একটি কম্পিউটারে উপলব্ধ ইন্টারফেস এবং পোর্টগুলি লিখুন।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

একটি কম্পিউটারে উপলব্ধ ইন্টারফেস এবং পোর্টগুলি লিখুন | Ports and Interfaces in Computer, Ports and Interfaces

উত্তর: একটি কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে অনেকগুলি I/O সকেট থাকে যা একটি কম্পিউটারের পিছনের দিকে পাওয়া পোর্ট এবং ইন্টারফেসের সাথে সংযুক্ত থাকে। বাহ্যিক ডিভাইসগুলি পোর্ট এবং ইন্টারফেসের সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের পোর্ট নিচে দেওয়া হল:

(i) সিরিয়াল পোর্ট

(ii) সমান্তরাল বন্দর

(iii) USB 3.0

(iv) ভিজিএ সংযোগকারী

(v) অডিও প্লাগ

(vi) PS/2 পোর্ট

(vii) SCSI পোর্ট

(viii) হাই ডেফিনিশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস (HDMI)।

মাদারবোর্ড, মাদারবোর্ড কি, মাদারবোর্ড কী

ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক্সের জটিল ভাষা পরিহার করে বুঝানো যাক। একটি বহুতলবিশিষ্ট বিল্ডিং এর কথা চিন্তা করুন। একটি বিল্ডিং এ অনেক গুলো ফ্লোর থাকে। একেকটি ফ্লোরে একেক ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কোন কোন ফ্লোর আবাসিক আবার কোন কোন ফ্লোর বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। আবার দরকারি কাজে আবাসিক ভাড়াটিয়ারা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তেমনিভাবে মাদারবোর্ড একটি কম্পিউটারের জন্য বিল্ডিং এর মতই যেখানে রয়েছে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ইউনিট।

মাদারবোর্ড নাম শুনেই অনুধাবন করা যাচ্ছে তা কম্পিউটারের জন্য কতটা জরুরি। মা যেমন একটি পরিবারের মূল প্রাণ তেমনি মাদারবোর্ডও কম্পিউটারের প্রাণ। সর্বোপরি, মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের একটি প্রিন্টেড সার্কিট বেইজ যেখানে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার মডিউল (পাওয়ার সাপ্লাই, সিপিইউ, প্রসেসর, র‍্যাম) সংযুক্ত থাকে।

মাদারবোর্ডের কাজ কি, মাদারবোর্ড এর কাজ কি

মাদারবোর্ড মূলত বেশ কিছু প্রধান কাজ থাকে। সেগুলো হল-

  • এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন উপাদানে বৈদ্যুতিক শক্তি বা সংকেত পাঠিয়ে থাকে।
  • মাদারবোর্ড মূলত কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • আর, এই মাদারবোর্ড হার্ড ডিস্ক, RAM ও সিপিইউ-এর মতো যন্ত্রাংশগুলোর কাছাকাছি ইনস্টল করা থাকে।
  • মাদারবোর্ড একরকমের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যার উপর নানাধরণের এক্সপেনশন বা বিস্তারকারী শ্লটস থাকে।
  • এতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা অন্যান্য ডিভাইস বা ইন্টারফেস কম্পিউটারে ইনস্টল করতে পারে।
  • মাদারবোর্ড কম্পিউটারের বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে সাহায্য করে এবং তাদের মধ্যে একটা ইন্টারফেস তৈরি করে রাখে।
  • এই যন্ত্রাংশ বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে, সেগুলো হল – মাইক্রো-ATX, NLX, মিনি-ATX ও ইত্যাদি।

মাদারবোর্ড কত প্রকার ও কি কি?

মাদারবোর্ড প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ

  • Integrated Motherboard
  • Non-Integrated Motherboard

Integrated Motherboard

যে মাদারবোর্ডে আপনি নতুনভাবে কোন সিস্টেম আপডেট করতে পারবেন তাকে Integrated Motherboard। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কি রকম? যেমন ধরুন, পিসি, ল্যাপটপের মাদারবোর্ডে আপনি চাইলেই SSD, গেম কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড এড করতে পারবেন। এজন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপের মাদারবোর্ডকে ইন্টিগ্রেডেড মাদারবোর্ড বলে।

Non-Integrated Motherboard

ইন্টিগ্রেডেড মাদারবোর্ডকে একটু উল্টো করে ভাবুন। এমন কোন ডিভাইস আছে যার মাদারবোর্ডে আপনি এক্সট্রা কোন হার্ডওয়্যার বা স্লট ইন্টিগ্রেড করতে পারবেন না? উত্তরে নিশ্চয়ই বলবেন মোবাইল, ট্যাব। হ্যা, মোবাইলে আমরা চাইলেই গ্রাফিক্স কার্ড, গেম কার্ড, এস এস ডি এড করতে পারিনা। তাই মোবাইলের মাদারবোর্ডকে বলা হয় নন-ইন্টিগ্রেডেড মাদারবোর্ড।

মাদারবোর্ড এর ছবি

মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড এর বিভিন্ন অংশের বর্ণনা, মাদারবোর্ড সম্পর্কে বিস্তারিত

মাদারবোর্ড নিম্নলিখিত অংশ নিয়ে গঠিতঃ

  • RAM চিপ
  • ROM চিপ
  • CPU চিপ
  • PCI স্লট
  • গ্রাফিক্স পোর্ট
  • ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট
  • ইন্টারনেট ল্যান পোর্ট
  • সিরিয়াল পোর্ট
  • প্যারালাল পোর্ট
  • পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টর
  • নর্থব্রীজ এবং সাউথব্রীজ
  • PS2 পোর্ট
  • FDC পোর্ট
  • IDE পোর্টরি
  • CMOS ব্যাটারি

RAM চিপ

র‍্যাম এক ধরনের মেমোরি ডিভাইস। RAM এর পূর্ণরুপ হল Random Access Memory। আপনার ল্যাপটপে ডাউনলোড করা সফটওয়্যার, বিভিন্ন তথ্য এবং মেশিন কোডগুলো র‍্যামের মধ্যে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। কাজেই একে Temporary Memory Element ও বলা হয়। র‍্যামের সাইজ বা স্পেস যত বেশি হবে তখন তার বহুবিধ কাজ করার প্রবণতাও বেড়ে যাবে ।

ROM চিপ

যারা যারা র‍্যামের কাজ বুঝেছেন তাদের কাছেও রোম বুঝাটাও অনেক সহজ হবে। রোম ও র‍্যামের মতই মেমোরি ডিভাইস কিন্তু র‍্যামের উলটা কাজটাই করে রোম। র‍্যাম যেকোন ডাটাকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে আর পক্ষান্তরে রোম ডাটাকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে।

সি পি ইউ চিপ (CPU)

সি পি ইউ এর পূর্ণরুপ হল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। মানুষের মস্তিষ্ক যেমন সকল প্রকার কার্যাবলির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে তেমনি কম্পিউটারের সকল ফাংশনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হল সেন্টাল প্রসেসিং ইউনিট। মাদারবোর্ডের সি পি ইউ চিপ থাকে যা কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার, ফাংশন কার্যকর করতে সাহায্য করে।

PCI স্লট

PCI এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Peripheral Components Interconnect। মাদারবোর্ডের এই স্লটে বাইরের কোন ডিভাইসকে ইন্টারকানেক্ট করা যায়। বিভিন্ন কন্ট্রোলার, ওয়াইফাই এডাপ্টার, স্যাটেলাইট রিসিভার, টিভি টার্নার মাদারবোর্ডের পিসিআই স্লটে সংযুক্ত করা যায়।

গ্রাফিক্স পোর্ট

পি এস আই স্লটের পূর্বে কম্পিউটারগুলোর মাদারবোর্ডে আলাদাভাবে গ্রাফিক্স পোর্ট ব্যবহার করা হত যেখানে ভিডিও কার্ড সংযোগ করে 3-D গ্রাফিক্স বা এনিমেশন দেখা যেত। বর্তমানে ভিডিও কার্ড বা সিডি ড্রাইভ এখন পি সি আই পোর্টেই সংযুক্ত করা যায়।

সিরিয়াল পোর্ট

মাদারবোর্ডে দুটি সিরিয়াল পোর্ট দেখা যায় যা ৯-১০ পিনবিশিষ্ট। আপনি নিজের অজান্তেই মাউস, ইন্টারনেট মডেম বা মাউস ল্যাপটপের যে পোর্টে সংযোগ দিচ্ছেন তার নামই হল সিরিয়াল পোর্ট।

প্যারালাল পোর্ট

ল্যাপটপে বসে কোন একটি ডকুমেন্ট তৈরি করলেন। এখন প্রিন্ট দিবেন। প্রিন্ট দিতে দরকার প্রিন্টার। ইউ এস বি ক্যাবল দিয়ে ল্যাপটপের যে পোর্টের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ দিবেন তার নামই প্যারালাল পোর্ট। এই পোর্ট সাধারণত ২৬ পিনবিশিষ্ট হতে পারে। প্রিন্টার, স্ক্যানার মাদারবোর্ডের প্যারালাল পোর্টে সংযোগ দেয়া হয়।

PS2 পোর্ট

ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে মাউস সংযুক্ত করার জন্য যে পোর্ট লাগানো থাকে সেটিই হল PS2 পোর্ট। তবে বর্তমানে প্রযুক্তি অনেক উন্নত। এখন পি এস টু পোর্টের পরিবর্তে ইউ এস বি পোর্ট ব্যবহার করা হয়। যা পি এস টু পোর্টের তুলনায় অনেকাংশে কার্যকরী।

Internet LAN পোর্ট

কম্পিউটারে হাই ব্যান্ডউইথ এর ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য এক ধরনের পোর্ট থাকে। যার নাম ইন্টারনেট ল্যান পোর্ট। এই ল্যান পোর্টটি দেখতে চতুর্ভুজাকৃতির। রাউটারের RJ45 কানেক্টর এই ল্যান পোর্টে সংযোগ করা যায়।

ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট

মাদারবোর্ডের ডিসপ্লে কানেক্ট করার জন্য ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট ব্যবহার করা হয়। ভিডিএ পোর্টের একটি সুবিধা হল ভিডিএ পোর্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। পি সি আই স্লট ব্যবহার করে ভিডিএ কানেক্টিং পোর্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

সাউথব্রীজ / নর্থব্রীজ

এগুলো মূলত মাদারবোর্ডের মূল লজিক চিপসেটের দুটি চিপ। সাধারণত, সাউথব্রিজ একটি কম্পিউটার আর্কিটেকচারে মাদারবোর্ডের ধীর হওয়ার প্রবণতা তৈরি করতে সক্ষম।

নর্থব্রীজ, যা হোস্ট ব্রিজ বা মেমোরি কন্ট্রোলার হাব নামেও পরিচিত। এটি ফ্রন্ট-সাইড বাস (এফ এস বি) এর মাধ্যমে সরাসরি সিপিইউতে সংযুক্ত থাকে। কম্পিউটারের যে কাজগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন সেসমস্ত কাজে এই চিপ সাহায্য করে।

FDC / ফ্লফি ডিস্ক কন্ট্রোলার

FDC একটি স্পেশাল ডিস্ক কন্ট্রোলার সার্কিট। এটি একটি কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ (এফ ডি ডি) থেকে যেকোন তথ্য রিডিং এর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রাইটিং এর নির্দেশ দেয়।

IDE কন্ট্রোলার

আ ডি ই কন্ট্রোলার হল এক প্রকার হোস্ট এডাপ্টার যা ইথারনেট, ফায়ারওয়্যার, ইউএসবি এবং অন্যান্য সিস্টেমগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি হোস্ট অ্যাডাপ্টার, যা হোস্ট কন্ট্রোলার বা হোস্ট বাস অ্যাডাপ্টার (এইচ বি এ) নামেও পরিচিত। এটি একটি কম্পিউটারকে লোকাল নেটওয়ার্ক এবং স্টোরেজ ডিভাইসগুলোর সাথে সংযুক্ত করে।

CMOS ব্যাটারি

CMOS ব্যাটারি, যা মেমোরি ব্যাটারি, ক্লক ব্যাটারি বা রিয়েল-টাইম ক্লক (আর টি সি) নামেও পরিচিত। সাধারণত লিথিয়াম কয়েন সেল দিয়ে এটি নির্মিত। CMOS ব্যাটারির আয়ু সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে।

পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টর

মাদারবোর্ডে পাওয়ার সাপ্লাই কানেক্টরের সাহায্যে সম্পূর্ণ সার্কিটে পাওয়ার পৌঁছে যায়। একটি পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে। এটি 12 ভোল্ট, 5 ভোল্ট, 3.3 ভোল্ট ইত্যাদির ডিসি পর্যন্ত হতে পারে।

হিট সিঙ্ক

প্রত্যেক ডিভাইসেরই একটি সহনীয় তাপমাত্রা থাকে। ডিভাইটি অনবরত ব্যবহারের ফলে তাপমাত্রা সহজেই বৃদ্ধি পেতে পারে। হিট সিঙ্ক এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা অপসারণ করতে সাহায্য করে। মাদারবোর্ডে হিট সিঙ্ক সাধারণত CPU, GPU (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট), চিপসেট এবং RAM মডিউলগুলি শীতল করতে ব্যবহৃত হয়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

FAQ | কম্পিউটার

এনালগ কম্পিউটার কাকে বলে

Ans – অ্যানালগ কম্পিউটার শব্দটি পদার্থবিদ্যার সমস্যা যেমন তরল গতিবিদ্যা, বৈদ্যুতিক সার্কিট, যান্ত্রিক সিস্টেম এবং অন্যান্যগুলির সমাধান করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইস এবং কৌশলগুলিতে প্রয়োগ করা হয়। যদি ডিজিটাল কম্পিউটারের সাথে তুলনা করা হয়, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কম্পিউটার, অ্যানালগ কম্পিউটারগুলি তাদের অপারেশনে খুব আলাদা।

এটিকে সহজভাবে একটি ডিভাইস হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা বাইনারি 1 বা 0 এর পরিবর্তে শারীরিক পরিমাণের সাহায্যে কাজ করে। এটি একটি কম্পিউটার যা পৃথক পরিমাণের সাহায্যে কাজ করে। এটিকে নন-ডিজিটাল কম্পিউটারও বলা হয়।

অ্যানালগ কম্পিউটার একটি পুরানো কম্পিউটার যা একটি সমীকরণ সমাধান করতে কিছু শারীরিক বিবেচনা ব্যবহার করে। এটি একটি সমস্যা সমাধানের জন্য ভোল্টেজ, বর্তমান, প্রতিরোধ এবং অন্যান্য শারীরিক উপাদান ব্যবহার করে। একটি এনালগ কম্পিউটারের প্রধান কাজগুলি হল:

1. বিচ্ছিন্ন সময়-পরিবর্তন সিস্টেম
2. যুগপত রৈখিক বীজগণিত সমীকরণের সেট
3. নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।