মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল দশম শ্রেণি পাঠ 2

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল দশম শ্রেণি পাঠ 3

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল দশম শ্রেণি পাঠ 2

পানি সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের জন্য ঐতিহ্যবাহী বৃষ্টির পানি সংগ্রহের পদ্ধতির আধুনিক অভিযোজন কীভাবে করা হচ্ছে তা বর্ণনা করুন।

উত্তর:

আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশগতভাবে জল সংগ্রহের ব্যবস্থা একটি কার্যকর বিকল্প। প্রাচীন ভারতে, অত্যাধুনিক হাইড্রোলিক কাঠামোর সাথে, জল সংগ্রহের ব্যবস্থার একটি অসাধারণ ঐতিহ্য ছিল। বৃষ্টিপাতের নিয়মাবলী এবং মাটির ধরন সম্পর্কে মানুষের গভীর জ্ঞান ছিল এবং স্থানীয় পরিবেশগত অবস্থা এবং তাদের জলের চাহিদার সাথে মিল রেখে বৃষ্টির জল, ভূগর্ভস্থ জল, নদীর জল এবং বন্যার জল সংগ্রহের জন্য বিস্তৃত কৌশলগুলি তৈরি করেছিল।

পাহাড়ি এবং পার্বত্য অঞ্চলে, লোকেরা কৃষিকাজের জন্য পশ্চিম হিমালয়ের ‘গুল’ বা ‘কুল’-এর মতো ডাইভারশন চ্যানেল তৈরি করেছিল। বিশেষ করে রাজস্থানে পানীয় জল সঞ্চয় করার জন্য সাধারণত ‘রুফটপ রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ প্রচলিত ছিল।

বাংলার বন্যা সমভূমিতে, লোকেরা তাদের ক্ষেতে সেচ দেওয়ার জন্য প্লাবন চ্যানেল তৈরি করেছিল। শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক অঞ্চলে, কৃষিক্ষেত্রগুলিকে বৃষ্টি-নির্ভর স্টোরেজ কাঠামোতে রূপান্তরিত করা হয়েছিল যা জলকে দাঁড়াতে এবং মাটিকে আর্দ্র করতে দেয় যেমন জয়সালমেরের ‘খাদিন’ এবং রাজস্থানের অন্যান্য অংশে ‘জোহাদ’।

কর্ণাটকের মাইসুরুর একটি প্রত্যন্ত পশ্চাদপদ গ্রাম গেন্ডাথুরে, গ্রামবাসীরা তাদের বাড়ির ছাদে, তাদের জলের চাহিদা মেটাতে বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। প্রায় 200টি পরিবার এই ব্যবস্থা স্থাপন করেছে এবং গ্রামটি বৃষ্টির জলে সমৃদ্ধ হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেছে। মেঘালয়ের শিলং-এ ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা সবচেয়ে সাধারণ অনুশীলন।

এটি আকর্ষণীয় কারণ চেরাপুঞ্জি এবং মাওসিনরাম 55 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শিলং থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়। তবুও, রাজ্যের রাজধানী শিলং পানির তীব্র সংকটের সম্মুখীন। শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহের কাঠামো রয়েছে৷

পরিবারের মোট জলের চাহিদার প্রায় 15-25 শতাংশ আসে ছাদে জল সংগ্রহ থেকে৷ তামিলনাড়ু হল ভারতের প্রথম রাজ্য যেটি রাজ্য জুড়ে সমস্ত বাড়ির ছাদে বৃষ্টির জল সংগ্রহের কাঠামো বাধ্যতামূলক করেছে ৷

ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট ২য় অধ্যায়, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল দশম শ্রেণি পাঠ 2

বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর কোনটি

মেসোস্ফিয়ার হল শীতলতম বায়ুমণ্ডলীয় স্তর ।

বায়ুমণ্ডলের স্তর, বায়ুমণ্ডলের, বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর কোনটি

ট্রপোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। বায়ু খুব ভালভাবে মিশ্রিত হয় এবং উচ্চতার সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়।

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসাবে

কোনো স্থানের উষ্ণতা বলতে সেই স্থানের বায়ুমন্ডলের উষ্ণতাকে বোঝায়। বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস সূর্য। সূর্যরশ্মি সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে তেমন উত্তপ্ত করতে পারে না। সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠ প্রথমে উত্তপ্ত হয় এবং ওই উষ্ণ ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরনের ফলেই বায়ুমন্ডল পরোক্ষ ভাবে উত্তপ্ত হয়। বায়ু প্রধানত বিকিরন, পরিবহন, পরিচলন ও তাপশোষণ পদ্ধতিতে উষ্ণ হয়। গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটারের সাহায্যে বায়ুর উষ্ণতা মাপা হয়। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সমান নয় ও কোথাও কম আবার কোথাও বেশি, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের কারণ গুলি হল –

  • (ক) সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলঃ সূর্য থেকে যে শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তাকে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে। এই শক্তির শতকরা ৩৪ ভাগ বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে মহাশূন্যে প্রতিফলিত বা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে। সূর্য থেকে আগত অবশিষ্ট ৬৬% ভাগ শক্তি ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠকে প্রথমে উত্তপ্ত করে, পরে উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘতরঙ্গ রূপে তাপ বিকিরনের ফলে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি তা শোষন করে ধীরে ধীরে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তোলে। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের তারতম্যে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্য ঘটে।
  • (খ) অক্ষাংশঃ পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি, পৃথিবীর বার্ষিক গতি, কক্ষতলের সাথে পৃথিবীর মেরুরেখার সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি কোণে হেলানো অবস্থান প্রভৃতি কারণে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিনে দুই মেরুর দিকে সূর্যরশ্মি ক্রমশ তির্যক ভাবে পড়ে এবং কর্কটক্রান্তিরেখার থেকে মকরক্রান্তিরেখার মধ্যে কোনো না কোনো স্থানে মধ্যাহ্ন সূর্য রশ্মি লম্বভাবে পড়ে। লম্ব ভাবে পতিত সূর্যরস্মিতে উত্তাপের পরিমান বেশি হয় এবং তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমান কম হয়। সাধারন ভাবে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিনে প্রতি ডিগ্রি অক্ষাংশের তফাতে ০.২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে তাপ কমে যায়।
  • (গ) দিনের পরিমানঃ পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি হয় ও ঋতু পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে উষ্ণতার তারতম্য ঘটতে দেখা যায়। দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে কোনো স্থানের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়, আবার রাত্রির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে ওই স্থানের শীতলতা বৃদ্ধি পায়। এই কারণে গ্রীষ্মকালে দিন বড়ো হয় বলে উত্তাপের পরিমান বেশি হয় এবং শীতকালে দিন ছোটো হয় বলে উত্তাপের পরিমান হ্রাস পায়।
  • (ঘ) ভূমির উচ্চতাঃ ট্রপোস্ফিয়ারে সমুদ্রতল থেকে যতই ওপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা ততই হ্রাস পেতে থাকে। এই কারণে কলকাতার তুলনায় দার্জিলিং এবং দিল্লির তুলনায় সিমলার উষ্ণতা অনেক কম হয়।
  • (ঙ) পর্বতের অবস্থানঃ বায়ুর গতিপথে পর্বত বা উঁচুভূমি আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করলে বায়ুপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। উষ্ণ বায়ু ও শীতল বায়ু এই ভাবে বাঁধা প্রাপ্ত হলে পর্বতের উভয় দিকে উষ্ণতার পার্থক্য দেখা যায়।
  • (চ) ভূমির ঢালঃ উত্তর গোলার্ধে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পর্বতগুলির উত্তর ঢাল অপেক্ষা দক্ষিণ ঢালে সূর্যরশ্মি বেশি লম্ব ভাবে পড়ে। ফলে দক্ষিণ ঢালের উষ্ণতা বেশি হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়।
  • (ছ) সমুদ্র থেকে দূরত্বঃ যে স্থান সমুদ্র থেকে যত দূরে অবস্থিত সেখানে সমুদ্রের প্রভাব পড়ে না বলে শীত ও গরম উভয়ই খুব বেশি হয়, অর্থাৎ জলবায়ুর চরমভাব দেখা যায়। কিন্তু সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে উষ্ণতার পরিমান কখনোই খুব বেশি বা খুব কম হয় না।
  • (জ) সমুদ্রস্রোতঃ সমুদ্রস্রোত বায়ুর উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রন করে। উষ্ণ স্রোতের দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং শীতল স্রোতের দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলে উষ্ণতা হ্রাস পায়।
  • (ঝ) বায়ুপ্রবাহঃ উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং শীতল বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে উষ্ণতা হ্রাস পায়।
  • (ঞ) মেঘের আবরনঃ আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে দিনের বেলায় ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যায় ও রাতের বেলাআয় তাপ বিকিরনের ফলে উষ্ণতা হ্রাস পায়। এই জন্য মরু অঞ্চলে দিন ও রাত্রির উষ্ণতার মধ্যে এতো পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে সৌররশ্মি ভূপৃষ্ঠে তেমন পৌছাতে পারে না বলে দিনের বেলা উত্তাপ কমে এবং রাতের বেলা এই মেঘ ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে বাঁধা দেয় বলে উত্তাপ বাড়ে। এই জন্য মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি বেশি উষ্ণ হয়।
  • (ট) বনভূমির অবস্থানঃ ভূপৃষ্ঠে ঘন বনভূমি অবস্থান করলে তা মাটির অভ্যন্তরে জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাটি আর্দ্র থাকে। ঘন বনভূমির জন্য সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠকে বেশি উত্তপ্ত করতে পারে না এবং ভূপৃষ্ঠও খুব তাড়াতাড়ি তাপ বিকিরন করে শীতল হতে পারে না। আবার বনভূমি বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে বায়ুর উষ্ণতা স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হ্রাস পায়।

বায়ুমণ্ডলের স্তর কয়টি

উত্তর: উষ্ণতা তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বায়ুমণ্ডল কে ছটি স্তরে ভাগ করা হয় যেগুলি হলো

  • ট্রপোস্ফিয়ার
  • স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
  • মেসোস্ফিয়ার
  • থার্মোস্ফিয়ার
  • এক্সোস্ফিয়ার
  • এবং ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।

বায়ুমণ্ডলের স্তর গুলির মধ্যে কোনটি তে চাপ সবথেকে বেশি

বায়ুমণ্ডলে স্তরগুলোর মধ্যে ট্রপোস্ফিয়ারে চাপ সবথেকে বেশি |

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বলতে পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে বোঝায়, যা পৃথিবী তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে। একে আবহমণ্ডল-ও বলা হয়।

সাধারণত বায়ুমন্ডলের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ু চাপ এবং ঘনত্ব হ্রাস পায়।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পাঁচটি প্রধান স্তরে (একে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরবিন্যাস বলা হয়) ভাগ করা যায়।
ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ১১-১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ট্রপোবিরতি পর্যন্ত বিস্তৃত,যদিও এই উচ্চতার তারতম্য ঘটে আবহাওয়ার কারণে |

বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদানের প্রায় ৭৬% এবং সমস্ত প্রকার জলীয় বাষ্প ও ধূলিকণা এই স্তরেই দেখতে পাওয়া যায়। মেঘ, বৃষ্টি, বজ্রপাত, ঝড়, শিশির, কুয়াশা সহ সমস্ত প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই স্তরেই দেখা যায় বলে একে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে।

বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস এর চিত্র, বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস এর ছবি

বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস এর চিত্র

বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়

বায়ুমন্ডলের এক্সোস্ফিয়ার অন্তর্গত আয়োনেস্ফিয়ার স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়।

বায়ুমণ্ডলের অ্যারোসল এর গুরুত্ব নিরূপণ করো

আমরা যে আকাশকে নীল দেখি তা বাতাসে এত পরিমান ধূলিকণা বা অ্যারোসল আছে বলেই তাকে আমরা নীল রঙের দেখতে পারি। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা কে আশ্রয় করেই জলীয়বাষ্প জল বিন্দুতে পরিণত হয় এবং মেঘ ও কুয়াশা সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডলের যদি এরোসল না থাকতো তাহলে সূর্যের আলো বিচ্ছুরিত হতো না।

বাতাসের ভাস্য মান সূক্ষ সূক্ষ বালুকণা,লবণ কনা, ধূলিকণা, নিঃসৃত কার্বন কণা কে একত্রে অ্যারোসল বলে। বায়ুমণ্ডলে অ্যারোসলের গুরুত্ব গুলি হল-

  • আলোক বিচ্ছুরণ – বায়ুতে থাকা ধূলিকণা সহ অ্যারোসলে সূর্য রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়। বিকিরিত তাপ শক্তিকে অ্যারোসল কণাগুলি শোষণ করে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার এই বিচ্ছুরনের কারনেই আকাশ নীল রঙের দেখায়।এর কারনেই গোধূলি ও ঊষা দেখা যায় ।
  • মেঘ সৃষ্টি – বায়ুর ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয় বাষ্প ভেসে থাকে ও মেঘ সৃষ্টি হয় যা থেকে অধঃক্ষেপন হয়। কুয়াশা, শিলা বৃষ্টির কারণও এই অ্যারোসল।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১

FAQ | উষ্ণতা

Q1. উষ্ণতা কাকে বলে

Ans – উষ্ণতা হল একটি পদার্থের তাপমাত্রা বা তাপগতিক অবস্থা যা তার অণুগুলির আন্তরিক কর্মকে প্রভাবিত করে। উষ্ণতা একক হিসেবে বর্ণিত হয় সেলসিয়াস বা ফারেনহাইটে। সেলসিয়াসে উষ্ণতার একক সন্দর্ভে জলের জম্মজম্মাট তাপমাত্রা হল ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং তাপমাত্রা এককটি একটি ফারেনহাইটের একটি একটি সমতুল্য।

Q2. বৈপরীত্য উষ্ণতা কাকে বলে

Ans – আমরা জানি উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায় । যদি কোন কোন কারণে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস না পেয়ে বৃদ্ধি পায় । তাহলে তাকে বৈপরীত্য উত্তাপ বলে।

Q3. পরম শূন্য উষ্ণতা কাকে বলে

Ans – চার্লসের সূত্রানুযায়ী, স্থির চাপে -273°C উষ্ণতায় যে-কোনো গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যাবে। এই উষ্ণতাকে পরম শূন্য উষ্ণতা বা Absolute zero temperature বলা হয়।

সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করলে পরম শূন্য উষ্ণতার মান হয় -273.15°C। ফারেনহাইট স্কেলে পরম শূন্য উষ্ণতার মান -459.4°F। যদিও বাস্তবে এরূপ ঘটে না কারণ এই উষ্ণতায় পৌঁছানোর অনেক আগেই গ্যাস তরলে পরিণত হয়, আর তরলের ক্ষেত্রে চার্লসের সূত্র প্রযোজ্য হয় না।

Q4. কোন উষ্ণতায় জলের ঘনত্ব সর্বাধিক

Ans – সাধারণত কোন তরলকে উত্তপ্ত করলে তার আয়তন বাড়ে এবং ঘনত্ব কমে। কিন্তু জলের ক্ষেত্রে উষ্ণতার একটি নির্দিষ্ট পাল্লায় এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায়। কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ জলকে 0°C থেকে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত করলে দেখা যায় যে 4°C উষ্ণতা পর্যন্ত জলের আয়তন না বেড়ে কমতে থাকে। এরপর উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য তরলের মতো জলে আয়তন প্রসারণ ঘটে এবং জলের ঘনত্ব কমে। অর্থাৎ 4 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় জলের আয়তন সবচেয়ে কম এবং ঘনত্ব সর্বাধিক হয়।

Q5. বায়ুর উষ্ণতা মাপার যন্ত্রের নাম কি

Ans – বায়ুর উষ্ণতা মাপার যন্ত্রের নাম ব্যারোমিটার।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।