“পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী।’—‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi | Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী।’—‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?

উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিদেশে ঝড়বৃষ্টি কবিতায় পাওয়া ‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দটির অর্থ হল ‘বিভেদ’ বা পার্থক্য’ |

দেবীচণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়| সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎ চমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। প্রজারা ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। সবুজ শস্যের খেত ধুলােয় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় চারপাশ। জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। মেঘের গর্জনে কেউ কারাের কথা শুনতে পায় না। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকেও কেউ আলাদা করতে পারে না।

কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি, কলিঙ্গ দেশের ঝড় বৃষ্টি, কলিঙ্গ দেশের ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর

জলধারার বর্ষপকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ জলধারার প্রবল বর্ষশকে করি-কর অর্থাৎ হাতির গুঁড় দিয়ে জল লার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে |

“কারাে কথা শুনিতে না পায় বোনাে জন।’—কারও কথা শুনতে না পাওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিজাবাসী কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না।

মেঘ ঝড়বৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কনিবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন? অথবা, কলিলবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে কেন?

উত্তরঃ মেঘ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।

“না পায় দেখিতে কেহ রবির কি” রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ ভয়ংকর কালাে মেঘে চারদিক ডেকে গিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেউ সূর্যরশ্মি দেখতে পাচ্ছিল না।

গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে?

উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙাদেশ জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে |

সাত দিনের বৃষ্টিতে কৃষিকাজ ও ঘরবাড়ির কী ক্ষতি হল?

Ans: সাত দিনের বৃষ্টিতে শস্যখেত জলে ডুবে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেল।

“ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল”—কবি কোন বিষয়ের সঙ্গে এমন তুলনা করেছেন?

উত্তরঃ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ঘরের চাল ভেদ করে যে শিল মেঝেতে এসে পড়ে তার সঙ্গে ভাদ্র মাসের পাকা তালের তুলনা করা হয়েছে।

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশে শিল পড়াকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘কলিজাদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশে বড়াে আকারের শিল পড়াকে ভাদ্র মাসে তলি পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে |

“চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।”—আদেশ পেয়ে হনুমান কী,করেছিল?

উত্তরঃ দেবী চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।

“উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল”—এর কারণ কী?

উত্তরঃ পর্বতের সমান নদীর ঢেউয়ের দাপটে কলিঙ্গদেশের বাড়িঘর জলে ভাসতে ভাসতে টলমল করছিল।

“দেখিতে না পায় কেহ অঙগ আপনার” — কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙল দেখতে পাচ্ছে না কেন?

উত্তরঃ চারদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন

উচ্চনাদে কলিঙ্গ কীসের ডাক শােনা গিয়েছে?

উত্তরঃ ঘন মেঘে ঢাকা কলিঙ্গের আকাশে জোরে জোরে মেঘের ডাক শােনা গিয়েছে।

“প্রলয় গগিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।”–মন্তব্যটির অর্থ লেখাে। অথবা, কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্ত কেন?

উত্তরঃ চারদিক মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের ডাকে প্রজারা ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

“হড় হড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়।”~-উক্তিটির তাৎপর্য কী?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে কলিঙ্গদেশে মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল তার ভয়ানক রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।

“বিপাকে ভবন ছাড়ি গ্রজা দিল রড়” –কোন্ বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়েছিল?

উত্তরঃ মুশলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তাণ্ডবে আসন্ন পদ্যেকেথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল

শ্রীকবিকঙ্কণ কার উপাধি?

উত্তরঃ শ্রীকবিকঙ্কণ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।

“ধূলে যাচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত”—আইনটির অর্থ লেখাে ।

উত্তরঃ উস্তৃত পত্তিটির অর্থ হল সবুজ শস্যখেত ধুলােয় ঢেকে গেল।

প্রজা চমকিত হল কেন ?

উত্তরঃ বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে সমগ্র কলিঙ্গদেশ ধুলােয় ডেকে যায়।এবং প্রবল দুর্যোগে শস্যখেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রজারা চমকিত হয়।

“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গরজ ‘চারি মেঘ’-এর নাম লেখাে।

উত্তরঃ ‘চারি মেঘ’ হল সম্বৰ্ত, অাবর্ত, পুকর এবং দ্ৰোণ।

চারদিকে মেঘে জল দেয় কারা?

উত্তরঃ কলিলাদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় চারদিকে মেঘে জল দিয়েছিল ‘অষ্ট গজরাজ’ বা আটটি শ্রেষ্ঠ হাতি।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | কলিঙ্গ দেশের ঝড় বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ) কৱি-কৱ সমান বাৱষে জলধারা। তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। 

উত্তর : ‘করি-কর’ হলাে হাতির গুঁড়। সমান’ অর্থাৎ, মতাে বা তুল্য। চারি মেঘের মিলিত ব্যর্ণধারা প্রবলতম। ওই প্রবলতম বর্ষণধারা হাতির শুড় তুল্য। একটি সুন্দর উপমা। দিগহস্তীরা জল বর্ষণ করছে। কবির স্বাভাবিকভাবে মনে হয়েছে, বর্ষিত জলধারা তাদের খুঁড়ের তুল্য প্রবলতম চেহারার।

প্রশ্ন ) কলিঙ্গদেশে শিলাবৃষ্টিৱ বর্ণনা দাও। 

উত্তর: কলিঙ্গদেশে চার মেঘের মিলিত ধারায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ‘নিরবধি সাত দিন বৃষ্টি নিরন্তর। শুধু বৃষ্টি নয়, শিলাবৃষ্টিও হচ্ছে। সামান্য হালকা শিল নয়, বেশ বড়ােসড়াে চেহারার। চেহারার বিশালত্ব বােঝানাের জন্য কবি একটি সুন্দর উপমা ব্যবহার করেছেন, ‘ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল।
ভাদ্র মাসে পাকা তাল গাছ থেকে পড়ে। সেই পাকা তালের মতাে শিলের বৃহদাকার চেহারা, তা যখন পড়ছে তখন অক্লেশে ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ছে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।