ছায়াপথ কাকে বলে, গ্যালাক্সি ও ছায়াপথ কি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

ছায়াপথ কাকে বলে উদাহরণ দাও

রাতের অন্ধকার আকাশে উত্তর-দক্ষিণে উজ্জ্বল দীপ্ত দীর্ঘপথের মত যে তারকারাশি দেখা যায় তাকে ছায়াপথ বলে। ছায়াপথ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি। কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে সূর্যও এ ছায়াপথে অবস্থান করছে।

রাতের অন্ধকার আকাশে উত্তর দক্ষিণে উজ্জ্বল দীপ্ত দীর্ঘ পথের মত যে তারকারাশি দেখা যায় তাকে ছায়া পথ বলে। ছায়া পথে লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি। কোটি কোটি নক্ষত্রের মধ্যে সূর্যও এ ছায়াপথে অবস্থান করছে।

অন্ধকার রাতে পরিষ্কার আকাশে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর দিকে তাকালে আকাশে সাদা মেঘের মতো বিস্তীর্ণ এলাকা দেখা যায়, যা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে, একে ছায়াপথ বলে। ছায়াপথ আসলে লক্ষকোটি নক্ষত্র ও তাদের গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে গঠিত।

কয়েকটি ছায়াপথের নাম

  • মিল্কি ওয়ে (পৃথিবীর নিজস্ব ছায়াপথ): দূরত্ব ০.০২৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • স্যাজিটারিয়াস ড্রফ স্ফিরোইডাল গ্যালাক্সি: দূরত্ব ০.০৮১ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • আরসা মেজর ২ ড্রফ: দূরত্ব ০.০৯৮ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • লার্জ ম্যাজেলানিক ক্লাউড (এলএমসি): দূরত্ব ০.১৬৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • বুটেস ১ : দূরত্ব ০.১৯৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • স্মল ম্যাজেলানিক ক্লাউড (এসএমসি, এনজিসি ২৯২): দূরত্ব ০.২০৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।
  • আরসা মাইনর ড্রফ : দূরত্ব ০.২০৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ।

ছায়াপথ কত প্রকার

পারমাণবিক ফিউশন বিক্রিয়ার ফলে গ্যাসীয় গোলকগুলো শক্তি নিঃসরণ করে নক্ষত্রে পরিণত হয়। আর এই গ্যাসীয় গোলকগুলোর কতটুকু পদার্থ নক্ষত্রে পরিণত হতে পারল এর ওপর ভিত্তি করে ছায়াপথগুলোর আকারও বিভিন্ন হয়েছে। 

তাদের আকৃতি অনুসারে, ছায়াপথগুলিকে 3টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:

  • উপবৃত্তাকার ছায়াপথ (শ্রেণী E)
  • সর্পিল ছায়াপথ (শ্রেণী S)
  • অনিয়মিত ছায়াপথ (শ্রেণী I)

গ্যালাক্সি ও ছায়াপথ কি, ছায়াপথ কি

পৃথিবীসহ আরো আটটি গ্রহ নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ। কয়েকটি গ্রহ ও সূর্য নিয়ে যেমন এই সৌরজগতের একটি নক্ষত্রব্যবস্থা, তেমনি এ রকম অসংখ্য নক্ষত্রব্যবস্থা নিয়ে গঠিত হয় ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি। সৌরজগতের গ্রহগুলো যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরতে থাকে, তেমনি ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোও আপন আপন কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণায়মান। এই ছায়াপথগুলো আবার বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে।

একটি ছায়াপথে প্রায় ১০ মিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন পর্যন্ত তারকা থাকে। ছায়াপথের ৯০ শতাংশ ভরের জন্য দায়ী করা হয় অদৃশ্য এক ধরনের বস্তুকে, যদিও এদের অস্তিত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

অসংখ্য ছায়াপথের মধ্যে আমাদের সৌরজগৎ হচ্ছে আকাশ গঙ্গা বা মিল্কি ওয়ের সদস্য। অন্ধকার রাতে মেঘমুক্ত, চাঁদহীন আকাশের দিকে তাকালে এক দিগন্ত থেকে আরেক দিগন্তে আলোর এক অস্পষ্ট কুয়াশার মতো ধারা দেখা যায়। এটিই হলো গরষশু ডধু।

এই ছায়াপথের নামকরণ গ্রিক পুরাণ থেকে হয়েছিল বলে মনে করা হয়। গ্রিক পুরাণ মতে, দেবী জুনো যখন শিশু হারকিউলিসকে দুধ পান করাচ্ছিলেন, তখন সামান্য দুধ ছিটকে পড়ে এই ধারার সৃষ্টি হয় বলে এর নাম গরষশু ডধু। এই ছায়াপথের ব্যাস প্রায় ৯০ হাজার আলোকবর্ষ। আর সূর্য থেকে এর কেন্দ্রের দূরত্ব ৮৫ লাখ আলোকবর্ষ। এই ছায়াপথে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্র আছে। এটি কিছুটা সর্পিল আকৃতির। এর দৃশ্যমান বস্তুগুলোর মধ্যে ৮৭-৯০% হাইড্রোজেন, ১০% হিলিয়াম, ০-৩% ভারী মৌল।

আমাদের এই পৃথিবীর চারদিকে দিগন্তবিস্তৃত মহাকাশ এত বিশাল যে এর সীমা-পরিসীমা সম্পর্কে কোনো ধারণাই করা যায় না। চাঁদ, সূর্য পৃথিবী, অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ ও নানা বস্তু নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ। এই বিশাল সৌরজগৎ মহাবিশ্বের একটি সদস্য মাত্র। সূর্যের মতো অনেক নক্ষত্র মিলে যে বিশাল এক একটি সমাবেশ, তাকে বলে গ্যালাক্সি।

আমাদের সৌরজগৎ যে গ্যালাক্সির সদস্য, তার নাম ছায়াপথ। প্রতিটি গ্যালাক্সিতে রয়েছে আবার কোটি কোটি নক্ষত্র। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, মহাকাশে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে এমন অসংখ্য গ্যালাক্সি রয়েছে, যেগুলো থেকে পৃথিবী সৃষ্টির পর কয়েক শ কোটি বছরেও এখন পর্যন্ত আলো এসে পৌঁছায়নি। এসব গ্যালাক্সি ও এদের মধ্যবর্তী স্থান মিলে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব। আমাদের সৌরজগৎ এ মহাবিশ্বের তুলনায় একটি বিন্দুর মতো।

ছায়াপথের ছবি

আকাশগঙ্গা ছায়াপথ

আকাশগঙ্গা একটি ছায়াপথ। সৌরজগতের কেন্দ্র সূর্য এই ছায়াপথের অংশ। অর্থাৎ আমরা থাকি এই ছায়াপথে। সূর্য এবং তার সৌরজগতের অবস্থান এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৭০০০ আলোকবর্ষ দূরে । আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কালপুরুষ বাহুতে। এটি একটি দন্ডযুক্ত সর্পিলাকার ছায়াপথ, যা স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির একটি সদস্য।

আকাশগঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক উপগ্রহ ছায়াপথ এবং নিকটস্থ ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডাও এই সমষ্টির সদস্য। স্থানীয় সমষ্টি আবার কন্যা মহাছায়াপথস্তবকের অংশ । কন্যা ছায়াপথস্তবক আবার ল্যানিয়াকেয়া মহাছায়াপথস্তবকের মধ্যস্থ অনেকগুলি মহাছায়াপথস্তবকের একটি।

কতগুলো গ্রহ-উপগ্রহ ও সূর্যকে নিয়ে যেমন একটি নক্ষত্রব্যবস্থা বা সৌরজগৎ গঠিত হয়, তেমনি এরকম অসংখ্য নক্ষত্রব্যবস্থা নিয়ে গঠিত হয় একটি ছায়াপথ বা গ্যালাক্সি।সূর্য যেমন পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহের আবাসস্থল ঠিক তেমনি গ্যালাক্সিগুলো হল নক্ষত্রদের আবাসস্থল।

গ্রহগুলো যেমন সূর্যকে ঘিরে অবিরাম পাক খাচ্ছে,নক্ষত্রগুলোও ছায়াপথে তাদের আপন কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণায়মান।আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে হল এই রকম একটি ছায়াপথ।আর আমাদের সূর্য হল এই ছায়াপথের একটি সদস্য নক্ষত্র।

আকাশগঙ্গার কেন্দ্র রেডিও তরঙ্গের একটি প্রবল উৎস এবং একটি অতিভারবিশিষ্ট কৃষ্ণগহ্বর, যার নাম Sagittarius A.

চাঁদহীন অন্ধকার রাতে মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে (বিশেষ করে শরৎ কালে,কারন এ সময় রাতের আকাশ পরিস্কার থাকে) অসংখ্য তারার এক মনমুগ্ধকর সমাহার দেখা যায়। শহরের আকাশে ধুলাবালির পুরু স্তর থাকায় গ্রামে অথবা মফঃস্বলে গেলে ব্যপারটা ভাল করে বোঝা যায়। যাহোক, এরকম অন্ধকার রাতের তারাখচিত আকাশে লক্ষ করলে দেখা যাবে আকাশের মধ্য দিয়ে এক দিগন্ত থেকে আরেক দিগন্তে আলোর এক সুরু অস্পষ্ট কুয়াশার মত ধারা চলে গেছে। এটিই হল মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ।

এই ছায়াপথটির আবার কতগুলো সুন্দর নাম আছে। যেমন -সুর গঙ্গা বা স্বর্গ গঙ্গা। গ্রিক পুরান মতে,দেবী জুনো যখন শিশু হারকিউলিক্স কে স্তন্য পান করাচ্ছিলেন তখন জুনোর বুক থেকে ছিটকে পরা দুধ থেকেই এই ধারার জন্ম। তাই এর নাম হয়েছে via lactea আর ইংরেজিতে বলে milky way।

আমরা যে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে বাস করছি তার ব্যাস ৯০০০০ আলোকবর্ষ (আলো এক বৎসরে যে পরিমান পথ চলে তাকে আলোকবর্ষ বলে)। আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩০০০০০ কিঃ মিঃ। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা বিশাল এই ছায়াপথ। আর এর কেন্দ্র থেকে আমাদের সূর্যের দূরত্ব ৮.৫ কিলোপারসেক(৩.২৬ আলোকবর্ষ=১ পারসেক & ১০০০ পারসেক=১ কিলোপারসেক)।

ছায়াপথটি sb শ্রেণির। এটিতে নক্ষত্রের সংখ্যা প্রায় ১০০বিলিয়ন। এর মোট দৃশ্যমান বস্তুর ভর প্রায় ২০০০০০০০০০০০ সৌরভরের সমান। যার মধ্যে ৮৭-৯০% হাইড্রোজেন ১০% হিলিয়াম,০-৩% ভারি মৌল। ছায়াপথটির আকার সর্পিল। মোটামুটি এই হল আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ।

আকাশগঙ্গার বয়স নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। এই ছায়াপথের সবচেয়ে প্রাচীন নক্ষত্র হল HE 1523-0901, যার বয়স প্রায় ১৩.২ বিলিয়ন বছর, প্রায় মহাবিশ্বের বয়সের সমান। ধারণা করা হয়, আকাশগঙ্গার সুচনা হয়েছে প্রায় ৬.৫ থেকে ১০.১ বিলিয়ন বছর আগে।

ছায়াপথ ও গ্যালাক্সির পার্থক্য

ছায়াপথ ও গ্যালাক্সির মধ্যে পার্থক্য নেই। দুটোই একই। ছায়াপথ শব্দটি ইংরেজি Galaxy শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে বাংলায় ব্যবহৃত হয়। Galaxy শব্দটি গ্রিক γαλαξίας (গালাক্সিয়াস ) শব্দ থেকে উদ্ভূত। আমাদের সৌরজগত যে ছায়াপথে অবস্থিত তার গ্রিক নাম দেয়া হয়েছিল γαλαξίας যার অর্থ kyklos galaktikos বা “দুধালো বৃত্তপথ” (Milky circle)। পরবর্তীকালে এই নামটিকেই ছায়াপথের সাধারণ নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

পৃথিবীসহ আরো আটটি গ্রহ নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ। কয়েকটি গ্রহ ও সূর্য নিয়ে যেমন এই সৌরজগতের একটি নক্ষত্রব্যবস্থা, তেমনি এ রকম অসংখ্য নক্ষত্রব্যবস্থা নিয়ে গঠিত হয় ছায়াপথ। সৌরজগতের গ্রহগুলো যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরাম ঘুরতে থাকে, তেমনি ছায়াপথের নক্ষত্রগুলোও আপন আপন কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণায়মান। এই ছায়াপথগুলো আবার বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। কোনোটি উপবৃত্তাকার, কোনোটি কুণ্ডলাকার আবার কতগুলো সর্পিলাকার।

ধারণা করা হয়, মহাবিশ্ব সৃষ্টির দুই থেকে তিন বিলিয়ন বছর পর বেশির ভাগ ছায়াপথ একই সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছিল। মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রথম তিন মিনিটে উৎপন্ন হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম মেঘ এসব ছায়াপথের গঠন উপাদান। এই মেঘ মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শত বিলিয়ন গোলাকৃতির গ্যাসীয় থলি ঘনতর হয়।

নীহারিকা কি

Interstellar medium গুলো যখন মহাআকর্ষণ সংবদ্ধ দের মধ্যে দিয়ে যায় তখন নীহারিকা গঠিত হয় ।মহাআকর্ষনীও সংবদ্ধ হচ্ছে এমন একটা অবস্থা যখন Interstellar medium গুলো নিজেদের আকর্ষণ বলের প্রভাবে পরস্পর এক হয় । এ প্রক্রিয়াতে নক্ষত্র গঠিত হয় আমাদের ছায়াপথ কালপুরূষ নীহারিকা এমন একটা উদাহরণ ।

বেশিভাগ নীহারিকা অবিশ্বাশ রকমের বড় হয়।এদের ব্যাস হয় কয়ক এক আলোবষ থেকে কয়ক এক হাজার আলোবষ সমান।

নীহারিকা কত প্রকার

নীহারিকা প্রধান ধরনের হল:

  • নির্গমন নীহারিকা,
  • প্রতিফলন নীহারিকা,
  • অন্ধকার নীহারিকা,
  • গ্রহের নীহারিকা

ছায়াপথ ও নীহারিকার মধ্যে তিনটি পার্থক্য

আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যমের ঘন অঞ্চলগুলিকে আশেপাশের অঞ্চল থেকে আলাদা করা যায় নীহারিকা নামে পরিচিত। গ্যালাক্সি হল তারার বড় কাঠামো এবং তারার ক্লাস্টার যা মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা সীমাবদ্ধ। এগুলিতে আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যমও রয়েছে, যা নীহারিকাকে জন্ম দেয়।

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১

ওয়ার্ল্ড & ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফি (বাঙ্গালী) ভোল-১

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | ছায়াপথ

Q1. আমাদের ছায়াপথের নাম কি, পৃথিবী কোন ছায়াপথে অবস্থিত

Ans – পৃথিবী আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি অংশে অবস্থিত।

Q2. সূর্য কোন ছায়াপথে অবস্থিত

Ans – সূর্য মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথে অবস্থিত।

Q3. আকাশগঙ্গা ছায়াপথের আকৃতি কেমন

Ans – আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সি এবং অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি (M31) হল সর্পিল ছায়াপথ। তাদের মৌলিক গঠনে তাদের একটি নিউক্লিয়াস, একটি ডিস্ক, একটি হ্যালো এবং সর্পিল বাহু রয়েছে।

Q4. ছায়াপথের অপর নাম কী

Ans – ছায়াপথের অপর নাম হল আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে (Milky Way) অথবা গ্যালাক্সি।

Q5. ছায়াপথ কোন আকাশে দেখা যায়

Ans – মেঘহীন পরিষ্কার অমাবস্যার রাতে আকাশ জুড়ে একটা রঙিন রেখা দেখতে পাবেন। যেন আকাশে কেউ দুধ(মিল্ক) ঢেলে দিয়েছে। ওটাই ছায়াপথ।
তবে প্রকৃতপক্ষে ওটা ছায়াপথের একটা অংশ মাত্র। পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ ছায়াপথ দেখা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ পৃথিবী নিজেই এর অন্তর্ভুক্ত।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।