জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে, ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে, জোয়ার ভাটা কাকে বলে, জোয়ার ভাটা কেন হয়

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

জলোচ্ছ্বাস কাকে বলে

সাধারণত সমুদ্রের যে সকল জল রয়েছে তা ফুলে উপরের দিকে ওটা এবং তাপ আশেপাশের যে অঞ্চল রয়েছে সেগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং যে দুই যুগের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাকে জলোচ্ছ্বাস  বলে। 

সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় অথবা সুনামি এর কারণে ওজন উচ্ছ্বাস হতে পারে। আবার অন্যভাবে বলা যায় যে মোহনায় যখন প্রবল জুয়ার সৃষ্টি হয় এবং জোয়ারের পরই যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে মূলত চার বলা হয়ে থাকে। 

জলোচ্ছ্বাস সাধারণত বিভিন্ন আকার নিতে পারে। হাইড্রোলিক জাম্প এর মত এটি তরঙ্গমুখী ধীরে ধীরে উচ্চতা হারাতে থাকে আবার অন্যটি ছোট ঢেউ এর আকারে হয় এ ধরনের বিভিন্ন আকারে বিভিন্ন সময়। 

সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রচুর পানি রয়েছে এবং এ পানি সম ফুলে উপরের দিকে উড়তে থাকে এবং পরবর্তীতে তা সমুদ্রের আশেপাশের অঞ্চল সময়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই ঘটনাকে জলোচ্ছ্বাস বলে। 

সমুদ্রের জল স্বাভাবিকের থেকে ৪/৫ ফুট বা তার বেশি উচু হয়ে তীব্র বেগে যখন উপকূলে আছড়ে পড়ে, তখন তাকে জলোচ্ছ্বাস বলে। জলচ্ছ্বাস বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। তারমধ্যে বেশি ঘটে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে।

ঘূর্ণিঝড়, ( সুনামি)ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের হয় নিম্নচাপের কারণে। নিম্নচাপ হলো, সমূদ্র পৃষ্ঠের বায়ু যখন সৌরতাপে উত্তপ্ত হয়ে হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, তখন বড় একটা অংশ জুড়ে সমুদ্রের পৃষ্ঠে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়। এই শূণ্যতা পূরণের জন্য তখন চারদিক থেকে বায়ু ছুটে আসে। এবং কুণ্ডলী পাকিয়ে তখনই সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। এর ব্যাস ৫০০ কিমি এর কম বেশি হয়। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের কুণ্ডলীর টানে সমুদ্র পৃষ্ঠের জলরাশি উপচে আসে কূলের দিকে।

আবার সমুদ্রের নিচের টেকটোনিক প্লেট যদি ভু-আলোড়নের কারণে সরে যায় বা কম্পিত হয়, তবে জলচ্ছাসের সৃষ্টি হয়। একে সাধারণত আমরা সুনামি বলে থাকি।

জলোচ্ছ্বাস কেন হয়

একটি জলোচ্ছ্বাস, বিভিন্ন ভাবে এই ধরনের আকার নিতে পারে। এটি হতে পারে সমুদ্রের নিচে ছোটো ঢেউয়ের মতো, যে কোনো ক্ষেত্রে তরঙ্গের গতিপথের সম্মুখ অংশ আবার তথা তরঙ্গমুখ ধীরে ধীরে এমন উচ্চতা হারাতে থাকে (রোলার হিসেবে নানা ভাবে পরিচিত) ― হাইড্রোলিক জাম্পের মতো।

আবার আরেকটি ধরন এর মধ্যে হলো এই আনডিউলার এমন জলোচ্ছ্বাস,এবং যেখানে পানির অনেক গতিপথের এমন ভাবে একটি মসৃণ আবার এই তরঙ্গমুখ থাকে এবং আবার এর পিছে পিছে থাকে অনেক অগৌণ কিছু কিছু এমন তরঙ্গগুচ্ছ, আবার যাকে এমন ভাবে এই ওয়েল্পস বলা হয়।

আবার বড় কোনো কোনো এই জলোচ্ছ্বাসগুলো আবার এই জাহাজ এবং এমন ভাবে চলাচলের জন্য নানা ভাবে বিশেষভাবেই অনুরোধ এবং অনিরাপদ ।

ঘূর্ণিঝড় কি

সাধারণভাবে গুণীজন হল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে ঘূর্ণিঝড় সাধারণত একটি নিম্নচাপ প্রক্রিয়া বা নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে তবে এক্ষেত্রে আবহাওয়া সংগলিত বিভিন্ন ধরনের গুণী বাতাস প্রচন্ড আকারে এবং প্রচন্ড ভদ্র হয়ে থাকে। 

দেশের ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রের সৃষ্টি সৃষ্টি বজ্র ইত্যাদিকে ঘূর্ণিঝড় বা ঘূর্ণিবার্তা বলে। এরা ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে বাতাস সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতিরিক্ত বাতাসের প্রভাবে সৃষ্টি হয়ে যা বজরে আকারে উপরে উঠতে থাকে

এবং তা প্রচন্ড বেগে ঘুরতে লাগে এবং তা ঘুরতে ঘুরতে উপকূলীয় অঞ্চল সময়ে আঘাত হানে এবং একটি প্রাকৃতিক সমস্যাজনিত সৃষ্টি হয় এবং একে ঘূর্ণিঝড় বলে। 

মূল কথা : ঘূর্ণিঝড় হলে এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা আবহাওয়া জনিত কারণে অথবা জলবায়ু জনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 

ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে

সাধারণত আবহাওয়া অথবা জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সংগঠিত হয় তখন তার প্রক্রিয়াকে বা এ প্রাকৃতিক ঘটনাকে ঘূর্ণিঝড় বলে। 

তাছাড়া আবহাওয়া একটি নিম্নচাপ প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরক্ষীয় যে সকল অঞ্চল হয়েছে সেই সকল অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে আবহাওয়া প্রভাবিত হয়। 

ওই সময়ে আবহাওয়া জনিত কারণে বাতাসের ফলে বাতাসের প্রবল ব্যাগের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক ধরনের গুণন সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে সমুদ্রের পিষ্ট দেখে উপরে আসতে আসতে সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চলে ধাবিত হয়।

হলে এক ধরনের গুণন সহকারে আশেপাশের যে সকল নির্মম অঞ্চলগুলো রয়েছে সেগুলোতে প্রকণ্ড আকারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নামে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই প্রক্রিয়াকরণ বা প্রক্রিয়াটিকে বলা হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়। 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিম্নচাপের লোগো তার কারণে যে বাতাস তৈরি হয়ে তার উপকূলীয় অঞ্চলে ধাবিত হয় এবং পাশাপাশি ত্বরণের সমস্যা তৈরি করে এবং এই প্রক্রিয়াটিকে বা উক্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ঘটনাটিকে বলা হয় ঘূর্ণিঝড়। 

ঘূর্ণিঝড় কেন হয়

প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরনের কারণে ঘূর্ণিঝড় হয়। 

তবে এর মধ্যে রয়েছে :-

১.  সূর্যের প্রভাব,,,

২. বায়ুমণ্ডলের প্রভাব,,,

৩.  বায়ুর ঘনত্বের প্রভাব,,,

৪.  তাপমাত্রার পার্থক্যের প্রভাব,, ইত্যাদি। 

প্রবল বেগে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ঘূর্ণিঝড় ছুটে আসার কারণে বা মূল কারণ বা অংশ হিসেবে রয়েছে অক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া বা সংকুচিত হওয়া। 

মূলত বায়ুর সংকোচ নিয়ে কারণে পানির নিচে থেকে নিম্নচাপ বা লোগো তার কারণে পানি উপরে উঠে এক ধরনের গুণ সৃষ্টি করে এবং এর গুণার্নিস্ট থেকে শুরু করে উপরে পর্যন্ত উঠে এবং একপর্যায়ে তার সমুদ্রে আশেপাশে যে সকল অঞ্চল রয়েছে সেগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এভাবে ঘূর্ণিঝড় হয় এবং ইত্যাদির কারণসমূহের জন্য ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। 

  • ঘূর্ণিঝড় হওয়ার বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে তাপমাত্রা, বায়ু এবং সূর্যের প্রভাব হলো লক্ষণীয় কারণ। 

জোয়ার ভাটা কাকে বলে

প্রধানত চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ বলের প্রভাবে সাগর মহাসাগরের জল নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর (দিনে দুবার করে) এক জায়গায় ফুলে ওঠে এবং অন্য জায়গায় নেমে যায়। চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ বলের প্রভাবে সমুদ্র জলরাশির এই নিয়মিতভাবে ফুলে ওটাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়াকে ভাটা বলা হয়।

সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। এর কারণ মূলত দুটি যথা- চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণ শক্তি (যা মূলত মহাকর্ষ শক্তি) এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তি। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার (Tide) এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা (Ebb or Low Tide) বলে।

সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার ও দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।

জোয়ার ভাটা কেন হয়, জোয়ার ভাটার কারণ কি

জোয়ার ভাটা সম্পর্কে প্রাচীনকালে মানুষ নানা রকম অবাক কল্পনা করত। কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই এবং পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগত শক্তির প্রভাবে জোয়ার ভাঁটা হয়।

জোয়ার ভাঁটা সংঘটনের কারণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা

ক. মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব (The Force of Gravitational Attraction)
খ. কেন্দ্রাতিগ / বহির্মুখী শক্তি (Centrifugal force)।

ক. মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব

পৃথিবীর সকল পদার্থ একটি অপরটিকে আকর্ষণ করছে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষ (gravitation) বলে। মহাকর্ষের প্রভাবে পৃথিবী সর্বদা সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র সর্বদা পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে।

আর এই কারণেই পৃথিবীর জলরাশি কখনো বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। মহাকাশে অবস্থিত সব নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহের এ আকর্ষণের পরিমাণ সমান না। বড় পদার্থের আকর্ষণ ক্ষমতা ছোট পদার্থ অপেক্ষা বেশি।

চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ ক্ষমতা সূর্য অপেক্ষা বেশি। ফলে জোয়ার ভাটায় চন্দ্রের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। জোয়ার-ভাঁটার ক্ষেত্রে চন্দ্র ও সূর্য উভয়ই পৃথিবীর ওপর নিজ নিজ শক্তি প্রয়োগ করলেও চন্দ্রের শক্তির অধিকতর প্রয়োগ হয়। চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি স্থলভাগের কেন্দ্রস্থলেও ভূ-পৃষ্ঠের জলরাশির ওপর বেশি কার্যকর হয়। মূলত স্থলভাগের ওপরে চন্দ্র সূর্যের আকর্ষণ শক্তি প্রায় নেই বললেই চলে।

আর এ কারণেই পৃথিবীর কেন্দ্র ও পানির উপরিভাগের উপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের পার্থক্য দেখা যায় এবং তার ফলাফল হিসেবে জোয়ার ভাঁটা সংঘটিত হয়।

খ. কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব

মহাকর্ষ শক্তির মত ঘূর্ণনশীল পৃথিবী পৃষ্ঠে যে কেন্দ্রাতিগ শক্তি উৎপন্ন হয় সেটিও জোয়ার ভাটা উৎপত্তির কারণ। কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার সৃষ্টি হয়। পৃথিবী যখন তার অক্ষের উপর ঘুরতে থাকে তখন একটি বিপরীত শক্তি এর পৃষ্ঠ থেকে বিপরীত দিকে নিয়ে যেতে চায়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বৃষ্টির পানিতে পূর্ণ কোনো রাস্থা দিয়ে কোনো যানবাহন যদি খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়, তখন ঢাকার প্রভাবে ঐ পানি দূরে ছিটকে পরে।

অনুরূপভাবে পৃথিবী শুধু নিজ অক্ষেই ঘুরছে না। সেই সাথে অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে। আবার আরেকটি শক্তি কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে সবকিছু বাইরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই শক্তিকেই বলা হয় কেন্দ্রাতিগ শক্তি বা বিকর্ষণ শক্তি। এই কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণেই ভূ-পৃষ্ঠের জলরাশি বাইরের দিকে প্রবাহিত হয় এবং জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়।

কোন নদীতে জোয়ার ভাটা হয় না

জোয়ার ভাটা সৃষ্টি হয় না একমাত্র নদী হলো – গোমতী।

পৃথিবীর বাইরের মহাকর্ষীয় শক্তির প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল নিয়মিত বিরতিতে ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাঁটা (একত্রে জোয়ার – ভাটা) বলা হয়।

জোয়ার – ভাটার ফলে সমুদ্রে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়, তাকে জোয়ার তরঙ্গ (Tidal Eaves) বলে।

জোয়ারের জল উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে জল সমতলের যে উত্থান ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বোচ্চ সীমা (High Tide Water) এবং ভাটার জল সমুদ্রের দিকে নেমে যাওয়ার সময় জল সমতলের যে পতন ঘটে, তাকে জোয়ারের জলের সর্বনিম্ন সীমা (Low Tide Water) বলে।

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | জলোচ্ছ্বাস

Q1. জলোচ্ছ্বাস কি

Ans – জলোচ্ছ্বাস হলো সমুদ্রের জল ফুলে উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানা। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিভিন্ন কারণে এটা হতে পারে, সাধারণত ঘূর্ণিঝড়, সুনামির কারণে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। সুনামির ক্ষেত্রে সমুদ্রের জল সর্বোচ্চ প্রায় ৬৫ মিটার উঁচু হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

Q2. জোয়ারের বান কি

Ans – সমুদ্রে প্রবল জোয়ারের পানি মহীসোপানের অগভীর অংশে ও দ্বীপে পতিত হলে জোয়ারের তরঙ্গের চূড়া ভেঙে পড়ে। কখনো কখনো নদীর পানি ফুলে মোহনা দিয়ে প্রবল বেগে স্থলভাগের দিকে প্রবেশ করে। একে জোয়ারের বান বলা হয়।

Q3. জোয়ার ভাটার প্রধান কারণ কয়টি

Ans – প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। ১) চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব ২) পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দাতিগ শক্তি। (১) চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব: মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতি প্রতিটি জ্যোতিষ্ক পরস্পরকে আকর্ষণ করে।

Q4. জোয়ার ও ভাটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত

Ans – কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।