দ্রবণ কাকে বলে, মোলার দ্রবণ কাকে বলে, বাফার দ্রবণ কাকে বলে, সম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে, প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

দ্রবণ কাকে বলে

দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রণ এর যে কোনো অংশের উপাদান ,গঠন ও ধৰ্ম একই হয় এবং উপাদান গুলির আপেক্ষিক অনুপাত একটি নিৰ্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাড়ানো যায়  তাহলে ওই মিশ্রণ কে দ্রবণ বলে । যেমন – চিনির সরবত ।

দ্রবণ এর সংজ্ঞা

দুই বা ততোধিক পদার্থের সমসত্ব মিশ্রণের প্রতিটি অংশের উপাদান,গঠন এবং ধর্ম যদি একই থাকে এবং উপাদানগুলির আপেক্ষিক অনুপাত যদি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বাড়ানো যায়, তাহলে ওই মিশ্রণকে দ্রবন বলে।

দ্রবণ কত প্রকার

ভৌত অবস্থার উপর ভিত্তি করে দ্রবণকে মোটামুটি ছয় ভাগে ভাগ করা যায়।

ক) তরলে কঠিনের দ্রবণ

তরল দ্রাবকের মধ্যে কঠিন দ্রাব মেশালে কঠিন পদার্থের সমসত্ব দ্রবণ উৎপন্ন হয়। জলের মধ্যে চিনি, তুঁতে, লবণ ইত্যাদি মেশালে এইরকম দ্রবণ উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাই সালফাইডে সালফার, ফসফরাস দ্রবীভূত হয়ে একই রকম দ্রবণ সৃষ্টি করে। মোম, রবার ইত্যাদি কার্বন টেট্রাক্লোরাইডে এবং গালা ও নানাবিধ রজন অ্যালকোহলের দ্রবীভূত হয় অ্যাসিটোন, ক্লোরোফরম , বেনজিন, পেট্রোল ইত্যাদি দ্রাবকরূপে ব্যবহৃত হয়।

খ) তরলে তরলের দ্রবণ

তরলের মধ্যে তরল দ্রবীভূত হয়ে যে সমসত্ব মিশ্রণ পাওয়া যায়, তাকে তরলের তরলের দ্রবন বলে। জলের মধ্যে অ্যালকোহল বা গ্লিসারিন মেশালে এই জাতীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয়।

গ) তরলে গ্যাসের দ্রবণ

জলের মধ্যে জলে দ্রাব্য গ্যাস,যেমন এমোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইড প্রকৃতিক গ্যাস বিভিন্ন পরিমাণে মেশালে তরলে গ্যাসের দ্রবন তৈরি হয়। সোডা ওয়াটার হল জলে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের দ্রবণ। অক্সিজেন গ্যাস জলে সামান্য দ্রবীভূত হয়। চাপ বাড়ালে তরলে গ্যাসের দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।

ঘ) গ্যাসে গ্যাসের দ্রবণ

একটি গ্যাসের সঙ্গে অন্য কোন গ্যাস (পরস্পর বিক্রিয়া না ঘটলে) মিশিয়ে গ্যাসের দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়। বায়ু এইরকম মিশ্রণের উদাহরণ।

ঙ) কঠিন কঠিনের দ্রবণ

দুটি কঠিন ধাতু সমসত্ব ভাবে মিশে যে মিশ্র ধাতু উৎপন্ন করে তাকে কঠিন দ্রবন বলে। যেমন তামা ও দস্তা মিশে পিতল উৎপন্ন করে। তামা ও টিনের মিশে কাসা উৎপন্ন করে।

চ) কঠিনে গ্যাসের দ্রবণ

প্যালাডিয়াম নিকেল ইত্যাদি কতগুলি ধাতু উত্তপ্ত অবস্থায় হাইড্রোজেন গ্যাস শোষণ করে যে সমসত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন করে তাকে কঠিনে গ্যাসের দ্রবন বলে।

দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

দ্রবণের নিচের বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবেই : –

  • দ্রবণ সর্বদা সমসত্ব হবে,অর্থাৎ দ্রবণের সব অংশের ভৌত ধর্ম এবং গঠন একই হবে।
  • দ্রবণের মধ্যে দ্রাবের কণাগুলি খালি চোখে দেখা যাবে না। এমনকি খুব শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও কনা গুলিকে দেখা যাবে না।
  • পরিস্রাবণ প্রক্রিয়া দ্বারা দ্রাবকে দ্রবন থেকে পৃথক করা যাবে না।
  • দ্রবণ কে স্থিরভাবে অনেকক্ষণ রেখে দিলেও দ্রাবের কণাগুলি কখনো থিতিয়ে পড়বে না।।
  • ভৌত পদ্ধতিতে (বাষ্পীভবন, কেলাসন) দ্রাব এবং দ্রাবক পৃথক করা যায়।যেমন পড়লে কঠিন এর দ্রবণে তাপ দিলে তরল দ্রাবক বাষ্পীভূত হয়ে চলে যায় এবং কঠিন দ্রাব পৃথক হয়ে পড়ে।
  • তরলের তরল দ্রবণের আংশিক পাতন করে তরল দুটিকে পৃথক করা যায়।
  • দ্রবণ প্রস্তুতির সময় তাপ উৎপন্ন বা তাপ শোষিত হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।
  • কোন কঠিন এর জলীয় দ্রবণের বর্ণ, দ্রাবের বর্ণের মত হয়; যেমন তুতের বর্ণ নীল, তাই এর জলীয় দ্রবণের বর্ণ নীল।
  • দ্রবণের উষ্ণতা পরিবর্তন করে দ্রবণে দ্রাবকের পরিমাণ পরিবর্তন করা যায়।
  • তরলে গ্যাসের দ্রবন বা কঠিন এ গ্যাসের দ্রবণ কে উত্তপ্ত করলে গ্যাস পৃথক হয়ে যায়।

দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের সূত্র

দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের সূত্র: মোলার ঘনমাত্রা = মোল সংখ্যা ÷ আয়তন।

মোলার দ্রবণ কাকে বলে

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রবণের প্রতি লিটার আয়তনে এক মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে সে দ্রবণকে ঐ দ্রবের মোলার দ্রবণ বলে।

যেমন H₂SO₄ এর আণবিক ভর 98। একটি দ্রবণের প্রতি লিটারে 98g H₂SO₄ দ্রবীভূত থাকলে সে দ্রবণটি H₂SO₄ এর মোলার দ্রবণ হবে।

এক লিটার দ্রাবকে এক মোল দ্রব্য দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণের ঘনমাত্রা 1 mol / L বা 1M হয়। যেহেতু মোলার দ্রবণের নিদিষ্ট আয়তনে দ্রব্যের পরিমাণ নির্দিষ্ট বা জানা থাকে সেহেতু মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ।

মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ ব্যাখ্যা করো, মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ

যে দ্রবণের ঘনমাত্রা আমাদের জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার বা 1000 মিলি দ্রাবকে কোন পদার্থের 1 মোল দ্রব্য দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে।

এক লিটার দ্রাবকে এক মোল দ্রব্য দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণের ঘনমাত্রা 1 mol / L বা 1M হয়।

যেহেতু মোলার দ্রবণের নিদিষ্ট আয়তনে দ্রব্যের পরিমাণ নির্দিষ্ট বা জানা থাকে সেহেতু মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ।

এ কারনে মোলার দ্রবণকে প্রমাণ দ্রবণ বলা হয়।

সেমি মোলার দ্রবণ কাকে বলে, সেমিমোলার দ্রবণ কি

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবণে যদি ০.৫ মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তবে তাকে সেমি মোলার দ্রবণ বলে।

মোলাল দ্রবণ কাকে বলে, মোলাল দ্রবণ

এক লিটার জলে ( বা কোন দ্রাব্যে ) গ্রাম মলিকিউলার ভরের কোন লবন দ্রবীভুত করাহয় তবে ঐ দ্রবন টিকে মোলার ( বা মোলাল ) দ্রবন বলে ।

মোলার দ্রবণ ব্যবহার অসুবিধাজনক কেন

মোলার দ্রবণ ব্যবহার করা অসুবিধাজনক কিছু কারণ এবং সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা নিম্নলিখিত:

১. পরিবেশ বিকর্ষণ: মোলার দ্রবণ সাধারণভাবে একটি ভাপুর পদার্থ, এবং এটি ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সময়ে পরিবেশের ভেতর উপস্থিত অন্যান্য দ্রবণ বা গ্যাসের সাথে মিশে যেতে পারে। এটি বিভিন্ন পদার্থের বা পদার্থের গুণমানের প্রভাব করতে পারে এবং পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করতে পারে, যা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

২. সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যকর জন্য ব্যবহার করা অনুমোদিত নয়: মোলার দ্রবণ বিশেষভাবে মূল্যবান প্রযুক্তি এবং উচ্চ শক্তিশালী দ্রবণ সাধারণভাবে খোলা নয়, এটি খুলে রাখার জন্য একটি বিশেষ কান্টেইনারে সংরক্ষণ করা হয়। মোলার দ্রবণের প্রচুর ব্যবহারের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট বা ত্বকের জন্য একটি প্রকার ক্রিম্পিং অনুভব করা।

৩. পুনর্ব্যবহার বা অপসারণে সমস্যা: মোলার দ্রবণ ব্যবহার করলে এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হয় না, যা একটি পরিবেশের প্রকার হতে পারে যা অপসারণের সময়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অপসারণ এবং প্রকৃত মাধ্যমে মোলার দ্রবণ সহ বিন্যাস হয়েছে তা ব্যক্তিগত ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত করতে পারে।

৪. বিপদ এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি: মোলার দ্রবণ সাধারণভাবে কান্টেইনারে সংরক্ষণ করা হয়, এবং এটি যে খোলা ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। প্রস্তুত দ্রবণের ক্ষেত্রে ত্রুটিযুক্তি অনুমোদিত নয়, এবং এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা সাবধানতা সাথে প্রয়োজন। যদি মোলার দ্রবণের ব্যবহার সঠিকভাবে না করা হয় তবে সেটি বিপদ এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

এই কারণের জন্য, মোলার দ্রবণ ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত, কোনো উদ্দীপনা নড়ে নেওয়া উচিত, এবং এটি সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। আপনি যদি মোলার দ্রবণ ব্যবহার করতে চান, তবে উপযুক্ত সেন্টিমিটার এককে মিটার অথবা মিলিমিটার এককে অনুমতি ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক উপকরণ ব্যবহার করুন।

বাফার দ্রবণ কাকে বলে, বাফার দ্রবণ কি

যে দ্রবণের সাথে অল্প পরিমাণ অম্ল, ক্ষার বা দ্রাবক যোগ করা হলেও দ্রবণের pH অপরিবর্তিত থাকে তাকে বাফার দ্রবণ (Buffer solution) বলা হয়।

অন্যভাবে বলা যায়, যে দ্রবণের সাথে এসিড ও ক্ষার যুক্ত করা হলেও দ্রবণের pH মানের কোনো প্রকার পরিবর্তন ঘটে না, সে সকল দ্রবণকে বাফার দ্রবণ বলা হয়।

সাধারণত দুর্বল অম্ল বা ক্ষার এবং এর লবণ দিয়ে বাফার দ্রবণ তৈরি হয়। যেমন- H₂CO₃ + NaHCO₃ ক্ষারীয় বাফার, CH₃COOH + CH₃COONa অম্লীয় বাফার। এটি কার্বনেট-বাইকার্বনেট বা কার্বনেট বাফার নামে পরিচিত। এ জাতীয় দ্রবণে দ্রবীভূত এসিড ও ক্ষারক প্রশমিত হয়। ফলে দ্রবণের pH মানের কোন পরিবর্তন হয় না। সকল বাফার দ্রবণসমূহের নির্দিষ্ট pH সীমা আছে যা pH পরিবর্তনের আগে দ্রবনে কি পরিমান অম্ল/ক্ষারকে নিরপেক্ষ করা যায় তা নির্দেশ করে।

বাফার দ্রবণ এর প্রকারভেদ

বাফার দ্রবণ দুই প্রকার। যেমন

  1. অম্লীয় বাফার ও
  2. ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ।

অম্লীয় বাফার দ্রবণ

মৃদু এসিড ও ঐ এসিডের সথে তীব্র ক্ষারের লবণের দ্রবণ মিশ্রিত বাফার দ্রবণকে অম্লীয় বাফার দ্রবণ বলা হয়।

ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ

মাঝে মাঝে মৃদু ক্ষার এর সাথে তীব্র এসিড এবং ঐ মৃদু ক্ষারের লবণের দ্রবণ মিশিয়ে যে বাফার দ্রবণ তৈরি করা হয় তাকে ক্ষারীয় বাফার দ্রবণ বলে।

বাফার দ্রবণের ক্রিয়া কৌশল

ক্ষারীয় প্রকৃতির বাফার দ্রবণে ক্ষার এবং লবণ নিম্নরূপে আয়নিত থাকে। যেমন-

NH4​OH⇌NH4+​+OH−

HCl+NH4​OH→NH4​Cl+H2​O [এক্ষেত্রে NH4+​ এর ঘনমাত্রা NH4​CI এর ঘনমাত্রার প্রায় সমান)।

NH4​OH একটি দুর্বল ক্ষারক এবং সমআয়ন প্রভাবের কারণে NH4​OH এর বিয়োজন খুবই হ্রাস পায়।

বহিরাগত H+ এর অপসারণ (Removal of H+ ion):

এই বাফার দ্রবণে সামান্য পরিমাণ এসিড তথা H+ আমন যোগ করা হলে তা বাফার দ্রবণের OH− এর সাথে বিক্রিয়া করে খুবই দুর্বল তড়িৎ বিশ্লেষ্য তথা নিরপেক্ষ যৌগ পানিতে পরিণত হয়। এর ফলে PH মান প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।

H++HO−⟶H2​O

বা,  HCl+NH4​OH⟶NH4​Cl+H2​O

এই বিক্রিয়ার ফলে দ্রবণে যে OH− আয়নের অভাব তৈরি হয় তা অবিয়োজিত NH4​OH এর বিয়োজনের মাধ্যমে পূরণ হয়।

NH4​OH⇌NH4+​+OH−

বহিরাগতOH−এর অপসারণ (Removal of OH ion):

এই বাফার দ্রবণে সামান্য পরিমাণ ক্ষার বাOH− আয়ন যোগ করা হলে তা বাফার দ্রবণের NH4+​ এর সাথে বিক্রিয়া করে NH4​OH এ পরিনত হয়। যা একটি দুর্বল তড়িৎ বিশ্লেষ্য। তাছাড়া সমআয়ন প্রভাবের কারণেও NH4​OH এর বিয়োজিত হবার প্রবণতা হ্রাস পায়। তাই দ্রবণের pH মান প্রায় অপরিবর্তিত।

NH4+​+OH−⇌NH4​OH বা, NH4​Cl+NaOH→NH4​OH+NaCl​

অর্থাৎ উপরোক্ত কারণে দ্রবণের pH মান প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।

সম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায়, কোন দ্রাবকের মধ্যে কোন দ্রাব সর্বোচ্চ যে পরিমাণে দ্রবীভূত হতে পারে, তা সম্পন্ন হলে যে দ্রবণ উৎপন্ন হয়, তাকে ওই উষ্ণতায় ঐ দ্রাবের সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে। সম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবকের দ্রাব গ্রহণের ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যায়, তাই দ্রাবক আর অতিরিক্ত দ্রাব গ্রহণ করতে পারে না।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের দ্রাবক সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত করতে পারে, দ্রবণে সেই পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত থাকলে প্রাপ্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

  • পানি ও চিনির দ্রবণ
  • পানি ও লবণের দ্রবণ
  • ভিনেগার ও পানির দ্রবণ

হলো সম্পৃক্ত দ্রবণের উদাহরণ।

সম্পৃক্ত দ্রবণের উপর উষ্ণতার প্রভাব

দ্রবণের সম্পৃক্ততা উষ্ণতার উপর নির্ভরশীল। দ্রবণের উষ্ণতা বাড়লে সম্পৃক্ত দ্রবণ অসম্পৃক্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ দ্রাবকের আরও দ্রাব গ্রহণ করার ক্ষমতা জন্মে। কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় এবং চাপে সম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের পরিমান নির্দিষ্ট থাকে। উষ্ণতা বাড়লে দ্রাবকের দ্রাব গ্রহণ ক্ষমতা বাড়ে, তাই আরও দ্রাব যোগ করলে দ্রাবকের মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে যায়।

সম্পৃক্ত দ্রবণ এর উষ্ণতা কমালে দ্রাবকের দ্রাব গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়। যেমন ঘরের উষ্ণতায় লবণের সম্পৃক্ত দ্রবণের উষ্ণতা কমালে দ্রবন থেকে কিছু লবণ কেলাসিত হয়ে দ্রবন থেকে বেরিয়ে নিচে থিতিয়ে পড়ে। এই অবস্থাতেও কিন্তু উপরের স্বচ্ছ দ্রবণটি সম্পৃক্ত অবস্থায় থাকবে।

অসম্পৃক্ত দ্রবণ কাকে বলে

সম্পৃক্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় দ্রবণের অবস্থাকে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

অসম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম হলে তাকে লঘু দ্রবণ এবং দ্রাবের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত বেশি হলে তাকে ঘন দ্রবণ বলে ।

অতিপৃক্ত দ্রবণ

যে দ্রবণে কোন বিশেষ উপায়ে অতিরিক্ত দ্রব দ্রবীভূত থাকে তাকে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলে। একই দ্রব দ্বারা প্রস্তুতকৃত তিনটি দ্রবণের মধ্যে একই পরিমাণ দ্রব পৃথকভাবে যোগ করা হলে যদি কোন দ্রবণে দ্রবটি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা হবে অসম্পৃক্ত, যদি কোন দ্রবণে দ্রব আর দ্রবীভূত না হয় তবে তা হবে সম্পৃক্ত এবং কোনো দ্রবণে যদি যোগকৃত দ্রবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও দ্রবীভূত হয় তবে তা হবে অতিপৃক্ত দ্রবণ।

প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে

যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ (Standard Solution) বলে। অন্য কথায়, যে দ্রবণে নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব নির্দিষ্ট আয়তন দ্রবণে বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভূত থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। সাধারণত আয়তন মাত্রিক বিশ্লেষণে মােলার দ্রবণ বা দশমাংশ মােলার দ্রবণ প্রমাণ দ্রবণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণঃ 1M মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ। কারণ এর নির্দিষ্ট আয়তনে নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত আছে অর্থাৎ এর ঘনমাত্রা জানা এবং তা 1M।

প্রমাণ দ্রবণের প্রকারভেদ

প্রমাণ দ্রবণকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-

(i) প্রাইমারী বা মূখ্য প্রমাণ দ্রবণ
(ii) সেকেন্ডারি বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ।

প্রাইমারী বা মুখ্য প্রমাণ দ্রবণ

বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় এরূপ পদার্থের একটি নির্দিষ্ট ওজনকে সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ডে ওজন করে ও উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে যে দ্রবণ পাওয়া যায় তাকে মূখ্য বা প্রাইমারী প্রমাণ দ্রবণ বলে। এ ধরনের দ্রবণকে আবদ্ধ অবস্থায় অনেকদিন রেখে দিলেও দ্রবণটির মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয় না। এরূপ দ্রবণ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলি বায়ুর প্রতি নিষ্ক্রিয় হয়। অর্থাৎ পদার্থগুলি বায়ু হতে পানি শোষণ করে না বা বায়ুর CO2 এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা সাধারণ উষ্ণতায় জারিত হয় না। এ সকল পদার্থকে প্রাইমারী স্টান্ডার্ড পদার্থ বলে।

উদাহরণ : অনার্দ্র Na2CO3 এর দ্রবণ, অক্সালিক এসিড (C2H2O4.2H2O) এর দ্রবণ, পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) এর দ্রবণ।

সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ

কিছু পদার্থ আছে যাদের সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় না কিংবা যাদের ওজন সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ডের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় না। ফলে উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না। তাছাড়া এসব পদার্থের দ্রবণ অনেকদিন রেখে দিলে দ্রবণের মাত্রার পরিবর্তন হয়। এই সকল পদার্থগুলিকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রব্য এবং এদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত দ্রবণকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ বলে। উদাহরণ : NaOH, KOH, HCI, H2SO4, HNO3, KMnO4 প্রভৃতি।

আরো পড়তে: ধাতু কাকে বলে

নেসলার দ্রবণ

নেসলার দ্রবণ হলো একটি প্রকৃতির গুলিকা যা উপাদানগুলির সাথে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সাধারণত হয় না। এটি এমোনিয়ার মতো একটি অনিয়মিত বা আইউপ্ত প্রতিক্রিয়া করতে পারে যা কোনও কারণে পরিবর্তন হলেও প্রক্রিয়ার শেষে মূল অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

নেসলার দ্রবণ ব্যবহার করে এমোনিয়ার সনাক্তকরণ করার পদ্ধতি হলো একটি নেসলার প্রক্রিয়া বা নেসলার সনাক্তকরণ। এই পদ্ধতিতে নেসলার দ্রবণ অক্সিজেন গ্যাসের সাথে সংক্রমিত হয় এবং তা এমোনিয়ার মধ্যে স্থায়ী হয়। নেসলার দ্রবণের উপস্থিতির কারণে, এমোনিয়ার সনাক্তকরণ পদার্থের পরিমান বা উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয় এবং তা পরিমাপ করার সুবিধা প্রদান করে।

নেসলার দ্রবণ কী

নেসলার দ্রবণ হলো NaOH বা KOH দ্রবণ মিশ্রিত ক্ষারীয় পটাসিয়াম টেট্রা আয়োডো মারকিউরেট এর দ্রবণ

বর্ণহীন মারকিউরিক ক্লোরাইড দ্রবণের মধ্যে ধীরে ধীরে KI দ্রবণ যোগ করলে প্রথমে লাল বর্ণের মারকিউরিক আয়োডাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে।

কিন্তু এ দ্রবণে আরও অধিক পরিমাণ KI দ্রবণ যোগ করলে বর্ণহীন জটিল যৌগ পটাশিয়াম মারকিউরিক আয়োডাইড উৎপন্ন হয়।

অতঃপর এই দ্রবণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড যোগ করলে যে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন হয় তাকেই নেসলার দ্রবণ বলে।

  • HgCl₂ + 2KI ——> HgI₂ + 2KCl
  • HgI₂ + 2KI ——> K₂[HgI₄]

নেসলার দ্রবণ সংকেত

নেসলার দ্রবণ সংকেত = KHgI3+KOH

ডেসিমোলার দ্রবণ, ডেসিমোলার দ্রবণ কাকে বলে

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1L দ্রবণে দ্রব্যের এক দশমাংশ মোল দ্রবীভূত একে ডেসিমোলার দ্রবণ বলে।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় –

  • 1L দ্রবণে 1 mol বা 98g H2​SO4​ থাকলে তাকে 1M বা মোলার দ্রবণ বলে।
  • 1L দ্রবণে 0.5 mol বা 49g H2​SO4​ থাকলে তাকে 0.5M বা সেমিমোলার দ্রবণ বলে।
  • 1L দ্রবণে 0.1 mol বা 9.8g H2​SO4​ থাকলে তাকে 0.1M বা ডেসিমোলার দ্রবণ বলে।
  • 1L দ্রবণে 0.01 mol বা 0.98g H2​SO4​ থাকলে তাকে 0.01M বা সেন্টিমোলার দ্রবণ বলে।

ফেহলিং দ্রবণ

সমআয়তনের CuSO₄ এর জলীয় দ্রবণ ও ক্ষারীয় সোডিয়াম পটাসিয়াম টারটারেট (NaKC₄H₄O₆ ) দ্রবণ মিশ্রিত করলে যে নীল বর্ণের দ্রবণ তৈরি হয় তাকে ফেহলিং দ্রবণ বলে।

  • CuSO₄ + NaOH➡Na₂SO₄ + Cu(OH)₂
  • Cu(OH)₂ + NaKC₄H₄O₆➡Cu₂(C₄H₄O₆).Cu(OH)₂ + NaOH + KOH

ফেহলিং দ্রবণও অ্যালডিহাইডকে জারিত করতে পারে কিন্তু কিটোনকে পারে না।

  • HCHO+ Cu(OH)₂ + NaOH➡Cu₂O⬇ + HCOONa + H₂O

ফেহলিং দ্রবন অ্যালডিহাইড পরীক্ষায় কী হিসেবে কাজ করে

অ্যালডিহাইড (ইথান্যাল) ফেইলিং দ্রবণ কে বিজারিত করে কিউপ্রাস অক্সাইডের লাল বর্ণের অধঃক্ষেপ বা সিলভার দর্পন সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে অ্যালডিহাইড বিজারক রূপে ক্রিয়া করে।

CH3CHO + Cu(OH)2 + NaOH ➡️ Cu2O ⬇️ + CH3COONa + 3H2O

দ্রবণ তাপ কাকে বলে

এক মোল কোন বস্তুকে যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভূত করলে তাপের যে পরিবর্তন হয় তাকে দ্রবণ তাপ বলে।

নরমাল দ্রবণ কাকে বলে

1 L বা 1000 mL দ্রবণে 1 গ্রাম-তুল্য ভরের কোনো দ্রব দ্রবীভূত থাকলে, ঐ দ্রবণকে নরমাল দ্রবণ বলা হয়। নরমাল দ্রবণকে N প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

জলীয় দ্রবণ কাকে বলে

দ্রবণ মানে হলো দ্রব ও দ্রাবকের সমষ্টি। যে দ্রবণে দ্রাবক হিসেবে জল বা পানি ব্যবহার করা হয় তাকে জলীয় দ্রবণ বলে।

কলয়ডীয় দ্রবণ কাকে বলে

কোন পদার্থের (দ্রাব) কণার ব্যাস 10-8 থেকে 10-7 সেন্টিমিটার হলে, পদার্থটির সূক্ষ্ম কণাগুলি দ্রাবকের মধ্যে দ্রবীভূত না হয় প্রলম্বিত থেকে ইতস্তত ঘুরে বেড়ায়। এই সুক্ষ কনা গুলিকে ফিল্টার পেপার দ্বারা পৃথক করা যায় না। কারণ এরা ফিল্টার পেপারের ছিদ্র অতিক্রম করে। কিন্তু পার্চমেন্ট পেপারের মধ্যে দিয়ে বের হতে পারে না। এইভাবে উৎপন্ন অদ্রাব্য দ্রাবের অস্বচ্ছ এবং অসমসত্ত্ব মিশ্রণকে কলয়েড দ্রবণ বল।

যেমন:- ভাতের ফ্যান হলো জলের মধ্যে চালের সুক্ষ কনা দ্বারা সৃষ্ট কলয়েডীয় দ্রবণ।

পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কোনটি, কোন ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয়

পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন হলো, ভিটামিন বি, এবং ভিটামিন সি।

সমস্ত বি ভিটামিন এবং ভিটামিন সি জল দ্রবণীয়। জল দ্রবণীয় ভিটামিনগুলি সহজেই শরীরে দ্রবীভূত হয়। কিডনি অতিরিক্ত পরিমাণে এই ভিটামিনগুলি সরিয়ে দেয় যাতে এগুলি প্রস্রাবে বের হয়।

ইথানল পানিতে দ্রবণীয় কেন, ইথানল পানিতে দ্রবণীয় হলেও ইথিন পানিতে অদ্রবণীয় কেন

ইথানল অণুতে -OH মূলক থাকে তাই ইথানল পোলার অণু এবং আন্তঃআনবিক হাইড্রোজেন বন্ধন করতে সক্ষম((কারণ O ও H এর মধ্যে সমযোজী বন্ধন থাকে)) তাই ইথানল অণু পানির অণুর সাথে হাইড্রোজেন বন্ধন করতে সক্ষম হয় এবং পানিতে দ্রবীভূত হয়।

অপরদিকে ইথিন (C2H4) এ O বা N বা F কোনো পরমাণু থাকে না।আমরা জানি, কোনো যৌগে H এর সাথে O বা N বা F এই তিনটি পরমানুর যেকেনোটি সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে যৌগ অনুটি হাইড্রোজেন বন্ধন করতে সক্ষম হয়।কিন্তু ইথিন এ H পরমাণু Nবা O বা F কারো সাথে ই সমযোজী বন্ধন করতে পারে না তাই পানির অনুর (H2O) সাথে হাইড্রোজেন বন্ধন করতে পারে না ফলে ইথিন পানিতে দ্রবীভূত হয় না, অদ্রবণীয় থাকে।

অ্যালকোহল পানিতে দ্রবণীয় কেন

অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের শিকলের একটি H- পরমাণুকে -OH মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে উৎপন্ন যৌগকে অ্যালকোহল বলে। এতে -OH গ্রুপ থাকার কারনে পানির সাথে হাইড্রোজেন বন্ধন তৈরি করতে পারে বলে এটা পানিতে দ্রবনীয়।

অ্যালকোহল জলে OH- বা H+ কোন আয়নই ছাড়ে না তাই আরহেনিয়াসের সংজ্ঞানুযায়ী অ্যালকোহল না অ্যাসিড না ক্ষার । তবে শক্তিশালী ক্ষার অ্যালকোহল থেকে একটি প্রোটন বের করে নিতে সক্ষম হয় ও একটি অ্যালকোক্সাইড আয়ন (R―O−) তৈরি করে । তাই বলা যেতে পারে, এটি জলে খুবই দুর্বল অ্যাসিড রূপে কাজ করে ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | দ্রবণ

Q1. জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন

Ans – জল একটি উত্তম দ্রাবক। এর কারণ হলো বেশিরভাগ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয়ে দ্রবণ উৎপন্ন করে।

জল ছাড়া অন্যান্য দ্রাবকও আছে, যেমন অ্যালকোহল, ইথার, বেনজিন, কার্বন ডাই সালফাইড, ক্লোরোফরম ইত্যাদি। সালফার, কার্বন ডাই সালফাইডে দ্রাব্য কিন্তু জলে অদ্রাব্য। তেল, চর্বি, ক্লোরোফর্মে দ্রবীভূত হয়। তাই জলকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।