হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম MCQ প্রশ্নোত্তর

‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি যে গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, সেটি হল—

(A) যখন ছাপাখানা এলো

(B) কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই

(C) আজব নগরী

(D) বটতলা

উত্তরঃ (B) কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে মন নেই

যে লেখকের ছদ্মনাম ‘গ্রীপান্থ’, তিনি হলেন—

(A) শরৎচন্দ্র

(B) নিখিল সরকার

(C) পূর্ণেন্দু পত্রী

(D) মুজতবা আলী

উত্তরঃ (B) নিখিল সরকার

নিখিল সরকার ওরফে ‘শ্রীপান্থ’-র জন্ম হয়—

(A) 1930 সালে

(B) 1931 সালে

(C) 1932 সালে

(D) 1933 সালে

উত্তরঃ (C) 1932 সালে

নিখিল সরকার রচিত একটি গ্রন্থ হল—

(A) মেটিয়াবুরুজের নবাব

(B) কঙ্কাবতী

(C) আমরা বাঙালি

(D) রামায়ণ

উত্তরঃ (A) মেটিয়াবুরুজের নবাব

কথায় আছে, কালি কলম মন, লেখে __ জন?

(A) এক

(B) দুই

(C) তিন

(D) চার

উত্তরঃ (C) তিন

লেখক যেখানে কাজ করেন, সেটা হল—

(A) ছাপাখানা

(B) পুথি লেখার কারখানা

(C) লেখালেখির অফিস

(D) গল্প লেখার আসর

উত্তরঃ (C) লেখালেখির অফিস

লেখক যেখানে কাজ করেন সেখানে সবাই —

(A) লেখক

(B) পুলিশ

(C) আড্ডাবাজ

(D) চাকর

উত্তরঃ (A) লেখক

লেখক তাঁর অফিসে কোন জিনিসের কথা বলেছেন যা শুধু তাঁরই আছে?

(A) একটি অভিধান

(B) একটি কম্পিউটার

(C) কলম

(D) বই

উত্তরঃ (C) কলম

লেখকের হাতে কলম এবং বাকিদের সামনে কী?

(A) টাইপরাইটার

(B) কম্পিউটার

(C) প্রচুর বই

(D) দোয়াত ও পেন

উত্তরঃ (B) কম্পিউটার

‘আমি যা লিখি ওঁরা ভালোবেসে আমার লেখাকেও এভাবে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন।’ ‘ওঁরা’ বলতে লেখকের –

(A) বন্ধুরা

(B) শিক্ষক-শিক্ষিকারা

(C) সহপাঠীরা

(D) সহকর্মীরা

উত্তরঃ (D) সহকর্মীরা

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর 2022 | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী ?

উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপাস্থের আসল নাম নিখিল সরকার ।

লেখে তিনজন ? – এই তিন জন কে কে ?

উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী এই তিন জন হল- কালি , কলম আর মন ।

লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস ?

উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন , সেটা লেখালেখির অফিস ।

কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই / –কেন ?

উত্তরঃ লেখক শ্রীপান্থ কাজ করতেন একটি সংবাদপত্র অফিসে । সেখানে একমাত্র তিনিই কলমে লিখতেন , বাকি সকলেই লিখতেন কম্পিউটারে । তাই কারও হাতে কলম থাকত না ।

লেখকরা মাঝে মাঝে লেখা থামিয়ে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন কেন ?

উত্তরঃ লেখকরা ইতিমধ্যে যা লিখেছেন , তা পর্দায় ফুটে উঠেছে । সেগুলি পড়ার জন্যই তারা মাঝে মাঝে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন ।

কারা , কীভাবে লেখকের লেখাকে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ?

উত্তরঃ লেখকের সহকর্মীরা তাঁকে ভালোবেসে তাঁর লেখা কম্পিউটারে টাইপ করে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন ।

একদিন যদি কোনও কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই তবেই বিপদ । — কী ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ লেখক শ্রীপাস্থের অফিসে তিনি ছাড়া সকলেই কম্পিউটারে লিখতেন । কলম নিতে ভুলে গেলে কলম পাওয়া ভার ছিল । আর পেলেও তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না ।

‘ দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয় । বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ?

উত্তরঃ লেখক অফিসে কলম নিয়ে না – এলে সেদিন তাঁর লেখায় ব্যাঘাত ঘটত । চেষ্টা করে যদিও বা ভোঁতামুখ একখানি কলম জুটত , তাতে লিখে সুখ পেতেন না । লেখক কাজটি তখন দায়সারাভাবে সারতেন ।

‘ কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা – ই’— বক্তব্যটি প্রশ্ন পরিস্ফুট করো ।

উত্তরঃ লেখকের লেখালেখির অফিস , অথচ কলম নেই । তাই ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ‘ প্রবাদটির মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন আমরাও যেন তা অনুসরণ করছি ।

‘ বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন,‘ — বড়োরা কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ লেখকরা ছোটোবেলায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতেন । বড়োরা তখন কলমের মুখটা সরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিরে দেওয়ার কথাও শিখিয়ে দিতেন , কালি যাতে চুইয়ে পড়ে ।

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ রচনাধর্মীয় প্রশ্নোত্তর

‘ কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তা – ই ।— ‘ আমরা ‘ কারা ? বক্তব্যটির সাহায্যে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন ?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে উদ্ধৃত ‘ আমরা ’ শব্দটি পাই । কালি – কলমে যাঁরা ছোটোবেলা থেকে লিখে এসেছেন । এখন তাঁরাই কম্পিউটারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন । ‘ আমরা ‘ বলতে সেইসব আত্মসমর্পণকারী অগণিত মানুষকে বোঝানো হয়েছে । লেখক যা বলতে চেয়েছেন । | লেখক শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – এ যা বলতে চেয়েছেন প্রবন্ধের নামকরণেই তা লুকিয়ে আছে । তিনি এই প্রবন্ধে কতগুলি প্রবাদের সাহায্যে বিষয়টিকে আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছেন । লেখার জগতে যন্ত্র – নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমশ বিদায় নিচ্ছে কালি – কলম ।

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘ কালি – কলম – মন , লেখে তিনজন ” অর্থাৎ এই তিনের সামঞ্জস্যই সুন্দর লেখার মূল । বর্তমানে মন থাকলেও কালি – কলম প্রায় লুপ্ত । লেখক সংবাদপত্রের অফিসে কর্মরত । সেখানে তিনি ছাড়া প্রায় সকলেই । কম্পিউটারে লেখালেখির কাজটা করতেন । কোনো কারণে একদিন লেখক কলম না নিয়ে গেলে বিপদে পড়তেন । আর যদিও – বা খুঁজে পেতে কলম একটা জুটত তবে তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না । সেদিন সব কাজ তিনি দায়সারাভাবে সারতেন । এই বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ‘ প্রবাদটি তুলে ধরেছেন । আমরাও যে সময়ের পরিবর্তনে সেই দিকেই এগোচ্ছি অর্থাৎ কালি – কলম না থেকেও আমি লেখক সে – কথা বোঝাতেই উক্ত প্রসম্পটির অবতারণা করেছেন ।

‘ আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই / -কালি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে যা জান লেখো ।

উত্তরঃ কালি – কলমের অতীত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন । একইসঙ্গে সেই কঞ্চির কলম যে কালিতে ডুবিয়ে লেখা হত সেই কালি কীভাবে তৈরি করা হত তাও বলেছেন । লেখকরা নিজেরাই এই কালি তৈরি করলেও মা , পিসিদের সাহায্যও নিতেন । প্রবন্ধে লেখক কালি তৈরির যে দু – রকম পদ্ধতির কথা বলেছেন , তার মধ্যে প্রথমটি আয়োজন – নির্ভর ; সেইসব উপকরণ লেখকদের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন ছিল । প্রাচীন এই পদ্ধতিতে তিল , ত্রিফলা ( হরীতকী , বহেড়া , আমলকী ) লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রাখতে হত । তারপর একটি লোহার দণ্ড দিয়ে সেটি ভালো করে ঘষে নিতে হত । এই কালি এতটাই টেকসই হত যে , লেখার পাতা ছিঁড়লেও কালি উঠত না ।
লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ । বাড়িতে কাঠের উনুনে যে – কড়াইয়ে রান্না হত তার তলায় কালি জমত ; সেই কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে লেখকরা কালি তৈরি গুলে নেওয়া হত । কেউ কেউ এর মধ্যে হরীতকী যেভাবে করতেন ঘষতেন ও পোড়া আতপচাল গুঁড়িয়ে মেশাতেন । সবশেষে খুন্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত । ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় হেঁকে দোয়াতে ভরে নেওয়া হত ঘরে তৈরি এই কালি ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ PDF

দশম শ্রেণীর জন্য CBSE বাংলা গাইড









দশম শ্রেণীর জন্য CBSE বাংলা গাইড

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্ন উত্তর

‘বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন,‘ — বড়োরা কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ লেখকরা ছোটোবেলায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতেন । বড়োরা তখন কলমের মুখটা সরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিরে দেওয়ার কথাও শিখিয়ে দিতেন , কালি যাতে চুইয়ে পড়ে ।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।