ধাতু কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

ধাতু কাকে বলে বিজ্ঞান, ধাতু কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো শক্ত, চকচকে, অস্বচ্ছ এবং ঘন, সেগুলো হলো ধাতু। অর্থাৎ যে সকল মৌলিক পদার্থ সাধারণ অবস্থায় কঠিন, চকচকে, ভারী, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী, সেগুলোকে ধাতু বলে।

যেমন–রূপা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, সীসা, নিকেল, তামা, টাইটানিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কোবাল্ট, দস্তা ইত্যাদি।

ধাতু বলতে সে সব মৌলিক পদার্থ বোঝায়, যেগুলো খুব দ্রুত আয়ন সৃষ্টি করে এবং যেগুলোতে ধাতব বন্ধন রয়েছে। কিন্তু মৌলিক ধাতু ছাড়াও মিশ্র ধাতুকেও ধাতব পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণভাবে কিছু ভৌতগুণের বিচারে ধাতুকে বিবেচনা করা হয়। যেমন-

  • ধাতু কঠিন পদার্থ। ব্যতিক্রম হলো পারদ, যা তরলাবস্থায় থাকে। এই কারণে অন্যান্য ধাতুর ভৌত ধর্মের সাথে পারদের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।
  • ধাতু কঠিন বলেই এর সাহায্যে অন্য পদার্থে আঁচর কাটা যায়, আবার ধাতুর গায়েও আঁচর কাটা যায়।
  • পিটিয়ে পাতলা পাত বা সরু তারে পরিণত করা যায়।
  • ধাতুকে কাটা যায়, ভেঙে ফেলা যায়। ব্যবহারিক সুবিধার্থে পালিশ করা যায়।
  • ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
  • একাধিক ধাতুর সংমিশ্রণে সংকর ধাতু তৈরি করা যায়।

ধাতু কয়টি ও কি কি

ভৌতগুণ, রাসায়নিক, ব্যবহারিকগুণের বিচারে ধাতুকে নানাভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন-

ক্ষারীয় ধাতু

এই শ্রেণির ধাতুর ভিতরে পাওয়া যায় ধাতব-ধর্ম ও ও ক্ষার-ধর্ম। যেমন- এই শ্রেণির মৌলসমূহের অক্সাইড বা হাইড্রোঅক্সাইড, এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। এই কারণে এগুলোর প্রত্যেকটি এক একটি ক্ষার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার এই শ্রেণির মৌলগুলোর মধ্যে ধাতব ধর্ম পাওয়া যায়। তাই এই শ্রেণির মৌলগুলোকে প্রত্যেকটিকে ক্ষারীয় ধাতু বলা হয়। এই শ্রেণির মৌলগুলো হলো- লিথিয়াম।

ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু

ধাতুর একটি বিশেষ ধরনের প্রকরণ। এই ধাতুগুলো প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পায় যায় না। বিভিন্ন যৌগ হিসেবে এসব ধাতু থাকে। বিশেষ করে সিলিকেট, কার্বনেট, সালফেট ও ফসফেট হিসাবে এদের পাওয়া যায়। এই শ্রেণির ধাতুগুলো হলো- বেরিলিয়াম।

মিশ্র ধাতু বা সংকর ধাতু

একাধিক মৌলিক ধাতুর মিশ্রণে যে সকল ধাতু তৈরি হয়ে থাকে। যেমন- ইস্পাত, সোলডার, পিতল, ডুরালুমিন, পিউটার, ব্রোঞ্জ, পারদ-সংকর ইত্যাদি।

বিরল ধাতু

যে সকল ধাতু আকরিক থেকে সহজে মুক্ত করা যায় না। ফলে বাণিজ্যিকভাবে এদের মূল্য বেশ বেশি হয়। সবচেয়ে পরিচিত বিরল ধাতুগুলি হল সোনা ও রূপা। এগুলি শিল্প, গহনা ও মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও প্লাটিনাম দলের ধাতুগুলিকে বিরল ধাতু হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন রুথেনিয়াম, রোডিয়াম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, ইরিডিয়াম ও প্লাটিনাম। এদের মধ্যে প্লাটিনামকে পণ্য হিসেবে বাণিজ্যে ব্যবহার করা হয়। শুধু ব্যবহারিক দিক নয়, বরং বিনিয়োগে ও সম্পদের ধারক হিসেবে বিরল ধাতুর চাহিদা আছে।

অবস্থান্তর ধাতু

এই জাতীয় ধাতু সুস্থির দশায় থাকে না। এরা এদের ইলেক্ট্রোন হারিয়ে অন্য ধাতুতে পরিণত হয়। এতে পরিবর্তনশীল যোজনী থাকে। অন্তত একটি যৌগে অসম্পূর্ণ d-সাবশেল থাকে। সাধারণ তাপমাত্রায় তামাটে-নীল (কপার ও গোল্ড ব্যতীত) বর্ণের হয়। সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন দশায় থাকে। এরা জটিল আয়ন গঠন করে।

অর্ধধাতু

সাধারণ অর্থে যে সকল মৌলিক পদার্থে ধাতু ও অধাতুর  ধর্ম একই সাথে বিরাজ করে। এদের ভৌত ধর্ম ধাতুর  মতো, কিন্তু রাসায়নিক ধর্ম ধাতু ও  অধাতুর মতো। সাধারনভাবে ৬ টি মৌলকে ধাতুকল্প হিসেবে ধরা হয়, আর্সেনিক, এ্যান্টিমনি, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, টেলুরিয়াম, পোলোনিয়াম, বোরন, সিলিকন।

ধাতু ও অধাতু কাকে বলে

যে সমস্ত মৌলিক পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে সবথেকে দূরের বা বাইরের কক্ষে নূন্যতম এক থেকে সর্বোচ্চ তিন টি ইলেকট্রন থাকে তাকেই ধাতু বলে।

যদি সবথেকে বাইরের কক্ষ টিতে নূন্যতম পাঁচ থেকেই সর্বোচ্চ আট টি ইলেকট্রন থাকে অধাতু বলে। আর গ্রুপ চার রকম মৌলিক পদার্থগুলোর পরমাণুর সবথেকে বাইরের কক্ষে চারটে ইলেকট্রন থাকে, এগুলো ধাতু-অধাতু দ্বৈত চরিত্র বহন করে, এগুলোকে metalloid বলে।

ধাতু ও অধাতুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য –

  • ধাতু র ইলেকট্রন বর্জন করা প্রবণতা ও অধাতুর ইলেকট্রন গ্রহণ করার প্রবণতা আছে।
  • ধাতুর অক্সাইড ক্ষারীয়, অধাতুর অক্সাইড অম্ল।
  • ধাতু উত্তম বিজারক, অধাতু উত্তম জারক
  • ধাতুর ইলেক্ট্রোনেগেটিভিটি কম, অধাতুর বেশি।
  • ধাতুর কৃষ্টালে delocalized free electron থাকার ফলে তড়িৎ ও তাপ পরিবাহী, অধাতুর মধ্য দিয়ে তড়িৎ ও তাপ পরিবাহিত হয় না।
  • পারদ ব্যতীত সব ধাতুই সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন, অধাতু তরল, কঠিন ও গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে।
  • ধাতুর গলনাঙ্ক অধাতুর গলনাঙ্ক র থেকে বেশি, ঘনত্ব বেশি
  • ধাতুর ductility, malleability ও tensile properties থাকার জন্য ধাতুকে rolling, forging, extrusion করে বিভিন্ন আকৃতি বা shape দেওয়া যায়। অপরদিকে অধাতু ভঙ্গুর বা brittle.

ধাতু ও অধাতু চেনার উপায় :

  • ধাতুর শেষ কক্ষপথে ১-৩ টি ইলেকট্রন থাকে, অধাতুর থাকে ৪-৭ টি।
  • ধাতুর ক্ষেত্রে মৌলের নামের পাশে “আম” যুক্ত থাকে। যেমন: সোডিয়াম(Na),ক্যালসিয়াম(Ca)।ধাতু সবসময় ইলেকট্রন ত্যাগ করে,আর অধাতু ইলেকট্রন গ্রহণ করে।

ধাতুর বৈশিষ্ট্য

  • ধাতু বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। ধাতুর ভিতরে মুক্ত ইলেকট্রন থাকায় ধাতু উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহী।
  • ধাতু তাপের সুপরিবাহী। তাপ প্রয়োগ করলে ধাতুর অভ্যন্তরীণ অণুগুলো তাপ শোষণের ফলে গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পরস্পর পাশাপাশি কম্পনরত থাকে। এই উচ্চ কম্পনের ফলে একটি অণুর থেকে তাপ পার্শ্ববর্তী অণুর মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
  • ধাতুর চৌম্বকত্ব রয়েছে অর্থ্যাৎ ধাতুকে চৌম্বকে পরিণত করা যায়। এর ফলে তাড়িতচৌম্বক আবেশের মাধ্যমে ধাতু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
  • ধাতুর ওপর নির্দিষ্ট কম্পাংকের আলোকরশ্মি প্রয়োগ করলে ধাতুর ইলেকট্রন নি:সরণ ঘটে। এটি ফটো ইলেক্ট্রিক প্রভাব।
  • ধাতুর অণুর প্রকৃতির কারণে এর গলনাংক ও স্ফুটনাংক উচ্চ হয়। ধাতুকে গলিয়ে বিভিন্ন আকৃতি দেয়া যায়।
  • ধাতু সাধারণত কঠিন অবস্থায় প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
  • আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।
  • ঘষলে চকচক করে।
  • ঘাত সহনশীল ও নমনীয়।
  • বিশেষ দ্যুতি আছে।
  • সহজেই জোড়া লাগানো যায়।
  • ওজনে ভারী।
  • পিটিয়ে পাত করা যায়।
  • সাধারণত বিজারক পদার্থ।
  • অপেক্ষাকৃত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট।
  • ধাতব অক্সাইডসমূহ ক্ষারকীয় এবং পানিতে দ্রবণীয় হলে ক্ষার উৎপন্ন হয়।
  • ধাতুসমূহ এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে লবণ উৎপন্ন করে।

ধাতুর বৈশিষ্ট্য

  • ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
  • আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।
  • ঘষলে চকচক করে।
  • ঘাত সহনশীল ও নমনীয়।
  • বিশেষ দ্যুতি আছে।
  • সহজেই জোড়া লাগানো যায়।
  • ওজনে ভারী।
  • পিটিয়ে পাত করা যায়।
  • সাধারণত বিজারক পদার্থ।
  • অপেক্ষাকৃত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট।
  • ধাতব অক্সাইডসমূহ ক্ষারকীয় এবং পানিতে দ্রবণীয় হলে ক্ষার উৎপন্ন হয়।
  • ধাতুসমূহ এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে লবণ উৎপন্ন করে।

ধাতু ও অধাতু চেনার উপায়

  • ধাতুর শেষ কক্ষপথে ১-৩ টি ইলেকট্রন থাকে, অধাতুর থাকে ৪-৭ টি।
  • ধাতুর ক্ষেত্রে মৌলের নামের পাশে “আম” যুক্ত থাকে। যেমন: সোডিয়াম(Na),ক্যালসিয়াম(Ca)।ধাতু সবসময় ইলেকট্রন ত্যাগ করে,আর অধাতু ইলেকট্রন গ্রহণ করে।

ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য

ধাতুঅধাতু
যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো শক্ত, চকচকে, অস্বচ্ছ এবং ঘন, তা হলো ধাতু।যেসব রাসায়নিক পদার্থ নরম, অ-চকচকে, স্বচ্ছ এবং ভঙ্গুর, তা অধাতু।
ধাতুগুলো ইলেক্ট্রোপজিটিভ প্রকৃতির, কারণ এগুলো সহজেই ইলেকট্রন হারায়।অ-ধাতুগুলো ইলেক্ট্রোনেগেটিভ, কারণ এগুলো ইলেকট্রন অর্জন করে।
ধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন হয় (পারদ এবং গ্যালিয়াম ছাড়া, যা তরল অবস্থায় থাকে)।অ-ধাতুগুলো কঠিন বা বায়বীয় আকারে পাওয়া যায় (ব্রোমিন ব্যতীত যা একমাত্র তরল অধাতু)।
ধাতু সাধারণত মসৃণ এবং চকচকে দেখায়অধাতু অমসৃণ ও বিবর্ণ দেখায়।
ধাতু সাধারণত কঠিন পদার্থ হয়।অধাতুগুলো সাধারণত নরম পদার্থ (হীরা ছাড়া)।
নমনীয়তা হল ধাতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য যা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে একটি পাতলা শীটে রূপান্তরিত করা যায়।অধাতুগুলো ভঙ্গুর প্রকৃতির, হাতুড়ি দিয়ে পিটালে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
ধাতু তাপ এবং বিদ্যুতের পরিবহন সমর্থন করে।অ-ধাতু অন্তরক, এবং তাই তারা তাপ এবং বিদ্যুতের পরিবাহকে সমর্থন করে না।
ধাতু সমূহ অপেক্ষাকৃত উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাঙ্ক  বিশিষ্টঅধাতু সাধারণত অপেক্ষাকৃত নিম্ন গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট।
ধাতুসমূহ অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব অক্সাইড তৈরি করে।অধাতু অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে অম্লীয় প্রকৃতির অধাতু অক্সাইড তৈরি করে।
ধাতুর কিছু উদাহরণ হল রূপা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, সীসা, নিকেল, তামা, টাইটানিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কোবাল্ট, দস্তা ইত্যাদি।অ-ধাতুর কিছু উদাহরণ হল নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, আর্গন, জেনন, ক্লোরিন ইত্যাদি।
ধাতু ও অধাতুর মধ্যে পার্থক্য

ধাতুকল্প কি, ধাতুকল্প কাকে বলে

যে সব মৌলগুলির মধ‍্যে ধাতব ও অধাতব উভয় ধর্ম বর্তমান তাদের ধাতুকল্প বলে।

যে সব পদার্থ গুলি ধাতু এবং অধাতু উভয়ের মতো আচরণ করে সেই পদার্থ গুলিকে ধাতুকল্প বলে।

ধাতুকল্প উদাহরণ

ধাতুকল্প উদাহরণ: সিলিকন, অ‍্যান্টিমনি, আর্সেনিক ইত্যাদি।

মুদ্রা ধাতু কাকে বলে

কপার, সিলভার ও গোল্ড কে মুদ্রা ধাতু বলা হয় কারণ এগুলো মুদ্রা তৈরিতে ব্যাবহার করা হতো বা হয়।

সেইসব ধাতব রাসায়নিক উপাদানের বা উপাদানগুলির সমন্বয়ে গঠিত যা ঐতিহাসিকভাবে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শব্দটি নিখুঁতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি, যেহেতু অনেক ধাতুই “মুদ্রা” তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

এর মধ্যে কিছু উপাদান তাত্ত্বিকভাবে দুর্দান্ত মুদ্রা তৈরি করে (উদাহরণস্বরূপ, জিরকোনিয়াম)। সাধারণভাবে, মুদ্রা ধাতু পণ্য হিসাবে অভ্যন্তরীণভাবে মূল্যবান হওয়ার কারণে সৃষ্ট সমস্যার কারণে একবিংশ শতাব্দীতে কেবলমাত্র স্বল্প ব্যয়বহুল ধরণের মুদ্রা ধাতব ব্যবহারের প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

সারণির গ্রুপ- 11 মৌল সমূহ কপার (Cu), সিলভার (Ag) , গোল্ড (Au) এদেরকে মুদ্রা ধাতু বলে। প্রাচীনকালে এই ধাতু গুলির তৈরি মুদ্রা পণ্য ব্যবসা – বাণিজ্যে পণ্য বিনিময় কারক হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে এমন নাম

মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে

যে সকল ধাতু মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায় এবং যারা বিক্রিয়ায় ক্ষার উৎপন্ন করে তাদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে। মূলত পর্যায় সারণির ২ নং গ্রুপের মৌল সমূহকে মৃৎ ক্ষার ধাতু বলে।

পর্যায় সারণীর দ্বিতীয় শ্রেণীর মৌলগুলোকে মৃৎ ক্ষার ধাতু বলা হয়। মোট ৬টি মৌল এই শ্রেনীর অর্ন্তভুক্ত। এগুলো হল: বেরিলিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, স্ট্রনশিয়াম, বেরিয়াম, রেডিয়াম।

ক্ষার ধাতু কাকে বলে

যে সকল মৌল পানির সাথে বিক্রয়া করে ক্ষার ও হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করে তাদেরকে ক্ষার ধাতু বলে। যেমন -পর্যায় সারণির ১ নং গ্রুপের ছয়টি মৌল যথাঃ লিথিয়াম(Li) , সোডিয়াম (Na) , পটাশিয়াম(K), রুবিডিয়াম(Rb), সিজিয়াম(Cs) এবং ফ্রানসিয়ামকে(Fr) ক্ষারধাতু বলা হয়।

পর্যায় সারণীরGr IA শ্রেণীভুক্ত।এরা খুব সক্রিয় বলে মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না।এই ধাতু গুলির অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে তীব্র ক্ষার উৎপন্ন করে, তাই এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়।ক্ষার ধাতু ৬টি। লিথিয়াম (Li), সোডিয়াম (Na), পটাশিয়াম (K), রুবিডিয়াম (Rb), সিজিয়াম (Cs), এবং ফ্রান্সিয়াম(Fr).

ভারী ধাতু কাকে বলে

যে মৌলের ঘনত্ব ৫ গ্রাম/সে. মি. এর বেশি তারাই ভারী ধাতু। সবচেয়ে কাছের পরিচিত ভারী ধাতুগুলো লোহা, তামা ও টিন আর দামী ভারী ধাতুগুলো হল রুপা, সোনা ও প্লাটিনাম।

ধাতু নিষ্কাশন কাকে বলে

আকরিক থেকে যে পদ্ধতিতে ধাতু সংগ্রহ করা হয় তাকে ধাতু নিষ্কাশন বলে।

যে পদ্ধতিতে আকরিক থেকে ধাতু সংগ্রহ করা হয় তাকে ধাতু নিষ্কাশন বলে। বিভিন্ন ধাতুর ধর্মও বিভিন্ন। সে কারণে সকল ধাতুকে পৃথক করতে নির্দিষ্ট কোনো একটি প্রক্রিয়া নেই। তাই বিভিন্ন ধাতুর নিষ্কাশন প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা থাকে।

পর্যায় সারণিতে ধাতু কয়টি ও কি কি

পর্যায় সারণীর গ্রুপ ১ থেকে ১৩ পর্যন্ত সবগুলোই ধাতু। পর্যায় সারণীতে মোট 91টি ধাতু রয়েছে। এখানে তাদের সংশ্লিষ্ট পারমাণবিক প্রতীক সহ সমস্ত ধাতুগুলির একটি তালিকা রয়েছে:-

অ্যাক্টিনিয়াম (এসি)ফ্লোরিন (F)নিয়ন (Ne)
অ্যালুমিনিয়াম (আল)Francium (ফরাসী ভাষায়)নেপচুনিয়াম (Np)
Americium (Am)গ্যাডোলিনিয়াম (জিডি)নিকেল (Ni)
অ্যান্টিমনি (এসবি)গ্যালিয়াম (Ga)নিহোনিয়াম (Nh)
আর্গন (আর)জার্মেনিয়াম (Ge)নিওবিয়াম (Nb)
আর্সেনিক (যেমন)স্বর্ণ (Au)নাইট্রোজেন (N)
অ্যাস্টাটাইন (এটি)হাফনিয়াম (Hf)নোবেলিয়াম (না)
বেরিয়াম (বা)হাসিয়াম (এইচএস)ওগানেসন (ওগ)
বার্কেলিয়াম (বিকে)হিলিয়াম (তিনি)অসমিয়াম (ওএস)
বেরিলিয়াম (হও)হলমিয়াম (হো)অক্সিজেন (O)
বিসমথ (দ্বি)হাইড্রোজেন (H)প্যালাডিয়াম (Pd)
বোহরিয়াম (Bh)ইন্ডিয়াম (ইন)ফসফরাস (P)
বোরন (বি)আয়োডিন (I)প্ল্যাটিনাম (Pt)
ক্যাডমিয়াম (সিডি)ইরিডিয়াম (Ir)প্লুটোনিয়াম (পু)
ক্যালসিয়াম (Ca)আয়রন (Fe)পোলোনিয়াম (পো)
ক্যালিফোর্নিয়াম (Cf)ক্রিপ্টন (Kr)পটাসিয়াম (কে)
কার্বন (C)ল্যান্থানাম (লা)প্রাসিওডিয়ামিয়াম (পিআর)
সেরিয়াম (সিই)লরেন্সিয়াম (এলআর)প্রমিথিয়াম (পিএম)
সিসিয়াম (Cs)সীসা (Pb)প্রোট্যাক্টিনিয়াম (পা)
ক্লোরিন (Cl)লিথিয়াম (লি)রেডিয়াম (রা)
ক্রোমিয়াম (Cr)লিভারমোরিয়াম (Lv)রেডন (Rn)
কোবাল্ট (Co)লুটেটিয়াম (লু)রেনিয়াম (পুনরায়)
তামা (Cu)ম্যাগনেসিয়াম (এমজি)রোডিয়াম (আরএইচ)
কিউরিয়াম (সেমি)ম্যাঙ্গানিজ (Mn)রোন্টজেনিয়াম (আরজি)
ডার্মস্ট্যাডটিয়াম (ডিএস)মেইটনেরিয়াম (Mt)রুবিডিয়াম (আরবি)
Dubnium (Db)মেন্ডেলভিয়াম (Md)রুথেনিয়াম (রু)
ডিসপ্রোসিয়াম (Dy)বুধ (Hg)রাদারফোর্ডিয়াম (আরএফ)
আইনস্টাইনিয়াম (এস)মলিবডেনাম (Mo)সামারিয়াম (এসএম)
Erbium (Er)মস্কোভিয়াম (Mc)স্ক্যান্ডিয়াম (এসসি)
ইউরোপিয়াম (ইউ)নিওডিয়ামিয়াম (Nd)সিবোরজিয়াম (এসজি)
ফার্মিয়াম (এফএম)  
পর্যায় সারণিতে ধাতু
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | ধাতু কাকে বলে বিজ্ঞান

Q1. সবচেয়ে ভারী ধাতু কোনটি

Ans – সবচেয়ে ভারী ধাতু হলো – পারদ। ভারী ধাতু সাধারণত সেই ধাতুসমুহ যাদের ঘনত্ব, পারমাণবিক ভর অথবা পারমাণবিক সংখ্যা অনেক বেশি। পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী ধাতু – ওসমিয়াম (প্লাটিনাম জাতীয়)।

Q2. প্লাটিনাম কি ধাতু

Ans – একটি ঘন, স্থিতিশীল ও বিরল ধাতু হচ্ছে প্লাটিনাম। এটি সোনা থেকেও দামি যা প্রায়ই তার আকর্ষণীয় রূপার মতো চেহারার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও তার অন্যান্য রাসায়নিক ও শারীরিক বৈশিষ্ট্যের কারণে চিকিৎসা বৈদ্যুতিক এবং রাসায়নিক প্রয়োগগুলোতে ব্যবহৃত হয়।

Q3. সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি

Ans – লিথিয়াম হল সবচেয়ে হালকা ধাতু।

Q4. পারদ কি ধাতু

Ans – পারদ পৃথিবীতে প্রাপ্ত একমাত্র ধাতু জা প্রকৃতিতে তরল হিসেবে থাকে । এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপে এর সেনসিটিভিটি বেশি। জ্বর মাপার থার্মোমিটার এ একারণে পারদ ব্যবহৃত হয়।

Q5. সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু কোনটি

Ans – প্লাটিনাম হচ্ছে এক প্রকার মূল্যবান ধাতু , শুধু মূল্যবান বললেই চলেনা বলা হচ্ছে পৃথিবীর সব চাইতে মূল্যবান ধাতু প্লাটিনাম । যা মাত্র ১ গ্রাম এর দাম কয়েক ট্রিটিলিয়ন ডলার ।

Q6. পর্যায় সারণিতে ধাতু কয়টি

Ans – পর্যায় সারণি হচ্ছে বিভিন্ন মৌলিক পদার্থকে একত্রে উপস্থাপনের একটি আন্তর্জাতিক ভাবে গৃহীত ছক। আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলসমূহকে তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে, ধর্মাবলী বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে ও পর্যায়ে বিভক্ত করে মৌলসমূহের পারমাণবিক সংখ্যার ক্রমানুসারে পর্যায় সারণিতে সাজানো হয়েছে।

পর্যায় সারণিতে মোট ১১৮টি মৌল রয়েছে। এতে ২০টি অধাতু ও ৯১টি ধাতু এবং ৭টি অপধাতু রয়েছে।

Q7. সবচেয়ে নরম ধাতু কোনটি

Ans – লিথিয়াম হলো নরম, রূপালি-সাদা ক্ষার ধাতু। পর্যায় সারণীতে এর অবস্থান ১ নং গ্রুপে। আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে লিথিয়াম সবচেয়ে হালকা কঠিন পদার্থ ও সবচেয়ে হালকা ধাতু।

Q8. পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ধাতু কোনটি

Ans – ভূত্বকের উপাদানগুলোর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ধাতুটির পরিমান সবচেয়ে বেশি প্রায় ৮.১%
সিলিকনের বিষয়টা হলো এটি ধাতুকল্প অর্থাৎ ধাতু ও অধাতু উভয়ের মাঝামাঝি বা উভয়ের ধর্মই প্রকাশ করে।
ধাতু হিসেবে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমানই তাহলে সবচেয়ে বেশি বলা চলে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।