মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল Part 8

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সপ্তম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ভূগোল ও পরিবেশ উত্তর

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল Part 8

যে মহাদেশে আমাজন অববাহিকা অবস্থিত তার নাম বল।

উত্তরঃ আমাজন অববাহিকা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত।

আমাজন বেসিনের লোকেরা কী কী ফসল ফলায়।

উত্তর: আমাজন অববাহিকার লোকেরা যে ফসল চাষ করে তা হল ট্যাপিওকা, আনারস এবং মিষ্টি আলু।

আমাজনের রেইনফরেস্টে আপনি যে পাখিগুলি খুঁজে পেতে পারেন তার নাম বলুন।

উত্তর: আমাজনের রেইনফরেস্টে যে পাখিগুলো দেখা যেতে পারে সেগুলো হল টোকান, হামিং বার্ডস এবং বার্ডস অফ প্যারাডাইস, তাদের উজ্জ্বল রঙের প্লামেজ।

গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত প্রধান শহরগুলি কী কী?

উত্তর: গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত প্রধান শহরগুলি হল এলাহাবাদ, কানপুর, বারাণসী, লখনউ, পাটনা এবং কলকাতা।

এক শিংওয়ালা গন্ডার কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে একশৃঙ্গ গন্ডার পাওয়া যায়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল অ্যাসাইনমেন্ট

Toucans হল এক প্রকার

(a) পাখি

(খ) প্রাণী

(গ) ফসল

উত্তরঃ ক

ম্যানিওক এর প্রধান খাদ্য

(a) গঙ্গা অববাহিকা

(খ) আফ্রিকা

(c) আমাজন

উত্তরঃ গ

কলকাতা নদীর তীরে অবস্থিত

(a) একটি কমলা

(খ) হুগলি

(c) ভাগীরথী

উত্তরঃ খ

দেওদার এবং ফার এক প্রকার

(a) শঙ্কুযুক্ত গাছ

(b) পর্ণমোচী গাছ

(c) ঝোপঝাড়

উত্তরঃ ক

বেঙ্গল টাইগার পাওয়া যায়

(ক) পাহাড়

(b) ব-দ্বীপ এলাকা

(c) আমাজন

উত্তরঃ b

আমাজন জঙ্গল

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী বিধৌত অঞ্চলে অবস্থিত বিশাল বনভূমি। ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা পরিবেষ্টিত এই অরণ্যের প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকাটি মূলত আর্দ্র জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত। ৯ টি দেশ জুড়ে এই অরণ্য বিস্তৃত। আমাজন অরণ্য ৬০% রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩% রয়েছে পেরুতে এবং বাকি অংশ রয়েছে কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম ও ফরাসি গায়ানা।

পৃথিবী জুড়ে যে রেইনফরেস্ট তার অর্ধেক টাই এই অরণ্য নিজেই। নানা রকম প্রজাতির বাসস্থান হিসেবে সমৃদ্ধ এই আমাজন।এই বনে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে যেগুলো প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত।

আমাজন জঙ্গলে বিরল প্রজাতির প্রাণী মানুষ যারা রয়েছে যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। আমাজনে ৮৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। অনিন্দ্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিপজ্জনক অনেক প্রাণীই আমাজনে বসবাস করে। আমাজনে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর সাপ অ্যানাকোন্ডা। এছাড়া রয়েছে লাল চোখা ব্যাঙ, বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়, জাগুয়ার, বানর, বৈদ্যুতিক ইল, পিরানহা, বিষাক্ত ডার্ট ফ্রগসহ অসংখ্য বিষাক্ত জাতের সাপ ও বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ প্রাণী।[১]

আমাজনে প্রায় ৩৯০ বিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে যা প্রায় ১৬ হাজার প্রজাতিতে বিভক্ত। হরেক রকমের গাছপালা দিয়ে আবৃত এ বনে বেশির ভাগই চিরহরিৎ বৃক্ষ। তাই এ বনকে চিরহরিৎ বনও বলা হয়। পৃথিবী জুড়ে যেসব রেইনফরেস্ট রয়েছে তার অর্ধেকটাই এ অরণ্য। তাই একে রেইন ফরেস্টও বলা হয়। আমাজনকে রেইনফরেস্ট বলা হলেও এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে এখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় বরং রেইনফরেস্ট বলা হয় এখানকার অত্যধিক আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত (বর্ষা মৌসুমে) এবং গরম আবহাওয়ার কারণে। প্রচণ্ড গরমের কারণে বাষ্পীভবনের হার অনেক বেশি যার কারণে আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাত বেশি হয়।

আমাজন অরণ্যের গুরুত্ব অনেক। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। এর জন্যে একে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। আমাজন পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি। এই বনের নদী বা আমাজন নদী বেশির ভাগ নদীর উৎস। এই নদী বিশ্বে প্রচুর পানির যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়াও আমাজনে ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড়, ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরিসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। পাশাপাশি আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী আছে।

আমাজন নদী

আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর উৎসস্থল পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদো মিস্‌মি নামক চূড়া হতে। আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৩০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে তিনটি দেশ বিধৌত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। এই নদী যে পরিমাণ জল ধারণ করে তা বিশ্বের যেকোন নদীর তুলনায় বেশি। আমাজন নদী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৪.২ মিলিয়ন ঘন ফুট জল সাগরে গিয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট।

এটি গড়ে প্রায় ২,০৯,০০০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (৭৪,০০,০০০ ঘনফুট/সে) বহন করে সাগররে দিকে নিয়ে যায়, যা এর পরবর্তী সাতটি সম্পূর্ণ ভিন্ন নদীর জলের সমান। আমাজন মোট বৈশ্বিক জলের প্রায় ২০ ভাগ জল সমুদ্রে বহন করে।[৬] আমাজনের অববাহিকা হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জল নিষ্কাষনকারী অববাহিকা, যার প্রায় ৭০,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার (২৭,২০,০০০ মা২)। শুধুমাত্র ব্রাজিলে অবস্থিত। অববাহিকাটি অন্য যে কোন অববাহিকার তুলনায় বড়। আমাজন ব্রাজিলে শুধুমাত্র তার পুরো প্রবাহের পাঁচ ভাগের একভাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং সবশেষে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে মেশে। তবুও সেখানেই সবথেকে বড় প্রবাহ রয়েছে, যা অন্যান্য নদীর চেয়ে বেশি।

আমাজন নদীর অজানা বিষয়

  • আমাজন নদীর ছোট ছোট নালা প্রবাহিত হয়েছে আমাজন বনভূমির মধ্য দিয়ে। আর এ কারণেই জীববৈচিত্র্যের দিক দিয়ে বিশাল এ বনভূমি বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, এই আমাজন বনভূমি কমপক্ষে এক মিলিয়ন কীটপতঙ্গ, প্রায় ২০০০ জীবজন্তু ও পাখি, ৪০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদসহ মোট ৩৯০ বিলিয়ন বিভিন্ন বৃক্ষের আবাসস্থল।
  • এতোবড় একটি নদীর ওপর কোনো সেতু নেই, এটি শুধুই একটি নদী। এটির চারপাশে শুধু ঘন সবুজ বনভূমির অবস্থানই নয়, আরও রয়েছে আকাশ থেকে প্রাণভরে উপভোগ করার মতো নজরকাড়া সব দৃশ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নদীর দু’পাশে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতি আছে। যারা শুধু নৌকার সাহায্যে এক পার থেকে আরেক পারে যাতায়াত করে।
  • বিশ্বের দীর্ঘতম নদী কোনটি এ বিষয়ে আমাজন ও আফ্রিকার নীলনদকে নিয়ে অনেক বিতর্কই আছে। তবে আকৃতি ও পানিধারণ ক্ষমতার বিষয়ে আমাজনের কোনো প্রতিদ্বন্দী নেই। এটি সন্দেহাতীতভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম নদী যা বছরে প্রতি সেকেন্ড ২ লাখ ৯ হাজার কিউবিক মিটার পানি অবমুক্ত করে ও মিলিত হয় আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে। এর ফলে সাগরটির ২৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে লবণাক্ততা অনেকটাই কমে যায়।
  • আমাজন নদী প্রবাহিত হয়েছে কলম্বিয়া, ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা ও পেরুর ওপর দিয়ে তবে ব্রাজিলের ওপর দিয়ে একটু বেশি। তবে আমাজন তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টের তাজা পানির স্পর্শ পেয়েছে আরও বেশি দেশ।
  • বর্তমানে দাপুটে আমাজন নদী আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে প্রবাহিত হয়। তবে অতীতে সব সময় যে এমনটি ঘটতো তা কিন্তু নয়। বহু বছর আগে নদীটি প্রবাহিত হতো পশ্চিম দিকে। পরবর্তীতে ভূ-পৃষ্ঠ কাত হওয়ার ঘটনায় নদীটির গতিপথ পাল্টে যায় ও এটি পূর্বদিকে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। রেকর্ডপত্র থেকে জানা যায়, এই পরিবর্তনের মূলে ছিলো নদীভাঙন। যার সাথে ছিলো বড়সড় কিছু ভৌগলিক পরিবর্তন।

আমাজন জঙ্গলের মানুষ

এই বনে বড় ৩০০শ এর বেশি আদিবাসী বাস করে। মোট আদিবাসী নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০লাখেরও বেশি। তারা বেশির ভাগ ব্রাজিলীয়। এছাড়া তারা পর্তুগীজ, স্প্যানিস ইত্যাদি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু যাযাবর। এদের বহিঃবিশ্বের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই।

বিশদে পাড়ার জন্য

পারুল প্রকাশনী – অল ইন ওয়ান ভুগোল (ভূগোল) ক্লাস – 7 এর জন্য রেফারেন্স

পারুল প্রকাশনী – অল ইন ওয়ান ভুগোল (ভূগোল) ক্লাস – 7 এর জন্য রেফারেন্স

FAQ | আমাজন

Q1. আমাজন জঙ্গলের ইতিহাস

Ans – বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম এই  জঙ্গল টির সৃষ্টি হয়েছিল আনুমানিক সাড়ে 5 কোটি বছর আগে। এর আগেই ভূপৃষ্ঠের টেকটোনিক প্লেটগুলোর চলনের  ফলে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা এই  দুটো ভূখণ্ডের  মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।  দুই মহাদেশের  মধ্যবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের আয়তনও একই সাথে  বৃদ্ধি পায়।

একই  সময় পৃথিবীর ক্রান্তীয় এলাকার তাপমাত্রা এবং সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও  বেড়ে যায়। যার ফলে আমাজন নদীর অববাহিকায় বিশাল এই  বনাঞ্চলটির  সৃষ্টি হয়। সূচনা থেকে পূর্ণাঙ্গ জঙ্গলে পরিণত হতে আমাজনের সময় লেগেছিল প্রায় দুই কোটি বৎসর। অবশ্য  বাণিজ্যিক কারণে বনাঞ্চল ধ্বংসের শুরুর আগে দক্ষিণ আমেরিকার পুরো  পূর্ব উপকূল জুড়ে এই  জঙ্গলের বিস্তৃতি ছিল। 

Q2. আমাজন জঙ্গলের মানুষ

Ans – এই বনে বড় ৩০০শ এর বেশি আদিবাসী বাস করে। মোট আদিবাসী নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০লাখেরও বেশি। তারা বেশির ভাগ ব্রাজিলীয়। এছাড়া তারা পর্তুগীজ, স্প্যানিস ইত্যাদি ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও এদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু যাযাবর। এদের বহিঃবিশ্বের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই।

আমাজনের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকায় আদিবাসীদের বসবাস। ওই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত।

Q3. আমাজন জঙ্গল কোন দেশে অবস্থিত

Ans – আমাজন নদীর অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত আমাজন জঙ্গলের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ মূলত  নয়টি দেশের হাতে রয়েছে। যদিও শতকরা প্রায় 60 ভাগ বনাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী ব্রাজিলের সীমানাতেই জঙ্গলটির বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যমান। 
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম নদী গুলোর একটি। প্রায় 7 হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আমাজন বিশ্বের দীর্ঘতম নদীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মিশরে অবস্থিত নীলনদের দৈর্ঘ্য আমাজনের চেয়ে বেশি। 


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।