সিডি এবং ডিভিডি পার্থক্য করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

সিডি এবং ডিভিডি পার্থক্য করুন

সিডি

(i) সম্প্রসারণ হল কমপ্যাক্ট-ডিস্ক

(ii) একটি স্ট্যান্ডার্ড সিডি প্রায় 700 এমবি ডেটা সঞ্চয় করতে পারে।

(iii) সিডি প্লেয়ার ডিভিডি চালাতে পারে না।

(iv) এটি 80 মিনিট পর্যন্ত অডিও সঞ্চয় করে।

ডিভিডি

(i) সম্প্রসারণ হল ডিজিটাল বহুমুখী ডিস্ক।

(ii) একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিভিডি 4.7 জিবি ডেটা ধারণ করতে পারে।

(iii) ডিভিডি প্লেয়ার সিডি চালাতে পারে।

(iv) এটি 4.7 GB থেকে 17.08 GB পর্যন্ত হতে পারে।

সিডি ফুল ফর্ম

CD এর পূর্ণরূপ হল কমপ্যাক্ট ডিস্ক। এটি একটি সমতল, ক্ষুদ্র-গোলাকার স্টোরেজ ইউনিট যা 700 MB পর্যন্ত তথ্য সঞ্চয় করতে পারে এবং এর ব্যাস 4.75 ইঞ্চি। এটি কমপ্যাক্ট, তাই এটি যেখানেই বহন করা সম্ভব। কারণ এর সামঞ্জস্যতা সময় এবং দীর্ঘ সময়ের সাথে ক্ষয় হয় না, আমরা এটি অসংখ্যবার পরিচালনা করতে পারি।

সিডি যেকোনো তথ্য যেমন ভিডিও, অডিও, টেক্সট, ফটোগ্রাফ ইত্যাদির ডিজিটাল ফরম্যাট সংরক্ষণ করতে পারে।

ডিভিডি ফুল ফর্ম

ডিভিডি মানে ডিজিটাল ভার্সেটাইল ডিস্ক। এটি সাধারণত ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক নামে পরিচিত। এটি একটি ডিজিটাল অপটিক্যাল ডিস্ক স্টোরেজ ফরম্যাট যা উচ্চ ক্ষমতার ডেটা সঞ্চয় করতে ব্যবহৃত হয়

কম্পিউটার ভাইরাস, কম্পিউটার ভাইরাস কি

VIRUS এর পূর্ণরূপ হল-Vital Information and Resources Under Siege. ১৯৮৩ সালে ফ্রেড কোহেন কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ করেন। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমন করে এবং নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। কম্পিউটার ভাইরাস এমন এক ধরনের ফাইল বা প্রোগ্রাম যেগুলো কম্পিউটারের স্বাভাবিক ফাইল বা প্রোগ্রামকে নষ্ট করে দিতে পারে। ইহা ব্যবহারকারীর অনুমতি ব্যতীত নিজেরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে। সাধারণত সিডি, পেনড্রাইভ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভাইরাস এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়ে।

কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার ও কি কি

কম্পিউটার ভাইরাস বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত বা কমন এমন ৯ টি ভাইরাস হলোঃ

১. রিসাইডেন্ট ভাইরাস, Resident virus

এটিকে বাসিন্দা বা আবাসিক ভাইরাস বলা যায়। রিসাইডেন্ট ভাইরাস কম্পিউটারের র‌্যামে (RAM) বসবাস করে কম্পিউটারের সিস্টেমকে বাধাগ্রস্ত করে। এই ভাইরাস এতোই ছদ্মবেশে থাকে যে, এ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার থেকেও নিজেকে আড়াল করতে পারে।

২. মাল্টিপার্টাইট ভাইরাস, Multipartite Virus

মাল্টিপার্টাইট বা বহুদলীয় ভাইরাসটি পুরো সিস্টেমকে সংক্রমিত করে। ব্যবহারকারীর অনুমতিবিহীন কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে এটি অপারেটিং সিস্টেম, ফোল্ডার ও প্রোগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।

৩. ডাইরেক্ট এ্যাকশন ভাইরাস, Direct Action Virus

এই ভাইরাসটি একটি নির্দিষ্ট ফাইলের ধরণকে লক্ষ্য করে সরাসরি কাজ করে থাকে। সাধারণত এগুলো এক্সিকিউটেবল ফাইল(.exe) হয়, ফাইলগুলোর প্রতিলিপি বা কপি তৈরি করে সংক্রমিত করে। তবে এই ভাইরাসের লক্ষ্যযুক্ত প্রকৃতির কারণে একে সনাক্ত ও দূর করা সহজতর।

৪. ব্রাউজার হাইজাকার, Browser Hijacker

এই ধরনের ভাইরাস ওয়েব ব্রাউজারকে সংক্রমিত করে, ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এই ভাইরাস সহজেই সনাক্ত করা যায়।

৫. ওভাররাইড ভাইরাস, Overwrite Virus

একটি সিস্টেম সংক্রমিত হওয়ার পর, ওভাররাইট ভাইরাস তার নিজস্ব কোড দ্বারা ফাইলের কনটেন্টকে ওভাররাইট করা শুরু করে। এই ভাইরাস নির্দিষ্ট ফাইল বা এ্যাপ্লিকেশনকে টার্গেট করে সংক্রমিত করতে সক্ষম। ক্রমাগতভাবে এটি একটি ডিভাইসের সম্পূর্ণ ফোল্ডার ও ফাইলের ডাটা ধ্বংস করে দিতে পারে।

৬. ওয়েব স্ক্রিপটিং ভাইরাস, Web Scripting Virus

ইহা খুবই ছদ্মবেশী ভাইরাস। এগুলো একটি ওয়েবসাইটের লিংকস, এ্যাড, ইমেজ, ভিডিও এবং কোডের কোডিং এ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে। ব্যবহারকারীরা যখন এসব আক্রান্ত ফাইল ডাউনলোড করে কিংবা ওয়েব সাইট পরিদর্শন করে তখন এটি ডিভাইসকে সংক্রমিত করতে পারে।

৭. ফাইল ইনফেক্টর, File Infector

ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস এক্সিকিউটেবল ফাইলকে(.exe) টার্গেট করে থাকে। ব্যবহারকারী এই ফাইলকে রান করলে ভাইরাস প্রোগ্রামকে স্লো করে দিতে পারে এবং সিস্টেম ফাইলকে ড্যামেজ করে দিতে পারে।

৮. নেটওয়ার্ক ভাইরাস, Network Virus

নেটওয়ার্ক সংযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে এবং রিসোর্স শেয়ার করলে এরা নিজেদের কপি তৈরি করতে পারে।

৯. বুট সেক্টর ভাইরাস, Boot Sector Virus

এই ভাইরাস সহজে এড়ানো সম্ভব। এই ধরনের ভাইরাস সাধারণত পেনড্রাইভ বা ইমেলের ফাইলের সাথে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। যখন এটি সক্রিয় হয় তখন সিস্টেমের ক্ষতি করার জন্য মাস্টার বুট রেকর্ডকে সংক্রমিত করতে পারে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

FAQ | কম্পিউটার

নতুনদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা

Ans – ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৪ টি উপায়ে কম্পিউটার শিখুন

১. ইউটিউবের দ্বারা কম্পিউটার শিখুন
২. Computer টিওটোরিয়াল পিডিএফ (PDF) দ্বারা
৩. Online computer learning websites (Online courses)
৪. Apps ব্যবহার কোরে কম্পিউটার কিভাবে শিখবেন


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।