নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর ধীবর বৃত্তান্ত

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | ধীবর বৃত্তান্ত | ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন ও উত্তর Class 9

সূচিপত্র

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ১ম অধ্যায়, নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর ধীবর বৃত্তান্ত

এজিয়ান শকুন্তলম্ নাটকের কোন্ অঙ্ক থেকে ‘ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে।

ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে কোন্ কোন্ চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়?

উত্তর: ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের চরিত্রগুলি হল—জানুক ও সূচক নামে দুই রক্ষী, নগরপাল রাজশ্যালক এবং ধীবর ||

মহষি কস্থের অনুপস্থিতিতে দুম্বন্ড কী করেছিলেন?

উত্তর: মহর্ষি কম্বের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁকে রেখে রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন।

ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন ও উত্তর, বহুমুখী উত্তর ধর্মী প্রশ্ন

তপােবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল কেন?

উত্তর: তপােবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল এই ভেবে যে, সে শকুন্তলার খোঁজ নিতে সেখানে আসবে।

ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলার অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তর: ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলা স্বামীর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে অন্যমনস্ক ছিলেন।

বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন পরিচিতি ও অনুশীলন

ঋষি দুর্বাসা কেন অপমানিত বােধ করেছিলেন?

উত্তর: স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্ক শকুন্তলা আশ্রমে ঋষি দুর্বাসা আসলে তার উপযিতি টের পান না। এতে ঋষি দুর্বাসা অপমানিত বােধ করেছিলেন।

ঋষি দুর্বাসা শকুন্ডলাকে কী অভিশাপ দিয়েছিলেন?

উত্তর: দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন যে যাঁর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে শকুন্তলা তাকে লক্ষ করেননি তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।

প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি দুর্বাসা কী বলেছিলেন?

উত্তর: ঋষি দুর্বাসা বলেছিলেন যে, প্রিয়জন শকুন্তলাকে ভুলে গেলেও কোনাে স্মৃতিচিহ্ন দেখালে এই অভিশাপ দূর হবে।

সখীরা কোন্ জিনিসকে ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন?

উত্তর:; দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে বিদায় নেওয়ার সময়ে শকুন্তলাকে যে আংটি দিয়েছিলেন তাকেই সখীরা ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন।

মহর্ষি কশ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে কী করেছিলেন?

উত্তর: মহর্ষি কশ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানাের আয়ােজন করেছিলেন |

বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন

“শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না |”—এখানে কী না বলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে ধীবরটি রাজার শ্যালককে ধীবরের জীবিকা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ না করার কথা বলেছে।

ধীবর চরিত্রটি জীবিকা বিষয়ে কী বলেছে?

উত্তর: ধীবরের মতে, যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে তা নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।

ধীবর আংটিটি কীভাবে পেয়েছিল?

উত্তর: ধীবর একটা রুইমাছ টুকরাে করে কাটতে গিয়ে মাছের পেটের মধ্যে মশিমুত্তায় ঝলমলে আংটিটা দেখতে পেয়েছিল ।

“এ অবশ্যই গােসাপখাওয়া জেলে হবে’-শ্যালক এ সন্দেহকরেছিল কেন?

উত্তর: ধীবরের গা থেকে কাচা মাংসের গন্ধ আসছিল বলে রাজার শ্যালক এরকম সন্দেহ করেছিলেন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা, ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের প্রশ্ন ও উত্তর

হাতবাধা অবস্থায় এক পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে দুই রক্ষীর প্রবেশ ‘পুরুষ’-টির হাত বাঁধা কেন?

উত্তর: ‘পুরুষটির কাছে রাজা দুষ্মন্তের আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে হাত বেঁধে নিয়ে আসা হয়।

“আপনারা শান্ত হন।বক্তা কাদের শান্ত হওয়ার অনুরােধ জানিয়েছে?

উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ থেকে নেওয়া আলােচ্য উক্তিটির বক্তা এবং এই নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর দুই নগররক্ষীকে শান্ত হওয়ার অনুরােধ জানিয়েছে।

“তবে কি তােকে সদ্ ব্রাশ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?’—কোন্ ‘রাজা’র কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে প্রথম রক্ষীর এই সংলাপে ‘রাজা’ বলতে রাজা দুষ্মন্তের কথা বলা হয়েছে।

“আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।”—কোন্ কথা বক্তা শােনাতে চেয়েছে?

উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে আলােচ্য উক্তিটির বক্তা ধীবর নগররক্ষীদের কাছে নিজের পরিচয় এবং কীভাবে সে রাজার আংটিটি পেয়েছে সে কথা শােনাতে চেয়েছে|

“ব্যাটা বাটপাড়, আমরা কি তোর জাতির কথা জিজ্ঞাসা করেছি বক্তা আসলে কোন্ কথা জিজ্ঞাসা করেছিল?

উত্তর: উধৃতাংশের বক্তা দ্বিতীয় রক্ষী আসলে জানতে চেয়েছিল রাজার নাম খােদাই করা মণিখচিত আংটিটি ধীবর কোথায় পেয়েছে।

“তা আপনি যা আদেশ করেন।”—কোন্ আদেশের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: ধীবরকে বাধা না দিয়ে যেন আগাগােড়া সব কথা বলতে দেওয়া হয় এই আদেশের কথা বলা হয়েছে।

ধীবর বৃত্তান্ত বড় প্রশ্ন ও উত্তর, ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের প্রশ্ন উত্তর

‘শােনাে ধীবর, এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।’ – কীভাবে ধীবর বক্তার বন্ধু হয়ে উঠল, ‘ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।

ধীবর এবং রাজশ্যালকের বন্ধুত্বের বিবরণ : এক ধীবরের কাছে রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে রক্ষীরা তাকে বন্দী করে বিচারের জন্য রাজ শ্যালকের কাছে নিয়ে আসে। এই সূত্রেই প্রথম রাজশ্যালক এবং ধীবরের আলাপ হয়। ধীবর আংটি পাওয়ার সমস্ত বৃত্তান্ত সবিস্তারে জানালেও প্রাথমিকভাবে রাজ শ্যালক তাকে চোর বলেই মনে করে। ধীবরের গা থেকে মাংসের গন্ধ আসায় রাজশ্যালক তাকে ঘৃনা করে এবং তার জীবিকা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে।

বন্ধুত্বের কারণ : রাজার সমীপে ধীবরের কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ধীবর প্রসঙ্গে রাজশ্যালকের ধারণা পাল্টে যায়। বিভিন্ন কারণ এবং অনুষঙ্গ কে সামনে রেখে ঘৃণা বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়।

প্রথমত, রাজশ্যালক ধীবরের সাধুতার পরিচয়ে মুগ্ধ হয়। তিনি বুঝতে পারেন ধীবর যা বলেছে সব সত্য। সে চোর নয়। তাই তার প্রতি বিরূপ আচরণ করা ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে শ্যালক বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।

দ্বিতীয়ত, আংটির সমান মূল্যের অর্থ রাজা ধীবরকে পুরস্কৃত করল রাজশ্যালকের ভাব জগতে বিস্ফোরণ ঘটে। রাজশ্যালক ভাবতে থাকে, যে মানুষ স্বয়ং রাজার দ্বারা পুরস্কৃত হয় সে ঘৃণার যােগ্য নয়। তাই শ্যালক ধীবরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনােভাব প্রকাশ করে।

তৃতীয়ত, ধীবরের জন্যই রাজার প্রিয়জনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পেরে শ্যালক রাজার উপকার করার মধ্য দিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠাতার সুযােগ পায়। তাই তিনি ধীবরের প্রতি আনন্দিত হয়ে ওঠেন।

এভাবেই ধীবরের কর্মগুণ,সততা এবং নৈতিকতার উজ্জলতা রাজার শ্যালককে মুগ্ধ করে। প্রথম দর্শনে যে সম্পর্ক ঘৃণা দিয়ে তৈরি হয়েছিল তা নিমেষের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নিদেশ করো, ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা কী, ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশ রাজশ্যালকের ভূমিকা নিদেশ করো, ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নির্দেশ করো উত্তর, ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা

উত্তর: মহাকবি কালিদাসের লেখা ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে । বাংলায় এটির তরজমা করেছেন সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী ।

‘ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের চরিত্রগুলোর মধ্যে রাজশ্যালকের ভূমিকা বেশ সক্রিয় ও যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়েছে । ধীবরের কাছে আংটিটি পেয়ে রক্ষীগণ যেভাবে তাকে চোর বলে প্রতিপন্ন করেছিল রাজশ্যালক তা করেন নি । তিনি একজন নগর রক্ষায় দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ব্যক্তি । তাই সরাসরি তিনি ধীবরকে চোর বলতে পারেন নি । তিনি মহারাজের আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছেন এবং ধীবরকে কথা বলার সুযোগ দিতে চেয়েছেন । রাজ আদেশ পাওয়া মাত্রই ধীবরকে ছেড়ে দিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছেন । শুধু তাই নয়, ধীবরের পাওয়া আংটিটি যে রাজাকে প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, তা বুঝতে পেরে তিনি ধীবরের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছেন । তিনি ধীবর কে তাঁর একজন বিশিষ্ট বন্ধু বলেও গ্রহণ করেছেন । এইভাবে নাট্যধর্মের প্রয়োগ সার্থকভাবে ঘটানোর জন্য রাজশালকের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর

Q1. গল্প অনুসারে কটকের খবরের কাগজে আমগাছটিকে নিয়ে কী সংবাদ বেরিয়েছিল?

উত্তর। কটক শহরে প্রচারিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল যে অর্ধরাত্রে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির ফলে শহরের মধ্যে পুরী ঘাটে আমগাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছে। এর দ্বারা বলা যায় যে আমগাছটির মত্যু সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।

Q2. গােপালের বাবা প্রথমে কেন বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি?

উত্তর। গােপালের কেনা জমি মাটি বেলে এবং তা ফুলগাছ লাগানাের পক্ষে অনুপযুক্ত। এছাড়াও সেখানে জল দেবার অসুবিধা থাকায় গােপালের বাবা প্রথমে বাগানে ফুলগাছ লাগাতে চাননি।

Q3. “গােপাল মুখ তুলে সন্ধিগ্ধভাবে বাবার মুখের দিকে তাকাল”—তার এই সন্দেহের কারণ কী?

উত্তর। গােপালের বাবা বাগানে কলম করা একটি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই গাছটি ভালােভাবে নতুন জায়গায় সতেজভাবে হবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পােষণ করে গােপাল তার বাবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।

Q4. “তুই করবি বাগান!”—বাবা কেন এমন মন্তব্য করেন?

উত্তর। বাগান করার জন্য তার পিছনে পরিশ্রম করার প্রয়ােজন হয়। বাবা তার পুত্রের আলস্যের ব্যাপারে সবিশেষ অবগত আছেন। তাই বাগান করার প্রস্তাবে বাবা কিছুটা বিস্মিত হন। সে কোনােদিন স্বহস্তে জল তুলে স্নান পর্যন্ত করেনি তার বাগান করার শ্রমসাধ্য প্রস্তাব বাবার এরূপ মন্তব্যের কারণ।

Q5. আমগাছটি কীভাবে গােপালবাবুর বাড়ির নিশানা হয়ে উঠেছিল?

উত্তর। আমগাছটি গােপালবাবুর বাড়ির চেনার একটা নিশানা হয়ে উঠেছিল। যখন গােপালবাবুকে কেউ তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করত তখন তিনি তাদের বলতেন কাঠজোড়ি নদীর ধারে, পুরীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিমে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ থাকা বাড়িটাই তার বাড়ি।

Q6. গাছটি কীভাবে তাদের সাহায্য করেছিল বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তর। গােপালবাবুর বাড়ির পাহারাদার রূপে আমগাছটি পরিচিত ছিল। যে তার সবুজ পাতার মাধ্যমে গ্রীষ্মের দাবদাহকে প্রতিরােধ করত। কাঠজোড়ি নদীর দিক থেকে ধেয়ে আসার বালির ঝাপটা যে তার দেহ দিয়ে প্রতিরােধ করত। গােপালের সমবয়সী বন্ধুরা সেই আমগাছতলায় বিশ্রাম নিত এবং গাছটির প্রশংসা করত। বিয়েবাড়ি, পুজো এবং অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়ােজনীয় আমপাতা বা ডাল নিতে অনেক লােক আসত। সর্বোপরি ওই আমগাছের আম খুব মিষ্টি ছিল যার গুণগান সকলে করত ।

Q7. আমগাছটিকে ঘিরে বাড়ির সকলের অনুভূতির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা যায় ?

উত্তর। সন্তানস্নেহে গােপালবাবু আমগাছটিকে লালনপালন করেছিলেন। কেউ পাতার জন্য এলে কচিপাতা ভাঙতে নিষেধ করতেন। সকলেরই ভাবনা কবে আমগাছে আম হবে। আমগাছে যখন মুকুল এল তখন সকলের চিন্তা যদি কুয়াশার জন্য সব মুকুল ঝরে যায়। পরবর্তীকালে যখন আম ফলল তখন সকলে রােজ গুণে দেখে কতগুলি আম হয়েছে। দুপুরবেলা পালা করে পাহারা দিয়ে সকলে ছেলেদের থেকে আমগুলিকে রক্ষা করে। এমনিভাবে আমগাছটি বাড়ির প্রতিটি মানুষের আপনজন হয়ে উঠেছিল এবং সকলেই আমগাছটির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখত।

Q8. “সেই দিন থেকে গাছ হেলে পড়েছে পুরদিকে”—কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? গাছটি হেলে পড়ার কারণ কী?

উত্তর। আলােচ্য অংশে যুদ্ধের দিনের কথা বলা হয়েছে।
তখন দেশে যুদ্ধের আবহাওয়া। শত্রুপক্ষ আকাশপথে উড়ােজাহাজ থেকে বােমাবর্ষণ করে এই আশংকায় সরকারের লােকজন আমগাছের গােড়ায় একটা ট্রেও কাটে। তার ফলেই গাছটি পূর্বদিকে কিছুটা হেলে পড়েছিল।

Q9. “ঠিক বন্ধুর মতই গাছ সব কথা লুকিয়ে রেখেছে।”—গাছটি কীভাবে গােপালের বন্ধু হয়ে উঠেছিল?

উত্তর। আমগাছটি নানাবিধ উপকার সাধন করত। ফলে সে গােপালের উপকারী বন্ধুরূপে পরিগণিত হয়েছিল এবং গােপালও তার প্রতি অত্যন্ত সদয় ছিল।
সময়ের ব্যবধানে আমগাছটি রাস্তার উপর অনেকটা ঝুঁকে পড়েছিল। পথচলতি মানুষজন আমগাছটির ওই অবস্থায় অসুবিধায় পড়ত। তাদের মাথায় আমগাছের ডালপালা লাগত। বৃষ্টি হবার পর পাতার জলে মানুষজনের শরীর ভিজে যেত। সেইসব কথা মনে রেখে গোপাল মায়ের অজ্ঞাতসারে কয়েকটি ছােটো ছােটো ডাল কেটে বাইরে ফেলে দিয়েছিল। গাছ কিন্তু এই কথা কারও কাছে প্রকাশ করেনি। ডাল কাটার কথা সে লুকিয়ে রেখেছিল নিজের মনে।

Q10. বিভিন্ন ঋতুতে আমগাছটির যে ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে তা আলােচনা করাে।

উত্তর। গ্রীষ্মকালে আমগাছটি গরম বাতাস এবং নদীর দিক থেকে আসা বালির ঝড়কে প্রতিরােধ করে। ক্লান্ত পথিকে ছায়া দিয়ে তাদের ক্লান্তি দূর করে। আবার যখন আম পাকে সকলে সেই সুস্বাদু আম খেয়ে তারিফ করে। গ্রীষ্মের পর বর্ষাকালে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। গাছ নীরবে ঝড়ের দাপট সহ্য করে। আষাঢ় মাসের প্রবল ঝড় তার প্রাণ কেড়ে নেয় কিন্তু মৃত্যুকালেও কারও কোনাে ক্ষতিসাধন করেনি। রাতের বেলায় ঝড়ের প্রকোপ যখন তাকে উপড়ে দেয় তখনও সে রাস্তার বিজলি বাতিটিকে অক্ষত রেখে মৃত্যুবরণ করে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।