সবার আমি ছাত্র কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

সবার আমি ছাত্র কবিতার সারাংশ

উত্তর : আমরা ইস্কুল কলেজে যে লেখাপড়া শিখি তা পাঠ্য পুস্তক থেকে । শিক্ষক ও অধ্যাপকের কোন বিশেষ বিষয়ে আলোচনা থেকে আমরা জ্ঞান অর্জন করি। কিন্তু কবি সবার আমি ছাত্র কবিতায় আমাদের বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে স্কুল কলেজে শিক্ষাগ্রহণই যথেষ্ট নয়। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবসময়ই ঘরে বাইরে প্রত্যেক ব্যক্তি বা বস্তুর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। কবি বলেছেন, যে পরিবেশে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি তা থেকে শেখার আছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিক্ষা। আকাশের কাছ থেকে কবি উদার হতে শিখেছেন। বায়ুর কাছ থেকে কর্মী হতে শিখেছেন।

কবি শিখেছেন পাহাড়ের কাছ থেকে মৌন মহান হতে, খোলা মাঠের কাছে দিলখোলা হতে, সূর্যের কাছে আপন তেজে জ্বলতে, চাঁদের কাছে মধুর কথা বলতে। কবি শিখেছেন সাগরের কাছে রত্নাকরের মতো হৃদয় গড়াতে, নদীর কাছে আপন বেগে চলতে। তিনি আরও শিখেছেন। মাটির কাছে সহি হতে, পাষাণের কাছে আপন কাজে সুদৃঢ় হতে, ঝরনার কাছে সংগীত শিখতে, শ্যামবনানীর কাছে সরসতা লাভ করতে কবি এই বিশ্বজোড়া পাঠশালার ছাত্র হয়েছেন। তিনি পাঠ্য বইয়ের পাতায় পাতায় দিনরাত শুধুমাত্র কৌতূহল নিয়েই শিক্ষা অর্জন করেছেন। কিন্তু পৃথিবীর পাতা বিরাট। সেই পাতা থেকে শিখতে হবে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।

সবার আমি ছাত্র সুনির্মল বসু কবিতার অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

কার উপদেশ কবি দিলখোলা হন?

উত্তর : খোলা মাঠের উপদেশে কবির দিল খোলা হয়।

পাষাণ কবিকে কি শিক্ষা দিয়েছিল?

উত্তর : আপন কাজ যে কঠোর হওয়ার জন্য পাষাণ কবিকে শিক্ষা দিয়েছিল।

কবে কার কাছ থেকে কি ভিক্ষা পেলেন?

উত্তর: শ্যামবনানির কাছ থেকে ষোড়শতার ভিক্ষা পেয়েছিলেন

কে কবি কে মধুর কথা বলতে শেখালো?

উত্তর : চাঁদ কবিকে মধুর কথা বলতে শেখালো।

নদীর কাছ থেকে কি শিক্ষা পাওয়া যায় ?

উত্তর : নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়

কবি কার কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা পেয়েছেন?

উত্তর : আকাশের কাছ থেকে

আকাশের রং কী?

উত্তর : আকাশে রং নীল

মৌন মহান হতে কবিকে কে শিখিয়েছে?

উত্তর : পাহাড়

পাহাড়ের অপর নাম কী?

উত্তর : পর্বত

তোমার জানা তিনটি পর্বতের নাম লেখো।

উত্তর : হিমালয় পর্বত, সিঙ্গালীলা পর্বত, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত।।

দিলখোলা হয়েছেন কবি কার উপদেশে?

উত্তর : খোলা মাঠের উপদেশে

কবিকে চাঁদ কী শিখিয়েছে?

উত্তর : হাসতে এবং মধুর কথা বলতে

ইঙ্গিতে সাগর কী শেখায়?

উত্তর : অন্তর রত্নাআকর করে তুলতে

পাষাণ কীসের দীক্ষা দিয়েছে?

উত্তর : আপন কাজে কঠোর হতে

শ্যামবনানী কাকে কী সরসতা দিয়েছে?

উত্তর : কবি সুনির্মল বসুর মনে সরসতার মাধ্যমে দিয়েছে হাসিখুশি মানসিকতা।

পাঠশালা কোথায় আছে?

উত্তর : এই বিশ্বজুড়ে আছে পাঠশালা রয়েছে ।

এই পৃথিবীর বিরাট খাতায় কী আছে?

উত্তর : বিরাট খাতার পাতায় আছে জীবনে সহজভাবে বেঁচে থাকার শিক্ষা।

সবার আমি ছাত্র Class 6 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ

  • ফুলের কাছ থেকে সৌরভের মতো মানুষকে উপকার কর উচিত।
  • ঘাসের কাছ থেকে নিরহংকারী হবার অর্থাৎ মাটির কাছে থাকার শিক্ষা পায়।
  • গাছের কাছ থেকে উপকারী, বিনয়ী হবার শিক্ষা লাভ করি।

এমন একজন মানুষের কথা লেখো যার কাছ থেকে অহরহ তুমি অনেক কিছু শেখো

উত্তরঃ মা-ই হল শিশুর প্রথম শিক্ষিকা। একজন মা যত শিক্ষিত হবে জাতিও তত শিক্ষিত হবে। আমরা প্রথমেই মায়ের থেকে মাতৃভাষা শিখি। সহিষ্ণুতার শিক্ষাও আমরা মায়ের থেকে শিখি। বিনয়ী, পরিশ্রমী, কঠোর ইত্যাদি শিখি। মায়েরা যেমন দায়িত্বশীল, তিনিও আমাদের দায়িত্ববান হবার শিক্ষা দেন। এমনকি রান্না-বান্না, কাপড়-কাচা, নিজের কাজ নিজে করা আমরা মায়ের থেকে শিখি।

ঔদার্য এবং তেজস্বিতা কবি কার কাছে শিখলেন?

উত্তর : কবি এই মহাবিশ্বের পাঠশালায় বসে আকাশের কাছে শিখেছেন ঔদার্য। তেজস্বিতা অবলম্বনের শিক্ষা অর্জন করেছেন তিনি সূর্যের কাছ থেকে। অর্থাৎ, নিজের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করে ভুল বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার মানসিকতা অর্জন করেছেন তিনি সূর্যের কাছে।

কী ভিক্ষা কার কাছ থেকে চেয়েছেন কবি?

উত্তর : প্রকৃতির পাঠশালার থেকে কবি শ্যামবনানীর কাছে সরসতা ভিক্ষা করেছেন। শ্যাম বলতে সবুজ বনভূমিকে বোঝায়। আমাদের চক্ষু শীতল করার জন্য আমরা সবুজ বনভূমির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি। সবুজের দিকে তাকালে কবির মন সরস হয়ে ওঠে।

সবার আমি ছাত্র সুনির্মল বসু কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

বিশ্বজোড়া পাঠশালা বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : কবিতায় আকাশ-বাতাশ-পাহাড়-প্রান্তর, সূর্য-চন্দ্র-সাগর-নদী এবং মৃত্তিকা-পাষাণ- ঝরনা ও শ্যামবনানীকে শিক্ষক বলা হয়েছে। এরাই কবিকে নানাভাবে নানান শিক্ষা দান করেছে। কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছেন। বায়ু অর্থাৎ বাতাস শিখিয়েছে কর্মী হওয়ার মন্ত্র। পাহাড় শিখিয়েছে মৌন মহান হওয়ার শিক্ষা। খোলা মাঠ অর্থাৎ‍ উন্মুক্ত প্রান্তরের কাছ থেকে পাওয়া গেছে দিলখোলা অর্থাৎ উদারচিত্ত হওয়ার উপদেশ।

সূর্য মন্ত্রণা অর্থাৎ পরামর্শ দিয়েছে কীভাবে আপন তেজে জ্বলে বেঁচে থাকা যায়। চাঁদ শিখিয়েছে মিষ্টি হাসি হেসে মধুর কথা বলতে। সাগর বা সমুদ্র শেখায় অন্তরকে রত্নআকর করে গড়ে তুলতে। নদী শিখিয়েছে আপন বেগে চলতে। মাটির কাছে পাওয়া গেছে সহিষ্ণু হওয়ার শিক্ষা। পাষাণ বা পাথর দিয়েছে আপন কাজে কঠোর হওয়ার দীক্ষা। ঝরনা জাগিয়েছে মানবহৃদয়ে গানের সুর। শ্যামবনানী দিয়েছে সরসতা লাভের ভিক্ষা। এভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রাকৃতিক শক্তির কাছ থেকে কবিতায় শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কবিতায় ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ শব্দটি বোঝানো হয়েছে।

প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কি রূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখ

উত্তর :

  • আকাশ : উদার হওয়ার শিক্ষা আমরা পেতে অসীম আকাশের কাছ থেকে।
  • বাতাস : নিরন্তর বয়ে চলেছে বাতাস। তাই তার কাছ থেকে আমরা মুহূর্ত মাত্র অলস না হয়ে থেকে কর্ম করে যাওয়ার শিক্ষা অর্জন করতে পারি।
  • পাহাড় : যুগযুগব্যাপী পাহাড় মোন হয়ে আছে। পাহাড়ের কাছ থেকে আমরা মৌন হওয়ার শিক্ষা লাভ করে। ব্যক্তিত্বকে গাম্ভীর্যময় করে তুলতে পারি।
  • খোলামাঠ : খলামাঠ অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রান্তরে দৃষ্টি রাখলেই আমাদের অন্তর হয় প্রশস্ত। তাই খোলামাঠের কাছে। আমরা উজাড় হৃদয়ে মানুষকে তথা সমগ্র জীবসম্প্রদায়কে ভালোবাসা দেওয়ার শিক্ষা পেতে পারি।
  • সূর্য : অনন্ত তেজের আকর হল সূর্য। সূর্যের কাছ থেকে আমরা তেজস্বিতা অবলম্বনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। অর্থাৎ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো তেজ আমরা পেতে পারি সূর্যের কাছ থেকে।
  • চাঁদ : সমাজজীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। অর্থাৎ অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে বাক্য বিনিময় করা, মধুর সুরে কথা বলা ইত্যাদি আমরা শিখতে পারি চাঁদের অপূর্ব মাধুর্য দেখে।

প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।

উত্তর : কবিতায় কবি নিজেই আরও কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে সাগর, নদী, মাটি, পাষাণ, ঝরনা এবং শ্যামবনানীর উল্লেখ করেছেন। মাটির কাছ থেকে আমি সহিঞ্চুতা অবলম্বনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। জীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের চলার পথে প্রতি মুহূর্তে হয়তো বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে।

সুতরাং সহিষ্কৃতা অবলম্বন করতে না শিখলে যে-কোনো মুহূর্তে দ্বন্দ্বের মুখে পড়তে হবে। পাষাণ যেভাবে কঠোর হয়ে আছে, সেভাবে আমি নিজের কাজে কঠোর হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিতে পারি। ধরনা যেভাবে নিরন্তর প্রবাহিণী হয়ে মানবহৃদয়ে সংগীতের মূর্ছনা জাগায় তাতে আমি আমার হৃদয়েও সংগীতের সুর জাগিয়ে তুলতে পারি। শ্যামবনানী অর্থাৎ শ্যামল বনরাজি তার সরসতা দিয়ে মানবদৃষ্টিকে করে সজীব, সতেজ। আমি শ্যামবনানীর কাছ থেকে হৃদয়ে সরসতা অর্জনের শিক্ষা নিতে পারি। কবিতায় কবির উল্লিখিত ওই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ছাড়াও আরও নানাবিধ প্রাকৃতিক উপকরণ তথ্য বিভিন্ন প্রাণীসমূহের কাছ থেকে কিংবা বিভিন্ন গাছপালার কাছ থেকেও হাজার রকমের শিক্ষা অর্জন আমি করতে পারি।

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর : পাঠশালা’ শব্দের অর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষালাভ করি। শিক্ষা শব্দটি আমরা সাধারণত বিদ্যালয়ের গণ্ডির মধ্যে অর্জিত জ্ঞানকেই ধরি। সেই জ্ঞান শুধুমাত্র আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সহায়ক হয়। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ বাপে আমরা যা শিখি তা থেকে পরবর্তী জীবনে কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আইনবিদ, কেউ বা সৈনিক, কেউ বা রাজনীতিবিদ ইত্যাদি লাক্ষ্যে এগিয়ে চলি।

কিন্তু কবি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় যা বলেছেন তা ব্যাপক অর্থে বিশাল, সুবিশাল। অর্থাৎ শিশু জন্মাবার পর থেকেই প্রতিমুহূর্তে ঘরে বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে যা কিছু দেখে, শোনে তাই সে শেখে। শিশুর প্রথম পাঠশালা তার নিজের পরিবার। সে প্রথম শোনে তার মায়ের কাছ থেকে, তার বাবা, কাকা, দাদা, দিদি সকলের কাছ থেকে। তারপর যতই তার বয়স বাড়তে থাকে ততই সে যেখানে যতই দেখে আর শোনে তাই সে শেখে। কবির তথ্য অনুযায়ী মানুষ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিখে চলে। এই শিক্ষা মানুষের শেষ হয় না কোনদিন ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

সবার আমি ছাত্র কবিতার প্রশ্ন উত্তর, সবার আমি ছাত্র pdf

বাংলা সাহিত্য পরিচয় ক্লাস 6






বাংলা সাহিত্য পরিচিতি ক্লাস ৬ষ্ঠ (ছয়) বাংলায়.




সবার আমি ছাত্র কবিতার প্রশ্ন উত্তর

এই পৃথিবীর বিরাট খাতায় কী আছে?
উত্তর : বিরাট খাতার পাতায় আছে জীবনে সহজভাবে বেঁচে থাকার শিক্ষা।



আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।