অলৌকিক গল্পের প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | অলৌকিক গল্পের প্রশ্ন উত্তর

গুরু নানক ও শিষ্য মর্দানা যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল পার হচ্ছিলেন তখন সেখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ কেমন ছিল?

Ans: গুরু নানক ও মর্দানা যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল পার হচ্ছিলেন তখন প্রচণ্ড গনগনে রোদের তাপে চারপাশের গাছপালা শুকিয়ে গিয়েছে, ধু-ধু বালি আর বড়ো বড়ো পাথরের চাঁই পড়েছিল চারিদিকে।

শিষ্য মর্দানার জল পিপাসা পেলে গুরু নানক তাকে কী বলেন?

Ans: গুরু নানক মর্দানাকে অপেক্ষা করতে বললেন এবং আশ্বাস দিলেন যে পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে।

মর্দানার কাকুতিমিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন কেন?

Ans: গুরু নানক এই ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন যে কাছেপিঠে কোথাও জল নেই অথচ মর্দানা এক-পাও এগোতে চাইছে না, আর এরকম অবস্থা হলে সবাইকে ঝামেলায় পড়তে হবে।

গুরু নানক ধ্যানে বসলেন কেন?

Ans: মর্দানা গুরুর আশ্বাসবাক্যে সম্মত না হয়ে জল না পেলে এক-পাও নড়বে না বলে বসে পড়ল। পরিস্থিতি দেখে গুরু ধ্যানে বসলেন মর্দানার কষ্ট দূর করার জন্য।

“ওর কাছে জল পেতে পার।” কার কাছে? জলের প্রয়োজন হয়েছিল কেন?

Ans: পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। তার কাছেই জল আছে| মর্দানার তেষ্টা মেটাবার জন্য জলের প্রয়োজন হয়েছিল |

“দৃশ্যটা দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই গুরু নানক শান্ত স্বরে জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিতে বলেন।” –‘দৃশ্য’-টা কী?

Ans: গুরু নানকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলী কান্ধারী পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি পাথরের চাঙড় নীচের দিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। সেই পাথরের চাঙর নানকের ওপর পড়লে তিনি মারা যাবেন। এখানে পাথর ফেলার দৃশ্যটিকেই নির্দেশ করা হয়েছে |

“তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বললেন।” —পাথরটা তোলার পর কী দেখা গিয়েছিল?

Ans: পাথরটি তোলার পর তার তলায় ঝরনার জল দেখা গিয়েছিল |

“আমার চোখে জল।” –বক্তার চোখে কেন জল এল?

Ans: যারা জীবনের পরোয়া না করে ট্রেন থামিয়ে খিদে তেষ্টায় কাতর দেশবাসাঁকে রুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল, এখানে বক্তা তাদের জন্য তাঁর চোখের জলকে উৎসর্গ করেছেন।

“খালপারের সেতুটির দিকে রক্তের স্রোত।” –কী কারণে রক্তের স্রোত দেখা গিয়েছিল?

Ans: ট্রেন থামানোর জন্য যারা লাইনের ওপর শুয়ে পড়েছিল, তারা সবাই কাটা পড়েছিল ট্রেনের চাকায়। এই কারণেই রত্তোর স্রোত দেখা গিয়েছিল।

“আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি।” —কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?

Ans: বক্তার মা ঘুরতে গিয়ে হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে দেখলেন ভয়ানক গরম, গনগনে রোদ, চারিদিক সুনশান | পাথরের চাই আর ধু ধু বালি, ঝলসে যাওয়া গাছ। চারিদিক জনহীন। এই গল্পে পরের অংশ শুনতে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

অলৌকিক গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

হাসান আব্দালের নাম পাঞ্জাসাহেব’ হল কেন?

Ans: ক্ষিপ্ত বলী কান্ধারীর গড়ানো পাথর গুরু নানক হাত দিয়ে ঠেকিয়েছিলেন। ওই পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপ আজও রয়েছে। তাই হাসান আব্দালের নাম হয়েছে ‘পাঞ্জাসাহেব’।

মায়ের মুখে গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি শুনে লেখকের মনে কী কী বিষয়ে অবিশ্বাস হয়?

Ans: লেখক মায়ের মুখে গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি শুনে গড়ানো পাথরের চাঙড় হাত দিয়ে ঠেকানো সম্ভব কিনা প্রশ্ন তোলেন। ওই পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপটাও পরবর্তীকালেই খোদাই করা হয়েছে বলে মনে করেন।

গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি লেখক কোন্ কোন্ সূত্রে শুনেছেন?

Ans: গুরু নানক ও মর্দানার কাহিনি লেখক একাধিকবার শুনেছেন মায়ের মুখ থেকে, গুরুদ্বারায় এবং স্কুলে শিক্ষক মহাশয়ের কাছেও।

সাকা হলে কী কী নিয়ম পালন করা হত?

Ans: সাকা হলে বাড়িতে অরন্ধন চলত আর মেঝেতে শুতে হতো।

ক্ষুধাতৃস্নায় কাতর কয়েদিদের ট্রেনটাকে থামানোর জন্য পাঞ্জাসাহেবের লোকজন কী করেছিল?

Ans: ক্ষুধাতৃয়ায় কাতর কয়েদিদের ট্রেনটাকে থামানোর জন্য পাঞ্জাসাহেবের লোকজন প্রথমে স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানাল, কিন্তু আবেদন ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা ট্রেনলাইনে শুয়ে ট্রেন থামিয়েছিল।

পাঞ্জাসাহেবের লোকজন কোন্ ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কয়েদিদের ট্রেন থামাতে সংকল্পবদ্ধ হয়েছিল?

Ans: পাঞ্জাসাহেবের লোকজন স্মরণ করেছিল—এই শহরেই (পাঞ্জাসাহেব) গুরু নানক শিষ্য মর্দানার তৃয়া দূর করেছিলেন। আর তাই সেখান দিয়েই অভুক্ত, তৃয়ার্ত দেশপ্রেমীদের নিয়ে যাওয়াটা তারা মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা ট্রেন থামাতে সংকল্পবদ্ধ হয়।

“তীক্ষ্ণ হুইসেল দিতে দিতে ট্রেন এল” – তারপর কী ঘটেছিল?

Ans: আগেই গতি কমিয়ে দেওয়া ট্রেন তীব্র হুইসেল দিতে দিতে কথকের মায়ের বান্ধবীর স্বামী ও তার কয়েকজন সঙ্গীর বুকের উপর দিয়ে এগিয়ে এসে থেমেছিল মায়ের বান্ধবীর মাথার কাছে এসে।

ট্রেনটা থামার পর কী ঘটেছিল?

Ans: ট্রেন থামার পর ট্রেন লাইনে শুয়ে থাকা অন্যরা ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিচ্ছিল। তারপর লাশগুলিকে দুমড়ে মুচড়ে ট্রেন পিছোতে লাগলে রক্তের স্রোত বয়ে যায় খালপাড়ের সেতুর দিকে।

কথক পাঞ্জাসাহেবে পৌছে কেন একফোটা জলও মুখে দিতে পারেননি?

Ans: বন্দি দেশপ্রেমীদের ট্রেন থামানোর জন্য অতজন মানুষের আত্মবলিদানের ঘটনা শুনে কথক অবাক-বিহ্বল হয়ে পড়েন। এই আশ্চর্য ঘটনা কথকের মনে এমনভাবে দাগ কাটে যে তিনি একফোটা জলও মুখে দিতে পারেননি।

দ্বাদশ শ্রেণির অলৌকিক গল্পের pdf

বাংলা রেফারেন্স (উচ্চমাধমিক) ক্লাস – ১২

বাংলা রেফারেন্স (উচ্চমাধমিক) ক্লাস – ১২


.

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

অলৌকিক গল্পের প্রশ্ন উত্তর

ট্রেনটা থামার পর কী ঘটেছিল?
Ans: ট্রেন থামার পর ট্রেন লাইনে শুয়ে থাকা অন্যরা ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিচ্ছিল। তারপর লাশগুলিকে দুমড়ে মুচড়ে ট্রেন পিছোতে লাগলে রক্তের স্রোত বয়ে যায় খালপাড়ের সেতুর দিকে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।