বর্ষা ঋতু কাকে বলে
বর্ষা, মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের অঞ্চলগুলোতে উদযাপিত একটি ঋতু, যখন মৌসুমী বায়ুর প্রভাব সক্রীয় হওয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী এটি হচ্ছে বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু, যেখানে আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস জুড়ে এই বর্ষাকাল ব্যাপৃত থাকে। বাংলা বছরে, বর্ষার আগের ঋতুটি হলো রৌদ্রতপ্ত গ্রীষ্ম আর পরের ঋতুটি হলো শ্যামল শরৎ।
বর্ষা ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- বর্ষার ঝর ঝর সারা দিন ঝরছে, মাঠ-ঘাট থৈ থৈ খাল-বিল ভরছে।
- গ্রীষ্মের প্রখর উত্তাপে যখন সব প্রাণিকুল অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য সবাই ছটফট করতে থাকে, তখনই বর্ষা আসে ঝমঝম শব্দে। কখনো আকাশে ভেঙে নামে বৃষ্টির ঢল। খাল-বিল, নদী-নালা ভরে ওঠে। শুরু হয় ব্যাঙের ঘ্যাঁঘর ঘ্যাঁঘর একটানা ডাক।
- আকাশ সব সময়ই কালো মেঘে ঢাকা থাকে।
বর্ষার উৎপত্তিস্থল
বর্ষার উপস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বিতরণের বার্ষিক চক্রের সাথে সম্পর্কিত। গ্রীষ্মে, ভূমি সমুদ্রের চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয় এবং এই তাপ নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে স্থানান্তরিত হয়। উত্তপ্ত বায়ু ছুটে যায়, এবং জমির উপর নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের একটি অঞ্চল তৈরি হয়।
বায়ুর অভাবের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত একটি ঠান্ডা বাতাসের ভর অবিলম্বে পূর্ণ হয়। এটি জল পৃষ্ঠ থেকে বাষ্পীভূত আর্দ্রতা একটি বড় পরিমাণ রয়েছে.
স্থলের দিকে অগ্রসর হলে, সমুদ্র থেকে বাতাস এই আর্দ্রতা বহন করে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের পৃষ্ঠে ছড়িয়ে দেয়। তাই বর্ষাকালের জলবায়ু শীতের তুলনায় গ্রীষ্মকালে বেশি আর্দ্র থাকে।
শীতের সময়কাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে, বাতাসগুলি তাদের দিক পরিবর্তন করে, যেহেতু এই সময়ে স্থল পৃষ্ঠটি কম সক্রিয়ভাবে উষ্ণ হয় এবং এর উপরের বাতাসটি সমুদ্র পৃষ্ঠের তুলনায় ঠান্ডা হয়ে যায়, যা এর দিক পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করে। এই সময়ে বর্ষা।
বর্ষাকালের প্রকৃতি
বাদলের ধারা ঝরে ঝর ঝর, আউশের ক্ষেত জলে ভর ভর।
কালি মাখা মেঘে ওপারে আঁধার ঘনায়েছে দেখ চাহিরে, ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
– (আষাঢ় : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
- বর্ষার অবিরাম বৃষ্টিতে যেমন নদ-নদী, খাল-বিল ভরে ওঠে, তেমনি ক্ষেত-খামার ভরে ওঠে পানিতে। গ্রামের বাড়িগুলো দ্বীপের মতো মনে হয়।
- ছোট ছোট ডিঙি নৌকা আর ভেলা বেয়ে গ্রামের মানুষ বড় রাস্তায় আসে। বর্ষার পানিতে মাঠে মাঠে সতেজ হয়ে ওঠে ধান, পাটের চারা। বিলে-ঝিলে হেলেঞ্চা, কলমিলতা আর শাপলার সমারোহ দেখা যায়। বনে বনে ফোটে কদম, কেয়া, গন্ধরাজ প্রভৃতি সুগন্ধি ফুল। বৃষ্টিধোয়া সবুজ গাছপালা ঘেরা গ্রাম হয়ে ওঠে পটে আঁকা ছবির মতো।
বর্ষাকাল রচনা, আমার প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল রচনা
ভূমিকা
বর্ষাকাল বছরের অন্যতম সেরা ঋতু যাকে ‘বর্ষা’ও বলা হয়। মাঝারি তাপমাত্রার জন্য মানুষ বর্ষাকাল ভালোবাসে; বর্ষাকালে এটি খুব ঠান্ডা বা খুব গরম নয়। এছাড়াও, বর্ষাকালে প্রকৃতি তার পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়।
যখন বর্ষাকাল বিভিন্ন দেশে পড়ে
বর্ষার ঋতুর মাসগুলি সারা বিশ্বে স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়। কোথাও এটি এক মাস স্থায়ী হয় আবার কিছু জায়গায় দীর্ঘ বর্ষা থাকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সারা বিশ্বের নির্দিষ্ট স্থান এবং বর্ষাকালের মাসগুলি নিম্নোক্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
কেরালা, ভারত
মৌসুমী মেঘ জুনের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রবেশ করে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যাহার করে।
মুম্বাই, ভারত
উপকূলীয় শহর মুম্বাইতে, বর্ষা জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসে এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যাহার করে।
মধ্য আমেরিকা
মধ্য আমেরিকায় বর্ষা ঋতুর আগমনের অস্থায়ী তারিখ এপ্রিল মাসে এবং এটি অক্টোবরে ফিরে আসে।
আমাজন ব্রাজিল
বর্ষাকাল সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ভারতীয় বর্ষা প্রণালী এখন পর্যন্ত সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত বর্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। কঠিন, স্বাভাবিক বর্ষার মাস জুন-সেপ্টেম্বর, প্রায়ই বর্ষার মাস সেপ্টেম্বর বা এমনকি অক্টোবর পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
বর্ষাকালের কারণ কী?
সমুদ্র এবং স্থলভাগে বার্ষিক তাপমাত্রার প্রবণতার পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্বে বর্ষাকাল হয়। পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থান ক্যান্সারের ক্রান্তীয় এবং মকর রাশির ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।
সমুদ্রের উপর সৌর উত্তাপের ফলে নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হয়। এই নিম্নচাপ অঞ্চলটিকে ইন্টার-ট্রপিক্যাল কনভারজেন্স জোন (ITCZ)ও বলা হয় উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব বাণিজ্য বায়ুর একত্রিত হওয়ার সাক্ষী। এই মিলনের ফলে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা উপরে উঠে যায় এবং মেঘ তৈরি হয়। মেঘ যখন আর্দ্রতায় ঢেকে যায়, তখন বৃষ্টি হয়। এই আইটিসিজেড অঞ্চলটি স্থলভাগের দিকে স্থানান্তরের ফলে সেখানে বৃষ্টি হয়।
ভারতীয় বর্ষার ঘটনার পেছনেও একই ঘটনা রয়েছে। গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ মাসগুলিতে অর্থাৎ মে-জুন, থর মরুভূমি এবং উত্তরের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি মধ্য ভারতও উত্তপ্ত হয়। এই উত্তাপের ফলে উপমহাদেশে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়। এটি আরও আইটিসিজেডকে ভারত মহাসাগর থেকে ভূমিতে স্থানান্তরিত করে, আর্দ্রতা-বোঝাই বাতাসে ছুটে আসে, ফলস্বরূপ বৃষ্টি হয়।
বর্ষার গুরুত্ব
সেচের দিক থেকে বর্ষাকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধান বা চাল যা ভারতীয় উপমহাদেশে উৎপাদিত একটি প্রধান ফসল সম্পূর্ণভাবে বৃষ্টির পরিমাণের উপর নির্ভর করে। এটি জুন-জুলাই মাসে বপন করা হয় এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাটা হয় এবং জমিতে একটি নির্দিষ্ট জলের স্তর বজায় রাখতে হয়। এইভাবে, বর্ষাকাল ধান চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উপমহাদেশের লক্ষ লক্ষ কৃষিভিত্তিক পরিবারের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
অন্যদিকে বর্ষাকালেও প্রাকৃতিক পানি সম্পদের স্তর বজায় রাখা প্রয়োজন। হ্রদ, ভূগর্ভস্থ জল এবং মৌসুমী নদীগুলি গরম গ্রীষ্মের দিনগুলিতে শুকিয়ে যায় এবং শুধুমাত্র বর্ষাকালে জীবিত হয়। বর্ষাকাল পৃথিবীকে প্রস্তুত করে এবং আসন্ন কঠোর জলবায়ু ঋতুগুলির জন্য তার সংস্থানগুলিকে পুনরায় পূরণ করে।
উপসংহার
বর্ষাকাল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঋতু, যা জীবনচক্র অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ এবং কৃষির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মতো কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশগুলো ফসল ও শাকসবজি উৎপাদনের জন্য বর্ষাকালে বৃষ্টির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় ঋতুও। শিশু, যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই প্রকৃতির বিশুদ্ধ সৌন্দর্যের জন্য এটিকে ভালোবাসে যা এটি প্রকাশ করে।
আরো পড়ুন: ঋতু কাকে বলে, ছয় ঋতুর নাম, বাংলার ঋতু বৈচিত্র্য প্রবন্ধ রচনা
বর্ষাকালের দৃশ্য, বর্ষাকালের গ্রামের দৃশ্য, বর্ষাকালের গ্রামের দৃশ্য
বাংলা ষড়ঋতুর দেশ। ঋতুগুলাের মধ্যে বর্ষাকাল একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। তবে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে বর্ষা থাকে।
গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতি যখন জ্বলেপুড়ে যেতে থাকে, তখন শান্তির পরশ নিয়ে আসে বর্ষাকাল। দিনরাত অবিরাম বৃষ্টির ধারা প্রকৃতিকে করে তােলে শান্ত ও মনােরম। আকাশে সারাদিন চলে মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা। মেঘের গুড়গুডু ধ্বনি মনকে দোলায়িত করে। আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকায়, মেঘের গর্জন ও বিদ্যুতের চমকে শিহরিত হয় শরীর ও মন। বৃষ্টির পানিতে নদী-নালা-খাল-বিল টইটম্বুর হয়ে যায়। নতুন পানি পেয়ে ব্যাঙ ডাকতে থাকে- ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ। তখন সবার মন কেমন উদাস হয়ে যায়।
বর্ষাকালের উপকারিতা
এই ঋতুটিকে বছরের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঋতু হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি এই পৃথিবীতে সমস্ত ধরণের জীবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত বাতাসকে পরিষ্কার করে এবং গাছপালা বাড়তে দেয়।
বর্ষাকালে প্রকৃতি নবজীবন লাভ করে। গাছপালার রং গাঢ় সবুজ হয়ে ওঠে। প্রকৃতি শীতল হয়ে যায়। বর্ষার নতুন পানিতে মাছেরাও প্রাণ ফিরে পায়। অধিক বৃষ্টিপাত হলে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। তখন গ্রামগুলাে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতাে পানিতে ভেসে থাকে। নৌকা ছাড়া তখন চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বর্ষার বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমি নরম হয়ে যায়। এসময় জমি চাষ করা খুবই সহজ। কৃষকেরা মনের আনন্দে জমি চাষ করে তাতে ধান, পাট রােপণ করে। বর্ষা যত বাড়তে থাকে গ্রামের লােকের কাজ তত কমতে থাকে। এসময় তারা অলস জীবনযাপন করে। পুরুষেরা ঘরের দাওয়ায় বসে ঘরের টুকটাক কাজ করে, আড্ডা দেয়। মাঝে মাঝে বসে গানের আসর। মহিলারা ঘরে বসে নকশি কাঁথা সেলাই করে।
শহরে বর্ষাকাল বেশিরভাগ সময়ে ভােগান্তির সৃষ্টি করে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। এ-সময় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে সমস্যা হয়। দিনমজুরেরা বর্ষাকালে কর্মহীন হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে উজান থেকে বয়ে নিয়ে আসা পানিতে কৃষিজমি উর্বর হয়। বর্ষার পানিতে ময়লা আবর্জনা ধুয়ে যায়। ফলে পরিবেশদূষণ কমে। এ-সময় নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যায়।
বাংলা পানির চাহিদার ৭০ ভাগ পূরণ হয় বর্ষাকালে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জলপথে যাতায়াত সহজ হয়। এসময় মাছেরা বংশবৃদ্ধি করে। বর্ষাকালে জাম, পেয়ারা, জামরুল, আনারস ইত্যাদি ফল পাওয়া যায়। গাছে-গাছে উঁই, কেয়া, কদম ইত্যাদি ফুল ফোটে। তাই কবির ভাষায় বলতে হয় :
গুড়গুড় ডাকে দেয়া
ফুটিয়ে কদম-কেয়া
ময়ূর পেখম খুলে
সুখে তান ধরছে।
এ ঋতু বাঙালির জীবনে আনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। বাংলার কৃষক এ ঋতুতে বীজ বোনে, চারাগাছ তোলে এবং রোপণ করে। বড় নদী আর হাওর-বাঁওড় থেকে ভেসে আসা ছোট-বড় নানা জাতের মাছ ছড়িয়ে পড়ে বিলে-পুকুরে-ডোবা-নালায়। বর্ষাই বাংলাকে করে শস্যশ্যামল। বাংলার অন্ন-বস্ত্র, তার সমস্ত ঐশ্বর্য বর্ষার দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিতে দেখা যায় রকমারি ফলের আয়োজন। এ সময় নদীপথে যাতায়াত ও পরিবহন সহজসাধ্য হয়। এ জন্য বর্ষা বাঙালির আদরের ঋতু।
বর্ষা নিয়ে উক্তি
“গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা, ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা, খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা। ”
— কবিতা: সোনার তরী, কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“খেলে চঞ্চলা বরষা বালিকা
মেঘের এলোকেশে ওড়ে পূবালী বায়
দোলে গলায় বলাকার মালিকা।। ”
— কাজী নজরুল ইসলাম
” বর্ষা এলো, বর্ষা এলো
আকাশ মেঘে ছেয়ে গেল।
বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিল
গাছগুলো সব সতেজ হলো।”
আজ আকাশে মেঘ জমেছে, রাগ করেছে ভারি।
আজ নাকি তার সারাদিন, রোদের সাথে আড়ি।
রোদটাও খুব অভিমানী, উঠতে নাহি চায়,
এই দেখিয়া বৃষ্টি নাকি, দারুন মজা পায়!
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | বর্ষা, বর্ষাকাল
Q1. ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম
Ans – গিমাকলমি, পাটশাক, করলা, ডাঁটা, লালশাক, পুইশাক, ঢেঁড়শ, বরবটি, বেগুন, চালকুমড়া, কাকরোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ইত্যাদি।
Q2. বর্ষাকালের ফলের নাম
Ans – পেয়ারা (Guava), জাম্বুরা (Pomelo), আমলকি (Indian gooseberry), ন্যাসপাতি (pear), জাম (Java plum)।
Q3. বর্ষা কালে কি কি ফুল ফোটে
Ans – বর্ষায় ফোটা ফুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কদম, বকুল, দোলনচাঁপা,স্পাইডার লিলি, ঘাসফুল, শাপলা, সন্ধ্যামালতি, কামিনী, গুলনার্গিস, দোপাটি ও অলকানন্দ প্রভৃতি।
Q4. বর্ষাকালে কি কি উৎসব হয়
Ans – রথ যাত্রা, রাখি বন্ধন, ওনাম, নাগপঞ্চমী, মিঞ্জার মেলা প্রভৃতি।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।