আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

আমি দেখি কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা দ্বাদশ শ্রেণি

‘ আমি দেখি ‘ কবিতাটি কোন কাব্য থেকে গৃহীত –

ক) সােনার মাছি খুন করেছি’

খ) যেতে পারি কিন্তু কেন যাবাে’

গ) ‘অঙ্গুরী তাের হিরণ্য জল’

ঘ) হেমন্তের অরণ্যে আমি পােস্টম্যান’

সঠিক উত্তর: গ) ‘অঙ্গুরী তাের হিরণ্য জল’

‘ আমি দেখি ’ কবিতাটি প্রকাশের সময়কাল

ক) ১৪০০ বঙ্গাব্দ

খ) ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ

গ) ১৩৮৫ বঙ্গাব্দ

ঘ) ১৪০১ বঙ্গাব্দ

সঠিক উত্তর: খ) ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ

‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি দেখেন

ক) সবুজ রং

খ) গাছ

গ) লতাপাতা

ঘ) বনজঙ্গল

সঠিক উত্তর: খ) গাছ

‘ আমার দরকার ’ — কী ?

ক) একটি সবুজ বাগান ’

খ) একটি অরণ্য

গ) শুধু গাছ দেখে যাওয়া

ঘ) শুধু গাছ দেখা ’

সঠিক উত্তর: ঘ) শুধু গাছ দেখা

‘গাছের সবুজটুকু ‘– কী ?

ক) শরীরে প্রয়োজন

খ) দেহে দরকার

গ) শরীরে দরকার

ঘ) শরীরে চাইছে

সঠিক উত্তর: গ) শরীরে দরকার

সবুজের ভীষণ দরকার কেন ?

ক) শরীরের জন্য

খ) চোখের জন্য

গ) আরোগ্যের জন্য

ঘ) শান্তির জন্য

সঠিক উত্তর: গ) আরোগ্যের জন্য

‘ শহরের অসুখ হাঁ করে ’ — কী করে ?

ক) সবুজ গ্রাস করে

খ) সবুজ আশা করে

গ) কেবল সবুজ খায়

ঘ) সবুজ খেতে চায়

সঠিক উত্তর: গ) কেবল সবুজ খায়

“ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় ” -কে ‘ হাঁ করে ’ সবুজ খায় ?

ক) শহরের মানুষ

খ) গ্রামের মানুষ

গ) গৃহপালিত পশু

ঘ) শহরের অসুখ

সঠিক উত্তর: ঘ) শহরের অসুখ

“ সবুজের অনটন ঘটে …

ক) মরুভূমিতে

খ) পাহাড়িয়া এলাকায়

গ) শহরে

ঘ) গ্রামে

সঠিক উত্তর: গ) শহরে

“ সবুজের অনটন ঘটে .. ” কী কারণে ?

ক) অনাবৃষ্টির ফলে

খ) শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে

গ) ঝড়ে গাছ পড়ে যাওয়ার ফলে

ঘ) অভিজ্ঞ মালি নেই বলে

সঠিক উত্তর: খ) শহরের অসুখ সবুজ খায় বলে

“ সবুজের অনটন ঘটে ” — ‘ অনটন ’ শব্দের অর্থ –

ক) প্রাচুর্য

খ) আত্যন্তিক

গ) অত্যধিক

ঘ) অভাব

সঠিক উত্তর: ঘ) অভাব

“ তাই বলি ” — কবি কী বলেন ?

ক) গাছ বাগানে বসাও

খ) গাছ তুলে আনাে

গ) গাছগুলো তুলে আনাে

ঘ) দেহ চাই সবুজ বাগান

সঠিক উত্তর: খ) গাছ তুলে আনাে

“ দেহ চায় ” — দেহ কী চায়?

ক) সবুজ বাগান

খ) সবুজ পাতা

গ) সবুজ বন

ঘ) সবুজ রং

সঠিক উত্তর: ক) সবুজ বাগান

“ তাই বলি , গাছ তুলে আনাে ” —কবি গাছ বসাতে চান—

ক) পথের ধারে

খ) বাড়ির ছাদে

গ) বাগানে

ঘ) টবে

সঠিক উত্তর: গ) বাগানে

আমি দেখি কবিতার অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার।”—কথাটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: দূষণের ভয়াবহতা থেকে আরোগ্যের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

“বহুদিন জঙ্গলে যাই নি।” –জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য কবির আক্ষেপ কেন?

উত্তর: শহরের পরিবেশে সবুজের সমারোহ নেই। তাই সবুজ দেখে কবি চোখের তৃপ্তিসাধন করতে অক্ষম। এই কারণেই জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য কবির আক্ষেপ।

“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা।”—কবির গাছ দেখার দরকার কেন?

উত্তর: গাছের সবুজটুকু শরীরে ধারণ করে কবি রোগযুক্ত হতে চান। তাই তাঁর সবুজের দরকার।

“দেহ চায় সবুজ বাগান”–দেহ সবুজ বাগান চায় কেন?

উত্তর: নাগরিক পরিবেশে চারিদিকে শুধুই রুক্ষতা আর ধূসরতা। সবুজ বাগান কবির দেহের সজীবতার প্রতীক। তাই তার দেহ সবুজ বাগান চায়।

“সবুজের অনটন ঘটে”—কোথায় কী কারণে সবুজের অনটন ঘটে?

উত্তর: ‘আমি দেখি’ কবিতায় ‘শহরের অসুখ’-এর কারণে অর্থাৎ নগরায়পের জন্যই শহরে সবুজের অনটন ঘটে।

শহরের অসুখ কী খায়?

উত্তর: নগরায়ণের ফলে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শহরের অসুখ ‘হাঁ করে কেবল সবুজ’ খাওয়া অর্থাৎ গাছ ধ্বংস করা।

“গাছ তুলে আনো।”—কার প্রতি কবির আবেদন?

উত্তর: সভ্যতাগবী নাগরিক মানুষদের প্রতি কবির এই আবেদন।

“চোখ তো সবুজ চায়।”—চোখ সবুজ চায় কেন?

উত্তর: শহরের পরিবেশে গাছহীন রুক্ষতায় কবির চোেখ সবুজ দেখার নেশায় তৃস্নার্ত। তাই সবুজ দেখে তিনি দৃষ্টির প্রশান্তি ফিরে পেতে চান।

‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাহুগুলো তুলে এনে কোথায় বসাতে বলেছেন?

উত্তর: গাছ তুলে এনে কবি বাগানে বসাতে বলেছেন।

“ওই সবুজের ভীষণ দরকার।”—‘ওই সবুজ’ বলতে কোন্ সবুজের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘ওই সবুজ’ বলতে কবি গাছের সবুজের কথা বলেছেন।

‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কী কামনা করেছে?

উত্তর: কবির চোখ সবুজ কামনা’ করে এবং কবির দেহ কামনা করে সবুজ বাগানের সান্নিধ্য।

“তাই বলি” – কবি কী বলেন?

উত্তর: কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেন।

“বহুদিন শহরেই আছি” দীর্ঘদিন শহরে থাকায় কবির মনে কীসের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শহর জীবনে অভ্যস্ত হলেও তাঁর সচেতন মন এ কথা জানে যে, সুস্থ রোগমুক্ত পরিবেশ ও জীবন লাভের জন্য সবুজের প্রয়োজন সর্বাধিক। তাই কবি দীর্ঘদিন সময়ের অভাবে সবুজের সান্নিধ্যলাভ করতে পারেননি বলে তার মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

আমি দেখি কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

“..ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”–‘ঐ সবুজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তার দরকার কেন?

উত্তর: সবুজ প্রকৃতি মানুষের রোগমুক্ত জীবনযাপনের প্রধান সহায়ক। গাছের সবুজ অংশে সঞিত ক্লোরোফিলের সহায়তায় উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে যে শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি করে, মানুষ তথা সমগ্র প্রাণীকুল তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আবার, সবুজ উদ্ভিদ মানুষকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী অক্সিজেন সরবরাহ করে। শহরের কলুষিত পরিবেশে দূষণজনিত কারণে যে রোগ-ভোগের প্রসার ঘটে চলেছে তা থেকে মুক্তিলাভের জন্য গাছের ওই সবুজ অংশই দরকার। ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি তাই নিঃসন্দেহে গাছের সবুজ অংশকেই চিহ্নিত করেছেন।

মানবজীবনে সুস্থতার জন্য, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে অরণ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই ভূমিকা বহুবিধ—

প্রথমত, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে অক্সিজেনের জোগান দেয় গাছ, বায়ুমণ্ডল হয়ে ওঠে মানুষের শ্বাসগ্রহণের উপযোগী। দ্বিতীয়ত, গাছ তার শিকড় দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে রেখে ভূমিক্ষয় প্রতিহত করে ও বন্যার করাল গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচায়। তৃতীয়ত, জীবজগতের খাদ্যের প্রধান জোগানদাতা হল গাছ। চতুর্থত, গাছের অন্তর্নিহিত সঞ্চিত শক্তি যেমন—কাঠ, কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের চাহিদা মেটায়। পঞ্চমত, আরোগ্যের জন্য মানব জীবনের সমস্ত ওষুধ প্রাচীনকাল থেকে গাছই সরবরাহ করে আসছে। ভেষজ অর্থাৎ কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতি পুরোপুরি অরণ্যকেন্দ্রিক। ষষ্ঠত, অরণ্য ধ্বংসের ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের (O3) ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের গায়ে সরাসরি এসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বহুবিধ চর্মরোগ ছাড়াও ক্যানসারের মতো মারণব্যাধি দেখা দিতে পারে।

অর্থাৎ, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে প্রকৃতির বুকে সবুজের আবরণ তথা আভরণ গড়ে তুলতে হবে। কবি সেই প্রত্যয়ভূমি থেকে মানুষের মঙ্গলের জন্য সবুজকে আহ্বান করেছেন-

“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার

আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার ”

“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে…”–‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? সবুজের অনটন কীভাবে ঘটে?

উত্তর: নগরসভ্যতার পত্তনের অর্থই সবুজকে ধ্বংস করা। সর্বোপরি, আধুনিক নগরজীবন যন্ত্রযুগের উদগ্র লালসায় সবুজ ধ্বংসের হোলি খেলার মত্ত। ফলে একদিন যেখানে পৃথিবীর মোট ভূভাগের পঞ্চাশ শতাংশ অরণ্য ছিল বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র পঁয়ত্রিশ শতাংশে। দৈনন্দিন কাজকর্মে, কারখানার শ্রীবৃদ্ধিতেও অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। উন্নততর সভ্যতা বিকশিত হয় নগরকে কেন্দ্র করে, বর্তমান আণবিক যুগের প্রভাবও সেখানে বিদ্যমান। নতুন নতুন অট্টালিকা, রাস্তাঘাট, শপিংমল প্রভৃতি তৈরি করার জন্য কার্যত সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় যা পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রাকে কমিয়ে দিচ্ছে, এমনকি প্রতিদিন বাড়ছে গ্রিনহাউস দূষণ। তা ছাড়া জলদূষণ, বায়ুদূষণ, আলোদূষণ, মৃত্তিকা দূষণ, সর্বোপরি অস্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিও সবুজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ রূপে দেখা দিচ্ছে। শহরজীবনের গতিকে ত্বরান্বিত করতে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে নির্বিচারে। কবির দৃষ্টিতে নগরায়ণ হল একটা অসুখের মতো যা কেবলমাত্র অরণ্যকে ধ্বংস করে সবুজকে গিলে ফেলতে চায়।

ভারতের মতো দেশে বৃহৎ বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১/৬ শতাংশ। অথচ মোট রাজস্বের প্রায় ৬০০ কোটি আসে বনজ সম্পদ থেকে। এ দেশের জ্বালানির ৬০ শতাংশ বনজসম্পদ কেন্দ্রিক, অথচ তাকেই নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। অন্যদিকে পরোক্ষে এ দেশে যত না বনসৃজন ঘটে তার চেয়ে অনেক বেশি বন নষ্ট করা হয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অরণ্য যে মানুষের পরম বন্ধু এ ভাবনা বিনষ্ট হয়ে পড়ছে। শহরের জন্য যুগোপযোগী পরিবেশ রচনা করার তাগিদেই সবুজের অভাব ঘটতেই থাকবে যা আধুনিক সভ্যতাকে বেপথু করে তুলবে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর, আমি দেখি কবিতার Pdf

ছায়া বাংলা শিক্ষাক – প্রকল্প সহ একাদশ শ্রেণি গাইড

ছায়া বাংলা শিক্ষাক – প্রকল্প সহ একাদশ শ্রেণি গাইড

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা দ্বাদশ শ্রেণি

শহরের অসুখ কী খায়?
উত্তর: নগরায়ণের ফলে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শহরের অসুখ ‘হাঁ করে কেবল সবুজ’ খাওয়া অর্থাৎ গাছ ধ্বংস করা।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।