ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট উত্তর

অম্ল বৃষ্টি কাকে বলে, অম্ল বৃষ্টি কি

বৃষ্টির জলের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড অথবা নাইট্রোজেনের অক্সাইড সমূহ দ্রবীভূত থাকলে বৃষ্টির জল অম্লধর্মী হয়ে ওঠে। একে অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্ল বৃষ্টি বলে। সাধারণত বৃষ্টির জলে PH-এর মাত্রা 5.6-এর কম হলেই তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্ল বৃষ্টি হিসাবে গণ্য করা হয়।

অম্ল বৃষ্টির কারণ

অম্লবৃষ্টির প্রধান কারণ হল বায়ুদূষণ। বিভিন্ন কলকারখানা থেকে সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত হয়। বাতাসে ভাসমান এই সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড জলীয়বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। তা ছাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস বায়ুর জলীয়বাষ্পের সাথে মিশে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। এরপর সালফিউরিক, নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বৃষ্টিপাত, তুষারপাত এবং কুয়াশার সাথে মিশে ঝরে পড়লে তাকে অম্লবৃষ্টি বলে। অম্লবৃষ্টির pH-এর মান 6-এর কম হয়।

  • বৃষ্টির জলে অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয়। সাধারণত বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ও ভাসমান ধূলিকণাগুলি জলের সঙ্গে আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সালফার ডাই অক্সাইড সৃষ্টি করে।
  • এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, সালফারের আকরিক থেকে সালফার নিষ্কাশন, সিসা তামা ও দস্তা নিষ্কাশনের চুল্লি থেকে সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসে মিশ্রিত হয়। আবার যানবাহনের একঝস্ট, পাওয়ার হাউস ও ধাতু নিষ্কাশন চুল্লি থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইডও বাতাসে মিশ্রিত হয়। এছাড়া বায়ুতে স্বাভাবিকভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বিদ্যমান থাকে। এই প্রাথমিক বায়ু দূষকগুলি বাতাসে ভাসমান জলকণার সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বনিক অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। এই অ্যাসিডগুলি বৃষ্টির জল আম্লিক করে তোলে এবং অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্ল বৃষ্টিরূপে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয়।

অম্ল বৃষ্টির প্রভাব, অম্ল বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব, অম্ল বৃষ্টির প্রভাব মানুষের উপর

অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্ল বৃষ্টির ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি হল নিম্নরূপ-

  • মৃত্তিকার উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস-অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মৃত্তিকার উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, মটর, আলু প্রভৃতির উৎপাদন কমে যায়।
  • জল দূষণ বৃদ্ধি-অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে জল দূষণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত অ্যাসিড বৃষ্টি মৃত্তিকার বিভিন্ন ধাতব উপাদান তথা তামা, দস্তা, অ্যালুমনিয়াম প্রভৃতিকে মৃত্তিকার গভীরে প্রবেশ করিয়ে ভৌমজল দূষণ বৃদ্ধি করে।
  • উদ্ভিদদের উপর প্রভাব-অ্যাসিড বৃষ্টি উদ্ভিদদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদদের অঙ্কুরোদগম বাধাপ্রাপ্ত হয়, পাতা বিনষ্ট হয় এবং পাতার ওপর ছোপ পড়ে।
  • জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট-অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী ও মাছ, জলজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এর ফলে জলজ খাদ্য শৃংখল বিনষ্ট হয় তথা জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব-জনস্বাস্থ্যের ওপর অ্যাসিড বৃষ্টি ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করে।অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মানুষের ত্বক ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষের পরিপাকতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদিও অ্যাসিড বৃষ্টির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • পশু পাখির সংখ্যা হ্রাস-অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে কোন অঞ্চলে পশু পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। ভারতের ভরতপুর পাখিরালয়ের হ্রদের জলে অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে এখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
  • স্থাপত্য শিল্প ও স্মৃতিসৌধ ক্ষয়-অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে স্থাপত্য শিল্প, স্মৃতিসৌধ, মনুমেন্ট ও অট্টালিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।যেমন-ভারতের আগ্রার তাজমহল, দিল্লির লালকেল্লা প্রভৃতি স্থাপত্য নিদর্শন অ্যাসিড বৃষ্টির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কৃষি কাজের ওপর অম্ল বৃষ্টির প্রভাব, কৃষি কাজের উপর অম্ল বৃষ্টির প্রভাব

অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে কৃষি কাজের ওপর নিম্নলিখিত ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি লক্ষ্য করা যায়। যথা –

  • কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতার হ্রাস – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মৃত্তিকার অম্লত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি, আলু ও মটর শুটি জাতীয় শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়।
  • জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি– অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে ভূ-পৃষ্টী।

অম্ল বৃষ্টি দেখা যায়, অম্ল বৃষ্টি দেখা যায় কোন ভারতে, অম্ল বৃষ্টি কোথায় দেখা যায়

গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, আন্ধ্রাপ্রদেশ ও কর্ণাটক রাজ্যে ঘূর্ণিবায়ুর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ যে বৃষ্টিপাত হয় তাকে ‘আম্রবৃষ্টি’ বলে।

এই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এই অঞ্চলে আমের ফলন ভালো হয়।

কর্নাটকে অম্ল বৃষ্টি কি নামে পরিচিত

কর্ণাটকে আম্রবৃষ্টি নামে পরিচিত Cherry Blossom.

শিলা কাকে বলে

উত্তর – পৃথিবী পৃষ্ঠ বা ভূত্বক যে সব উপাদান দ্বারা গঠিত তাদের শিলা বলা হয়। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত  এক বা একাধিক খনিজের সমসত্ত্ব  ও অসমসত্ত্ব মিশ্রনকে শিলা বলে। 

পাললিক শিলা কাকে বলে

উত্তর – বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং সেই ক্ষয় জাত পদার্থ কোন নিচু অঞ্চলে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হলে তা পরবর্তী কালে তাপ ও চাপের ফলে জমাট বেঁধে যে কঠিন শিলার সৃষ্টি করে, তাকে পাললিক শিলা বলে। যেমন – চুনাপাথর, বেলেপাথর, কাদাপাথর প্রভৃতি।

পাললিক শিলার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য

উত্তর –

  • ক) পাললিক সিলায় স্তর দেখা যায় বলে, একে স্তরীভূত শিলা বলে।
  • খ) পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
  • গ) পাললিক শিলা হালকা, নরম ও ভঙ্গুর প্রকৃতির।
  • ঘ) পাললিক শিলার প্রবেশ্যতা বেশি ও ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
  • ঙ) কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত এই পাললিক শিলায় পাওয়া যায়। 

আগ্নেয় শিলা কাকে বলে, আগ্নেয় শিলা কাকে বলে উদাহরণ দাও

উত্তর – উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে পৃথিবী ধীরে ধীরে তাপ বিকিরন করে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শক্ত আবরন সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়শিলা বলে। আবার ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে এসে শীতল হয়েও আগ্নেয়শিলার সৃষ্টি হয়।

যেমন – গ্রানাইট, ব্যাসল্ট প্রভৃতি। আগ্নেয়শিলাকে উৎপত্তি অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যথা – নিঃসারী ও উদবেধী শিলা। 

আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য

আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য হল:

  • (১) এই শিলার মধ্যে কোন স্তর নেই
  • (২) এই শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় না
  • (৩) পৃথিবী গঠনকারী বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ মিলে মিশে দানা বেঁধে এই শিলা গঠিত হয়েছে
  • (৪) এই শিলা পাললিক ও রূপান্তরিত শিলার চেয়ে তুলনামূলক ভাবে ভারী
  • (৫) এই শিলা প্রকৃতিতে অত্যন্ত কঠিন বলে সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না
  • (৬) সময়ে সময়ে এই শিলাকে দেখতে স্ফটিকাকার বা কাচের মত মনে হয়।

একটি পাতালিক আগ্নেয় শিলা হল

ভূ-অভ্যন্তরের একেবারে তলদেশে অবস্থিত ম্যাগমা ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে পাতালিক শিলা বলে।

অত্যন্ত ধীরে জমাট বাঁধে বলে এ জাতীয় শিলার দানাগুলো বেশ বড়ো বড়ো হয়ে থাকে। গ্রানাইট, ডায়োরাইট, পেরিডোটাইট, গ্যাব্রো ইত্যাদি এই প্রকার শিলার উদাহরণ।

যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিনটি শিলার ব্যবহার, যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণ সহ, যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিনটি শিলার ব্যবহার উদাহরণ সহ লিপিবদ্ধ করো, যে কোন পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার

মানুষের জীবনে যেমন মাটির ও খনিজের বিরাট প্রয়োজনীয়তা আছে। ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও দৈনন্দিন জীবনে শিলার ব্যবহার বা অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এককথায় মানব জীবনে শিলার গুরুত্ব অতুলনীয় এবং অপরিসীম।

  1. শিল্প ক্ষেত্রে
  2. বাড়িঘর, মন্দির, সৌধ নির্মাণে
  3. খনিজ সম্পদ সংগ্রহে
  4. বিভিন্ন শৌখিন প্রসাদন দ্রব্য তৈরীতে
  5. রাস্তাঘাট, রেল ও ট্রাম লাইনে

বিভিন্ন প্রকার শিলার ব্যবহার নীচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

আগ্নেয় শিলার ব্যবহার

  • নির্মাণ কার্যে: শৌখিন বাড়িঘর,মন্দির মসজিদ,প্রাসাদ অট্টালিকা ও রাজভবন ইত্যাদি তৈরিতে, বাড়ি ঘরের মেঝে তৈরিতে গ্রানাইট শিলা ব্যবহার করা হয়।দক্ষিন ভারতের মাদুরাই, রামেশ্বরম, মহাবলীপুরামের প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলি গ্রানাইট পাথরে তৈরি।পাললিক শিলা থেকে প্রাপ্ত বেলেপাথর শিলনোড়া তৈরীতে কাজে লাগে। মূর্তি নির্মাণে গ্রানাইট শিলা ব্যবহার করা হয়।
  • রাস্তাঘাট নির্মাণ: ব্যাসল্ট শিলার টুকরো রাস্তাঘাট তৈরীতে,প্রাচীর রেললাইন, ট্রাম লাইন তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।
  • বাঁধ নির্মাণে: জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী জলাধার ও বাঁধ নির্মাণে এই শিলা ব্যবহার হয়।
  • খনিজ পদার্থ সংগ্রহ: আগ্নেয় শিলা থেকে তামা,সোনা, রুপো, সিসা, দস্তা, লোহা ও ম্যাঙ্গানিজ প্রকৃতি খনিজ সংগৃহীত হয়।

পাললিক শিলার ব্যবহার

  • শিল্প ক্ষেত্রে: চুনাপাথর,ডলোমাইট ব্যবহৃত হয় গৃহনির্মাণে,সিমেন্ট শিল্পে,রাসায়নিক ও লৌহ ইস্পাত শিল্প। কোয়ার্টজ হল এক ধরনের পাললিক শিলা যা কাচ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। প্লাস্টার তৈরিতে জিপসাম ব্যবহার করা হয়।
  • বাড়ি ঘর নির্মাণ: বিভিন্ন ধরনের প্রাসাদ,দুর্গ নির্মাণে বেলে পাথর ব্যবহৃত হয়, দিল্লির লালকেল্লা, রাজস্থানের দুর্গ এবং সাঁচির স্তুপ বেলে পাথরে নির্মিত।
  • কৃষি কাজে: পাললিক শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে সৃষ্ট পলি থেকে পলিমাটি তৈরি হয়।পলিমাটি অত্যন্ত উর্বর প্রকৃতির।তাই পলিমাটি কৃষি কাজে অত্যন্ত উপযোগী।
  • বাসনপত্র তৈরিতে: ফায়ার ক্লে, চায়না মাটি, কাদা পাথরের রুপভেদ। চিনামাটি থেকে বাসনপত্র তৈরি হয়।
  • ভৌম জল: সচ্ছিদ্র পাললিক শিলায় ভূগর্ভস্থ জলের সঞ্চয় ঘটে। সেই জল মানুষের পানীয়, কৃষি, শিল্প ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ করে।
  • খনিজ সম্পদ: কয়লা,খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও ইউরেনিয়াম ইত্যাদি অমূল্য খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়।

রূপান্তরিত শিলার ব্যবহার

  • নির্মাণ কার্যে: মার্বেল থেকে নানান শৌখিন দ্রব্যাদি, প্রাসাদ, মন্দির ইত্যাদি নির্মিত হয়।যেমন আগ্রার তাজমহল, কলকাতার মার্বেল প্যালেস, GPO ইত্যাদি।পাহাড়ি অঞ্চলে স্লেট পাথর ঘরের মেঝেতে ও ছাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • শিল্পক্ষেত্রে: গ্রাফাইট থেকে পেন্সিলের শিষ,স্লেট পাথর তৈরি হয় যা লেখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
  • খনিজ সংগ্রহ: শিলা রুপান্তরিত হয়ে ধাতব ও অধাতব খনিজ একদিকে চলে আসে ফলে খনিজ সংগ্রহের সুবিধা হয়।

কোন প্রকার শিলাস্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়

সচ্ছিদ্র পাললিক শিলাস্তরে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় । 

বৈপরীত্য উষ্ণতা কাকে বলে

কখনো কখনো উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা হ্রাস না পেয়ে বরং বেড়ে যায় একে বৈপরীত্য উত্তাপ বলে। এই ব্যতিক্রম প্রধানত পার্বত্য উপত্যকায় শান্ত আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙে ভোরবেলা বৈপরীত্য উত্তাপ এর জন্য উপত্যকা গুলির মেঘে ঢাকা থাকে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে তার উষ্ণতা বাড়লে উপত্যাকার পরিষ্কার হয়ে যায়। 

ট্রপোস্ফিয়ার বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি উল্লেখ করো, ট্রপোস্ফিয়ারে বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি লেখ, ট্রপোস্ফিয়ারের বিপরীত উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি উল্লেখ করো, ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির, ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ, ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ কী, ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি আলোচনা করো, ট্রপোস্ফিয়ারের বৈপরীত্য উষ্ণতা সৃষ্টির কারণ গুলি উল্লেখ করো

  • বায়ুমন্ডলের সকল স্তর গুলির মধ্যে শুধুমাত্র ট্রপোস্ফিয়ারের আপেক্ষিক তাপ কম এবং বিকিরণ বেশি। ভূপৃষ্ঠের বায়ুতে আপেক্ষিক তাপ কম হলেও বিকিরণের হার বেশি হওয়ায় প্রধানত শীতকালীন দীর্ঘ রাত গুলোতে প্রচুর তাপ বিকিরণ হয়, এর ফলে বৈপরীত্য উত্তাপ সৃষ্টি হয়।
  • শুধুমাত্র ট্রপোস্ফিয়ারের শীতল বায়ু উত্তপ্ত বায়ু অপেক্ষা বেশি ভারী, রাত্রিবেলা তাপ বিকিরণ এর ফলে উচ্চ পর্বতের গায়ে বায়ু শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতগাত্র ঢাল বরাবর ধীরে ধীরে নেমে উপকার নিচের অংশ দখল করে নেয়। এর ফলে নিচের অংশের উষ্ণতা উচ্চ পর্বতের উচ্চতা অপেক্ষা অনেক কম থাকে।
  • বৈপরীত্য উত্তাপ সৃষ্টি হতে গেলে ভূমির ঢাল এর প্রয়োজন শুধুমাত্র পৃথিবীর এই ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের মধ্যে তা অবস্থান করে। এই কারণে একমাত্র ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের বৈপরীত্য উত্তাপ সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশ আছে।
  • একমাত্র ট্রপোস্ফিয়ার স্তরেই বিভিন্ন রকম ভূমির ঢাল যেমন পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়। আর এই উচ্চতা পরিবর্তনের জন্য বায়ুর বিভিন্ন স্থানের ঘনত্ব ও সূর্যের আপাত দৈনিক রশ্মি ইত্যাদির পরিবর্তনের জন্য বৈপরীত্য উত্তাপ সৃষ্টি হয়।

পৃথিবীর কেন্দ্রের উষ্ণতা কত

পৃথিবীর কেন্দ্রের গড় উষ্ণতা প্রায় 5000°C।

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এমন একটি গ্যাসের নাম

কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।

বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের কারণ, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসাবে, বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের,
বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের কারণ, বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন

কোনো স্থানের উষ্ণতা বলতে সেই স্থানের বায়ুমন্ডলের উষ্ণতাকে বোঝায়। বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার প্রধান উৎস সূর্য। সূর্যরশ্মি সরাসরি বায়ুমণ্ডলকে তেমন উত্তপ্ত করতে পারে না। সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠ প্রথমে উত্তপ্ত হয় এবং ওই উষ্ণ ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরনের ফলেই বায়ুমন্ডল পরোক্ষ ভাবে উত্তপ্ত হয়। বায়ু প্রধানত বিকিরন, পরিবহন, পরিচলন ও তাপশোষণ পদ্ধতিতে উষ্ণ হয়। গরিষ্ঠ ও লঘিষ্ঠ থার্মোমিটারের সাহায্যে বায়ুর উষ্ণতা মাপা হয়। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সমান নয় ও কোথাও কম আবার কোথাও বেশি, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার তারতম্যের কারণ গুলি হল – 

  • সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলঃ সূর্য থেকে যে শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছায় তাকে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে। এই শক্তির শতকরা ৩৪ ভাগ বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে মহাশূন্যে প্রতিফলিত বা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে। সূর্য থেকে আগত অবশিষ্ট ৬৬% ভাগ শক্তি ক্ষুদ্রতরঙ্গ রূপে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠকে প্রথমে উত্তপ্ত করে, পরে উত্তপ্ত ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘতরঙ্গ রূপে তাপ বিকিরনের ফলে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান, জলীয় বাষ্প প্রভৃতি তা শোষন করে ধীরে ধীরে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তোলে। সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের তারতম্যে বায়ুমন্ডলের উষ্ণতার তারতম্য ঘটে। 
  • অক্ষাংশঃ পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি, পৃথিবীর বার্ষিক গতি, কক্ষতলের সাথে পৃথিবীর মেরুরেখার সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি কোণে হেলানো অবস্থান প্রভৃতি কারণে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিনে দুই মেরুর দিকে সূর্যরশ্মি ক্রমশ তির্যক ভাবে পড়ে এবং কর্কটক্রান্তিরেখার থেকে মকরক্রান্তিরেখার মধ্যে কোনো না কোনো স্থানে মধ্যাহ্ন সূর্য রশ্মি লম্বভাবে পড়ে। লম্ব ভাবে পতিত সূর্যরস্মিতে উত্তাপের পরিমান বেশি হয় এবং তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মিতে উত্তাপের পরিমান কম হয়। সাধারন ভাবে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিনে প্রতি ডিগ্রি অক্ষাংশের তফাতে ০.২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে তাপ কমে যায়। 
  • দিনের পরিমানঃ পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি হয় ও ঋতু পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে উষ্ণতার তারতম্য ঘটতে দেখা যায়। দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে কোনো স্থানের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়, আবার রাত্রির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে ওই স্থানের শীতলতা বৃদ্ধি পায়। এই কারণে গ্রীষ্মকালে দিন বড়ো হয় বলে উত্তাপের পরিমান বেশি হয় এবং শীতকালে দিন ছোটো হয় বলে উত্তাপের পরিমান হ্রাস পায়। 
  • ভূমির উচ্চতাঃ  ট্রপোস্ফিয়ারে সমুদ্রতল থেকে যতই ওপরে ওঠা যায় বায়ুর উষ্ণতা ততই হ্রাস পেতে থাকে। এই কারণে কলকাতার তুলনায় দার্জিলিং এবং দিল্লির তুলনায় সিমলার উষ্ণতা অনেক কম হয়। 
  • পর্বতের অবস্থানঃ বায়ুর গতিপথে পর্বত বা উঁচুভূমি আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করলে বায়ুপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। উষ্ণ বায়ু ও শীতল বায়ু এই ভাবে বাঁধা প্রাপ্ত হলে পর্বতের উভয় দিকে উষ্ণতার পার্থক্য দেখা যায়। 
  • ভূমির ঢালঃ উত্তর গোলার্ধে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পর্বতগুলির উত্তর ঢাল অপেক্ষা দক্ষিণ ঢালে সূর্যরশ্মি বেশি লম্ব ভাবে পড়ে। ফলে দক্ষিণ ঢালের উষ্ণতা বেশি হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা দেখা যায়। 
  • সমুদ্র থেকে দূরত্বঃ যে স্থান সমুদ্র থেকে যত দূরে অবস্থিত সেখানে সমুদ্রের প্রভাব পড়ে না বলে শীত ও গরম উভয়ই খুব বেশি হয়, অর্থাৎ জলবায়ুর চরমভাব দেখা যায়। কিন্তু সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে উষ্ণতার পরিমান কখনোই খুব বেশি বা খুব কম হয় না। 
  • সমুদ্রস্রোতঃ সমুদ্রস্রোত বায়ুর উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রন করে। উষ্ণ স্রোতের দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং শীতল স্রোতের দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলে উষ্ণতা হ্রাস পায়। 
  • বায়ুপ্রবাহঃ উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং শীতল বায়ু প্রবাহিত অঞ্চলে উষ্ণতা হ্রাস পায়। 
  • মেঘের আবরনঃ আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে দিনের বেলায় ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যায় ও রাতের বেলাআয় তাপ বিকিরনের ফলে উষ্ণতা হ্রাস পায়। এই জন্য মরু অঞ্চলে দিন ও রাত্রির উষ্ণতার মধ্যে এতো পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে সৌররশ্মি ভূপৃষ্ঠে তেমন পৌছাতে পারে না বলে দিনের বেলা উত্তাপ কমে এবং রাতের বেলা এই মেঘ ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপকে বাঁধা দেয় বলে উত্তাপ বাড়ে। এই জন্য মেঘমুক্ত রাত্রি অপেক্ষা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি বেশি উষ্ণ হয়। 
  • বনভূমির অবস্থানঃ ভূপৃষ্ঠে ঘন বনভূমি অবস্থান করলে তা মাটির অভ্যন্তরে জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাটি আর্দ্র থাকে। ঘন বনভূমির জন্য সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠকে বেশি উত্তপ্ত করতে পারে না এবং ভূপৃষ্ঠও খুব তাড়াতাড়ি তাপ বিকিরন করে শীতল হতে পারে না। আবার বনভূমি বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে বায়ুর উষ্ণতা স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হ্রাস পায়। 
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ’s | ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট

কোন প্রকার শিলাস্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়

সচ্ছিদ্র পাললিক শিলাস্তরে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় ।

পৃথিবীর কেন্দ্রের উষ্ণতা কত

পৃথিবীর কেন্দ্রের গড় উষ্ণতা প্রায় 5000°C।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।