বিয়োজন কাকে বলে, বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র, যোজন বিয়োজন সূত্র

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

বিয়োজন কাকে বলে

বিয়োজন কাকে বলে কোনো ধনাত্মক তথা বড়ো সংখ্যা থেকে তার চেয়ে কোনো ছোটো সংখ্যা দিয়ে বিয়োগ করা হয়, তখন সেই বড়ো সংখ্যাটিকে বিয়োজন (minuend) বলে।

যে সংখ্যাটি থেকে কোনো সংখ্যাকে বিয়োগ করা হয়, তখন প্রথম বড়ো সংখ্যাটিকে বিযোজন বলে এবং এই বিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছোট সংখ্যাটিকে বিয়োজ্য বলে।

বিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিয়োজন থেকে বাদ দিলে বা বিয়োগ করলে যেটি পড়ে থাকে, বিয়োজ্য তাকে বিয়োগফল বলে।

সব সময় বড় সংখ্যাটিকেই বিয়োজন হিসেবে ধরা হয়।

ঋণাত্মক সংখ্যার বিয়োগের ক্ষেত্রে যে সংখ্যাটি বড় অর্থাৎ শূন্যের কাছাকাছি সেই সংখ্যাগুলিকে বিয়োজন হিসেবে ধরে বিয়োগ করা হয়।

যেমন: {(-৬০বিয়োজন) – (-৮০ বিয়োজ্য)} = ২০ (বিয়োগফল)

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৭০(বিয়োজন) – ৫০( বিয়োজ্য) = ২০ (বিয়োগফল)

গণিতে বিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বড় সংখ্যাটিকে বিয়োজন বলে। 

এরূপ বলার কারণ হলো এই সংখ্যাটি বিয়োজিত হয় বা কমে যায় এবং এই সংখ্যাটি বিয়োগফল প্রদান করে।

বিয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ

  • ১। বিয়োগ চিহ্ন “-” হলো বিয়োজন ও বিয়োজ্য এর মাঝে বসে। যেমন: ৫ – ২ = ৩।
  • ২। যদি একই সংখ্যা থেকে একই সংখ্যা বিয়োগ করতে হয় তবে ফলাফল শূন্য হবে। যেমন: ৭ – ৭ = ০।
  • ৩। যেকোন সংখ্যা থেকে শূন্য বিয়োগ করলে ফলাফল সমান হয়। যেমন: ৯ – ০  = ৯।
  • ৪। সংখ্যাগুলোর সামনে যে সংখ্যাটি বেশি তার উপর থেকে করা হয়।

বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র, যোজন বিয়োজন সূত্র

আমরা ছোটবেলা থেকেই শিখেছি সবসময় বড় সংখ্যাটি থেকে ছোটো সংখ্যাটিকে বাদ দেওয়া বা বিয়োগ করা।

এইভাবে বিয়োগ করলে খুব সহজেই দ্রুত বিয়োগফল পাওয়া যায়।

তাই গণিতে বিয়োগ করার সময় সব সময় বড় সংখ্যাটি থেকে ছোটো সংখ্যাটিকে বিয়োগ করা বেশি সুবিধাজনক।

বিয়োজন = বিয়োজ্য + বিয়োগফল

  • ৮০(বিয়োজন) – ৫০(বিয়োজ্য) = ৩০(বিয়োগফল)
  • ৪৩(বিয়োজন) – ২৩(বিয়োজ্য) = ২০(বিয়োগফল)
  • -৪০(বিয়োজন) – ( -৫০(বিয়োজ্য)) = ১০(বিয়োগফল)
  • ০(বিয়োজন) – (-৫০)(বিয়োজ্য) = ৫০(বিয়োগফল)

বিয়োজন হলো বড় সংখ্যাটি। উপরের উদাহরণে ৮০,৪৩, -৪০,০ হল বিয়োজন।

বিয়োজন থেকে বিয়োগ দেওয়া সংখ্যাটি হল বিয়োজ্য।

৫০,২৩,-৫০ হল বিয়োজ্য। বিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বশেষে পড়ে থাকা সংখ্যাটি হল বিয়োগফল। ৩০,২০,১০,৫০ হল বিয়োগফল।

আরো পড়তে: রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে

বিয়োজ্যের সূত্র

বিয়োজ্য = বিয়োজন – বিয়োগফল

বিয়োজনের ব্যবহারিক প্রয়োগ

আমরা যখন দোকানে বাজারে যাই। মনে মনে জিনিসপত্রের দাম এবং হাতে নিয়ে যাওয়া টাকা এর হিসাব করি।

তখন বিয়োজন সংখ্যাটি থেকে আমাদেরকে দ্রব্যের মূল্যের দামটিকে মনে মনে বিয়োগ করার সময় অজান্তেই এটি আমরা ব্যবহার করে থাকি।

এইভাবে বিয়োগ করলে আমাদের বিয়োগ ফল দ্রুত পেতে সাহায্য করে।

বিয়োজন বিয়োজ্য বিয়োগফল এর সূত্র

বিয়োগ হলো একটি গাণিতিক পদ্ধতি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে বিয়োগ প্রক্রিয়া বা চিহ্ন একটি পরিচিত প্রতীক। বিয়োজন বিয়োজ্য বিয়োগফল হলো প্রাথমিক গণিতের বিয়োগ প্রক্রিয়ার তিনটি মৌলিক অংশ। বিভিন্ন গণিত অধ্যায়ে বিয়োজন, বিয়োজ্য এবং বিয়োগফল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিয়োগ হলো যোগ, গুণ ও ভাগের মতোই একটি মৌলিক গাণিতিক প্রক্রিয়া। বিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুটি সংখ্যার মধ্যে তাদের পার্থক্য বের করা হয়। সংখ্যা গুলির মধ্যে বড় সংখ্যাটি থেকে ছোট সংখ্যাটি বিয়োগ করলে বিয়োগফল পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ৯ থেকে ৬ বিয়োগ করলে ফল হবে ৩। বিয়োগ একটি মৌলিক গাণিতিক অপারেশন, এটি প্রাথমিক গাণিতিক কাজে ব্যবহৃত হয়

বিয়োগ কাকে বলে

বিয়োগ হলো একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া যা দুটি সংখ্যার মধ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি সংখ্যাগুলির মধ্যে একটি থেকে অপরটি থেকে বিয়োগ করে একটি ফলাফল তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটির সাহায্যে আমরা দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য বের করতে পারি। সহজ কথায় বলতে গেলে, দুটি সংখ্যা থেকে একটি সংখ্যা কমানোকে বিয়োগ বলা হয়।

বিয়োগ প্রক্রিয়াটি গণিতের চার প্রাথমিক প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি। বিয়োগের চিহ্ন (-) হলো একটি ছোট ড্যাশ (-)। যেমন, ৭ থেকে ৩ বিয়োগ করলে ফলাফল হবে ৪। অর্থাৎ, ৭ – ৩ = ৪।

বিয়োগ প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে আমরা সংখ্যাগুলির মধ্যে পার্থক্য বের করতে পারি যদি আমরা জানি কোনটি কত। যেমন, ৭ থেকে ৩ বিয়োগ করলে ফলাফল হবে ৪ যেহেতু ৭ থেকে ৩ এর পার্থক্য ৪।বিভিন্ন গণিত সমস্যা সমাধান করার জন্য বিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।

বিয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

  • ১। বিয়োগ চিহ্ন “-” হলো বিয়োজন ও বিয়োজ্য এর মাঝে বসে। যেমন: ৫ – ২ = ৩।
  • ২। যদি একই সংখ্যা থেকে একই সংখ্যা বিয়োগ করতে হয় তবে ফলাফল শূন্য হবে। যেমন: ৭ – ৭ = ০।
  • ৩। যেকোন সংখ্যা থেকে শূন্য বিয়োগ করলে ফলাফল সমান হয়। যেমন: ৯ – ০  = ৯।
  • ৪। সংখ্যাগুলোর সামনে যে সংখ্যাটি বেশি তার উপর থেকে করা হয়।

বিয়োজ্য বিয়োজন বিয়োগফল কাকে বলে

বিয়োজ্য, বিয়োজন এবং বিয়োগফল তিনটি গণিতিক পদ যা গণিতের প্রাথমিক চার প্রক্রিয়ার একটি বিয়োগের তিনটি অংশ। এখন আমরা জানবো বিয়োজ্য বিয়োজন বিয়োগফল কাকে বলে?

বিয়োজন কাকে বলে

গণিতে বিয়োগ প্রক্রিয়া বা বিয়োগ অংকের ক্ষেত্রে যে সখ্যা থেকে বিয়োগ করা হয় তাকে বিয়োজন বলে। যেমন:- ১০ – ৪ = ৬; এখানে ১০ হলো বিয়োজন। বিয়োজ্য বিয়োজন বিয়োগফল এর মধ্যে বিয়োজন সর্বদা বড় হয়।

বিয়োজ্য কাকে বলে

গণিতে বিয়োগ প্রক্রিয়া বা বিয়োগ অংকের ক্ষেত্রে যে সখ্যাকে বিয়োগ করা হয় তাকে বিয়োজন বলে। যেমন:- ১০ – ৪ = ৬; এখানে ৪ হলো বিয়োজ্য। বিয়োজ্য সর্বদা বিয়োজন থেকে ছোট হয়ে।

বিয়োগফল কাকে বলে

গণিতে বিয়োগ প্রক্রিয়া বা বিয়োগ অংকের ক্ষেত্রে একটি সংখ্যা থেকে অপর একটি সংখ্যাকে বিয়োগ করার পর যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে বিয়োগফল বলে। যেমন:- ১০ – ৪ = ৬; এখানে ৬ হলো বিয়োগফল। বিয়োগফল হলো দুটি সংখ্যার মধ্যে বিভেদের ফল। যেহেতু বিয়োগফল হলো দুটি সংখ্যার মধ্যে বিভেদের ফল, তাই বিয়োগফলে বিভেদ বা হার হচ্ছে উভয় সংখ্যার মানের পার্থক্য। এটি কোন একটি সংখ্যাকে অপর সংখ্যা থেকে বিয়োগ করে তৈরি হয়।

গণিতে যোজন বিয়োজন করতে হবে এটা কার উপর নির্ভর করে বা কখন করবো তা বুঝবো কিভাবে

বিভাগ একটি গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ যা সাধারণত ভাগফল খুঁজে পেতে ব্যবহৃত হয় বা একটি রাশি অন্য রাশির মধ্যে কতবার থাকে। বিভাজন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:

সমানভাবে ভাগ করা: আপনার কাছে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু থাকে যা আপনি নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক বা গোষ্ঠীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করতে চান, আপনি প্রতিটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কতটা গ্রহণ করা উচিত তা খুঁজে বের করতে আপনি বিভাগ ব্যবহার করতে পারেন।

রেট খোঁজা: ডিভিশন ব্যবহার করা যেতে পারে হার খুঁজে বের করতে, যেমন গতি, দূরত্ব, বা প্রতি ইউনিট মূল্য। উদাহরণস্বরূপ, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করা একটি গাড়ির গতি বের করতে, আপনি দূরত্বকে সময়ের দ্বারা ভাগ করবেন।

সমীকরণ সমাধান: একটি চলককে বিচ্ছিন্ন করে সমীকরণ সমাধান করতে বিভাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কাছে একটি সমীকরণ থাকে যাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা গুণিত একটি পরিবর্তনশীল থাকে, তাহলে আপনি চলকটিকে বিচ্ছিন্ন করতে সেই সংখ্যা দ্বারা সমীকরণের উভয় পক্ষকে ভাগ করতে পারেন।

সাধারণভাবে, বিভাজন ব্যবহার করা হয় যখন আপনি খুঁজে বের করতে চান যে একটি রাশি অন্য রাশির মধ্যে কতবার আছে, বা যখন আপনি একটি হার বা অনুপাত খুঁজে পেতে চান। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বিভাজন সবসময় প্রয়োজন হয় না, এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সমস্যা সমাধানের অন্যান্য উপায় থাকতে পারে।

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | বিয়োজন

Q1. বিয়োজন কি, বিয়োজন কাকে বলে উদাহরণ

Ans – যে সংখ্যা থেকে অন্য সংখ্যা বিয়োগ করা হয়, তাকে বিয়োজন বলে।

Q2. বিয়োজনের সূত্র কি

Ans – বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র হচ্ছে বিয়োজন = বিয়োগফল + বিয়োজ্য। 
একটা উদাহরণ হিসেবে দেখা যাক। ধরুন ৫০-৪০= ১০।

এখানে বিয়োজন হচ্ছে ৫০ এবং বিয়োজ্য হচ্ছে ৪০ আর বিয়োগফল ১০। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম বিয়োজন হচ্ছে সেই সংখ্যা যেটি থেকে বিয়োগ দেওয়া হয়।এখানে বিয়োজন ৫০। আমরা উপরের সূত্রটি প্রয়োগ করেও ১০+৪০= ৫০ পাই। 

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।