সত্যি সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

সত্যি সোনা গল্পের সারাংশ

এক বুড়ো চাষি মরার সময় তাঁর ছেলেকে ডেকে বললেন যে তিনি আর বাঁচবেন না। তাই কিছু দরকারি কথা বলার জন্য তিনি তার ছেলেকে ডেকেছেন। ছেলে ভারি অলস আর লোভী। সে বাবাকে বলল সোনা কোথায় লুকিয়ে রেখেছে তা বলার জন্য। চাষি বললেন যে, তিনি তাঁর চাষের জমিতে সোনা পুঁতে রেখেছেন। এই বলে চাষি মারা গেলেন। এদিকে চাষির ছেলে কুঁড়ের বাদশা। সে ভাবল অত বড়ো চাষের জমিতে কোথায় সোনা খুঁজবে। তখন তার বউয়ের বুদ্ধিতে সে দুজন মজুর লাগিয়ে এবং নিজেও সারা জমি কোদাল দিয়ে খুঁড়ে ফেলল। কিন্তু হায়। কোথাও সে সোনা পেল না। তখন তার বউয়ের পরামর্শে সে জমিতে ধান বীজ বুনল। আর ওই বছর প্রচুর ফসল ঘরে তুলল সে। তখন চাষির অলস ছেলে বুঝতে পারল, পরিশ্রম করলে চাষবাসে সত্যিকারে সোনার ফসল পাওয়া যায়।

সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Class 3

একটি বাক্যে উত্তর দাও:

বুড়ো চাষির সংসারে কে কে ছিল?

উত্তর: বুড়ো চাষি, তার একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূ — এই ছিল চাষির সংসার।

চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল?

উত্তর: চাষির ছেলেটি ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির এবং লোভী।

বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হল ?

উত্তর: বাবার কথা শুনে ছেলের মনে প্রচণ্ড লোভ জেগে উঠল।

বুড়ো চাষি কোন্ কথাটি তাঁর ছেলেকে বলে যাননি।

উত্তর: জমির ঠিক কোনখানে সোনা লুকানো রয়েছে তা বুড়ো চাষি তাঁর ছেলেকে বলে যাননি।

চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়ে ছিল?

উত্তর: পাঁচ বিঘে।

চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল?

উত্তর: চাষির ছেলের বউ।

গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা আছে। আর কী কী জিনিস দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে?

উত্তর: শাবল, গাইতি, লাঙল।

সত্যি সোনা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

চাষির ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?

উত্তর: চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির। চিরকাল সে শুয়েবসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।

শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারণ কী ছিল?

উত্তরঃ সোনাদানার লোভ বড়ো লোভ।বউয়ের পরামর্শে চাষির ছেলে দুজন মজুর লাগায় জমি খোঁড়ার জন্য নিজে বসে থাকে বাড়িতে। বউ বোঝায় মজুরেরা যদি মাটি খুঁড়তে গিয়ে সোনা পেয়ে যায়, তাহলে সব চেষ্টা বৃথা যাবে। তাই নিরুপায় হয়ে চাষির ছেলে কোদাল নিয়ে নিজে মাঠে। কাজ করতে যায়।

চাষির ছেলের বউ কোন্ সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?

উত্তর: সোনার খোঁজে সারাদিন ধরে পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়ে ফেলল দুজন মজুর আর চাষির ছেলে। তাতে সোনা পাওয়া গেল না কিন্তু জমিটা চাষের উপযোগী হয়ে উঠল। তার ওপর ক-দিন পরেই বর্ষা নামবে। তাই এই সময়টাকেই চাষির ছেলের বউ বীজ বোনার উপযুক্ত বলেছে।

সে কোথা থেকে বীজ কিনে এনেছিল।

উত্তর: চাষির ছেলের বউ হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল।

সে কীসের বীজ কিনেছিল।

উত্তর: সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।

গল্পের কোন মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হল।

উত্তর: চাষির ছেলের বউকে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কারণ শেষপর্যন্ত সে-ই তার স্বামীকে বার বার উৎসাহ জুগিয়ে তাকে কর্মঠ করে তুলতে পেরেছে।

সত্যি সোনা গল্পের, Model Activity Task Class 3 Bengali

‘সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়’- কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে বলার জন্য ডেকেছিল।

উত্তর: এক বুড়ো অসুস্থ চাষি এই কথা বলেছেন।

তিনি তার ছেলেকে একথা বলেছেন।

বুড়ো চাষির চাষের জমির নীচে সোনার তাল লুকানো রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর চাষির ছেলে মাটি খুঁড়ে যেন সেই সোনা খুঁজে নেয়। এই কথা বলার জন্য তিনি তাঁর ছেলেকে ডেকেছিলেন।

গল্পে চাষির ছেলের বউ চাষির ছেলেকে কীভাবে সাহায্য করেছে তা লেখো।

উত্তর: বুড়ো চাষির মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে এত বিশাল জমির ঠিক কোনখানে সোনা লুকানো রয়েছে, তা ভেবে কূল পায় না। তাই কাজেও তার উৎসাহের অভাব দেখা দেয়। তখন তার বউয়ের পরামর্শে সে দুজন মজুর লাগায় জমি খোঁড়ার জন্য। সেই সঙ্গে নিজেও যোগ দেয় সেই কাজে। কিন্তু সারা জমি খোঁড়ার পরও সোনার তাল না পেয়ে সে খুব বিরক্ত হয়। তখন তার বউ তাকে জমিতে বীজ বোনার পরামর্শ দেয়। নিজে গিয়ে হাট থেকে সেরা ধানের বীজ এনে দিয়ে তাকে সাহায্য করে। ফলে চাষির ছেলে চাষ করে ফসল ফলিয়ে জীবনে প্রথম অনেক টাকা রোজগার করে।

সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে’-কে এই কথা বলেছে? সোনা বলতে এখানে আসলে কোন্ জিনিসকে বোঝানো হয়েছে। সেই জিনিসটা সোনা না হলেও তার সঙ্গে সোনার কী কী মিল আছে?

উত্তর:

  • চাষির ছেলের বউ একথা বলেছে।
  • সোনা বলতে এখানে আসলে মাঠকরা ধানকে বোঝানো হয়েছে।
  • পাকা ধানের রং সোনার মতোই। সোনার যেমন অর্থমূল্য রয়েছে ধানেরও তেমনই অর্থমূল্য রয়েছে।

চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কী কারণে খুব খুশি হল।

উত্তর: চাষির ছেলে ছিল খুবই অলস। কিন্তু তার বাবার মৃত্যুর পর সে চাষ করে প্রচুর ফসল ফলায়। আর সেই ফসল হাটে বিক্রি করে এক বলি টাকা পায় সে। সেটাই ছিল তার জীবনের প্রথম রোজগার। তাই তার বউ খুব খুশি হয়েছিল।

চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কী পুরস্কার পেয়েছে?

উত্তর: আমার মতে তারা তিনটি পুরস্কার পেয়েছে। এক, মাঠভরা ফসল আর তা বিক্রি করে এক ঘনি টাকা। দুই চাষির অলস ছেলেকে তার বউ পরিশ্রমী করে তুলতে পেরেছে। তিন, নিজের পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল লাভ করার

জন্য অপার আনন্দ পেয়েছে।

‘ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী’—তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ্য করা গেল?

উত্তর: চাষির ছেলের বউ প্রকৃতই খুব বুদ্ধিমতী ছিল। সে অলস স্বামীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রথমে দুজন মঞ্জুর নিয়োগ করার কথা বলে। আবার সোনা পেলে মজুরেরা নিয়ে চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে সে তার স্বামীকেও মাটি খোঁড়ার কাজে লাগাতে সক্ষম হয়। জমি খোঁড়ার পর যখন সোনা না পেয়ে তার স্বামী হতাশ হয়ে পড়ে তখন সে তাকে জমিতে ধানের বীজ বোনার পরামর্শ দেয়। নিজে হাট থেকে বীজ এনে দেয়। জমিতে চাষ আবাদ করলে যে সোনা ফলে এটা সে তার স্বামীকে বোঝাতে পারে। তাদের জমি ফসলে ভরে যায়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

সত্যি সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর, সত্যি সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf

বাংলা ভাষা পরিচয়, ক্লাস ৩

কথা ও কাহিনী প্রকাশনী প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলা ভাষা পরিচয়, ক্লাস 3

সত্যি সোনা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

চাষির ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন?
উত্তর: চাষির ছেলে ছিল ভীষণ অলস প্রকৃতির। চিরকাল সে শুয়েবসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।