Model Activity Task Class 9 Part 8 Life Science | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 9 জীবন বিজ্ঞান Part 1

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Life Science Class 9, Tissue | Model Activity Task Class 9 Part 8 Life Science

Table of Contents

কোষ, কোষ কাক বোলে, কোষ কাকে বলে, কোষ কি

উত্তর: এককথায় জীবদেহের গাঠনিক এবং কার্যকরী একককে কোষ বলা হয়।

প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত। একটি মাত্র কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় এককোষী জীব এবং একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত জীবকে বলা হয় বহুকোষী জীব।

কোষ জীবদেহের গাঠনিক এবং কার্যকরী একক। কোষের অভ্যন্তরেই জীবের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় জৈবিক কার্যকলাপ সম্পন্ন হয়। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে বোতলের কর্ক পরীক্ষাকালে মৌচাকের ন্যায় অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এবং পরস্পর সংযুক্ত প্রকোষ্ঠ দেখতে পান। তিনি প্রকোষ্ঠগুলোর নাম দেন “Cell”। Cell এর বাংলা অর্থ কুঠুরী বা কোষ।

একটির পর একটি ইটের গাথুনি দিয়ে যেমন একটি দালান তৈরি হয় তেমনি উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহও তৈরি হয় এক বা একাধিক একক দিয়ে। জীবের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম কার্যকলাপও সম্পন্ন হয় এই এককেই। এই এককই হচ্ছে কোষ।

আধুনিক এবং প্রাসরাসায়নিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবিত কোষগুলোকে একটি সুসংগঠিত রাসায়নিক কারখানা হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে যা জীবন পরিচালনার জন্য সব রকম কাজ সম্পন্ন করতে এবং সব রকম দ্রব্যাদি তৈরি করতে সক্ষম। অর্থাৎ জীবের মূল দৈহিক কাঠামো এবং জৈবিক ক্রিয়ার এককই হচ্ছে কোষ।

কোষের কাজ কি কি

মানবদেহের স্নায়ুর কাজ পরিচালনা

উত্তর: মানবদেহে বিভিন্ন রকমের কোষ রয়েছে। এদের কাজও আবার বিভিন্ন রকমের। যেমন- স্নায়ু কোষ মানবদেহে জালের ন্যায় ছড়িয়ে রয়েছে। স্নায়ু কোষের একককে নিউরন বলে। এরা বাহ্যিক পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে দেহের অভ্যন্তরে তথা মেরুদন্ড ও মস্তিষ্কে পরিবাহিত করে এবং সে অনুযায়ী প্রতিবেদন সৃষ্টি এবং তা বাস্তবায়ন করে থাকে।

আবার মস্তিষ্কের কোন বার্তা শরীরের নির্দিষ্ট অংশে প্রেরণ করে। যে সমস্ত স্নায়ু কোষ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে বার্তা মস্তিষ্কে নিয়ে যায় তাদের ‘সেনসরি নিউরন এবং যে সমস্ত স্নায়ু কোষ মস্তিষ্ক থেকে বার্তা সারাদেহে ছড়িয়ে দেয় তাদেরকে ‘মটর নিউরন’ বলে। এরা উচ্চতর প্রাণীতে স্মৃতি সংরক্ষণ করে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।

চোখের স্নায়ু কোষগুলো দেখতে এবং কানের স্নায়ু কোষগুলো শ্রবণে সহায়তা করে। মানুষের চোখের ন্যায় স্নায়ু কোষ না থাকার অনেক প্রাণী দিনে অথবা রাত্রে দেখতে পায় না। আবার কোন কোন প্রাণী কখনই দেখতে পারে না।

মানব দেহের পেশির কাজ পরিচালনা

উত্তর: পেশি কোষগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে অঙ্গ সঞ্চালন, চলন এবং অভ্যন্তরীণ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন প্রকার পেশি কোষ বিভিন্ন রকমের কাজ করে। যেমন ঐচ্ছিক পেশি কোষগুলো অস্থির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন এবং চলন নিয়ন্ত্রণ করে। অনৈচ্ছিক পেশি কোষগুলো দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাদির সঞ্চালনে অংশ নেয়।

কার্ডিয়াক পেশি কোষগুলো একটা বিশেষ ছন্দে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে হৃদপিণ্ডের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে দেহের মধ্যে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়।

মানব দেহের রক্তের কাজ পরিচালনা

উত্তর: তিন প্রকারের রক্ত কণিকা (যেমন- কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা এবং অণুচক্রিকা) তথা রক্ত কোষ প্রাণী দেহে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। ধমনী, শিরা এবং কৈশিক নালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রক্ত অভ্যন্তরীণ পরিবহনে অংশ নেয়।

লোহিত রক্ত কণিকা কোষগুলো ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণ করে হৃদযন্ত্র, ধমনী এবং কৈশিকনালির মাধ্যমে দেহের প্রতিটি কোষে অক্রিজেন সরবরাহ করে।

শ্বেত রক্ত কণিকা জীবাণু ধ্বংস করে আত্মরক্ষায় অংশ নেয়, রোগ প্রতিরোধ করে এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ গঠনেও অংশ নেয়।

অনুচক্রিকা কোষগুলো রক্ততঞ্চন অথবা রক্ত জমাট বাঁধায় অংশ নেয়।

মানব দেহের ত্বকের কাজ পরিচালনায়

উত্তর: প্রাণী দেহের প্রতিটি অংশে ত্বর্কীয় টিস্যু অবস্থান করে। ত্বর্কীয় টিস্যুর প্রধান কাজ কোন অঙ্গ বা নালীর ভেতরের এবং বাইরের আবরণ তৈরি করা। ত্বর্কীয় টিস্যু রূপান্তরিত হয়ে রক্ষণ, ক্ষরণ, শোষণ, ব্যাপন এবং পরিবহন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়। এটি রূপান্তরিত হয়ে গ্রন্থি টিস্যু এবং জার্মিনাল টিস্যুতে পরিণত হয়ে বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ কাজ করে।

কোষ কোনে আবিষ্কাৰ কৰিছিল, কোষ কোনে আৰু কেনেকৈ আৱিষ্কাৰ কৰিছিল

উত্তর: 1665 সালে একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি তার স্ব-পরিকল্পিত মাইক্রোস্কোপের নীচে একটি কর্ক স্লাইসে কোষগুলি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং বগির মতো মৌচাক লক্ষ্য করেছিলেন। তিনি সেগুলোকে কোষ হিসেবে তৈরি করেছিলেন।

কোষ চক্র কাকে বলে

উত্তর: একটি কোষ সৃষ্টি এর বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে বিভাজন এ তিনটি কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তাকে কোষ চক্র বলে। হাওয়ার্ড ও পেল্ক এই কোষচক্রের প্রস্তাব করেন । কোষ চক্র দুটি প্রধান ধাপে বিভক্ত যথা- ইন্টারফেস বা প্রস্তুতি পর্যায় ও এম ফেজ বা মাইটোসিস বিভাজন পর্যায়।

প্রক্রিয়া: কোষ চক্র দুটি প্রধান ধাপে বিভক্ত যথা- ইন্টারফেস বা প্রস্তুতি পর্যায় ও এম ফেজ বা মাইটোসিস বিভাজন পর্যায়।

কোষ চক্রের গুরুত্ব, কোষ চক্রের দুটি গুরুত্ব লেখ

  • বহুকোষী ও এককোষী জীবের বংশবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • জীবের বিকাশ ঘটায়।
  • প্রজনন অঙ্গ তৈরি করে।
  • দেহের ক্ষয়পূরণ করে।
  • জীবের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে।
  • অনিয়ন্ত্রিত কোষ চক্র ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য মুখ্য ভূমিকা রাখে।

কোষ চক্রের s দশাকে সংশ্লেষ দশা বলা হয় কেন

উত্তর: কোষচক্রের S দশা G1 ও G2 এর মধ্যবর্তী দশা যখন DNA এর প্রতিলিপি গঠন ও হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষিত হয়। যেহেতু জিনোমের যথাযথ প্রতিলিপি গঠন সফল কোষ বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথা এই দশায় সেই প্রক্রিয়া শক্তভাবে নিয়ন্ত্রিত ও পরীক্ষিত হয়।S দশা চলাকালীন কোশটি ক্রমাগত জিনোমের অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করে।ক্ষতিগ্রস্ত DNA এর সনাক্তকরণ ঘটলেই এই দশার তিনটি আলাদা আলাদা চেক পয়েন্টে কোষ বিভাজনের অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়। তাই কোষচক্রের S দশা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং S দশাকে সংশ্লেষ দশা বলা যুক্তিপূর্ণ ।

কোষ চক্রের কোন দশায় ডিএনএ সংশ্লেষ হয়

উত্তর: কোষ চক্রের সংশ্লেষ বা সিন্থেসিস ফেজ (S ফেজ) মাইটোসিস বা মায়োসিসের আগে ইন্টারফেজের সময় ঘটে। এটি সংশ্লেষণের পাশাপাশি DNA এর প্রতিরূপের জন্যও দায়ী। কোষের জিনগত উপাদানগুলি মাইটোসিস বা মায়োসিস বিভাজনে প্রবেশের আগে দ্বিগুণ হয় যা DNA কে অপত্য কোষগুলিতে বিভক্ত করার অনুমতি প্রদান করে।

কোষ থেকে কোষে পরিবহনে ব্যাপনের ভূমিকা, কোষ থেকে কোষে পরিবহনে ব্যাপনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো, কোষ থেকে কোষে পরিবহনে ব্যাপনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো Class 9

উত্তর: মাটি থেকে কৈশিক জল আত্মভূতি প্রক্রিয়ায় শুষে নেয় এবং এই শুষে নেওয়া জল কোষ প্রাচীর এর সমস্ত অংশে ব্যাপন প্রক্রিয়া সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বসন ও সালোকসংশ্লেষের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের কোশান্তর পরিবহন সম্পূর্ণরূপে ব্যাপন এর উপর নির্ভরশীল।

  • ক) ব্যাপন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের ফ্লোয়েম কলা থেকে কোশে কোশে খাদ্যের পরিবহন ঘটে।
  • খ) উদ্ভিদ দেহে কোশ ঝিল্লির মাধ্যমে পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয় ব্যাপন এর মাধ্যমে।
  • গ) সালোকসংশ্লেষ কালে পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ ও মেসোফিল কলা তার পরিবহন ব্যাপন এর ফলেই ঘটে।
  • ঘ) শসনকালে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ ও প্রতিটি সজীব কোশে তার পরিবহন ব্যাপন এর ফলে ঘটে।

অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে কোন কোষ

উত্তর: রেটিনার রড কোষ মৃদু আলোতে দেখতে সাহায্য করে।

অ্যামিবার দেহের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার নাম কি, অ্যামিবার দেহের কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়ার নাম কি

উত্তর: অ্যামিবার দেহের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার নাম অ্যামাইটোসিস । অ্যামাইটোসিস হল জীবদেহের এক ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, যা প্রধানত নিম্ন শ্রেনির জীবে (যেমন- এক কোষী প্রাণী – ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা ইত্যাদি) দেখা যায়।

ইউক্যারিওটিক কোষের চিত্র

উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য

উদ্ভিদ কোষ   প্রাণী কোষ 
(1) কোষপ্রাচীর উপস্থিত।(1) কোষপ্রাচীর অনুপস্থিত।
(2) কোষপ্রাচীর দ্বারা আবৃত।(2) প্লাজমা পর্দা দ্বারা আবৃত।
(3) প্লাস্টিড উপস্থিত।(3) প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
(4) বড় কোষগহ্বর থাকে। (4) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষগহ্বর থাকে।
(5) নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে না।(5) প্রায় সময় নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে। 
(6) সেন্ট্রিওল থাকে না।(6) সেন্ট্রিওল থাকে।
(7) লাইসোজোম খুবই কম থাকে।(7) লাইসোজোম সবসময় উপস্থিত থাকে।
(8) আকারে সাধারণত বৃহত্তর হয়।(8) আকারে তুলনামূলক ছোট হয়।
(9) নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের এক কোণায় থাকে।     (9) নিউক্লিয়াস সাধারণত কেন্দ্রে থাকে।
(10) গ্লাইঅক্সিজোম উপস্থিত থাকতে পারে।(10) গ্লাইঅক্সিজোম অনুপস্থিত থাকে।
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য

উদ্ভিদ কোষ, উদ্ভিদ কোষ কাকে বলে

উত্তর: উদ্ভিদ দেহ যে কোষ দ্বারা গঠিত তাকে উদ্ভিদ কোষ বলে। এটি উদ্ভিদদেহের গঠন ও কার্যের একক। উদ্ভিদের জড় কোষপ্রাচীর থাকে। কোষে থাকে বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু, যেমন- কোষঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, সাইটোপ্লাজম, ক্লোরোপ্লাস্ট, নিউক্লিয়াস, গলজিবডি, রাইবোজোম, লাইসোজোম, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, মাইটোকনড্রিয়া, কোষ গহ্বর।

উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য :

উত্তর: নিচে উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-

  • কোষপ্রাচীর থাকে।
  • এ কোষে প্লাস্টিড থাকে।
  • এ কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।
  • লাইসোজোমের উপস্থিতি বিরল।
  • পরিণত উদ্ভিদ কোষে বড় কোষগহ্বর থাকে।
  • এ কোষে মাইক্রোভিলাই থাকে না।

উদ্ভিদ কোষ চিত্র, উদ্ভিদ কোষ ছবি, উদ্ভিদ কোষের চিত্র

কোনো তড়িৎ কোষের তড়িচ্চালক, একটি তড়িৎ কোষের তড়িচ্চালক বল, একটি কোষের তরিৎচালক বল 6 ভোল্ট এর অর্থ কী?

উত্তর: যে বাহ্যিক কারণ স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে পারে বলবিজ্ঞানে তাকে বল [force] বলা হয় । এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তড়িৎ-কোশের তড়িতাধান চালনা করার ক্ষমতাকে বলা হয় তার ‘তড়িচ্চালক বল’ [Electromotive force, সংক্ষেপে emf] ।

[ বলবিজ্ঞানে ‘বল’ এবং তড়িৎ-কোশের ‘তড়িচ্চালক বল’ এক জাতীয় রাশি নয় এবং এদের এককও ভিন্ন । তড়িচ্চালক বল এবং বিভব-প্রভেদের একক অভিন্ন উভয়ের একক ভোল্ট [volt] হলেও এরা সমার্থজ্ঞাপক রাশি নয় ।]

• তড়িচ্চালক বল [Electromotive force]:- যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ-বর্তনীর কোনো অংশে রাসায়নিক কিংবা অন্য কোনো রকম শক্তি তড়িৎ-শক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে বিভব-বৈষম্যের সৃষ্টি করে, তাকে তড়িচ্চালক বল বলে ।

◘ তড়িৎ-কোশের তড়িদ্দ্বার দুটিকে কোনো পরিবাহী দিয়ে সংযোগ না করলে, অর্থাৎ খোলা অবস্থায় রাখলে তড়িদ্দ্বার দুটির মধ্যে সৃষ্ট বিভব-বৈষম্যকে তড়িৎ-কোশের তড়িচ্চালক বলের মান বলে ধরা হয় ।

একটি কোশের তড়িচ্চালক বল 1.5 ভোল্ট বলতে বোঝায় যে, কোশটির ধনাত্মক মেরু থেকে ঋণাত্মক মেরুতে 1 কুলম্ব তড়িতাধান নিয়ে যেতে 1.5 জুল কার্য করতে হয় ।

এখানে, তড়িচ্চালকশক্তি E=2V

তড়িৎ প্রবাহ I = 5A

এবং বিভব পার্থক্য V =1.8V

অভ্যন্তরীণ রোধ r

আমরা জানি Ir=E-V

বা, Ir =2–1.8 (E ও V এর মান বসিয়ে)

বা, Ir =0.2

বা, 5r=0.2 (I এর মান বসিয়ে)

বা, r =0.2/5 =0.4 ও’ম

অতএব, অভ্যন্তরীণ রোধ 0.4 ও’ম

কোষের তড়িচ্চালক বলের একক কি

উত্তর: তড়িচ্চালক শক্তির একক হলো জুল/কুলম্ব; একে ভোল্ট বলে।

কোন অঙ্গাণু উদ্ভিদ কোষের কোষ বিভাজন কালে বেম গঠন করে

উত্তর: উদ্ভিদকোষের কোষ বিভাজনকালে বেম গঠন করে সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মাইক্রোটিউবিউল।

কোন দশায় কোষ চক্র থেমে যায়

উত্তর: ইন্টারফেজ G1, S এবং G2 ফেজ নিয়ে গঠিত। G1 ফেজ এ একটি কোষের তিনটি বিকল্প রয়েছে:

  • (a) কোষ চক্র চালিয়ে যায় এবং S পর্বে প্রবেশ করে,
  • (b) কোষ চক্র বন্ধ করে এবং শান্ত পর্যায় বা G0 পর্যায়ে প্রবেশ করে
  • (c) কোষ চক্র বন্ধ করে এবং পার্থক্য সহ্য করে।

S ফেজ সিন্থেটিক ফেজ নামে পরিচিত, যেখানে ডিএনএ প্রতিলিপির মধ্য দিয়ে যায়। যেহেতু ডিএনএ S ফেজে প্রতিলিপি তৈরি করেছে, তাই ডিএনএ বিষয়বস্তু স্বাভাবিক বিষয়বস্তুর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। S ফেজ অবশ্যই S ফেজ অনুসরণ করবে। সেইজন্য, S ফেজটি একটি কোষ চক্রের এমন একটি বিন্দু যার রিটার্ন আবশ্যিক নয় এবং কোষটিকে অবশ্যই কোষ চক্রের এম পর্বে বিভক্ত করতে হবে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়তে

ক্লাস 9 জীবন বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান নোট রেফারেন্স বই WBBSE




পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য



FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 9 জীবন বিজ্ঞান Part 1

Q1. ‘অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’─ ব্যাখ্যা করো। ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য লেখো ।

উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে |

যেমন:
1.হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার, সংকোচন বল ও হার্দ উৎপাদ বৃদ্ধি করে |
2. BMR বৃদ্ধি করে এবং দেহতাপ নিয়ন্ত্রণ করে |
3. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ও শ্বসনের হার নিয়ন্ত্রণে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
4. উত্তেজনা, ক্রোধ, ভয় প্রভৃতি অবস্থায় এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে দেহকে আপৎকালীন বা সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে | 

Q2. ‘কোশচক্রের S দশাকে সংশ্লেষ দশা বলা হয়’ ─ বাক্যটির যথার্থতা বিচার করো । DNA ও RNA এর পার্থক্য উল্লেখ করো ।

উত্তর: DNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে বা প্রতিলিপিকরণ সম্পূর্ন হয় এই দশায় তাই এই দশাকে বলে সংশ্লেষ দশা ।একটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণু দৈর্ঘ্য বরাবর দুটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণুতে পরিণত হয়।হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় এই দশায়। S দশায় শেষে প্রতিটি ক্রোমোজম দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয় যারা সেন্ট্রোমিয়ার দ্বারা যুক্ত থাকে।প্রতিটি ক্রোমাটিডে একটি করে অপত্য DNA অবস্থান করে।







আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।