অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অদল বদল গল্পের বিষয়বস্তু

উত্তরঃ গল্পের শুরুতেই আমরা পাই দুইজন বন্ধুকে যাদের নাম ছিলো অমৃত ও ইসব। এই দুই বন্ধুর মধ্যে অনেক মিল ছিলো, তাদের সব কিছুই ছিলো প্রায় একই রকমের এমনকি তাদের বাড়িটাও ছিলো মুখোমুখি। অমৃত ও ইসাবের মধ্যে একটি পার্থক্য ছিলো বটে আর সেটা তাদের পরিবারের দিক থেকে অর্থাৎ অমৃতের পরিবারে ছিলো তার বাবা মা আর তিন ভাই কিন্তু ইসাবের তার বাবা ছাড়া আর কেউ ছিলো না। ইসাব তার বাবার সাথেই থাকতো। ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে তার বাবা তাকে নতুন জামা কিনে দিয়েছিল ।

অন্যদিকে অমৃতের নতুন জামা ছিলো কিন্তু টা সত্ত্বেও সে বায়না করার ফলে সেও নতুন জামা পেয়েছিলো। দুজনেই তাদের নতুন জামা হোলির দিনে পড়ে বেড়িয়েছিল এবং দুই বন্ধুর জামা ও একই রকম দেখতে ছিলো। দুজনেই নতুন জামা পড়েছিল তাই তারা কেউ ই চায়নি যে তাদের জামা নোংরা হোক বা ছিঁড়ে যাক। কিন্তু ওই দিন অমৃতের অনিচ্ছা সত্বেও তাকে কুস্তি লড়তে বলে এবং সে তাতে রাজি না হলে তাকে জোড় করে ধরে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। অমৃতকে বাঁচাতে ইসাব অমৃতকে বাঁচাতে কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়েছিল এবং তাকে হারিয়েও দিয়েছিলো।

এরপর তারা যখন বাড়ির দিকে ফিরছিলো তখন অমৃত খেয়াল করেছিল তার হয়ে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসবের জামা টি ছিঁড়ে গিয়েছে। ইসব ও মনে মনে জানতো যে ছেঁড়া জামা দেখলে তার বাবা তাকে খুব মারবে, কারণ তিনি অনেক কষ্ট করে সুদখোরের কাছে থেকে টাকা ধার করে তাকে জামা টি কিনে দিয়েছিলেন। ইসাবকে এমন অবস্থায় দেখে অমৃত নিজেদের মধ্যে জামা পাল্টে নেওয়ার বুদ্ধি করে এবং ইসবকে বলেও দেয়। তারা জামা পাল্টে নেয়। কারন অমৃত মনে মনে জানতো যে তার জামা ছেঁড়া দেখলে হয়তো তার বাবা তাকে বকবে কিন্তু তাকে বাঁচানোর জন্য মা আছে, এদিকে ইসাবের বাবা যদি তার ছেঁড়া জামা টা দেখতো তাহলে সে অনেক মার খেতো আর তাকে বাঁচানোর জন্য কেউ নেই। এই ঘটনার থেকেই বোঝাযায় যে তাদের বন্ধুত্ত্ব টা কতটা গভীর ছিলো।

পরে ই জামা অদল বদলের কথা জানতে পেরে ইসাবের বাবার মন আনন্দে ভোরে ওঠে। এছাড়াও অমৃতের মা ও পাড়ার কিছু লোককে এই কথা জানিয়েছিলো ফলে তাদের বন্ধুত্বের কথা সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং সবাই ঠিক করেছিল তাদের দুজন কে একসাথে অদল বদল বলেই ডাকবে।

অদল বদল গল্পের উৎস

উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পটি গুজরাটি ভাষা থেকে প্রথমে ইংরাজি ভাষায় ‘The Exchange’ নামে অনুবাদ করেন এস. সুন্দর। সেই ইংরাজি অনুবাদটি সংকলিত হয় ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত ‘Stories for Kids’ নামক গল্প সংকলনে। সেখান থেকেই গল্পটি নিয়ে বাংলাতে অনুবাদ করেছেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।

অদল বদল গল্পের নামকরণের সার্থকতা

উত্তরঃ বিংশ শতাব্দীর লেখক পান্নালাল প্যাটেল গুজরাতি ভাষার অন্যতম সাহিত্য স্রষ্টা। তাঁর ‘ অদল বদল ’ ছােটো গল্পটির নামকরণ কতখানি সার্থকতায় উত্তীর্ণ তা আলােচনার পূর্বে বলে রাখা দরকার , সাহিত্যের নামকরণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়ে থাকে।

কখনাে চরিত্রকেন্দ্রিক , কখনাে বিষয়কেন্দ্রিক , কখনাে ভাব ব্যঞ্জনাবাহী , কখনাে বা রূপক সাংকেতিকতার দিক থেকে এই নামকরণ করা হয়ে থাকে। আমাদের আলােচ্য ‘ অদল বদল ’ ছােটো গল্পটি কী ধরনের নামকরণ , কতখানি সার্থক তা প্রতিপাদন করার স্বার্থে বিষয়- এর অভ্যন্তরে প্রবেশ করা যাক।

আলােচ্য গল্পের ছােট্টো পরিসরে লেখক ইসাব ও অমৃতের বন্ধুপ্রীতি সৌভ্রাতৃত্ববােধকে সমুজ্জ্বল করে তুলেছেন। ইসাব ও অমৃত দুজনে দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের দুই সতীর্থ। দুজনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বের প্রগাঢ়তা।ইসাব মাতৃহারা , বাবাকে নিয়ে তার পরিবার জীবন।

অপরপক্ষে অমৃতের রয়েছে মা , বাবা ও তিন সহােদর বা ভাই। দুই পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর্থিক টানাপােড়নে সুদের জালে জড়িয়ে পড়তে হয়। ইসাব ও অমৃতের পােশাকের মধ্যেও রয়েছে মিল।

একদিন ইসাবের জামা দেখে অমৃত বাবা মায়ের কাছ থেকে অনুরূপ একটি নতুন জামা বায়না করে বসে। বাবা মায়ের বকাঝকাকে উপেক্ষা করে সে শেষ পর্যন্ত নতুন জামা গায়ে চড়ায়।

দুজনে মিলে নতুন জামা পরে ছেলেদের দলে গিয়ে হাজির হলে , অনিচ্ছা সত্ত্বেও অপরাপর বন্ধুর সাথে মারামারি ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

এহেন পরিস্থিতিতে ইসাবের জামা ছিড়ে যায়। এমতাবস্থায় মাতৃহীন ইসাবকে বাবার শাসন থেকে রক্ষা করতে অমৃত নতুন পরিকল্পনা ফাঁদে। বাড়ির গলিতে বন্ধু ইসাবকে ডেকে নিয়ে যায়। নিজের গায়ের নতুন জামাটি খুলে ইসাবের গায়ে চড়িয়ে দিয়ে ইসাবের হেঁড়া জামাটি নিজের গায়ে চড়িয়ে নেয় এবং শান্তভাবে দুজনেই ঘরে ফিরে যায়।

অমৃতের এহেন পরিকল্পনায়ই সব বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে

“ তাের কী হবে , তুই কী পরবি ? ”

অমৃত বলল ,

“ শিগগির কর , নয়তাে কেউ দেখে ফেলবে। আমি তােরটা পরব। ” ইসাব জামা খুলতে লাগল , যদিও অমৃত কী করতে চাইছে বুঝতে পারছিল না , বলল , “ জামা অদল বদল ? কিন্তু তাতে সুবিধাটা কী হবে , তােকে তাে তাের বাবা পিটোবে। ”

“ নিশ্চয় ঠ্যাঙ্গাবে , কিন্তু আমাকে বাঁচানাের জন্য তা আমার মা আছে। ”

বন্ধুর প্রতি বন্ধুর এই প্রগাঢ় ভালােবাসা মাতৃহারা বন্ধুর মাতৃত্বের অভাববােধকে উপলব্ধি করার ফলশ্রুতিই জামা , অদল বদল।

এই অদল বদলের ঘটনার মধ্যে রয়েছে গভীর ভাবব্যঞ্জনা। অবক্ষয়িত সমাজে জাতি হিংসার নাগপাশকে কাটিয়ে সম্প্রীতির বাতাবরণ গড়ে উঠেছে দুই সম্প্রদায়ের দুই পরিবারের মধ্যে। অমৃতকে নিজের ছেলে বলে মনে করা , বাহালি বৌদিকে সজল।

চোখে অমৃতের ক্রিয়াকাণ্ড বলার মধ্যে রয়েছে আন্তরিক পিতৃত্বের টান। যার মুখ্য বিষয় জামা অদল বদল। তাই বলা যায় নামকরণটি বিষয়কেন্দ্রিক নামকরণ হয়েও ভাবব্যঞ্জনাবাহী ও সার্থক।

অদল বদল ছােটোগল্প হিসেবে কতটা সার্থক লাভ করেছে তা সংক্ষেপে আলােচনা

উত্তরঃ গুজরাতি ভাষার প্রসিদ্ধ লেখক পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ’ একটি অনবদ্য গল্প। গল্পটি আধুনিক ছােটোগল্প হিসেবে কতখানি সার্থক তা আলােচনার পূর্বে ছছাটোগল্প সম্পর্কে একটু অবগত হয়ে নেওয়া জরুরি। পাশ্চাত্য ছােটোগল্পের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে –

“ A short story is a story that can be single sitting and single informing idea . “

কিংবা Funk and wagnalls বলেছেন –

“ A narrative prose story presenting a central theme or impression usually subordinated to single mood or character is ation . “

আমাদের আলােচ্য অদল বদল ছােটোগল্পটি পাঠ করলে দেখা যায়- একটি মাত্র কাহিনিকে অবলম্বন করে গল্পের কায়া নির্মিত হয়েছে। তা হল ইসাব ও অমৃতের জামা অদল বদলের ঘটনা এবং অমৃতের আন্তরিক বন্ধুপ্রীতির উদারতা।

গল্পটির সূচনা আকস্মিক ও নাটকীয় উৎকণ্ঠায় পূর্ণ।

“ হােলির দিনের পড়ন্ত বিকেল। নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়াে হয়ে ধুলাে ছােড়াছুড়ি করে খেলছিল। হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব ওদের কাছে এল। ”

আবার গল্পের সমাপ্তিতে রয়েছে অতৃপ্তির আকাঙ্খ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন। গল্পের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব , জামা অদল বদলের ব্যঞ্ছনাগর্ভ , উদারতা , ছােটোগল্পের একমুখীনতাকে নির্দেশ করে।

এই গল্পের আয়তন ভাব ও ভাষা ছােটোগল্পের অনুকূল। দুই বন্ধু ইসাব ও অমৃত দুজনেই সতীর্থ , দুজনের পােশাক পরিচ্ছদেও রয়েছে সাদৃশ্য। অথছ দুজন দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের সন্তান। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তাদের বন্ধুত্বের রজুপথ টানকে ছিন্ন করতে পারে না।

দুই বন্ধু একই রকম পােশাক পরে খেলার মাঠে চিত্ত বিনােদনের জন্য হাজির হয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাঠের অন্যান্য ছেলের সঙ্গে তারা কুস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। বন্ধু অমৃতের প্রতি কালিয়ার অভব্য আচরণ।

ইসাবকে উত্তেজিত করলে ইসাব নিজেকে স্থির রাখতে না পেরে কালিয়ার সঙ্গে সংগ্রামে / কুস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

শেষে ইসাবের ছেড়া জামা দেখে বন্ধু অমৃত বহুকষ্টে বাবা মায়ের কাছ থেকে আদায় করা নতুন জামাটি বন্ধুর গায়ে জড়িয়ে দেয়।

ইসাব ইতস্তত বােধ করলে বন্ধু অমৃত যে উক্তি করেছে তাতে শাশ্বত বন্ধুত্ব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদার্থ মহিমা বিঘােষিত হয়ে পড়ে।

“ অমৃত বলল , নিশ্চয় ঠ্যাঙ্গাবে , কিন্তু আমাকে বাঁচানাের জন্য তাে আমার মা আছে। ”

আবার ইসাবের বাবা পাঠানের অমৃতকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে এবং তার আন্তরিক বাক্যালাপে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অমলিন ভাষ্যটি পাঠককে মুগ্ধ করে।

“ চেঁচিয়ে বললেন , বাহালি বৌদি , আজ থেকে আপনার ছেলে আমার। ”

বাহালি বৌদি ঘর থেকে বেরিয়ে স্নিগ্ধ হাসিতে যে কথাটি বলেছেন , তাতেও সম্প্রীতির বাতাবরণ অবক্ষয়িত সমাজের বিবেক

“ হাসান ভাই , আপনি এক ছেলেকেই দেখে উঠতে পারেন না , তা দুজনকে কী করে সামলাবেন ? ”

আবার আবেগভরা গলায় হাসানের উক্তি পাঠকের চোখেও জল এনে দেয়। বাহালি বৌদি , অমৃতের মতাে ছেলে পেলে। আমি একশ জনকেও পালন করতে রাজি আছি।

ভাষার দিক থেকে গল্পটিকে সার্থক ছােটোগল্পের মর্যাদা দিতে কুণ্ঠা জাগে না। পরিশেষে বলা যায় , এই গল্পে কোনাে নীতিকথা উপদেশ নেই।

চরিত্র বা ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে ছােটোগল্পকার তার তৈরি ক্যানভাসে চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তুলেছেন। ‘ ছোটো প্রাণ , ছােটো ব্যথা , ছােটো ছােটো দুঃখ কথা এই গল্পের মধ্যে সঞ্জীবিত রয়েছে।

বর্ণনার অবকাশ থাকলেও লেখক সংযত পরিসরে মূল লক্ষ্যে উপনীত হয়েছেন। তাই বলা যায় ‘ অদল বদল একটি সার্থক ছােটোগল্প।

অদল বদল MCQ বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে যা খেলছিল , তা হল –

(A) ফুটবল

(B) ধুলো ছোড়াছুড়ি

(C) ছোঁয়াছুঁয়ি

(D) দড়ি টানাটানি

সঠিক উত্তর: – (B) ধুলো ছোড়াছুড়ি

‘ অদল বদল ‘ যে – দুই বন্ধুর গল্প , তাদের নাম হল –

(A) অমৃত ও ইরফান

(B) অমিত ও ইরফান

(C) অমৃত ও ইসাব

(D) অমিত ও ইসাব

সঠিক উত্তর: – (C) অমৃত ও ইসাব

অমৃত ও ইসাবের কাছে নতুন যে – জিনিসটি ছিল , তা হল—

(A) জামা

(B) প্যান্ট

(C) বই

(D) বল

সঠিক উত্তর: – (A) জামা

অমৃত ও ইসাবের জামা যে যে দিক থেকে একরকম ছিল—

(A) রং , ছাপা ও ঝুল

(B) রং , মাপ , কাপড়

(C) মাপ , ঝুল ও কাপড়

(D) ছাপা , ঝুল ও কাপড়

সঠিক উত্তর: – (B) রং , মাপ , কাপড়

অমৃত ও ইসাব পড়ত –

(A) একই স্কুলে একই ক্লাসে

(B) একই স্কুলে আলাদা ক্লাসে

(C) আলাদা স্কুলে একই ক্লাসে

(D) আলাদা স্কুলে আলাদা ক্লাসে

সঠিক উত্তর: – A) একই স্কুলে একই ক্লাসে

দুজনের বাবা পেশায় ছিলেন –

(A) তাঁতি

(B) শিক্ষক

(C) কুমোর

(D) চাষি

সঠিক উত্তর: – D) চাষি

অমৃতের বাড়িতে ছিলেন –

(A) শুধু বাবা

(B) বাবা – মা ও তিন ভাই

(C) বাবা ও মা

(D) বাবা ও ভাই

সঠিক উত্তর: – (B) বাবা – মা ও তিন ভাই

ইসাবের বাড়িতে ছিলেন –

(A) শুধু বাবা

(B) বাবা – মা ও তিনভাই

(C) বাবা ও মা

(D) বাবা ও ভাই

সঠিক উত্তর: – (A) শুধু বাবা

দুজনের একরকম পোশাক দেখে অমৃত ও ইসাবকে বলা হয়েছিল—

(A) গান করতে

(B) নাচ করতে

(C) কুস্তি করতে

(D) খেলা করতে

সঠিক উত্তর: – (C) কুস্তি করতে

_ পাবার জন্য তুমি কী কাণ্ডটাই না করেছিলে । ‘

(A) বই

(B) নতুন জামা

(C) পুরস্কার

(D) প্রশংসা

সঠিক উত্তর: – (B) নতুন জামা

অমৃত তার বাবা – মা – কে জ্বালিয়েছিল –

(A) খেলার জন্য

(B) নতুন জামার জন্য

(C) পড়াশোনা না করার জন্য

(D) স্কুলে যাবে না বলে

সঠিক উত্তর: – (B) নতুন জামার জন্য

নতুন জামা পাওয়াটা অমৃত ও ইসাবের পক্ষে কঠিন ছিল । কারণ –

(A) তাদের বাবারা ছিলেন রাগি

(B) তাদের জামার প্রয়োজন ছিল না

(C) তখন কোনো উৎসব ছিল না

(D) তারা ছিল গরিব

সঠিক উত্তর: – (D) তারা ছিল গরিব

শোনামাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল , — ‘ ফতোয়া ‘ শব্দের অর্থ হল –

(A) প্রতিবাদ

(B) চিৎকার

(C) দাবি

(D) রায়

সঠিক উত্তর: – (D) রায়

তাহলে তোমার কপালে কী আছে মনে রেখো ।’— এখানে কপালে আছে বলতে বলা হয়েছে –

(A) ভাগ্যরেখা

(B) তিলক

(C) প্রশংসা

(D) প্রহার

সঠিক উত্তর: – (D) প্রহার

ইসাবের জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল , কারণ—

(A) তাকে খেতে কাজ করতে হত

(B) তাকে একই জামা রোজ পরতে হত

(C) সে যত্ন নিতে জানত না

(D) তার জামা পুরোনো হয়ে গিয়েছিল

সঠিক উত্তর: – (A) তাকে খেতে কাজ করতে হত

‘ ও মরিয়া হয়ে বলল , ‘ ‘ ও ‘ হল –

(A) অমৃত

(B) ইসাব

(C) অমৃতের মা

(D) ইসাবের বাবা

সঠিক উত্তর: – (A) অমৃত

অমৃত যেখানে লুকিয়ে ছিল , সেই স্থানটি হল –

(A) অমৃতের স্কুল

(B) ইসাবের বাড়ি

(C) ইসাবের বাবার গোয়ালঘর

(D) বাড়ির পাশের গলি

সঠিক উত্তর: – (C) ইসাবের বাবার গোয়ালঘর

কোন দিনের পড়ন্ত বিকেলের কাহিনি গল্পে তুলে ধরা হয়েছে?

(ক) দুর্গাপূজা
(খ) হোলি
(গ) বড়োদিন
(ঘ) বুদ্ধপূর্ণিমা

সঠিক উত্তর: – (খ) হোলি

গ্রামের একদল ছেলে _ গাছের নীচে জড়ো হয়েছিল – শূন্যস্থান পূরণ করো।

(ক) নিমগাছ
(খ) আমগাছ
(গ) জামগাছ
(ঘ) বটগাছ

সঠিক উত্তর: – (ক) নিমগাছ

অমৃতের বয়স কত?

(ক) আট বছর
(খ) ন-বছর
(গ) এগারো বছর
(ঘ) বারো বছর

সঠিক উত্তর: – (ক) দশ বছর

অমৃত ও ইসাবের কোন জিনিসটি একই রকম ছিল ?

(ক) প্যান্ট
(খ) জামা
(গ) টুপি
(ঘ) হাতঘড়ি

সঠিক উত্তর: – (খ) জামা

অদল বদল গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত (SAQ) প্রশ্নোত্তর

‘সব দিক থেকেই একরকম।’ – কোন্ বিষয়ে একরকম?

উত্তরঃ অমৃত ও ইসাব হোলির দিনে যে নতুন জামাগুলি পরেছিল সেগুলির রঙ, মাপ ও কাপড় একরকম ছিল।

‘তফাত শুধু এই যে’- কী বিষয়ে তফাত?

উত্তরঃ তফাত শুধু এই যে অমৃতের বাবা-মা এবং তিন ভাই ছিল কিন্তু ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউ ছিল না।

‘মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল’ – কী বলে বুঝিয়েছিল?

উত্তরঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছিল যে ইসাবকে ক্ষেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিঁড়ে গেছে কিন্তু অমৃতের জামাটা প্রায় নতুনের মতো আছে।

‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’ – কেন এমন করেছিল?

উত্তরঃ ইসাবের মতো জামা না পেয়ে অমৃত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।’ -কী কারণে তার মেজাজ চড়ে ছিল?

উত্তরঃ কারণ, কালিয়া একপ্রকার জোর করেই অমৃতের সঙ্গে কুস্তি শুরু করে দিয়েছিল।

এসো , আমরা কুস্তি লড়ি । – কে , কাকে বলেছিল ?

উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পে কুস্তি লড়তে অনিচ্ছুক অমৃতকে কালিয়া বলেছিল প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি । 

কুস্তি শুরু হয়ে গেল । — কুস্তির ফলাফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ কালিয়া অমৃতকে আছাড় মারায় ইসাব রেগে গিয়ে কালিয়াকে কুস্তি র আহ্বান জানায় । কুস্তি শুরু হতেই ইসাব কালিয়াকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে দেয় ।

ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল । -ওরা কেন ভয় পেল ?

উত্তরঃ কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের নতুন জামার পকেট ছিঁড়ে গিয়েছিল । জামা ছেঁড়ার জন্য বাড়িতে বকুনি খাওয়ার ভয়ে অমৃত ও ইসাবের এই অবস্থা হয় ।

‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তাে আমার মা আছে।’ – কেন এই উক্তি?

উত্তরঃ ইসাবের ছেঁড়া জামা দেখে তার বাবা তাকে মারলে বাঁচাবার মতো কেউ ছিল না। কিন্তু অমৃত জানতো যে, তার বাবা তাকে মারলে মা গিয়ে তাকে বাঁচাবে।

‘ছেলেরাও কী ঘটেছে জেনে চ্যাঁচাতে লাগল।’- কী বলে ছেলেরা চ্যাঁচাচ্ছিল?

উত্তরঃ ছেলেরা ‘অদল-বদল, অদল-বদল’ বলে চ্যাঁচাচ্ছিল।

কোন্ ঘটনার জন্য ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল?

উত্তরঃ ইসাবের বাবা অমৃত-ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনার সাক্ষী ছিল। সেইজন্য সে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল।

“পাঠানের গল্প শােনার জন্য ঘিরে দাঁড়াল।” – কারা ঘিরে দাঁড়াল?

উত্তরঃ পাড়াপড়শী মায়ের দল ঘিরে দাঁড়াল।

‘অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।’ – কোন জবাব?

উত্তরঃ ইসাবের প্রশ্নের উত্তরে অমৃত জবাব দিয়েছিল যে তার বাড়িতে মা আছে এবং তার বাবা তাকে মারতে এলে মা গিয়ে বাঁচাবে। এখানে এই জবাবের কথা বলা হয়েছে।

‘গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেল।’ – কে কোন্ গল্প বলেছিল?

উত্তরঃ ইসাবের বাবা ইসাব ও অমৃতের জামা অদল-বদলের গল্প বলেছিল।

‘উনি ঘােষণা করলেন’- কী ঘােষণা করেছিলেন?

উত্তরঃ উনি অর্থাৎ গ্রাম-প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, এরপর থেকে অমৃতকে অদল এবং ইসাবকে বদল বলে ডাকা হবে।

‘এই আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠল।’ – কোন্ আওয়াজের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘অমৃত-ইসাব অদল বদল, অদল বদল’- এই আওয়াজের কথা বলা হয়েছে।

‘অদলবদল’ গল্পটি কে বাংলায় তর্জমা করেন।

উত্তরঃ ‘অদলবদল’ গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

অদল বদল গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

“অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে” – বক্তা বক্তা কে? অমৃতের জবাব বক্তাকে কী ভাবে বদলে দিয়েছিল?

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃতাংশটির বক্তা ইসাবের বাবা হাসান। তিনি অমৃতের মায়ের উদ্দেশ্যে কথাটি বলেছেন।

হোলির দিনে এক‌ই রকম জামা গায়ে অমৃত আর ইসাব বেড়াতে বের হ‌ওয়ার পর কালিয়া নামের একটি ছেলে গায়ে পড়ে অমৃতের সঙ্গে কুস্তি করতে চেয়ে অমৃতকে ফেলে দেয়। ইসাব এই ঘটনায় রেগে গিয়ে কালিয়াকে পাল্টা আছাড় দেয়। কিন্তু এইসবের মধ্যে ইসাবের নতুন জামার খানিকটা ছিঁড়ে যায়। অমৃত বুঝতে পারে এরপর ইসাবকে তার বাবা পেটাবেন। বন্ধুকে মার খাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সে নিজের জামা ইসাবকে দিয়ে ইসাবের ছেঁড়া জামা নিছে নিতে চায়। ইসাব তখন জানতে চায় অমৃতকেও তো মার খেতে হবে। অমৃত তখন ইসাবকে বলে, তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা আছে, ইসাবকে বাঁচানোর কেউ নেই।

অমৃত ও ইসাবের এই কথোপকথন আড়াল থেকে শুনছিলেন ইসাবের বাবা। তিনি অমৃতের কথা শুনে বুঝতে পারলেন মায়ের স্নেহ কী জিনিস। এতদিন তিনি মাতৃহীন ইসাবের মায়ের অভাব পূরণ করতে চেষ্টা করেননি। অমৃতের কথা শুনেই তাঁর চোখ খুলে যায় ও নিজেকে বদলে ফেলেন।

“ ভালােবাসার গল্প শুনে তাদের বুক ভরে গেল । ” – কাদের বুক ভরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ? ভালােবাসার কী গল্প তারা শুনেছিল ও কার কাছ থেকে ?

উত্তর- গুজরাটি সাহিত্যিক পান্নালাল প্যাটেলের অদল বদল ছোটো গল্পে ইসাব ও অমৃতের জামা অদল বদলের গল্প শুনে অমৃতের মা বাহালি বৌদি ও পাড়া পড়শি মায়ের দল যেমন প্রসন্ন হয়েছিলেন , তেমনি হাসান ও অমৃতের এহেন ভালােবাসার গল্প বলে পরিতৃপ্ত লাভ করেছিলেন ।

তাই স্রোতা বাহালি বৌদি ও পাড়াপড়শি মায়েরা ও বক্তা হাসান সকলের বুক ভরে গিয়েছিল । ভালােবাসার গল্প বলতে ইসাব ও অমৃতের জামা অদল বদলের কার্য কারণ কাহিনি ইসাব ও অমৃত দুজনেই সতীর্থ ।

দুজনের পােশাকের মধ্যে রয়েছে মিল । দুজনে ভিন্ন সম্প্রদায়ের সন্তান হয়েও দুজনের মধ্যে রয়েছে । বন্ধুত্বের অমলিন ভালােবাসা । হােলির দিন খেলার মাঠে অনিচ্ছাসত্ত্বেও কুস্তিতে জড়িয়ে পড়ে ইসাব জামা ছিড়ে ফেললে অমৃত পিতার শাসন থেকে বন্ধুকে বাঁচাতে নতুন পরিকল্পনা আঁটে ।

ইসাবের বাবার কণ্ঠস্বর শুনে গলির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অতিদ্রুত ইসাবের ছেড়া জামা নিজের গায়ে চড়িয়ে নিয়ে নিজের নতুন জামা ইসাবের গায়ে পরিয়ে দেয় ।

ইসাব হতচকিত হয়ে যায় , সে বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করে “ তাের কী হবে ? তুই কী পরবি ? ” “ তােকে তাে তাের বাবা পিটোবে । ” ইসাবের এহেন প্রশ্নের জবাবে অমৃত বলে-

“ নিশ্চয় ঠ্যাঙ্গাবে , কিন্তু আমাকে বাঁচানাের জন্য তাে আমার মা আছে । ” মাতৃহারা ইসাবের প্রতি অমৃতের এহেন ভালােবাসা চির অমলিন , যা অবক্ষয়িত সমাজে অত্যন্ত দুর্লভ ।যা পাড়াপড়শি , বাহালি বৌদি , হাসান সকলের কাছেই অকল্পনীয় ভালােবাসার স্বাদ এনে দেয় । তাই তাদের বুক আনন্দে ভরে যায় ।

“আজ থেকে আপনার ছেলে আমার”- উক্তিটির বক্তা কে? কাকে কেন এই কথা বলেছেন?

উত্তর- উদ্ধৃতাংশটি পান্নালাল প্যাটেলের লেখা অদল বদল গল্পের অংশ বিশেষ। এই উল্লেখিত অংশটির বক্তা হলেন ইসাবের বাবা হাসান।

হোলির দিন কালিয়া নামের একটা ছেলে জোর করে অমৃতকে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে। তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে অমৃতকে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। এতে ইসাব ভীষণ রেগে যায় এবং অমৃতকে বাঁচাতে সে নিজে কালিয়ার সাথে লড়াইকরে আর তাকে হারিয়েও দেয়। কিন্তু এসবের মাঝখানে থেকে ধস্তাধস্তিতে ইসাবের নতুন জামা ছিঁড়ে যায়। নতুম জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় বাবার কাছে মার খেতে হবে ভেবে ভয় পাওয়া ইসাবকে অমৃত বুদ্ধি দিলো তার সাথে ইসাবের ছেঁড়া জামা তা বদলে নিতে। কারণ সে জানতো যে তার জামা ছিঁড়ে গেছে দেখলে তার বাবা হয়তো তাকে বকবে কিন্তু তাকে তার মা বাঁচিয়ে নেবে কিন্তু ইসাবের বাবা যদি তাকে রেগে গিয়ে মারে তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা নেই। এই পুরো ঘটনাটি ইসাবের বাবা আড়াল থেকে দেখেছিলেন। এরপরে তিনি দুজনকে তার কাছে ডেকে নিয়ে দশ বছরের অমৃত কে বুকে জড়িয়ে ধরে এম্ন মন্তব্য করেছিলেন।

অদল বদল গল্পে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে পরিচয় ফুটে উঠেছে তা আলােচনা করাে।

উত্তরঃ বিংশ শতাব্দীর গুজরাতি ভাষার প্রসিদ্ধ লেখক পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ একটি অনবদ্য গল্প।

এই গল্পের অভ্যন্তরে যেমন রয়েছে বন্ধুত্বের অমলিন আদর্শ , ঠিক তেমনিভাবে রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ।

অবক্ষয়িত সমাজে মানবিকতার বড়ােই অভাব। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ , জাতিগত বিদ্বেষ সমাজের কণ্ঠকে যখন রােধ করে চলেছে , তখন এহেন দৃষ্টান্ত পাঠককে আত্মদর্শনে উদ্বুদ্ধ করবে এটাই স্বাভাবিক।

এই গল্পের মূল কায়া নির্মিত হয়েছে ইসাব ও তার বন্ধু অমৃতকে নিয়ে। দুজনেই সতীর্থ , দুজনেরই পরিবার পেশায় চাষি , দুজনের বাড়ি রাস্তার এপিঠ ওপিঠ , দুজনেরই পােশাক পরিচ্ছদ প্রায়ই একই ; আলাদার মধ্যে দুজন দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের সন্তান।

দুজনের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বের প্রগাঢ় টান , দুজনেই একসঙ্গে খেলাধুলা ও পড়াশােনা করে। অমৃত ইসাবের মতাে একটি একই জামা বাবা মায়ের কাছ থেকে বহু কষ্টে আদায় করে এবং সেই জামা পরে ইসাবকে সঙ্গে নিয়ে হােলি উৎসবের দিনে পড়ন্ত বিকেলে গাঁয়ের একটি খেলার মাঠের পাশে হাজির হয়। দুজনে মিলেই শান বাঁধানাে ফুটপাতে বসে থাকে।

একটি ছেলে তাদেরকে কুস্তি করতে অনুপ্রাণিত করে। উভয়ে রাজি না হওয়ায় ছেলের দল থেকে একজন এসে তাদেরকে জোর করে মাঠে ধরে নিয়ে যায়। অমৃতের বাধা তােয়াক্কা না করে তাকে মাটিতে ছুঁড়ে দেয়।

“ দেখ কালিয়া , আমি কুস্তি লড়তে চাই না , আমাকে ছেড়ে দে। ”

এমতাবস্থায় ইসাব নিজেকে স্থির রাখতে না পেরে কালিয়ার সঙ্গে কুস্তিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কুস্তির শেষে যখন ইসাব ও অমৃত বাড়ির দিকে রওনা দেয় , এহেন মুহুর্তে অমৃতের চোখ পড়ে ইসাবের হেঁড়া জামার উপর।

মাতৃহীন ইসাব ছিড়ে যাওয়া জামার জন্য পিতার হাতের প্রহার খেতে পারে। এই আশঙ্কায় নিজের গায়ের নতুন জামা ইসাবের গায়ে চড়িয়ে দিয়ে ইসাবের হেঁড়া জামা নিজের গায়ে চড়িয়ে নেয়। ইসাব হতচকিত হয়ে গেলে অমৃত স্পষ্টভাবে তাকে জানিয়ে দেয়

“ নিশ্চয় ঠ্যাঙ্গাবে , কিন্তু আমাকে বাঁচানাের জন্য তাে আমার মা আছে। ”

দুজনেই বাড়ি ফিরল , অমৃতের মা হেঁড়া রিপু করে দিল। হােলি উৎসবের দিনে এমনটি ঘটতে পারে তা ভেবে অমৃতকে রেহাই দিল।অমৃত ও ইসাবের এহেন বন্ধুপ্রীতি ইসাবের বাবা হাসানের আত্মদর্শন ঘটায়।

ইসাবের বাবা হাসান অমৃতকে জড়িয়ে ধরে এবং অমৃতের মাকে ডেকে বলেন – বাহালি বৌদি , আজ থেকে আপনার ছেলে আমার। ” হাসানের এহেন কথা শুনে হাসতে হাসতে বলেন – “ হাসান ভাই , আপনি এক ছেলেকেই দেখে উঠতে পারেন না , তা দুজনকে কী করে সামলাবেন ? ” হাসান আবেগ ভরা কণ্ঠে বলেন “ বাহালি বৌদি , অমৃতের মতাে ছেলে পেলে আমি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছি। ”

তারপর হাসান সজল চোখে সমস্ত ঘটনা সকলের সম্মুখে তুলে ধরেন। অমৃত ও ইসাবের এহেন ভালােবাসার কথা শুনে সকলের বুক ভরে যায়। পরিশেষে বলা যায় , ইসাব ও অমৃতের এহেন বন্ধুত্ব আজকের সমাজের অতি বিরল দৃষ্টান্ত। হাসানের সজল।

চোখ বাহালি বৌদির স্নেহভরা মন্তব্য সাম্প্রদায়িকতার প্রাচীরকে ভেঙে আত্মিক সংযােগকে সুদৃঢ় করে।

অদল বদল পান্নালাল প্যাটেল Pdf

অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর Pdf

পারুল বাংলা রেফারেন্স (অল ইন ওয়ান) – বাংলা সংস্করণ – ক্লাস – দশম (টেন)


পারুল বাংলা রেফারেন্স (অল ইন ওয়ান) – বাংলা সংস্করণ – ক্লাস – দশম (টেন)

অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর

কোন্ ঘটনার জন্য ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা অমৃত-ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনার সাক্ষী ছিল। সেইজন্য সে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।