শিকার কবিতা, শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 12 Bangla Sikar Kobita Question Answer

সূচিপত্র

শিকার কবিতা

শিকার জীবনানন্দ দাশ, জীবনানন্দ দাশের শিকার কবিতা

ভোর;
আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল:
চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ।
একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে:
পাড়াগাঁর বাসরঘরে সব চেয়ে গোধূলি-মদির মেয়েটির মতো;
কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে-মুক্তা আমার নীল মদের
গেলাসে রেখেছিলো
হাজার-হাজার বছর আগে এক রাতে— তেম্নি—
তেম্নি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।

হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালীরা সারারাত মাঠে
আগুন জ্বেলেছে—
মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন;
শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;
সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;
হ’য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।
সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের
সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।

ভোর;
সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে-বাঁচিয়ে
নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে-ঘুরে
সুন্দর বাদামী হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিলো।

এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;
কচি বাতাবী লেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খাচ্ছে;
নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামলো—
ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য;
অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে ভোরের রৌদ্রের মতো একটা বিস্তীর্ণ
উল্লাস পাবার জন্য;
এই নীল আকাশের নিচে সূর্যের সোনার বর্শার মতে জেগে উঠে
সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।

একটা অদ্ভুত শব্দ।
নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।
আগুন জ্বললো আবার— উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হ’য়ে এলো।
নক্ষত্রের নিচে ঘাসের বিছানায় ব’সে অনেক পুরানো শিশিরভেজা গল্প;
সিগারেটের ধোঁয়া;
টেরিকাটা কয়েকটা মহিষের মাথা;
এলোমেলো কয়েকট বন্দুক— হিম– নিঃস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।

শিকার কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, শিকার কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, শিকার কবিতার মূল কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত, শিকার কবিতার উৎস

উত্তর: ‘শিকার’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশ এর ‘বনলতা সেন’ এবং ‘মহাপৃথিবী’ উভয় কাব্যগ্রন্থেই রয়েছে।

জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’-এর প্রথম সংস্করণে ‘শিকার’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের ১২টি কবিতার মধ্যে ‘শিকার’ ছিল দশম কবিতা।

শিকার কবিতার নামকরণের সার্থকতা

উত্তর: মানুষের নামকরণের সঙ্গে সাহিত্যের নামকরণের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। স্থুল ছেলের নামও হতে পারে কার্তিক। আবার কুৎসিত মেয়ের নামও হতে পারে অপ্সরা। কিন্তু সাহিত্যের নামকরণ করা হয় বিশেষ আঙ্গিকে। যেমন- চরিত্রভিত্তিক, ঘটনাধর্মী, ব্যঞ্জনাধর্মী প্রভৃতির দিক থেকে। কারণ এই নামকরণের মধ্য দিয়েই পাঠক কবিতার মূল বিষয়ের পরিচয় পেয়ে থাকে। তাই নামকরণকে অনেকে সাহিত্যের চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেছেন। আমাদের আলোচ্য ‘শিকার’ কবিতার নামকরণ করা হয়েছে ব্যঞ্জনার দিক থেকে।

সভ্য বর্বর মানুষদের শিকারের অমানবিক পাশবিক গল্প সকলের জানা। যারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অনায়াসে নিরীহ প্রাণীদের স্বীকার করে। এমনকি অসহায় মানুষদের উপর শোষণ চালিয়ে নিজেদের স্বার্থ পূরণ করে। কবি এই বর্বরদের শিকারের ইতিবৃত্ত কাব্যিক ভাষায় পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তাই বলা যেতে পারে যে আলোচ্য কবিতার ‘শিকার’ নামকরণ যথার্থ ও সার্থক হয়েছে ।

শিকার কবিতা সারাংশ, শিকার কবিতার সারসংক্ষেপ

উত্তর: ভোর’ শব্দটির মধ্য দিয়ে কবিতা শুরু হয়েছে। এই পর্বে দেখা যায় চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ। আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল-নীল। এমনকি দেশোয়ালি -দের জ্বালানো আগুনের রং ছিল ফুলের মত লাল। এরূপ সুন্দর পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের আবির্ভাব ঘটায়। যা কবিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় বা নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। তবে এরূপ ভোরের উজ্জলতা যে ম্লান হয়ে যায় তা কবি উল্লেখ করতেই লিখেছেন- ” শুকনো অশ্বত্থ পাতা দুমড়ে এখনো আগুন জ্বলছে তাদের /সূর্যের আলোয় তার রঙ কুমকুমের মতো নেই আর/ হয়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।” অর্থাৎ সূর্যের আলোয় চারিদিকের বর্ণ ও আকাশ ঝিলমিল করলেও আগুনের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

দ্বিতীয় ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে বাদামি হরিণ আবির্ভূত হয়। সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এক বন থেকে অন্য বনে ছুটে বেড়িয়েছে। তাই ক্লান্ত শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য হরিণটি নদীর শীতল জলে নামলে, নামার পর মুহুর্তেই তার মৃত্যু ঘটে। বলা যেতে পারে সে শিকার হয় নাগরিক সমাজের তথাকথিত সভ্য মানুষের লালসার কাছে।

ভোর শব্দটি শিকার কবিতায়, ভোর শব্দটি শিকার কবিতায় কোন কোন ব্যঞ্জনায়

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় “ভোর” শব্দটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম স্তবক যেমন “ভোর” শব্দটি দিয়ে শুরু হয়েছে, তেমনই তৃতীয় স্তবক “ভোর” শব্দটির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ।তবে এই দুই স্তবকে দুটি ভিন্ন ভোরের রূপ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম স্তবকে রয়েছে নির্মল প্রকৃতির অপূর্ব অলৌকিক সৌন্দর্যের বর্ণনা। তৃতীয় স্তবকে রয়েছে বর্বর তথাকথিত সভ্য মানুষদের বর্বরতার পরিচয়। যাদের লালসার কাছে পরাজিত হয়েছে নিরীহ শান্ত বাদামি হরিণটি।

প্রথম ভোরের তাৎপর্য

উত্তর: কবিতার প্রথম স্তবকে “ভোর” শব্দটির মধ্য দিয়ে এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র এঁকেছেন কবি। সেই ভোরের বর্ণনায় সূর্যোদয়ের পূর্বে আকাশের রং ছিল “ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল।” চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ ছিল টিয়ার পালকের মতো সবুজ। এরপর ভোরের আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আকাশ, বন ও ঘাসের উপর লেগে থাকা শিশির বিন্দু জিলমিল করে ওঠে। আকাশে রয়েছে এখনও একটি তারা। যা ভোরের সৌন্দর্যকে আরো বেশি মোহনীয় করে তুলেছে। এরূপ ভোরের সৌন্দর্যের বর্ণনায় কবি যেন চিত্রশিল্পীর মতো এক জীবন্ত চিত্র এঁকেছেন। প্রথম ভোরে শীতের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য দেশোয়ালি মানুষেরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে। কিন্তু সূর্যোদয়ের পরে আগুনের রং ফিকে হয়ে যায়। কবির কথায়- “সূর্যের আলোয় তার রঙ কুমকুমের মতো নেই আর/ হয়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।” তবে সকালের আলোয় চারিদিকের বন ও আকাশ ঝিলমিল করছে ময়ূরের ডানার মতো।

দ্বিতীয় ভোরের তাৎপর্য

উত্তর: দ্বিতীয় ভোরের বর্ণনায় আছে মানুষের পাশবিক হিংস্রতার পরিচয় । দেখা যায় একটি বাদামি হরিণ চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ভোরের আলোয় নেমে এসেছে। ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরটাকে সতেজ করার জন্য নেমে যায় নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে। হরিণটি যখন সোনার বর্ষার মতো জেগে উঠে সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক দেওয়ার জন্য স্বপ্নে বিভোর থাকে, তখনই শোনা যায় একটি অদ্ভুত শব্দ। যেশব্দ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয় হরিণটি জীবনাবেগকে । নাগরিক মানুষের লোভ লালসার শিকার হয়ে চিরঘুম দেয় নিরপরাধ হরিণটি। এই নির্মম হত্যা দ্বিতীয় ভোরকে এক অন্য প্রতীকী ব্যঞ্জনা দান করেছে।

শিকার কবিতার প্রশ্ন উত্তর

শিকার কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় কোন পত্রিকায়

উত্তর: বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’ পত্রিকার ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যায় শিকার কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’-এর প্রথম সংস্করণে ‘শিকার’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

শিকার শব্দের বাংলা অর্থ কি, শিকার অর্থ, শিকার শব্দের বাংলা অর্থ কি

উত্তর: শিকার জীবিত কোন পশু-পাখি ধরা কিংবা হত্যা করার লক্ষ্যে অনুসরণ করার উপযোগী কলাকৌশল। মানুষ তার নিজের ও পরিবারের জন্যে খাদ্য সংগ্রহ, আত্মরক্ষা করা, বিনোদন কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য করার লক্ষ্যেই সাধারণতঃ বন্যপ্রাণী শিকার করতে শুরু করে। এছাড়া, পশু-পাখিও নিজেদের জীবন ধারনের জন্যে তার আহার উপযোগী অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে।

শিকারি অর্থ, শিকারী অর্থ

উত্তর: যিনি বন্য পশু-পাখি শিকার করেন তিনি শিকারী নামে পরিচিত হয়ে থাকেন। অনেক সময় শিকার করতে গিয়ে শিকারী নিজেই শিকারে পরিণত হয়ে পড়তে পারেন।

শিকারের অপেক্ষায় ওত পাতা অর্থ, শিকারের অপেক্ষায় ওঁত পাতা অর্থ

উত্তর: শিকারের বা আক্রমণের উদ্দেশ্যে আত্মগোপন করে অপেক্ষা। শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি থাকা।

শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়, শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায় কোন কারক

উত্তর: করণ কারকে ৭মী

শিকার দিয়ে বাক্য রচনা

উত্তর: পশু-পাখিও নিজেদের জীবন ধারনের জন্যে তার আহার উপযোগী অন্যান্য প্রাণী শিকার করে থাকে।

শিকার কবিতা থেকে MCQ, শিকার কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর

“ ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল শরীরটাকে স্রোতের মতাে / একটা আবেশ দেওয়ার জন্য ” হরিণটি কী করল ? ”

(ক) নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল

(খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামল।

(গ) অর্জুন বনের ছায়ায় বসে রইল।

(ঘ) দেশােয়ালিদের জ্বালানাে আগুনের উত্তাপ নিল।

সঠিক উওর : (খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামল।

“ নদীর জল …… পাপড়ির মতাে লাল। ”

(ক) মচকা ফুলের

(খ) গােলাপ ফুলের

(গ) জবা ফুলের

(ঘ) মােরগ ফুলের।

সঠিক উওর : (ক) মচকা ফুলের

“ নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল ” — এখানে কার কথা বলা হয়েছে ?

(ক) চিতাবাঘিনীর কথা

(খ) সুন্দরী বাদামি হরিণীর কথা

(গ) রােগা শালিকের কথা

(ঘ) দেশােয়ালিদের কথা।

সঠিক উওর : (খ) সুন্দরী বাদামি হরিণীর কথা

“ সুন্দরী বাদামী হরিণ ” – কার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছে ?

(ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে

(খ) মিশরের মানুষীর হাত থেকে

(গ) দেশােয়ালিদের হাত থেকে

(ঘ) মানুষের হাত থেকে।

সঠিক উওর : (ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে

“ সূর্যের আলােয় তার রং কুকুমের মতাে নেই আর ” — তার রং কীসের মতাে হয়ে গেছে ?

(ক) শুকনাে পাতার ধূসর ইচ্ছার মতাে

(খ) কচি বাতাবি লেবুর মতাে সবুজ

(গ) রােগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতাে

(ঘ) নীল আকাশের মরা চাদের আলাের মতাে।

সঠিক উওর : (গ) রােগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতাে

‘ একটা অদ্ভুত শব্দটি ‘ কীসের ?

(ক) গাড়ির হর্নের শব্দ

(খ) মানুষের কান্নার শব্দ

(গ) পাতার মর্মর শব্দ

(ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছােড়ার শব্দ।

সঠিক উওর : (ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছােড়ার শব্দ।

জরায়ুর যে বিশেষণ কবিতায় আছে

(ক) হিমকুঞ্চিত

(খ) অন্ধকার

(গ) সুস্পষ্ট ও স্ফীত

(ঘ) সবুজাভ

সঠিক উওর : (ক) হিমকুঞ্চিত

“একটা অদ্ভুত শব্দ”- ‘অদ্ভুত’ শব্দটি কীসের?

(ক) গাড়ির হর্নের শব্দ

(খ) মানুষের কান্নার শব্দ

(গ) পাতার মর্মর শব্দ

(ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ

সঠিক উওর : (ঘ) বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ

“একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে” – একটি তারা’-র সঙ্গে কবি তুলনা করেছেন।

(ক) একটি ফুলের

(খ) একটি মেয়ের

(গ) একটি নদীর

(ঘ) একটি গানের

সঠিক উওর : (খ) একটি মেয়ের

“সুন্দরী বাদামী হরিণ”– কার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছে?

(ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে

(খ) মিশরের মানুষীর হাত থেকে

(গ) দেশোয়ালিদের হাত থেকে

(ঘ) মানুষের হাত থেকে

সঠিক উওর : (ক) চিতাবাঘিনীর হাত থেকে

“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

(ক) চিতাবাঘিনীর কথা

(খ) সুন্দরী বাদামি হরিণের কথা

(গ) রোগা শালিকের কথা

(ঘ) দেশোয়ালিদের কথা

সঠিক উওর : (খ) সুন্দরী বাদামি হরিণের কথা

“সূর্যের আলোয় তার রং কুকুমের মতো নেই আর” – তার রং কীসের মতো হয়ে গেছে?

(ক) শুকনো পাতার ধূসর ইচ্ছার মতো

(খ) কচি বাতাবি লেবুর মতো সবুজ

(গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো

(ঘ) নীল আকাশের মরা চাদের আলোর মতো

সঠিক উওর : (গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো

নদীর ঢেউয়ের বিশেষণ

(ক) তীক্ষ্ণ শীতল

(খ) তরঙ্গায়িত

(গ) হিমশীতল

(ঘ) এলোমেলো

সঠিক উওর : (ক) তীক্ষ্ণ শীতল

সবুজ সুগন্ধি ঘাসকে তুলনা করা হয়েছে—

(ক) পাকা বাতাবি লেবুর সঙ্গে

(খ) কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে

(গ) দারুচিনির পাতার সঙ্গে

(ঘ) কমলালেবুর সঙ্গে

সঠিক উওর : (খ) কচি বাতাবি লেবুর সঙ্গে

ত্রাসমুক্ত হরিণের শরীর-এর বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে-

(ক) নিদ্রা নিপুণ

(খ) সতেজ সবুজ

(গ) ঘুমহীন ক্লান্ত বিল

(ঘ) বিনিদ্র শান্ত

সঠিক উওর : (গ) ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল

নীল মদের গেলাসে কী রাখা হয়েছিল?

(ক) রুপো

(খ) সোনা

(গ) প্রবাল

(ঘ) মুক্তা

সঠিক উওর : (ঘ) মুক্তা

“সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—কারা আগুন জ্বেলেছে ?

(ক) প্রবাসীরা

(খ) অতিথিবৃন্দ

(গ) দেশোয়ালিরা

(ঘ) বনবাসীরা

সঠিক উওর : (গ) দেশোয়ালিরা

“হিমের রাতে শরীর উম্ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে”—

(ক) গান করেছে

(খ) নাচ করেছে

(গ) খেলায় মেতেছে

(ঘ) আগুন জ্বেলেছে

সঠিক উওর : (ঘ) আগুন জ্বেলেছে

দেশোয়ালিদের আগুনকে কে নিষ্প্রভ করেছে?

(ক) সিগারেটের ধোঁয়া

(খ) সূর্যের আলো

(গ) টর্চের আলো

(ঘ) হরিণের মৃত্যু

সঠিক উওর : (খ) সূর্যের আলো

আকাশের রং ঘাসফরিঙের দেহের মতাে—

(ক) কোমল সবুজ

(খ) কোমল নীলাভ

(গ) নীল সবুজ

(ঘ) কোমল নীল।

সঠিক উওর : (ঘ) কোমল নীল।

“ চারিদিকে পেয়ারা ও নােনার গাছ ” —

(ক) গােধূলিমদির মেয়েটির মতাে

(খ) মচকা ফুলের পাপড়ির মতাে

(গ) ভােরের রােদ্রের মতাে

(ঘ) টিয়ার পালকের মতাে

সঠিক উওর : (ঘ) টিয়ার পালকের মতাে

শিকার কবিতার SAQ প্রশ্ন উত্তর

“একটা অদ্ভুত শব্দ” – শব্দটিকে অদ্ভুত বলা হয়েছে কেন?

উত্তরঃ- ‘শিকার’ কবিতায় উল্লেখিত শব্দটিকে কবি প্রত্যাশা করেননি বা কবির কাছে শব্দটি অপরিচিত ছিল। তাই কবি শব্দটিকে অদ্ভুত বলেছেন।

” সুন্দর বাদামি হরিণ চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য কী করেছিল?

উত্তরঃ- ‘শিকার’- কবিতায় বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেরিয়েছিল।

পুরোনো শিশির ভেজা গল্প কারা করেছিল?

উত্তরঃ- “শিকার” কবিতায় টেরি কাঁটা মাথার মানুষগুলো নক্ষত্রের নীচে ঘাসের বিছানায় বসে পুরোনো শিশির ভেজা গল্প করেছিল।

দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালিয়েছিল কেন?

উত্তরঃ- “শিকার” কবিতায় দেশোয়ালীরা শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও শরীর উষ্ণ রাখার জন্য মাঠে আগুন জ্বালিয়েছিল।

“রোগা শালিকের হদয়ের বিবর্ণ” ইচ্ছা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ- দেশোয়ালিদের প্রজ্বলিত আগুন ভোরের আলোয় ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে আসছে। মুমূর্ষ ও অসুস্থ শালিক পাখির শীর্ণকায় চেহারা এবং তার নৈরাশ্যের মতোই বিবর্ণ।

“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– সে কেন নেমেছিল ?

উত্তরঃ- সুন্দর বাদামি হরিণ ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।

“নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।”- এই ঘুম ‘নিরপরাধ’ কেন?

উত্তরঃ- ভোরের আলোর মতোই পবিত্র ও সরল বাদামি হরিণটিকে হত্যা করেছিল মাংস লোভী মানুষ। হরিণটির কোনো অপরাধ ছিল না। তাই কবি তার মৃত্যুকে নিরপরাধ ঘুম বলেছেন।

“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামলো”- সে নদীতে কেন নামল?

উত্তরঃ- বাদামি হরিণটি চিতা বাঘিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য সারারাত ছুটে বেরিয়েছে। তাই ঘুমহীন, ক্লান্ত, বিহ্বল শরীরটাকে সতেজ করার জন্য নদীর ঢেউয়ে সে নেমেছিল।

“মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন”- এখানে কোন আগুনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ- ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বেলেছিল তার কথা বলা হয়েছে।

“ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো”- কারা ঝিলমিল করছিল?

উত্তরঃ- ‘শিকার’- কবিতায় সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝলমল করছিল।

‘শিকার’- কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে কবি ‘ভোর’ শব্দটিকে কেন ব্যবহার করেছেন?

উত্তরঃ- “শিকার” কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে অরণ্য নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র বাদামি হরিণটির উপস্থিতি উল্লেখ করার জন্য দ্বিতীয় বার ‘ভোর’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

‘শিকার’- কবিতায় কবির সঙ্গে মিশরের মানষির সাক্ষাৎ কবে হয়েছিল?

উত্তরঃ- ‘শিকার’- কবিতায় মিশরের মানুষির সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে।

দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং কেমন হয়ে গিয়েছে?

উত্তরঃ- দেশওয়ালিদের আগুনের রং হয়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।

“উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল”- এই মাংশ কারা তৈরি করল ?

উত্তরঃ- নগর সভ্যতায় অভ্যস্ত কয়েকটি মানুষ, যাদের মাথায় টেরিকাটা, তারা হরিণের মাংস তৈরি করেছিল।

সুন্দর বাদামি হরিণটি দিনের আলোয় কীভাবে নিজেকে মেলে ধরে?

উত্তরঃ- ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে ভোরের আলোয় হাজির হয়। নতুন করে বেঁচে থাকার স্পৃহায় কচি বাতাবিলেবুর সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। এর মধ্যে তার প্রাণের আরাম মনের উল্লাস যেন প্রতিভাত হয়ে ওঠে।

হরিণের নবজন্ম কখন ঘটল বলে কবি মনে করেছেন?

উত্তরঃ- সারারাত চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে বাঁচার প্রচেষ্টায় বনের চারদিকে লুকিয়ে থেকে ভোরের আলোয় সুগন্ধি কচিঘাস খেতে খেতে হরিণটি প্রকাশ্যে আসে। নতুন জীবনের আনন্দে তার নদীর সুশীতল জলে স্নান করার উল্লাসটিই যেন নবজন্মরূপে ধরা দিয়েছে।

শিকার কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

“সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।”—হরিণটি কী কারণে ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল? কবিতার অস্তিমে তার যে পরিণতির চিত্রটি ফুটে উঠেছে তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ- ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি রঙের হরিণটি রাতের অন্ধকারে হিংস্র চিতাবাঘিনির হাত থেকে প্রাণরক্ষার তাগিদে কখনও সুন্দরী গাছের বনে আবার কখনও অর্জুন গাছের বনের আড়ালে লুকিয়ে বেড়িয়েছে। আর তাই ভোরের আলোর আগমনে সে নবজীবন লাভ করে। মূলত, এই কারণেই সে ভোরের জন্য অপেক্ষারত ছিল।

‘শিকার’ কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি হরিণ ও তার নৃশংস মৃত্যু। যে হরিণটি বন্য প্রকৃতিতে প্রাণের উল্লাসে মেতে উঠেছিল, কবিতার অস্তিমে সেই হরিণটিরই পরিণতি নির্মম মৃত্যু। চর্যাপদের ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’–এই কথাটির সার্থক দৃষ্টান্ত হল ‘শিকার’ কবিতার হরিণটির পরিণতি দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে হিংস্র চিতাবাঘিনির থাবার গ্রাস থেকে সে রেহাই পেলেও ভোরের প্রকৃতির শোভা তার ট্র্যাজিক পরিণতিকে সূচিত করে। প্রকৃতির অপরিসীম লাবণ্যমাখা পরিবেশে একদল মানুষের জান্তব উল্লাসের শিকার হয় হরিণটি। আসলে শিকারি প্রবৃত্তির মানুষগুলির কাছে হরিণটি ছিল শুধু রসনা তৃপ্তির সামগ্রী মাত্র। এই শিকারি মানুষগুলির লোভ = রিরংসা ও লালসা জান্তব হিংস্রতার থেকেও হিংস্র। তাদের মারণাস্ত্র অর্থাৎ বন্দুকের গুলির আঘাতে হরিণটি তার নিজের অজান্তেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। তার শরীর নদীর স্রোতের তীক্ষ্ণ শীতলতাকে আর অনুভব করতে পারেনি। তবে নদীর জল তার শরীরের রক্তিম স্পর্শকে অনুভব করতে সক্ষম হয়েছিল। বস্তুত, জীবন্ত হরিণটি বন্য প্রকৃতির শোভা বর্ধন করলেও সে শিকারি মানুষগুলির আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করতে পারেনি। তাই মৃত হরিণটির নিথর দেহটি যখন উয় লাল মাংসে পরিণত হয় তখন শিকারি মানুষগুলির আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় অর্থাৎ তাদের রসনার তৃপ্তি ঘটে।

নাগরিক লালসায় নীল অমলিন প্রকৃতির মাঝে পবিত্র জীবন হারিয়ে যায় হিমশীতল মৃত্যুর আঁধারে— ‘শিকার’ কবিতাসূত্রে উদ্ধৃত অংশটির নিহিতার্থ লেখো।

উত্তরঃ- নগরকেন্দ্রিক জীবনচিত্র প্রকৃতির শোভা থেকে বিচ্যুত। তাই নাগরিক জীবনে প্রকৃতির লাবণ্য বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। ভোরের আকাশের নীলাভ রঙে যখন সমস্ত বনভূমি সেজে ওঠে তখন সেই নীলাভ আভার সবুজ বনে নাগরিক লালসা রক্তের দাগ লাগায়। তাই কবি বলেছেন—

“সৃষ্টির বুকের পরে ব্যথা লেগে রবে

শয়তানের সুন্দর কপালে

পাপের ছাপের মত সেই দিনও।” ‘শিকার’ কবিতাটিতেও সেই নাগরিক লালসার নৃশংসতায় প্রকৃতির মাঝে জীবনের অস্তিত্ব ম্রিয়মান হয়ে যাওয়ার রূপটি প্রকাশিত হয়েছে। লোভ-লালসা-ক্ষুধা-রিরংসা নিবৃত্তির নেশায় উন্মত্ত নাগরিক সভ্যতার তথাকথিত সভ্য মানুষগুলির শিকারি প্রবৃত্তির শিকার হয় বন্য প্রাণের প্রতীক হরিণ। কবিতায় সেই হরিণটির হিমশীতল মৃত্যুর আঁধারে নিমজ্জিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নাগরিক লালসার ক্রূর রূপটি প্রকটিত হয়ে পড়ে। নতুন জীবনের খোঁজে নদীর তীক্ষ্ণ শীতল স্রোতে অবগাহন করে প্রাণের স্ফূর্তিতে মেতে ওঠা হরিণটির প্রাণ তার অজান্তেই কেড়ে নেয় নাগরিক সভ্যতার ধ্বজাধারী কিছু টেরিকাটা মানুষ। তাদের এলোমেলো বন্দুকের গুলির আঘাতে হরিণটির প্রাণস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়, সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। যে নদীতে নেমে হরিণটি তার শরীরকে একটা আবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই নদীর জল তার রক্তেই ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ হয়ে যায়। কিন্তু টেরিকাটা মানুষগুলির আশ তখনও মেটে না, তবে হরিণটি যখন ক্ষুধা নিবৃত্তির সামগ্রী রূপে উন্ন লাল মাংসে পরিণত হয় তখন তাদের সকল আকাঙ্ক্ষার পরিতৃপ্তি ঘটে।

“এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল”- কে অপেক্ষা করছিল? তার পরিণতি কী হয়েছিল?

উত্তরঃ- কবি জীবনানন্দ দাশের “শিকার” কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি নিরীহ সুন্দর বাদামি হরিণ। যার বেঁচে থাকার লড়াই বা জীবন সংগ্রামের চিত্র যেমন কবিতায় দেখানো হয়েছে, তেমনি কবিতার শেষ পর্যায়ে সুন্দর বাদামি হরিণটির মর্মান্তিক করুন পরিণতি লক্ষ্য করা যায়। কবি নিজস্ব চিত্রকল্প ও শব্দবন্ধে এক ভিন্ন মাত্রার কাব্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন।

হরিণটির জীবন সংগ্রাম

প্রতিটি প্রাণী জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে। হরিণটি প্রতিটি রাত্রে জীবন সংগ্রাম করে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। আলোচ্য কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাত ধরে চিতাবাঘিনির তাড়া খেয়েছে। মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মেহগনির মতো অন্ধকার সুন্দরী গাছের বন থেকে অর্জুনের বনে ছুটে বেড়িয়েছে। অপেক্ষা করতে থাকে ভোরের জন্য। তাই ভোরের আলো ফুটলে মনোরম পরিবেশে মৃত্যুভয় আশঙ্কিত হরিণটি ক্ষুধা নিবারণের জন্য কচি বাতাবিলেবুর মতো সুগন্ধযুক্ত সবুজ কচি ঘাস ছিড়ে খায়। ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে সতেজ করার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নামে । প্রেমের নতুন আবেগে হরিণীকে চমক দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়।

পরিণতি

বাদামি হরিণটি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেন নতুন জন্ম লাভ করে। সে নতুন স্বপ্ন আশা অনুভব করে, হরিণীর পর হরিণীকে চমক দেওয়ার জন্য যখন হরিণটি বিভোর হয় । তখনই শোনা যায় একটি অদ্ভুত শব্দ। দেখা যায় নদীর জল মচকা ফুলের মতো লাল । বাদামি হরিণ পরিণত হয় মানুষের লালসার ভোগ্যবস্তুতে । তার এই অনিবার্য পরিণতির পাশে ফুটে উঠেছে শিকারিদের পাশবিক উল্লাসের চিত্র।

যুগ যুগ ধরে এভাবেই সাম্রাজ্যবাদী বর্বর তথাকথিত সভ্য মানুষেরা প্রকৃতি তথা প্রকৃতির উপাদানের উপর আক্রমণ করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছে।কবিতায় লক্ষ্য করা যায় যে হরিণটির মাংস রান্না করে তারা নিজেদের রসনা তৃপ্তি করেছে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

শিকার কবিতা pdf, শিকার কবিতা পিডিএফ

জীবনানন্দ কবিতা সমগ্র

ন্যাশনাল লাইব্রেরির সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপিতে 800 টিরও বেশি কবিতার এই সংকলন পাওয়া গেছে এবং সেগুলি 2005 সালের পর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল৷ কিছু কবিতা সম্পূর্ণ ছিল, কিন্তু অন্যগুলি খসড়া ছিল যা কবি তার অকাল মৃত্যুর আগে সম্পূর্ণ করতে পারেননি৷

শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর

“উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল”- এই মাংশ কারা তৈরি করল ?
উত্তরঃ- নগর সভ্যতায় অভ্যস্ত কয়েকটি মানুষ, যাদের মাথায় টেরিকাটা, তারা হরিণের মাংস তৈরি করেছিল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।