মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা, মানবদেহে, Model Activity Task Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে, মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত, মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম, মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয় পৌঁছায়, মানবদেহে কিভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে যায়, মানবদেহে কীভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে পৌঁছোয়

উত্তর: বিশুদ্ধ রক্ত প্রথমে ফুসফুসীয় শিরার মাধ্যমে পৌঁছোয় বাম অলিন্দে । বাম অলিন্দ সংকুচিত হলে সেই বিশুদ্ধ রক্ত বাম অলিন্দের নিচে থাকা দ্বিপত্রক কপাটিকা নামের একমুখী দরজা দিয়ে বাম নিলয়ে পৌঁছোয় ।

বাম অলিন্দ ও ডান অলিন্দ রক্ত দ্বারা পূর্ণ হলে সংকুচিত হতে শুরু করে। তখন বাম নিলয় ও ডান নিলয় প্রসারিত হতে শুরু করে । তখন ডান অলিন্দের রক্ত ত্রিপত্র কপাটিকার (ট্রাইকাসপিড ভালভ) মধ্য দিয়ে ডান নিলয়ে এবং বাম অলিন্দের রক্ত দ্বিপত্রক কপাটিকার মধ্য দিয়ে বাম নিলয়ে পৌছায়।

মানবদেহে কোথায় অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়

মানবদেহের মাথার করোটিতে অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়।

স্থাবর জয়েন্ট / সিনার্থোসিস জয়েন্টগুলি স্থির জয়েন্ট হিসাবেও পরিচিত। এগুলি এমন জয়েন্ট যা চলমান নয়। এই জয়েন্টগুলি মানুষের কঙ্কালের খুলি অঞ্চলে পাওয়া যায়। ম্যান্ডিবল (নিচের চোয়াল) ব্যতীত মানুষের মাথার খুলি স্থির/স্থাবর জয়েন্টগুলির জয়েন্ট দিয়ে গঠিত। মাথার খুলির হাড় স্থির সেলাই দ্বারা যুক্ত থাকে যাতে মস্তিষ্কের জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক এবং শক্তিশালী গহ্বর তৈরি হয়।

বাহু এবং পা চলন্ত জয়েন্ট দ্বারা সংযুক্ত করা হয়। উদাহরণ; হাঁটু এবং কনুই এর জয়েন্টগুলোতে। কশেরুকার কলামে কশেরুকা থাকে যা সামান্য চলমান জয়েন্টের উদাহরণ।

মানবদেহে ক্রোমোজোম সংখ্যা কয়টি

২৩ জোড়া বা ৪৬ টি। এদের মধ্যে ২২ জোড়া অটোজোম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম।

মানবদেহে সাধারণত ২৩ জোড়া ক্রোমেমােজোম থাকে। এর মধ্যে ২২ জােড়া স্ত্রী ও পুরুষে একই রকম। এদের অটেজোম বলা হয়। বাকি এক জোড়া মানুষের লিঙ্গ নির্ধরণ করে বলে এদের সেক্স ক্রোমোজোম বলে।

মানবদেহে খাবার যে পথে হজম হয়, মানবদেহে খাবার যে পথে হজম হয় তার সঠিক কোনটি, মানবদেহে খাবার যে পথে হজম হয় তার সঠিক ক্রমটি কি, মানবদেহে খাবার যে পথে হজম হয় তার সঠিক ক্রমটি লেখ, মানবদেহে খাবার হজমের পথ,
মানবদেহে খাবার হজমের সঠিক ক্রম

উত্তরঃ মুখবিবর>গ্রাসনালী>পাকস্থলী>ক্ষুদ্রান্ত।

মানবদেহে খাবার হজমের প্রক্রিয়া

হজম শুরু হয় মুখে। আপনি যখন খাবার চিবেন এটি লালা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্র হয়। লালাতে এনজাইম রয়েছে যা স্টার্চ ভাঙ্গতে শুরু করে।

গিলে খাওয়া প্রবেশ করে খাদ্যনালী যা সংযোগ স্থাপন করে গলা এবং পেট। খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর সংযোগস্থলে একটি পেশীর রিং থাকে। এটি খাদ্যনালীর নীচের স্ফিংকটার, যা খাওয়া খাবারের চাপে খোলে এবং এটি পেটে প্রবেশ করে passes

পেটে আছে তিনটি প্রাথমিক কাজ:

  1. সংগ্রহস্থল। প্রচুর পরিমাণে খাবার বা তরল তৈরি করতে পেটের উপরের অংশের পেশী শিথিল করে। এটি অঙ্গগুলির প্রাচীরগুলি প্রসারিত করতে দেয়।
  2. মিশ। পেটের নীচের অংশটি খাদ্য এবং গ্যাস্ট্রিক রসের সাথে তরল মিশ্রিত হয়ে যায়। এই রস হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং হজম এনজাইম সমন্বিত, যা প্রোটিনের ভাঙ্গনে সহায়তা করে। পেটের দেয়ালগুলি প্রচুর পরিমাণে শ্লেষ্মা সঞ্চার করে, যা তাদের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
  3. পরিবহন। মিশ্র খাদ্য পেট থেকে ছোট অন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে।

পেট থেকে, খাদ্য ছোট অন্ত্রের উপরের অংশে যায় – দ্বৈত। এখানে খাবারের রসটি প্রকাশিত হয় অগ্ন্যাশয় এর এবং এনজাইম ছোট অন্ত্রেরযা চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট হজমে এইডস।

এখানে লিভার দ্বারা উত্পাদিত পিত্তে খাদ্য প্রক্রিয়া করা হয়। খাবারের মধ্যে, পিত্ত জমা হয় পিত্তকোষ। খাওয়ার সময় এটি ডুওডেনামে ঠেলে দেওয়া হয়, যেখানে এটি খাবারের সাথে মিশে যায়।

পিত্ত অ্যাসিডগুলি প্যান থেকে ফ্যাট হিসাবে প্রায় একইভাবে অন্ত্রের সামগ্রীতে চর্বি দ্রবীভূত করে: এগুলি ছোট ছোট ফোঁটাগুলিতে বিভক্ত হয়। চর্বি ছড়িয়ে দেওয়ার পরে, এটি এনজাইম দ্বারা সহজেই উপাদানগুলিতে বিভক্ত হয়।

বিভক্ত এনজাইমগুলি থেকে প্রাপ্ত পদার্থগুলি ছোট অন্ত্রের প্রাচীরের মাধ্যমে শোষিত হয়।

ছোট অন্ত্রের শ্লেষ্মাটি ক্ষুদ্র তন্তুগুলির সাথে আচ্ছাদিত থাকে যা একটি বিশাল পৃষ্ঠতল অঞ্চল তৈরি করে, যার ফলে এটি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।

বিশেষ কোষগুলির মাধ্যমে, অন্ত্র থেকে এই পদার্থগুলি রক্তে প্রবেশ করে এবং সঞ্চয় বা ব্যবহারের জন্য সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

খাবারের অপরিশোধিত অংশটি আসে বড় অন্ত্র মধ্যে যা জল এবং কিছু ভিটামিন শোষণ সঞ্চালিত হয়। হজমের পরের বর্জ্যগুলি মলটিতে পরিণত হয় এবং এর মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয় মলদ্বার।

মানবদেহে প্লীহার অবস্থান ও দুটি ভূমিকা, মানবদেহে প্লীহার অবস্থান ও দুটি ভূমিকা pdf, মানবদেহে প্লীহার অবস্থান ও দুটি ভূমিকা উল্লেখ কর, মানবদেহে প্লীহার অবস্থান ও দুটি ভূমিকা উল্লেখ করো, মানবদেহে প্লীহার অবস্থান ও ভূমিকা, মানবদেহে প্লীহার দুটি ভূমিকা, মানবদেহে প্লীহার দুটি ভূমিকা উল্লেখ করো

  • মানবদেহে প্লীহা নামক অঙ্গটি উদরের বামপাশ বরাবার একটু উপরের দিকে অবস্থান করে।
  • প্লীহার বহুল প্রচলিত সাধারণ বাংলা নাম হলো পিলে। এই প্লীহা হলো আমাদের দেহে সংবহন তন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ (রক্ত এবং লসিকা উভয় সংবহন তন্ত্রের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য)।

মানবদেহের প্লীহার ভূমিকা

  • লিভারের অবস্থিত রেটিকুলো এনডোথেলিয়াল তন্ত্রের আগ্রাসন কোষ (RE কোষ) ডিমের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
  • RE কোয়াশ জীর্ণ ও বয়স্ক রক্ত কোষকে বিনষ্ট করে।
  • এছাড়া রক্তে উপস্থিত জীবাণুর সাথে মোকাবিলা করা, রক্তকোষের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ক্ষয়প্রাপ্ত লোহিত রক্তকণিকাকে আলাদা করা ইত্যাদিও প্লীহার কাজ।

মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের কলার বর্ণনা দাও

প্রাণী টিস্যুকে তার গঠন, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের নিঃসৃত পদার্থের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :

  • আবরণী কলা (Epithelial tissue)
  • যোজক কলা (connective tissue)
  • পেশী কলা (Muscular tissue)
  • স্নায়ুকলা (Nervous tissue)

১। আবরণী কলা : আবরণী কলার কোষগুলো ঘন সন্নিবেশিত এবং একটি ভিত্তি পর্দার উপর বিন্যস্ত থাকে। সাধারণ আবরণী কলা তিন ধরনের হয়।

  • স্কোয়ামাস আবরণী কলা : এ টিস্যুর কোষগুলো মাছের আঁশের মতো চ্যাপ্টা এবং এর নিউক্লিয়াস বড় আকারের হয়। দেহের সংশ্লিষ্ট অঙ্গকে রক্ষা করা এর প্রধান কাজ। এছাড়া এর মাধ্যমে তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের আদান-প্রদান ঘটে।
  • কিউবয়ডাল আবরণী কলা : এ টিস্যুর কোষগুলো কিউব আকৃতির। পরিশোষণ ও আবরণ তৈরি করা এর প্রধান কাজ।

| যোজক কলা: যোজক কলা এক ধরনের আঁশবহুল কলা, যেটি মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গ অথবা কলাকে সমর্থন করে, যুক্ত করে অথবা বিচ্ছিন্ন করে। এটি চার ধরনের কোষকলার একটি (অপর তিনটি হচ্ছে আবরণী, পেশি ও স্নায়ুকলা)।

  • প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ অথবা একই অঙ্গের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্তকারী এই কলা কঙ্কাল গঠন করে দেহ কাঠামো প্রদান করে, বিভিন্ন পদার্থ পরিবহণে অংশ নেয়, ক্ষতিকারক পদার্থ ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে, ক্ষত নিরাময়ে অংশগ্রহণ করে এমন কি দেহস্থ তাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উৎপত্তি লাভকারী এ কলার কোষের সংখ্যা কম এবং কোষগুলো নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত না থেকে মাতৃকা বা ধাত্র বা ম্যট্রিক্সের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে তবে এতে রক্ত বাহিকা উপস্থিত।
  • গঠন প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে এদেরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- প্রকৃত যোজক কলা (Proper Connective Tissue), কঙ্কাল যোজক কলা (Skeletal Connective Tissue) এবং তরল যোজন কলা (Fluid Connective Tissue)।

৩ | পেশী কলা: ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভূত যে কলা অসংখ্য তন্ত্রর মতো কোষের সমন্বয়ে গঠিত এবং সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে প্রাণী দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন ঘটায় তাকে পেশি কলা বলে।

যেমন- মসৃন পেশি, অমসৃণ পেশি, হৃদপেশি। দেহ ওজনের শতকরা প্রায় ৪০-৫০ ভাগ পেশি কলা।

পেশিকলার বৈশিষ্ট্য :-

• ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে পেশি কলা উৎপন্ন হয়।

• মায়োব্লাস্ট নামক আদিকোষ রূপান্তরিত হয়ে তন্তুর মতো লম্বা পেশিকোষে রূপান্তরিত হয়।

• পেশিকোষের আবরণীকে সারকোলেমা এবং সাইটোপ্লাজমকে সারকোপ্লাজম বলে।

• সারকোপ্লাজমের মধ্যে পরস্পর সমান্তরালভাবে অবস্থিত অসংখ্য মায়োফাইব্রিল নামক সূক্ষ্ম তন্তু থাকে। • মায়োফাইব্রিলগুলো অ্যাকটিন ও মায়োসিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত।

• পেশি কলার কোষগুলোর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা খুব বেশী। এদের ৭৫% পানি এবং অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন প্রকার কঠিন পদার্থ ।

৪ | স্নায়ুকলা : যে কলা দেহের সব ধরনের সংবেদন এবং উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং তা পরিবহনের মাধ্যমে উদ্দীপনা অনুসারে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করে, সেটাই স্নায়ুটিস্যু বা স্নায়ুকলা। বহুসংখ্যক স্নায়ুকোষ বা নিউরনের সমন্বয়ে স্নায়ুটিস্যু গঠিত। নিউরনই স্নায়ুতন্ত্রের গঠন এবং কার্যক্রমের একক।

স্নায়ুকলার কাজঃ স্নায়ুকলার কাজ হলো–

  1. উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করা।
  2. উদ্দীপনা বা ঘটনাকে মস্তিষ্কে ধারণ করা।
  3. দেহের বিভিন্ন ধরনের শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।

মানবদেহে লসিকার দুটি ভূমিকা উল্লেখ করো

লসিকা হচ্ছে দেহের টিস্যু রস। দেহের সমস্ত টিস্যু রক্তপূর্ণ কৈশিকজালিকায় বেষ্টিত থাকে। রক্তের কিছু উপাদান কৈশিকজালিকার প্রাচীর ভেদ করে কোষের চারপাশে অবস্থান করে। এ উপাদানগুলােকে একসাথে লসিকা বলে। এ টিস্যুরসে লােহিত কণিকা, অণুচক্রিকা এবং রক্তে প্রাপ্ত অধিকাংশ প্রােটিন অনুপস্থিত। লসিকাকে দুটি অংশে ভাগ করা যায়, যেমন কোষ উপাদান ও কোষবিহীন উপাদান। লসিকার কোষ উপাদান হলাে শ্বেতকণিকার লিম্ফোসাইট।

প্রতি ঘন মিলিলিটার লসিকায় প্রায় ৫০০-৭৫০০০ লিম্ফোসাইট রয়েছে। লসিকার কোষবিহীন উপাদানের মধ্যে রয়েছে ৯৪% পানি এবং ৬% কঠিন পদার্থ। কঠিন পদার্থের মধ্যে প্রােটিন, লিপিড, শর্করা, ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন, এনজাইম, অ্যান্টিবডি, অজৈব পদার্থ ইত্যাদি প্রধান। লসিকায় অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন, ফাইব্রিনােজেন ও সামান্য প্রোথম্বিন জাতীয় প্রােটিন থাকে।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় লসিকায় ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলে লসিকায় ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং লসিকা দুধের মতাে সাদা দেখায়। এ ধরনের লসিকাকে কাইল (chyle) বলে। মানবদেহ ১-২ লিটার লসিকা ধারণ করে।

লসিকার কাজ

  • টিস্যুর ফাঁকা জায়গা থেকে অধিকাংশ প্রোটিন লসিকার মাধ্যমে রক্তে ফিরে আসে। যে সব স্নেহটিস্যু কৈশিকনালির বাধা অতিক্রমে অক্ষম সেগুলো লসিকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।
  • দেহের যে সব টিস্যুকোষে রক্ত পৌঁছাতে পারে না সেখানে লসিকা অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। স্নেহ পদার্থ অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে লসিকার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।
  • লসিকায় অবস্থিত লিম্ফোসাইট দেহের প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে। B লিম্ফোসাইট থেকে উৎপন্ন অ্যান্টিবডি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • রক্ত সংবহনের এক অংশ থেকে অন্য অংশে তরল পদার্থের পরিবহনে লসিকা অংশ নেয় এবং বিভিন্ন অঙ্গে টিস্যুর গাঠনিক অখন্ডতা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহে কোন তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়

থ্যালাসেমিয়া রােগে মানবদেহের লিভার, প্লীহা, হৃদপিন্ড প্রভৃতি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

মানবদেহে adh এর গুরুত্ব কি কি, মানবদেহে adh-এর গুরুত্ব কী কী

ভ্যাসোপ্রেসিন (ইংরেজি: Vasopressin), যা অ্যান্টিডাইইউরেটিক হরমোন বা ADH, আর্জিনিন ভ্যাসোপ্রেসিন, আর্জিপ্রেসিন নামেও পরিচিত, যা অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণির নিউরো-হাইপোফাইসিয়াল হরমোন। এর দুটি প্রধান কাজ হলো শরীরে জল ধরে রাখা এবং রক্ত বাহক (blood vessel) কে সংকোচন করা।

  • এটি প্রধানত হোমিওস্ট্যাসিসের জন্য দায়ী।
  • সঠিক সেলুলার ফাংশন বজায় রাখে।
  • ADH সক্রিয়ভাবে শরীরে পানির পরিমাণ নিরীক্ষণ করে এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করে।
  • এটি কিডনি এবং রক্তনালীতে কাজ করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
  • এটি প্রস্রাবের জলকে কিডনির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেয় এবং এইভাবে, প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত জলের পরিমাণ হ্রাস করে যার ফলে শরীরে তরলের পরিমাণ সংরক্ষণ করে।

মানবদেহে অটোজোমের সংখ্যা কত, মানবদেহে অটোজোমের সংখ্যা হল

মানবদেহে অটোজোমের সংখ্যা ২২ জোড়া ।

মানবদেহে অপটিক স্নায়ুর সংখ্যা কত, মানবদেহে অপটিক স্নায়ুর সংখ্যা নিরূপণ করো

মানবদেহে ১২ জোড়া করোটিক স্নায়ু রয়েছে ।

মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ, মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো

উত্তর: আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। আয়োডিনের অভাব হলে থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায় এবং গলা অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায়। একেই গয়টার বা গলগন্ড বলা হয়।

উৎস:

  • (১) প্রাণিজ উৎস যেমন-সামুদ্রিক মাছ (তাজা/শুটকি)
  • (২) প্রাকৃতিক উৎস যেমন-সামুদ্রিক আগাছা
  • (৩) আয়োডিন মিশ্রিত খাবার লবণ
  • (৪) এছাড়াও যেসব এলাকায় মাটিতে আয়োডিন আছে সেসব এলাকায় সবজিতেও পাওয়া যায়।

কাজ :

  • (১) থাইরক্সিন নামক হরমোন তৈরীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
  • (২) শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
  • (৩) মানব দেহে যে কোন রাসায়নিক পরিবর্তনে জন্য সাহায্য করে।
  • (৪) গ্রহণকৃত খাবার হজমশক্তি, আত্মীকরন, শোষণ, সংগ্রহণ ও মল নিঃসরণ সহয়তা করে।
  • (৫) শরীরে তাপমাত্রা রক্ষা করে।
  • (৬) শরীরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পুষ্টি উপাদান পৌছায়।
  • (৭) শরীরের জোড়া অংশ নড়াচড়ায় জন্য সাহায্য করে।
  • (৮) শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়।

আয়োডিনের অভাবে কি হয়:

শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজনীয় থাইরোয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় না। আয়োডিনের অভাবে যখন শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয় না তখন তাকে হাইপোথাইরয়ডিজম বলা হয়। এর ফলে আলসেমির ভাব, ঠাণ্ডা সহ্য করতে অক্ষমতা, অনিদ্রা, চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আয়োডিনের অভাব হলে, হাইপোথাইরয়েডিজম, অটো ইমিউন ডিজিজ, গলগণ্ড ইত্যাদি সমস্যা হয়।

মানবদেহে উৎসেচক এর গুরুত্ব উল্লেখ করো, মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব, মানবদেহে উৎসেচকের গুরুত্ব উল্লেখ করো

সাধারণত প্রোটিন ধর্মী যে দ্রবণীয় জৈব অনুঘটক সজীব কোষে উৎপন্ন হয় কিন্তু ওই কোষের নিয়ন্ত্রণাধীনে না থেকে না না ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে, তাদের উৎসেচক বলে।

উৎসেচকর বৈশিষ্ট্য | Characteristics of enzymes

  • একটি উৎসেচক কেবল একটি নির্দিষ্ট সাবসট্রেটের ওপর কাজ করতে পারে। উৎসেচকের যে বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে তাকে সাবসট্রেট বলে।
  • উৎসেচকের অনুঘটক হিসাবে কাজ করে এবং বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে, বিক্রিয়ার শেষে উৎসেচকের কোনরকম রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন হয় না।
  • উৎসেচক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে শুরু করতে পারে না, কেবল রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে বাড়ায় বা কমায়।
  • উৎসেচকের সক্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত   তাপমাত্রায় উৎসেচকের ক্রিয়া ভালো হয়। বেশী তাপে উৎসেচকের ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।

মানবদেহে করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা কত, মানবদেহে করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা নিরূপণ করো

মানবদেহে ১২ জোড়া করোটিক স্নায়ু রয়েছে ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 5 স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা

মানবদেহে অটোজোমের সংখ্যা কত,
মানবদেহে অটোজোমের সংখ্যা হল ২২ জোড়া ।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।