 Bangla Part 4 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 9

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করাে।

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস’ গল্পটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ইলিয়াস।

পরিচয় : উফা প্রদেশে বসবাসকারী বাকির জনগােষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল | স্ত্রীর নাম ছিল শাম-শেমাসি| জীবনের প্রথম দিকে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও পরবর্তীকালে অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস ধনী হয়ে ওঠে। আবার ভাগ্যদোষে জীবনের শেষপর্যায়ে সে সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটাতে শুরু করে।

কঠোর পরিশ্রমী এবং কর্মনিষ্ঠ : পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থেকেই ইলিয়াস দুশাে ঘােড়া, দেড়শাে গােরু-মােষ, বারােশাে ভেড়া এবং বহু ভাড়াটে মজুরের মালিকে পরিণত হয়। শেষজীবনে মজুরের কাজ করার সময়েও সে কঠোর পরিশ্রম করে মনিবকে তুষ্ট রাখত।

অতিথিপরায়ণ: ইলিয়াস ছিল অতিথিবৎসল | কুমিস, চা, শরবত, মাংস দিয়ে অতিথিদের যথাযথ আপ্যায়ন করত ইলিয়াস |তার অতিথিপরায়ণতার কথা স্মরণ করেই মহম্মদ শা তাকে শেষজীবনে আশ্রয় দিয়েছিল৷

কঠোর অথচ কর্তব্যপরায়ণ: ইলিয়াস অত্যন্ত কঠোর ছিল বলেই ছােটো পুত্র ও তার ঝগড়াটে স্ত্রী তার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু সেই বিতাড়িত পুত্রকেই একটি বাড়ি এবং কিছু গৃহপালিত পশু দান করে সে তার কর্তব্যজ্ঞানেরও পরিচয় দিয়েছে।

সত্যদৃষ্টি: জীবনের শেষ পর্যায়ে সমস্ত সম্পত্তি ও সঞ্চয় হারিয়ে সর্বহারা হয়েও ইলিয়াস যেভাবে প্রকৃত সত্য ও সুখ উপলব্ধির কথা বলেছে, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ ও শিক্ষণীয়।

ঝোড়ো সাধু প্রশ্ন উত্তর

ঝোড়ো সাধু গল্পের লেখক কে

উত্তর: ঝোড়ো সাধু” লেখিকা: মহাশ্বেতা দেবী।

ঝোড়ো সাধু গল্পের উৎস

উত্তর: ঝোড়ো সাধু গল্পের উৎস ‘বাঘ শিকারী’ গল্পগ্রন্থের অংশ।

ঝোড়ো সাধু গল্পে তথাগত কোথায় লোকটাকে দেখেছিলো

উত্তর: ঝোড়ো সাধু গল্পে তথাগত ট্রেনে লোকটাকে প্রথম দেখেছিলো ।

ঝোড়ো সাধু গল্প, ঝোড়ো সাধু গল্প Pdf

মহাশ্বেতা দেবী, মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস

উত্তর: ১৯২৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকা শহরে মহাশ্বেতা দেবী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মণীষ ঘটক ছিলেন কল্লোল সাহিত্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত খ্যাতনামা কবি ও ঔপন্যাসিক। তিনি ‘যুবনাশ্ব’ ছদ্মনামে লিখতেন। মণীষ ঘটকের ভাই ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক।মহাশ্বেতা দেবীর মা ধরিত্রী দেবীও ছিলেন লেখক ও সমাজকর্মী।

তার ভাইয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান ছিলেন। যেমন, শঙ্খ চৌধুরী ছিলেন বিশিষ্ট ভাস্কর এবং শচীন চৌধুরী ছিলেন দি ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। মহাশ্বেতা দেবীর বিদ্যালয়-শিক্ষা শুরু হয়েছিল ঢাকা শহরেই। ভারত বিভাজনের পর তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এরপর তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

মহাশ্বেতা দেবী ১০০টিরও বেশি উপন্যাস এবং ২০টিরও বেশি ছোটোগল্প সংকলন রচনা করেছেন। তিনি মূলত বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। তবে সেই সব রচনার মধ্যে অনেকগুলি অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস ঝাঁসির রানি ঝাঁসির রানির (লক্ষ্মীবাই) জীবনী অবলম্বনে রচিত। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। এই উপন্যাসটি রচনার আগে তিনি ঝাঁসি অঞ্চলে গিয়ে তার রচনার উপাদান হিসেবে স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে তথ্য ও লোকগীতি সংগ্রহ করে এনেছিলেন।

মহাশ্বেতা দেবীর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির তালিকা

  • ঝাঁসির রানি (১৯৫৬, জীবনী): দ্য কুইন অফ ঝাঁসি, মহাশ্বেতা দেবী (সাগরী ও মন্দিরা সেনগুপ্ত কর্তৃক অনূদিত)। এই বইটি হল রানি লক্ষ্মীবাইয়ের জীবনীগ্রন্থ। ঐতিহাসিক নথিপথ (প্রধানত রানির পৌত্র জি. সি. তাম্বে কর্তৃক সংগৃহীত) এবং লোককথা, কাব্য ও মুখে মুখে প্রচলিত কিংবদন্তিগুলি নিয়ে গবেষণার পর বইটি রচিত হয়। মূল বাংলা বইটি ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি অনুবাদটি ২০০০ সালে সিগাল বুকস, ক্যালকাটা থেকে প্রকাশিত হয়।
  • হাজার চুরাশির মা (১৯৭৪, উপন্যাস)
  • অরণ্যের অধিকার (১৯৭৯, উপন্যাস)
  • অগ্নিগর্ভ (১৯৭৮, ছোটোগল্প সংকলন)
  • মূর্তি (১৯৭৯, ছোটোগল্প সংকলন)
  • নীড়েতে মেঘ (১৯৭৯, ছোটোগল্প সংকলন)
  • স্তন্যদায়িনী (১৯৮০, ছোটোগল্প সংকলন)
  • চোট্টি মুন্ডা এবং তার তীর (১৯৮০, ছোটোগল্প সংকলন)

মহাশ্বেতা দেবীর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়ন

  • সংঘর্ষ (১৯৬৮), লায়লি আসমানের আয়না ছোটোগল্পটি অবলম্বনে নির্মিত হিন্দি চলচ্চিত্র।
  • রুদালি (১৯৯৩)
  • হাজার চৌরাসি কি মা (১৯৯৮)
  • মাটি মায় (২০০৬),’ ‘দায়েঁ ছোটোগল্পটি অবলম্বনে নির্মিত মারাঠি চলচ্চিত্র।
  • গাঙ্গোর (২০১০), চোলি কে পিছে ছোটোগল্পটি অবলম্বনে নির্মিত ইতালীয় চলচ্চিত্র
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 9

Q1. ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে ?

উওর: হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগ এবং তার পরবর্তী কালে যারা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপি কুশলী যে সমস্ত লিপিকর দের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, তাদের বলা হতো ক্যালিগ্রাফিস্ট।

Q2. কে কার বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ?

উওর: রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতা আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নেয়ার কথা বলেছে। আদিম পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া ভৌগোলিক বিবর্তনকে এখানে কবি ফুটিয়ে তুলেছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে – টেকটনিক প্লেটগুলোর সংঘাতের ফলেই এশিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কবি এরই কাব্যিক রূপ দিয়ে বলেছে রুদ্র সমুদ্র মূল ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে যেন বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলোর অন্তরালে তাকে নিক্ষেপ করেছিল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।