কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi | Question Answer

সূচিপত্র

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা

কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি মুকুন্দ চক্রবর্তী

মেঘে কৈল অন্ধকার মেঘে কৈল অন্ধকার ।

দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার ।।
ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর ।
উত্তর পবনে মেঘ ডাকে দুর দুর ।।
নিমিশেকে জোড়ে মেঘ গগন-মন্ডল ।
চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল ।।
কলিঙ্গে উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চনাদ ।
প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ ।।
হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড় ।
বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড় ।।
ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত ।
উলটিয়া পড়ে শস্য প্রজা চমকিত ।।
চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ ।
সঘনে চিকুর পড়ে বেঙ্গ-তড়কা বাজ ।।
করি-কর সমান বরিষে জলধারা ।
জলে মহী একাকার পথ হইল হারা ।।
ঘন ঘন শুনি চারি মেঘের গর্জন ।
কারো কথা শুনিতে না পায় কোনো জন ।।
পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী ।
কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি ।।
হুড় হুড় দুড় দুড় শুনি ঝন ঝন ।
না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ ।।
গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে ।
নাহি জানি জলস্থল কলিঙ্গ-মন্ডলে ।।
নিরবধি সাত দিন বৃষ্টি নিরন্তর ।
আছুক শস্যের কার্য হেজ্যা গেল ঘর ।।
মেঝ্যাতে পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল ।
ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল ।।
চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান ।
মঠ অট্টালিকা ভাঙ্গি করে খান খান ।।
চারিদিকে বহে ঢেউ পর্বত-বিশাল ।
উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল ।।
চণ্ডীর আদেশে ধায় নদনদীগন ।
অম্বিকামঙ্গল গান শ্রীকবিকঙ্কণ ।।

  ( নির্বাচিত  অংশ ) ।

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কার লেখা

উত্তর: কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ কাব্যের অন্তর্গত।

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস

উত্তর: কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতাংশটির উৎস হল — চন্ডীমঙ্গল।

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রেক্ষাপট

উত্তর: মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে দেবী চণ্ডী তার কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতুর তৈরি গুজরাট নগরে বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গদেশে প্লাবন ঘটান।কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনির সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি।

বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে| ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায় | আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বৃষ্টিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় | প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘাের অন্ধকারে দিন রাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে নিস্তার পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে|

সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায় | ভাদ্র মাসের তালের মতাে বড়াে আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে পর্বতের মতাে উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায়। শেষপর্যন্ত কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।

কলিজাদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কবিতায় প্রকাশিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চিত্র কতটা বাস্তবতার সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে আলােচনা করাে, কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কীভাবে ধরা পড়েছে

উত্তর: মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে দেবী চণ্ডী তার কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতুর তৈরি গুজরাট নগরে বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গদেশে প্লাবন ঘটান।কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনির সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে| ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায় |

আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বৃষ্টিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় | প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘাের অন্ধকারে দিন রাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে নিস্তার পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে| সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায় |

ভাদ্র মাসের তালের মতাে বড়াে আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে পর্বতের মতাে উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায়। শেষপর্যন্ত কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর pdf

আরো বিশদে পড়ার জন্য

বাংলা রেফারেন্স নবম শ্রেনী (শ্রেণি-৯)

বাংলা রেফারেন্স নবম শ্রেনী (শ্রেণি-৯)






FAQ | কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস

উত্তর: কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতাংশটির উৎস হল — চন্ডীমঙ্গল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।