“বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই!”যে বৃদ্ধ দম্পতির কথা বলা হয়েছে, তাদের সাহায্য করার কেউ নেই কেন?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Ilias Bengali Story, ইলিয়াস | Model Activity Task Class 9 Bengali Part 1, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 9 বাংলা পার্ট 1

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই!”যে বৃদ্ধ দম্পতির কথা বলা হয়েছে, তাদের সাহায্য করার কেউ নেই কেন?

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্পে বৃদ্ধ দম্পতি বলতে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগিকে বােঝানাে হয়েছে |

একদা বিপুল সম্পত্তির মালিক ইলিয়াস যখন মড়ক, দুর্ভিক্ষ, চুরি ইত্যাদির ফলে সর্বহারা হয়ে পড়ে তখন তার বিতাড়িত ছােটো পুত্রও অনেক দূরদেশে বসবাস করত। তাদের একমাত্র মেয়েটিও মারা গিয়েছিল | ফলে বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর রম দুর্দশায় তাদের সাহায্য করার মতাে নিজের কেউ ছিল না।

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Ilias Bengali Story Question Answer

“পঞ্চাশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।” এই সুখের পরিচয় দাও।

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে। গল্পে বৃদ্ধ ইলিয়াস দম্পতি অবশেষে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবন পেরিয়ে সুখ খুঁজে পেয়েছে। দীর্ঘ পঞশ বছরের দাম্পত্যজীবনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কেটেছে। প্রাচুর্যে। শাম-শেমাগি এ প্রসঙ্গে বলে, সেই জীবনে নিজেদের জন্য তাদের কোনাে সময় ছিল না। এমনকি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করারও সময় ছিল না ।কিন্তু বর্তমানে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে মজুরের কাজ করে তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছে। মনিবের সেবা করার ফঁাকে নিজেদের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা আলােচনা করা কিংবা ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানানাের জন্যও যথেষ্ট সময় আছে । অর্থের দুশ্চিন্তাও আর তাদের নেই।

“ইলিয়াসের অতিথিবৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলাে।” — কার কথা বলা হয়েছে? সে কী করেছিল? ইলিয়াসের জীবনে তার কী প্রভাব পড়েছিল?

উত্তর: ‘ইলিয়াস’ গল্পে উল্লিখিত অংশে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শার কথা বলা হয়েছে।

মহম্মদ শা নিজে ধনী না হলেও তার অভাব ছিল না। সে ছিল খুব ভালাে লােক। তাই ইলিয়াসের দুরবস্থায় তার খুব দুঃখ হয় এবং সে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে এসে থাকতে বলে। এর বিনিময়ে ঠিক হয় ইলিয়াস তার ক্ষমতা অনুযায়ী গরমকালে তরমুজ খেতে কাজ করবে। আরশীতকালে গােরু-ঘােড়াদের খাওয়াবে। তার স্ত্রী শাম-শেমাগি ঘােটকীগুলাের দুধ দুইবে এবং কুমিস তৈরি করবে। মহম্মদ শা তাদের দুজনেরই খাওয়াপরার দায়িত্ব নেয়। এ ছাড়াও যদি কিছু লাগে তা দিতে প্রতিশ্রুত হয়৷

ইলিয়াস এই উদারতার জন্য মহম্মদ শা-কে ধন্যবাদ দিয়েছিল। ভাড়াটে মজুরের মতাে কাজ করতে গিয়ে প্রথমদিকে তাদের খুবই কষ্ট হত, কিন্তু ক্ৰমে সবই সহ্য হয়ে গেল। যত পারত কাজ করত, আর মহম্মদ শার বাড়িতে থাকত। একদিন নিজেরা মনিব ছিল বলে তারা সব কাজই ভালােভাবে করতে পারত। কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থ-সম্পত্তিই সুখের ভিত্তি নয়—তা ইলিয়াস ও তার স্ত্রী উপলব্ধি করে। কাজের বাইরে ফাঁকা সময়টা তারা গল্প করার বা ভাবার কাজে লাগাতে পারে। আগের থেকে অনেক দুশ্চিন্তামুক্ত এই জীবনেই তারা প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়।

“এ বিষয়ে তিনিই পুরাে সত্য বলতে পারবেন।” — ‘তিনি’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তিনি সত্য বলতে পারবেন কেন?

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্পে ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে তিনি বলতে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগির কথা বােঝানাে হয়েছে।

মহম্মদ শার বাড়িতে আগত অতিথিরা ইলিয়াসের কাছে জানতে চান যে অতীতের সুখসমৃদ্ধির কথা স্মরণ করে বর্তমান দুঃসময়ের জীবন তাকে কষ্ট দেয় কি না। উত্তরে ইলিয়াস বলে যে, এ বিষয়ে তার স্ত্রী শাম-শেমাগিই ভালাে বলতে পারবে। একজন মহিলা হওয়ার কারণেই তার মুখের কথায় মনের প্রকৃত ইচ্ছাই প্রকাশ পাবে।

“এই তার যা কিছু বিষয়-সম্পত্তি ।”— কার, কোন্ বিষয়সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস’ গল্পে ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে ‘তার’ বলতে রাশিয়ার উফা প্রদেশে বসবাসকারী বাকির জনগােষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসের কথা বােঝানাে হয়েছে।

ইলিয়াসের বাবা মারা যাওয়ার সময় ইলিয়াসের জন্য খুব বেশি সম্পত্তি রেখে যেতে পারেননি। মৃত্যুর সময় তিনি ইলিয়াসের জন্য যে সম্পত্তি রেখে গেছিলেন, তা হল সাতটা ঘােটকী, দুটি গােরু এবং কুড়িটা ভেড়া। এই বিষয়সম্পত্তির কথাই প্রশ্নোবৃত অংশে বলা হয়েছে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | Model Activity Task Class 9 Bengali Part 1

Q1. ‘সূচক, একে পূর্বাপর সব বলতে দাও। – ধীবর বর্ণিত কাহিনিটি বিবৃত করাে। 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।

ধীবর বর্ণিত কাহিনি : ধীবরের কাছে রাজার নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সাব্যস্ত করা হয়। আংটিটি যে-ভাবে তার কাছে এলাে, তার পূর্বাপর সমস্ত কাহিনি জানাতে ধীবর বলে- সে পেশায় জেলে। তার বাড়ি সক্রাবতার। সে মাছ ধরে সংসার চালায়। একদিন একটা রুই মাছ ধরার পরে সে যখন মাছটি টুকরাে করছিল তখন মাছের পেটের মধ্যে থেকে মনিখচিত এই আংটি সে পায়। পরবর্তীকালে সে এই আংটিটি বিক্রি করার জন্য যখন লােককে দেখাচ্ছিল তখন রক্ষীরা তাকে ধরে আনে। তাই স্বভাবতই সে চোর নয়, সে নির্দোষ।

Q2. ‘তবে তাই হােক।’ – কোন্ বিষয়ে কারা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন?

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি এক জেলের কাছে পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে বন্দী করা হয়। জেলে তার পরিচয় দেয় এবং বারবার বলতে থাকে সে নির্দোষ। সে জানায়, একটি রুই মাছকে খন্ড করার সময় মাছের পেটের থেকে এই আংটি সে পেয়েছে।
ধীবরের এই কথায় সত্যতা থাকলেও রাজরক্ষী এবং রাজ শ্যালক ধীবরের এই কথায় বিশ্বাস খুঁজে পায় না। তাই চোর সন্দেহে আটক ধীবরের কথা সত্য না মিথ্যা তা রাজর সমীপে অনুসন্ধান করার প্রয়ােজনীয়তা পড়ে। ধীবরকে রাজবাড়ির সম্মুখে আনার বিষয়ে রাজ শ্যালকের সিদ্ধান্তে দুই রক্ষী জানুক এবং সূচক একত্রে সম্মতি প্রকাশ করে।

Q3. ‘…সেই আংটিটা রাজার (খুব) প্রিয় ছিল। – এই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশ্যালক কী বলেছিলেন ? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।

উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ-শ্যালকের বক্তব্য : রাজার আংটি চুরির অপরাধে আটক জেলেকে শাস্তি দেওয়ার বদলে রাজার হুকুমে আংটির সমমূল্য অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। এতে রক্ষী জানুক হতবাক হয়ে বােঝার চেষ্টা করে, হয়তাে আংটিটি মূল্যবান ছিল বলে এই পুরস্কারের ব্যবস্থা। জানুকের এই ভাবনার প্রত্যুত্তরে রাজ শ্যালক জানায়, শুধুমাত্র দামি রত্ন বসানাে ছিল বলেই আংটিটি রাজার কাছে মূল্যবান ছিল , তা নয়। এই আংটি দেখামাত্র রাজা বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। রাজা দুষ্মন্তের স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছিল তার কোনাে প্রিয়জনের কথা। তাই স্বভাবতই আংটিটি গুণগত কারণে নয় , স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছিল রাজার কাছে মূল্যবান।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।