দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়েছিল কেন

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার জন্য ষোড়শ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত একটি জয়েন্ট‌-স্টক কোম্পানি। এর সরকারি নাম “ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি”। ১৬০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইংল‍্যান্ডের তৎকালীন রাণী প্রথম এলিজাবেথ এই কোম্পানিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বাণিজ্য করার রাজকীয় সনদ প্রদান করেছিলেন। এ সনদ কোম্পানিটিকে ২১ বছর পর্যন্ত পূর্ব ভারতে একচেটিয়া বাণিজ্য করার প্রাধিকার অর্পণ করেছিল। তবে পরবর্তীকালে এ কোম্পানি ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এবং ১৮৫৮ সালে বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছিল। অত:পর ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারত শাসন শুরু করে।

১৬০০ সালের ৩১ জুলাই, স্যার থমাস স্মাইথের নেতৃত্বে লন্ডনের একদল বণিক রাণী প্রথম এলিজাবেথের কাছে এক আর্জি নিয়ে হাজির হন৷ তারা রাণীর কাছে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবসা করার জন্য রাণীর সম্মতি ও রাজসনদ প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। রাণী প্রথম এলিজাবেথ তাদের সম্মতি দেন। পরবর্তীতে ৭০ হাজার পাউন্ড পুঁজি নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি দল সর্বপ্রথম ১৬১৩ সালে মুঘল রাজদরবারে ব্যবসা করার জন্য অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। তখন মুঘল সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীর।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা ছিল বাণিজ্য কুঠি বা কারখানা ভিত্তিক। সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে তারা কুঠি নির্মাণ করার অনুমতিই চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের অনুমতিতে ইস্ট কোম্পানি অধুনা গুজরাটের সুরাটে তাদের প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন।

শুরুতে তারা মশলা নিয়ে ব্যবসা করলেও ধীরে ধীরে ক্যালিকো (সাদা সুতি কাপড়), রেশমী কাপড়, নীল, শোরা বা কার্বনেট অব পটাশ এবং চা নিয়ে ব্যবসা করা শুরু করে। ধীরে ধীরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসার বিস্তৃতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশসমূহ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

ব্যবসায় লাভ করার সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আকার ও প্রভাব বাড়তে থাকে। সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতকে ব্রিটেনের অর্থনীতির বড় এক অংশ ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আয়। সেই সাথে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লন্ডন, তথা ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী কোম্পানিতে রূপ নেয়।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে ভারতের ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার বর্ণনা দাও

১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে দেওয়ানি লাভের পর বাংলার গভর্নর লর্ড ক্লাইভ পূর্বতন মুঘল আমলের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা বজায় রাখেন। পরবর্তীকালে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর-জেনারেল নিযুক্ত হয়ে ভারতের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে, রাজস্ব আদায়ের ভার কোম্পানির হাতে তুলে দেন।

[1] পাঁচসালা বন্দোবস্ত: গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস রাজস্ব আদায়ের জন্য ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে একটি ভ্রাম্যমাণ কমিটি গঠন করেন। যে ইজারাদার কোম্পানিকে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব দিতে রাজি হত, এই ভ্রাম্যমাণ কমিটি তাকে পাঁচ বছরের জন্য জমি বন্দোবস্ত প্রদান করত। পুরােনাে জমিদার সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব দিতে অক্ষম হলে, তিনি জমিদারি হারাতেন। এই ব্যবস্থা ইজারাদারি ব্যবস্থা বা ‘পাঁচসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থায় রাজস্ব-সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্বতন সুপারভাইজারদের তিনি নতুন নামকরণ করেন ‘কালেক্টর’, যারা জেলার রাজস্ব আদায়, বিচার ও শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করত। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ভ্রাম্যমাণ কমিটি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে, এই কমিটি বাতিল করে হেস্টিংস ‘রাজস্ব বোর্ড’ বা ‘Board of Revenue’ গঠন করেন।

[2] একসালা বন্দোবস্ত: ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থায় পাঁচসালা বন্দোবস্তের কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি লক্ষ করা যায়, যা দূর করার উদ্দেশ্যে ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে হেস্টিংস পাঁচসালা বন্দোবস্ত বাতিল করে এক নতুন ভূমি বন্দোবস্তের প্রচলন করেন যা একসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত। এই বন্দোবস্ত অনুসারে一

  • [i] প্রতি বছর পুরােনাে জমিদারদেরই জমি দেওয়া হবে। 
  • [ii] বিগত তিন বছরের রাজস্বের গড় অনুসারে এই বন্দোবস্তে রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। 
  • [iii] জমিদার রাজস্ব দিতে ব্যর্থ হলে তার জমিদারির একাংশ বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব পরিশােধের নিয়ম চালু হয়।

হেস্টিংস প্রবর্তিত দুটি ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা, তথা পাঁচসালা বন্দোবস্ত এবং একসালা বন্দোবস্ত-এ কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়। এই ত্রুটিগুলি দূর করার জন্য ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে পিটের ভারত শাসন আইন পাস হয়। এই আইন অনুসারে জমিদারদের স্থায়ীভাবে ভূমি প্রদান করার কথা বলা হয়। কর্নওয়ালিশ বড়ােলাট হয়ে ভারতে এলে তিনি বিস্তৃতভাবে এদেশের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার সম্পর্কে অনুসন্ধান চালান।

[3] দশসালা বন্দোবস্ত: জন শশারের বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে কর্নওয়ালিশ ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও বিহারে এবং ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যায় দশ বছরের জন্য জমি দেওয়ার প্রথা চালু করেন, যা ‘দশসালা বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত হয়। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘােষণা করেন যে ব্রিটেনের পরিচালক সভা অনুমােদন দিলে এই দশ বছর মেয়াদি বন্দোবস্তকে চিরস্থায়ী করা হবে।

[4] চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত: ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা এবং পরবর্তীকালে বারাণসী, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কিছু কিছু অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করা হয়। চিরস্থায়ী ব্যবস্থার শর্তাবলি হল—

  • [i] জমিগুলি বংশানুক্রমিকভাবে জমিদার ও তার পরিবারের হবে। 
  • [ii] জমিদার ইচ্ছামতাে জমি দান, বিক্রি বা বন্ধক রাখতে পারবেন। 
  • [iii] ভূমিরাজস্বের পরিমাণ ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের হারেই বহাল থাকবে। 
  • [iv] নির্ধারিত ভূমিরাজস্বের শতকরা ৮৯ ভাগ সরকার ও ১১ ভাগ জমিদার পাবেন। 
  • [v] সূর্যাস্ত আইন অনুসারে জমিদাররা সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে পরিশােধ করতে বাধ্য ছিল। 
  • [vi] নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজস্ব দিতে না পারলে জমিদারির অংশ বিক্রি করে সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব মেটাতে হবে, না হলে জমিদারি বাজেয়াপ্ত হবে। 
  • [vi] প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন—খরা, বন্যা, মহামারি হলেও রাজস্ব মকুব করা হবে না।

[5] রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত: ঔপনিবেশিক ভারতের কিছু অংশে রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত চালু হয়। আলেকজান্ডার রিড ও স্যার টমাস মনরাের উদ্যোগে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কিছু অঞ্চল বাদে ভারতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে রায়তওয়ারি ব্যবস্থা চালু করা হয়। রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় রায়তকে জমিতে স্থায়ীভাবে অধিকার না দিয়ে তাকে ৩০ বা ৪০ বছরের জন্য জমি দেওয়া হত। এই ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

  • [i] এই ব্যবস্থায় কোনাে মধ্যস্বত্বভােগী শ্রেণির উপস্থিতি ছিল না। রায়ত বা কৃষকদের থেকে সরকার সরাসরি ভূমিরাজস্ব আদায় করত। 
  • [ii] এই ব্যবস্থায় জমি জরিপ করে কৃষকদের দেওয়া হত এবং উৎপাদন অনুযায়ী জমিকে ৯টি শ্রেণিতে ভাগ করা হত। 
  • [iii] এই ব্যবস্থায় জমির সম্পূর্ণ মালিকানা সরকারের হাতেই থাকে। 
  • [iv] এই ব্যবস্থায় রাজস্বের হার খুব বেশি ছিল না এবং ৩০ বছর অন্তর সেই হার পুনর্বিবেচনা করা হত।

[6] মহলওয়ারি ব্যবস্থা: ভারতের বৃহদংশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করা হলেও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কোন্ ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা অনুসরণ করা উচিত, এই নিয়ে কোম্পানির মধ্যে মতবিরােধ দেখা দেয়। এই অবস্থায় উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মধ্য ভারতের কিছু অঞ্চলে মহলওয়ারি ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই ব্যবস্থার প্রবর্তনে এলফিনস্টোনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

  • [i] মহলওয়ারি ব্যবস্থায় কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি মহল’ বা তালুক’ তৈরি করা হত এবং গ্রামের ওপর সামগ্রিকভাবে রাজস্ব নির্ধারণ করা হত। ২০ থেকে ৩০ বছরের জন্য জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হত।
  • [ii] এই ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি বা কয়েকজন ব্যক্তিকে জমির শর্ত দেওয়া হত না, বরং একটি নির্দিষ্ট মহল (Mahal)-এর ইজারা দেওয়া হত। ইজারাপ্রাপক গ্রামের মােড়ল বা প্রধান রাজস্ব আদায় করে সরকারের কাছে জমা দিত।
  • [iii] জমির উৎপাদিকা শক্তি অনুসারে রাজস্বের হার নির্ধারিত হত। এই ব্যবস্থায় আদায় করা রাজস্বের ৮০ শতাংশ সরকার এবং ২০ শতাংশ ইজারাদারের প্রাপ্য ছিল।
  • [iv] সরকার মহলগুলি থেকে সরাসরি রাজস্ব আদায় করত, তাই কোনাে মধ্যবর্তী শােষক গােষ্ঠী ছিল না।

এ ছাড়াও কোম্পানি নানা ধরনের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যেমন, ভাইয়াচারি বন্দোবস্ত পাঞ্জাবের কিছু অঞ্চলে চালু করা হয়। পরীক্ষানিরীক্ষা করে, যাতে সর্বোচ্চ রাজস্ব, ভারতের বিপুল চাষি-জমি থেকে জোগাড় করা যায়, সেই লক্ষ্য পূরণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উদ্যত হয়। এর ফলে সাধারণ কৃষকের ওপর অতিরিক্ত রাজস্বের বােঝা এসে পড়ে।

পলাশীর যুদ্ধের কারণ, পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল, পলাশীর যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল, পলাশীর যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল pdf, পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল সম্পর্কে লেখ, পলাশীর যুদ্ধের কারণ ও গুরুত্ব

মাত্র ১৫ মাসের রাজত্বকালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে সিরাজের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। উভয়ের সম্পর্কের চরম পরিণতি ছিল পলাশির যুদ্ধ।

পলাশির যুদ্ধের কারণসমূহ

[1] নবাব সিরাজের অবমাননা: সিরাজ নবাব পদে বসার পর রীতি মেনে ওলন্দাজ ফরাসি বণিকগণ ও বাংলার জমিদাররা সিরাজকে নজরানা পাঠিয়ে যথাযােগ্য সম্মান জানান। কিন্তু ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তরফ থেকে কোনাে উপঢৌকন না আসায় নবাব সিরাজ বিরক্ত হন।

[2] দন্তকের অপব্যবহার: ফারুখশিয়ারের ফরমান অনুসারে (১৭১৭ খ্রি.) ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দস্তক বা বিনা শুল্কে বাণিজ্যের অধিকার লাভ করেছিল। কিন্তু সিরাজের আপত্তি সত্ত্বেও কোম্পানির কর্মচারীবৃন্দ ব্যক্তিগত বাণিজ্যে দস্তক ব্যবহার করতে থাকলে নবাব তার প্রাপ্য শুল্ক থেকে বঞ্চিত হন।

[3] ষড়যন্ত্রে মদত দান: সিরাজের আত্মীয়দের মধ্যে অনেকেই নবাব হিসেবে সিরাজকে মনে নিতে পারেননি। সিরাজ মসনদে বসার পর তাই পারিবারিক অন্তঃকলহ বাঁধে। সুচতুর ক্লাইভ এই পারিবারিক অন্তঃকলহকে সিরাজ বিরােধী ষড়যন্ত্রের রূপ দেন। সিরাজ নিজে এই ষড়যন্ত্রে ক্লাইভের হস্তক্ষেপের সত্যতা যাচাই করেন। ষড়যন্ত্রে ক্লাইভের মদত রয়েছে জেনে সিরাজ কোম্পানির ওপর বেজায় ক্ষুধ হন।

[4] সিরাজের দূতকে অপমান: ঢাকার নবাবের বিধবা রানি (সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগম)র দেওয়ান রাজবল্লভের পুত্র কৃয়দাস নবাবির ৫৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই বিপুল অর্থ নিয়ে তিনি সপরিবারে কলকাতায় ইংরেজের ডেরায় আশ্রয় নেন। সিরাজ এ সংবাদ শুনে ব্যক্তিগত দূত নারায়ণ দাসের মাধ্যমে কৃয়দাসকে ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশবার্তা পাঠান। কিন্তু গভর্নর ড্রেক নারায়ণ দাসকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। নারায়ণ দাসের এই অপমানে সিরাজ নিজে ভীষণভাবে অপমানিত বােধ করেন।

[5] দুর্গ নির্মাণ: সিরাজের আমলে এই প্রথম ফরাসিরা চন্দননগরে এবং ইংরেজরা কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ করতে শুরু করে। সিরাজ এ সংবাদ পেয়ে অবিলম্বে দুর্গ নির্মাণ বন্ধ করার আদেশ পাঠান। সিরাজের আদেশ পেয়ে ফরাসিরা দুর্গ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিলেও ইংরেজরা সিরাজের নির্দেশ অমান্য করে। দুর্গ নির্মাণ চালু রাখে ও তার ওপর কামান বসায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দুর্গ নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে চাইলে ইংরেজদের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে।

[6] সিরাজের কলকাতা আক্রমণ: নির্দেশ অমান্য করে কোম্পানি বাংলায় দুর্গ নির্মাণ অব্যাহত রাখায় ক্ষুদ্ধ সিরাজ কলকাতায় অভিযান চালান। কাশিমবাজার কুঠির দখল (১৭৫৬ খ্রি. ৪ জুন) নেওয়ার পর তিনি কলকাতায় পৌঁছােন (১৬ জুন)। গভর্নর ড্রেক, সেনাপ্রধান ও অন্যান্য ব্রিটিশ নেতৃবর্গ দুর্গ ছেড়ে ফলতায় পালিয়ে যান। কলকাতা দখলের পর সিরাজ তার নাম দেন আলিনগর। সেনাপতি মানিকচাদের ওপর কলকাতার দেখাশােনার দায়িত্ব দিয়ে সিরাজ পুনরায় মুর্শিদাবাদ ফিরে যান।

পলাশির যুদ্ধের ফলাফল ও গুরুত্ব

[1] বাংলায় কোম্পানির সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায়: পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর বাংলায় ব্রিটিশ প্রাধান্যের সূচনা ঘটে। বাংলার নবাবকে পুতুল নবাবে পরিণত করে, বাংলার রাজনীতির প্রকৃত নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে কোম্পানি।

[2] ভারতীয় রাজনীতিতে আধিপত্যের সূচনায়: বাংলায় রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সূত্র ধরে সারা ভারতে ব্রিটিশরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের উদ্যোগ নেয়। বাংলার সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলগুলিকেও ব্রিটিশরা নিজেদের অধিকার আনার চেষ্টা শুরু করে।

[3] প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জটিলতা বৃদ্ধিতে: পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ শূন্যতার সৃষ্টি হয়। একের পর এক নবাবকে সিংহাসনে বসিয়ে কোম্পানি আর্থিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে চাইলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিচালনায় জটিলতার সৃষ্টি হয়।

[4] ব্যাবসাবাণিজ্যে কোম্পানির একচেটিয়া কর্তৃত্বে: পলাশির যুদ্ধে জিতে কোম্পানির নির্দ্বিধায় বিনা শুল্কে বাণিজ্যিক অধিকার বা দস্তকের প্রয়ােগ ঘটাতে শুরু করে। ফলে বাংলা ব্যাবসাবাণিজ্যে কোম্পানির একচেটিয়া কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছিয়ে দেশীয় ব্যাবসাবাণিজ্যের সর্বনাশ ঘটে।

[5] নতুন যুগের সূচনায়: পলাশির যুদ্ধের পর ইংরেজরা এদেশে শাসনক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারার স্পর্শে ভারতের সমাজ ও সভ্যতার নবজাগরণ ঘটে। ফলে মধ্যযুগের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক যুগের সূচনা ঘটে।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কাকে বলে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী

ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সদস্য 1765 সালে দিল্লির মুঘল সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বার্ষিক 26 লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যায় রাজস্ব আদাই করার অধিকার পায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্দেশ্য ছিল এদেশ থেকে মুনাফা লুণ্ঠন করা।অতঃপর তারা ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে স্থায়ী করার জন্য তারা বিত্তবানদের মধ্য একশালা,পাঁচশালা দশশালা বন্দোবস্ত করেন।

কিন্তু এত তারা ব্যর্থ হয়। তখন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিস ভূমি রাজস্ব বিষয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট এক নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব করেন। উক্ত প্রস্তাবই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক 1793 সালে অনুমোদিত হয়। এটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বা Parmanent Settlement নামে পরিচিত।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন

১৭৯৩ – এর ২২ মার্চ বাংলা , বিহার , ওড়িশায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন লর্ড কর্নওয়ালিশ । 

এই বন্দোবস্ত ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ও জমিদারদের মধ্যে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের জন্য।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণ ও ফলাফল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে আলোচনা করো

1.জমিদারদের জমির স্থায়ী মালিকানা নিশ্চিতকরন :

ব্রিটিশ সরকার মনে করতো ভূমি রাজস্ব সফল ও সঠিকভাবে আদায় না হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল জমিদারদের জমিতে স্থায়ী মালিকানা না থাকা। তাই জমিদারদের জমিতে স্থায়ী মালিকানা প্রদান এর জন্য এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

2.অর্থনৈতিক ক্ষতি হ্রাসকরণ :

জানা যায় অনেক জমিদার কোম্পানিকে সঠিকভাবে কাজ না না দিয়ে অনেক তথ্য গোপন করে খাজনা কম দিতে। তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা প্রবর্তন হয়।

3.ভূমির উন্নয়ন ও রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি :

কোম্পানি অনুমান করতো জমিদারদেরকে জমির স্থায়ী মালিকানা করে দিলে তারা জমির উন্নয়ন ঘটাবে ও প্রজাদের মঙ্গল সাধন চেষ্টা করবে যার ফলস্বরূপ রাজস্ব আয় বাড়বে।

4.অনুগত জমিদার সম্প্রদায় সৃষ্টি :

কোম্পানি চেয়েছিল এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে জমিদাররা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে জমির মালিকানা পেলে জমিদাররা কোম্পানির প্রতি অনুগত হবে।

5.নিলাম ব্যবস্থা থেকে মুক্তি :

রাজস্ব ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে মধ্যস্থ ভোগীদের নিয়োগ করে কোম্পানি অনেক সময় রাজস্ব আদাই করত আবার অনেক ক্ষেত্রে নিলাম ডাকে সময় যে অর্থমূল‍্য উঠতো তা কোম্পানির রাজস্বে ঠিকমতো জমা হতো না। তাছাড়া বছর বছর নিলাম দর পরিবর্তনের ঝামেলার কারণে নিলাম ব্যবস্থা নিঃষ্পত্তি ঘটে।

6. স্থায়ী ও নিশ্চিত আয় :

স্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা পাকাপাকি হয়ে যায় সম্পূর্ণভাবে।

7. প্রজাদের রক্ষা :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পূর্বে জমিদাররা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমির মালিকানা পেয়েছেন এতে অনেক সময় তারা অত্যাচারী ও বিলাসী জমিদাররা কৃষকদের উপর নিপীড়িত অত্যাচার করত। কৃষকদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থার প্রচলন।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা কর

1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বৃহৎ জমিদারি গুলিকে খন্ড খন্ড করে দেয় যার ফলে সামাজিক বিপ্লব ঘটতে শুরু করে।

2. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বিত্তবানদের মধ্যে বাৎসরিক নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময় জমিদারি হস্তান্তর করা হয়। বংশানুক্রমে এই জমিদারি করা হস্তান্তর করতে পারেন।

3. প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে না হলে জমিদারের কোন ভূ সম্পত্তি দান বা বিধান চালু হয়।

4. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে সরকারি রাজস্ব নিশ্চিত স্থায়ী করা হয় অর্থাৎ জমিদারকে রাজস্ব অবশ্যই দিতে হবে না হলে সরকার তার জমির একাংশ বিক্রি করে রাজস্ব আদায় করবে।

5. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে জমিদারের স্বার্থ নিশ্চিত ও স্থায়ী হলেও প্রজাদের স্বার্থ অনিশ্চিত হয়ে পরে।

6. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে জমিদারগন তাদের সম্পত্তির কৃষি উন্নয়নের একক সুবিধা পায় যার ফলে কৃষির উন্নতি দেখা যায়।

7. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে সরকার বিত্তবানদের জমিদারি মালিকানা প্রদান করে।

8. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে জমিদারগণ ব্যক্তিগত অধিকার ভোগ করতে পারতেন।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফল

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষে যে সকল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাগুলির প্রচলন করেছিলেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুগান্তরকারী ছিল লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলাফলের দুটি দিক ছিল যথা সুফল ও কুফল।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল ও কুফল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল ও কুফল আলোচনা কর

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুফল গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো

1. বার্ষিক আয় নিশ্চিতকরণ :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হওয়ার ফলে সরকারের বার্ষিক আয় নিশ্চিত হয়। ফলে কোম্পানির বাজেট প্রস্তুত করতে সুবিধা হয়।

2. জমির উন্নতি প্রচেষ্টা :

জমিদার নির্দিষ্ট খাজনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য দিয়ে বংশানুক্রমিকভাবে জমি ভোগ করার ফলে তারা তাদের জমিদারি হারানোর ভয় থেকে মুক্তি হয়।

3. কৃষির উন্নতি :

এই বন্দোবস্তের ফলে কৃষিতে উন্নতি ঘটে ফলে কৃষি যৌগ‍্য জমির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

4. অনুগত জমিদার শ্রেণীর উদ্ভব :

কোম্পানির উপর নির্ভরশীল এক জমিদার শ্রেণী সৃষ্টি হয় যারা কোম্পানিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে থাকে

5. সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এদেশের জমিদার শ্রেণীকে বৃত্তবান করেছিল। এই সব বৃত্তবান জমিদাররা এদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন টরেছিল।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফল :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফল গুলি হল –

1. পুরনো জমিদারদের উচ্ছেদ :

এই ব্যবস্থায় সূর্যাস্ত আইন অনুসারে নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে সরকারি কোশাগারে রাজস্ব জমা দিতে না পেরে পুরনো বহু জমিদার তাদের জমিদারি হারায়।

2. সরকারের লোকসান :

সরকারের রাজস্ব সুনির্দিষ্ট হওয়ার ফলে পরবর্তীকালে জমির মূল্য বা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও কোম্পানির কোন রাজস্ব বৃদ্ধি হয়নি ফলে কোম্পানি লোকসানের সম্মুখীন হয়।

3. কৃষকদের দুরাবস্থা :

জমিদাররা কৃষকদের উপর প্রবল অত্যাচার চালিয়ে নির্ধারিত রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করার ফলে কৃষকদের অবস্থা খুবই করুণা হয়ে ওঠে।

4.পত্তনি প্রথার উদ্ভব :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম কুফল ছিল পত্তনি প্রথার উদ্ভব। কোন কোন জমিদার প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য নির্দিষ্ট মূল্যের পরিবর্তে জমিদারি অংশ ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে মধ্যস্বত্ব ভোগী শ্রেনীকে দিতেন।একেই পত্তনি প্রথা বলা হয়।

5. মুসলিমদের দুর্দশা :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে মুসলমানরা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হল। সরকারি রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বহু পুরনো মুসলমান জমিদার তাদের জমিদারি রক্ষা করতে পারলেন না।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার গ্রাম সমাজে নতুন কোন পরিবর্তন ঘটেনি। শুধুমাত্র ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সামান্য গোলযোগ দূর হয়েছিল মাত্র, কৃষির এবং কৃষকের দুর্দশার কোন অবসান ঘটেনি। তবে এ কথা ঠিক 1793 সালে লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ছিল ভারতে ব্রিটিশ জাতির গৃহিত পদক্ষেপ গুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা সফল পদক্ষেপ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর

Q1. নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল

Ans – মোহাম্মদী বেগ একটা খঞ্জর দিয়ে আঘাত করে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।

Q2. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে গঠিত হয়

Ans – ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী 1600 খ্রীস্টাব্দের 31শে ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।

Q3. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কত সালে ভারতবর্ষে আগমন করে

Ans – মোগল আমলে ইংরেজরা ব্যবসা করতে ভারত উপমহাদেশে আসে। ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য পরিচালনার জন্য ১৬০০ সালে তারা ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।

Q4. সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম কি

Ans – সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম মোহাম্মদী বেগ। 
সিরাজউদ্দৌলা হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত প্রায় সকলেই ছিল সিরাজের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন। মোহাম্মদী বেগ ছিল নবাব আলীবর্দী খাঁর পৌষ্য। আলীবর্দী খাঁর আমল থেকেই তাঁর পরিবারের একজন সদস্যরূপে তাঁরই স্নেহছায়ায় সে বেড়ে উঠে।
সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গেও তার বিশেষ সখ্যতা ছিল। সিরাজউদ্দৌলাকে মীরণের নির্দেশে হত্যা করেছিল এই মোহাম্মদী বেগ, যাকে আলীবর্দী খাঁ কোলে পিঠে করে মানুষ করেছিলেন।

Q5. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে কবে প্রবর্তন করেন

Ans – বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন লর্ড কর্নওয়ালিস 1793 খ্রিস্টাব্দে।

Q6. ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত কাকে বলা হয়

ভারতীয় নবজাগরনের অগ্রদূত রামমোহন রায়কে বলা হয়।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।