দুই বিঘা জমি কবিতা, দুই বিঘা জমি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

দুই বিঘা জমি কবিতা, দুই বিঘা জমি কবিতা লিরিক্স

শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই    আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, ‘ বুঝেছ উপেন,    এ জমি লইব কিনে। ‘
কহিলাম আমি, ‘ তুমি ভূস্বামী,    ভূমির অন্ত নাই।
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো – জোর    মরিবার মতো ঠাঁই। ‘
শুনি রাজা কহে, ‘ বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা
পেলে দুই বিঘে প্রস্থ ও দিঘে    সমান হইবে টানা —
ওটা দিতে হবে। ‘ কহিলাম তবে    বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজল চক্ষে, ‘ করুণ রক্ষে    গরিবের ভিটেখানি ।
সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ    সে মাটি সোনার বাড়া ,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে    এমনি লক্ষ্মীছাড়া! ‘
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল    রহিল মৌনভাবে,
কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে,   ‘ আচ্ছা, সে দেখা যাবে।।

পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে    বাহির হইনু পথে —
করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি    মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায়    আছে যার ভূরি ভূরি —
রাজার হস্ত করে সমস্ত    কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান    রাখিবে না মোহগর্তে ,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল    দু বিঘার পরিবর্তে ।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে    হইয়া সাধুর শিষ্য
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য!
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে    যখন যেখানে ভ্রমি
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে    সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে    বছর পনেরো – ষোলো —
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে    বড়ই বাসনা হল।।

নমোনমো নম, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধুলি –
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন, রাখালের খেলাগেহ –
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল নিশীথশীতলস্নেহ।
বুক-ভরা-মধু বঙ্গের বধু জল লয়ে যায় ঘরে
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে –
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি, রথতলা করি বামে,
রাখি হাটখোলা নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।।

ধিক্ ধিক্ ওরে, শত ধিক্ তোরে নিলাজ কুলটা ভূমি,
যখনি যাহার তখনি তাহার – এই কি জননী তুমি!
সে কি মনে হবে একদিন যবে ছিলে দরিদ্রমাতা
আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফলফুল শাক-পাতা!
আজ কোন্ রীতে কারে ভুলাইতে ধরেছ বিলাসবেশ –
পাঁচরঙা পাতা অঞ্চলে গাঁথা, পুষ্পে খচিত কেশ!
আমি তোর লাগি ফিরেছি বিবাগি গৃহহারা সুখহীন,
তুই হেথা বসি ওরে রাক্ষসী, হাসিয়া কাটাস দিন!
ধনীর আদরে গরব না ধরে! এতই হয়েছ ভিন্ন –
কোনোখানে লেশ নাহি অবশেষ সে দিনের কোনো চিহ্ন!
কল্যাণময়ী ছিলে তুমি অয়ী, ক্ষুধাহরা সুধারাশি।
যত হাসো আজ, যত করো সাজ, ছিলে দেবী – হলে দাসী।।

বিদীর্ণহিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি –
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে সেই আমগাছ একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালককালের কথা।
সেই মনে পড়ে, জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিকো ঘুম,
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম।
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন –
ভাবিলাম হায়, আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন।
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে,
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে, বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা।
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা।।

হেনকালে হায় যমদূতপ্রায় কোথা হতে এল মালী।
ঝুঁটিবাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি।
কহিলাম তবে, ‘আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব –
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব।’
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ;
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ –
শুনে বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, ‘মারিয়া করিব খুন।’
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, ‘শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!’
বাবু কহে হেসে, ‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়!’
আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোরে ঘটে –
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।।

দুই বিঘা জমি কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের

দুই বিঘা জমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কাহিনী কবিতা। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ” কাহিনী” নামক কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা।

বাংলার গ্রামীণ সমাজের শ্রেণীবিভেদ আর দুর্বলের উপর সবলের অনাচার-অবিচার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতাটি লিখেছেন। এই কবিতায় গরীব শ্রেণীর অসহায়ত্বের দিক দেখানো হয়েছে। এখানে একটি লোকের জমি জোর করে জমিদার এর দখলে নেওয়ার ঘটনা অতি নিপুণভাবে কবিতার ছন্দে বলা হয়েছে। এই কবিতার উপর ভিত্তি করে হিন্দি দো বিঘা জমিন চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়।

দুই বিঘা জমি কবিতার প্রেক্ষাপট, দুই বিঘা জমি কবিতার মূলভাব

দুই বিঘা জমি’ একটি কাহিনী কবিতা। দরিদ্র কৃষক উপেন অভাব-অনটনে বন্ধক দিয়ে তার প্রায় সব জমি হারিয়েছে। বাকি ছিল মাত্র দুই বিঘা জমি। কিন্তু জমিদার তার বাগান বাড়াতে সে জমি দখল করে নেয়। ভিটে ছাড়া উপেন সন্ন্যাসী হয়ে গ্রাম গ্রামান্তরে ঘােরে। কিন্তু পৈতৃক ভিটের স্মৃতি সে ভুলতে পারে না।

একদিন চির পরিচিত গ্রামে সে ফিরে আসে। গ্রামের অন্য সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও তার ভিটে আজ নিশ্চিহ্ন। কিন্তু হঠাৎ সে লক্ষ করে তার ছােটবেলার স্মৃতিবিজড়িত সেই আমগাছটি এখনও আছে। সেই আমগাছের ছায়াতলে বসে ক্লান্ত-শ্রান্ত উপেন পরম শান্তি অনুভব করল। হঠাৎ বাতাসের ঝাপটায় দুটি পাকা আম পড়ল তার কোলের কাছে। আমটিকে সে জননীর স্নেহের দান মনে করে গ্রহণ করল। কিন্তু তখনই ছুটে এল মালি।

উপেনকে জমিদারের নিকট হাজির করা হলাে। জমিদার তাকে সাধুবেশী চোর বলে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এই কবিতার মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন, সমাজে এক শ্রেণির লুটেরা বিত্তবান প্রবল প্রতাপ নিয়ে বাস করে। তারা অর্থ, শক্তি ও দাপটের জোরে অন্যায়কে ন্যায় ও ন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা করে। দুই বিঘা জমি’ কবিতাটিতে ভূস্বামী এদেরই প্রতিনিধি।

দুই বিঘা জমি কবিতার ব্যাখ্যা

গরিব কৃষক উপেন একজন প্রান্তিক কৃষক। তার যে জমিজমা ছিল তার মধ্যে দুই বিঘা জমি ছাড়া সবই ঋণের দায়ে তাকে হারাতে হয়েছে। তার সম্বল এখন শুধু ভিটেমাটির এই দুই বিঘা জমি। কিন্তু উপেনের কপাল খারাপ। তার এলাকার জমিদার বাবুর ভূমির শেষ নেই। তবুও জমিদার বাবুর নজর পড়ে উপেনের দুই বিঘা জমির উপর। বাবু উপেনের জমি কিনতে চান। শুনে উপেন বলে, রাজা এই দেশের মালিক আপনি, জায়গার অভাব নেই কিন্তু আমার এই জায়গাটি ছাড়া মরার মতো ঠাঁই নেই; উপেন দুই হাত জোড় করে বাবুর কাছে ভিটেটা কেড়ে না নেওয়ার অনুরোধ করে। এতে বাবু রেগে চোখ গরম করে চুপ করে থাকেন। নাছোড়বান্দা বাবু দেড় মাস পরেই মিথ্যে ঋণের দায়ে উপেনের প্রতি ডিক্রি জারি করেন। উপেন নিজের ভিটে ছেড়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়।

এভাবে ১৫/১৬ বছর কেটে যায়। অনেক তীর্থস্থান, শহর, গ্রাম সে বিচরণ করে, তবুও উপেন তার দুই বিঘা জমির কথা ভুলতে পারে না। তাই মাতৃভূমির টানে উপেন একদিন নিজ গ্রামে ফিরে আসে। গ্রামে এসে নিজ বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়ে দেখে বাড়িতে আগের কোন চিহ্ন নেই। উপেনের মন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে, তার বসতভিটা নিজ ঐতিহ্য ভুলে অন্য রূপ ধারণ করেছে। নিজের বাড়িতে এসে উপেন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। তার চোখ জলে ভরে যায়।

অবশেষে তার ছেলেবেলার সেই আমগাছটির দিকে চোখ পড়ে উপেনের। স্মৃতিময় আমগাছটি দেখে তার মনের ব্যথা দূর হয়ে যায়। আমগাছটির নিচে বসে সে ভাবতে থাকে ছেলেবেলার কথাগুলো। তখন হঠাৎ তার কোলের কাছে দুটি আম ঝরে পড়ে। ক্ষুধার্ত উপেন ভাবে আমগাছটি তাকে চিনতে পেরে দুটি আম উপহার দিয়েছে। কিন্তু আম দুটি হাতে নিতেই বাগানের মালি লাঠি হাতে এসে উপেনকে গালিগালাজ করে, উপনকে ধরে রাজার কাছে নিয়ে যায়।

বাবু তখন মাছ ধরছিলেন। মালির কাছে সব শুনে বাবু রেগে উপেনকে বকা দেন, মারতে চান। উপেন কাতর হূদয়ে বাবুর কাছে আম দুটো ভিক্ষা চায়। কিন্তু বাবু উপেনকে সাধুবেশী চোর বলে উল্লেখ করেন। এতে উপেন হতভম্ব হয়ে যায়। চোর উপাধি শুনে উপেনের চোখ দিয়ে ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা ও পরিহাসের কথা মনে পড়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে।

দুই বিঘা জমি কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, দুই বিঘা জমি কবিতা MCQ

১. ‘বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়।’ এখানে চোর বলা হয়েছে কাকে?

ক. উপেন খ. ভূস্বামী

গ. পারিষদ ঘ. মালী

সঠিক উত্তর: ক – উপেন

২. উপেন কত বছর পরে নিজ গ্রামে প্রবেশ করে?

ক. ১০–১৫ বছর

খ. ১৪–১৫ বছর

গ. ১৫–১৬ বছর

ঘ. ১৫–২০ বছর

সঠিক উত্তর: গ. ১৫–১৬ বছর

৩. উপেন জন্মভূমিকে কী বলে ধিক্কার দিয়েছে?

ক. নিলাজ কুলটা খ. নিলাজ জননী

গ. নিলাজ দাসি ঘ. দাসি জননী

সঠিক উত্তর: ক. নিলাজ কুলটা

৪. দুই বিঘা জমির সবকিছু নিশ্চিহ্ন হলেও কালের সাক্ষী হিসেবে এখনো কোন স্মৃতিচিহ্নটুকু আছে?

ক. প্রাচীর খ. শাকপাতা

গ. পুষ্পিত কেশ ঘ. আমগাছ

সঠিক উত্তর: ঘ. আমগাছ

৫. সহসা কে শ্বাস ফেলে গেল?

ক. শাখা খ. ফল

গ. বাতাস ঘ. ঝড়

সঠিক উত্তর: গ. বাতাস

৬. ভগবান উপেনকে কোথায় রাখবে না বলে ভেবেছিল?

ক. দুই বিঘা জমিতে

খ. সাধুর শিষ্য করে

গ. মোহ গর্তে

ঘ. হাটে-মাঠে-বাটে

সঠিক উত্তর: গ. মোহ গর্তে

৭. দুই বিঘা জমির অঞ্চলে কয় রঙা পাতা শোভা পায়?

ক. চাররঙা খ. পাঁচরঙা

গ. ছয়রঙা ঘ. সাতরঙা

সঠিক উত্তর: খ. পাঁচরঙা

দুই বিঘা জমি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কার দুই বিঘা জমি ছিল?

উত্তর: উপেনের দুই বিঘা জমি ছিল।

প্রশ্ন-২। ভূস্বামী কার জমি কিনে নিতে চাইলেন?

উত্তর: ভূস্বামী উপেনের জমি কিনে নিতে চাইলেন।

প্রশ্ন-৩৷ জমিদার উপেনের দুই বিঘা জমি নিতে চাইল কেন?

উত্তর: বাগানের জমি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে সমান করার উদ্দেশ্যে জমিদার উপেনের দুই বিঘা জমি নিতে চাইল।

প্রশ্ন-৪৷ উপেন কেমনভাবে জমিদারের কাছে তার ভিটেখানি রক্ষার কথা বলল?

উত্তর: উপেন সজল চোখে জমিদারের কাছে তার ভিটেখানি রক্ষার কথা বলল।

প্রশ্ন-৫৷ উপেনের কথা শুনে জমিদার কেমন হাসি হেসেছিলেন?

উত্তর: উপেনের কথা শুনে জমিদার কুর হাসি হেসেছিলেন।

প্রশ্ন-৬। রাজা কুর হাসি হেসে উপেনকে কী বলেছিলেন?

উত্তর: রাজা ক্রুর হাসি হেসে উপেনকে বলেছিলেন, “আচ্ছা, সে দেখা যাবে।’

প্রশ্ন-৭। এ জগতে কে বেশি চায়?

উত্তর: এ জগতে যার ভূরি ভূরি আছে সেই বেশি চায়।

প্রশ্ন-৮। রাজার হস্ত কার সমস্ত ধন চুরি করে বলে কবিতায় বলা হয়েছে?

উত্তর: রাজার হস্ত কাঙালের সমস্ত ধন চুরি করে বলে কবিতায় বলা হয়েছে।

প্রশ্ন-৯। উপেন দু’বিঘা জমির পরিবর্তে বিধাতার নিকট থেকে কী পেয়েছিল?

উত্তর : উপেন দু’বিঘা জমির পরিবর্তে বিধাতার নিকট থেকে বিশ্বনিখিল পেয়েছিল।

প্রশ্ন-১০। উপেন কী বেশে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে?

উত্তর: উপেন সন্ন্যাসী বেশে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে।

প্রশ্ন-১১, উপেন কত বছর পথে পথে ঘােরে?

উত্তর: উপেন পনেরাে-ষােলাে বছর ধরে পথে পথে ঘােরে।

প্রশ্ন-১২। পল্লবঘন আম্রকানন কোথায়?

উত্তর: পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাঘরে।

প্রশ্ন-১৩। উপেন গ্রামে ফিরতে কোনটিকে বাম পাশে ফেলে আসে?

উত্তর: উপেন গ্রামে ফিরতে রথতলাকে বামপাশে ফেলে আসে।

প্রশ্ন-১৪৷ উপেন তৃষ্ণার্ত অবস্থায় কোথায় পৌছাল?

উত্তর: উপেন তৃষ্ণার্ত অবস্থায় নিজ বাড়ির কাছে পৌছাল ।

প্রশ্ন-১৫৷ আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া কী? 

উত্তর: আঁচল ভরিয়া রাখিতে ধরিয়া ফল-ফুল শাক পাতা।

প্রশ্ন-১৬৷ পাঁচরঙ্গ পাতা অঞলে গাঁথা —, শূন্যস্থানে কী বসবে?

উত্তর: উত্ত শূন্যস্থানে বসবে ‘পুষ্পে খচিত কেশ’।

প্রশ্ন-১৭৷  আমগাছের নিচে বসে উপেনের কীসের কথা মনে পড়ল?

উত্তর: আমগাছের নিচে বসে উপেনের বাল্যকালের কথা মনে পড়ল।

প্রশ্ন-১৮৷ কখন চোখে উপেনের ঘুম থাকত না?

উত্তর: জ্যৈষ্ঠের ঝড়ের রাতে উপেনের চোখে ঘুম থাকত না।

প্রশ্ন-১৯৷ কতটি আম উপেনের কোলের কাছে পড়ল?

উত্তর: দুটি আম উপেনের কোলের কাছে পড়ল।

প্রশ্ন-২০৷ যমদূতের মতাে কে উপেনের কাছে হাজির হয়েছিল?

উত্তর: যমদূতের মতাে বাগানের মালি উপেনের কাছে হাজির হয়েছিল।

দুই বিঘা জমি কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। মনে ভাবিলাম মােরে ভগবান রাখিবে না মােহগর্তে – ব্যাখ্যা করে।

উত্তর: জমিদারবাবু উপেনের সর্বস্ব কেড়ে নিলে উপেন নিজের মনকে মিথ্যা সান্তনা দিতে আলােচ্য কথাটি বলেছে।

জমিদার বাবু নিজের বাগানের শােভা বৃদ্ধির জন্য কূটকৌশল অবলম্বন করে উপেনের শেষ সম্বল সাতপুরুষের ভিটেমাটি এক প্রকার জোর করে কেড়ে নেয়। সব হারিয়ে পথে নামে নিঃস্ব-দরিদ্র উপেন। জমিদারের এ কূটচালকে উপেন ভেবেছে এটা সৃষ্টিকর্তারই কোনাে লীলা। সংসার, সম্পদ মানেই তাে মােহ। উপেনকে সৃষ্টিকর্তা সকল মােহ থেকে মুক্তি দিতেই তাকে আজ পথে নামিয়েছেন। তাই সে আলােচ্য কথাটি বলেছে।

প্রশ্ন-২। পনেরাে-ষােলাে বছর পর উপেনের দেশে ফেরার বাসনা হলাে কেন?

উত্তর: ভিটেমাটির প্রতি প্রবল টানে পনেরাে-ষােলাে বছর পর উপেনের দেশে ফেরার বাসনা হলাে।

একমাত্র সহায়-সম্বল দুই বিঘা জমি হারিয়ে উপেন সন্ন্যাসীবেশে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু প্রায় পনেরাে-ষােলাে বছর পর নিজ দেশে ফেলে যাওয়া পৈতৃক ভিটের স্মৃতির কথা মনে করে উপেনের দেশে ফেরার বাসনা হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩। “স্নেহের যে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা”- কী বােঝানাে হয়েছে? 

উত্তর: অনেকদিন পর গ্রামে ফেরা উপেন ভিটের আমগাছ থেকে ঝরে পড়া দুটি আমকে জননীর স্নেহের দান মনে করে গ্রহণ করে।

ভিটে থেকে উচ্ছেদ হওয়া উপেন অনেক দিন পর গ্রামে ফিরে নিজের ভিটেয় গিয়ে পূর্বের কোনাে স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পাচ্ছিল না। হঠাৎ পুরনাে আমগাছটি তার নজরে আসে। শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত আমগাছটির নিচে বসে থাকা অবস্থায় বাতাসের ধাক্কায় তার সামনে দুটি পাকা আম ঝরে পড়ে। উপেন সেই আম দুটিকে জননীতুল্য মাতৃভূমির স্নেহের দান মনে করে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে।

প্রশ্ন-৪। ‘শুধু বিঘা দুই ছিল মাের ভূঁই’- ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: ঋণে জর্জরিত উপেনের শেষ সম্বল হিসেবে সামান্য দুই বিঘা জমিই অবশিষ্ট ছিল।

উপেন দরিদ্র হলেও সে তার মাতৃসম বসত ভিটেটুকু বিক্রি করতে বা চায়নি। সব সম্পদ হারিয়েও তাই পূর্বপুরুষের শেষচিহ্ন অবশিষ্ট দুই বিঘা জমি সে বুকে আগলে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু জমিদার মিথ্যা মামলা দিয়ে তার জমি কেড়ে নিলে সে ভিটেছাড়া হলেও দুই বিঘা জমির কথা ভুলতে পারেনি।

প্রশ্ন-৫। রাজা উপেনের দুই বিঘা জমি কিনে নিতে চেয়েছিল কেন?

উত্তর: দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বাগানের সবদিক সমান করতেই রাজা উপেনের দুই বিঘা জমি কিনে নিতে চেয়েছিল।

উপেনের শেষ সম্বল ছিল দুই বিঘা জমি। কিন্তু সে জমিও, তার হাতে থাকেনি। কারণ রাজা সে জমি কিনে নিতে চায়। সে যে বাগান তৈরি করছে তাতে উপেনের দুই বিঘা পেলেই তার বাগানটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে সমান হবে।

দুই বিঘা জমি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- গাজীপুর চৌরাস্তার কাছে মতিন মিয়ার ছােট্ট এক চায়ের  দোকান। আর দোকানের পাশেই ‘ক’ হাউজিং সােসাইটির বিশালাকার  অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে উঠেছে। একদিন সকালে মতিন দেখে, তার দোকান  অ্যাপার্টমেন্টের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে আটকে গেছে। সে বুঝে গেল আর কিছুই করার নেই। উপায়ন্তর না দেখে সে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ফ্লাক্সে করে চা বিক্রি করে সংসার চালায় আর উদাস দৃষ্টিতে গগনচুম্বী অট্টালিকাগুলাের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে নােবেল পুরস্কার পান?

খ. রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? 

গ. ক’ হাউজিং সােসাইটির কার্যক্রমে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার বাবু সাহেব চরিত্রের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা দাও। 

ঘ. উদ্দীপকের মতিন ‘দুই বিঘা জমির শােষিত উপেনের সার্থক প্রতিনিধি কি না- এ বিষয়ে তােমার মতামত যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করাে।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে নােবেল পুরস্কার পান।

খ। উদ্ধৃত চরণটির মাধ্যমে বােঝানাে হয়েছে, সম্পদশালীরা আরও সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য গরিবের সর্ব হরণ করে।

ধনীর লালসা কেবল ধনের প্রতি। ধনসম্পদ পাওয়ার মাঝেই তার তৃপ্তি। ধন লাভের নিমিত্তে যেকোনাে অন্যায় কাজ করতেও তাদের বাধে না। কবিতায় উপেনের সামান্য জমির প্রতি নজর পড়ে জমিদারের। দরিদ্র কৃষক উপেনের সর্বশেষ সম্বল দুই বিঘা জমিও জমিদার মিথ্যা দেনার দায়ে দখল করে নেয়। 

গ। উদ্দীপকে ‘ক’ হাউজিং সােসাইটির কার্যক্রমে দুই বিঘা জমি’ কবিতার বাবু সাহেবের চরিত্রের আগ্রাসী মানসিকতার দিকটি স্পষ্টভাবে প্রকাশিত। 

আমাদের সমাজে এক শ্রেণির মানুষ বিত্ত-বৈভব অর্জনকেই জীবনের মূল লক্ষ্য বলে ধরে নিয়েছে। যেকোনাে উপায়ে সম্পদের মালিক হওয়াতেই তাদের তৃপ্তি। শক্তির দাপটে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে, অন্যায়কে ন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এমনই এক বাস্তবতা ‘দুই বিঘা জমি কবিতা ও উদ্দীপকে উপস্থাপিত।

কবিতার বাবু সাহেবের মতােই ‘ক’ হাউজিং সােসাইটির লােকজন আগ্রাসী মানসিকতার অধিকারী। সাধারণ মানুষের সম্পদ জবরদখল করে ফুলে ফেঁপে ওঠাই যেন উভয়ের মূললক্ষ্য। গরিবের সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা তাদের কাছে নেশার মতাে। ফলে নির্দ্বিধায় ক’ হাউজিং সােসাইটি দখলে নেয় মতিন মিয়ার ছােট্ট চায়ের দোকানের জায়গাটি। যেমনটি লক্ষ করা যায় আলােচ্য কবিতায় বাৰু সাহেবের আচরণে।

ঘ। উদ্দীপকের মতিন সর্বস্ব হারিয়ে দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেনেরই সার্থক প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে।

আলােচ্য কবিতায় উপেন একজন শশাষিত চরিত্র। অন্যায়ভাবে জমিদার তার দুই বিঘা জমি কেড়ে নিয়েছে। নিজ ভিটে ছেড়ে সে সন্ন্যাসী জীবন বেছে নিয়েছে। তার প্রতি জমিদারের শশাষণের মাত্রা এতাে বেশি ছিল যে তাকে শেষ সম্বল ডিটেবাড়িও হারাতে হয়।

উদ্দীপকের ‘ক’ হাউজিং সােসাইটি মতিন মিয়াকে কোনােরূপ দয়া দেখায়নি। তারা রাতের অন্ধকারে তার দোকানটি গ্রাস করেছে। উদ্দীপকের মতিন মিয়ার দোকানটি দখল হয়ে যাওয়ার পর চায়ের ফ্লাস্ক হাতে সে রাস্তায় নেমেছে। ধনীদের নিষ্ঠুর, শােষণে তার দুর্দশা উপেনের মতােই। অন্যায় সহ্য করেই তারা বাঁচে। হাউজিং সােসাইটির উদ্দীপকে উল্লিখিত চা-বিক্রেতা মতিন মিয়া, দখলদারিত্বে নিঃস্ব হয়ে দীর্ঘশ্বাস সম্বল করে বাঁচে। দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেনও জমিদারের লােভী মনােভারে সর্বস্বান্ত হয়ে ভিটে ছাড়তে বাধ্য হয়। দরিদ্র কৃষক উপেনের মতােই জীবনযাপন করে উদ্দীপকের মতিন মিয়া। সর্বস্ব হারিয়ে সে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার দরিদ্র কৃষক উপেনেরই সার্থক প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে।

প্রশ্ন-২। হােসেন একজন বর্গাচাষি। অন্যের জমি চাষাবাদের মাধ্যমে তার সংসার চলে। একমাত্র মেয়ে রহিমাকে লেখাপড়া শেখানাের জন্য স্কুলে পাঠায় কিন্তু বিত্তবান রহমত আলী বিষয়টা ভালােভাবে নেয় না। ষড়যন্ত্র করে রহমত তাকে ভিটে-মাটিছাড়া করে। হােসেন নিরুপায় হয়ে দূর গ্রামে চলে যায়। রহমত আলীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে অমিত পিতার কর্মকাণ্ডে বিব্রত ও লজ্জিত হয় এবং পিতাকে এ ধরনের অমানবিক আচরণ থেকে বিরত করে হােসেনকে তার ভিটায় ফেরার ব্যবস্থা করে।

ক. দুই বিঘা জমি’ কবিতায় উপেন কত দিন পর ভিটে-মাটি ছেড়ে পথে বের হলাে?

খ. তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ এ কথা বলার কারণ কী?

গ. উদ্দীপকের রহমত আলীর সাথে দুই বিঘা জমি’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি ব্যাখ্যা করাে।

ঘ. ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেন যদি উদ্দীপকের হােসেনের অবস্থায় পড়তেন তাহলে উপেনকে ভিটে-মাটি হারাতে হতাে না।- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।

২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক। দুই বিঘা জমি’ কবিতায় উপেন দেড় মাস পরে ভিটে-মাটি ছেড়ে পথে বের হলাে।

খ। প্রশ্নোক্ত কথাটির মধ্য দিয়ে উপেন অত্যাচারী ভূস্বামীর প্রতি পরিহসছলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

অত্যাচারী ও কপট ভূস্বামী উপেনের ভিটে-মাটিটুকু কেড়ে নেওয়ার পর বাধ্য হয়ে সে পথে নামে। এভাবে দীর্ঘদিন পথে পথে ঘুরে বেড়ানাের পর সে একদিন পুনরায় ভিটে-মাটিটুকু দেখতে আসে। সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার সময় গাছের দুটি আম তার পায়ের কাছে ঝরে পড়লে আম দুটিকে সে স্নেহের দান মনে করে গ্রহণ করে। বিষয়টি বাগানের মালি দেখে ফেলার পর জমিদার তাকে চোর বলে অপবাদ দেয়। ভিটে-মাটি দখলকারীর মুখে এমন অপবাদ শুনে ক্ষোভে পরিহাসছলে উপেন প্রশ্নোক্ত কথাটির অবতারণা করে।

গ। উদ্দীপকের রহমত আলীর সাথে দুই বিঘা জমি’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র হলাে জমিদার।

‘দুই বিঘা জমি কবিতার জমিদার একজন স্বার্থপর ও হীন চরিত্রের মানুষ। নিজ স্বার্থকে চরিতার্থ করতে উপেনকে অন্যায়ভাবে ভিটে-মাটিছাড়া করতেও পিছপা হয় না। তার কারণেই সর্ব হরিয়ে উপেনকে পথে নামতে হয়।

উদ্দীপকের রহমত আলী বিত্তবান হলেও হীন মানসিকতার অধিকারী। এ কারণেই বর্গাচাষি হােসেন তার মেয়েকে স্কুলে পাঠালে সে হিংসায় ফেটে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে সে ষড়যন্ত্র করে হােসেনকে ভিটে-মাটি ছাড়া করে। অন্যদিকে, দুই বিঘা জমি’ কবিতার জমিদারও নিজ স্বার্থসিদ্ধির প্রয়ােজনে উপেনকে কৌশলে ভিটে-মাটিছাড়া করে। এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও কর্মকাণ্ডের দিকটি মােটামুটি একরকম। সে বিবেচনায়, উদ্দীপকের রহমত আলীর সাথে আলােচ্য কবিতার জমিদার চরিত্রটিই সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ঘ। “দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেন যদি হােসেনের অবস্থায় পড়ত তাহলে উপেনকে ডিটে-মাটি হারাতে হতাে না।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

দুই বিঘা জমি’ কবিতায় জমিদার চরিত্রের মধ্যদিয়ে কবি স্বার্থপর ও কপট মানুষদের স্বরূপ তুলে ধরেছেন। এ কবিতায় তিনি বিত্তবান জমিদারের মতাে লুটেরা শ্রেণির রােষানলে পড়ে অসহায় উপেনের সর্বস্ব হারানাের মর্মন্তুদ চিত্র উপস্থাপন করেছেন। আলােচ্য কবিতায় উল্লেখিত এই কাহিনি সমাজে বিরাজমান শ্রেণিবৈষম্যের দিকটিকেই নির্দেশ করে।

উদ্দীপকে উল্লেখিত বর্গাচাষি হােসেন তার কন্যাকে স্কুলে পাঠালে বিষয়টি বিত্তবান রহমত আলী ভালােভাবে নেয় না। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রহমত আলী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে ভিটে-মাটিছাড়া করে। কিন্তু রহমত আলীর বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে অমিত উদার প্রকৃতির। সংগত কারণেই বিষয়টি জানতে পেরে সে লজ্জিত হয় এবং হােসেন মিয়ার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।

‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় স্বার্থান্ধ জমিদার উপেনের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখায়নি; বরং সবকিছু কেড়ে নেওয়ার দীর্ঘকাল পর উপেন গ্রামে ফিরে এলে তাকে চোর অপবাদ দেয়। পক্ষান্তরে, উদ্দীপকের হােসেন রহমত আলীর ষড়যন্ত্রে ভিটে-মাটি হারালেও তারই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে অমিতের সহায়তায় পুনরায় সবকিছু ফিরে পায়। এ ক্ষেত্রে উপেন হােসেনের মতাে সহায়তা পেলে তার পরিণতি এমন হতাে না। সেদিক বিবেচনায়, প্রশ্নোত উক্তিটি যথার্থ ।

দুই বিঘা জমি কবিতা পিডিএফ

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | দুই বিঘা জমি

Q3. দুই বিঘা জমি কোন ধরনের কবিতা

Ans – দুই বিঘা জমি’ একটি কাহিনি কবিতা।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।