শক্তি কাকে বলে, প্রচলিত শক্তি কাকে বলে, অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

শক্তি কাকে বলে

কোন ব্যক্তি, বস্তু বা পদার্থের কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। একে সাধারণত E দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বস্তু সর্বমোট যতখানি কাজ করতে পারে তা-ই হচ্ছে বস্তুর শক্তির পরিমাণ। অর্থাৎ শক্তির পরিমাণ = বস্তু দ্বারা কৃত কাজের পরিমাণ = বল × বলের দিকে বস্তুর সরণের উপাংশ।

যার কাজ করার সামর্থ্য যত বেশি তার শক্তিও তত বেশি। শক্তি একটি অদিক বা স্কেলার রাশি।
একক: শক্তির একক জুল (J)।

শক্তির রূপান্তর | Transformation of Energy

এই মহাবিশ্ব জুড়ে শক্তি বিভিন্ন রূপে বিরাজিত। বিভিন্ন প্রকার শক্তি পরস্পরের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। এক শক্তিকে অন্য শক্তিতে রূপান্তর সম্ভব এবং এর নামই শক্তির রূপান্তর (Transformation of energy)।

শক্তি রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • (১) পানি উচ্চ স্থান হতে নিম্ন স্থানে প্রবাহিত হয়। উচ্চ স্থানে থাকার সময় তার শক্তি স্থিতিশক্তি। নিম্ন স্থানে প্রবাহিত হবার সময় স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তির সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। অর্থাৎ যান্ত্রিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (২) বিদ্যুৎ শক্তি যখন বৈদ্যুতিক বাতির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন আমরা আলো পাই। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৩) বৈদ্যুতিক ইস্ত্রিতে তড়িৎ বা বিদ্যুৎ চালনা করে তাপ উৎপন্ন করা হয়। এই তাপের সাহায্যে কাপড় চোপড় ইস্ত্রি করা হয়। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তিতে এবং তাপ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • বৈদ্যুতিক পাখার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে পাখা ঘুরতে থাকে। এ স্থলেও বৈদ্যুতিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৪) একটি কাঁচা লোহার উপর অন্তরীত (insulated) তামার তার জড়িয়ে বিদ্যুৎ চালনা করলে লোহার পাতটি চুম্বকে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি চুম্বক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৫) ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, রুবিডিয়াম প্রভৃতি ধাতুর উপর আলো পড়লে ইলেকট্রন নির্গত হতে দেখা যায়। ফটো-ইলেকট্রিক কোষ এই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এরূপ একটি কোষে আলো ফেলে বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আলোক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৬) দুই হাতের তালু পরস্পরের সাথে ঘষলে তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৭) ফটোগ্রাফিক ফিল্মের উপর আলোক সম্পাত করে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে আলোক চিত্র তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৮) ওষুধের কারখানায় শ্রবণোত্তর বা শব্দোত্তর তরঙ্গের সাহায্যে জীবাণু ধ্বংস করা হয় এবং কপূরকে পানিতে দ্রবণীয় করা হয়। এ ছাড়া শব্দোত্তর তরঙ্গ দ্বারা বস্ত্রাদির ময়লাও পরিষ্কার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে শব্দ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (৯) আমরা জানি বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। টেলিফোনও বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। দুই ক্ষেত্রেই আমরা শব্দ শুনতে পাই। এস্থলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (১০) কয়লা পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে এটি ঘটে। এক্ষেত্রে রাসায়নিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।
  • (১১) বিদ্যুৎ কোষে রাসায়নিক দ্রব্যের বিক্রিয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক শক্তি তড়িৎ বা বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হলো।

শক্তি যখন একরূপ হতে অন্যরূপে পরিবর্তিত হয় তখন এর কোনো ঘাটতি বা বাড়তি ঘটে না। অর্থাৎ শক্তির বিনাশ ও সৃষ্টি উভয়ই অসম্ভব। যখন এক প্রকার শক্তি বিলুপ্ত হয় তখন তা অন্যরূপে আত্মপ্রকাশ করে। এর নাম শক্তির নিত্যতা বা শক্তির অবিনশ্বরতা (Conservation of Energy)।

শক্তির একক কি

কাজ কার্য করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। শক্তি হল কাজ করার ক্ষমতা।

একে সাধারণত E দ্বারা প্রকাশ করা হয়। বস্তু সর্বমোট যতখানি কাজ করতে পারে তা-ই হচ্ছে বস্তুর শক্তির পরিমাণ। অর্থাৎ শক্তির পরিমাণ = বস্তু দ্বারা কৃত কাজের পরিমাণ = বলের দিকে বস্তুর সরণের উপাংশ × বল ।

কাজের একক ও শক্তির একক অভিন্ন – জুল। ১ জুল = ১ নিউটনХ ১ মিটার। 

শক্তি কত প্রকার কি কি

শক্তিকে মোটামুটি ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  • যান্ত্রিক শক্তি (Mechanical Energy)
  • তাপশক্তি (Heat Energy)
  • শব্দ শক্তি (Sound Energy)
  • আলোক শক্তি (Light Energy)
  • চুম্বক শক্তি (Magnetic Energy)
  • বিদ্যুৎ শক্তি (Electrical Energy)
  • রাসায়নিক শক্তি (Chemical Energy)
  • পারমাণবিক শক্তি (Atomic Energy)

যান্ত্রিক শক্তি

যান্ত্রিক শক্তি হল সেই শক্তি যা একটি বস্তুর গতির কারণে বা তার অবস্থানের কারণে ধারণ করে।

তাপ শক্তি

তাপ শক্তি যা তাপমাত্রার পার্থক্যের ফলে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ, তাপ প্রবাহিত হয় উষ্ণতর শরীর থেকে ঠান্ডায়।

আলোক শক্তি

আলোক শক্তির জন্য সূর্যের আলো সবচেয়ে ভালো উদাহরণ।

পারমাণবিক শক্তি

প্রতিটি পরমাণুর মধ্যে যে শক্তি মজুত আছে তাই পরমাণু শক্তি। ফিউশন বা ফিশন প্রক্রিয়ায় পরমাণুশক্তি উৎপাদন করা যায়। পারমাণবিক শক্তি হল একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াস বা মূল অংশে থাকা শক্তি।

রাসায়নিক শক্তি

রাসায়নিক শক্তি রাসায়নিক যৌগের বন্ধনে সঞ্চিত শক্তি , যেমন পরমাণু এবং অণু। রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে এই শক্তি নির্গত হয়। সাধারণত, একবার কোনো পদার্থ থেকে রাসায়নিক শক্তি নিঃসৃত হলে সেই পদার্থটি সম্পূর্ণ নতুন পদার্থে রূপান্তরিত হয়।

সৌর শক্তি

সৌর শক্তি হল সূর্য থেকে আসা আলো এবং তাপ । মানুষ সূর্যের শক্তিকে কয়েকটি ভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারে: ফটোভোলটাইক কোষ, যা সূর্যালোককে বিদ্যুতে রূপান্তর করে।

শব্দ শক্তি

শব্দ শক্তি হল এক ধরণের শক্তি যা জীবিত জিনিসগুলি শুনতে পায়। শব্দ শক্তি যখন একটি শক্তি, হয় শব্দ বা চাপ, একটি বস্তু বা পদার্থ কম্পিত হয় ফলাফল. সেই শক্তি তরঙ্গে পদার্থের মধ্য দিয়ে চলে।

চৌম্বক শক্তি

প্রতিটি চৌম্বক ক্ষেত্রে শক্তি থাকে, যাকে চৌম্বক শক্তিও বলা হয়। যেহেতু একটি চৌম্বক ক্ষেত্র বৈদ্যুতিক স্রোত দ্বারা উত্পন্ন হয়, তাই চৌম্বক শক্তি হল চলন্ত চার্জ বাহক (ইলেকট্রন) এর একটি শক্তি রূপ ।

তড়িৎ শক্তি

বৈদ্যুতিক শক্তি হল বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণার চলাচলের ফলে প্রাপ্ত শক্তি।

শক্তির প্রধান উৎস কি

শক্তির প্রধান উৎস হল সূর্য।

শক্তির উৎস বলতে যে বস্তুর মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা নিহিত থাকে তাকেই শক্তির উৎস বলে। বর্তমান আধুনিক সভ্যতার গড়ে উঠার পেছনে মূল শক্তির উৎসই হলো বিদ্যুৎ শক্তি।

শক্তির নিত্যতা সূত্র

শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল এক রূপ থেকে অন্য এক বা একাধিক রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।”

উদাহরণসহ ব্যাখ্যাঃ একটি টেনিস বল উপরের দিকে ছুরে মারলে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠার পর বলটি আবার নিচে নামতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বলটি উপরে উঠতে থাকার সময় গতিশক্তি কমতে কমতে যখন শূন্য হয়ে যায় তখন বলটি আবার নিচের দিকে নামতে থাকে। নিচে নামার সময় ঐ বলে সঞ্চিত স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হতে থাকে।

এভাবে বলটি যখন মাটি স্পর্শ করে এবং স্থির হয় তখন তার সমস্ত গতিশক্তি, স্থিতিশক্তি, শব্দ, তাপ, আলোক ইত্যাদি শক্তিতে পরিণত হয়। এভাবেই শক্তি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হয়; কিন্তু যেকোনো নির্দিষ্ট সময়ের মোট শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে। এটাই হলো শক্তির নিত্যতা বা সংরক্ষণশীলতা।

শক্তির সমবিভাজন সূত্র, শক্তির সমবিভাজন নীতি ব্যাখ্যা করো

তাপীয় সাম্যে অবস্থিত কোনো গতীয় সংস্থার ক্ষেত্রে মোট শক্তি সবগুলো স্বাধীনতার মাত্রা বরাবর সমভাবে বিভাজিত বা বণ্টিত হয়।

পরম তাপমাত্রা T এবং বোল্টজম্যান ধ্রুবক k হলে, প্রত্যেকে স্বাধীনতার মাত্রা পিছু শক্তির পরিমাণ 1/2kT.

ব্যাখ্যাঃ গ্যাসের গতিতত্ত্ব অনুসারে তাপীয় সাম্যাবস্থায় প্রতিটি অণুর ক্ষেত্রে তিনটি অক্ষ X, Y ও Z বরাবর উপাংশ গতিবেগের গড় বর্গমান যথাক্রমে ū2, ̄v2 ও ̄w2 অভিন্ন।

প্রচলিত শক্তি কাকে বলে, প্রচলিত শক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও

যেসব শক্তির উৎস বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হয় , সেগুলিকে চিরাচরিত বা প্রচলিত শক্তির উৎস বলা হয়। আর এই সমস্ত শক্তির উৎস থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে প্রচলিত বা চিরাচরিত শক্তি বলে।

প্রচলিত শক্তির উদাহরণ, একটি প্রচলিত শক্তির নাম কি

উদাহরণ— (১) কয়লা , (২) খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস , (৩) খরস্রোতা নদী এবং (৪) ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় খনিজ। এই চারটি উৎস বর্তমানে শক্তি উৎপাদনের কাজে বেশি ব্যবহৃত হয় , তাই এগুলি চিরাচরিত বা প্রচলিত শক্তির উৎস।

প্রচলিত শক্তির ব্যবহারের সুবিধা

  1. দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হওয়ার ফলে চিরাচরিত শক্তির উৎস ব্যবহারের উপযোগী প্রযুক্তি সহজলভ্য।
  2. কোনো দেশে চিরাচরিত শক্তির উৎস না থাকলেও , পরিবহনযোগ্য বলে (জলপ্রবাহ ছাড়া) এগুলি অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ব্যবহার করা যায়।

প্রচলিত শক্তির ব্যবহারের অসুবিধা

  1. অধিকাংশ চিরাচরিত শক্তির উৎস ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়।
  2. অধিকাংশ চিরাচরিত শক্তির উৎস সঞ্চিত বা ক্ষয়িষ্ণু ( Fund or exhaustible ) হওয়ায় ব্যবহারের ফলে যে-কোনো সময়েই নিঃশেষিত হতে পারে।
  3. আহরণ এবং ব্যবহার বা বিকাশের জন্য প্রচুর মূলধন এবং উন্নত প্রকৌশলের প্রয়োজন হয়।
  4. এই কারণে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশগুলি চিরাচরিত শক্তি ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে। সুতরাং চিরাচরিত শক্তি উন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলির মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্যকে আরও প্রকট করে।
  5. বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশেই চিরাচরিত শক্তির উৎস বেশি আহৃত হয়।

প্রচলিত শক্তির উৎস

প্রচলিত শক্তির উৎস গুলি হল খনিজ তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি।

অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে, অপ্রচলিত শক্তি কাকে বলে উদাহরণ দাও

যে সব শক্তির উৎস বর্তমানে কম ব্যবহৃত হয় , সেগুলিকে অচিরাচরিত বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস বলে। আর এই সমস্ত শক্তির উৎস থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি বলে।

অপ্রচলিত শক্তির উদাহরণ, একটি অপ্রচলিত শক্তির নাম কি

উদাহরণ— (১) সৌরশক্তি , (২) বায়ুশক্তি , (৩) জোয়ার ভাটার শক্তি , (৪) সামুদ্রিক ঢেউয়ের শক্তি , (৫) ভূতাপ শক্তি , (৬) জৈব গ্যাস প্রভৃতি অচিরাচরিত বা অপ্রচলিত শক্তির উৎস।

অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা

অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের সুবিধা

  1. অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় না।
  2. ক্ষুদ্রাকারে ব্যবহার করা যায় বলে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।
  3. প্রবহমান সম্পদ ( Flow resource ) বলে নিঃশেষিত হওয়ার আশংকা থাকে না।
  4. দেশের অধিকাংশ জায়গায় কোনো না কোনো উৎস সহজলভ্য।

অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের অসুবিধা

  1. অপ্রচলিত বলে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহজলভ্য নয়।
  2. সর্বত্র সমান মাত্রায় পাওয়া যায় না। যেমন — সমুদ্রোপকূল ছাড়া অন্যত্র জোয়ার ভাটার শক্তি দুর্বল। হিমমণ্ডলে সৌরশক্তি পর্যাপ্ত নয় । বায়ুশক্তি সর্বত্র ব্যবহারোপযোগী নয়।
  3. অচিরাচরিত শক্তির উৎস এক দেশ থেকে অন্য দেশে পরিবহন করা যায় না।

অপ্রচলিত শক্তির উৎস কী, অপ্রচলিত শক্তির উৎস

অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি হল সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, ভূ তাপীয় শক্তি, জোয়ার ভাটার শক্তি, জৈব গ্যাস ইত্যাদি।

প্রচলিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য লেখ

কারণপ্রচলিত শক্তিঅপ্রচলিত
প্রকৃতিপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি গচ্ছিত, ক্ষয়িষ্ণু বা অপুণর্ভব সম্পদ।অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি অফুরন্ত বা প্রবাহমান সম্পদ।
পরিমাণ প্রচলিত শক্তির উৎস গুলির পরিমাণ সীমিত হওয়ায়, ব্যবহারের ফলে একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে।অপ্রচলিত শক্তি গুলির পরিমাণ অফুরন্ত যা কখনোই নিঃশেষ হবে না।
পরিবেশ দূষণপ্রচলিত শক্তি গুলি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়।অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারে কোন রকম পরিবেশ দূষিত হয় না বলে এগুলিকে পরিবেশ বান্ধব শক্তি বলে।
প্রযুক্তিপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি সহজলভ্য।অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি সহজলভ্য নয়।
মূলধনপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলি আরোহণ ও ব্যবহারের জন্য প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয়।অপ্রচলিত শক্তির উৎপাদনে প্রযুক্তি সহজলভ্য নয় বলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন পড়ে।
পরিবহন যোগ্যতাপ্রচলিত শক্তির অধিকাংশ উৎস গুলিকে স্থানান্তরিত করা যায়।অপ্রচলিত শক্তির উৎস গুলিকে স্থানান্তর করা যায় না।
প্রচলিত শক্তি ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য লেখ

বিভব শক্তি কাকে বলে

স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য অবস্থানে বা স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থায় আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বলে।

বিভব শক্তির এককঃ বিভব শক্তি পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক জুল।

বিভব শক্তি বলতে শক্তির এমন এক অবস্থাকে বোঝায় যখন তা কাজ করার সামর্থ্য রাখে বাট ঐ মুহূর্তে কাজ সম্পাদন করে না। যেমন- এইটি বইকে floor থেকে টেবিলে রাখলে বইরের মধ্যে অভিকর্ষজ ত্বরণের বিপরীতে কাজ করার কারণে অভিকর্ষীয় শক্তি সঞ্চয় হয় যা মূলত বিভবশক্তি। এবং বইটি ছেড়ে ঐ বিভবশক্তি গতিশক্তিতে পরিণত হবে।

কোনো বস্তুকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে অপর এক অবস্থানে আনতে বস্তুর মধ্যে কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন হয় তাই বিভব শক্তি বা potential energy। এর অর্থ এই যে ঐ বস্তুর অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তর হওয়ার একটা potential আছে।

আরো পড়তে: ক্ষমতা কাকে বলে

যান্ত্রিক শক্তি কাকে বলে

শক্তির সর্বাপেক্ষা সাধারণরূপ হল যান্ত্রিক শক্তি। কোন বস্তু বা সিস্টেমের কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।

আর কোন বস্তু বা সিস্টেমের ভৌত অবস্থানের গতি বা স্থিতির জন্য এটি কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে বা এটি যে শক্তি অর্জন করে তাকে যান্ত্রিক শক্তি বলে

বস্তু বা সিস্টেমের স্থিতি বা গতীয় অবস্থার বিবেচনায় যান্ত্রিক দুই প্রকার। যথাঃ

(১) গতিশক্তি ও
(২) বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তি।

(১) গতিশক্তিঃ কোনো গতিশীল বস্তু গতিশীল থাকার জন্যে কাজ করার যে সামর্থ্য অর্থাৎ শক্তি অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে। কোনো গতিশীল বস্তু স্থির অবস্থায় আসার পূর্ব পর্যন্ত যে পরিমাণ কাজ করতে পারে তার দ্বারা বস্তুটির গতিশক্তি পরিমাপ করা হয়।

(২) বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তিঃ স্বাভাবিক অবস্থা বা অবস্থান পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য কোনো অবস্থায় বা অবস্থানে আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তি বলে।

চিরাচরিত শক্তি কাকে বলে

যে সকল উৎস থেকে বহু যুগ ধরে মানুষ জ্বালানি শক্তি আহরণ করে চলেছে সেই শক্তিকে চিরাচরিত শক্তি বলে।

শক্তি উৎপাদনের যেসব উৎসগুলি মানুষ বহুদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে অর্থাৎ শক্তির উৎস হিসেবে যেগুলি র প্রচলন বেশি সেগুলিকে শক্তির প্রচলিত বা চিরাচরিত শক্তি বলে। দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহার হওয়ার ফলে চিরাচরিত শক্তির উৎস এবং ব্যবহারের প্রযুক্তি সহজলভ্য। চিরাচরিত শক্তির উৎসগুলি হল- কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেজস্ক্রিয় খনিজ দ্রব্য এবং বড় আকারের খরস্রোতা নদী। খরস্রোতা নদী ভিত্তিক জলবিদ্যুৎ ছাড়া বাকিগুলি পুননবীকরণ যোগ্য নয়। খরস্রোতা নদী ছাড়া শক্তির বাকী উৎসগুলির ভাণ্ডার গচ্ছিত, ব্যবহারের ফলে ক্রমহ্রাসমান।

এগুলির (জলবিদ্যুৎ ছাড়া) ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় । উৎপাদনের প্রাথমিক খরচ কম হলেও পরবর্তী সময়ে ইউনিট পিছু উৎপাদন ব্যয় বেশি। চিরাচরিত শক্তির উৎসগুলি ব্যবহারের প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি সহজলভ্য।

অচিরাচরিত শক্তি কাকে বলে

অচিরাচরিত শক্তি বলতে সেই সমস্ত শক্তিকে বোঝায় যে উৎসগুলি থেকে মানুষ ইদানিং জ্বালানি শক্তি আহরণ করার চেষ্টা করছে। যেমন বাত শক্তি, জেয়ার ভাঁটা শক্তি সৌরশক্তি ইত্যাদি। আসলে চিরাচরিত শক্তির যোগান ভবিষ্যৎ অনিয়মিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে বলেই মানুষ অচিরাচরিত শক্তির আহরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শক্তির যেসব উৎসগুলি বিশ্বের জনপ্রিয় নয় অর্থাৎ পৃথিবীতে শক্তি উৎপাদনে এমন কতগুলি উৎস আছে যেগুলি বহুল ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি এই ধরনের উৎস গুলিকে শক্তি অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তি বলা হয়। অপ্রচলিত শক্তিগুলির উৎস হল- সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জোয়ারভাটা শক্তি, ভুতাপ শক্তি, জৈব গ্যাস, সমুদ্রতরঙ্গ প্রভৃতি । অচিরাচরিত শক্তি অল্প কয়েক বছর এবং কম পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

এই শক্তির উৎসগুলির ভাণ্ডার অফুরন্ত এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষিত হওয়ার আশঙ্কা নেই । এগুলির ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় না। অচিরাচরিত শক্তি উৎপাদনে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও পরবর্তী সময়ে ইউনিট পিছু উৎপাদন ব্যয় কম।

নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে, নবীকরণ যোগ্য শক্তি কাকে বলে

আলো থেকে, শুধু যে ভবিষ্যতে নতুন ধরনের শক্তির ওপর মানুষ ভরসা করে আছে তা নয়, এই মুহূতেও তারা এমন শক্তির ওপর ভরসা করে আছে, যেগুলো ফুরিয়ে যাবে না।

সেই শক্তি আসে সূর্যের সমুদ্রের জোয়ার – ভাটা কিংবা ঢেউ থেকে, উন্মুক্ত প্রান্তরের বাতাস থেকে, পৃথিবীর গভীরের উত্তপ্ত ম্যাগমা থেকে কিংবা নদীর বহমান পানি থেকে।

আমাদের বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না যে এই শক্তিগুলো বলতে গেলে অফুরন্ত। এগুলোকে বলা হয় নবায়নযোগ্য (Renewable Energy) শক্তি অর্থাৎ যে শক্তিকে নবায়ন করা যায়,  যে কারণে এটার ফুরিয়ে যাবার কোনো আশঙ্কা নেই।

এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব মানুষ যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এই নবায়নযোগ্য শক্তি। যথা :-

  • জলবিদ্যুৎ : পৃথিবীর পুরো শক্তির পাঁচ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে নবায়নযোগ্য শক্তি। সেই এক ভাগের বেশির ভাগ হচ্ছে জলবিদ্যুৎ , নদীতে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা।
  • বায়োমাস: জলবিদ্যুতের পর সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য শক্তি আসে বায়োমাস (Biomass) থেকে , বায়োমাস বলতে বোঝানো হয় লাকড়ি , খড়কুটো এসবকে।
  • সৌরশক্তি: মাত্র এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় সূর্য থেকে আলো তাপ হিসেবে প্রায় হাজার মেগাওয়াট শক্তি পাওয়া যায় , যেটা একটা নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্রের কাছাকাছি।
  • বায়ুশক্তি: সৌরশক্তির পরই যেটি খুব দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে ফেলছে সেটা হচ্ছে বায়ুশক্তি।
  • বায়োফুয়েল: পৃথিবীর মানুষ বহুদিন থেকে পান করার জন্য অ্যালকোহল তৈরি করে আসছে।
  • ভূতাপীয়: নবায়নযোগ্য শক্তির গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি হচ্ছে ভূতাপীয় বা জিওথার্মাল (Geothermal) শক্তি।

যত দিন যাচ্ছে মানুষ ততই পরিবেশ সচেতন হচ্ছে। তাই এ রকম শক্তির ব্যবহার আরো বেড়ে যাচ্ছে।

অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

যে শক্তি একবার ব্যবহার করা হলে তা থেকে পুনরায় শক্তি উৎপন্ন করা যায় না, তাকে অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-renewable energy) বলে।

এটি এমন ধরনের জ্বালানি বা শক্তি যা নবায়ন করা যায় না বা পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না এবং ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এর মজুত কমতে থাকে এবং সঞ্চয় সীমিত হওয়ার দরুন তা একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়।। প্রকৃতিতে এদের তৈরি করতে যত সময় লাগে, তার চেয়ে কম সময়ে ব্যায়িত হয়। অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে অন্যতম হলো কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি।

অনবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা | Advantage of Non-renewable energy

অনবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা মূলত দুটি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়- দাম ও প্রাচুর্য। বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বা যানবাহন অনবায়নযোগ্য শক্তির সাহায্যে চলে, এদের নবায়নযোগ্য শক্তির সাহায্যে চালাতে অনেক বেশি খরচ লাগে। যেমন: সাধারণ গ্যাস বা তেলে কম খরচে এসব যানবাহন বা যন্ত্রপাতি চলে।

অপরপক্ষে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস যেমন সৌরশক্তি দ্বারা কোনো যানবাহন চালানো কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। অনবায়নযোগ্য জ্বালানি সস্তা, এদের অল্প পরিমাণ থেকে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, যেমন অল্প ইউরেনিয়াম থেকে অনেক বিদ্যুৎ শক্তি পাওয়া যায়।

অনবায়নযোগ্য শক্তির সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধা | Limitation or Disadvantage of Non-renewable energy

অনবায়নযোগ্য জ্বালানির অসুবিধা হলো–

  • এটি অনবায়নযোগ্য ও দ্রুত ফুরিয়ে যায়; এরা মূলত নিঃশেষ হয়ে যায়।
  • পরিবেশকে বেশ উচ্চমাত্রায় দূষিত করে।
  • এদের দহনে কার্বন ডাইঅক্সাইড বাতাসে ছড়ায়, ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তৈরি করে।

অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি

অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে রয়েছে খনিজ কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, প্রাকৃতিক তেল ইত্যাদি। এ সকল জ্বালানি একবার ব্যবহার করলে তা নিঃশেষ হয়ে যায়। এই জন্য এগুলোকে অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়।

বায়ু শক্তি কাকে বলে

বায়ুর গতিবেগকে কাজে লাগিয়ে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে বায়ুশক্তি বলে। সমুদ্রতীরে অথবা মরুভূমি অঞ্চলে যেকানে বায়ুর গতিবেগ বেশি সেখানে বাতাসের গতিতে বায়ুকল চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। ভারতে গুজরাট, তামিলনাড়ু ও ওড়িশায় মোট 3.5 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বায়ুশক্তির দ্বারা উৎপন্ন হয়ষ্ট

বায়ুশক্তির ব্যবহার

বায়ুশক্তিকে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। বর্তমানে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহের কাজে বায়ুশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বায়ুশক্তি খামারে প্রায় 20,000 MW বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে বায়ুশক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে কমায় এবং উৎস অঞ্চলে কম পরিমাণে দূষণমুক্ত শক্তির জোগান দেয়। ভারতের গুজরাটে সর্বপ্রথম এর ব্যবহার হয়।

পরিবেশ বান্ধব শক্তি কাকে বলে

যে সমস্ত শক্তি পরিবেশের ক্ষতি না করে বরং তা সংরক্ষণে সহায়তা করে, সেই সমস্ত শক্তিই পরিবেশ বান্ধব শক্তি। যেমন, বায়ুপ্ররবাহ, সূর্যের আলো ও তাপ, জৈব শক্তি ইত্যাদি। এগুলো চিরাচরিত শক্তি এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য।

সবথেকে বেশি দরকার রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া উন্নত করা, পরিমিত মরিমানে শক্তি বায় করা। তাহলে অনেক শক্তিই হয়ে উঠবে পরিবেশ বান্ধব।

আয়নিকরণ শক্তি কাকে বলে

আয়নীকরণ শক্তি হল মৌলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম। গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের আয়নিকরণ শক্তি বলে।

আয়নীকরণ শক্তির উপর বিভিন্ন নিয়ামকের প্রভাব | Effect of various factors on Ionization energy

মৌলের আয়নীকরণ শক্তির মান সাধারণভাবে নিম্নোক্ত বিষয় বা নিয়ামকসমূহের (Factors) উপর নির্ভর করে :

১. পরমাণুর আকার

২. নিউক্লিয়ার চার্জ

৩. ইলেকট্রন বিন্যাস

৪. অর্ধপূর্ণ বা পূর্ণ অরবিটাল

তড়িচ্চালক শক্তি কাকে বলে

প্রতি একক আধানকে কোষ সমেত কোন বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আবার ঐ বিন্দুতে আনতে যে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ঐ কোষের তড়িচ্চালক শক্তি বলে।

যদি q পরিমাণ আধানকে কোন বর্তনীর এক বিন্দু থেকে সম্পূর্ণ বর্তনী ঘুরিয়ে আনতে কাজ w হয় তবে তড়িচ্চালক শক্তি E = w/q হবে। তড়িচ্চালক শক্তি এবং বিভব পার্থক্য উভয়ের একক ভোল্ট (V)।

তড়িৎ শক্তির একক কি

তরিৎ শক্তির একক হলো জুল

গতিশক্তি কাকে বলে

কোন বস্তুর গতিশীল অবস্থার জন্য বস্তুটি কিছু যান্ত্রিক শক্তি অর্জন করে যা গতিশক্তি নামে পরিচিত। সুতরাং গতিশক্তি বলতে আমরা বস্তুর গতিজনিত শক্তি বুঝি। কোন গতিশীল বস্তু গতিশীল থাকার জন্য যে শক্তি অর্জন করে তাকে গতিশক্তি বলে

কোন স্থির বস্তু গতিশীল হওয়ার মুহূর্তে হতে ঐ গতিশীল বস্তু স্থির অবস্থায় আসার মুহূর্ত পর্যন্ত যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয় তা বস্তুটির গতিশক্তির পরিমাপ। আবার কোন বস্তুকে নির্দিষ্ট বেগে গতিশীল করতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তা বস্তুটির গতিশক্তির পরিমাপ।

গতিশক্তির একক : গতিশক্তি ও কাজের একক একই। অর্থাৎ গতিশক্তির একক জুল (J)।

গতিশক্তির মাত্রা : [ML2T-2]

গতিশক্তির উদাহরণ :

(১) পাথরকে কাচের সঙ্গে ঠেকিয়ে রাখলে কিছু হয় না, কিন্তু পাথর ছুঁড়ে মারলে কাচ ভেঙ্গে যায়। গতির জন্য পাথরটি ঐ কাজ করার সামর্থ্য পায়।

(২) হাতুড়ি দিয়ে দেয়ালে পেরেক ঠুকলে হাতুড়ি তীব্র বেগে পেরেককে আঘাত করে। তখন পেরেকটি দেওয়ালের বাধা অতিক্রম করে ঢুকে যায়। হাতুড়ি তার গতির জন্যই একাজ করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ হাতুড়িটির গতিশক্তির জন্যই পেরেকটি দেওয়ালের বাধা অতিক্রম করতে পারে।

(৩) পাহাড় পর্বত থেকে সমতলে নামার সময় নদী অত্যন্ত খরস্রোতা হয়। স্রোতের গতিশক্তি খুব বেশি বলে বড় বড় পাথর খণ্ডকে গড়িয়ে নিয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ শক্তি কাকে বলে

কোন বস্তুতে সঞ্চিত মোট শক্তিকে বলা হয় ঐ বস্তুর অভ্যন্তরীণ শক্তি ।

আরো ভালোভাবে বলতে গেলে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কোন বস্তুর কণিকাসমূহের (অণু, পরমাণু) স্পন্দন গতি, আবর্তন গতি, রৈখিক গতি এবং এদের মধ্যে ক্রিয়াশিল বিভিন্ন প্রকার বলের দরুন উদ্ভূত সৃষ্ট মোট যে শক্তি বস্তুর মধ্যে নিহিত থাকে এবং যে শক্তিকে কাজে ও অন্যান্য শক্তিতে রুপান্তরিত করা যায় তাকে বোঝায়।

অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কোন বস্তুর কণিকাসমূহের (অণু, পরমাণু) স্পন্দন গতি, আবর্তন গতি, রৈখিক গতি এবং এদের মধ্যে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রকার বলের দরুণ উদ্ভূত সৃষ্ট মোট যে শক্তি বস্তুর মধ্যে নিহিত থাকে এবং যে শক্তিকে কাজে ও অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায় তাকে বোঝায়।

প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে একটা সহজাত শক্তি নিহিত থাকে, যা কাজ সম্পাদন করতে পারে, যা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। বস্তুর অভ্যন্তরস্থ অণু, পরমাণু ও মৌলিক কণাসমূহের রৈখিক গতি, স্পন্দন গতি ও আবর্তন গতি এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক বলের কারণে উদ্ভূত এই শক্তিকেই অভ্যন্তরীণ বা অন্তস্থ শক্তি বলে।

রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে

যে কোনো বস্তুর বা পদার্থের অণুতে বিভিন্ন পরমাণুর বা আয়নের মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন বিদ্যমান। এসব বন্ধন অসীম শক্তির আধার। আর এই শক্তিকেই রাসায়নিক শক্তি বলে।

রাসায়নিক শক্তির উৎস এর উদাহরণ

কাঠ পোড়ালে আগুন জ্বলে আবার পেট্রল বা ডিজেল এগুলো গাড়ির ইঞ্জিনে পোড়ালে তার জন্য গাড়ি চলে। তাহলে এগুলোর মধ্যে শক্তি থাকে। এ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি বলে। 

টর্চের ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে আলো জ্বালায়। খনিজ তেল পুড়িয়ে তা থেকে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এ সবগুলোর সাথেই রসায়ন তথা রাসায়নিক বিক্রিয়া অথবা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া জড়িত। আবার, এ বিক্রিয়াগুলোর কিছু বিরূপ প্রভাব আছে পরিবেশ ও আমাদের শরীরের উপর।

আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

পদার্থের অণুসমূহের মাঝে যে আকর্ষণ শক্তি বিদ্যমান তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে।

লক্ষনীয় যে পদার্থের পরমানুসমূহ যে শক্তিবলে আবদ্ধ থাকে তা মুলত বন্ধন নামে পরিচিত।

আন্তঃআণবিক শক্তির ক্রমঃ

কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি > তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি > বায়বীয় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি।

সমযোজী যৌগের অণুসমূহ পরস্পরকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে তাকে আন্তআণবিক বল বা শক্তি বলে।

পদার্থ গঠনের সময় পদার্থের অণুসমুহ পরস্পরের পাশাপাশি থাকে এবং তাদের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ ফাঁকা স্থান থাকে।একে আন্তাণবিক দুরত্ব বলে।অণুগুলো এই দুরত্বে থেকে পরস্পরকে একটি বলে আকর্ষণ করে।এই দুরত্ব যত বাড়তে থাকে আন্তআনবিক আকর্ষণ বলের মান তত কমতে থাকে।দুরত্ব যত কমতে থাকে বলের মান তত বাড়তে থাকে।

এক পর্যায়ে এই মান সর্বোচ্চ হয়।অণুগুলোকে এর চেয়ে বেশি কাছে আনলে তারা পরস্পরকে বিকর্ষণ করে।পদার্থের আন্তআণবিক বলের উপর ভিত্তি করে পদার্থকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়-কঠিন, তরল ও বায়বীয়। কঠিন পদার্থের আন্তআণবিক আকর্ষণ বলের মান সবচেয়ে বেশি। তারপর তরল পদার্থের এবং সবশেষে বায়বীয় পদার্থের আনআণবিক আকর্ষন বলের মান সবচেয়ে কম।

আত্তীকরণ শক্তি কি

সালোক সংশ্লেষণ এর আলোক নির্ভর পর্যায় এ ফটোফসফোরাইলেশন বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ATP, NADPH2 কে আত্তীকরণ শক্তি বলে।

সালোকসংশ্লেষণ দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়। যথা- আলোক পর্যায় এবং অন্ধকার পর্যায়। সালাকসংশ্লেষণের আলোক পর্যায়ে ATP ও NADPH2, নামক রাসায়নিক শক্তি তৈরি হয়। CO2, আত্তীকরণের মাধ্যমে শর্করা প্রস্তুত করতে এই ATP ও NADPH2 এর শক্তি ব্যবহার হয় বলে ATP ও NADPH2, কে আত্তীকরণ শক্তি বলে।

বন্ধন শক্তি কাকে বলে

সোডিয়াম ক্লোরাইডে (NaCl)  সোডিয়াম (Na) আয়ন ও ক্লোরাইড আয়নের মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান। কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) অণুতে কার্বন (C) ও অক্সিজেনের (O) মধ্যে সমযোজী বন্ধন বিদ্যমান। আবার, লোহার মধ্যে একটি আয়রন পরমাণুর সাথে অন্য আয়রন পরমাণুসমূহের মধ্যে ধাতব বন্ধন বিদ্যমান।

এ সকল বন্ধনে আবদ্ধ একটি পরমাণুর সাথে আরেকটি পরমাণু যে আকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে বন্ধন শক্তি বলে।

স্থিতি শক্তি কাকে বলে

স্বাভাবিক অবস্থান বা আকৃতির পরিবর্তনের ফলে স্থিতিশীল বস্তুতে যে শক্তির জমা হয়, তাকে স্থিতি শক্তি বলে।

স্বাভাবিক অবস্থা বা অবস্থান পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য কোনো অবস্থায় বা অবস্থানে আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বা স্থিতিশক্তি বলে। কোন একটি বস্তুকে ভূ-পৃষ্ঠ হতে টেবিলের উপর উঠালে বস্তুর উপর অভিকর্ষজ বলের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। এ কাজ বস্তুর মধ্যে বিভব শক্তি হিসাবে সঞ্চিত থাকে।

স্থিতি শক্তির উদাহরণ

যেমন ঘড়িতে দম দিলে ঘড়ির স্প্রিংটি সংকুচিত হওয়ায় স্প্রিং এর আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। ফোনের স্ক্রিন টি তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সময় কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে, যা ঘড়িকে সচল রাখে। অর্থাৎ সংকুচিত স্প্রিং এ যে শক্তির সঞ্চিত থাকে তা হল স্থিতি শক্তি।

স্থিতিশক্তির প্রকারভেদ | Types of potential energy

স্থিতিশক্তি বা বিভবশক্তি বিভিন্ন প্রকার; যথাঃ-

(১) অভিকর্ষীয় স্থিতিশক্তি বা অভিকর্ষীয় বিভব শক্তি (Gravitational potential energy)

(২) স্থিতিস্থাপক বিভব শক্তি (Elastic potential energy)

(৩) তড়িৎ বিভব শক্তি (Electric potetial energy)

জৈব শক্তি কাকে বলে

জৈব শক্তি বলতে যে কোনো ধরনের জৈব পদার্থকে বোঝায়। যখন শক্তির কথা আসে, জৈব শক্তি হল কোন জৈব পদার্থ যা শক্তি উৎপন্ন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন কাঠ, বনের অবশিষ্টাংশ বা উদ্ভিদের উপকরণ।

সৌর শক্তি, সৌর শক্তি কাকে বলে

সূর্য থেকে তাপ বা আলোক রূপে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকেই সৌরশক্তি বলে। পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তার সবই কোনো না কোনোভাবে সূর্য থেকেই আসা বা সূর্যকিরণ ব্যবহৃত হয়ে তৈরি হয়েছে।

সৌরশক্তির ব্যবহার

শীতের দেশে ঘরবাড়ি গরম রাখার কাজে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। শস্য, সবজি উৎপাদন কাজে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করে তা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। সৌরশক্তি দ্বারা বয়লারে বাষ্প তৈরি করে তড়িৎ উৎপাদনের জন্য টার্বাইন ঘোরানো হয়।

সৌরকোষে সৌরশক্তি ব্যবহার করে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সৌরচুলায় রান্নার জন্য সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। উত্তল লেন্স ব্যবহার করে আগুন ধরানোর জন্য সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। 

বিকল্প শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কি

আমরা কেন শক্তির বিকল্প উৎস খুঁজছি তার প্রধান কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তির অ-নবায়নযোগ্য উৎস যার মানে তারা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় না এবং পুনরায় পূরণ করা যায় না। জীবাশ্ম জ্বালানী নিঃশেষ হতে থাকবে যদি তাদের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করা হয়। অতএব, টেকসই উন্নয়নের ধারণাটি প্রয়োগ করার জন্য শক্তির বিকল্প উত্সগুলিতে স্যুইচ করা আরও ভাল।

ভূ-তাপীয় শক্তি হল সেই শক্তি যা পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত হয়। পৃথিবীর মূল অংশে উপস্থিত গলিত শিলাগুলিকে পৃথিবীর ভূত্বকের দিকে ঠেলে দিলে যে গরম দাগ তৈরি হয় তা থেকে এই শক্তি পাওয়া যেতে পারে। উষ্ণ প্রস্রবণগুলি সাধারণত ভূ-তাপীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কাজ ক্ষমতা ও শক্তি

FAQ | শক্তি

Q1. শক্তি কি

Ans – যখন কোনো বস্তুর, কোনো কাজ করার সামর্থ্য লাভ করে কোনো কাজ করে তাকে শক্তি বলে।

Q2. শক্তির মাত্রা কি

Ans – কাজ বা শক্তির মাত্রা = বল × সরণ
                               = ভর × ত্বরণ × সরণ
                               = ভর × বেগ/সময় × সরণ
                               = ভর × সরণ/সময়² × সরণ
                               = [ML2T−2][ML2T-2]
টর্ক, কাজ, শক্তি ও বলের ভ্রামক : এদের মাত্রা একই

Q3. ক্ষমতা বা শক্তি কাকে বলে

Ans – নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী অন্যের আচরণকে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। জোসেফ ফ্রাঙ্কেল-এর মতে, অন্যের মন ও কার্য নিয়ন্ত্রণ করে কাঙ্ক্ষিত ফললাভের সামর্থ্যই হল ক্ষমতা।

Q4. কোশের শক্তি ঘর কাকে বলে

Ans – মাইটোক‌ন্ড্রিয়াকে কোষের শ‌ক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস বলা হয়।

Q5. ভূতাপ শক্তির উৎস কি

Ans – ভূগর্ভের উত্তপ্ত শিলার তাপশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়, তাকে ভূতাপীয় শক্তি বলে। আগ্নেয়গিরি বা উয় প্রস্রবণের মুখ দিয়ে একটি বড়াে এবং একটি ছােটো ব্যাসের সমকেন্দ্রিক নলকে মাটির গভীরে প্রায় 3000 মিটার চালনা করা হয়।

বড়াে নলের মুখ দিয়ে সাধারণ উয়তার জলকে ভূগর্ভে পাঠানাে হলে, ভূগর্ভের প্রচণ্ড উত্তাপে সেই জল উচ্চচাপে বাষ্পে পরিণত হয়ে ছােটো ব্যাসের নলের মাধ্যমে দ্রুত বেগে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই বাষ্পের চাপকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়।

Q6. মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কে আবিষ্কার করেন

Ans – মাধ্যাকর্ষন শক্তি আবিষ্কার করেছিলেন নিউটন।

আইনস্টাইন আবিস্কার করেছিলেন রেলেটিভিটি। যদিও জেনারেল থিয়োরি অফ রেলেটিভিটি তে উনি মাধ্যাকর্ষন নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। তিনি মাধ্যাকর্ষন কে একটু অন্য দৃষ্টিভঙ্গি তে দেখেছিলেন। তিনি মাধ্যাকর্ষন কে জ্যামিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।