কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

কম্পিউটার এর বৈশিষ্ট্য

দ্রুততা

একটি কম্পিউটার গাণিতিক গণনা করার সময় মানুষের তুলনায় অনেক বেশি গতি এবং নির্ভুলতার সাথে কাজ করে। কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ (1,000,000) নির্দেশাবলী প্রক্রিয়া করতে পারে। কম্পিউটার তাদের অপারেশনের জন্য যে সময় নেয় তা হল মাইক্রোসেকেন্ড এবং ন্যানোসেকেন্ড।

সঠিকতা

কম্পিউটার 100% নির্ভুলতার সাথে গণনা সম্পাদন করে। তথ্যের অসঙ্গতি বা ভুলতার কারণে ত্রুটি ঘটতে পারে।

অধ্যবসায়

একটি কম্পিউটার একই ধারাবাহিকতা এবং নির্ভুলতার সাথে লক্ষ লক্ষ কাজ বা গণনা করতে পারে। এটি কোন ক্লান্তি বা ঘনত্বের অভাব অনুভব করে না। এর স্মৃতিশক্তি এটিকে মানুষের চেয়েও উন্নত করে তোলে।

বহুমুখিতা

বহুমুখিতা বলতে কম্পিউটারের একই নির্ভুলতা এবং দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা বোঝায়।

নির্ভরযোগ্যতা

একটি কম্পিউটার নির্ভরযোগ্য কারণ এটি ডেটার একই সেটের জন্য ধারাবাহিক ফলাফল দেয় যেমন, আমরা যদি একই সেট ইনপুট যেকোন সংখ্যক বার দেই, আমরা একই ফলাফল পাব।

অটোমেশন

কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্ত কাজ সম্পাদন করে অর্থাৎ এটি ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজগুলি সম্পাদন করে।

স্মৃতি

একটি কম্পিউটারে বিল্ট-ইন মেমরি থাকে যাকে প্রাইমারি মেমরি বলা হয় যেখানে এটি ডেটা সঞ্চয় করে। সেকেন্ডারি স্টোরেজ হল অপসারণযোগ্য ডিভাইস যেমন সিডি, পেনড্রাইভ ইত্যাদি, যেগুলি ডেটা সঞ্চয় করতেও ব্যবহৃত হয়

What is Computer in Bengali | বাংলায় কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার (Computer) হলো এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে। কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক “কম্পিউট” (compute) শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব।

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে?

কম্পিউটার  সাধারণত দুইটি মাধ্যমের সমন্বয়ে কাজ সম্পাদন করে থাকে। নিচে উদাহরণ সহকারে আলোচনা করা হলো।

প্রথমত, হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে আবার তিনভাগে ভাগ করা যায়।

ক) ইনপুট যন্ত্রপাতি: কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

খ) সিস্টেম ইউনিট: হার্ড ডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড, র‍্যাম ইত্যাদি।

ঘ) আউটপুট যন্ত্রপাতি: মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার, প্রোজেক্টর, হেড ফোন ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, সফটওয়্যার: সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

ক) সিস্টেম সফটওয়্যার: সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে।

খ) এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

সুতরাং একটি কম্পিউটার হল  হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর যৌথ সমন্বয়।

কম্পিউটারের ব্যবহার

মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। নিচে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার উল্লেখিত হলঃ-

  • অফিস ব্যাবস্থাপনা
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে
  • শিল্প ক্ষেত্রে
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে
  • কৃষি ক্ষেত্রে
  • গবেষণায়
  • সামরিক ক্ষেত্রে
  • তথ্য পরিসংখ্যানে
  • ডিজাইনে
  • প্রোগামিং
  • মুদ্রণ শিল্পে
  • যোগাযোগ ব্যবস্থায়
  • ব্যাংকিং জগতে
  • সংস্কৃতি ও বিনোদনে
  • আদালত
  • অর্থবাজারে
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে

কম্পিউটারের জনক কে?

কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। ১৮৩৩ সালে সর্বপ্রথম এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine) নামে একটি যান্ত্রিক Computer তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করেন। পরবর্তীকালে তাঁর তৈরি নকশা ও কম্পিউটারের ওপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা হয়। তার এই এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা ছিল বলেই চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

অন্যদিকে, জন ভন নিউম্যানকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি একজন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ। নিউম্যান কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় অপারেটর তত্ত্ব ব্যবহারের অগ্রদূত। তিনি সেটতত্ত্ব, জ্যামিতি, প্রবাহী গতিবিদ্যা, অর্থনীতি, যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামিং, কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান সহ আরো অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ডায়নামিক মেমোৰী কম্পিউটার কোর্স





ডায়নামিক মেমোৰী কম্পিউটার কোর্স





আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।